%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD
পুঁজিবাজার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কোনো কারণ নেই: ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন
পুঁজিবাজার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ।
মঙ্গলবার(১৯ মার্চ) ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা নিয়ে এক বৈঠকে সংগঠনটির পক্ষ থেকে একথা বলা হয়েছে।
তারা বলেছে, ফ্লোর প্রাইসের বাধা তুলে নেওয়ায় শেয়ারের মূল্য সমন্বয় হচ্ছে এটাই স্বাভাবিক।
দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোয় খুব শিগগিরই বাজার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে বলে আভাস দিয়েছেন ব্রোকার প্রতিনিধিরা।
প্রতিনিধিরা শেয়ারবাজারের ভবিষ্যতের স্বার্থ বাস্তবায়নের জন্য কিছু পয়েন্ট উত্থাপন করেছেন। এসব উদ্যোগ বাজারে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে এবং বাজার দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল ও টেকসই হবে।
এগুলো হলো- শেয়ারের দামের ওপর নতুন করে ফ্লোর আরোপ করা হতে পারে বলে বাজারে যে গুজব ছড়িয়েছে, তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ফ্লোর প্রাইসের পুনরাবৃত্তি হবে বলে মনে করে না ডিবিএ।
বর্তমান মুনাফা বিধিমালা-১৯৯৯ এর আধুনিকায়ন ও সংস্কার প্রয়োজন। ভালো কোম্পানিগুলোকে আইপিও মার্কেটে তালিকাভুক্ত করতে হবে। কোম্পানি তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে সব আইন ও বিধিবিধানের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।
বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ওপর জোর দিতে হবে। লভ্যাংশের পরিবর্তে কোম্পানির মূলধন আকারের ভিত্তিতে শ্রেণিবদ্ধ করা যৌক্তিক। সাধারণ শেয়ারহোল্ডার ও স্পন্সর শেয়ারহোল্ডারদের না জানিয়ে অন্য কোনোভাবে কোনো কোম্পানির শেয়ার বাড়ানো উচিত নয়।
আর দ্বৈত করের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অবিলম্বে সমাধান করতে হবে।
আরও পড়ুন: লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে প্রথমবারের মতো তালিকাভুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশি বন্ড
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম। সভায় ডিএসইর পরিচালক শরীফ আনোয়ার হোসেন, রিচার্ড ডি রোজারিও, ডিবিএর সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী, বিএলআই সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, বেক্সিমকো সিকিউরিটিজের সিইও মোস্তফা জামানুল বাহার উপস্থিত ছিলেন।
বড় পতনের মুখে ঢাকার শেয়ারবাজার
নিয়ন্ত্রক সংস্থার (ডিএসই) সূচক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করলেও মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচকের বড় পতন হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধান পুঁজিবাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪২ শতাংশ কমে পাঁচ হাজার ৮১৪ পয়েন্টে লেনদেন শেষ হয়।
এ নিয়ে টানা অষ্টম দিনের মতো বাজার পতন হওয়ায় ডিএসইএক্স ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে গেছে।
একদিন আগে ৪৮৬ কোটি টাকা থেকে লেনদেন কমে ৪৬৫ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৪১টির, কমেছে ৩১৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির শেয়ার।
আরও পড়ুন: আইপিওর যাচাই-বাছাইয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের আরও ভূমিকা থাকা উচিত: এটিএম তারিকুজ্জামান
ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিদেশ যাত্রা নিষিদ্ধ, রাষ্ট্রীয় সম্মাননার অযোগ্য: বাংলাদেশ ব্যাংক
ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিদেশ যাত্রা নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘তাদের নতুন কোনো ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া যাবে না এবং তাদের সব ধরনের রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বা সম্মাননার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচনা করা হবে।’
মঙ্গলবার(১২ মার্চ) ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের শনাক্ত ও চূড়ান্তকরণের জন্য সব ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া ঋণ, অগ্রিম, বিনিয়োগের সুদ বা মুনাফা নিজের অনুকূলে নিজের, পরিবারের সদস্য, আগ্রহী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির অনুকূলে পরিশোধ করবেন। অন্যথায় তিনি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে বিবেচিত হবেন।
আরও পড়ুন: ৭ মাসে ২ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় এনবিআরের, প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশের বেশি
এ ছাড়া জালিয়াতি, প্রতারণা বা মিথ্যা তথ্য প্রদান করে বা যে উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে সেই উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনো খাতে ব্যবহার করা বা অন্য ব্যাংকের জামানত করা সম্পদ অনুমতি ছাড়া নতুন ঋণের ক্ষেত্রে জামানত হিসেবে দেখালে তিনি ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসেবে গণ্য হবেন।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসে (আরজেএসসি) ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞার জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সির কাছে তালিকাভুক্ত করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
একই সঙ্গে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের যানবাহন, জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট ইত্যাদির তালিকাও নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। যাতে সংশ্লিষ্ট সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।
এছাড়াও, কোনও ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বা সম্মানের জন্যও যোগ্য হবেন না।
আরও পড়ুন: ১৮ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আরএডিপি অনুমোদন দিল এনইসি
১৮ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আরএডিপি অনুমোদন দিল এনইসি
মূল এডিপির ১৮ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকার সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)।
মঙ্গলবার(১২ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে এনইসি চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
সড়ক পরিবহন, যোগাযোগ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎসহ আরও কিছু খাতে অগ্রাধিকার দেওয়া আরএডিপি চলতি অর্থবছরের মূল এডিপি ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার আকার থেকে ৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ কম।
সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার জানান, মোট ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকার সংশোধিত আরএডিপির মধ্যে ১ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা স্থানীয় উৎস থেকে আসবে। আর বৈদেশিক উৎস থেকে আসবে ৮৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে আরএডিপিতে মোট প্রকল্পের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৫৮৮টি। প্রকল্পগুলোর মধ্যে ১ হাজার ৩৪৫টি বিনিয়োগ প্রকল্প, ৩৬টি সম্ভাব্যতা যাচাই, কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ১১৫টি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রকল্প ৯২টি।
পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম বলেছেন, চলমান প্রকল্পগুলোর মধ্যে যেগুলো বাস্তবায়নে স্বল্প তহবিল ও কম সময় লাগবে, সেগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দের ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রকল্প প্রণয়ন, অনুমোদন ও বাস্তবায়নের বিষয়ে ইতোপূর্বে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নির্দেশনার আলোকে বৈঠকে বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৯৭৬৪৩ কোটি টাকা সংশোধিত এডিপি এনইসিতে অনুমোদন
তিনি বলেন, প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন পর্যায়ে স্বাভাবিক বিলম্বের প্রবণতা রোধে সম্ভাব্যতা যাচাই পরিচালনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বৈঠকে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সামাজিক সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো খাতে বরাদ্দ ও বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
'স্থিতিশীলতা উন্নয়নের পূর্বশর্ত এবং এটি এখন রয়েছে' উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন এখন সুষ্ঠুভাবে চলছে।
এডিপির আকার কমানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সালাম বলেন, এডিপি সংশোধন একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি অব্যাহত থাকবে।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন এনে বর্তমান ও বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় এ বছর আরএডিপি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
পরিকল্পনা সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী চলতি অর্থবছরের মধ্যে কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে এমন প্রায় ৩৩০টি প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ২,০৭,৫৫০ কোটি টাকার সংশোধিত এডিপি অনুমোদন করেছে এনইসি
২০২০-২১ অর্থবছরের আরএডিপি অনুযায়ী, পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ ৬৩ হাজার ২৬৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা (২৫ দশমিক ৮২ শতাংশ), বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৩৭ হাজার ৮৯৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা (১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ), আবাসন ও কমিউনিটি সুবিধা খাতে ২৮ হাজার ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা (১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ), স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ১৯ হাজার ৯৬৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা (৮ দশমিক ১৫ শতাংশ), শিক্ষা খাতে ১৭ হাজার ২২৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা (৭ দশমিক ০৩ শতাংশ), পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ খাতে ১৪ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা (৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ) বরাদ্দ ধরা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য খাতে ১২ হাজার ৬৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা (৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ), কৃষিতে ১০ হাজার ৩১৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা (৪ দশমিক ২১ শতাংশ), শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা ৪ হাজার ৬৩০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা (১ দশমিক ৮৯ শতাংশ) এবং বিজ্ঞান ও আইসিটি খাতে ৩ হাজার ৬৩৭ কোটি ১২ লাখ (১ দশমিক ৪৮ শতাংশ) টাকা।
সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ ৪২ হাজার ৭০০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা (১৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ), সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ২৭ হাজার ৮০৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা (১১ দশমিক ৩৫ শতাংশ), বিদ্যুৎ বিভাগ ২৭ হাজার ১২৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা (১১ দশমিক ০৭ শতাংশ), রেলপথ মন্ত্রণালয় ১৩ হাজার ১১৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা (৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ), পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ১২ হাজার ১৯২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা (৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ১১ হাজার ৪১৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা (৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ) এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ৯ হাজার ৩৪৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকা (৩ দশমিক ৮১ শতাংশ) বরাদ্দ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২৪ অর্থবছরের জন্য ২.৬৩ লাখ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন করেছে এনইসি
টেলিকমে কর ও শুল্ক: এমটবের ২১ দফা প্রস্তাবনা
আগামী বাজেটে টেলিকমে কর ও শুল্কের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে ২১ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেছেন দেশের মোবাইল অপারেটর কোম্পানির প্রতিনিধিরা।
মঙ্গলবার প্রাক-বাজেট সভায় এ প্রস্তাবনা তুলে ধরেন তারা।
এমটব মহাসচিব লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জুলফিকার (অব.) বলেন, এদেশে টেলিযোগাযোগ এবং ইন্টারনেট প্রাপ্তির অন্যতম প্রধান উৎস মোবাইল শিল্প খাত। এই শিল্পের অবকাঠামোর ওপর দেশের সার্বিক ডিজিটাইজেশন প্রত্যক্ষভাবে নির্ভরশীল। কিন্তু এই খাতের ওপর বিবিধ কর দেশের অন্যান্য খাতের চেয়ে এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় যথেষ্ট বেশি।
এই বিষয়গুলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সুপারিশসমূহ তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান তিনি।
দেশে ডিজিটাইজেশনে সরকারের সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে এনবিআর গুরুত্ব সহকারে বিষয়গুলো বিবেচনা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন এমটব পরিচালক।
কর আরোপ ও দ্বৈতকর এড়ানো, সরকারি সংস্থাসমূহের রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা স্পষ্ট করা, কর্পোরেট করের উচ্চহার নিয়ন্ত্রণ, ন্যূনতম কর সমন্বয় করা, সিম সরবরাহের ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক), সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওপর মূসক নিয়ন্ত্রণ এবং টেলিকম মেশিনারি, ইকুইপমেন্ট ও সফটওয়্যারের জন্য পৃথক এইচএস কোডের বিষয়ে সভায় উত্থাপিত প্রস্তাবনায় সুপারিশ করা হয়।
৭ মাসে ২ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় এনবিআরের, প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশের বেশি
২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৭ মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আদায় বেড়েছে ১৫.০৯ শতাংশ। যা চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার ৫১ শতাংশ।
৭ মাসে ২ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে প্রায় ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা সংগ্রহ করেছে রাজস্ব বোর্ড। এতে রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি পেলেও লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব ঘাটতি রয়েছে ১৭ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা।
বাজেটে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা হিসাব করলে ঘাটতি আরও বেশি হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে এনবিআরকে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। তবে সম্প্রতি এই লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করে ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে।
ঢাকায় জাকাত মেলা-২০২৪ শুরু
দারিদ্র্য বিমোচনে জাকাতের মাধ্যমে অবদান রাখার জন্য বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ঢাকার আলোকি কনভেনশন সেন্টারে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী জাকাত মেলা-২০২৪।
'সিজেডএম'স জাকাত ভিত্তিক কর্মসূচি: দারিদ্র্য বিমোচনে অগ্রণি উদ্ভাবন' শীর্ষক সেমিনারে অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থিক ক্ষমতায়নে রূপান্তরের জন্য জাকাত একটি নৈতিকতাভিত্তিক হাতিয়ার হতে পারে।
শনিবার (২ মার্চ)'মেকিং এ ডিফারেন্স উইথ জাকাত' প্রতিপাদ্য নিয়ে সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, বিশ্বব্যাপী আর্থিক অন্তর্ভুক্তি অর্থনীতিতে একটি জনপ্রিয় শব্দ। ‘তবে দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের আর্থিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে জাকাত বড় ভূমিকা রাখতে পারে।’
ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের ব্যাপারে জাকাত ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমাতে পারলে জাকাত দিয়ে আরও বেশি মানুষের সেবা করা যেত।
আরও পড়ুন: 'তৃষ্ণা মেটানোর প্রতিশ্রুতি নিয়ে 'ফুটস্টেপস' এর যাকাত ক্যাম্পেইন'
অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন কুইন্সল্যান্ডের ইমেরিটাস প্রফেসর মো. শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আব্দুর রউফ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক আব্দুল আউয়াল সরকার, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ, সরকারের সাবেক সচিব আরাস্তু খান এবং ইসলামি চিন্তাবিদ অধ্যাপক মোখতার আহমদ।
রহিমআফরোজ, খাদিম সিরামিকস, কোহিনূর কেমিক্যালস, রহিম স্টিল, সাউথ ব্রিজ, হজ ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিগত জাকাতের সঠিক হিসাব নিকাশসহ ব্যবসায়িক জাকাত গণনা পদ্ধতির খুঁটিনাটি জানার জন্য এই জাকাত মেলার পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
জাকাত মেলা আজ সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এতে জাকাত পরামর্শ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন আর্থিক ও জাকাত প্রতিষ্ঠানের স্টল ও বিভিন্ন ইসলামি বইয়ের স্টল থাকবে।
বিচারপতি আব্দুর রউফ বলেন, ইসলামে জাকাতের প্রচলন করা হয়েছে, যাতে গুটিকয়েক বিত্তশালীর হাতে সম্পদ পুঞ্জিভূত হওয়া ঠেকানো যায়।
সিজেডএমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া বলেন, গত ১৫ বছরে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ১৫ লাখ মানুষ সুবিধা পেয়েছে। বর্তমানে ১২ হাজার মানুষ নিয়মিত খাদ্য সহায়তা পাচ্ছে।
আবদুল আউয়াল সরকার বলেন, সঠিকভাবে জাকাত আদায় করা গেলে বছরে ৮০ হাজার কোটি টাকার তহবিল থাকবে, যা দেশের দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট হবে।
এবারের জাকাত মেলায় মোট ছয়টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: দারিদ্র্য বিমোচনে যাকাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে: পরিকল্পনামন্ত্রী
রবিবার(৩ মার্চ) বেলা ১১টায় খতিব ও ইমামদের জন্য 'মানবকল্যাণে জাকাত, উশর ও ওয়াক্ফের গুরুত্ব' শীর্ষক সেমিনার এবং বিকালে বৈষম্য হ্রাসে ইসলামি সামাজিক অর্থায়নের ভূমিকা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
এবারের জাকাত মেলায় বিশেষ অতিথি ও বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুর রউফ, সাবেক মন্ত্রী এম নুরুদ্দিন খান, ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. শাহজাহান খান, ইসলামী ব্যাংকের পরামর্শক ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান এ কে এম নুরুল বুলবুলসহ সমাজের বিশিষ্ট অনেকে।
আরও পড়ুন: ‘সরকারি যাকাত ফান্ডে’ যাকাত প্রদানের আহ্বান ইসলামিক ফাউন্ডেশনের
রিটার্ন দাখিল না করা বাড়ি-ফ্ল্যাট মালিকদের খুঁজে বের করা হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান
আয়কর রিটার্ন দাখিল করেননি- এমন বাড়িওয়ালা ও ফ্ল্যাট মালিকদের খুঁজে বের করতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
বৃহস্পতিবার(২২ ফেব্রুয়ারি) এনবিআর কার্যালয়ে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে বাড়িওয়ালাদের আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র সংগ্রহের বাধ্যবাধকতা বাতিলের প্রস্তাব করে ই-ক্যাব। প্রাক-বাজেট আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন ই-ক্যাবের প্রতিনিধি শাহীন হাসান ও জাহাঙ্গীর আলম শোভন।
আরও পড়ুন: রমজানের আগেই নিত্যপ্রয়োজনীয় ৪ পণ্যের আমদানি শুল্ক কমিয়েছে এনবিআর
ই-ক্যাব নেতারা জানান, তারা এ জন্য বাড়িওয়ালাদের নোটিশ দিলেও মাত্র ৩০ শতাংশ রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র জমা দিয়েছেন।
ফলে বাড়ি ভাড়া বাবদ ৩০ শতাংশ কর দিতে হচ্ছে তাদের।
এমন প্রস্তাবের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাড়ি ও ফ্ল্যাটের মালিকদের অবশ্যই আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, 'এনবিআর দেখবে তাদের আয় কত, কত কর দিতে হয়। তাদের রিটার্ন জমা দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: নিবন্ধিত কোম্পানির ৯২ শতাংশই আয়কর রিটার্ন দাখিল করেনি: এনবিআর
ঋণের সুদ পরিশোধে অর্থনীতি চাপে থাকলেও তা গুরুতর নয়: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, ঋণের সুদ পরিশোধের ক্ষেত্রে অর্থনীতি বেশ চাপে থাকলেও পরিস্থিতি ততটা গুরুতর নয়।
বৈশ্বিক প্রভাব ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে দেশীয় অর্থনীতি কিছুটা চাপে পড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) বাংলাদেশের চিফ অব মিশন আবদুসাত্তার ইসোয়েভের সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আইএমএফের মান অনুযায়ী ভালো করছে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আইওএম বিদেশি অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করে। তারা প্রবাসীদের আনার জন্য কাজ করছে। ভবিষ্যতেও তারা এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।’
মূল্যস্ফীতির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ে কিছুটা অস্বস্তি আছে। এটি একটি পণ্যের জন্য কমে যায়, তবে অন্যটির জন্য বাড়ে। জোর করে কী করবেন? ধৈর্য ধরুন, সব ঠিক হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: সরকার সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে: অর্থমন্ত্রী
২০২২-২৩ অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ৬৪.৫৭ শতাংশ: বিএফআইইউ
দেশে সন্দেহজনক লেনদেন ৬৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেড়েছে বলে এক প্রতিবেদনে (এসটিআর) জানিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
বিএফআইইউ প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ৬৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে ২০০২ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি শাখা হিসেবে বিএফআইইউ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
মঙ্গলবার(২০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের কনফারেন্স হলে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাস।
তিনি বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৪ হাজার ১০৬টি সন্দেহজনক লেনদেনের প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এক বছরের ব্যবধানে এসটিআর বেড়েছে ৬৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ বা ৫ হাজার ৫৩৫টি। আগের ২০২১-২২ অর্থবছরে এই সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৫৭১টি এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে ছিল ৫ হাজার ২৮০টি।
বিএফআইইউ প্রধান বলেন, সব এসটিআর সত্য নয়, এ ধরনের কোনো লেনদেন শনাক্ত করার পর বিএফআইইউ বিষয়টি তদন্ত করেছে। যখনই কোনো অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে তখনই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ জামায়াতুল আনসারের সঙ্গে আর্থিক সম্পর্ক বন্ধে নির্দেশনা জারি করেছে বিএফআইইউ
মাসুদ বলেন, ৮০ শতাংশ অর্থ পাচার হচ্ছে ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে। এ ধরনের লেনদেন বন্ধে ব্যাংকগুলো সহযোগিতা না করলে মানি লন্ডারিং নিয়ন্ত্রণ করা সহজ নয়। কারণ একবার টাকা পাচার হয়ে গেলে তা আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয় না।
তিনি বলেন, বিএফআইইউ পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে এবং তা বন্ধে সহযোগিতার জন্য ১০টি দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সইয়ের জন্য কাজ করছে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিএফআইইউ প্রধান জানান, বিএফআইইউর তথ্যের ভিত্তিতে ৫৯টি অর্থ পাচারের মামলা হয়েছে। এর মধ্যে দুদক ৪৭টি, সিআইডি ১০টি ও এনবিআরের বিশেষ সেল ২টি মামলা করেছে। এগুলো এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।
বিএফআইইউর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরের পুরো সময়ে ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ১২ হাজার ৮০৯টি সন্দেহজনক লেনদেনের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। আগের অর্থবছরে ব্যাংকগুলো জমা দিয়েছিল ৭ হাজার ৯৯৯টি প্রতিবেদন। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ১২১টি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। আর মানি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো জমা দিয়েছে ৯০০ প্রতিবেদন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড পলিসি বিভাগের পরিচালক সারোয়ার হোসেন ও অতিরিক্ত পরিচালক কামাল হোসেন।
আরও পড়ুন: এমএফএস’র ২১৭২৫ অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে বিএফআইইউ
চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশের জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে ৬.০৭%: বিবিএস
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৬ দশমিক ০৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্তের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো জিডিপির এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
প্রথম প্রান্তিকের সম্প্রসারণ ২০২২-২৩ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরে রেকর্ড করা ৮.৭৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি থেকে ২ দশমিক ৬৯ শতাংশ পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছে।
যা ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ছিল ৫ দশমিক ১৬ শতাংশ।
জুলাই-সেপ্টেম্বরে কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে শূন্য দশমিক ৮৪ শতাংশ, যেখানে ২০২৩ অর্থবর্ষের একই সময়ে ছিল ২ দশমিক ০৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: আগামী বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৯ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে: সরকারি নথি
সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি ১২ দশমিক ৮৭ শতাংশ থেকে কমে ৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং শিল্প খাতে ৭ দশমিক ১৭ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ হয়েছে।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর ইউএনবিকে বলেন, প্রবৃদ্ধি হ্রাস দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রতিফলন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ইউএনবিকে বলেন, চলমান আর্থিক সংকট জিডিপিতে প্রতিফলিত হচ্ছে।
মার্কিন ডলার সংকটের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আর্থিক সংকট কমবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মধ্যে জিডিপির ১১.২% কর আদায়ের লক্ষ্য সরকারের
বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২.১ শতাংশ বাড়াতে সহায়তা করবে বিআরআই: প্রতিবেদন