������������������
জবির নতুন ভিসি ড. ইমদাদুল হক
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পঞ্চম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও ডিন ড. মো. ইমদাদুল হক।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের অনুমোদিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মাহমুদুল আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, উপাচার্য হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ চার বছর। তবে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তিনি নিয়মিত চাকরির বয়সপূর্তিতে মূল পদে প্রত্যাবর্তনপূর্বক অবসর গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন শেষে আগের পদের মেয়াদের অবশিষ্ট সময় পূর্ণ করবেন। তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি পাবেন, বিধি অনুযায়ী পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে হবে।
এছাড়া রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞানের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ. কে. এম. সিরাজুল ইসলাম খান। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অধ্যাপক আবু হোসেন সিদ্দিক দ্বিতীয় উপাচার্য হিসেবে একবছর দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদকে তৃতীয় উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ওই বছরের ১৯ মার্চ অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানকে চার বছরের জন্য চতুর্থ উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। প্রথম মেয়াদ শেষে ২০১৭ সালে তাকে পুনরায় দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ দেয়া হয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি মশিউর রহমান
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমানকে আগামী চার বছরের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযুক্ত করেছেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ।
রবিবার শিক্ষামন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ উপাচার্য নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯২ এর ১১ (১) ধারা অনুসারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমানকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুরের ভাইস চ্যান্সেলর পদে আগামী চার বছরের জন্য নিয়োগ করা হলো।
আরও পড়ুন:জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ড. মশিউর রহমান এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হওয়া ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে বিএসএস (সম্মান) ও এমএসএস উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন। তিনি সুইডেনের লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন।
আরও পড়ুন:স্থগিতাদেশ বাতিল করে পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে মহাসড়কে ববি শিক্ষার্থীরা
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র আরও জানায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজতত্ত্ব বিভাগে ড. মশিউর রহমানের শিক্ষকতা জীবন শুরু। তার পিএইচডি গবেষণাকর্ম সুইডেনের লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত হয়। এছাড়া তার অনেক গবেষণা প্রবন্ধ দেশ-বিদেশে বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়।
তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন, ডেনমার্ক, চীনসহ বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন:নীলক্ষেত মোড়ে দ্বিতীয় দিনের মতো শিক্ষার্থীদের অবস্থান
ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার মিরহার গ্রামের কৃতি সন্তান ড. মশিউর রহমান স্কুল জীবন থেকেই রেডক্রস, স্কাউটিং, বিতর্কসহ নানা দায়িত্ব ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। তার বাবা মো. তোফাজ্জল হোসেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে সিলেটে মশাল মিছিল
স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে সিলেটে মশাল মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে মশাল মিছিলটি বের হয়ে সিটি পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে শহীদ মিনারের সামনে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ৩০ মে রবিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ এবং পরের দিন প্রতীকী ক্লাস কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির মশাল মিছিল
সমাবেশে বক্তারা জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে গত প্রায় দেড় বছর ধরে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বারবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার তারিখ ঘোষণা করা হলেও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। অথচ সকল কিছুই স্বাভাবিক নিয়মে চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সেশনজট তৈরি হয়েছে। ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকায় চাকরির ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ার শঙ্কায় শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে ভালো নেই। শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে থাকায় মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ারও আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘গ্রামের প্রাইমারি স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত হাজার হাজার শিক্ষার্থী ঝড়ে যাচ্ছে। যেখানে অফিসার-কর্মচারী সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস করছে, তাহলে শিক্ষার্থীরা কেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস করতে পারবে না। তাই জুনের প্রথম দিনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি আমরা।’
এসময় তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার দাবিও জানান।
আরও পড়ুন: দোকান খুলে দেয়ার দাবিতে বগুড়ায় ব্যবসায়ীদের মিছিল-সমাবেশ
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মদনমোহন কলেজের শিক্ষার্থী সাকিব রানার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী রাজু শেখ, লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী বিশাল দেব, এমসি কলেজের শিক্ষার্থী সুরাইয়া পারভিন আখি, লিডিং ইউনিভার্সিটির নাহিদ হাসান প্রান্তিক প্রমুখ।
শাবিতে অনলাইনে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ
করোনা মহামারির কারণে আটকে থাকা বিভিন্ন বর্ষের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনলাইনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ বর্ষের স্থগিত পরীক্ষা আগামী ১৫ জুন এবং প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা ১ জুলাই থেকে শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ১৬৫তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার পরীক্ষার ধরন, পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয় ঠিক করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেনকে সদস্য সচিব করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: করোনা: এক বছরে শাবির ল্যাবে ৫৮ হাজার ৫৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা
পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে আমরা প্রতিটি কোর্সের পরীক্ষা নিবো দু'টি ভাগে। অর্থাৎ প্রতিটি কোর্সে একটি ক্রিয়েটিভ অ্যাসেসম্যান্ট ও একটি ভাইবা থাকবে। মোট ৭০ নম্বরের এই পরীক্ষায় ৩০ থাকবে ক্রিয়েটিভ অ্যাসেসম্যান্টে ও বাকি ৪০ নাম্বার থাকবে ভাইবায়।
তিনি বলেন, ক্রিয়েটিভ অ্যাসেসম্যান্টের জন্য জুম অ্যাপ, গুগল ক্লাস রুম ও অন্যান্য অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে নির্দিষ্ট তারিখে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের একটি প্রশ্নপত্র সরবরাহ করবেন। প্রশ্নপত্র সমাধানের জন্য সময় দেয়া হবে ১২ ঘণ্টা এবং প্রশ্নের উত্তর হাতে লিখতে হবে। নির্দিষ্ট সময় শেষে উত্তরপত্রের ছবি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তুলে অনলাইন প্লাটফর্ম জুম অ্যাপ বা গুগল ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীদেরকে আপলোড করতে হবে।
আরও পড়ুন: করোনা: শাবির ল্যাবে দশ মাসে ৪৫ হাজার ৮৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা
অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মূলত শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে যাচাই করার জন্য আমরা ভাইবা রেখেছি এবং এটি অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে। ক্রিয়েটিভ অ্যাসেসম্যান্ট জমা দেয়ার পর যে কোন দিন ওই কোর্সের ভাইবা হতে পারে। আমরা বিভাগগুলোকে দায়িত্ব দিয়েছি তারা ঠিক করবে কবে ভাইবা নিলে তাদের এবং শিক্ষার্থীদের সুবিধে হয়।
এদিকে অনার্স এবং মাস্টার্স শেষ বর্ষের কিছু বিভাগের শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র ভাইবা ছাড়া আর কোন পরীক্ষা বাকি নেই তাদের ক্ষেত্রে কি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের ভাইবা সরাসরি অপলাইনে নেয়া হবে। এ বিষয়ে বিভাগগুলোকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা সিদ্ধান্ত নিবে।
গত বছর ৩১ মার্চ থেকে অনলাইনে ক্লাস করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। অনলাইনের মাধ্যমে দুই সেমিস্টারের ক্লাস সম্পন্ন করেছেন তারা। করোনাকালীন সময়ে চলতি বছরের শুরুতে অনার্স শেষ বর্ষ ও মাস্টার্সের পরীক্ষা সরাসরি শুরু হলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের কারণে তা শেষ করা সম্ভব হয়নি। তবে এবার অনলাইনেই সবার পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুন: শাবি শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে আওয়ামীপন্থীদের দ্বিমুখী লড়াই
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) আইন ১৯৯০ এর (১১)১ ধারা অনুযায়ী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেনকে ৪ বছর মেয়াদে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) নিযুক্ত করেছেন রাষ্ট্রপতি ও আচার্য মোঃ আবদুল হামিদ খান।
সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ আদেশ জারি করা হয়। ড. মাহমুদ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ভিসি এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকে নিযুক্ত দ্বিতীয় ভিসি হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।
উপাচার্য ড. মাহমুদ হোসেন মঙ্গলবার সকাল ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছে রেজিস্ট্রার কার্যালয়।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু
উল্লেখ্য, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান এর মেয়াদ গত ২৮ জানুয়ারি শেষ হয়। এ হিসেবে প্রায় ৪ মাস পর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পেলো নতুন উপাচার্য।
ড. মাহমুদ ১৯৯৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বনবিদ্যায় স্নাতক (সম্মান), ১৯৯৮ সালে মালয়েশিয়ার পুত্রা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যানগ্রোভ ইকোলজিতে স্নাতকোত্তর এবং ২০০৪ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৯৯ সালে তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। ২০০১ সালে তিনি সহকারী অধ্যাপক, ২০০৫ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০০৯ সাল থেকে ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনে অদ্যাবদি অধ্যাপক পদে দায়িত্বরত আছেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবীতে সিলেটে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
তাঁর ১০৫টি গবেষণা নিবন্ধ আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৩টি, ও অনুবাদ ২টি। এছাড়াও দেশি ও বিদেশি সংস্থার অর্থায়নে ২৬টি গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন তিনি। তাঁর উদ্যোগ ও নেতৃত্বে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের মধ্যে প্রথম সয়েল আর্কাইভ স্থাপন করা হয়েছে।
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল বাতিল চেয়ে রিট
২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ‘ত্রুটিপূর্ণ’ ফল বাতিল করে নতুন মেধা তালিকা প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
বুধবার ফেরদাওস জাহান মারিয়াসহ ৩২৪ পরীক্ষার্থীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার এ রিট দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: রবিবারের এমবিবিএসের চূড়ান্ত পেশাগত পরীক্ষা স্থগিত
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও পরিচালক এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে এ রিটের শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী পল্লব।
আরও পড়ুন: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে রিট খারিজ
এর আগে মঙ্গলবার পরীক্ষার্থীদের পক্ষে এই ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বাতিল চেয়ে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার এ নোটিশ পাঠান। কিন্তু নোটিশের প্রেক্ষিতে কোন সাড়া না পেয়ে এই রিট করা হয়।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি মেনে এমবিবিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: মন্ত্রী
রিটে বলা হয়েছে, গত ৪ এপ্রিল প্রকাশিত ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলে অসংখ্য ভুল এবং বড় ধরনের অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্রচারিত ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম অনুযায়ী একজন পরীক্ষার্থী কোনো মেডিকেল কলেজে ভর্তি থাকা অবস্থায় তিনি যদি দ্বিতীয় বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন তবে তার মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৭.৫ নম্বর কর্তন করা হবে। আবার কোনো পরীক্ষার্থী যদি গত বছর এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে থাকে তাহলে তার ৫ নম্বর কাটা যাবে।
কিন্তু প্রকাশিত ফলে দেখা যায়, অনেক পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রেই এই নিয়মটি পালন করা হয়নি। যেসব পরীক্ষার্থীর ৭.৫ নম্বর কর্তন করার কথা সেখানে মাত্র ৫ নম্বর কর্তন করা হয়েছে। ফলে ওইসব ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ২.৫ নম্বর বেশি দিয়ে মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। আবার প্রথমবার পরীক্ষায় যেখানে কোনো নম্বর কাটার কথা নয় সেখানে অনেক পরীক্ষার্থীর ৫ নম্বর কর্তন করে মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে।
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত পাঠ্যপুস্তক অনুযায়ী অন্তত দুটি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের সঠিক উত্তর ছিল দুটি করে। সেই সঙ্গে অন্তত তিনটি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের কোনো সঠিক উত্তর ছিল না।
সংরক্ষিত জেলা ও উপজাতি কোটার আসন পূরণেও ব্যাপক অসঙ্গতি করা হয়েছে। ঢাকা জেলা কোটা আবেদনকারী পরীক্ষার্থীকে দেখানো হয়েছে মেহেরপুর জেলার পরীক্ষার্থী হিসেবে। উপজাতি কোটায় সংরক্ষিত আসনে অসংখ্য সাধারণ ছাত্রছাত্রীকে নির্বাচিত করা হয়েছে।
এসব ত্রুটি ও অসঙ্গতি রেখে মেধা তালিকা প্রণয়ন করার ফলে হাজার হাজার যোগ্য ও মেধাবী পরীক্ষার্থী মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি হওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ার মুখে পড়েছেন।
এসব কারণে প্রকাশিত ফল বাতিল করে এবং এসব ত্রুটি ও অসঙ্গতি সংশোধন করে নতুন মেধা তালিকা প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার অনুরোধ করলেও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। বরং ত্রুটিপূর্ণ মেধাতালিকার ভিত্তিতেই মেডিকেল কলেজগুলোতে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে আগামী ২২ মে থেকে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর ভর্তি কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে।
রিটে বলা হয়, যে ত্রুটিপূর্ণ মেধা তালিকার ভিত্তিতে মেডিকেল কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর অর্থই হলো প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীকে বঞ্চিত করা। তাদের আজীবন লালিত আকাঙ্ক্ষা চিকিৎসাকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত করা। সেই সাথে দেশের সামগ্রিক জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়া, যা বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭, ৩১, ৩২ ও ৪০ এর পরিপন্থী।
করোনা: এক বছরে শাবির ল্যাবে ৫৮ হাজার ৫৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবে গত বছর এই দিনে নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হয়। এক বছরে ৫৮ হাজার ৫৪১ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এসব পরীক্ষার প্রতিবেদনে ৯ হাজার ৫২৭ জন রোগীকে করোনা পজিটিভ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ২৭ শতাংশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবের সবশেষ তথ্য থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ল্যাব সূত্র জানায়, বর্তমানে সিলেট বিভাগের চার জেলার সর্বত্র এবং সিলেট শহরের সকল বেসরকারি হাসপাতাল ও সবকয়টি উপজেলা থেকে সংগৃহীত নমুনা শাবিপ্রবির ল্যাবে পরীক্ষা করানো হয়। এছাড়াও সিলেট অঞ্চলের বিদেশ ফেরত সকল যাত্রীদের নমুনা পরীক্ষা এই ল্যাবে করানো হয়।
আরও পড়ুন: করোনা: শাবির ল্যাবে দশ মাসে ৪৫ হাজার ৮৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা
এছাড়া করোনা শনাক্তকরণ ছাড়াও ল্যাবের গবেষক দল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কেন্দ্রের অর্থায়নে কোভিড-১৯ এর ভাইরাস নিয়ে গবেষণা কাজ অব্যাহত রেখেছে। গবেষক দলটি ইতোমধ্যে সিলেট বিভাগের ৪ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করে জিন বিন্যাস (জিনোম সিকোয়েন্স) উন্মোচন করেন।
উন্মোচিত জিন বিন্যাস থেকে ১০টি (সুনামগঞ্জ-৫ ও হবিগঞ্জ-৫) নমুনার জিন বিন্যাস গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটাবেইজে (জিআইএসএআইডি) জমা দেন। যা ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের সহযোগীতায় শাবিপ্রবির ল্যাবে করোনাভাইরাসের (জিনোম সিকোয়েন্স) গবেষণার কাজ চলমান রয়েছে।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. শামসুল হক প্রধান বলেন, উন্নত দেশগুলোর মতো আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি এই সিলেট বিভাগের মানুষদের সেবা (কমিউনিটি সার্ভিস) দিতে পেরে আন্তরিকভাবে গর্বিত। এই এক বছরে আমাদের ল্যাবের কার্যক্রমে বড় অর্জন "আস্থা ও নির্ভরযোগ্যতা"।
তিনি বলেন, আমাদের জিইবি বিভাগের শিক্ষার্থীদের জিনোম ও জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল ডিএনএ-আরএনএ নিয়ে গবেষণার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকায় নমুনা পরীক্ষায় স্বচ্ছতা ও নির্ভরতার বিষয়টি থাকছে শতভাগ। এখন পর্যন্ত ফলাফল প্রকাশে কোনো ধরনের ভুলত্রুটি ধরা পড়েনি। আমাদের ছেলেরা বড় বড় উৎসবের বিশেষ করে পরপর তিনটি ঈদের দিনও ল্যাবের কার্যক্রম চালু রেখেছে। ল্যাবের মেইনটেনেন্স ছাড়া একদিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়নি। প্রথমদিকে আপদকালীন হলেও এখন স্থায়ীভাবে এই ল্যাবে সংশ্লিষ্ট সকলেই সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সরকারের র্ধ্বতন মহলের প্রতি আহ্বান রাখবো আমাদের এই জিইবি বিভাগের যারা কাজ করছে তাদের স্থায়ী ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নজর রাখতে। আশা রাখছি যতোদিন প্রয়োজন হয় এই সেবা কার্যক্রম চালু থাকবে।
আরও পড়ুন: শাবিতে সিলেটের প্রথম ট্রান্সজেনিক গ্রিনহাউস উদ্বোধন
শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শাবিপ্রবির এই ল্যাব দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষের জন্য একটি আস্থার জায়গা। এই অঞ্চলের মানুষের সেবার মনোবৃত্তি নিয়ে করোনাভাইরাস প্রাদুভার্বের শুরুতে এই ল্যাবটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ল্যাবে যারা কাজ করছেন তারা সবাই আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। সিলেট অঞ্চলের মানবিক সেবায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবের কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। যতদিন এই সেবা প্রয়োজন হবে সিলেটসহ সারা দেশের জন্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সর্বত্র পাশে থাকবে।
গত বছর ১৮ মে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শাবিতে আরটি পিসিআর ল্যাবের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। এরপর থেকে এ ল্যাবে করোনা শনাক্তকরণ কার্যক্রম শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে শিক্ষাভবন ‘ই’-এর জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ২২৫ নম্বর কক্ষে এ ল্যাব চালু করা হয়। ল্যাবের তত্ত্বাবধানে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ।
এর আগে, মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সংক্রমণ নির্ণয়ের জন্য ২০২০ সালের ৯ এপ্রিল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যানিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের জন্য পিসিআর ল্যাব চালুর অনুমোদন দেয় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: শাবি শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে আওয়ামীপন্থীদের দ্বিমুখী লড়াই
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটিও বাড়ল ২৯ মে পর্যন্ত
দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান ছুটি আগামী ২৯ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
রবিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে অতি সম্প্রতি চলমান কোভিড ১৯ অতিমারিতে সংক্রমনের ঊধ্বগতি পরিলক্ষিত হওয়ায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিবেচনায় এবং কোভিড ১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সাথে পরামর্শক্রমে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান ছুটি আগামী ২৯ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, এই সময়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ল
এর আগে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ২৯ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
শনিবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে অতি সম্প্রতি চলমান কোভিড-১৯ অতিমারিতে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হওয়ায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিবেচনায় এবং কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সাথে পরামর্শক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনের ছুটি বাড়ল ২৯ মে পর্যন্ত
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য আগামী ২৯ মে পর্যন্ত সকল ধরনের সরকারি/ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনের চলমান ছুটি বাড়ানো হয়েছে।
রবিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞতিতে বলা হয়, এ সময়ে নিজেদের ও অন্যদের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞতিতে আরও জানানো হয়, প্রাধনমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনা ও অনুশাসনসমূহ শিক্ষার্থীদের মেনে চলতে হবে। শিক্ষার্থীদের বাসস্থানে অবস্থানের বিষয়টি অভিভাবকরা নিশ্চিত করবেন এবং স্থানীয় প্রশাসন তা নিবিড়ভাবে পরিবীক্ষণ করবেন।
এতে আরও বলা হয়, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা তাদের নিজ নিজ শিক্ষার্থীরা যাতে বাসস্থানে অবস্থান করে ও নিজ নিজ পাঠ্যবই অধ্যয়ন করে সে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অভিবাবকদের মাধ্যমে নিশ্চিত করবেন।
এর আগে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ২৯ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ল
শনিবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে অতি সম্প্রতি চলমান কোভিড-১৯ অতিমারিতে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হওয়ায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিবেচনায় এবং কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সাথে পরামর্শক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ল
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ২৯ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
শনিবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে অতি সম্প্রতি চলমান কোভিড-১৯ অতিমারিতে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হওয়ায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিবেচনায় এবং কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সাথে পরামর্শক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এই সময়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।
বাংলাদেশে গত বছরের ৮ মার্চ করোনা রোগী শনাক্ত হয়। ওই বছরের ১৭ মার্চ থেকে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর এই ছুটি কয়েকদফা বাড়ানো হয়।
মাঝে দেশে করোনার সংক্রমণ কমে আসায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত কয়েকদফার কঠোর লকডাউনের কারণে এবং পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসায় আবারও ছুটি বাড়ানো হলো।
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২ জন মারা গেছেন। এনিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যু ১২ হাজার ১২৪ জনে দাঁড়াল।
শনিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬১ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৭৯৬ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: আরেকদফা বাড়ছে লকডাউন, প্রজ্ঞাপন রবিবার
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় ২৬ জন মারা যায় এবং বৃহস্পতিবার ৩১ করোনায় মৃত্যুবরণ করে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৭৫৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ৬.৯৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনা মহামারির চাদরে মোড়া আরও একটি ঈদ!
নতুন করে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৯৬৪ জন। মোট সুস্থ ৭ লাখ ২১ হাজার ৪৩৫ জন। সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৫২ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৫৫ শতাংশ।