������������������
ইবি শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণ শুরু
করোনাভাইরাসের টিকা নিতে শুরু করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করে নিজ নিজ এলাকায় টিকা নিচ্ছেন তারা।
বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে নিজ এলাকা নাটোর থেকে টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী মশিয়ার রহমান।
তিনি বলেন, 'টিকা নিতে কিছুদিন আগে অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরম পূরণ করি। পরে নির্দেশনা মোতাবেক সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করি। বিভাগে আমার শিক্ষাবর্ষের প্রথম শিক্ষার্থী হিসেবে আজ টিকা গ্রহণ করলাম। নিজের মধ্যে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছে। দ্রুত টিকা কার্যক্রম শুরু করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।'
পঞ্চগড় থেকে টিকা নিয়েছেন বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদুর রহমান।
আরও পড়ুন: শাবির অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকা নিতে তথ্য দেয়ার আহ্বান
তিনি বলেন, ‘সরকারের কার্যকরী সিদ্ধান্তের সাথে তাল মিলিয়ে টিকা গ্রহণ করলাম। শুধু এটাই যথেষ্ট মনে হচ্ছে না। নিজের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার দিকে নিজেকে আরও বেশি খেয়াল রাখতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি আরও বেশি জোরালো করতে হবে।’
এর আগে গত ২ জুলাই ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা অ্যাপে এনআইডি নম্বরসহ নিবন্ধনের নির্দেশ দেয় ইবি কর্তৃপক্ষ। তবে নির্দেশনার পর সঠিক তথ্য পূরণ করে বারবার নিবন্ধনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় শিক্ষার্থীরা।
এনিয়ে গত ৫ জুলাই 'ইবিতে টিকার নিবন্ধনে জটিলতা, বিপাকে শিক্ষার্থীরা' শিরোনামে একটি দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। পরে গত ১১ জুলাই ইউজিসির নির্দেশনা মোতাবেক নিবন্ধনকৃত শিক্ষার্থীদের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে ইবি কর্তৃপক্ষ। তালিকায় যেসব শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ নেই তাদের পুনরায় ওয়েবাসাইট থেকে নিবন্ধনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার, টিকা সরবরাহকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আশা করছি দ্রুততম সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনা হবে।’
আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে ফেসবুকে ‘সুখবর’ দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শিগগিরই আসছে ফাইজারের ৬০ লাখ ডোজ টিকা
তিনি বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত তালিকায় যাদের নাম নেই কিংবা ইতিপূর্বে যারা নিবন্ধন করেনি তাদের দ্রুততম সময়ে নির্ধারিত গুগল ফর্মে নিবন্ধন করতে বলা হচ্ছে। যাদের জাতীয়পরিচয় পত্র নেই তারা আপাতত নিবন্ধন করতে পারছে না। সে ব্যপারে সরকারি সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছি। সিদ্ধান্ত এলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
শাবির অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকা নিতে তথ্য দেয়ার আহ্বান
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকা নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্যে শাবিপ্রবির সকল বিভাগের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নাম্বারসহ তালিকা আগামী ১৬ জুলাইয়ের মধ্যে ইংরেজি ফন্টে বা বাংলা নিকষ ফন্টে এক্সেল ছকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবরে সফট কপি ও হার্ড কপি প্রেরণ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে যে সকল বিভাগ থেকে ইংরেজি ফন্টে বা বাংলা নিকষ ফন্টে এক্সেল ছকে পাঠানো হয়েছে তাঁদের আর পাঠানোর প্রয়োজন নাই।
আরও পড়ুন: হেনস্তার অভিযোগে শাবিপ্রবির সেই ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বলেন, সকল শিক্ষার্থীর টিকা নিশ্চিত করতে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রথমে আবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকার জন্য তথ্য নেয়া হয়েছিল। এ পর্যায় সকল অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের তথ্য নেয়া হচ্ছে। তবে আবাসিক শিক্ষার্থীদের যারা বাদ পড়েছে তাদের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা এখনো আসেনি।
আরও পড়ুন: শাবিতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় ‘সাস্ট মনের কথা’
শাবিপ্রবি উপাচার্য পদে ফের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ
করোনায় প্রাণ গেল ইবি শিক্ষার্থীর
করোনা আক্রান্ত হয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী শিব্বির আহমেদ মারা গেছেন। তিনি বিভাগের মাস্টার্স ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন বিভাগের অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন।
জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার মৃত মোহাম্মদ সোলায়মান আলীর ছেলে শিব্বির। তিনি পড়াশুনার পাশাপাশি কুষ্টিয়া শহরের লাহিনী পাড়ার এক মসজিদে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৫ দিন আগে তার শরীরে জ্বর, সর্দিসহ করোনার উপসর্গ দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: বিশ্বে মৃত্যু ৪০ লাখ ১৭ হাজার ছাড়াল
অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় তিনি গ্রামের বাড়িতে চলে যান। পরে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে করোনা পরীক্ষা করা হয়। গত ১ জুলাই রিপোর্টে পজিটিভ আসে। অবস্থার অবনতি দেখে ২ জুলাই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শনিবার সকাল ৮টার দিকে গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় করোনা ও উপসর্গে একদিনে সর্বোচ্চ ২২ মৃত্যু
কুষ্টিয়াতে একদিনে করোনায় আরও ১৭ মৃত্যু
করোনা স্বাভাবিক না হলে গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা নয়, শিগগিরই নতুন সিদ্ধান্ত
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সদস্য সচিব ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘গুচ্ছ পরীক্ষা নিয়ে আপাতত কোন সিদ্ধান্ত নেই আমাদের। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমরা কোন সিদ্ধান্তে যেতে পারছি না৷ খুব শিগগিরই সবাইকে নিয়ে একটি অনলাইন মিটিং ডাকা হবে। তখন কোন সিদ্ধান্ত আসলে জানিয়ে দেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: জবির নতুন ভিসি ড. ইমদাদুল হক
এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ছাদেকুল আরেফিন বলেন, আমরা খুব শিগগিরই অনলাইনে একটি মিটিং ডাকবো এবং সকল সিদ্ধান্ত মিটিং এর উপর ভিত্তি করেই নেয়া হবে। তাছাড়া আমাদের প্রাথমিক আবেদন শেষ হয়েছে সিলেকশন রেজাল্ট প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্লাড ক্যান্সারে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে নাগাদ সিলেকশন এর ফলাফল প্রকাশ করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আর আমরা মিটিং এর আগে কিছু জানাতে পারছি না।
প্রসঙ্গত, দেশে চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় গত ১৯ জুন থেকে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হওয়া কথা থাকলেও, গত ১১ জুন তা স্থগিত করা হয়।
সাইবার যুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধীদের পরাজিত করার আহ্বান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সামনে আরেকটি যুদ্ধ অপেক্ষমান। আর সেটি হচ্ছে সাইবার যুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি সাইবার জগতে নানা মিথ্যা ও অপপ্রচার চালিয়ে আমাদের মহান স্বাধীনতার অর্জনকে ধূলিস্যাৎ করতে চাইছে। সরকারের বিরুদ্ধে ভূয়া ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। এদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে ডিজিটাল যোদ্ধা হিসেবে এই অপশক্তিকে সাইবার যুদ্ধে পরাজিত করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে এলআইসিটি প্রকল্প আয়োজিত আমার মুজিব ক্যাম্পেইনের আওতায় ‘আমাদের মুজিব’ শীর্ষক রচনা ও ‘মুজিবের কাছে চিঠি’ লেখা প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ডিজিটাল প্লাটফর্মে সংযুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
তরুণ প্রজন্মকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত ও দেশপ্রেম জাগ্রত করা, সুনাগরিক এবং দায়িত্বশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে আমার মুজিব ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) এলআইসিটি প্রকল্পের জনপ্রিয় প্লাটফর্ম ‘দুর্বার’এর মাধ্যমে।
বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী নিজেদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবন ও আদর্শ অনুসরণ করার আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধুর মানবিকতা, শোষণ-বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সংগ্রাম, সাহস, দূরদর্শিতা ও নৈতিকতার গুণাবলির মধ্যে নিহিত রয়েছে একজন আদর্শ মানুষ হওয়ার শিক্ষা।
পলক বলেন, যিনি বঙ্গবন্ধু মুজিবের লেখা তিনটি বই- ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী,’ ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও ‘আমার দেখা নয়াচীন’ পড়বেন তিনি মূল্যবোধ ও নৈতিকতার শিক্ষা পাবেন। তিনি ‘মুজিব গ্রাফিক নভেল’ কে প্রাথমকি স্কুল পর্যায়ে পড়ার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ জানান।
বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, এলআইসিটি প্রকল্পের আইটি-আইটিইএস পলিসি এডভাইজার সামি আহমেদ, বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, বাক্কো’র মহাসচিব তৌহিদ হোসেন, ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার, বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা আরিফুল হাসান অপু, উই ফোরামের সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা। অনুষ্ঠানে ‘মুজিবের কাছে চিঠি’ লেখা প্রতিযোগিতায় ৯ম ও ১০ম শ্রেণি ক্যাটেগরিতে চ্যাম্পিয়ন নন্দী মজুমদার বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তাঁর চিঠিটি পড়ে শোনান। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন এলআইসির প্রকল্পের ডিজিটাল কমিউনিকেশন বিশেষজ্ঞ হাসান বেনাউল ইসলাম।
উল্লেখ্য, সর্বমোট ৮১৪ রচনা এবং ৩৪১টি চিঠি বিচারকমন্ডলীর মাধ্যমে বাছাই করে শ্রেণিভিত্তিক বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে মোট ১৫ জনকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। এর মধ্যে ৯ জন রচনায় এবং ৬ জন চিঠিতে। মুজিবের কাছে চিঠি লেখা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা হলেন: ১ম ও ২য় শ্রেণি ক্যাটেগরিতে ব্রাম্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ মডেল একাডেমির ফাইজা তাবাসসুম নুসরাত (চ্যাম্পিয়ন) ও ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নওশীন আজাদ (রানার আপ), ৪র্থ থেকে ৫ম শ্রেণি ক্যাটেগরিতে রংপুরের শঠিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লামিয়া মারজান (চ্যাম্পিয়ন) ও সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নিহাল আহমদ ও মতিঝিল সরকারি মডেল স্কুল থেকে মেধা সরকার (যুগ্মভাবে রানার আপ), ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি ক্যাটেগরিতে ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের রণিত অধিকারী (চ্যাম্পিয়ন) ও ঢাকার বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ থেকে সাফওয়ান আজমাঈন (রানার আপ), ৯ম থেকে ১০ম শ্রেণি ক্যাটেগরিতে গোপালগঞ্জের সরকারি কোটালীপাড়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশনের নন্দী মজুমদার (প্রথম) ও ঢাকার রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের মো. মুনতাজিম রহমান সায়মন (রানার আপ) এবং আমাদের মুজিব রচনা প্রতিযোগিতায় একাদশ থেকে দ্বাদশ ক্যাটাগরিতে বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের তাসনীম তিশা (চ্যাম্পিয়ন) ও ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্রান্ড কলেজের ইকরা আলম রেজা এবং একই প্রতিষ্ঠানের অথৈ দাস শৈতী (যুগ্মভাবে রানার আপ) এবং স্নাতক ১ম ও শেষ বর্ষ ক্যাটেগরিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. সাগর হোসেন চ্যাম্পিয়ন ও ঢাকা কলেজের আল মামুন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল কাইউম যুগ্মভাবে রানার আপ ।
উল্লেখ্য, ১৫ জন বিজয়ীদের মধ্যে ৮ জনই মেয়ে এবং তূলনামূলকভাবে ঢাকার বাইরের অংশগ্রহণকারীরা অনেক ভালো করেছে।
শতবর্ষ পেরিয়ে ১০১-এ পদার্পণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
দেশের অন্যতম প্রাচীন বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১০১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) ঢাবি শতবর্ষ পেরিয়ে ১০১ বছরে পদার্পণ করল।
১৯২১ সালের ১ জুলাই প্রায় ৬০০ একর জমির ওপর গড়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠাকালে তিনটি অনুষদ, ১২টি বিভাগ ও তিনটি আবাসিক হল নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। প্রথম শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন বিভাগে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৮৭৭ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা ছিল মাত্র ৬০ জন।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত
এই শতবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে কলেবর বেড়েছে। এখন ঢাবিতে বিভাগ ৮৪টি এবং ইনস্টিটিউট ১৩টি। শিক্ষক রয়েছে ১ হাজার ৯৯২ জন ও শিক্ষার্থী ৩৭ হাজার ১৮ জন। ৫৬টি গবেষণাকেন্দ্র হয়েছে।
এ ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠানের আনাচকানাচে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে রয়েছে ইতিহাস, রচিত হয়েছে ইতিহাসের নানা অধ্যায়। বটতলা, মধুর ক্যানটিন, কলাভবন, শহীদ মিনার এমন কোনও জায়গা নেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের, যেখানে বাঙালি ও বাংলাদেশের ইতিহাস তার কোনও পর্ব উন্মোচন করেনি।
আরও পড়ুন: পালিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের ইতিহাসের সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ১৯৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই প্রতিষ্ঠানটি। এসকল আন্দোলনে অসংখ্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।
১৯১৭ সালে সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী তৎকালীন ব্রিটিশ-ভারতের আইন সভা Imperial Legislative Council-এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও নিবন্ধনের জন্য আইন প্রণয়নের উদ্দেশে একটি বিল উত্থাপন করেন। পরে এটি পাস হয় ১৯২০ সালের ২৩ মার্চ ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ১৯২০’ নামে, যার অধীনে পূর্ব বাংলার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে আজ থেকে ১০০ বছর আগে ১৯২১ সালের ১ জুলাই।
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পেছনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন ঢাকার চতুর্থ নবাব, ব্রিটিশ রাজত্বের সময়কার উপমহাদেশের অন্যতম রাজনীতিবিদ, পূর্ব বাংলার শিক্ষা বিস্তারের অগ্রদূত স্যার খাজা সলিমুল্লাহ।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই স্বায়ত্তশাসন লাভ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
শাবিপ্রবি উপাচার্য পদে ফের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্য হিসেবে আগামী চার বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।বুধবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোঃ নূর-ই-আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। তিনি প্রথম মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরপরই এ দায়িত্ব পালন শুরু করবেন ।
আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়লো ৩১ জুলাই পর্যন্ত
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম উপাচার্য হিসেবে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। উপাচার্যের দায়িত্বগ্রহণের আগে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ একাধারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্বসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে শাবিপ্রবির ১২তম উপাচার্য হিসেবে যোগ দিবেন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: জাবিতে বরাদ্দ বেড়েছে গবেষণায়, কমেছে চিকিৎসায়
এদিকে দ্বিতীয় মেয়াদে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করায় শিক্ষা, গবেষণা, সাফল্য ও অবকাঠামো উন্নয়নে শাবিপ্রবি একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে বলে আশাব্যক্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োজিত একাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা।
নতুন প্রো-ভিসি পেল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রো-ভিসি পদে নিয়োগ পেয়েছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান।
বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মাহমুদুল আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়লো ৩১ জুলাই পর্যন্ত
ইবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এম আতাউর রহমান জানান, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর এম আবদুল হামিদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুসারে এই নিয়োগ দিয়েছেন।
মাহবুবুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করতে চাই।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ আইসিটি কম্পিটিশনের দ্বিতীয় পর্বে ১২৭ শিক্ষার্থী
গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান প্রো-ভিসি পদে মেয়াদ পূর্ণ করলে পদটি শূণ্য হয়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়লো ৩১ জুলাই পর্যন্ত
করোনা পরিস্থিতির অবনতির কারণে দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এবতেদায়ি ও কওমি মাদ্রাসাসমূহের চলমান ছুটি আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত শিগগিরই : শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এম এ খায়ের বলেন, সারাদেশে করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি কারণে এবং কঠোর লকডাউনের মধ্যে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গত ২৬ মে সরকার ১৩ জুন থেকে দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বিশেষ করে প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু দেশে বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে করোনা পরিস্থিতির অবনতির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
দেশে কোভিড -১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি ইবতেদায়ি ও কওমী মাদ্রাসার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য থাকবে।
আরও পড়ুন: ‘ব্লেন্ডেড এডুকেশন সিস্টেম’ চালু করার কথা ভাবছে সরকার: শিক্ষামন্ত্রী
গত বছরের ১৬ মার্চ করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে সরকার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। এরপর কোনও ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়নি। বেশ কয়েকবার ছুটি বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ছুটি ছিল ৩০ জুন পর্যন্ত।
জাবিতে বরাদ্দ বেড়েছে গবেষণায়, কমেছে চিকিৎসায়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ অর্থবছরে ২৬৬ কোটি ২৪ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদিত হয়েছে যা বিগত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা কম।
বাজেটের আকার কমলেও বরাদ্দ বেড়েছে গবেষণা খাতে। গত বছর গবেষণা খাতে বরাদ্দ ছিল ৩ কোটি, যা এবারের অর্থ বছরে ১ কোটি বেড়ে হয়েছে ৪ কোটি।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে জাবি শিক্ষক বরখাস্ত
এবারের বাজেটে উপেক্ষিত হয়েছে চিকিৎসা খাত। চিকিৎসা খাতে বাজেট ধরা হয়েছে ২ কোটি ৬৩ লাখ ১ হাজার টাকা, যা গত বছর ছিল ৩ কোটি ৭১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। এবারের বাজেটে এই খাতে কমেছে ১ কোটি ৮ লাখ ৭২ হাজার টাকা।
বাজেটে ২৩৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা দিবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সূত্র হতে আয় ২৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। বাজেটে সর্বোচ্চ ব্যয় ধরা হয়েছে শিক্ষক বেতন ও বিভাগ খরচ খাতে যা ৯৩ কোটি ২৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে থাকা পেনশন ও প্রশাসনিক খাতে বরাদ্দ যথাক্রমে ৩৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা এবং ৩১ কোটি ৮৫ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। গত অর্থবছরে চিকিৎসা ব্যয় ছিল ৩ কোটি ৭১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা, যা এ বছরে কমে হয়েছে ২ কোটি ৬৩ লাখ।
রবিবার অনলাইন মাধ্যমে অনুষ্ঠিত বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের সভাপতিত্বে এই বাজেট অনুমোদিত হয়।
আরও পড়ুন: পরীক্ষার দাবিতে আমরণ অনশনে জাবির দুই শিক্ষার্থী
অধিবেশনে ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত এবং ২০২১-২২ অর্থ বছরের মূল বাজেট উপস্থাপন করেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক।