������������������������
ঋণের সুদ পরিশোধে অর্থনীতি চাপে থাকলেও তা গুরুতর নয়: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, ঋণের সুদ পরিশোধের ক্ষেত্রে অর্থনীতি বেশ চাপে থাকলেও পরিস্থিতি ততটা গুরুতর নয়।
বৈশ্বিক প্রভাব ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে দেশীয় অর্থনীতি কিছুটা চাপে পড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) বাংলাদেশের চিফ অব মিশন আবদুসাত্তার ইসোয়েভের সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আইএমএফের মান অনুযায়ী ভালো করছে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আইওএম বিদেশি অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করে। তারা প্রবাসীদের আনার জন্য কাজ করছে। ভবিষ্যতেও তারা এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।’
মূল্যস্ফীতির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ে কিছুটা অস্বস্তি আছে। এটি একটি পণ্যের জন্য কমে যায়, তবে অন্যটির জন্য বাড়ে। জোর করে কী করবেন? ধৈর্য ধরুন, সব ঠিক হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: সরকার সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে: অর্থমন্ত্রী
২০২২-২৩ অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ৬৪.৫৭ শতাংশ: বিএফআইইউ
দেশে সন্দেহজনক লেনদেন ৬৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেড়েছে বলে এক প্রতিবেদনে (এসটিআর) জানিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
বিএফআইইউ প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ৬৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে ২০০২ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি শাখা হিসেবে বিএফআইইউ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
মঙ্গলবার(২০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের কনফারেন্স হলে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাস।
তিনি বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৪ হাজার ১০৬টি সন্দেহজনক লেনদেনের প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এক বছরের ব্যবধানে এসটিআর বেড়েছে ৬৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ বা ৫ হাজার ৫৩৫টি। আগের ২০২১-২২ অর্থবছরে এই সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৫৭১টি এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে ছিল ৫ হাজার ২৮০টি।
বিএফআইইউ প্রধান বলেন, সব এসটিআর সত্য নয়, এ ধরনের কোনো লেনদেন শনাক্ত করার পর বিএফআইইউ বিষয়টি তদন্ত করেছে। যখনই কোনো অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে তখনই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ জামায়াতুল আনসারের সঙ্গে আর্থিক সম্পর্ক বন্ধে নির্দেশনা জারি করেছে বিএফআইইউ
মাসুদ বলেন, ৮০ শতাংশ অর্থ পাচার হচ্ছে ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে। এ ধরনের লেনদেন বন্ধে ব্যাংকগুলো সহযোগিতা না করলে মানি লন্ডারিং নিয়ন্ত্রণ করা সহজ নয়। কারণ একবার টাকা পাচার হয়ে গেলে তা আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয় না।
তিনি বলেন, বিএফআইইউ পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে এবং তা বন্ধে সহযোগিতার জন্য ১০টি দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সইয়ের জন্য কাজ করছে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিএফআইইউ প্রধান জানান, বিএফআইইউর তথ্যের ভিত্তিতে ৫৯টি অর্থ পাচারের মামলা হয়েছে। এর মধ্যে দুদক ৪৭টি, সিআইডি ১০টি ও এনবিআরের বিশেষ সেল ২টি মামলা করেছে। এগুলো এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।
বিএফআইইউর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরের পুরো সময়ে ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ১২ হাজার ৮০৯টি সন্দেহজনক লেনদেনের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। আগের অর্থবছরে ব্যাংকগুলো জমা দিয়েছিল ৭ হাজার ৯৯৯টি প্রতিবেদন। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ১২১টি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। আর মানি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো জমা দিয়েছে ৯০০ প্রতিবেদন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড পলিসি বিভাগের পরিচালক সারোয়ার হোসেন ও অতিরিক্ত পরিচালক কামাল হোসেন।
আরও পড়ুন: এমএফএস’র ২১৭২৫ অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে বিএফআইইউ
চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশের জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে ৬.০৭%: বিবিএস
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৬ দশমিক ০৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্তের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো জিডিপির এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
প্রথম প্রান্তিকের সম্প্রসারণ ২০২২-২৩ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরে রেকর্ড করা ৮.৭৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি থেকে ২ দশমিক ৬৯ শতাংশ পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছে।
যা ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ছিল ৫ দশমিক ১৬ শতাংশ।
জুলাই-সেপ্টেম্বরে কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে শূন্য দশমিক ৮৪ শতাংশ, যেখানে ২০২৩ অর্থবর্ষের একই সময়ে ছিল ২ দশমিক ০৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: আগামী বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৯ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে: সরকারি নথি
সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি ১২ দশমিক ৮৭ শতাংশ থেকে কমে ৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং শিল্প খাতে ৭ দশমিক ১৭ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ হয়েছে।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর ইউএনবিকে বলেন, প্রবৃদ্ধি হ্রাস দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রতিফলন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ইউএনবিকে বলেন, চলমান আর্থিক সংকট জিডিপিতে প্রতিফলিত হচ্ছে।
মার্কিন ডলার সংকটের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আর্থিক সংকট কমবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মধ্যে জিডিপির ১১.২% কর আদায়ের লক্ষ্য সরকারের
বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২.১ শতাংশ বাড়াতে সহায়তা করবে বিআরআই: প্রতিবেদন
বাণিজ্যিক ব্যাংকের জন্য মার্কিন ডলার-টাকা বিনিময় চালু করল বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন সাত দিন থেকে সর্বোচ্চ ৯০ দিনের জন্য মার্কিন ডলার ও টাকা বিনিময় চালু করেছে।
বৃহস্পতিবার(১৫ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ (এফইপিডি) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, নতুন পদ্ধতি অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর উদ্বৃত্ত ডলার থাকলে তারা এখন বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রেখে সমপরিমাণ অর্থ ঋণ নিতে পারবে। এ পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্যিক উভয় ব্যাংক লাভবান হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এই চুক্তির আওতায় উদ্বৃত্ত ডলারের বিপরীতে ব্যাংকগুলো তাৎক্ষণিক অর্থ পাবে। আবার নির্দিষ্ট সময় পর টাকা ফেরত দিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সমপরিমাণ ডলার পাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নিজেদের প্রয়োজনে একে অপরের সঙ্গে ডলার ও অর্থ আদান-প্রদান করে থাকে। এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বিনিময় সুবিধা চালু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের পরবর্তী মুদ্রানীতির মূল ফোকাস মুদ্রাস্ফীতি ও বিনিময় হার
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, এ প্রক্রিয়ার আওতায় সর্বনিম্ন ৫০ মিলিয়ন ডলার বা সমপরিমাণ অর্থ বিনিময় করা যাবে।
মুদ্রা বিনিময়ের সুবিধা নিতে আগ্রহী ব্যাংকগুলোর সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চুক্তি থাকবে।
ওই চুক্তি অনুযায়ী, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যেদিন বাংলাদেশ ব্যাংকে ডলার জমা দেবে, সেদিন তারা ওই দিনের ডলারের বিনিময় হারের সমপরিমাণ অর্থ পাবে। একইভাবে নির্দিষ্ট সময়ের পর ব্যাংকগুলো টাকা জমা দিয়ে ডলার উত্তোলন করতে পারবে।
আরও পড়ুন: খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১১ দফা রোডম্যাপ
ব্যাংক ও ব্যাংকিং খাতের তথ্য জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করুন: অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ
অর্থনীতি নিয়ে দেশের অন্যতম শীর্ষ চিন্তাবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ব্যাংকিং খাত একটি দেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড।
তিনি বলেন, 'ব্যাংকগুলো যখন ভালো করেছে, তখন অন্য খাতগুলোও ভালো করছে।’
অর্থনীতিকে সচল রাখতে তারা যে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পাদন করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের একটি ব্যাংকের কর্মক্ষমতা জানার অধিকার রয়েছে- যেখানে তারা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ জমা দিচ্ছে। একটি ব্যাংকের আর্থিক কর্মক্ষমতা সম্পর্কে তথ্য গ্রাহকদের জন্য সর্বজনীনভাবে উপলব্ধ করা উচিত বলেও মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে তথ্যভিত্তিক গবেষণাগ্রন্থ 'ব্যাংকিং অ্যালমানাক'র পঞ্চম সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, ব্যাংকিং অ্যালমানাক বই প্রকাশ দেশের আর্থিক খাতের জন্য একটি ভালো উদ্যোগ।
এই গতি ধরে রাখতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'গত কয়েক বছর ধরে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য সন্নিবেশ করে নিয়মিত বই প্রকাশ করা হচ্ছে।’ 'প্রকাশনা রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে। ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলে ব্যাংকার, ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করে এমন লোক, গবেষক, বিনিয়োগকারী ও আমানতকারীদের সবার জন্য বইটি সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’
আরও পড়ুন: ব্যাংককে সুরা কৃষ্ণ চাকমার জয়জয়কার
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ব্যাংকিং অ্যালমানাকের সম্পাদকীয় বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ব্যাংকিং অ্যালমানাক দেশের প্রথম এ ধরনের প্রকাশনা উদ্যোগ।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিটি সংস্করণে নতুন এবং জনস্বার্থের তথ্য যুক্ত করার চেষ্টা করি। আমাদেরও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। এই জাতীয় প্রকাশনার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল পাওয়া যায় না। তারপরও আমরা সর্বশেষ তথ্য দিয়ে প্রকাশনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করছি।’
সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘ব্যাংকগুলো আমাদের যে তথ্য দিচ্ছে, আমরা তা অন্তর্ভুক্ত করে দিচ্ছি। অন্তত দেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা সম্ভব। ভবিষ্যতে এটিকে আরও সমৃদ্ধ তথ্য ভান্ডারে পরিণত করার চেষ্টা করা হবে।’
এক্সিম ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক শাহ আব্দুল বারী, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান ও ফার্স্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ নুরুল আমিন এবং ব্যাংকিং অ্যালমানাকের প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বারোপ
আইএমএফের মান অনুযায়ী ভালো করছে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্ধারিত মান অনুযায়ী বাংলাদেশ ভালো করছে এবং সরকার বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটির দেওয়া বেশিরভাগ শর্ত পূরণ করেছে।
বৃহস্পতিবার(৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে আইএমএফের আবাসিক প্রতিনিধি জয়ন্দু দে'র সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘মার্চে তারা আবার পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবে। আশা করি, বাংলাদেশ ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাবে।’
আরও পড়ুন: ট্যাক্স অটোমেশনের ফলে রাজস্ব আদায় বাড়বে: ডিসিসিআই সভাপতি
আইএমএফের শর্তের মধ্যে বাংলাদেশের রিজার্ভ ও রাজস্ব আয়ে ঘাটতি রয়েছে- এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আইএমএফের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা অনেকাংশই পূরণ করেছে।
তিনি বলেন, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে শক্তিশালী ব্যাংকগুলোর সঙ্গে একীভূত করে দেওয়া ভালো এবং তা হতেও পারে।
তিনি বলেন, ‘উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোতে ঘন ঘন একীভূতকরণের ঘটনা ঘটে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো প্রস্তাব আসেনি। প্রস্তাব আসুক, তারপর দেখা যাবে।’
আরও পড়ুন: আগামী বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৯ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে: সরকারি নথি
কিস্তির বাইরে নতুন করে বাজেট সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি তারা দেখবেন। ‘পরিস্থিতি ভালো, দেখা যাক কী হয়, বাংলাদেশ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।’
অর্থনীতি ভালো করছে এমন কোনো লক্ষণ আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ইতিবাচক দিক হলো চ্যালেঞ্জের মধ্যেও অর্থনীতি ক্রমান্বয়ে ভালো করছে।’
মার্কিন ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণের বিষয়ে আলী বলেন, ক্রলিং পেগ পদ্ধতি (বিনিময় হার সমন্বয় পদ্ধতি) অনুশীলন করা হবে এবং এটি বাজার দরের উপর ভিত্তি করে হবে না।
অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস।
আরও পড়ুন: নিবন্ধিত কোম্পানির ৯২ শতাংশই আয়কর রিটার্ন দাখিল করেনি: এনবিআর
নিবন্ধিত কোম্পানির ৯২ শতাংশই আয়কর রিটার্ন দাখিল করেনি: এনবিআর
দেশে কর শনাক্তকরণ নম্বরধারীর (টিআইএন) সংখ্যা বাড়লেও আনুপাতিক হারে রিটার্ন দাখিল বাড়েনি বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা শেষে মাত্র ২৪ হাজার ৩৮১টি কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান রিটার্ন জমা দিয়েছে। যা দেশে নিবন্ধিত মোট প্রতিষ্ঠানের মাত্র ৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এর অর্থ হলো- ৯২ শতাংশেরও বেশি কোম্পানি আয়কর রিটার্ন দাখিল করেনি।
রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের দাপ্তরিক নথিতে দেখা যায়, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধিত পাবলিক ও প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৮৮ হাজার।
আরও পড়ুন: ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চেম্বার ও প্রতিষ্ঠানের কাছে বাজেট প্রস্তাব আহ্বান করেছে এনবিআর
ওই তথ্য অনুযায়ী, এর মধ্যে ২ দশমিক ৬৪ লাখ কোম্পানি কর পরিশোধ করেনি।
এনবিআরের নিয়ম অনুযায়ী, নিবন্ধনের পর লাভ-ক্ষতি যাই হোক না কেন আয়কর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে বেশিরভাগ কোম্পানি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস (জুলাই-ডিসেম্বর) পর্যন্ত তাদের আয়কর রিটার্ন দাখিল করেনি।
এনবিআর কর্মকর্তা কর কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, ‘অনেক কোম্পানি নিবন্ধন থাকা সত্ত্বেও ব্যবসা শুরু করেনি। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান রিটার্ন জমা দিচ্ছে না এবং অনেকে আবার ভুয়া ঠিকানাও ব্যবহার করছে। ফলে সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: সংবাদপত্র টিকিয়ে রাখতে নিউজপ্রিন্টে কর কমাতে এনবিআরের প্রতি নোয়াবের আহ্বান
আগামী বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৯ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে: সরকারি নথি
মূল্যস্ফীতির হার কমানো এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার আগামী অর্থবছরের জন্য সংকোচনমূলক বাজেট প্রণয়ন করতে যাচ্ছে বলে এক সরকারি নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বাজেটের আকার ৮ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা হতে পারে এবং আগের অর্থবছরগুলোর তুলনায় ১০ থেকে ১২ শতাংশ কমিয়ে ব্যয় বৃদ্ধি ৮ শতাংশ নির্ধারণ করা হচ্ছে।
একইসঙ্গে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রাও ৬ দশমিক ৯ শতাংশে নামিয়ে আনা হচ্ছে, চলতি বাজেটে যা ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। সরকার প্রবৃদ্ধি অর্জনের চেয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে।
নথিটিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বিদ্যমান বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করার চিন্তাভাবনা করছেন নীতিনির্ধারকরা।
এছাড়া বিদ্যমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) বাজেট পুরোপুরি বাস্তবায়নযোগ্য হবে না। ফলে অন্তত ৫২ হাজার কোটি টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
ফলে, অর্থনৈতিক সংকট ও কৃচ্ছ্র সাধন কর্মসূচি হাতে নিয়ে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সম্প্রসারণমূলক বাজেট দেওয়া থেকে সরে আসছে অর্থ বিভাগ।
আরও পড়ুন: ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চেম্বার ও প্রতিষ্ঠানের কাছে বাজেট প্রস্তাব আহ্বান করেছে এনবিআর
বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত অর্থ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব বৃহস্পতিবার ইউএনবিকে বলেন, ‘রাজস্ব আদায় কম, আমদানি-রপ্তানি পরিস্থিতি ভালো না হওয়ায় নতুন বাজেট হবে বেশ সংকোচনমূলক। আগামী বছরও এ অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে। সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, আগামী বাজেটের আকার- মোট ব্যয় ৮ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা, আয় ৫ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা এবং ঘাটতি ২ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা।
এক্ষেত্রে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের তুলনায় আকার বাড়ছে ৪৩ হাজার কোটি টাকা। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়বে ৫১ হাজার ১০০ কোটি টাকা।
অর্থ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, সাধারণত চলতি বছরের বাজেটের তুলনায় নতুন বাজেটের আকার ১০ থেকে ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তবে এবার তা ৮ শতাংশেরও কম বাড়বে। অনেক সামঞ্জস্য করে রাজস্ব আদায়ের আকার হিসাব করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, রাজস্ব আদায় কমেছে, আমদানি-রপ্তানি কমছে। এসব বিষয় বিবেচনায় বিগত বছরগুলোর তুলনায় বড় বাজেট দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ১৫ বছরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বাজেটের আকার বেড়েছে ১২ গুণ: মন্ত্রী
সাবেক আমলা ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সম্প্রসারণমূলক বাজেট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক।
তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতিটি সরবরাহে অনিশ্চয়তা রয়েছে, বিনিয়োগ আশানুরূপ সম্প্রসারিত হচ্ছে না। এ অবস্থায় ৭ শতাংশের বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন বেশ চ্যালেঞ্জিং।
মির্জ্জা আজিজুল বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি এখন ১০ শতাংশ, যা কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তাই জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়াটাই যুক্তিযুক্ত।’
এ বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, সময়ের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাজেট সম্প্রসারণ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘রাজস্ব আদায় বাড়াতে না পারলে বাজেটের আকার বাড়ানোয় কোনো লাভ নেই। ডলার ও রাজস্ব আদায়ে চ্যালেঞ্জ তো আছেই। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই বাজেটের আকার নির্ধারণ করতে হবে। ফলে স্বল্প প্রবৃদ্ধির বাজেট সঠিক হবে।’
আরও পড়ুন: সংসদে বাংলাদেশের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট পাস
ট্যাক্স অটোমেশনের ফলে রাজস্ব আদায় বাড়বে: ডিসিসিআই সভাপতি
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেছেন, দেশের ১৭ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে মাত্র ৪০ লাখের করযোগ্য আয় বিশ্বাসযোগ্য নয়।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) ডিসিসিআই আয়োজিত 'আয়কর আইন ২০২৩: করপোরেট কর ঝুঁকি ও সুযোগ' শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, নতুন 'আয়কর আইন ২০২৩'-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর পেশাজীবীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে, বিশেষ করে কর্পোরেট কর ব্যবস্থার বিস্তারিত জানার জন্য।
কর্মশালায় বিভিন্ন কর্পোরেট হাউজ থেকে প্রায় ৬০ জন অংশগ্রহণ করেন।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, কর ব্যবস্থার বাধা কমাতে এবং কর বাড়াতে সহায়তা করবে অটোমেশন।
তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন যে কয়েকটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যা ব্যবসায়ীদের জন্য তাদের রিটার্ন জমা দেওয়া সহজ করবে।
আরও পড়ুন: ‘অনপ্যাসিভ’ এমএলএম কোম্পানির সঙ্গে লেনদেন নিষিদ্ধ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
তিনি আরও বলেন, ১৬৩(২)বি ধারা অনুযায়ী সংগৃহীত উৎস কর যা অগ্রিম আয়করকে ন্যূনতম করে তোলে, কার্যকরভাবে কর্পোরেট করের হার বাড়িয়ে তোলে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির কাস্টমস, ভ্যাট, ট্যাক্সেশন ও এনবিআর সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির উপদেষ্টা স্নেহাশিস বড়ুয়া।
ঢাকার কর অঞ্চল-১৫ এর যুগ্ম কর কমিশনার ওয়াকিল আহমেদ বলেন, ২০২৩ সালে চার লাখের বেশি করদাতা ই-টিআইএন সেবার মাধ্যমে কর পরিশোধ করেছেন। কর অঞ্চল-৪, ঢাকার যুগ্ম কর কমিশনার মুরাদ আহমেদ ই-টিডিএস আরও বেশি ব্যবহারের জন্য ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এনবিআরের কর শিক্ষা, বিজ্ঞাপন ও কর আইন বিভাগের দ্বিতীয় সচিব বাপন চন্দ্র দাস। অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই'র পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন সত্ত্বেও আয়বৈষম্য বাড়ছে, মূল্যবোধ হ্রাস পাচ্ছে: ড. খলীকুজ্জমান
শুক্র-শনিবার খোলা থাকবে ব্যাংক: বিবি
নির্বাচনসংক্রান্ত ব্যয় মেটানোর সুবিধার্থে সীমিত জনবল নিয়ে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) ও শনিবার (৬ জানুয়ারি) ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ মেট্রোপলিটন শহর, জেলা ও উপজেলায় শাখা খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক(বিবি)।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন একটি নির্দেশনা জারি করে এবং তা সব তফসিলি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৫ বছরে বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে ব্যাংক থেকে ৯২ হাজার কোটিরও বেশি টাকা পাচার হয়েছে: সিপিডি
এর আগে বুধবার (৩ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন (ইসি) শুক্রবার ও শনিবার ব্যাংকের শাখা খোলা রাখার নির্দেশনা দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ব্যাংক আজ সার্কুলার জারি করেছে।
এছাড়া যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নির্বাচনী দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, তাদের অফিস ডিউটি থেকে মুক্ত রাখতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন সত্ত্বেও আয়বৈষম্য বাড়ছে, মূল্যবোধ হ্রাস পাচ্ছে: ড. খলীকুজ্জমান