প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
একনেকে চতুর্থ এইচপিএনএসপি প্রকল্পের ব্যয় বাড়ল ৩০ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর প্রোগ্রামের (চতুর্থ এইচপিএনএসপি) প্রথম সংশোধনীতে এর ব্যয় ৩০ হাজার ৪৪৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা বেড়েছে এবং প্রকল্পের সময়সীমা এক বছর বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত অনুমোদন করেছে।
একনেক সভায় মোট ১১টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে যার সামগ্রিক প্রাক্কলন ব্যয় ৩৭ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা (শুধুমাত্র চারটি সংশোধিত প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয় গণনা)।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলানগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত হন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
মন্ত্রী বলেন, ‘আজকের বৈঠকে সাতটি নতুন ও চারটি সংশোধিত— মোট এগারটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে এবং মোট আনুমানিক ব্যয় ৩৭ হাজার ৫০৭ কোটি ২২ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে আবারও ক্ষমতায় আনবে: শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, ব্যয়ের মধ্যে ৩৬ হাজার ২৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে, আর ৩৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তহবিল থেকে এবং বাকি এক হাজার ৪৪৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা প্রকল্প ঋণ হিসাবে বৈদেশিক উৎস থেকে আসবে।
পরিকল্পনা কমিশনের মতে, ৪র্থ এইচপিএনএসপি -এর খরচ মূল লেআউট থেকে ১৫ হাজার ৪৮৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৯৩৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
নতুন সাতটি প্রকল্পের মধ্যে সবচেয়ে বড়টি হচ্ছে ‘শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজির জন্য প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ’ প্রকল্প, যা মাদারীপুরের শিবচরে বাস্তবায়িত হবে।
আইসিটি বিভাগের অধীনে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ দেশের প্রথম সীমান্ত প্রযুক্তি-ভিত্তিক বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর
প্রধান প্রকল্প কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ৭০ দশমিক ৩৪ একর জমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন, আইওটি, বিগ ডেটা বা ডেটা সায়েন্স, ফরেনসিক বা সাইবার সিকিউরিটি, মেশিন লার্নিং, ব্লক চেইন এবং চিপ ডিজাইন, সাত হাজার ৭৪২-বর্গ মিটার নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রদান। প্রশাসনিক ভবন, ৪৩ হাজার ২৮৭-বর্গ মিটার গবেষণা উন্নয়ন ভবন এবং এছাড়াও বিজনেস সেন্টার এবং ৯ হাজার ৭৬০-বর্গ মিটার ডরমিটরি এবং আট হাজার ৮০০-বর্গ মিটার গ্যালারিসহ ফুটবল মাঠ।
অন্য ছয়টি নতুন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে -মোংলা কমান্ডার ফ্রোটিলা ওয়েস্ট (কমফ্লোট ওয়েস্ট)-এর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা এবং ময়মনসিংহ (ত্রিশাল) মিলিটারি ফার্ম আধুনিকায়ন প্রকল্প, বাংলাদেশের ১০টি অগ্রাধিকার ভিত্তিক শহরে সমন্বিত স্যানিটেশন ও হাইজিন প্রকল্প, ঢাকা পানি সরবরাহ নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্প, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধিভুক্ত এলাকায় বর্জ্য অপসারণ ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, সড়ক মেরামতে ব্যবহৃত আধুনিক যান-যন্ত্রপাতি সংগ্রহ এবং ম্যাকানাইজড পার্কিং স্থাপনের মাধ্যমে যানজট নিরসন প্রকল্প; ঢাকার আজিমপুরস্থ মাতৃসদন ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চিকিৎসক, কর্মকর্তা, সিনিয়র স্টাফ নার্স ও প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য হোস্টেল বা ডরমিটরি নির্মাণ প্রকল্প।
সভায় অনুমোদিত অন্য তিনটি সংশোধিত প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে আশুগঞ্জ নদীবন্দর-সরাইল-ধরখার-আখাউড়া স্থলবন্দর মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণ, গোপালগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই নেটওয়ার্ক আপগ্রেড করা।
ব্রিফিংয়ের সময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম,পরিকল্পনা সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মামুন-আল-রশীদ, মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হতাশাবাদীদের পেছনে ফেলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে আবারও ক্ষমতায় আনবে: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সব সময় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এবং দেশের মানুষের ওপর আস্থা রাখে।
দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনে জনগণ আবারও আওয়ামী লীগের পক্ষে তাদের ম্যান্ডেট দেবে এবং দেশের শাসন অব্যাহত রাখার অনুমতি দেবে।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এক দশকেরও বেশি সময়ের শাসনামলে আওয়ামী লীগ দেশকে বদলে দিয়েছে। সরকার বিভিন্ন উদ্দীপনা প্যাকেজ দিয়ে করোনা মহামারির সময়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার এখন ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ, যেখানে মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৫৯১ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত হয়েছে এবং সারাদেশে শতভাগ পরিবারকে বিদ্যুতের আওতায় আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক, আমার বাড়ি আমার খামার ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে সকল সুযোগ-সুবিধা এখন মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশে আর কেউ গৃহহীন থাকবে না এবং সরকার তা নিশ্চিত করবে বলেও এ সময় প্রধানমন্ত্রী পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর
লবিস্ট নিয়োগে খরচ করা প্রতি পয়সার হিসাব দিতে হবে বিএনপিকে: প্রধানমন্ত্রী
বিচারপতি নাজমুল আহাসানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার এক শোক বার্তায়, প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান শুক্রবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিচারপতি নাজমুল আহাসান আর নেই
সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মুহাম্মদ সাইফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান। চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
বেলা ১১টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রপতি গত ৮ জানুয়ারি বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসানকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেন। ৯ জানুয়ারি তার সঙ্গে নিয়োগ পাওয়া অপর তিন বিচারপতি শপথ নিলেও করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকার কারণে তিনি শপথ নিতে পারেননি।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীও তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘মাসুদ রানা’র লেখক-প্রকাশক কাজী আনোয়ার হোসেন আর নেই
বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী দিনে শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল গড়ে তোলার পাশাপাশি বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার জনগণ ও অর্থনীতির কল্যাণে দুই দেশের সম্পর্ককে একটি নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার প্রত্যাশায় রয়েছে বাংলাদেশ।
দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অর্জনের পথে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বস্ত অংশীদার। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে শান্তি, বহুত্ববাদ ও জনগণের মর্যাদার প্রতি অভিন্ন অঙ্গীকার।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা সন্তোষজনক যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা গভীর হচ্ছে এবং শিক্ষা, কৃষি, জ্বালানি এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলা, বিনিয়োগ ও সেবা, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়ানোর এবং জলবায়ু পরিবর্তন, জনগণের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যুর মতো আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার অপার সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদারের প্রত্যাশা
বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে এবং তার নিজের পক্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়ার সরকার ও বন্ধুত্বপ্রতীম জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
প্রধানমন্ত্রী ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে স্বাধীন বাংলাদেশকে অস্ট্রেলিয়ার তাৎক্ষণিক স্বীকৃতিদানের বিষয়টি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনে অস্ট্রেলিয়ার সহায়তা এবং পরবর্তী দশকগুলোতে অব্যাহত আর্থ-সামাজিক সহায়তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান।’
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতা লাভের পর থেকে বিগত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং দারিদ্র্য বিমোচন, জনগণের ক্ষমতায়ন এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে অনেকাংশে সফল হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটি সমৃদ্ধ আধুনিক অর্থনীতি, দায়িত্বশীল দেশ, গণতন্ত্রের চর্চা, শান্তি স্থাপন ও বজায় রাখা এবং নিয়মতান্ত্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা জোরদারের লক্ষে আমাদের অবস্থানকে সুসংহত করতে চাই।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া
মানুষকে অনুপ্রাণিত করার শক্তিশালী মাধ্যম কবিতা: প্রধানমন্ত্রী
ভাষা আন্দোলন থেকে প্রতিটি জাতীয় সংগ্রামে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের উল্লেখযোগ্য অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষকে অনুপ্রাণিত করা এবং তাদের হৃদয়কে স্পর্শ করার অন্যতম হাতিয়ার হলো শক্তিশালী কবিতা।
তিনি বলেন, অনেক না বলা কথা কবিতার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায়। এটা অনেক সংগ্রামে পথ দেখায়।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব ২০২০-২২ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদক ২০২০-২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: হতাশাবাদীদের পেছনে ফেলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, একজন রাজনীতিবিদের কথার চেয়ে একটি কবিতা মানুষকে অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করতে পারে। কবিতা, গান, নাটক এবং সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে পৌঁছানো যায়।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের অভ্যুদয়ের পরপরই বাঙালি সংস্কৃতি ও ভাষার ওপর প্রথম আঘাত নেমে আসে এবং তাই ১৯৪৮ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার সংগ্রাম শুরু হয়।
ভাষা আন্দোলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অগ্রণী ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই মহান নেতা তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র ছিলেন, বাংলার ওপর হামলার প্রতিবাদ করেছিলেন, ছাত্রনেতাদের নিয়ে ছাত্রলীগ ও ভাষাসংগ্রাম পরিষদ গঠন করেছিলেন। আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ভয়-ভীতি ও লোভের ঊর্ধ্বে উঠে ডিসিদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ আরও অনেকের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকেও কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’- এই লাইনটি উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ভাষণটি একটি কালজয়ী কবিতা (অমর কবিতা)।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বারবার হামলা হয়েছে, কিন্তু বাঙালি নির্বিকার বসে থাকেনি প্রতিবারই প্রতিবাদ করেছে।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর যখন কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করা যায়নি, তখন কবিতার মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ হয়েছে। মানুষ অনুপ্রাণিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: জ্ঞানভিত্তিক সমৃদ্ধ দেশ গড়তে চায় সরকার: প্রধানমন্ত্রী
হতাশাবাদীদের পেছনে ফেলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশাবাদীদের সব ভুল ধারণাকে ঝেড়ে ফেলে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের বছরে, ইউএনসিডিপি ২০২৬ সালে বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উন্নীত করার সুপারিশ করেছে। এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।
বুধবার জাতীয় সংসদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের (মানিকগঞ্জ-২) এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে হতাশাবাদীদের সকল ভুল ধারণা দূর করে বাংলাদেশের উন্নয়ন অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করুন: পুলিশ সদস্যদের প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশ উন্নীত হওয়ার পর বৈশ্বিক বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তার সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
পদক্ষেপের বিশদ বিবরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নীত হওয়ার পর বৈশ্বিক বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সরকার অগ্রাধিকারমূলক বাজারে প্রবেশাধিকার এবং বাণিজ্য চুক্তির ওপর একটি কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের ব্যবস্থা নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দেশের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ), মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তি (সিইপিএ) স্বাক্ষরের উদ্যোগ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে এখন কেউ অবহেলা করতে পারবে না: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে, সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১০টি দেশ এবং তিনটি জোটের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করার জন্য একটি পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর ভুটানের সঙ্গে একটি পিটিএ স্বাক্ষর করেছে।
তিনি বলেন, এই ১০টি দেশ হলো- ভারত, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, জাপান, সিঙ্গাপুর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, চীন ও মালয়েশিয়া।
এছাড়াও, তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা, মরক্কো, মরিশাস, সেনেগাল, নাইজেরিয়া, সিয়েরা লিওন, কেনিয়া এবং জিসিসি দেশগুলির সঙ্গে পিটিএ, এফটিএ বা সিইপিএ নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ভয়-ভীতি ও লোভের ঊর্ধ্বে উঠে ডিসিদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করুন: পুলিশ সদস্যদের প্রধানমন্ত্রী
দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পাশাপাশি গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে পুলিশ সদস্যদের পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, জনবান্ধব পুলিশিংয়ের মাধ্যমে দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে প্রতিটি পুলিশ সদস্য পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করবেন।’
‘দক্ষ পুলিশ, সমৃদ্ধ দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ২৩ থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ সপ্তাহ ২০২২-এর উদ্বোধনকালে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
রবিবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে এখন কেউ অবহেলা করতে পারবে না: শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৪ বছরের সংগ্রাম এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় যা আমাদের এই স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। আপনাদের পূর্বসূরিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত দেশের স্বাধীনতাকে সব ধরনের আঘাত থেকে রক্ষা করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। এছাড়াও তিনি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বিজয়ীদের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম) এবং প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল (পিপিএম) পুরস্কার বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: ভয়-ভীতি ও লোভের ঊর্ধ্বে উঠে ডিসিদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
ডিসিদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ২৪ দফা নির্দেশনা
সাংবাদিক হাবীবের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
দৈনিক সময়ের আলোর সিনিয়র রিপোর্টার ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাবীবুর রহমান হাবীবের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
বুধবার এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এর আগে মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে হাতিরঝিলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় হাবীবুর রহমান নিহত হন।
আরও পড়ুন: হাতিরঝিলে সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক হাবীবুর নিহত
সাংবাদিক হাবীবের মৃত্যুতে ডিআরইউর শোক
বাংলাদেশকে এখন কেউ অবহেলা করতে পারবে না: শেখ হাসিনা
আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষা এবং অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় সাফল্যের জন্য বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জল হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন কেউই বাংলাদেশকে অবহেলা করতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘এক সময় বিদেশে বাংলাদেশ নিয়ে অনেক নেতিবাচক ধারণা ছিল। এখনও কিছু লোক আছে যারা বাংলাদেশকে অপবাদ দিতে পছন্দ করে। কিন্তু আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক শান্তি বজায় রাখার দক্ষতা এবং দেশের অভ্যন্তরে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।’
বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের (ডিএসসিএসসি) ২০২১-২২ কোর্সের স্নাতক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। মিরপুর সেনানিবাসে ডিএসসিএসসি শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সে এই গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ভয়-ভীতি ও লোভের ঊর্ধ্বে উঠে ডিসিদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে যে মর্যাদা অর্জিত হয়েছিল, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর তা হারিয়েছিলাম, তবে বাংলাদেশ সফলভাবে তা আবার ফিরে পেয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে কেউ এখন অবহেলা করতে পারবে না। বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে মর্যাদা অর্জন করেছে। এই মর্যাদা ধরে রাখতে হবে।
জাতির পিতার প্রণীত বৈদেশিক নীতি ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়’--এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সবসময় সেই নীতি বজায় রেখেছে।
আরও পড়ুন: ডিসিদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ২৪ দফা নির্দেশনা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কারও সঙ্গে লড়াই করব না। কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত এলে আমরা চুপ থাকব না। আমরা অবশ্যই এর প্রতিবাদ করব। আমরা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে সেভাবেই গড়ে তুলেছি।
বাংলাদেশ সব সময় অন্যদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে বিশ্বাস করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ঐক্যের উন্নয়নে বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
ভয়-ভীতি ও লোভের ঊর্ধ্বে উঠে ডিসিদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করতে এবং দেশকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে সব ধরনের ভয়-ভীতি ও লোভের ঊর্ধ্বে উঠে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) আইনানুগ দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন,‘মানুষের কল্যাণের জন্য সব ধরনের ভয়-লোভের ঊর্ধ্বে উঠে বৈধ দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
মঙ্গলবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ডিসি সম্মেলন ২০২২-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা এবং বাঙালি জাতিকে মাথা উঁচু করে বিশ্ব মঞ্চে এগিয়ে যেতে সক্ষম করাই তার সরকারের লক্ষ্য।’
আরও পড়ুন: ডিসিদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ২৪ দফা নির্দেশনা
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনের আন্তরিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমাদের পক্ষে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী মাঠ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কোনো মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছেন কিনা তা খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, ‘শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো পরিবারের সদস্যরা ভিক্ষা করে জীবন যাপন করবে এটা মেনে নেয়া যায় না। ‘অন্তত, যতদিন আমি ক্ষমতায় আছি, আমি তা দেখতে চাই না।’
আরও পড়ুন: জ্ঞানভিত্তিক সমৃদ্ধ দেশ গড়তে চায় সরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ এবং বিভিন্ন দূরদর্শী প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে দেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে।’
তিনি বলেন,‘এখন আমাদের দায়িত্ব অনেকগুণ বেড়েছে। আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে কেননা বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশ দ্রুত এগোচ্ছে। কিন্তু করোনার কারণে উন্নয়ন যাত্রায় বাধার সৃষ্টি হচ্ছে।’
শেখ হাসিনা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের গ্রামীণ এলাকার দারিদ্র্য বিমোচনে বিশেষ মনোযোগ দেয়ার এবং তাদের স্বাবলম্বী করে তুলতে নির্দেশ দেন।
এসময় তিনি একটি জেলার সার্বিক উন্নয়নে জেলা প্রশাসকদের তাদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতে গবেষণা বৃদ্ধির তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর