শিক্ষা
ঢাবি’র দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ সত্য নয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি’র) দুই শিক্ষক সামিয়া রহমান ও সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের গবেষণা প্রবন্ধকে দুর্বল ও মানহীন বলে অভিহিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুসন্ধান ট্রাইব্যুনাল। তবে প্রবন্ধে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চৌর্যবৃত্তির যে অভিযোগ আনা হয়েছিল তার সত্যতা পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
এ প্রসঙ্গে ট্রাইব্যুনাল বলেছে, ‘লেখকদ্বয় অভিযুক্ত প্রবন্ধটিতে প্রতি পাতায় ফুট নোট উল্লেখ করেনি। কিন্তু প্রতি প্যারায় উদ্বৃতির পূর্বে মিশেল ফুকো ও এডওয়ার্ড সাইদের নাম উল্লেখ করেছেন। এছাড়া প্রবন্ধটির শেষেও রেফারেন্সে মিশেল ফুকো ও এডওয়ার্ড সাইদের রেফারেন্স দিয়েছেন। প্রবন্ধের কোথাও মিশেল ফুকো ও এডওয়ার্ড সাইদের কোন উদ্বৃতিকে লেখকদ্বয় নিজের উদ্বৃতি বলে দাবি করেননি তাই তাদের কার্যক্রমকে সরাসরি চৌর্যবৃত্তির অভিযোগে অভিযুক্ত করা যায় না।’
এছাড়া ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্তের নামে যে সময়ক্ষেপণ করেছে সেটাও তাদের রিপোর্টে তুলে ধরেছে ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে দুই শিক্ষকের প্রবন্ধ নিয়ে অভিযোগ উত্থাপিত হয়। তদন্ত শেষ হয় ২০১৯ সালে এবং ট্রাইবুনাল গঠিত হয় ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে। এতো দীর্ঘমেয়াদী তদন্তের ফলে এ বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্নভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করার সুযোগ পেয়েছে। একইভাবে অভিযুক্ত শিক্ষকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিডিয়া ট্রায়াল হয়েছে যা কখনো ন্যায় বিচারের জন্য কাম্য নয়। এত দীর্ঘসূত্রিতা মূলত ন্যায়বিচারকে পরাভূত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি ন্যায় বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রেও বাঁধার সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: সামিয়া রহমানের পদাবনতির সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের ট্রাইব্যুালের প্রতিবেদনে এসব পর্যালোচনা তুলে ধরা হয়েছে। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই দুই শিক্ষকের পদাবনতির সিদ্ধান্ত জানায় ঢাবি’র সিন্ডিকেট। যার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সামিয়া রহমান। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট এ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি দাখিল করতে ঢাবি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চে ট্রাইব্যুনালের এই প্রতিবেদন দাখিল করে ঢাবি কর্তৃপক্ষ।
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সামিয়া রহমান ও মারজানের যৌথভাবে লেখা 'এ নিউ ডাইমেনশন অব কলোনিয়ালিজম অ্যান্ড পপ কালচার: এ কেস স্ট্যাডি অব দ্য কালচারাল ইমপেরিয়ালিজম' শিরোনামের আট পৃষ্ঠার একটি গবেষণা প্রবন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের 'সোশ্যাল সায়েন্স রিভিউ' জার্নালে প্রকাশিত হয়। এটি ১৯৮২ সালের শিকাগো ইউনিভার্সিটির জার্নাল 'ক্রিটিক্যাল ইনকোয়ারি'তে প্রকাশিত ফরাসি দার্শনিক মিশেল ফুকোর 'দ্য সাবজেক্ট অ্যান্ড পাওয়ার' নামের একটি নিবন্ধ থেকে প্রায় পাঁচ পৃষ্ঠা হুবহু নকল বলে অভিযোগ ওঠে। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে এক লিখিত অভিযোগে মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এই চুরির কথা জানিয়েছিল ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো প্রেস।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু
শুধু মিশেল ফুকোরই নয়, বুদ্ধিজীবী এডওয়ার্ড সাঈদের 'কালচার অ্যান্ড ইমপেরিয়ালিজম' গ্রন্থের পাতার পর পাতাও সামিয়া ও মারজান হুবহু নকল করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরিন আহমেদকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে গত বছর ওই কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়। ওই প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ২৯ অক্টোবর তাদের একাডেমিক অপরাধের শাস্তির সুপারিশ করতে আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহকে আহবায়ক করে একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ট্রাইব্যুনাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে শাস্তির বিষয়ে সুপারিশ জমা দিলে গত ২৮ জানুয়ারি সিন্ডিকেটের সভায় পদাবনতির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এই সুপারিশের পরই শিক্ষক সামিয়া রহমানকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে এক ধাপ নামিয়ে সহকারী অধ্যাপক করে দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট এবং প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানকে শিক্ষা ছুটি শেষে চাকরিতে যোগদানের পর দুই বছর একই পদে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। পরে এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে সামিয়া রহমান হাইকোর্টে রিট করেন। এই রিটের প্রাথমিক শুনানি করে গত ৫ সেপ্টেম্বর সামিয়া রহমানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় পদাবনতি দেয়ার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়। একইসঙ্গে হাইকোর্ট সামিয়া রহমান সংক্রান্ত সব নথিও তলব করেন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ‘আলী রীয়াজ স্নাতকোত্তর গবেষণা পুরস্কার ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠন
সামিয়া রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম বলেন, তলবের পরিপ্রেক্ষিতে সামিয়া রহমান সংক্রান্ত সব নথি ও অন্যান্য প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। আদালত আগামী রবিবার শুনানির দিন ঠিক করেছেন।
চবি থেকে ছাত্রলীগের ১২ নেতাকর্মী বহিস্কার
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ানোসহ বিভিন্ন অপরাধে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ১২ কর্মীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ, রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সোমবার থেকে বহিষ্কারাদেশ কার্যকর হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, গত কয়েকদিনের দুই পক্ষের সংঘর্ষ জড়িতদের সিসিটিভি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্য যাচাই-বাছাই করে ১২ জন শনাক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটি। গতরাতের সভায় অভিযুক্ত ১২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ছয় মাস বহিষ্কৃতরা হলেন-অর্থনীতি ২০১১-১২ সেশনের ফরহাদ, লোকপ্রশাসন ১৪-১৫ সেশনের অহিদুজ্জামান সরকার, সমাজতত্ত্ব ১৫-১৬ সেশনের আরিফুল ইসলাম, ইতিহাস ১৫-১৬ সেশনের জুনায়েদ হোসেন জয়, পরিসংখ্যান ১৬-১৭ সেশনের আকিব জাভেদ, আইন বিভাগ ১৭-১৮ সেশনের খালেদ মাসুদ, কম্পিউটার বিজ্ঞান ১৮-১৮ সেশনের তানজিল হোসেন, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট ১৯-২০ সেশনের মো. নাঈম, আরবি ১৯-২০ সেশনের তৌহিদ ইসলাম, বাংলা ১৯-২০ সেশনের সাইফুল ইসলাম।
এক বছর বহিষ্কৃতরা হলেন- আইন বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের মির্জা কবির সাদাফ, রসায়ন ১৬-১৭ সেশনের আশরাফুল আলম নায়েম।
আরও পড়ুন: চবিতে উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
করোনায় মারা গেলেন চবির সাবেক ডিন গাজী সালাহ উদ্দীন
চবির সব পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত
দেশে প্রথমবারের মতো ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু
দেশে প্রথমবারের মতো ২০টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। রবিবার সারাদেশে বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে সারাদেশে ২৮টি পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করা হয় বলে জানিয়েছেন গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ওহিদুজ্জামান।
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য তিন লাখ ৬১ হাজার ৪০৬ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন।
তাদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে আবেদন করেন এক লাখ ৯৪ হাজার ৮৪১ জন। তবে তাদের মধ্যে এক লাখ ৩১ হাজার ৯০৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পায়।
মানবিক (বি) ও বাণিজ্য (সি) ইউনিটের পরীক্ষা যথাক্রমে আগামী ২৪ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
শিক্ষার্থীদের এক ঘণ্টায় ১০০ নম্বরের বহুনির্বাচনী প্রশ্নের (এমসিকিউ) পরীক্ষা দিতে হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে শিগগিরই একটি একাডেমিক মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে।
আরও পড়ুন: ইবিতে ‘এ’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
ইবিতে ‘এ’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
গুচ্ছের অধীনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার বেলা ১২টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে সাত হাজার ৮৪জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে ।
পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষা করে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিশ্চিত করুন: ইউজিসি চেয়ারম্যান
এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর হোসনে ভূঁইয়া, ভর্তি পরীক্ষার নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা উপ-কমিটির আহবায়ক প্রক্টর অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মু. আতাউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘সুষ্ঠুভাবে গুচ্ছের অধীনে ভর্তি পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন সমস্যার বিষয়ে অবহিত হয়নি।’
আরও পড়ুন: গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় নতুন ইতিহাস তৈরি হল: শাবিপ্রবি উপাচার্য
ববিতে গুচ্ছ পদ্ধতির 'ক' ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ( সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার দুপুর ১২ টা থেকে ১টা পর্যন্ত 'ক' ইউনিট বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে 'ক' ইউনিটে তিন হাজার ৪৫৮ জন পরীক্ষার্থীর অংশ নিয়েছেন।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.মো. ছাদেকুল আরেফিন বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি গুচ্ছে ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। একটি পরীক্ষার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সুযোগ পাবে। এতে শিক্ষার্থীদের আর্থিক মানসিক কষ্ট লাঘব হবে। আমরা সর্বোচ্চ সর্তকতার সাথে ভর্তি পরীক্ষার সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি।
আরও পড়ুন: গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে ১৯ সাধারণ ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে: ইউজিসিসকল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন,আগামীতে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় একটি গুচ্ছে পরীক্ষা নিলে শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘব আরও ত্বরান্বিত হবে।
এদিকে ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ায় শিক্ষার্থী অভিভাবকেরা উচ্ছ্বাস, আশঙ্কা উভয়ই প্রকাশ করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতি আমাদের কষ্ট লাঘব হয়েছে। একটি ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। কিন্তু কোন কারণে যদি পরীক্ষা খারাপ হয়ে যায় তাহলে ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির স্বপ্ন একবারে ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় নতুন ইতিহাস তৈরি হল: শাবিপ্রবি উপাচার্য
এদিকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ায় আঞ্চলিকতার প্রভাব বাড়বে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, এবারই প্রথমবারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা একযোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবছর প্রত্যেক আসনের বিপরীতে ১০ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষা করে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিশ্চিত করুন: ইউজিসি চেয়ারম্যান
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় নতুন ইতিহাস তৈরি হল: শাবিপ্রবি উপাচার্য
দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে গুচ্ছভুক্ত ২০টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা। এই গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে নতুন ইতিহাস তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ভর্তি পরীক্ষার যুগ্ম-আহ্বায়ক ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।রবিবার বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ক' ইউনিটের পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের এ কথা বলেন তিনি।উপাচার্য বলেন, আমাদের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। দেশের ২৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজকের এই ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে নতুন করে ইতিহাস তৈরি হলো,এই পরীক্ষা কার্যক্রম শিক্ষার্থী,অভিভাবক সকলের দুর্ভোগ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।আরও পড়ুন: ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু ১৭ অক্টোবর
ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু
করোনা মহামারির কারণে দেড় বছরের বিরতির পর আজ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সশরীরে ক্লাসে পাঠদান ও পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবু মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, সশীরে ক্লাস ও পরীক্ষা পুনরায় শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। অনেক ক্লাস এবং পরীক্ষা সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে এবং সেগুলো বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে।
টিকার কমপক্ষে একটি ডোজ গ্রহণের প্রমাণ এবং স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মানার শর্তে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ক্লাসে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ‘আলী রীয়াজ স্নাতকোত্তর গবেষণা পুরস্কার ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠন
যুক্তরাষ্ট্রে শাবিপ্রবি শিক্ষকের আত্মহত্যা
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আত্মহত্যা করেছেন।
শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১০ টায় যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় তিনি আত্মহত্যা করেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আলমগীর কবির।
নিহত মাহফুজুর রহমানের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায়। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে শাবিপ্রবির শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পরে চলতি বছরের আগস্টে উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশের বাইরে পাড়ি জমান তিনি।
প্রক্টর ড. আলমগীর কবির বলেন,‘মাহফুজুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডিতে অধ্যয়নরত ছিলেন। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা এখন বলা যাচ্ছে না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গভীরভাবে শোকাহত।
আরও পড়ুন: শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনে আত্মহত্যার চেষ্টা করা গৃহবধূর মৃত্যু
‘আমার লাশ যেন ময়নাতদন্ত না হয়’, চিরকুট লিখে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
গাজীপুরে মেয়েসহ ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে মায়ের আত্মহত্যা
ঢাবিতে রবিবার থেকে সশরীরে ক্লাস শুরু
করোনার কারণে প্রায় ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর আগামীকাল রবিবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সশরীরে ক্লাস শুরু হবে।
গত ৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এর আগে ৫ অক্টোবর কমপক্ষে করোনার এক ডোজ টিকা নেয়া স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলে উঠার অনুমতি দেয় ঢাবি কর্তৃপক্ষ। পরে করোনার সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদেরও ১০ অক্টোবর থেকে হলে উঠার অনুমতি দেয়া হয়।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর উপাচার্যের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিন্ডিকেট সভায় প্রভোস্ট স্টেন্ডিং কমিটি ও একাডেমিক কাউন্সিল আবাসিক হল খোলার সিদ্ধান্ত নেয়।
বাংলাদেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর গত বছরের ২০ মার্চ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: সকল শিক্ষার্থীর জন্য খুলেছে ঢাবির হল, থাকবে না গণরুম
ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস শুরু ১৭ অক্টোবর
সোমবার থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু করছে ঢাবি
শাবিপ্রবিতে করোনার টিকাদান শুরু
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথমবারের মতো সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আবাসিক হল খোলার আগেই শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া শুরু হয়েছে।
শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে স্থাপিত অস্থায়ী কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, করোনা মহামারির কারণে বিপর্যস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। প্রায় দুই বছর পর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার উদ্দেশ্যে সব শিক্ষার্থীর টিকা গ্রহণ নিশ্চিত করতে এবং শিক্ষার্থীদের বরণ করার প্রথম ধাপ হিসেবে শনিবার থেকে টিকা কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হলো। চলতি মাসের ২৫ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেয়া হবে এবং আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে ক্লাস ও পরীক্ষা চালু করা হবে। সবাইকে এই সময়ের মধ্যে টিকা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির আবাসিক হল খুলছে ২৫ অক্টোবর
এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিলেট সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রথম দিন স্নাতকোত্তর ও স্নাতক চতুর্থ বর্ষের নিবন্ধনকৃত শিক্ষার্থীদের তিনশ’ জন টিকা পাবেন। পরে কারা টিকা পাবে তা নোটিশের মাধ্যমে জানিয়ে দিবে কর্তৃপক্ষ। টিকা নিতে আসা শিক্ষার্থীদের টিকা নিবন্ধনের মূল কপি বা ফটোকপি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড এর সাথে নিয়ে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
টিকা গ্রহণকারী প্রথম শিক্ষার্থী হাবিবুল হাসান রিজভী বলেন,করোনার শুরু থেকে উপাচার্য স্যারের নেতৃত্বে অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম চালু, করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব স্থাপন, শিক্ষার্থীদের জন্য আইসোলেশন কেন্দ্রের ব্যবস্থাসহ সবশেষ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় করোনা টিকার ব্যবস্থা করায় আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। উপাচার্য স্যারের বিশেষ আন্তরিকতায় আমরা ফাইজারের টিকা নিতে পেরেছি।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. জহির বিন আলম , ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. জহীর উদ্দিন আহমেদ, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবীর, শাহপরান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান, মেডিকেল সেন্টারের প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন, রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ হাবিবুর রহমানসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি ও সোনালী ব্যাংকের ১০০ কোটি টাকার এমওইউ স্বাক্ষর
করোনায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আগামী ২৫ অক্টোবর শাবিপ্রবির আবাসিক হল খুলছে। তার ১০ দিন আগে থেকেই শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।