������������������
যৌন হয়রানির অভিযোগে নাদির জুনাইদকে ৩ মাসের বাধ্যতামূলক ছুটি
যৌন হয়রানির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে তিন মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিভাগের করিডোরে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত পড়ে শোনান বিভাগের চেয়ারম্যান আবুল মনসুর আহমেদ।
আরও পড়ুন: ঢাবির নতুন প্রো-ভিসি শিক্ষা অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার
কর্তৃপক্ষের লিখিত সিদ্ধান্তে বলা হয়, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে পাঠদানসংক্রান্ত সব দায়িত্ব ও প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে বিরত থাকতে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে আপনাকে তিন মাসের ছুটি নিতে হবে।’
‘এছাড়া আপনার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বিষয়টি পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় উপস্থাপন করা হবে। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গতকাল একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বর্জনের সিদ্ধান্তের পর দ্বিতীয় দিনের মতো বিভাগের করিডোরে বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো সকাল ১০টা থেকে বিভাগের করিডোরে জড়ো হতে শুরু করেন।
দুপুর সোয়া ২টার দিকে তারা বিক্ষোভ মিছিল করে উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি দিতে যান।
ওই সময় উপাচার্য কার্যালয়ে উপস্থিত না থাকায় তারা মিছিল করে উপাচার্যের বাসভবনে যান। সেখানে বিভাগের চেয়ারপারসন আবুল মনসুর আহমেদ তাদের বিকেল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, উপাচার্য বিদেশি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে আছেন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ৪৫তম বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
আবুল মনসুর আহমদ বলেন, 'বিকেল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, উপাচার্য স্যার নিশ্চিত করেছেন, আপনাদের দাবির বিষয়ে লিখিত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।’
উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে বিক্ষোভের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা অধ্যাপকের অফিস ও বিভাগের শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন।
এর আগে শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও দীর্ঘদিন ধরে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ করেন এক শিক্ষার্থী।
প্রক্টর মো. মাকসুদুর রহমানের কাছে দাখিল করা অভিযোগে প্রেমের প্রস্তাব গ্রহণ না করায় তাকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া, সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে তাকে পর্যবেক্ষণ করা, অসময়ে অনবরত ফোন করা, যৌন ইঙ্গিত দেওয়াসহ নানা অভিযোগ আনা হয়।
এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার রাতে সব ব্যাচের শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে।
রবিবার সকালে বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক আবুল মনসুর আহমেদের কাছে জমা দেওয়া স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা তিনটি মূল বিষয় উত্থাপন করেন: অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্তে জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন, যৌন শিকারীদের জন্য দ্রুত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং তদন্ত চলাকালীন ওই শিক্ষককে সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা।
আরও পড়ুন: ঢাবি অধ্যাপক নাদির জুনায়েদের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই প্রক্টরের পদত্যাগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ড. মো. মোরশেদুল আলম ও অরূপ বড়ুয়া।
ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নূর আহমদ বরাবর এ পদত্যাগপত্র জমা দেন তারা।
আরও পড়ুন: ৩ টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও ৩ উপদেষ্টার পদত্যাগ কার্যকর
পদত্যাগপত্রে ড. মোরশেদুল আলম উল্লেখ করেন, ‘ব্যক্তিগত কারণে আমি রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এ পদ থেকে পদত্যাগ করছি। আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ এবং সোহরাওয়ার্দী হলের সিনিয়র আবাসিক শিক্ষকের পদ ও সহকারী প্রক্টর পদ থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনাকে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এছাড়া ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে একইদিন চবির পালি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অরূপ বড়ুয়া সহকারী প্রক্টর পদ এবং চাকসু কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
আরও পড়ুন: বৈধ সরকার প্রতিষ্ঠায় নতুন করে নির্বাচন ও শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি বিএনপির
বিষয়টি নিশ্চিত করে চবির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোরশেদুল আলম বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছি। এখানে অন্য কোনো কারণ নেই। রেজিস্ট্রার বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি রবিবার সকালেই।’
এর আগে গত বছর মার্চ মাসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে প্রক্টরসহ প্রক্টরিয়াল বডির একটি বড় অংশ, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, আবাসিক শিক্ষকসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পদে থাকা ১৯ জন শিক্ষক একযোগে গণপদত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করা ৩ টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর শূন্য পদে দায়িত্ব বণ্টন
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ
এমবিবিএস ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টার দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
এদিকে মেধা তালিকায় প্রথম হয়েছেন তানজিম মুনতাকা সর্বা। পেয়েছেন ৯২ দশমিক ৫ নম্বর। এছাড়া এবার ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৯ হাজার ৯২৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ২০ হাজার ৪৫৭ জন ও নারী ২৯ হাজার ৪৬৬ জন।
আরও পড়ুন: যশোরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে এমবিবিএস ডাক্তার গ্রেপ্তার
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এবারের ফলাফল অত্যন্ত সুচারুভাবে তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষায় পাস নম্বর আগের বছরের মতো ৪০ শতাংশ নির্ধারিত ছিল। এ বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন পড়েছিল ১ লাখ ৪ হাজার ৩৭৪ জনের। সেখান থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ২ হাজার ৩৬৯ জন প্রার্থী। অনুপস্থিতির হার ছিল ১ দশমিক ৯২ শতাংশ।
মন্ত্রী বলেন, ‘এবারের পরীক্ষায় ছেলেদের থেকে মেয়েদের পাসের হার বেশি। এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলেও নারীর অগ্রযাত্রা লক্ষ্য করা গেল।’
আরও পড়ুন: এমবিবিএস-বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ সচিব আজিজুর রহমান, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটু মিয়াসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময়সীমা সরকারি মেডিকেল কলেজে ১৮-২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য অনলাইন আবেদন গ্রহনের বিজ্ঞপ্তি আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হবে।
আরও পড়ুন: এবারের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাকৃবিতে শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে ৬ দফা দাবি
নারী সহপাঠীকে শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে ছয় দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) অভিযুক্ত সিএনজি অটোরিকশা চালকের বিচারের দাবিতে পশুপালন অনুষদ থেকে একটি মিছিল বের হয়ে প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে শেষ হয়। এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও ও সকাল থেকেই ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে।
আরও পড়ুন: উদ্যোক্তাবান্ধব গবেষণায় দেশসেরা বাকৃবি
ভুক্তভোগীর সহপাঠীরা জানান, শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল পশু পুষ্টি মাঠ গবেষণাগারে ব্যবহারিক ক্লাস করতে যাচ্ছিলেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। এসময় বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) আবাসিক এলাকাসংলগ্ন সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় পেছন থেকে ২০-২৫ বছর বয়সী সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক তার শরীরে হাত দেয় ও গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী চিৎকার দিলে ওই ব্যক্তি সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ছয় দফা দাবি জানায়।
আরও পড়ুন: কেবল দেখতেই সুন্দর নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর রঙিন ফুলকপি: বাকৃবি অধ্যাপক
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো ‘এক্সক্লিউসিভ অস্ট্রেলিয়ান এডুকেশন এক্সপো ২০২৪’
বিদেশে উচ্চশিক্ষা বিষয়ক ‘এক্সক্লিউসিভ অস্ট্রেলিয়ান এডুকেশন এক্সপো ২০২৪’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হাইটস এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
এক্সপোটির আয়োজক ছিল অস্ট্রেলিয়ান এডুকেশন টেকনোলজি কোম্পানি স্টাডিনেট।
এক্সপোতে অ্যাডিলেড ইউনিভার্সিটি, ম্যাককুয়ারি ইউনিভার্সিটি, লা ট্রোব ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব তাসমানিয়া, ইউনিভার্সিটি অব উলংগং, ফ্লিন্ডারস ইউনিভার্সিটি, সুইনবার্ন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, ইসিইউ, আপ এডুকেশন, নেভিটাসের মতো আরও বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ও এডুকেশন প্রভাইডাররা এক্সপোতে যোগ দেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, কোর্স বাছাই, স্কলারশিপসহ তাদের প্রয়োজনীয় সব তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে নর্দান ইউনিভার্সিটির উপউপাচার্য ড. নজরুল ইসলাম এবং স্কুল অব বিজনেস, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ফ্যাকাল্টি মেম্বার কানতারা খান।
এছাড়াও স্টাডিনেটের পক্ষে বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান (অবসরপ্রাপ্ত) মেজর সিরাজুল আনোয়ার, সিনিয়র কান্ট্রি ম্যানেজার তানজিউল হক এবং সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং ম্যানেজার মইনুল হাসান।
অতিথিরা বাংলাদেশের উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
ঢাবি অধ্যাপক নাদির জুনায়েদের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনায়েদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও দীর্ঘদিন ধরে মানসিক নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ করেছেন এক শিক্ষার্থী।
অভিযোগের সময়কে 'অদ্ভুত' বলে প্রশ্ন তুলেছেন অধ্যাপক নাদির। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেওয়া এই অধ্যাপক জানান, শনিবার বিকাল পর্যন্ত ঢাবি কর্তৃপক্ষ তার কাছে অভিযোগটি জানায়নি।
প্রক্টর মো. মাকসুদুর রহমানের কাছে দাখিল করা অভিযোগে প্রেমের প্রস্তাব গ্রহণ না করায় তাকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া, সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে তাকে পর্যবেক্ষণ করা, সময়ে অসময়ে ফোন করা, যৌন ইঙ্গিত দেওয়াসহ নানা অভিযোগ আনেন ওই ছাত্রী।
অভিযোগে ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘তিনি আমার শারীরিক গঠন নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করতেন এবং যৌন উত্তেজনা প্রকাশ করতেন। একই সঙ্গে তিনি আমাকে যৌন প্রকৃতির ফোনালাপে অংশ নিতে প্ররোচিত করতেন।’
শিক্ষার্থী লিখেছেন, এই সময়ে, অনুষদ বিভাগের অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক বিষয়ে- বিভাগের কমিটির সিদ্ধান্ত, পরীক্ষার ফলাফল এমনকি শিক্ষকদের আচরণ সম্পর্কেও তার সঙ্গে কথা বলেছেন।
শিক্ষার্থী লিখেছেন, তিনি তার রোমান্টিক আলাপ-আলোচনা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অধ্যাপক নাদির বিভাগে ব্যাপক ক্ষমতাধর হওয়ায় ভয়ে তিনি পুরোপুরি যোগাযোগ বন্ধ করতে পারেননি।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাবি ক্যাম্পাস ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা
তিনি বলেন, ‘গত দেড় বছর ধরে আমি প্রচণ্ড মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করেছি। দুর্ভাগ্যবশত, এই যন্ত্রণা সরাসরি তার কাছে প্রকাশ করা আমার পক্ষে চ্যালেঞ্জিং বলে মনে হয়েছিল। মানসিক চাপের তীব্রতা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, আমি ঘুমাতে পারতাম না, রাতে অনিদ্রায় ভুগতাম। পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আমি গত বছরের শুরুতে কাউন্সেলিং নিয়েছিলাম এবং দুঃখজনকভাবে ঘুমের ওষুধের আশ্রয় নিতে হয়েছিল।’
ওই ছাত্রী আরও লিখেছেন, তিনি সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করার চেষ্টা করলে অধ্যাপক নাদির শ্রেণিকক্ষে প্রকাশ্যে তাকে তিরস্কার করেন।
শিক্ষার্থী অভিযোগে লিখেছেন, “তিনি বারবার বলেন যে, আমি 'স্বাভাবিক' নই এবং আমার চিকিৎসকের সহায়তা নেওয়া উচিত। তার চাপ ক্রমাগত বাড়ছিল। তিনি আমার অনুভূতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। বারবার জিজ্ঞাসা করলেন কেন আমি তার রোমান্টিক আলাপে সাড়া দিই না। এটি মৌখিক নির্যাতনে পরিণত হয়েছিল। তিনি আমাকে 'নির্বোধ' বলে তিরস্কার করেছিলেন এবং আমাকে 'অনুভূতিহীন' বলতে থাকেন।
তিনি বলেন, একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি অবিরাম যৌন হয়রানি সহ্য করেছি, তার কর্তৃত্বের অবস্থানের কারণে নিজেকে দুর্বল মনে করেছি।
এ বিষয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্ত করে ওই শিক্ষার্থী বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমি দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছি। এটিকে আমি কেবল ব্যক্তিগত আগ্রাসন হিসেবে বর্ণনা করতে পারি।’
শিক্ষার্থীদের বারবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার না করার পরামর্শ দিলেও শিক্ষক অন্যের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আলোচনার ওপর ব্যাপক নজরদারি চালান। এতে বিভাগে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে বলেও মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্র ইউনিয়নের ৪ নেতা-কর্মী আহত
তিনি আরও লিখেছেন,‘১৬তম ব্যাচের একটি ক্লাস চলাকালীন তিনি তাদের ফেসবুক পোস্ট যাচাই-বাছাই করার বার্তা দিয়েছিলেন। এটি আমাদের বিভাগের মধ্যে ভয়ের সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে যা সহপাঠীদের মধ্যে স্ব-সেন্সরশিপকাজ করত। আমি এমন একজন শিক্ষকের দ্বারা কোণঠাসা বোধ করেছি যিনি ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছেন বলে মনে হচ্ছে। ভবিষ্যতে এই জাতীয় আচরণের সম্ভাব্য ধারাবাহিকতা সম্পর্কে উদ্বেগ রয়েছে আমার।’
অধ্যাপক অন্যান্য নারী শিক্ষার্থীদের নাম উল্লেখ করতেন এবং তাদের শারীরিক গঠন সম্পর্কে অশ্লীল মন্তব্য করতেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন ওই শিক্ষার্থী।
তিনি লেখেন, 'আমি বহুবার জেনেছি যে আরও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে তিনি এমন প্রস্তাব দিয়েছেন।’
লিখিত অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান ওই শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে অধ্যাপক নাদির জুনায়েদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরেই শুনে আসছি এ ধরনের অভিযোগ উঠতে পারে, এই সময় খুবই অদ্ভুত।’
কিছু স্ক্রিনশট ও অডিও রেকর্ডিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি, তাই এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ঢাবির নতুন প্রো-ভিসি শিক্ষা অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার
এবারের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, এবারের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ব্যাচেলর অব মেডিসিন, ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জন (বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল ইউনিট সুচারুরূপে দায়িত্ব পালন করবেন।’
বৃহস্পতিবার (৮ ফ্রেব্রুয়ারি) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে এবারের এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটু মিয়া, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সভাপতি জামাল উদ্দিন চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ডা. শারফুদ্দিন আহমেদসহ অন্যান্য ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে মিলছে এক টাকায় এমবিবিএস চিকিৎসকের সেবা
মন্ত্রী এ বছর সুষ্ঠু ভর্তি পরীক্ষা নিশ্চিত করতে কিছু বিষয় উল্লেখ করেন। সেগুলো হলো-
১. ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল ১০টা হতে ১১টা পর্যন্ত ১ ঘণ্টা দেশের ১৯টি পরীক্ষা কেন্দ্রের ৪৪টি ভেন্যুতে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।
২. বর্তমানে বাংলাদেশে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে, যার মোট আসন ৫ হাজার ৩৮০টি। এছাড়াও বেসরকারি পর্যায়ে অনুমোদিত ৬৭ টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে, যার মোট আসন ৬ হাজার ২৯৫ টি।
৩. এমবিবিএস ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনয়ন, প্রকৃত শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও অনিয়ম বন্ধ এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি মেডিকেল কলেজে বিগত কয়েক বছর অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্নকরণ এবং ডিজিটালাইজেশনের ফলে প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ হয়েছে এবং একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে।
৪. সরকারি মেডিকেল কলেজের ধারাবাহিকতায় ভর্তি প্রক্রিয়ায় অনিয়ম রোধ এবং শিক্ষার্থীদের নিকট হতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধের লক্ষ্যে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুন: যশোরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে এমবিবিএস ডাক্তার গ্রেপ্তার
৫. বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে অনলাইন প্রক্রিয়ায় শুরু হওয়ায় প্রকৃত শিক্ষার্থীদের হয়রানি, অনিয়ম ও অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের পথ বন্ধ হয়েছে এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিতের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় বিষয়টি জনগণের মধ্যে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে।
৬. প্রশ্নপত্র বহনকারী ট্রাঙ্কে একটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস রয়েছে। যার মাধ্যমে অধিদপ্তর হতে পরীক্ষা কেন্দ্রে আনা-নেওয়া কার্যক্রম মনিটরিং করা হয়।
৭. ৯ তারিখ পরীক্ষার কেন্দ্র/ভেন্যুর গেট খুলবে সকাল ৮টায়। পরীক্ষার দিন সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের পর কোনো পরীক্ষার্থী হলে প্রবেশ করতে পারবেন না।
৮. পরিক্ষার্থীরা প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট কপি নিয়ে যেতে হবে।
৯. কেন্দ্র/ভেন্যু-তে পরীক্ষার্থীদের (ছেলে ও মেয়ে) পৃথক পৃথক তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে। পরীক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র ও বল পয়েন্ট কলম ব্যতীত অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেলক্ষ্যে মেটাল ডিটেক্টরের পাশাপাশি আর্চওয়ে দিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রবেশের বিষয়টি তদারক করা হবে।
১০. ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র/ভেন্যুতে সকাল ৮টা হতে শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করতে ইনভিজিলেটরগণ (কক্ষ পরিদর্শক) সকাল ৮টা হতে পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত কক্ষে অবস্থান করে প্রবেশপত্রে পরীক্ষার্থীর ছবির জলছাপ ও রঙিন ছবির সঙ্গে পরীক্ষার্থীর চেহারা মিলিয়ে পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশের অনুমতি প্রদান করবেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
আরও পড়ুন: রমজান মাসে ১৫ দিন খোলা থাকবে স্কুল
১১. পরীক্ষার্থী, ইনভিজিলেটর ও ভেন্যুর কর্মকর্তা-কর্মচারীগণসহ মন্ত্রণালয়/অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ কোনোভাবেই মোবাইল, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্লুটুথ, এয়ারফোন, ইত্যাদি বহন করবেন না। ভর্তি পরীক্ষার হলে ভর্তি পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কাজের সঙ্গে জড়িত কেউ মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।
১২. ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র/ভেন্যুতে ভর্তি পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি প্রবেশ করতে পারবে না।
১৩. ১০ জানুয়ারি হতে মেডিকেল ভর্তি কোচিং সেন্টারসমূহ বন্ধের নির্দেশনার জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে অফলাইন কোচিং সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও অনলাইন কোচিং বন্ধ ও সাইবার অপরাধ রোধকল্পে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাসমূহের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
১৪. পরীক্ষার দিন পরীক্ষা কেন্দ্রসমূহের আশেপাশের ফটোকপি মেশিন বন্ধ থাকবে।
১৫. পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যেকোনো প্রকার অসদাচরন/প্রতারনা/গুজব ছড়ানোর সঙ্গে জড়িত কাউকে চিহ্নিত করা গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন না শিক্ষামন্ত্রী
রমজান মাসে ১৫ দিন খোলা থাকবে স্কুল
পবিত্র রমজান মাসে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ১৫ দিন চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রমজানে সশরীরে ক্লাস চলবে স্কুল-কলেজে: শিক্ষা মন্ত্রণালয়
জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়েরের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ১১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম চালু থাকবে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সরকার ১৪৩০-১৪৩১ শিক্ষাবর্ষের জন্য ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর প্রকাশিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির তালিকায় কিছু পরিবর্তন এনেছে।
আরও পড়ুন: ‘শরিফার গল্প’ পর্যালোচনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৫ সদস্যের কমিটি
তরুণ সাংবাদিকদের নিয়ে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের টেক ক্যাম্প
ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তিন দিনের টেকক্যাম্প কর্মশালার আয়োজন করেছে। ৬-৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য এই কর্মশালার লক্ষ্য ৫০ জন উদ্যমী সাংবাদিককে ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই, তথ্য যাচাই এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সর্বোত্তম অনুশীলনগুলো শেখানো।
গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টার (জিওয়াইএলসি) ইনকর্পোরেটেডের সঙ্গে অংশীদারিত্বে টেকক্যাম্পের আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো। এই আয়োজন প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে এবং বাস্তববাদী সমাধানের মাধ্যমে বিভিন্ন বাধা মোকাবিলায় ভবিষ্যতের নেতাদের ক্ষমতায়ন করে।
আরও পড়ুন: সোমবার দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন শেখ হাসিনা
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদানের পর, মার্কিন দূতাবাসের পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি কাউন্সেলর স্টিভেন ইবেলি বলেন, ‘প্রতিদিন, আমরা এত বেশি তথ্যের মধ্যে ডুবে থাকি যে খুব কম বিষয়েই মনোযোগ রাখতে পারি। প্রায়ই আমরা সত্য ও প্রকৃত তথ্যের সঙ্গে মিথ্যা ও অসত্য তথ্য মিশিয়ে ফেলি। বিভ্রান্ত হওয়া সত্যিই খুব সহজ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য আমাদের নিজেদের জটিল বিষয় ও অসত্য তথ্য শনাক্ত করা শিখতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বাংলাদেশের সুশীল সমাজের সমর্থনে, ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের প্রচারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই প্রতিশ্রুতির অংশ হলো ইয়ুথ ভোট ম্যাটারস, ইংরেজি ভাষা শেখা, এসটিইএএম শিক্ষা, ইন্টারনেট সুরক্ষা এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং সুশীল সমাজের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ভুল তথ্যের সমাধানের মতো কর্মসূচি।
আরও পড়ুন: মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিং: সাংবাদিকতার আড়ালে আবারও গণমাধ্যমের স্বীকৃতির অপব্যবহার
প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুল ওয়াহেদ খান আর নেই
প্রাথমিক শিক্ষায় পিছিয়ে পড়ছে নৃগোষ্ঠী ও চরাঞ্চলের শিশুরা
প্রান্তিক নৃগোষ্ঠী ও চরাঞ্চলের শিশুরা গুণগত প্রাথমিক শিক্ষালাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং গুণগত প্রাথমিক শিক্ষায় পিছিয়ে পড়ছে বা ঝরে পড়ছে। দরিদ্র প্রান্তিক অঞ্চলে গুণগত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে আরও বিশেষ সহায়তা থাকার কথা থাকলেও সেটি হচ্ছে না।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ইরাব) সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের অ্যাডভোকেসি কর্মশালায় এসব তথ্য উঠে আসে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে নৃগোষ্ঠীর নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
এতে বলা হয়, তাই প্রাথমিক শিক্ষায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও পলিসি বাস্তবায়নকারীদের প্রান্তিক নৃগোষ্ঠী ও দুর্গম চর এলাকার শিশুদের গুণগত শিক্ষা বিষয়ে দ্রুত দৃষ্টি দেওয়া ও বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
কর্মশালায় শাপলা নীড় বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর তোমোকো উচিয়ামা, ইরাব সভাপতি শরীফুল আলম সুমন ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রান্তিক এলাকার প্রাথমিক শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন ইস্যু, বিশেষ করে চরাঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট ও প্রান্তিক নৃগোষ্ঠীর শিশুদের মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিকার বাস্তবায়িত না হওয়া ও নিজস্ব কমিউনিটির শিক্ষক না থাকার বিষয়গুলো বিভিন্ন পরিসংখ্যান ও তথ্যভিত্তিক উপস্হাপনার মাধ্যমে আলোকপাত করা হয়।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিবারের কাছে সরকারি ত্রাণ পৌঁছে দিল সেনাবাহিনী
কর্মশালায় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রান্তিক নৃগোষ্ঠী বিশেষ করে সাঁওতাল, তুরি, মুশোহর নৃ-গোষ্ঠী এবং নরসিংদীর প্রান্তিক চরাঞ্চলের প্রাথমিক শিক্ষার তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়।
কর্মশালায় বলা হয়, নিয়মিত ক্লাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ২ হাজার ৫৯৩ জন শিশু। আবার এসব এলাকার বাবা-মায়ের সচেতনতার অভাবে অনেক বাচ্চা ড্রপ আউট হয়ে যাচ্ছে বা পড়াশোনাই করছে না। করোনাও একটি বড় ক্ষতি করেছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ছুরিকাঘাতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য হত্যা, আটক ৩