������������������
ধান গবেষণায় এগিয়ে যাচ্ছে শাবিপ্রবি গবেষকরা
সম্প্রতি দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় অঞ্চলে আবাদযোগ্য লবণ সহিষ্ণু ধানের জাত উদ্ভাবনে গবেষণা করে যাচ্ছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) গবেষকরা।
শাবিপ্রবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের নিজস্ব ট্রান্সজেনিক গ্রিনহাউস ল্যাবে গবেষকদের অংশগ্রহণে ধানের এই নতুন জাত উদ্ভাবনের গবেষণা চলছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচারের (ইউএসডিএ) অর্থায়নে পরিচালিত জীব প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই লবণ সহিষ্ণু ধান উদ্ভাবনে গবেষণা করা হয়। গবেষণায় ইতোমধ্যে ট্রান্সজেনিক ধান উদ্ভাবন করে মাঠ পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন শাবিপ্রবির উপাচার্য
এছাড়াও, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও শাবিপ্রবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের যৌথ গবেষণায় লবণ সহিষ্ণু ধান উৎপাদনের গবেষণার নতুন নতুন কার্যক্রম চলছে।
বন্য ধান থেকে লবণ সহিষ্ণু তিনটি জিন নির্ণয় করা হয়। যা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে ধানের উন্নত জাতের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে লবণ সহিষ্ণু ট্রান্সজেনিক ধান উৎপাদন করা হবে। শুধু ধান নয়, অন্যান্য ফসলের ক্ষেত্রেও লবণ সহিষ্ণুতার বিষয়টি নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
কথাসাহিত্যিক বুলবুল চৌধুরী আর নেই, প্রধানমন্ত্রীর শোক
একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক বুলবুল চৌধুরী আর নেই। শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুরান ঢাকার বাংলাবাজারে নিজ বাড়িতে ৭৩ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না লিল্লাহি……রাজিউন)।
লেখকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী এই শোক জানান।
শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
লেখক স্ত্রী, তিন ছেলে, আত্মীয়স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি আব্দুল মান্নানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
সাংবাদিক জাহিদুজ্জামানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
দ্রুত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবি জবি শিক্ষার্থীদের
দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণাসহ বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা দ্রুত ক্যাম্পাস খুলে দিয়ে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন বুথ স্থাপন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ফি হ্রাস ও ছাত্রী হলে এলটমেন্টের দাবি জানান।
আরও পড়ুন: জবিতে সেমিস্টার ফি মওকুফের দাবি
ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী আলিম দেওয়ান বলেন, দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এতো দীর্ঘ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে খোলা যায় সেজন্য একটি যৌক্তিক রোডম্যাপ তৈরি করা। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া আর পরীক্ষা গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার দায়িত্ব প্রশাসনেরই নেয়া উচিত। প্রশাসন চাইলে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জন্য ক্যাম্পাসেই কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন বুথ চালু করতে পারে।
মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতেমা মেঘলা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রী হলের বরাদ্দ নিয়ে দীর্ঘদিন লুকোছাপা করছে৷ দুইবার প্রভোস্ট বদল, উদ্বোধনের এতোদিন পরেও হলের বরাদ্দ ও নীতিমালা ঠিক করতে না পারা প্রশাসনের দৈন্যতাকে সামনে এনেছে। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে হলের নীতিমালা ও বরাদ্দ চাই, যাতে করে বিশ্ববিদ্যালয় খুললেই শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থীরাও পাচ্ছেন প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ, আব্দুর রহমান ও ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মৃত্তিকা সরকার।
আরেক দফা বাড়ল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি
আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে স্কুল-কলেজের ছুটি। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল খায়ের ইউএনবিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির এক যৌথ সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।’
বাংলাদেশে গত বছরের ৮ মার্চ করোনা রোগী শনাক্ত হয়। ওই বছরের ১৭ মার্চ থেকে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর এই ছুটি কয়েকদফা বাড়ানো হয়। সর্বশেষ সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছিল।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি
২৪ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শতভাগ শিক্ষকদের উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক খোলার উপযুক্ত রাখতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে আঞ্চলিক পরিচালকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সাথে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে হবে। ওয়ার্কশিট বিতরণ শতভাগ নিশ্চিতকরণ ও যাচাই করতে হবে। শিখন ঘাটতির অবস্থা ও ফিডব্যাক নিতে হবে। বিদ্যালয়ের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে।
শিক্ষকদের নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। হোম ভিজিট যাচাই করা। শিক্ষার্থী প্রোফাইল শতভাগ হয়েছে কিনা তা দেখা। দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য করণীয় নির্ধারণ করা। স্যাম্পল হিসেবে শিক্ষার্থীর বাড়ি যাওয়া এবং শিক্ষার্থী যোগাযোগ রেজিস্ট্রার যাচাই করা।
এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওয়াশ ব্লক ঠিক করার জন্য দ্রুত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে মাউশি। এজন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাসহ ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের আদেশ যথাযথ পালন করতে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সূত্র বলছে,শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টিকা দেয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আওতায় এসেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী থেকে নেয়া হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। সেজন্যই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ব্যাপারে সরকার ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসা পর্যন্ত স্কুল পর্যায়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না। শেষ হবে স্কুলে ছুটি আরেক দফা বাড়ছে।
সার্বিক বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সহকারী উপজেলা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত বিদ্যালয় পরিদর্শন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোন কর্মকর্তারা যদি নির্দিষ্ট এলাকার সমস্ত বিদ্যালয় পরিদর্শন না করেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও কলেজ) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন,‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং বিদ্যালয় খোলার সার্বিক প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে আঞ্চলিক পরিচালকদের নির্দেশ দিয়েছি। সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায় থেকে নির্দেশনা পাওয়ার সাথে সাথেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুরোপুরি খোলা যাবে। তাছাড়া আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলাই রয়েছে। নিয়মিত অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া এবং তা নেয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা।’
আরও পড়ুন: শিগগিরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
ফের বাড়ল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি
কোভিড-১৯: দেশে আরও ১০২ মৃত্যু, শনাক্ত ১৩.৭৭ শতাংশ
বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে জাবিতে শুরু হচ্ছে প্রতীকী প্রতিবাদী ক্লাস
বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে প্রতীকী প্রতিবাদী ক্লাস। ক্যাম্পাসে উন্মুক্ত স্থানে নেয়া হবে এসব ক্লাস। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোন শিক্ষার্থী এই ক্লাসে অংশ নিতে পারবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে প্রথম ক্লাস নিবেন দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন। ক্যাম্পাস খোলা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলতে থাকবে বলে জানান আয়োজক শিক্ষকরা।
কর্মসূচি সম্পর্কে অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে আমরা এই কর্মসূচি পালন করবো। এখানে ধারাবাহিকভাবে অন্যান্য শিক্ষকরা ক্লাস নিবেন। এই কর্মসূচি ক্যাম্পাস খোলা পর্যন্ত চলতে থাকবে। প্রতীকী এই ক্লাসে যেকোন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অংশগ্রহণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বিনোদন কেন্দ্র অন্যান্য প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালু থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় কেন খোলা যাবে না? বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে আবাসিক শিক্ষক আছেন। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরাও করোনা বিষয়ে সচেতন। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দেয়া সবচেয়ে সহজ। আমরা ক্লাস নেয়ার মাধ্যমে এটাই প্রমাণ করতে চাই যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা সম্ভব।
আর কোন কোন শিক্ষক ক্লাস নিতে পারেন এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক রায়হান জানান, অনেক শিক্ষক ক্লাস নিতে ইচ্ছুক। তারা হলেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, অধ্যাপক এএসএম আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া, অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দীন, অধ্যাপক মানস চৌধুরী, অধ্যাপক শামীমা সুলতানা প্রমুখ।
এবিষয়ে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ জানান, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকলে যতটা নিরাপদ থাকবে তার চেয়ে আশেপাশে আরও বেশি অনিরাপদ অবস্থায় আছে। সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে যাতে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের দ্রুত হলে উঠার ব্যবস্থা করা হয় সেজন্য আমরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছি। ধাপে ধাপে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পাশাপাশি চিকিৎসা কেন্দ্রের সক্ষমতা বাড়াতে হবে, বিভিন্ন টেস্টসহ করোনা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সেবার ব্যবস্থা থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’ নামে সারাদেশে আমাদের একটি সংগঠন আছে। সেখান থেকেই গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতীকী এই ক্লাস সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলবে। এই কর্মসূচি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে জনমত তৈরি করবে।
আরও পড়ুন: শিগগিরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
প্রসঙ্গত, সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ক্ষেত্রে কিছু করণীয় প্রস্তাব দেয় বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক শিক্ষকদের এই সংগঠন। (১) বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর যাতে শুধু শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে পরীক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে হলে অবস্থান করতে পারেন, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ছাড়া হলগুলোয়ও প্রাথমিক চিকিৎসা এবং শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনের সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে কাজ করে পুরোদমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রক্রিয়ায় যেতে হবে। (২) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোয় শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা পরীক্ষা ও টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ক্যাম্পাসে ব্যবস্থা করা গেলে সবচেয়ে ভালো হয়, তাতে শিক্ষার্থীরা ভিড় এড়িয়ে টিকা নিতে পারবে। (৩) ক্যাম্পাসগুলোয় অবস্থিত চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো, আইসোলেশনের ব্যবস্থা, অসুস্থ হলে শিক্ষার্থীদের দেখাশোনার ব্যবস্থা উন্নত করার কোনো বিকল্প নেই। এ বিষয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। (৪) অনলাইনে সুষ্ঠুভাবে পড়াশোনা চালিয়ে নেয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের জন্য স্বল্প মূল্যে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সার্ভিসের বিশেষ প্যাকেজের ব্যবস্থা চালু করতে হবে। (৫) ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করে তাঁদের শিক্ষায় ফিরিয়ে আনার সেফটি নেটের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
পরীক্ষার দাবিতে আমরণ অনশনে জাবির দুই শিক্ষার্থী
ঢাবি শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণের তথ্য দেয়ার আহ্বান
ইনস্টিটিউশনাল ইমেইল আইডির মাধ্যমে লগইন করে টিকা গ্রহণ সংক্রান্ত তথ্য দিতে বলা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের।
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এটি করার সময় শিক্ষার্থীরা কোন সমস্যায় পরলে নিজ নিজ বিভাগ বা ইনস্টিটিউটের ইমেইল অ্যাডমিনের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ আইসিটি সেলে ইমেইল পাঠানোর মাধ্যমে টিকা গ্রহণ সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছেন, যা ডাটাবেসে সংযুক্ত করা যাচ্ছে না। তাই https://ssl.du.ac.bd/studentlogin ঠিকানায় ইনস্টিটিউশনাল ইমেইল আইডির মাধ্যমে লগইন করে নিজ নিজ প্রোফাইল থেকে টিকা গ্রহণ সংক্রান্ত তথ্য দিতে হবে।
করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বিশ্ববিদ্যালয় পুনরায় চালু করার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মহামারিতে পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা কীভাবে বাস্তবায়ন করবে ঢাবি?
গণটিকা কার্যক্রম আর নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
কারখানার শ্রমিক ও তাদের পরিবারকে দ্রুত টিকাদানের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
শিগগিরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, দেশের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হার কমছে। যদি এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে তাহলে খুব শিগগিরই দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। তবে ধাপে ধাপে খোলা হবে ।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘স্মরণে শ্রদ্ধায় ৭৫’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ।
তিনি বলেন, বর্তমানে যেভাবে সংক্রমণ হার কমে নিচে নেমে আসছে এটা আমাদের জন্য সুখবর । নিম্নগতি থাকলে, কমে আসলে খুব শিগগিরই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারবো। তবে ধাপে ধাপে খুলবো। কারণ আমাদের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীর সংখ্যা পৃথিবীর যেকোনো দেশের তুলনায় বেশি। করোনা প্রতিরোধ সামাজিক দূরত্ব গুরুত্বপূর্ণ, তাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যেন শিক্ষা কার্যক্রম চালানো যায় সেই বিষয়ে আমরা বিবেচনার একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবো ।
তিনি আরও বলেন, এখন সবাই সপ্তাহের সব দিন হয়তো ক্লাস করার সুযোগ পাবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি আছে। শুধু অপেক্ষা করছি, দেখছি সংক্রমণের হার কতটা নিচে নেমে আসে।
আরও পড়ুন: বছরের শেষ ২ মাসে হতে পারে এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও বাড়বে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি
করোনায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর ধীরে ধীরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দ্বার উন্মুক্ত হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শতভাগ শিক্ষকদের উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক খোলার উপযুক্ত রাখতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে আঞ্চলিক পরিচালকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সাথে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে হবে। ওয়ার্কশিট বিতরণ শতভাগ নিশ্চিতকরণ ও যাচাই করতে হবে। শিখন ঘাটতির অবস্থা ও ফিডব্যাক নিতে হবে। বিদ্যালয়ের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের টিকার আবেদনের সময় বাড়ল
শিক্ষকদের নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। হোম ভিজিট যাচাই করা। শিক্ষার্থী প্রোফাইল শতভাগ হয়েছে কিনা তা দেখা। দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য করণীয় নির্ধারণ করা। স্যাম্পল হিসেবে শিক্ষার্থীর বাড়ি যাওয়া এবং শিক্ষার্থী যোগাযোগ রেজিস্ট্রার যাচাই করা।
এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওয়াশ ব্লক ঠিক করার জন্য দ্রুত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে মাউশি। এজন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাসহ ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের আদেশ যথাযথ পালন করতে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সূত্র বলছে,শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টিকা দেয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আওতায় এসেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী থেকে নেয়া হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। সেজন্যই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ব্যাপারে সরকার ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসা পর্যন্ত স্কুল পর্যায়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না। শেষ হবে স্কুলে ছুটি আরেক দফা বাড়ছে।
সার্বিক বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সহকারী উপজেলা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত বিদ্যালয় পরিদর্শন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোন কর্মকর্তারা যদি নির্দিষ্ট এলাকার সমস্ত বিদ্যালয় পরিদর্শন না করেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে সিলেটে সমাবেশ
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও কলেজ) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন,‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং বিদ্যালয় খোলার সার্বিক প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে আঞ্চলিক পরিচালকদের নির্দেশ দিয়েছি। সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায় থেকে নির্দেশনা পাওয়ার সাথে সাথেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুরোপুরি খোলা যাবে। তাছাড়া আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলাই রয়েছে। নিয়মিত অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া এবং তা নেয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা।’
দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন শাবিপ্রবির উপাচার্য
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্য হিসেবে আগামী চার বছরের জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করলেন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
চলতি বছরের জুন মাসে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. নূর-ই-আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্যের নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
শনিবার সাকল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-২ এর সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতেই সিলেট বিভাগের প্রথম বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মিত হয়
এর আগে ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম উপাচার্য হিসেবে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
প্রথম মেয়াদে দায়িত্বকালে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা বৃদ্ধি, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মানুবর্তিতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি, আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার উপর গুরুত্বারোপ, সেশনজট নিয়ন্ত্রণ, একযুগ পর তৃতীয় সমাবর্তন আয়োজন, অবকাঠামো উন্নয়নে এক হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প অনুমোদন, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাকে সিলেট সিটি করপোরেশনে আওতাভুক্তকরণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আইসিটি গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড ২০১৭ এবং ডিজিটাল ক্যাম্পাস অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ অর্জন, করোনা পরীক্ষায় নিজস্ব অর্থায়নে পিসিআর ল্যাব চালু, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, পরিবহন খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ বেশকিছু উল্লেখযোগ্য মেগা ইস্যুর সমাধান ও অর্জন করতে সক্ষম হয় শাবিপ্রবি।
এছাড়াও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণায় প্লেজারিজম মুক্ত রাখতে টার্ন-ইট-ইন সফটওয়্যার চালু, গবেষণায় বরাদ্দ সাতগুণ বৃদ্ধি, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রথম ডোপ টেস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম চালু, চা শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য কোটা চালু ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ আবাসন ব্যবস্থা চালু, ক্যাম্পাসকে র্যা গিংমুক্তকরণ, সার্টিফিকেট যাচাইয়ের জন্য ব্লক চেইন পদ্ধতি চালু, করোনায় অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা, অনলাইন ক্লাসের জন্য শিক্ষকদের প্রণোদনা ও ঋণ প্রদান, শিক্ষার্থীদের ডাটা প্যাকেজ প্রদান, ক্যাফেটেরিয়া খাবারের মান বৃদ্ধি, লাইব্রেরি ও মেডিকেল সেন্টারের আধুনিকায়ন, খেলাধুলায় বাজেট বৃদ্ধি, প্রশাসনিক ভবনসমূহে বিশুদ্ধ ও সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিকরণ, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ ও গৃহ নির্মাণের জন্য ঋণ সুবিধা দেয়া প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের অবদান ছিল প্রশংসনীয়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির ১১ শিক্ষক-শিক্ষার্থী পেলেন ইরাসমাস স্কলারশিপ
শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য যারা কাজ করেছেন তাদের স্মৃতির রক্ষার্থে কাজ করতে চাই। সিলেট অঞ্চলের সর্বোচ্চ এই বিদাপীঠের শিক্ষার্থীরা একসময় এই বাংলাদেশের সর্বস্তরে নেতৃত্ব দেবে। সামনের দিনগুলোতে শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে আরও অনেক বেশি এগিয়ে যাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সংস্কৃতি চর্চায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বক্ষেত্রে সবাইকে একসাথে নিয়ে কাজ করে যাব।
অনলাইনে পরীক্ষা নেবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনলাইনে নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) বিকালে ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষদীয় ডিনদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যাপারে পরামর্শ আসায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভিসি শেখ আবদুস সালাম।
পরীক্ষার ব্যাপারে স্ব-স্ব বিভাগে চূড়ান্ত নীতিমালা পাঠানো হয়েছে। যেসব বিভাগ প্রস্তুত রয়েছেন তারা চাইলে যে কোনো সময় পরীক্ষা শুরু করতে পারেন।
এসময় প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আতাউর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) এ কে আজাদ লাভলু ও অনুষদীয় ডিনরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইবি শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণ শুরু
স্থাপত্যশৈলীর অনন্য নিদর্শন ইবির কেন্দ্রীয় মসজিদ