������������������
প্রাথমিক শিক্ষায় পিছিয়ে পড়ছে নৃগোষ্ঠী ও চরাঞ্চলের শিশুরা
প্রান্তিক নৃগোষ্ঠী ও চরাঞ্চলের শিশুরা গুণগত প্রাথমিক শিক্ষালাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং গুণগত প্রাথমিক শিক্ষায় পিছিয়ে পড়ছে বা ঝরে পড়ছে। দরিদ্র প্রান্তিক অঞ্চলে গুণগত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে আরও বিশেষ সহায়তা থাকার কথা থাকলেও সেটি হচ্ছে না।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ইরাব) সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের অ্যাডভোকেসি কর্মশালায় এসব তথ্য উঠে আসে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে নৃগোষ্ঠীর নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
এতে বলা হয়, তাই প্রাথমিক শিক্ষায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও পলিসি বাস্তবায়নকারীদের প্রান্তিক নৃগোষ্ঠী ও দুর্গম চর এলাকার শিশুদের গুণগত শিক্ষা বিষয়ে দ্রুত দৃষ্টি দেওয়া ও বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
কর্মশালায় শাপলা নীড় বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর তোমোকো উচিয়ামা, ইরাব সভাপতি শরীফুল আলম সুমন ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রান্তিক এলাকার প্রাথমিক শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন ইস্যু, বিশেষ করে চরাঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট ও প্রান্তিক নৃগোষ্ঠীর শিশুদের মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিকার বাস্তবায়িত না হওয়া ও নিজস্ব কমিউনিটির শিক্ষক না থাকার বিষয়গুলো বিভিন্ন পরিসংখ্যান ও তথ্যভিত্তিক উপস্হাপনার মাধ্যমে আলোকপাত করা হয়।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিবারের কাছে সরকারি ত্রাণ পৌঁছে দিল সেনাবাহিনী
কর্মশালায় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রান্তিক নৃগোষ্ঠী বিশেষ করে সাঁওতাল, তুরি, মুশোহর নৃ-গোষ্ঠী এবং নরসিংদীর প্রান্তিক চরাঞ্চলের প্রাথমিক শিক্ষার তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়।
কর্মশালায় বলা হয়, নিয়মিত ক্লাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ২ হাজার ৫৯৩ জন শিশু। আবার এসব এলাকার বাবা-মায়ের সচেতনতার অভাবে অনেক বাচ্চা ড্রপ আউট হয়ে যাচ্ছে বা পড়াশোনাই করছে না। করোনাও একটি বড় ক্ষতি করেছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ছুরিকাঘাতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য হত্যা, আটক ৩
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় চলমান অস্থিরতার কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আক্তারুন্নাহার সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় আরও দুই দিন বন্ধ থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাময়িকভাবে বন্ধ থাকা পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো হলো- বাইশপারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিমকুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
স্থানীয় পরিস্থিতির উন্নতি হলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এসব বিদ্যালয়ে আবারও পাঠদান করাসহ বিদ্যালয়সমূহ খুলতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা, বান্দরবানে ৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বর্জ্যমুক্ত করতে জাপানি মডেল ব্যবহার করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন না শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ ও জনদুর্ভোগ লাঘবের কথা মাথায় রেখে এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন না শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
শিক্ষামন্ত্রী মনে করেন, কেন্দ্র পরিদর্শনের কারণে শিক্ষার্থীদের উপর এক ধরনের হয়রানিমূলক পরিস্থিতি ও মানসিক চাপের সৃষ্টি হয়।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথা জনানো হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষাক্রমের বিরোধিতার নামে কেউ অপরাজনীতি করবেন না: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী জানান, পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীরা এমনিতেই একটা ট্রমার মধ্যে থাকে। কেন্দ্র পরিদর্শনের নামে ব্যাপক জনসমাগম এই মানসিক চাপ আরও বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশে বিঘ্ন ঘটে।
তিনি আরও জানান, আইন অনুযায়ী কেন্দ্র পরিদর্শক ছাড়া অন্য কারো কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি নেই। পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি যেনো পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ না করে, সেই সব বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত।
আরও পড়ুন: পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি আরও পর্যালোচনার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
শিক্ষাক্রমের বিরোধিতার নামে কেউ অপরাজনীতি করবেন না: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষাক্রমের বিরোধিতার নামে অপরাজনীতি না করার অনুরোধ জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৈধুরী।
তিনি বলেন, ‘নতুন পাঠ্যপুস্তকে বিভ্রান্তিকর কিছু থাকলে তা সংশোধন করা হবে। কিন্তু শিক্ষাক্রমের বিরোধিতার নামে কেউ অপরাজনীতি করবেন না।’
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ‘স্বাধীনতা মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের’সঙ্গে মত বিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শুরুতেই আন্ডার গ্রাজুয়েট কোর্স চালু না করার পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও বই লেখার কাজে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) মাদরাসা শিক্ষকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এতে তারা মাদরাসার জন্য প্রণীত পাঠ্যবইয়ে তাদের মতামত দিয়ে অবদান রাখতে পারবেন।
তিনি বলেন, উপমহাদেশে হাজার বছর ধরে বহমান ইসলামি ভাবধারা দেশের আলিয়া মাদরাসায় চর্চা করা হয়। ইসলাম শিক্ষার বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ণ রেখে মাদরাসায় নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছে। নতুন এ শিক্ষাক্রম দক্ষতামূলক শিক্ষা নিশ্চিত করবে, যা মাদরাসা শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। এর সঙ্গে ধর্মের কোনো বিরোধ নেই।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বীনি শিক্ষার উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন। সরকার ১ হাজার ৮০০টি মাদরাসা ভবন নির্মাণের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এছাড়া প্রচুর সংখ্যক মাদরাসা এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।
মত বিনিময় সভায় শিক্ষামন্ত্রী মাদরাসা শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবি শোনেন। যৌক্তিক দাবিগুলো পূরণে বিবেচনা করা হবে বলেও জানান।
আরও পড়ুন: পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি আরও পর্যালোচনার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে নিয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্য
খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎস ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক বিক্ষোভের ঘটনায় নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছে বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সব মত ও আদর্শের জন্য সহনশীলতা ও সম্মানের ভিত্তিতে গঠনমূলক আলোচনা, বিতর্ক এবং পারস্পরিক মত বিনিময়ে বিশ্বাস করে। কিন্তু ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জাতীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য আচরণ যা ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সমর্থন করে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে আসিফ মাহতাব উৎস বাংলাদেশ সরকারের প্রকাশিত সপ্তম শ্রেণির জাতীয় পাঠ্যবইয়ের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলেন। একই সঙ্গে পাবলিক ফোরামে অন্যদের একই কাজ করতে বলেন। ঘটনাটিকে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি একটি ধ্বংসাত্মক কাজ বলে মনে করে এবং এ ধরনের অশিক্ষকসুলভ আচরণকে কোনোভাবেই সমর্থন করে না।
আরও পড়ুন: ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বরখাস্তকৃত শিক্ষক আসিফকে জামায়াতের অভিনন্দন
আসিফ মাহতাবকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের ব্যাখ্যায় ব্র্যাক বলছে, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ২০২৪ সালের স্প্রিং সেমিস্টারের জন্য আসিফ মাহতাব উৎসকে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নতুন চুক্তি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ইউনিভার্সিটি মাহতাবকে এই সেমিস্টারের প্রস্তুতিমূলক কাজে তার সময় ও প্রচেষ্টার জন্য পারিশ্রমিক দেবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সব ক্ষেত্রে দেশের সংবিধান ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং দেশের প্রচলিত বিধিবিধান মেনে চলার বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ।
‘ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সমকামিতার প্রচার ও প্রসারের সঙ্গে যুক্ত’- সামাজিক মাধ্যমে কিছু মহলের এমন অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেও দাবি করা হয় বিবৃতিতে।
এতে আরও বলা হয়, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি প্রত্যেক মানুষের সমান অধিকার এবং সম্ভাবনা বিকাশের পথে সমান সুযোগ সৃষ্টিতে বিশ্বাস করে।
আরও পড়ুন: ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘উদ্যমী আমি-ভেনচার মায়েস্ট্রাস’ কর্মসূচি আয়োজিত
ডিএসএর একটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন জবি শিক্ষার্থী খাদিজা
রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা একটি মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
অন্যদিকে নিউমার্কেট থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় চার্জ শুনানির জন্য ২৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার এ দুই মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন দুই মামলায় খাদিজার অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থী খাদিজার জামিন ৪ মাসের জন্য স্থগিত
শুনানি শেষে কলাবাগান থানার মামলায় অভিযোগ গঠন করার মতো তথ্যপ্রমাণ না থাকায় তাকে অব্যাহতি দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত।
অন্যদিকে নিউমার্কেট থানার মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ২৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
খাদিজা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়।
একটি মামলা হয় রাজধানীর কলাবাগান থানায় অন্যটি নিউমার্কেট থানায়। দুটি মামলার বাদী পুলিশ।
২০২২ সালের মে মাসে দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
এ অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট মিরপুরের বাসা থেকে খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে নিউমার্কেট থানা-পুলিশ।
দীর্ঘ প্রায় ১৫ মাস কারাভোগের পর গত ২০ নভেম্বর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান খাদিজা।
আরও পড়ুন: ১৪ মাস পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন জবি ছাত্রী খাদিজা
ডিজিটাল আইনে গ্রেপ্তার জবি শিক্ষার্থী খাদিজার জামিন
১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাওয়া এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস রোধে ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া আছে।
এসএসসি পরীক্ষা-২০২৪ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে গঠিত জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
সভা শেষে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এবছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে। এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।
আরও পড়ুন: ৩ নভেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে: দীপু মনি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও প্রশ্ন ফাঁসের গুজবমুক্ত পরিবেশ রক্ষায় আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। কেন্দ্র সচিব ব্যতীত পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না।
কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ (ফিচার) ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। অননুমোদিত ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এতে আরও বলা হয়, ট্রেজারি-থানা থেকে প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও পরিবহন কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা, শিক্ষক, কর্মচারীরা কোনো ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না এবং প্রশ্নপত্র বহন কাজে কালো কাঁচযুক্ত মাইক্রোবাস বা এরূপ কোনো যানবাহন ব্যবহার করতে পারবেন না।
তাছাড়া প্রত্যেক কেন্দ্রের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন ট্যাগ অফিসার নিয়োগ দেওয়া হবে। ট্যাগ অফিসার ট্রেজারি, থানা হেফাজত থেকে কেন্দ্র সচিবসহ প্রশ্ন বের করে পুলিশ প্রহরায় সব সেটের প্রশ্ন কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নের সেট কোড ঘোষণা করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেন্দ্র সচিব, ট্যাগ অফিসার ও পুলিশ কর্মকর্তার স্বাক্ষরে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট বিধি অনুযায়ী খুলবেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁসসংক্রান্ত গুজব কিংবা এ কাজে তৎপর চক্রগুলোর কার্যক্রমের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহ নজরদারী জোরদার করবে।
আরও পড়ুন: প্রশ্ন ফাঁস: খুলনার থ্রি ডক্টরস কোচিং সেন্টার এর মালিক আটক
পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মচারীদের মোবাইল, মোবাইল ফোনের সুবিধাসহ ঘড়ি, কলম এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে ব্যবহারের অনুমতিবিহীন যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে, নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পরীক্ষার প্রস্তুতি সংক্রান্ত বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য সরবরাহের প্রয়োজন হলে আন্তঃবোর্ডের সমন্বয়ক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেনের মাধ্যমে গণমাধ্যমে সরবরাহ করবে।
সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, আইনশৃঙ্খলা এবং পরীক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২৬ এপ্রিল থেকে ২৩ মে কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে: শিক্ষামন্ত্রী
পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি আরও পর্যালোচনার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি আরও পর্যালোচনার জন্য নীতিনির্ধারকদের কাছে সুপারিশ করতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলে কারিকুলাম অ্যান্ড টেক্সট বুক বোর্ডে পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মত বিনিময় সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকলে আইনের ব্যত্যয় ঘটবে না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
এ বিষয়ে শিক্ষাবর্ষের প্রথম মাস জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা থেকে তথ্য সংগ্রহের আহ্বান জানান তিনি।
সভায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. ফরহাদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআরের অধ্যাপক ড. তারিক আহসান প্রমুখ ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকালীন সময়ে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে জনপ্রতিনিধিদের আহবান স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
নির্বাচনকালীন সময়ে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে জনপ্রতিনিধিদের আহবান স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
ঢাবির নতুন প্রো-ভিসি শিক্ষা অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের(ঢাবি) উপউপাচার্য (শিক্ষা) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার।
বৃহস্পতিবার(২৫ জানুয়ারি) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারকে উপউপাচার্য (শিক্ষা) হিসেবে নিয়োগ দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩ এর ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (শিক্ষা) পদে নিয়োগ দেওয়া হলো।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাবি ক্যাম্পাস ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা
ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতিসহ ১১ জনের রিমান্ড
পাঠ্যবইয়ে ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে বিভ্রান্তি থাকলে সংশোধন হবে
পাঠ্যবইয়ে ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি থাকলে তা সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
তিনি বলেন, পাঠ্যবইয়ে আলোচিত শরীফার গল্প নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে, কোনো বিভ্রান্তি থাকলে পরিবর্তন করা হবে।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শুরুতেই স্নাতক কোর্স পরিচালনা না করার পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর
তিনি বলেন, শরীফার গল্পটি নিয়ে গতবারও বিতর্ক উঠেছিল, এবার শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, সেটা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) যারা সহকর্মী আছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করব।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, যদি একটি গল্প নিয়ে প্রতিক্রিয়া হয়, কেন হচ্ছে সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে। আমাদের দেশে একটি গোষ্ঠীর ধর্ম ব্যবহার করে অরাজকতা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির প্রবণতা আছে। গত বছরও সেটা ছিল। একটি সংগঠন থেকে কিছুদিন আগে আমার কাছে কিছু সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল, কওমি মাদরাসার কিছু শিক্ষক এসেছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সেখানে তারা দাবি করেছেন যে এখানে ট্রান্সজেন্ডার শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে। বিভ্রান্তি সৃষ্টির বিষয়টি তারা আমাদের নজরে এনেছিলেন। আমরা যখন আলোচনা করেছি তখন দেখেছি শব্দটা ট্রান্সজেন্ডার নয়, থার্ড জেন্ডার।
তিনি বলেন, সেটা তো আইনত স্বীকৃত যে তৃতীয় লিঙ্গ যাদের সমাজে হিজড়া নামে পরিচিত। তারা দেশের নাগরিক। তাদের নাগরিক অধিকার রয়েছে। তবে গল্প উপস্থাপনার ক্ষেত্রে যদি এমনভাবে উপস্থাপন হয় যেখানে এ ধরনের বিভ্রান্তি এবং বিতর্ক সৃষ্টির প্রয়াস থাকে তাহলে এ গল্পের উপস্থাপন পরিবর্তন করা যায় কি না বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করব।
আরও পড়ুন: প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হবে: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, তাদের প্রতি সম্মান রেখে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে যদি ভিন্ন কোনো সুযোগ থাকে তাহলে সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা মতামত দেবেন। এটা যেহেতু বিশেষায়িত বিষয়। আমরা পলিসি লেভেল সেটি মন্তব্য করতে চাই না।
ব্র্যাকের বিতর্ক প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা করব। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মাধ্যমে ঘটনাটি জেনে তারপর আলোচনা করব। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা একটি ভিডিও দেখেছি।
আরও পড়ুন: নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শুরুতেই আন্ডার গ্রাজুয়েট কোর্স চালু না করার পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর