শিক্ষা
প্রযুক্তির ব্যবহারে চার বছরে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘এবছর এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। আমরা প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা নেয়ার কারণে গত চার বছরেও কোনো প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি।’
শনিবার দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সম্প্রীতি সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এবার দিনাজপুরে বোর্ডে যা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। একটি পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব অনেকগুলো প্রশ্নপত্রের প্যাকেট একসঙ্গে করে নিয়ে গেছেন। এটি কি কারণে হয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। এবং সেই শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত, ১৬ নেতাকর্মী স্থায়ী বহিষ্কার
এর আগে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশ সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন রয়েছে। আমরা একে অপরের কাজে সহযোগিতা করবো। যারা ধর্ম পালনে বাধা সৃষ্টি করে তারা কোনো ধর্মের মানুষ নয়। তাদের কাছ থেকে সতর্ক থাকবেন। দুর্গা পূজার সকল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গোৎসব আনন্দমুখর পরিবেশে চাঁদপুর জেলাসহ সারাদেশে উদযাপিত হবে। এজন্য সকল প্রকার সহযোগিতা করা হবে। চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার), জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. জে. আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন ডা. শাহাদাৎ হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাশেদুল ইসলাম, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইমতিয়াজ আহমদ।
আরও পড়ুন: বহিষ্কৃত ৬ শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের হল কমিটিতে
নতুন সিলেবাসে ২০২৩ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা
খুবির হল থেকে ‘মাদকসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম’ উদ্ধার
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লাহ হলে অভিযান চালিয়ে মদের বোতল,গাঁজাসহ মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে হলের প্রভোস্ট ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালক। সম্প্রতি হলটির নিচ ও চতুর্থ তলার দু’টি কক্ষ থেকে এই সব উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: র্যাগিংয়ের দায়ে খুবির ৫ শিক্ষার্থীর বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, দীর্ঘদিন ধরে কয়েকজন শিক্ষার্থী মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে বলে অভিযোগ আসছিল। বৃহস্পতিবার খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লাহ হলের প্রভোস্ট ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালকসহ কয়েকজন অভিযান চালান। এ সময় তারা হলের নিচতলার ১০২ নম্বর কক্ষ এবং চতুর্থ তলার ৪১২ নম্বর কক্ষ থেকে বেশ কিছু মদের বোতল, পাইপ, গাঁজাসহ মাদক সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করেন। প্রাথমিকভাবে আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং (ইউআরপি) বিভাগের এবং এগ্রো টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের দুই শিক্ষার্থীর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: খুবিতে স্থাপিত হচ্ছে বৃহত্তর সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পূজার ছুটি শুরু হওয়ার কারণে এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লাহ হলের প্রভোস্ট ড. মো. ইকবাল আহমেদ বলেন, রুটিন ওয়ার্কের পাশাপাশি তথ্যের ভিত্তিতেও আমরা বিভিন্ন কক্ষ তল্লাশি করি। মাদকসহ মাদক সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পূজার ছুটি শেষ হলে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করবো। প্রাথমিকভাবে সিট বাতিলের সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে নেয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: খুবিতে ক্লাস শুরু, ক্যাম্পাসে ফিরেছে প্রাণ
এ ব্যাপারে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক শরীফ হাসান লিমন বলেন, হলের দু’টি কক্ষ থেকে এগুলো উদ্ধার হয়েছে। দুই শিক্ষার্থীর কোনো সম্পৃক্ততা আছে কিনা আমরা যাচাই করবো। তদন্ত পূর্বক হল প্রভোস্ট শিক্ষার্থীদের সিট বাতিল করার নিয়ম রয়েছে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী অভিভাবককে অবহিত, জরিমানাসহ যে ব্যবস্থা আছে সেগুলো নেয়া হবে।
বহিষ্কৃত ৬ শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের হল কমিটিতে
সিনিয়র ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় ছয় শিক্ষার্থী হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের ছাত্রলীগের হল কমিটিতে তাদের পদ দেয়া হয়েছে।
বহিষ্কৃত ছয় ছাত্র মাসফি-উর রহমানকে পরিকল্পনা ও কর্মসূচি উপসম্পাদক, শফিউল্লাহ সুমনকে সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপসম্পাদক, নাইমুর রশিদকে গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন সম্পাদক, সাব্বির আল হাসান কাইয়ুমকে দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক, মোহাম্মদ ফিরোজ আলম অপিকে প্রশিক্ষণ বিষয়ক উপসম্পাদক এবং আবদুল্লাহ আল মারুফকে ছাত্র বৃত্তি উপসম্পাদক পদ দেয়া হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা সবাই বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সভাপতি সজিবুর রহমান সজীবের অনুসারী।
যোগাযোগ করা হলে বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সভাপতি সজিব বলেন, হল কর্তৃপক্ষ তাদের হল থেকে বের করে দেয়নি। শুধু তাদের আসন বাতিল করা হয়েছে। এখনও তারা হলের মধ্যে সংযুক্ত। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে তাদের হলের ছাড়পত্র প্রয়োজন। আমি যতদূর জানি, ভুক্তভোগী এবং অভিযুক্তরা প্রভোস্ট অফিসে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। আমি আশা করি পরবর্তী আসন বণ্টন ব্যবস্থায় হলে তাদের আসন দেয়া হবে।
তিনি বলেন, সর্বোচ্চ সেরা কমিটি করার চেষ্টা করেছি এবং আশা করি সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
পড়ুন: ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত, ১৬ নেতাকর্মী স্থায়ী বহিষ্কার
যোগাযোগ করা হলে প্রভোস্ট স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বিজয় একাত্তর হলের প্রভোস্ট ইউএনবিকে বলেন, ‘ছয় শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কথা বলার পর শাস্তি পুনর্বিবেচনা করার প্রক্রিয়া রয়েছে এবং শাস্তি কমানোর জন্য অভিযুক্তদের আবেদন জানানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তবে আখলাকুজ্জামানকে মারধরের ঘটনায় ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত ছয় নেতাকর্মীর শাস্তি পুনর্বিবেচনা করার জন্য এমন কোনো আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করা হয়নি এবং এখন পর্যন্ত তারা হলের অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।’
এর আগে চলতি বছরের ৪ এপ্রিল দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় ছয় শিক্ষার্থীকে হল থেকে আজীবন বহিষ্কার করে বিজয় একাত্তর হল কর্তৃপক্ষ।
পড়ুন: ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষ, আহত ৮
ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের কোন্দল: সহ-সভাপতি আহত
নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে নীতিমালা করছে ইউজিসি
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) দেশে নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পর শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে একটি নীতিমালা তৈরি করতে যাচ্ছে। সোমবার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সম্প্রতি ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীরকে আহবায়ক করে পাঁচ সদ্যস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ শর্তে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া যাবে: ইউজিসি
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য প্রফেসর ড. সঞ্জয় কুমার অধিকারী, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য প্রফেসর ড. মাহবুবা নাসরীন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. আফরোজা পারভীন এবং ইউজিসি’র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপপরিচালক মৌলি আজাদ।
কমিটিকে শিগগিরই এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির বিষয়ে ইউজিসি জানায়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে,অধিকাংশ নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হওয়ার পর কোন ধরনের প্রস্তুতি ছাড়াই শিক্ষা কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করছে।
এছাড়া,ভাড়া করা ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এতে, শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা কার্যক্রমেও ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। শিক্ষার মান ঠিক রাখা যাচ্ছে না। এজন্য নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হওয়ার পর একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার বিষয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা জরুরি।
নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. আলমগীর বলেন, অবকাঠামো ও কারিকুলাম চূড়ান্ত না করে নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। শিক্ষার্থীরাও উচ্চ শিক্ষার পরিবেশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ বিষয়টি সমাধানের জন্য নীতিমালা করা অত্যন্ত জরুরি।
তিনি আরও বলেন, নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম কিভাবে শুরু করবে সে বিষয়ে একটি নীতিমালা করা হলে দেশে গুণগত উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ নিশ্চিত হবে এবং মানসম্পন্ন গ্রাজুয়েট তৈরি হবে। এছাড়াও তারা বৈশ্বিক বাজার উপযোগী হিসেবেও গড়ে উঠবে।
সভায় কমিটির সদস্যরা জানান, নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের সংকট রয়েছে এবং জুনিয়র শিক্ষকদের দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক মাস্টারপ্লান তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
নীতিমালাটির খসড়া তৈরি হবার পর কমিটি নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে সভা ও সেমিনারের আয়োজন করবে।
আরও পড়ুন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে অভিন্ন নীতিমালা তৈরি
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চার হাজার ১৫০টি শিক্ষকের পদ শূন্য: দীপু মনি
ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত, ১৬ নেতাকর্মী স্থায়ী বহিষ্কার
ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
রবিবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, একই সঙ্গে সংগঠনের শৃঙ্খলাপরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ১৬ জন নেতাকর্মীকে সংগঠন থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার মধ্যরাতে এবং রবিবার বিকালে ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
রবিবার, দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে আট জন আহত হয়।
পড়ুন: ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষ, আহত ৮
ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের কোন্দল: সহ-সভাপতি আহত
যশোর বোর্ডের স্থগিত এমসিকিউ পরীক্ষা ৩০ সেপ্টেম্বর
যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে স্থগিত হওয়া বাংলা (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্রের বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন বেলা ১১টায় পরীক্ষাটি শুরু হবে।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই খবর জানানো হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এই পরীক্ষার শুধু সৃজনশীল (সিকিউ) অংশের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আগের দিন জানিয়ে দেয়া হয় বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) অংশের পরীক্ষা হবে না।
পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষা: নড়াইলে বাংলা ১ম পত্রের পরিবর্তে ২য় পত্রের প্রশ্ন সরবরাহ!
যশোর শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, ‘বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এসএসসির বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় নড়াইলের কালিয়া উপজেলার প্যারী শংকর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রথম পত্রের বদলে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্র (এমসিকিউ) বিতরণ করা হয়।
এছাড়া উপজেলার বাঐসোনা কামশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া নবগঙ্গা ডিগ্রি কলেজ ও ইতনা স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের এমসিকিউ অংশের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষা: যশোর শিক্ষাবোর্ডের বাংলা ২য় পত্রের এমসিকিউ পরীক্ষা স্থগিত
এসএসসি পরীক্ষা শুরু কাল, ঢাকায় বৃষ্টি-যানজটের শঙ্কায় পরীক্ষার্থীরা
চবি ছাত্রলীগের অবরোধ স্থগিত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের একাংশের ডাকা চলমান লাগারতার অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের দাবিতে গতকাল সোমবার থেকে এ অবরোধ চলছিল।
মঙ্গলবার আন্দোলনকারী নেতা ও চবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাকিবুল হাসান দিনার অবরোধ স্থগিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের অবরোধে চবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ
জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের আশ্বাসে অবরোধ স্থগিত করে ছয় উপগ্রুপ। মহিবুল হাসান নওফেল অনুসারী বাকি একটি উপগ্রুপ বিজয়ও আন্দোলন থেকে সরে এসেছে।
তিন দফা দাবিতে সোমবার ভোর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে অবরোধ শুরু করেন তারা। এছাড়া অবরোধকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন আটকে দেয়ায় দিনভর চলাচল বন্ধ ছিল। অবরোধের কারণে এদিন অন্তত ৯টি বিভাগের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে।
অবরোধে অংশ নেয়া শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক ছয়টি উপগ্রুপ হলো-ভার্সিটি এক্সপ্রেস, বাংলার মুখ, রেড সিগনাল, কনকর্ড, এপিটাফ ও উল্কা।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের পর চবির হলে তল্লাশি
তাদের তিন দফা দাবিগুলো হচ্ছে, পদবঞ্চিত ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মীদের মূল্যায়ন করে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা। কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের যোগ্যতা অনুসারে পদগুলোর পুনঃমূল্যায়ন। কমিটিতে পদপ্রাপ্ত বিবাহিত, চাকরিজীবী ও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়দের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া।
চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বলেন, এখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক এবং পরিবহন দপ্তরে তালা দেয়া যাবে না। এ বিষয়ে নোটিশ জারি করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যদি কেউ তালা দেয় তাহলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: চবির প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ
নতুন সিলেবাসে ২০২৩ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা
২০২৩ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের এবং উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) প্রস্তুত করা সংশোধিত পাঠ্যক্রম অনুসারে অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার বাংলাদেশ আন্তশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
পড়ুন: জাবি’র নতুন ভিসি প্রফেসর নূরুল আলম
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এসএসসি স্তরে শুধুমাত্র আইসিটি পরীক্ষা ৫০ নম্বরের হবে এবং অন্য সব পরীক্ষা (১০০) পূর্ণ নম্বরে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিটি পরীক্ষার সময় তিন ঘণ্টা।
এইচএসসি স্তরের পরীক্ষার্থীরা ১০০ নম্বরের প্রতিটি বিষয়ের জন্য তিন ঘন্টা পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুন: যে ১০টি দেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা অল্প খরচে পড়তে পারবেন
প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে গুজব ছড়ালে ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী
যে ১০টি দেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা অল্প খরচে পড়তে পারবেন
উন্নত ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে প্রতিটি শিক্ষার্থীর ভাবনার বিষয় থাকে স্বল্প খরচে দেশের বাইরে পড়াশোনা। বিশ্ব মানের শিক্ষাব্যবস্থা ও উন্নত জীবন ব্যবস্থার সাথে বাজেটের দিকটা মিলে গেলেই উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে দেশটিতে পাড়ি জমানো যায়। ইউরোপ, মধ্য-এশিয়া এমনকি অ্যামেরিকার বিভিন্ন দেশগুলো এমন শিক্ষার্থীদের আশাকে সাধুবাদ জানিয়েই তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কম খরচে অধ্যয়নের সুযোগ দিয়ে থাকে। বেশ ভালো শতাংশ ছাড়ের পরও আর্থিক সংকুলান না হলে আছে স্কলারশিপের ব্যবস্থা। এতে টিউশন ফি সহ থাকা-খাওয়ার খরচ অনেকটাই পুষিয়ে নেয়া যায়। আজকের নিবন্ধে এমন কিছু দেশের কথা বলা হয়েছে, যেগুলোর টিউশন ফি এবং জীবনযাত্রার খরচের সাথে মানিয়ে নিয়ে অনেক শিক্ষার্থী সেখানে পড়াশোনা করছে। স্বল্প খরচে দেশের বাইরে পড়ার জন্য বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের সেরা ১০টি গন্তব্য।
যে ১০টি দেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা কম খরচে উচ্চশিক্ষা নিতে পারেন
জার্মানি
বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য এখন শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দ জার্মানি। এখানকার অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত। এগুলোর ব্যাচেলর কোর্স এবং বেশিরভাগ মাস্টার্স কোর্সের জন্য সাধারণত কোন ফি নেই। কিছু মাস্টার্স প্রোগ্রামে টিউশন ফি থাকলেও তা অন্যান্য দেশের তুলনায় তেমন বেশি নয়।
পড়ুন: জার্মানিতে বিনামূল্যে স্নাতকোত্তর পড়ার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন
তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খরচ বলতে আছে সেমিস্টার কন্ট্রিবিউশন ফি, যার সাথে টিউশন ফি-এর কোন সম্পর্ক নেই। এটি শিক্ষার্থীদের কল্যাণেই পাবলিক পরিবহণ, ক্রীড়া, অনুষদ/বিভাগীয় ছাত্র সংগঠন এবং প্রশাসনিক ফি ব্যায়-ভার বহন করে। এই ফি প্রতিষ্ঠান ভেদে পরিবর্তিত হয় এবং সাধারণত ১০০ থেকে ৩৫০ ইউরোর (প্রায় ৯,৬৫০ থেকে ৩৩,৭৩০ টাকা) মধ্যে থাকে।
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার খরচ সাধারণত প্রতি মাসে ৭২৫ ইউরোর (প্রায় ৬৯,৯০০টাকা) মত হয়ে থাকে, যেখানে বাসস্থান, খাবার, পোশাক এবং বিনোদনমূলক কার্যক্রম; সবই অন্তর্ভুক্ত।
নরওয়ে
এখানেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সমস্ত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফি মুক্ত রেখেছে। প্রতি সেমিস্টারে শুধুমাত্র একটি শিক্ষার্থী ইউনিয়ন ফি দিতে হবে, যা ৩০ থেকে ৬০ ইউরো (প্রায় ২,৮৯০ থেকে ৫,৭৮০ টাকা)-এর মধ্যে। এর মাধ্যমে পাবলিক পরিবহণ, জাদুঘর এবং সাংস্কৃতিক ইভেন্ট, স্বাস্থ্যসেবাতে বিশেষ ছাড় এবং ক্রীড়া সুবিধাগুলো সহ বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া যাবে।
পড়ুন: নরওয়েতে বিনামূল্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের উপায়
নরওয়েতে জীবনযাত্রার জন্য প্রতি মাসে গড়ে ৮০০ থেকে ১,৪০০ ইউরো (প্রায় ৭৭,০০০ থেকে ১,৩৪,৯০০ টাকা) এর মত খরচের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। বড় শহরগুলোতে স্বাভাবিকভাবেই খরচ অনেক বেশি কিন্তু ছোট শহরগুলোতে গড়পড়তায় ৮০০ থেকে ১,০০০ ইউরোর (প্রায় ৭৭,০০০ থেকে ৯৬,৫০০ টাকা) মধ্যেই থাকা-খাওয়া, চলাফেরার যাবতীয় খরচ হয়ে যায়।
ফ্রান্স
বিশ্ব সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্গ বলা যেতে পারে ফ্রান্সকে। শুধু পড়াশোনার জন্যই নয়; বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং সমগ্র ইউরোপীয় বাজারে তাদের রয়েছে অভিজাত পদচারণা। স্নাতক করার পর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এখানে বিভিন্ন ব্যবসায়িক খাতে আকর্ষণীয় কর্মসংস্থানের সুযোগ পাওয়ার আশা করতে পারে। সুস্বাদু খাবার থেকে শুরু করে ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্ক, ফ্যাশন, শিল্প-সাহিত্য এবং জীবনধারা; জীবনের প্রায় সবকিছুর একটি আনন্দদায়ক মিশ্রণের নাম ফ্রান্স।
এখানে লাইসেন্স (স্নাতক) স্তরে প্রতি বছর খরচ হতে পারে ২,৭৭০ ইউরো (প্রায় ২,৬৭,০০০ টাকা)। মাস্টার লেভেলে খরচ আছে বছর প্রতি ৩,৭৭০ ইউরো যা প্রায় ৩,৬৩,৪০০ টাকার সমান।
পড়ুন: জার্মানিতে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
জীবনযাত্রার জন্য প্যারিস, নিস, লিয়ন, ন্যান্টেস, বোর্দো বা টুলুজের মত অভিজাত শহরগুলো বাদ দিয়ে বাকি অন্যান্য শহরগুলোকে বাছাই করলে, ৬৫০ ইউরো (প্রায় ৬২,৬৫০ টাকা)-এর নিচেই দিন যাপন করা যাবে।
অস্ট্রিয়া
ইউরোপের প্রাণকেন্দ্র অস্ট্রিয়া যে কোন উচ্চাকাঙ্ক্ষী শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পূরণের জন্য যথেষ্ট হতে পারে। ইউ(ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন)/ইইএ(ইউরোপিয়ান ইকোনোমিক এরিয়া) দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য এখানকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর টিউশন ফি একদম ফ্রি।
কিন্তু নন-ইউ/ইইএ দেশগুলোর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এখানকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতি সেমিস্টারে ২০ ইউরো (প্রায় ১,৯২৭ টাকা) ছাড়াও টিউশন ফি বাবদ গড়ে ৭২৬.৭২ ইউরো (প্রায় ৭০,০০০ টাকা) ধার্য করে। তবে বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য অস্ট্রিয়ার অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় টিউশন ফি মুক্ত শিক্ষা প্রদান করছে। এগুলোর মধ্যে ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়, ভিয়েনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ইনসব্রুক বিশ্ববিদ্যালয়, জোহানেস কেপলার ইউনিভার্সিটি লিঞ্জ, গ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং লিওবেন বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম।
পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
অপরূপ দেশটিতে অতি প্রত্যাশিত জীবনযাত্রার খরচ ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশ কম। প্রতি মাসে ৯০০ থেকে ১,৩০০ ইউরো (প্রায় ৮৬,৭০০ থেকে ১,২৫,২৩০ টাকা)-এর বাজেট ভিয়েনা এবং সালজবার্গে আবাসন, খাবার, সামাজিক কার্যকলাপ এবং পাবলিক পরিবহণ সহ সমস্ত খরচ কভার করতে পারে। অন্যান্য জনপ্রিয় স্টুডেন্ট লোকেশনের মধ্যে লিনজ বা গ্রাজ ৯০০ থেকে ১,০০০ ইউরোর (প্রায় ৮৬,৭০০ থেকে ৯৬,৫০০ টাকা) মধ্যে মাসিক জীবনযাত্রার খরচ হয়ে যায়।
তাইওয়ান
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযুক্তিগত, ঐতিহাসিক, রন্ধনসম্পর্কীয়, সাংস্কৃতিক, ভাষাগত এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সহ যাবতীয় অভিজ্ঞতার সুযোগে ভরপুর এশিয়ার এই দেশটি। এখানে ইংরেজি-ভাষায় অধ্যায়নের জন্য প্রচুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করছে। বহুসাংস্কৃতিক এবং সমৃদ্ধ পুরনো ইতিহাস পরিদর্শনে তাইওয়ান বিদেশী শিক্ষার্থীদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানায়। ফলে খুব সহজেই সাবলীল হয়ে ওঠা যায় অপরিচিত এই দেশেও। বেশ কয়েক বছর ধরেই তাইওয়ানের উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং দারুণ স্বীকৃতিও পেয়েছে।
দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যায়ন খরচ প্রতি বছর ৬৭৫ থেকে ১২,৭০০ ইউরো (প্রায় ৬৫,০০০ টাকা থেকে ১২,২৪,০০০ টাকা)। এখানে নূন্যতম জীবনধারণের জন্য প্রতি মাসে প্রায় ৬৮০ থেকে ৮৮০ ইউরো (প্রায় ৬৫,৫৪০ থেকে ৮৪,৮২০ টাকা) খরচ করতে হবে।
পড়ুন: দেশের বাইরে পড়তে যাওয়ার আগে যে অভ্যাসগুলো গড়ে তোলা জরুরি
তুরস্ক
এশিয়া এবং ইউরোপ; দুই মহাদেশকে স্পর্শ করেই গড়ে ওঠা তুরস্ক স্থাপত্য বিস্ময় এবং হট-এয়ার বেলুন ট্রিপের জন্য বিখ্যাত। তবে এখানকার যে বিষয়টি বিশ্বে নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে, তা হলো দেশটির মানসম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা। দেশটি ইউরোপীয় উচ্চশিক্ষা অঞ্চলের অংশ যা বোলোগনা প্রক্রিয়ার অন্তর্ভূক্ত। এতে করে তুর্কি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত ডিপ্লোমা বা ডিগ্রি সমস্ত ইউরোপে স্বীকৃতি পায়।
তুরস্কে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুব সাশ্রয়ী মূল্যের। সাধারণত প্রতি শিক্ষাবর্ষে ১০০ থেকে ৪,০০০ ইউরোর(প্রায় ৯,৬৪০ থেকে ৩,৮৫,৫২৬ টাকা) মত খরচ করতে হয় শিক্ষার্থীকে। বিশ্বের অন্যান্য অধ্যয়নের গন্তব্যের তুলনায় এটি অনেক বেশি সাশ্রয়ী। একজন বিদেশী শিক্ষার্থী প্রতি মাসে ৪০০ থেকে ৬৫০ ইউরো (৩৮,৫৬০ থেকে ৬২,৬৫০ টাকা) বাজেটের মধ্যে তুরস্কে থাকতে পারেন।
পোল্যান্ড
৪৫০ টিরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেশ পোল্যান্ড ইউরোপের দ্বিতীয় প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়কে বক্ষে ধারণ করে আছে। পোলিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অ্যাডমিশন পরীক্ষা না থাকার কারণে এই অধ্যয়নের গন্তব্য দেশের বাইরের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। আন্ডারগ্রাজুয়েশনের জন্য সর্বসাকূল্যে প্রয়োজন হবে শুধুমাত্র মাধ্যমিক শিক্ষার একটি শংসাপত্র, একটি আর্থিক কার্যকারিতা শংসাপত্র এবং ইংরেজি বা পোলিশ ভাষার দক্ষতা।
পড়ুন: জাপানকে উচ্চশিক্ষার জেডিএস বৃত্তির পরিধি ও সংখ্যা বৃদ্ধির অনুরোধ
প্রথম, দ্বিতীয় এবং দীর্ঘ-চক্র অধ্যায়নের জন্য টিউশন ফি ২,৩৬৮ ইউরো (প্রায় ২,২৮,১১০ টাকা)। পোল্যান্ড বেশ স্থিতিশীল অর্থনীতির ইউরোপীয় দেশ। তাই বাইরের শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার খরচ এখানে প্রতি মাসে ৩৫০ থেকে ৫৫০ ইউরো (প্রায় ৩৩,৭৩৪ থেকে ৫৩,০০০ টাকা)-এর মধ্যে পরিবর্তিত হয়। শহরের সীমারেখা ও নগরায়নের অবস্থার উপর নির্ভর করে এই বাজেটের তারতম্য ঘটে থাকে।
মালয়েশিয়া
২০২১ সালে মালয়েশিয়ার সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ডক্টর অফ ফিলোসফি (পিএইচডি) প্রোগ্রামের জন্য মোট ১১,১৬১ আন্তর্জাতিক আবেদনকারী অংশ নিয়েছিলেন। দেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পাবলিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিবেচিত ইউনিভার্সিটি মালায়া ২০২২ সালে এশিয়ার শীর্ষ ৫০টি সেরা গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান পেয়েছে।
এখানকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রীতে খরচ পড়ে গড়ে প্রতি বছর ২,০০০ থেকে ৪,৫০০ ইউরো (১,৯২,৭৬০ থেকে ৪,৩৩,৭২০ টাকা)। স্নাতকোত্তর ডিগ্রিতে প্রতি বছর ৫০০ থেকে ৪,০০০ ইউরো (প্রায় ৪৮,১৯০ থেকে ৩,৮৫,৫২৬ টাকা) লেগে যায়।
পড়ুন: নরওয়েতে উচ্চ শিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
জীবনযাত্রার ব্যয়ভার বহন করার জন্য প্রতি মাসে ৪৫০ থেকে ৮০০ ইউরোর (প্রায় ৪৩,৩৭২ থেকে ৭৭,০০০ টাকা) মত বাজেটের ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত থাকা উচিত।
গ্রিস
ঈশ্বরের দেশ নামে খ্যাত অধ্যায়নের এই গন্তব্যটি শুধুমাত্র তাদের সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার নিয়েই গর্ব করে না, তারা তাদের শিক্ষার মাধ্যমে সে ঐতিহ্যকে উন্নতও করে। দেশ জুড়ে প্রচুর গ্রীক বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি ভাষায় অধ্যয়ন করে ডিগ্রি লাভের সুবিধা রেখেছে। ইইউ-দেশ হিসাবে গ্রীস বোলোগনা প্রক্রিয়ার সদস্য, তাই এখানকার শিক্ষার্থীরা ইউরোপের যে কোন বোলোগনা সদস্য দেশের যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট স্থানান্তর করতে পারেন।
নন-ইউ/ইইএ শিক্ষার্থীদের জন্য বেশিরভাগ ব্যাচেলর এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য প্রতি শিক্ষাবর্ষে ১,৫০০ থেকে ২,০০০ ইউরোর (১,৪৪,৬০০ থেকে ১,৯২,৭৭০ টাকা) মত অর্থ খরচ করতে হয়। গ্রীসের সাশ্রয়ী পরিবেশে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর বাজেট প্রতি মাসে ৪৫০ থেকে ৭৫০ ইউরো (প্রায় ৪৩,৩৭২ থেকে ৭২,২৮৭ টাকা) হয়ে থাকে। এটি স্পেন, জার্মানি, বা ইতালির মত প্রধান ইউরোপীয় দেশের তুলনায় অনেকটাই যুক্তিসঙ্গত।
পড়ুন: উচ্চশিক্ষায় দেশের বাইরে যেতে প্রস্তুতির ধাপগুলো জেনে নিন
হাঙ্গেরি
বৈচিত্র্যতা ও বহুসংস্কৃতির এক চমৎকার মেলবন্ধন চোখের পড়বে হাঙ্গেরিতে ঘুরতে গেলে। পাশাপাশি এর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেশের বাইরে থেকে আসা শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। পাবলিক হাঙ্গেরিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো টিউশন ফি-এর দিক থেকে তাদের পশ্চিমা সমকক্ষদের তুলনায় অনেক বেশি সাশ্রয়ী। একজন বিদেশী শিক্ষার্থীকে অধিকাংশ ডিগ্রির জন্য প্রতি বছর ১,২০০ থেকে ৫,০০০ ইউরো (প্রায় ১,১৫,৬৬০ থেকে ৪,৮১,৯০০ টাকা) মত খরচের প্রস্তুতি নিতে হয়। আর
বসবাসের জন্য বাজেট করতে হয় ৩৭৫ থেকে ৭০০ ইউরোর (প্রায় ৩৬,১৪০ থেকে ৬৭,৪৭০ টাকা) মধ্যে। তবে তা অবশ্যই শহরের ধরনের উপর নির্ভর করে। আবাসন, খাবার, পরিবহন সহ আনুষঙ্গিক বিষয় বিবেচনা করে রাজধানী বুদাপেস্টে প্রতি মাসে ৬০০ ইউরো (প্রায় ৫৭,৮৩০ টাকা) যথেষ্ট। আর ছোট শহরগুলোতে প্রতি মাসে ৬০০ ইউরো (প্রায় ৪৮,২০০ টাকা) নিচে জীবনযাত্রার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
শেষ কথা
স্বল্প খরচে দেশের বাইরে পড়াশোনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে সমস্ত উপলব্ধ তহবিল বিকল্পগুলো ভালো ভাবে যাচাই করে নেয়া উচিত। চাহিদা, সামর্থ এবং লক্ষ্যগুলোর সব কিছুর সাথে সামঞ্জস্য করে চুড়ান্ত ভাবে সেরা বৃত্তির জন্য চেষ্টা করা উচিত। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে উপলব্ধ নির্দিষ্ট বৃত্তিমুলক ব্যবস্থাগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজ-খবর করা যেতে পারে। গন্তব্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট; এমনকি সেখানকার অধ্যায়ন উপদেষ্টার সাথে স্কলারশিপ বা স্টুডেন্ট লোনের ব্যাপারে কথা বলাটা উত্তম। বিদেশে স্নাতক অধ্যায়নের জন্য আর্থিক সহায়তার মধ্যে আছে ফেডারেল অনুদান, ফেডারেল এবং ব্যক্তিগত ঋণ। এর বাইরে আছে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত বৃত্তি, যেগুলো এই দেশগুলোতে জীবনযাত্রার খরচের ঘাটতি অনেকটাই পূরণ করতে পারে।
পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
ঢাবি সিন্ডিকেট নির্বাচন: আওয়ামীপন্থী নীল দলের জয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত শিক্ষকদের পরিষদ (নীল প্যানেল) জয়লাভ করেছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের নওয়াব আলী হলে সিনেট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের প্রতিনিধি নির্বাচিত শিক্ষকরা হলেন- হল প্রভোস্ট প্রতিনিধি হিসেবে ড. মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান, অধ্যাপক প্রতিনিধি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবু হোসেন মোহাম্মদ আহসান, সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, একাডেমিক কাউন্সিলের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ড. ইসমাত রহমান, প্রভাষক প্রতিনিধি হিসেবে মেডিসিন টেকনোলজি বিভাগের এএসএম মঞ্জুর আল হোসাইন এবং সিন্ডিকেটের অর্থ কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাপ্লাইড ম্যাথমেটিকস ডিপার্টমেন্টর ড. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: কোনো শিক্ষক আর নিজের ক্লাসের শিক্ষার্থীকে কোচিংয়ে পড়াতে পারবে না: শিক্ষামন্ত্রী
নির্বাচনের ফলাফল বিকাল ৩টায় প্রকাশ করা হলে আওয়ামী লীগের সব প্রার্থী (নীল প্যানেল) বিজয়ী হন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭২ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী এই কমিটি আগামী দু’বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন। পরবর্তী কমিটি নির্বাচিত বা মনোনীত না হয়ে দায়িত্ব না নেয়া পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সেমিনার
সহযোগী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে ছয়জন একাডেমিক কাউন্সিলের শিক্ষক প্রতিনিধিরা হলেন- কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ড. ইসমাত রহমান, দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মিসেস মন্দিরা চৌধুরী, আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক বিপুল চন্দ্র দেবনাথ, সহকারী অধ্যাপক/প্রভাষক ক্যাটাগরিতে মেডিসিন টেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. এ. এস. এম. মঞ্জুর আল হোসাইন, আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবিএম আশরাফুজ্জামান এবং মেট্রোলজিক্যাল সাইন্স বিভাগের প্রভাষক মমিন ইসলাম।
আরও পড়ুন: ঢাবির হলের ক্যান্টিনে শিক্ষার্থীদের তালা