%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6
জলবায়ু দুর্গত দেশগুলোর অর্থায়ন নিশ্চিতে আয়োজিত হচ্ছে ন্যাপ এক্সপো
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিপদাপন্ন দেশগুলোর জন্য জলবায়ু তহবিল হতে অর্থায়ন নিশ্চিত করতে ন্যাপ এক্সপো একটি গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী জানিয়েছেন, আগামী ২২ থেকে ২৫ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) জাতিসংঘ জলবায়ু অভিযোজন সম্মেলন ন্যাশনাল এডাপটেশন প্ল্যান (ন্যাপ) এক্সপো ২০২৪ অনুষ্ঠিত হবে।
ইউএনএফসিসিসির তত্ত্বাবধানে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বিশেষজ্ঞ গ্রুপ এবং বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় এ এক্সপো আয়োজিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই সম্মেলনটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক্সপোতে আরও থাকবেন ইউএনএফসিসিসির এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি সাইমন স্টিয়েল।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) ন্যাপ এক্সপো ২০২৪ উপলক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পরিবেশমন্ত্রী।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ন্যাপ এক্সপো একটি আন্তর্জাতিক ফোরাম যেখানে বিভিন্ন দেশ, সংস্থা এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা ন্যাপ প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পারস্পরিক যোগাযোগ এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় করে।
ন্যাপ এক্সপোতে বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা, ন্যাপ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এবং বিভিন্ন দেশের ন্যাপগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতির মূল্যায়ন করতে বিশেষজ্ঞদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান পরিবেশমন্ত্রী।
এছাড়াও, এই এক্সপো উন্নয়নশীল দেশগুলোর ন্যাপ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত গ্যাপ এবং চাহিদা চিহ্নিতকরণের জন্য প্রশিক্ষণেরও আয়োজন করবে।
সাবের হোসেন চৌধুরী জানান, ন্যাপ এক্সপো ২০২৪-এ অংশগ্রহণ করতে ১০৪টি দেশের ৩৮৩ জন ইউএনএফসিসিতে রেজিস্ট্রেশন করেছে। এছাড়া, দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার প্রতিনিধি, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ, এনজিও প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীসহ সাড়ে ৫০০ জন অংশগ্রহণ করবেন।
এ সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশের অভিযোজন কার্যক্রম সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় থেকে সবাই পারস্পরিকভাবে উপকৃত হতে পারবে বলে জানান পরিবেশমন্ত্রী।
মন্ত্রী জানান, এ সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের অভিযোজনমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে ২০টি স্টল থাকবে। এছাড়াও, ৪ দিনে ১৬টি সেশনে বিশেষজ্ঞরা ট্রান্সফরমেশনাল এডাপটেশন, ফিনান্সিয়াল মেকানিজম, এডাপ্টেশন একটিভিটি মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন টুলস, জেন্ডার রেস্পন্সিভ এডাপটেশন প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা করবেন।
বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দকৃত ১০টি স্টলে রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং, পাহাড়ি অঞ্চলে সোলার এনার্জির মাধ্যমে পানি উত্তোলনের ব্যবস্থা, জলবায়ু সহিষ্ণু বীজ, প্রাণিসম্পদ সংরক্ষণ এবং অন্যান্য কৃষি কার্যক্রম সংক্রান্ত বিষয়, অভিযোজন কর্মকাণ্ডের সমর্থনে ডেল্টা প্লানের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড, জলবায়ু অভিযোজনের জন্য সাইক্লোন সেল্টার, মুজিব কিল্লা, রাস্তাঘাট, কালভার্ট নির্মাণ, জলবায়ু সহিষ্ণু নগর ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু উদ্বাস্তু ইত্যাদি জলবায়ু অভিযোজনের বিষয়গুলো দেখানো হবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বিদেশি স্টলে প্রদর্শিত অভিযোজন কর্মকাণ্ড থেকেও অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও এক্সপোতে দেশের জলবায়ু অভিযোজন প্রদর্শনের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দেশি বিদেশি সংস্থা অংশগ্রহণ করবে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (পদূনি) তপন কুমার বিশ্বাস, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী প্রমুখ।
পরিবেশ দূষণ নিয়ে অভিযোগের দ্রুত নিষ্পত্তির আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
পরিবেশ দূষণ নিয়ে জনগণ কোনো অভিযোগ দিলে দ্রুততম সময়ে তার নিষ্পত্তি করতে আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ কর্মকাণ্ডে চ্যালেঞ্জের মাত্রা অনেক বেশি হলেও মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। জনগণ কোনো অভিযোগ দিলে দ্রুততম সময়ে তার নিষ্পত্তি করতে হবে।
সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বিশেষ সভায় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদানকালে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, সরকারি কর্মসূচিগুলো যাতে পরিবেশবান্ধব হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
আরও পড়ুন: অতীতের ভুলভ্রান্তি পিছনে ফেলে সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের ব্যবহার রোধ এবং পরিবেশসম্মত উপাদানে ব্যানার ফেস্টুন তৈরি করতে হবে। পরিবেশবান্ধব পৌরসভা, শূন্য বর্জ্য গ্রাম বাস্তবায়ন করতে হবে।
এছাড়াও শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিবেশবিষয়ক সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, আগামী বছর ২০২৫-এ পাঠ্যপুস্তকে পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন ও জীববৈচিত্র্য ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মোশারফ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পদূনি) তপন কুমার বিশ্বাস, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিযোজনে সাফল্য তুলে ধরতে ন্যাপ এক্সপো-২০২৪ বাংলাদেশ: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু অভিযোজনের জন্য সরকার প্রতি বছর ৩.৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে: পরিবেশমন্ত্রী
সরকার জলবায়ু অভিযোজন কর্মকাণ্ডের জন্য প্রতি বছর ৩.৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে অভিযোজন কার্যক্রমের জন্য বছরে ৯ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন, তাই অতিরিক্ত অর্থ আমাদের সংগ্রহ করতে হবে।
এ ক্ষেত্রে সরকার, এনজিও ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন সাবের হোসেন চৌধুরী।
রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে যুক্তরাজ্য সরকারের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ এবং উন্নয়ন অফিসের (এফসিডিও) প্রকৃতিভিত্তিক অভিযোজন প্রতি সমৃদ্ধ ও দক্ষ জীবনধারা এবং জীবিকা বাংলাদেশ (নব্পল্লব) প্রকল্প উদ্বোধন করার সময় এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বন্যপ্রাণী পাচার-শিকার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: পরিবেশমন্ত্রী
মন্ত্রী সাবের চৌধুরী জানান, বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন এবং পাখি ও মাছের প্রজননক্ষেত্র হাকালুকি হাওরের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা রক্ষায় কাজ করা হবে। আয় বৃদ্ধির কৌশল এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি এই এলাকাগুলোতে চ্যালেঞ্জ কমাতে আশেপাশের সম্প্রদায়ের সঙ্গে সহযোগিতা করা হবে।
পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া, সম্পদ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি উন্নীতকরণ এবং সহনশীল ফসল এবং জলবায়ু-প্রতিরোধীর মতো সমাধানগুলো চালু করার ক্ষেত্রে জড়িত করা হবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশে সহযোগিতা বাড়াবে এডিবি: পরিবেশমন্ত্রী
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, কেয়ার এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক রমেশ সিং, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরী, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আইনুন নিশাত এবং নবপল্লবের চিফ অব পার্টি সেলিনা শেলী খান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে দাতা সংস্থা প্রতিনিধি, অতিথি ও বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষায় কর্মরত কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নদীর দখল ও দূষণমুক্ত করতে একযোগে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশে সহযোগিতা বাড়াবে এডিবি: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় তহবিলের খুবই প্রয়োজন বাংলাদেশের এবং এক্ষেত্রে বাংলাদেশে সহযোগিতা বাড়াবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
রবিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট ফাতিমা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় জলবায়ু মোকাবিলায় ৯ বিলিয়ন ডলারের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে অবকাঠামো উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং শিক্ষার জন্য সরকারের ৩.৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দের কথা তুলে ধরেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণ রোধে ২০ বছরের পুরোনো বাস প্রত্যাহার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বৈঠকে বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিংও ছিলেন।
অভিযোজন প্রচেষ্টায় বিনিয়োগে বেসরকারি খাতের অনীহার কথা স্বীকার করে সাবের অভিযোজন কর্মসূচি নগদীকরণ এবং স্থানীয়ভাবে নেতৃত্বাধীন উদ্যোগকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ওপর জোর দেন।
এছাড়াও আন্তঃসীমান্ত বায়ু দূষণের বিষয়টি তুলে ধরেন পরিবেশমন্ত্রী। যা বাংলাদেশের বায়ু দূষণের ৩০ শতাংশের জন্য দায়ী। এর মোকাবিলার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
ডেল্টা প্ল্যান, মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান ও ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যানের মতো গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিতে এডিবির দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন সংস্থাটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফাতিমা ইয়াসমিন।
তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে এডিবির দৃঢ় অংশীদারিত্ব এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় রূপান্তরমূলক প্রকল্প গ্রহণে এডিবির নিবেদনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
মোট ৯.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দের মধ্যে এডিবি বাংলাদেশের জন্য ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিশেষ করে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা দেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার প্রতি তার গভীর প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
আরও পড়ুন: নদীর দখল ও দূষণমুক্ত করতে একযোগে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বিশ্ব পানি দিবসে বংশী-তুরাগ নদী রক্ষায় গণশুনানি
অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও নগরায়নের কারণে রাজধানীর বংশী ও তুরাগ নদী সংকুচিত হয়ে গেছে বলে এক গণশুনানিতে উঠে এসেছে।
শুনানিতে অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, এই নদীগুলোর ওপর নির্ভরশীল জেলেদের জীবিকা, খাদ্য ব্যবস্থা ও পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে এবং মিঠা পানির সংকট বেড়েছে।
শুক্রবার(২২ মার্চ) বংশী নদীর তীরবর্তী মাঝির দিয়া গ্রামে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে এক গণশুনানিতে এমন মন্তব্য করেন বক্তারা।
চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ, রিভার ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার, সেন্টার ফর অ্যাটমোস্ফেরিক পলিউশন স্টাডিজ ও উই মিন গ্রিন যৌথভাবে এ গণশুনানির আয়োজন করে।
নদী রক্ষায় গণশুনানিতে কাউন্দিয়া ইউনিয়নের মাঝির দিয়া গ্রামের প্রায় শতাধিক মাঝি পরিবারের সদস্য অংশ নেন।
তারা জানান, দূষণের কারণে বংশী নদীর পানি দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করবে।
পানির সুষম বণ্টন নিশ্চিত করতে নদী, খাল ও সমুদ্রকে নিজস্ব গতিতে চলতে দেওয়া উচিত বলে বিশেষজ্ঞরা অভিমত ব্যক্ত করেন।
জেলেরা জানান, বংশী ও তুরাগ নদীই তাদের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। দূষণের কারণে এ নদীতে এখন আর মাছ পাওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: সবুজ ভবিষ্যৎ নির্মাণে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ ও নর্ডিক দেশগুলো: পরিবেশমন্ত্রী
জেলে পরিবারের নারী সদস্যরা জানান, বংশী বা তুরাগের পানি গৃহস্থালির কোনো কাজে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এমনকি পানিতে নামলেও শরীরে চুলকানি, ঘাসহ নানা ধরনের রোগ হচ্ছে।
গণশুনানিতে চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন খান বলেন, বাংলাদেশের নদীগুলো বাঁচলেই বাংলাদেশ বাঁচবে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় নদীগুলো দখল করা হচ্ছে, দূষিত হচ্ছে এবং ভরাট করা হচ্ছে।
জাকির বলেন,নদী দখল ও দূষণের দায়ে কাউকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না।
রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্স সেন্টারের চেয়ারম্যান বলেন, নদীতে মাছ না পাওয়ায় জেলেরা পেশা পরিবর্তন করছে। শিল্প দূষণের কারণে বংশী ও তুরাগ নদী আজ মরে যাচ্ছে।
মোহাম্মদ এজাজ বলেন, প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ পানির সংকটে রয়েছে।
তিনি বলেন, নদীর পানির দূষিত হওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত চাপ বাড়ছে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর।
অধ্যাপক কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, পচা পানির দুর্গন্ধে নদী পারাপারই কঠিন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: বর্জ্য থেকে সার উৎপাদনে কর্মসূচি গ্রহণ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
তিনি বলেন, এ পানিতে মাছ ও জলজ প্রাণী বাঁচতে পারে না। নদী দূষণ রোধে আইন থাকলেও পরিবেশ অধিদপ্তরের অবহেলা ও শিল্পকে জবাবদিহির আওতায় আনতে না পারার কারণে ধ্বংস হচ্ছে নদী।
জাবেদ আহমেদ বলেন, নদী দূষণ ও দখলমুক্ত হলে নদীকেন্দ্রিক পর্যটন গড়ে তোলা সম্ভব। এতে পর্যটন কেন্দ্রকে ঘিরে এখানে কর্মসংস্থান বাড়বে। মানুষের জীবন-জীবিকার উন্নতি হবে।
বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে ‘ঢাকার পানি, জলাভূমি ও জলবায়ু’ স্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত গণশুনানি অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উই মিন গ্রিনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা রহমান।
বিশ্ব পানি দিবস ২০২৪-এ, চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ একটি রূপরেখা সম্বলিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে- যা জলবায়ু পরিবর্তন, পানির ঘাটতি এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোকে তুলে ধরেছে।আরও পড়ুন: বনে কোনো অবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে না: সাবের হোসেন
বনে কোনো অবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে না: সাবের হোসেন
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বনাঞ্চলে কোনো প্রকার অবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে না।
তিনি বলেন, ‘বনকে সম্পদ হিসেবে দেখতে হবে। বনের ভেতর দিয়ে রাস্তাঘাট বা অন্য কোনো অবকাঠামো নির্মাণ করে বন ধ্বংস করা যাবে না।’
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) আন্তর্জাতিক বন দিবস-২০২৪ উপলক্ষে বন অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বন সংরক্ষণের জন্য আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। বন গবেষণা বাড়ানো হবে।
সাবের হোসেন বলেন, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দিতে বন, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: বনশ্রীতে বিধি লঙ্ঘন করে বাড়ি নির্মাণ করায় ১১ লাখ টাকা জরিমানা
তিনি বলেন, বনায়ন ও তদারকি কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে। স্মার্ট পেট্রোলিং ব্যবস্থা প্রবর্তনের ফলে সুন্দরবনে বন পর্যবেক্ষণ ও অপরাধ দমনে সফল ভূমিকা রাখা হচ্ছে।
সুন্দরবনসহ অন্যান্য সংরক্ষিত এলাকায় পর্যটকদের জন্য অনলাইনে টিকিট ও অন্যান্য সেবা পেতে মোবাইল অ্যাপস তৈরি করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিদ্যমান আইন, বিধি-বিধান যুগোপযোগী করা হচ্ছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহানা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন, প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন অরণ্যক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ জে এম মনজুর রশীদ।
অনুষ্ঠানে সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের হাতে চেক তুলে দেওয়া হয় এবং আন্তর্জাতিক বন দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত 'বৃক্ষ শনাক্তকরণ' প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: বর্জ্য থেকে সার উৎপাদনে কর্মসূচি গ্রহণ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
বর্জ্য থেকে সার উৎপাদনে কর্মসূচি গ্রহণ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
দেশের বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরিত করতে এটি থেকে সার উৎপাদনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘দেশের বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরিত করতে কাজ করছে সরকার। বর্জ্য থেকে সার উৎপাদনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে। এগুলো সংগ্রহ করে সরকারি ও বেসরকারিভাবে সার উৎপাদনের কাজ শুরু হবে।’
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সচিবালয়ে ইউএসএআইডি ও ঢাকা কলিংয়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পরিবেশমন্ত্রীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন পরিবেশমন্ত্রী।
তিনি জানান, ২০২৫ সাল নাগাদ দেশে বিভিন্ন খাতে প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপাদন হবে। ভবিষ্যতে শুধু শহর নয়, সব এলাকার বর্জ্যেরই ব্যবস্থাপনা করতে হবে। এগুলো সংগ্রহ করে সরকারি ও বেসরকারিভাবে সার উৎপাদনের কাজ শুরু হবে।
আরও পড়ুন: বনশ্রীতে বিধি লঙ্ঘন করে বাড়ি নির্মাণ করায় ১১ লাখ টাকা জরিমানা
তিনি আরও বলেন, ‘বর্জ্য থেকে মানসম্পন্ন সার পাওয়া গেলে আমরা আমদানি কেন করব? বর্জ্য থেকে সার উৎপাদন শুরু হলে সার আমদানি কমে যাবে। এতে আমাদের অনেক বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।’
মন্ত্রী বলেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ১০০ কর্মদিবসের কর্মসূচির মধ্যে ন্যাশনাল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক প্রণয়নের বিষয়টি অগ্রাধিকার পর্যায়ে আছে।
‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পুরো ইকোসিস্টেমের দিকে আমরা তাকাচ্ছি। কীভাবে সেটার উন্নয়ন ও কার্যকর করা যায় তা ভাবা হচ্ছে। আপাতত কঠিন বর্জ্য বা সলিড ওয়েস্ট নিয়ে কাজ হবে। পর্যায়ক্রমে মনুষ্য বর্জ্য, ট্যানারি বর্জ্য, ই-বর্জ্য, মেডিকেল বর্জ্য নিয়েও কাজ হবে। সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিককেও পুনর্ব্যবহারে উদ্যোগ নেওয়া হবে। ভবিষ্যতের প্রয়োজন বিবেচনায় এখন থেকেই জায়গা চিহ্নিত করে জমি অধিগ্রহণ করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হবে।’
সাভারের ট্যানারির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানকার বর্জ্য থেকে যে ক্রোমিয়াম পাওয়া যাচ্ছে তা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ঝুঁকির। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টির সুরাহা করতে চায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়।’
আরও পড়ুন: সবুজ ভবিষ্যৎ নির্মাণে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ ও নর্ডিক দেশগুলো: পরিবেশমন্ত্রী
২০২৩ সালে চীন প্রায় ৪০ লাখ হেক্টর বনায়ন করেছে
গত বছর ৩৯ লাখ ৯৮ হাজার হেক্টর ভূমিতে সবুজায়নে পদক্ষেপ নিয়েছে চীন।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সরকারি তথ্য থেকে এসব জানা গেছে।
ন্যাশনাল গ্রিনিং কমিশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের চেয়ে গত বছর দেশটিতে বেশি পরিমাণ ভূমিতে বনায়ন হয়েছে। এ সময় ৩৮ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর ভূমিতে বনায়ন করেছে দেশটি। ২০২৩ সালে, দেশটি ৪৩ লাখ ৭৯ হাজার হেক্টর তৃণভূমি পুনরুদ্ধার করেছে এবং ১৯ লাখ ৫ হাজার হেক্টর বালু মাটির ভূমি ও পাথরযুক্ত জমি শোধন করেছে।
চীনে মঙ্গলবার ৪৬তম জাতীয় বৃক্ষরোপণ দিবস পালিত হচ্ছে।
বনশ্রীতে বিধি লঙ্ঘন করে বাড়ি নির্মাণ করায় ১১ লাখ টাকা জরিমানা
সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন করে বাড়ি নির্মাণ করায় রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রীর তিতাস রোডে ভবন মালিকের জরিমানা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
রবিবার (১০ মার্চ) বিকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম নির্মাণাধীন ভবন মালিকের এই জরিমানা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী।
নির্মাণাধীন ভবনের সামনে রাস্তার পাশে কোনো জায়গা না রেখে নির্মাণসামগ্রী যেখানে-সেখানে ফেলে রাখা, নির্মাণাধীন বাড়ি নিরাপত্তার জন্য ঢেকে না রাখাসহ বিধি লঙ্ঘন করায় বাড়ির মালিকের মোট ১১ লাখ ২৪ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
নির্মাণাধীন ভবনের রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করার সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন রাস্তার ক্ষতি করায় ১০ লাখ ২৪ হাজার টাকা এবং বাড়ি নির্মাণকালে নির্মাণসামগ্রী রাস্তায় রাখার দায়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সচেতন করতে অলিম্পিয়াডের আয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী
এছাড়াও, রাজউকের সেটব্যাক আইন অমান্য করে বাড়ি নির্মাণের সময় রাস্তার পাশে প্রয়োজনীয় জায়গা রাখা হয়নি। নিরাপত্তার জন্য নির্মাণাধীন ভবন ঢেকে রাখা হয়নি। এসব বিষয় রাজউকের আওতাধীন হওয়ায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজউকের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে ডিএসসিসি।
এসময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে কোনো নির্মাণকাজ করলে বা পরিবেশ দূষণ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত থাকবে। পরিবেশের মানোন্নয়নে সবাইকে আইন মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সবুজ ভবিষ্যৎ নির্মাণে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ ও নর্ডিক দেশগুলো: পরিবেশমন্ত্রী
সবুজ ভবিষ্যৎ নির্মাণে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ ও নর্ডিক দেশগুলো: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ ও নর্ডিক দেশগুলো আরও সবুজ ও জলবায়ু সহিষ্ণু ভবিষ্যতের জন্য একসঙ্গে কাজ করবে।
নর্ডিক দেশগুলোর পরিবেশ রক্ষায় দৃষ্টান্তমূলক অঙ্গীকারের প্রশংসা করে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশও একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনে অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ঢাকার হোটেল রেডিসনে আয়োজিত নর্ডিক দিবস স্মরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান পরিবেশমন্ত্রী। ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইডেনের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব উদযাপন করতে এ্ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১৯৭২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি নর্ডিক দেশগুলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিয়েছিল। সে কথা তুলে ধরে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এটি আমাদের সংহতি ও সমর্থনের ভিত্তিতে একটি সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছিল।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে: জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলনে পরিবেশমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও নর্ডিক দেশগুলোর মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার উদাহরণ। এটি আসলে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, অভিন্ন মূল্যবোধ এবং টেকসই ও সমৃদ্ধির প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত অংশীদারিত্ব।
টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সবচেয়ে টেকসই এবং সমন্বিত ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নর্ডিক কাউন্সিলের দৃষ্টিভঙ্গির ওপর জোর দেন সাবের হোসেন চৌধুরী।
পরিবেশ সংরক্ষণের ওপর জোর দিয়ে নর্ডিক অঞ্চলের মোহনীয় প্রাকৃতিক দৃশ্যের প্রশংসা করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পরিবেশ ও জলবায়ু মোকাবিলার ভিত্তিতে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে: পরিবেশমন্ত্রী
এছাড়াও জলবায়ু সহনশীলতা, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রের রূপরেখা তুলে ধরেন পরিবেশমন্ত্রী।
জলবায়ু পরিবর্তন এবং উদ্ভাবন ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতাকে আরও গভীর করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিক্টার-সভেনডসেন, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস মোলার ও ভারতের নয়া দিল্লিতে ফিনল্যান্ড দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন ড. টিটো গ্রোনোও বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সচেতন করতে অলিম্পিয়াডের আয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী