শিক্ষা
সব বিভাগের শিক্ষার্থীদের আর্মি আইবিএ-তে পড়ার সুযোগ
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) এর অধিভুক্ত আর্মি ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আর্মি আইবিএ) এর স্নাতক প্রোগ্রামের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
ঢাকার সাভার সেনানিবাসে অবস্থিত এই ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীরা স্নাতক প্রোগ্রামের জন্য জানুয়ারি ২০২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি আবেদন করতে পারবেন। চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে ভর্তি আবেদন শুরু হলেও আবেদনের শেষ তারিখ ১২ ডিসেম্বর।
আর্মি আইবিএ’র চার বছরের ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) প্রোগ্রামে আবেদনের জন্য বাংলা মাধ্যমে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের যে কোন বিভাগ/গ্রুপ থেকে এসএসসি এবং এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ যথাক্রমে ৩.৫০ ও ৩.২৫ এবং একত্রে ন্যূনতম জিপিএ ৭.০০ থাকা আবশ্যক। ইংরেজি মাধ্যমে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জিসিই ও-লেভেলে ও জিসিই এ-লেভেলে ন্যূনতম গড় গ্রেড পয়েন্ট যথাক্রমে ২.৫০ ও ২.০০ এবং একত্রে ন্যূনতম ৬.০০ থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৯.৮৭ শতাংশ
আর্মি ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মহাপরিচালক ও প্রফেসর, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ কামরুজ্জামান (অব) বলেন, ‘আর্মি ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, বংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সেশনজট মুক্ত একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির সকল কর্মকর্তা, শিক্ষক ও অনুষদবর্গ অত্যন্ত মেধাবী ও দক্ষ। নিবিড় তত্ত্বাবধানে এখানে প্রতিটি সামরিক ও বেসামরিক শিক্ষার্থীকে পাঠদান করা হয়। মেধা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে উক্ত প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়।’
আর্মি আইবিএ’র সহকারী অধ্যাপক আফজাল হোসাইন জানান, নির্বাচিত বাংলাদেশি আবেদনকারীদের লিখিত ও মৌখিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
শিক্ষার্থীরা সরাসরি https://linktr.ee/armyibasavar লিংকে প্রবেশ করে অনলাইনে ভর্তি আবেদন করতে পারবেন।
আর্মি আইবিএ’র চলতি বছরের ভর্তি কার্যক্রমে সহযোগিতা করছে থ্রু ইডি লিমিটেড। ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি,ফি প্রদান ও অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে,আর্মি আইবিএ’র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: www.aibasavar.edu.bd তে।
আরও পড়ুন: ঢাবির 'গ' ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ: পাসের হার ২১.৭৫ শতাংশ
ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৯.৮৭ শতাংশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ১০ শতাংশের কম শিক্ষার্থী পাস করেছে।
মোট এক হাজার ৫৭০ আসনের বিপরীতে ৮২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পাস করেছে ৭ হাজার ৯৯৪ জন।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে ভর্তি পরীক্ষার এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
গত ২৩ অক্টোবর ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ঢাবির 'গ' ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ: পাসের হার ২১.৭৫ শতাংশ
নিখোঁজ ঢাবি শিক্ষার্থীকে পাওয়া গেল জেলখানায়!
ঢাবির এফ রহমান হলে ৫ শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ
ঢাবির 'গ' ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ: পাসের হার ২১.৭৫ শতাংশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় মোট ২১.৭৫ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের জন্য বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের এই পরীক্ষার ফলাফল মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে।
এক হাজার ২৫০ টি আসনের জন্য ২৩ হাজার ৩৪৭ জনের মধ্যে পাচঁ হাজার ৭৯ জন শিক্ষার্থী (এমসিকিউ ও লিখিত উভয়ই) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো.আখতারুজ্জামান তার কার্যালয়ের পাশে প্রফেসর আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই ফল প্রকাশ করেন। এ সময় বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবদুল মঈন ও রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নিখোঁজ ঢাবি শিক্ষার্থীকে পাওয়া গেল জেলখানায়!
শীর্ষ এক হাজার ২৫০ জন সফল প্রার্থী ২৮ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তাদের পছন্দের বিষয় বেছে নিতে পারবেন।
উত্তরপত্র পুনযাচাইয়ের জন্য, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় ফি দিতে হবে এবং ২৪ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে চারুকলা অনুষদের ডিনের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ঢাবির এফ রহমান হলে ৫ শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ
রুমমেটের ফেসবুক পোস্টে মানসিক চাপে কুবি ছাত্রীর আত্মহত্যাচেষ্টা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে রুমমেটের দেয়া পোস্টের জেরে মানসিক চাপে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক শিক্ষার্থী। শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ মোড় এলাকায় ‘বাচ্চু মিয়ার মেস’ নামে একটি ছাত্রী নিবাসে ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
পরে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
আত্মহত্যার চেষ্টাকারী শিক্ষার্থী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রাবিনা ঐশী৷
বাড়িওয়ালা ও মেসে অবস্থান করা অন্যান্য ছাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাবিনা ঐশী ও একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগে ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জুবায়দা ফৌজিয়া নদী ওই মেসে একই কক্ষে থাকেন। কিন্তু ১৩তম ব্যাচের ঐশীর বান্ধবী লাবিবা ইসলাম নিয়মিত গ্রুপ স্টাডির নামে রাবিনা ঐশীর কাছে এসে থাকে এবং নিয়মিত আড্ডা দেন। এতে প্রায় দুই মাস ধরে সমস্যায় ভুগছিলেন নদী।
আরও পড়ুন: কুবির ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
শনিবার নদী মেস মালিক সোহাগ আলীকে এই সমস্যার কথা জানালে তিনি ঐশীকে গেস্ট সংখ্যা ‘লিমিটে’ আনতে বলেন। এটিকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যায় তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয় এবং ঐশী এই ঘটনা তার বিভাগের মো. এরশাদ হোসাইনকে জানালে তিনি একই ব্যাচের প্রণব চক্রবর্তীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হলের আরও কিছু আবাসিক শিক্ষার্থীকে নিয়ে বাড়িওয়ালাকে খুঁজতে খুঁজতে মেয়েদের মেসের ভেতরে প্রবেশ করেন।
জুবায়দা ফৌজিয়া নদী অভিযোগ করে বলেন, মেসে ঢুকে এরশাদ, প্রণবসহ আরও কয়েকজন তাকে শাসান। তিনি বলেন, ‘উনারা মেসে ঢুকে আমাকে বলে তোরে মাইরা ফালাইয়া রাইখা যামু; কেউ টেরও পাইব না, তোর বাপ-মা শিক্ষা দেয় নাই? ক্যাম্পাসে কেমনে ফ্রিলি চলিস দেইখা নিমু নে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় নদী সাহায্যের জন্য তার বন্ধু রিয়াজসহ অন্যান্যদের ডেকে আনেন। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বাড়িওয়ালা দুই গ্রুপকে নিয়ে নিচে নেমে যান। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ সে সময় উপস্থিত থাকায় বাড়িওয়ালা ও শিক্ষার্থীদের সাথে বসে শিক্ষার্থীদের নিজেদের মধ্যে রুম পরিবর্তনের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দেন।
পরবর্তীতে রুমে ফিরে জুবায়দা ফৌজিয়া নদী ‘জীবন ও সম্ভ্রম নিয়ে শঙ্কায়’ আছেন উল্লেখ করে একটি স্ট্যাটাস দেন। তার ওই স্ট্যাটাস ছড়িয়ে পড়লে মানসিক চাপে পড়ে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ঐশী।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শাহজালাল বলেন, আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। এখন তাকে আইসিইউতে রাখা দরকার। তাই আমরা ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যেতে বলেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল বলেন, আমার কাছে একজন লিখিত অভিযোগ দিয়ে গিয়েছে। আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করব। আরেকজন শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি। তাই তাড়াহুড়ো করছি না। দু’পক্ষের কথা শুনেই সমাধান দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: কুবির প্রথম প্রো-ভিসি ড. হুমায়ুন
৫৯৪ দিন পর ক্লাসে ফিরলো কুবির শিক্ষার্থীরা
শাবিপ্রবির অর্থনীতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অর্থনীতি বিভাগের নতুন বিভাগীয় প্রধান হলেন অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ। অর্থনীতি বিভাগের ১৯তম বিভাগীয় প্রধান হিসেবে আগামী তিন বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ‘ডি’এর অর্থনীতি বিভাগের গবেষণা কক্ষে দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় বিদায়ী বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল মুনিম জোয়ার্দার এবং নতুন বিভাগীয় প্রধান হিসেবে অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী আহতদায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের অর্থনীতি বিভাগের পরবর্তী চেয়ারম্যানকে অভিনন্দন জানাই। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কর্মকান্ড প্রশংসনীয়। আমাদের এইসব শিক্ষার্থীদের কোয়ালিটি গবেষণার মান অনেক ভালো। আশা রাখছি বিভাগীয় প্রধান হিসেবে নতুন বিভাগীয় প্রধান আরও সুন্দরভাবে দায়িত্ব পালন করে যাবেন।নতুন বিভাগীয় প্রধান হিসেবে অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ বলেন, বিভাগীয় প্রধান পদটি আমার জন্য একটি নতুন সংযোজন। এই বিভাগটি আমার। বিভাগের সার্বিক কল্যাণের জন্যে আমি সম্ভাব্য সবকিছু করতে সচেষ্ট থাকবো। এই দায়িত্ব সফলভাবে পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগীতা ও দোয়া চাই।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ভর্তি আবেদন রবিবার থেকে শুরুউল্লেখ্য, অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯তম ব্যাচের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ১৯৯৮ সালে শাবিপ্রবিতে অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। শাবিপ্রবি ছাড়াও তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে প্রায় দুইবছর শিক্ষকতা করেন।
অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ শাবিপ্রবির একাডেমিক কাউন্সিলের নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধি, দুইবারের শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পালন করেছেন। বর্তমানে শাবিপ্রবির ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালকের দায়িত্বেও কর্তব্যরত আছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে ডি-লিট ডিগ্রি দেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ডি-লিট (ডক্টর অব লিটারেচার) ডিগ্রি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ। জলবায়ু সংকট মোকাবিলা, দারিদ্র্য বিমোচন, নারী ও দেশের উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখার জন্য সম্মানসূচক এ ডিগ্রি দেয়া হবে।
রবিবার চবির ৫৩৬তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান।
তিনি বলেন, ‘উইটসা এমিনেন্ট পার্সনস অ্যাওয়ার্ড-২০২১’ পুরস্কার ভূষিত, বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত সংকট মোকাবিলায় বিশ্বের প্রভাবশালী পাঁচ শীর্ষ নেতার স্বীকৃতি পাওয়ায় ও জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে যুগান্তকারী পদক্ষেপ তুলে ধরায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ডি-লিট ডিগ্রি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।
মনিরুল হাসান বলেন, ‘আমরা সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিছু দিনের মধ্যে এ বিষয়ের প্রস্তাব দিয়ে রাষ্ট্রপতি দপ্তরে চিঠি দেয়া হবে। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে বিশ্ববিদ্যালয় পরবর্তীকালে তা কার্যকর করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জনগণের বাহিনী হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অর্জিত স্বাধীনতা বৃথা যেতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী
সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী আহত
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থী ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন।
আহত সায়মা আলম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল অ্যান্ড এনভাইরনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০২০ বর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, শনিবার রাতে ট্রেনে ঢাকা থেকে সিলেট পৌঁছান সায়মা আলম। রবিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে পৌঁছানোর পর সিলেট নগরীর বিজিবি গেইট সংলগ্ন সুরমা আবাসিক এলাকায় ছিনতাইকারী তার বাম পায়ে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ওসমানী মেডিকেলে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ক্যান্সারে মারা গেলেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আলমগীর কবীর বলেন, ‘রবিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের প্রথম ছাত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জায়েদা শারমীন আমাকে দুর্ঘটনার খবরটি জানান। আমাদের প্রক্টরিয়াল টিম দ্রুতই ব্যবস্থা নেন। আহত শিক্ষার্থীকে দ্রুতই ওসমানী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা সশরীরে তার খোঁজ খবর নিয়েছি। সে এখন সুস্থ আছে।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের এনআইডি নিবন্ধনের তথ্য দেয়ার নির্দেশ
প্রক্টর জানান, এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। আশা করি তারা দ্রুতই ব্যবস্থা নেবেন।
সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র জাল, তবুও তিনি শিক্ষক!
নেত্রকোণার খালিয়াজুড়ি উপজেলার সাতগাঁও এমবিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিক জমিলা খাতুনের বিরুদ্ধে জাল সনদপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্রে ভূয়া তথ্য ব্যবহার করে শিক্ষকতা করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, শিক্ষিক জমিলা খাতুন মৌলভী পদে আস্থায়ী নিয়োগ পেয়ে ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন ছাড়াই জালিয়াতির মাধ্যমে স্থায়ীভাবে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পান। পরে এই শিক্ষিকা ব্যক্তিগত তথ্য গোপন করেন এবং তার বোন জমিলা খাতুনের সনদ ব্যবহার করে শুধুমাত্র নাম ও স্বামীর নাম দিয়ে চাকরিতে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন: হলে স্মাটফোন ব্যবহার: এসএসসি পরীক্ষা থেকে ৪ শিক্ষক বহিষ্কার
অভিযোগে জানা গেছে, চাকরিতে যোগদানের পর তিনি তিনবার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। প্রথম আবেদন নামুঞ্জুর হলেও পরের বার তার নাম পরিবর্তন করে সার্টিফিকেটের নাম অনুযায়ী মোসাম্মৎ জমিলা খাতুন নাম দেন এবং তৃতীয়বার তিনি জন্ম তারিখ ০৯/০৫/১৯৬২ এর জায়গায় ০১/০৫/১৯৬২ পরিবর্তন করেন। মূলত তিনি তার বোন মোসাম্মাৎ জমিলা খাতুনের সার্টিফিকেটের নামের সাথে তার ব্যক্তিগত তথ্যের যাতে গড়মিল না থাকে সেই চেষ্টা করেছেন। এক পর্যায়ে তিনি মোসাম্মৎ জমিলা খাতুন নিয়ে ১৯৮৭ সালে থেকে আজ পর্যন্ত চাকরি করে আসছেন।
এ ব্যাপারে গত বুধবার (৩ নভেম্বর) নেত্রকোণা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন মোহাম্মদ শফিউল নামে এক ব্যক্তি। অনুলিপির কপি দেয়া হয়েছে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরেও।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, জমিলা খাতুন বিদ্যালয়ে নিয়োগ নেয়ার সময় ১৯৮৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শিক্ষাগত যোগ্যতার যে সনদ জমা দেন তাতে দেখা যায়, ১ বছর বয়সে জমিলা খাতুন ১ম শ্রেণি, দশ বছর বয়সে দশম শ্রেণি (দাখিল) ও ১২ বছর বয়সে দ্বাদশ (আলিম) পাস করেন। এমনকি তৎকালীন নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্রে সুকৌশলে তিনি বাবা-মায়ের নাম ব্যবহার করেননি। এত অনিয়ম কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
আরও পড়ুন: এবার লক্ষ্মীপুরে ৭ মাদরাসাছাত্রের চুল কর্তন, অভিযুক্ত শিক্ষক আটক
অভিযোগকারী মোহাম্মদ শফিউল বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানান।
অভিযুক্ত জমিলা খাতুন বলেন, ‘আমার সার্টিফিকেট যদি জাল হয় আপনারা শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে খোঁজ নেন, বোর্ড আমার সার্টিফিকেট দিয়েছে। পরে আবার দুইটা মিনিস্ট্রিতে অডিট হয়েছে, আমার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা বানোয়াট।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সুদর্শন সরকার বলেন, এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগের কাগজ আমরা পাইনি। এ রকম কোন বিষয়ে অভিযোগ থাকলে আমরা তা খতিয়ে দেখব এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে শাবি শিক্ষকের নিজের লেখা বইয়ের সৌজন্য সংখ্যা
জেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল গফুর বলেন, ‘এরকম একটি অভিযোগ আমার কাছে এসেছে, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’
ঢাবির এফ রহমান হলে ৫ শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হলের প্রথম বর্ষের পাঁচ শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রুবেল হোসেন ও আল আমিন হোসেন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বুলবুল আহম্মেদ ও রানা হোসেন এবং ফিনান্স বিভাগের মো. ইমদাদুল। তারা সবাই প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী লালন হোসাইন, মার্কেটিং বিভাগের আরিফুল ইসলাম আরিফ ও আসিফ হোসাইন এবং সঙ্গীত বিভাগের ওয়াজিদ তাওসিফ। অভিযুক্তরা সবাই দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালেহ উদ্দিন আহমেদ সাজুর কাছের ‘ছোটভাই’ হিসেবে পরিচিত।
সম্প্রতি রবিউল ইসলাম নামে একই হলের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর সমালোচনার মুখে হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালেহ উদ্দিন সাজু হলটিতে গেস্টরুম বন্ধের নির্দেশনা দেন। বিষয়টিতে খুশি হয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা ফেসবুকে আনন্দ প্রকাশ করে পোস্ট করেছিলেন।
তাদের এ পোস্টে ক্ষুব্ধ হয়ে হলের প্রথম বর্ষের সকল শিক্ষার্থীকে গেস্টরুমে ডেকে গালিগালাজ করেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগকর্মীরা। পরে ওই পাঁচ শিক্ষার্থীকে আলাদা করে মারধর করা হয় বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই হলের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী।
তিনি জানান, ছাত্রলীগ নেতা লালন হোসাইন ওই শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। রাত ১২টা পর্যন্ত তাদের নানাভাবে নির্যাতন করেন অভিযুক্তরা।
আরও পড়ুন: বিনা প্রয়োজনে ঢাবি ক্যাম্পাসে যেতে মানা
তবে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা কথা বলতে রাজি হননি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত লালন হোসাইনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইউএনবিকে বলেন, আমাদের হলে গেস্টরুম হয় না। তাদের নির্যাতনের প্রশ্নই আসে না। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে। অপর অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম আরিফ লালনের সুরে সুর মিলিয়ে কথা বলেন।
এদিকে হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালেহ উদ্দিন আহমেদ সাজু জানান, তিনি বিষয়টি জানার পর সবার সাথে বসেছিলেন। যাদের মারধর করা হয়েছে বলা হচ্ছে, তারা কিছুই বলছে না। সামনে যাতে এ রকম ঘটনা আর না ঘটে সে বিষয়ে তিনি সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছেন।
স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম খান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাননি বলে ইউএনবিকে জানান। তিনি বলেন, আমি বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের কাছ থেকে শুনেছি। আমাদের হলে গেস্টরুমে যে কোনো ধরনের জামায়েত করার জন্য প্রশাসনের অনুমতির প্রয়োজন হয়। এমন কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি। তবুও আমি সংশ্লিষ্ট ব্লকের হাউস টিউটরকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা বলেছি।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় ঢাবির দুই শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতন!
ঢাবির বর্তমান ও সাবেক ভিসিসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
ইবির শাপলা ফোরামের নির্বাচন শনিবার
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আওয়ামী লীগপন্থী প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরামের নির্বাহী পরিষদের নির্বাচন শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার শাপলা ফোরামের নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক সারোয়ার মুর্শেদ বলেন, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মমতাজ ভবনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পদকসহ ১৫টি পদের বিপরীতে ৩০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
সারোয়ার মুর্শেদ বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার ইবির ‘ডি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ
ইবিতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন