������������������������������������������-������������������������
কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের সংশোধনে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনা
গতানুগতিক অপরাধীদের মতো না ভেবে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের মোকাবিলা করতে বিশেষভাবে মনোযোগ দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এক অনির্ধারিত আলোচনায় এ নির্দেশনা দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে আজ সকালে তার কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, ‘কিশোর গ্যাং মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রত্যেককে এতে (গ্যাং মোকাবিলা করতে) জড়িত থাকতে বলা হয়েছে। অন্যান্য অপরাধীদের মোকাবিলা করতে গতানুগতিক যে পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়, সেরকম না ভেবে তাদের (কিশোর গ্যাং) ক্ষেত্রে আমাদের বিশেষ পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
কিশোর অপরাধীরা কোনো অপরাধে জড়িয়ে পড়লেও তাদের মোকাবিলায় সতর্ক থাকতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেন তিনি। বরং তাদের সংশোধন ও বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করার সুযোগ রাখতে হবে।
এ ধরনের কিশোরদের কারাগারে সাধারণ বন্দিদের সঙ্গে না রাখারও নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
এ বিষয়ে প্রকল্প গ্রহণের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
গাজীপুর, টঙ্গী ও যশোরে তিনটি কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে কিশোর অপরাধীদের সংশোধনের জন্য এ সংখ্যা এবং সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়ানোর জন্য বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ থেকে ব্রাজিলে সরাসরি তৈরি পোশাক আমদানি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদার করতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার(৮ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সফররত ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা ও তার প্রতিনিধিদলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই সম্ভাবনার কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রচুর সুযোগ রয়েছে।’
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে সরাসরি তৈরি পোশাক পণ্য আমদানি বৃদ্ধির জন্য ব্রাজিলের সুযোগের কথা তুলে ধরেন। ফলে মধ্যস্থতাকারীদের প্রয়োজনীয়তা দূর করে এবং এই প্রক্রিয়াটিকে আরও ব্যয়সাশ্রয়ী করে তোলা যায় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে বর্তমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও গভীর করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বর্তমান বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা ব্রাজিলের পক্ষে প্রচণ্ডভাবে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে ব্রাজিল থেকে প্রচুর পরিমাণে চিনি, সয়াবিন তেল এবং তুলা আমদানি করে বাংলাদেশ। অন্যদিকে বিনিময়ে কেবলমাত্র ন্যূনতম পরিমাণে তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানি করে। ব্রাজিলের আমদানিতে বৈচিত্র্য আনার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্রাজিলের আমদানিতে বৈচিত্র্য আনার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে- কেবল আরও বেশি তৈরি পোশাক পণ্য নয়, বরং এতে পাট, পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যও অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ে ব্রাজিল সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঐতিহাসিক যোগসূত্রের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের পরপরই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি প্রদানকারী দক্ষিণ আমেরিকার প্রথম দেশ হিসেবে ব্রাজিলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ও অবস্থানের ওপর জোর দেন।
প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলের ফুটবলের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশের ফুটবলের মান উন্নয়নে সহযোগিতা কামনা করেন।
কূটনৈতিক সদিচ্ছার নিদর্শন হিসেবে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৪ সালের জুলাই মাসে অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনে যোগদানের জন্য ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনসিও লুলা দা সিলভার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানান।
২০২৪ সালের গ্রুপ অব ২০ (জি২০) শীর্ষ সম্মেলন আগামী ১২-১৪ জুলাই ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।
১৯টি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে জি-২০ গঠিত। দেশগুলো হলো- আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, জার্মানি, ফ্রান্স, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়ান ফেডারেশন, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৪ সালে জি-২০ এর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবে ব্রাজিল।
আরও পড়ুন: মানুষের জন্য কাজ করুন, জনগণের আস্থা হারাবেন না: জনপ্রতিনিধিদেরকে প্রধানমন্ত্রী
বৈশ্বিক রাজনীতি নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে। ভিয়েরা গাজায় চলমান সংঘাতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থানের প্রশংসা করেন। ইসরায়েলি আগ্রাসনকে গণহত্যা হিসেবে আখ্যা দিয়েবাংলাদেশের নিন্দাকে সমর্থন জানান সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিয়েরা।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে 'তারা (ইসরায়েল) সব ধরনের আন্তর্জাতিক রীতিনীতি লঙ্ঘন করেছে, তারা হাসপাতালে বোমা হামলা চালিয়েছে, আশ্রয় শিবিরে হত্যা অব্যাহত রেখেছে- এটি যুদ্ধ নয়, এটি গণহত্যা।’
তিনি বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী শিশু, নারী ও বৃদ্ধদেরও রেহাই দিচ্ছে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির প্রশংসা করে ভিয়েরা বাংলাদেশের উন্নয়নের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে ব্রাজিলের আগ্রহ প্রকাশ করেন ভিয়েরা। দারিদ্র্য ও ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দুই জনবহুল দেশের মধ্যে সাদৃশ্যের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
ভিয়েরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের জার্সি উপহার দেন। যা এই সফরে বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা এবং সহযোগিতা ও অভিন্ন প্রবৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পথ খুঁজে বের করে পারস্পরিক আকাঙ্ক্ষার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং একটি শক্তিশালী ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়ে এটি ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম বাংলাদেশ সফর। এটি বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।
আরও পড়ুন: বহুপক্ষীয় ফোরাম: ২৪ এপ্রিল থেকে ৬ মে থাইল্যান্ড-সৌদি আরব ও গাম্বিয়া সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী
বহুপক্ষীয় ফোরাম: ২৪ এপ্রিল থেকে ৬ মে থাইল্যান্ড-সৌদি আরব ও গাম্বিয়া সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী
চলতি এপ্রিল ও আগামী মে মাসে বহুপক্ষীয় ফোরামের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে থাইল্যান্ড, সৌদি আরব ও গাম্বিয়া সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) ঢাকার কর্মকর্তারা জনিয়েছেন, তার এই ত্রিদেশীয় সফরের কর্মসূচি চূড়ান্ত করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আগামী ২২ থেকে ২৬ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিকের (এসকাপ) অষ্টম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৪ এপ্রিল ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
'লিভারেজিং ডিজিটাল ইনোভেশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অষ্টম অধিবেশনটি টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করবে। একই সঙ্গে এটি ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে অঞ্চলব্যাপী সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ জোরদার করারও একটি সুযোগ হবে।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডিজিটাল উদ্ভাবন কীভাবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে অবদান রাখতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করতে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সরকারি নেতা ও মন্ত্রী এবং অন্যান্য মূল অংশীজনদের এই অধিবেশনে একত্রিত করবে।
আরও পড়ুন: রূপপুর দ্বিতীয় পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মাণে রোসাটমকে প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
এছাড়াও, অংশগ্রহণকারীরা ডিজিটাল উদ্ভাবনের রূপান্তরমূলক সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণরূপে উন্মোচনের সুযোগগুলো চিহ্নিত করতে এবং টেকসই উন্নয়নে তাদের অবদান জোরদার করার পন্থাগুলো নিয়ে আলোচনা করতে সক্ষম হবে।
একটি ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা বিস্তৃত অংশীদার এবং স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ করে দেবে, যা ডিজিটাল উদ্ভাবনগুলো প্রদর্শন করবে যা ইতোমধ্যে এই অঞ্চল জুড়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান রাখছে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৮-২৯ এপ্রিল রিয়াদে অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের 'গ্লোবাল কোলাবরেশন, গ্রোথ অ্যান্ড এনার্জি ফর ডেভেলপমেন্ট' শীর্ষক বিশেষ বৈঠকে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: দেশে শিশু-মাতৃমৃত্যু কমানোর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২৮ এপ্রিল তিনি রিয়াদে থাকবেন।
এই বিশেষ বৈঠক সরকারি ও বেসরকারি খাতের নেতাদেরকে অভিন্ন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করবে।
বৈঠকটি এই অঞ্চল এবং এর বাইরেও ফোরামের মূল উদ্যোগগুলোকে এগিয়ে নেবে। এর লক্ষ্য ক্রমবর্ধমান উত্তর-দক্ষিণ বিভাজন দূর করা, যা উদীয়মান অর্থনৈতিক নীতি, শক্তি রূপান্তর এবং ভূ-রাজনৈতিক অভিঘাতের মতো বিষয়গুলো আরও প্রশস্ত হয়েছে।
এটি সমস্ত খাত এবং শিল্প থেকে ৭০০ জনেরও বেশি নেতাকে একত্রিত করবে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিশ্বব্যাপী সহযোগিতাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে একটি বিস্তৃত সংলাপ সক্ষম করবে, টেকসই উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি বিশ্বব্যাপী শক্তি রূপান্তরকে উন্নীত করবে, আরও ন্যায়সঙ্গত এবং সহনশীল বিশ্ব অর্থনীতি গঠনে ফোরামের কাজকে সমর্থন করবে।
অন্যদিকে গাম্বিয়া ৪-৫ মে বাঞ্জুলে ১৫তম ওআইসি শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের জন্য প্রস্তুত।
গাম্বিয়া বলেছে, বাঞ্জুলে অনুষ্ঠেয় ১৫তম ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের সাফল্য নিশ্চিত করতে তারা সম্ভাব্য সবকিছু করবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওআইসি সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী ৩ মে গাম্বিয়া যাবেন।
৭ মে প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: মানুষের জন্য কাজ করুন, জনগণের আস্থা হারাবেন না: জনপ্রতিনিধিদেরকে প্রধানমন্ত্রী
মানুষের জন্য কাজ করুন, জনগণের আস্থা হারাবেন না: জনপ্রতিনিধিদেরকে প্রধানমন্ত্রী
জনগণের কল্যাণে স্থানীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর জনপ্রতিনিধিদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘কোনোভাবেই জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস হারাবেন না। তাই জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের জন্য কাজ করুন।’
আজ বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ের শাপলা হলে কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র এবং ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ৫টি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
তিনি বলেন, তার সরকার দেশের প্রতিটি এলাকার উন্নয়ন করেছে এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে তৃণমূল জনগণ।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন নবনির্বাচিত কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটি মেয়র
শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিটি গ্রাম একেকটি জনপদে রূপান্তরিত হবে। এরই মধ্যে আমূল পরিবর্তন এসেছে, যা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন।’
প্রধানমন্ত্রী জনপ্রতিনিধিদের প্রতি জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে বর্তমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ অবশেষে ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণ লাভ করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ প্রেক্ষাপটে জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বর্তমান ধারা অব্যাহত রাখতে আপনাদেরকে আন্তরিকতার সঙ্গে জনগণের পাশে দাঁড়ানো, তাদের সেবা করার দায়িত্ব পালন করতে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রথম নারী মেয়র তাহসিন বাহার সূচনা এবং ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ইকরামুল হক টিটুকে শপথ বাক্য পাঠ করান।
আরও পড়ুন: নতুন সরকার গঠনের পর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে ভারত ও চীন যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী
একই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, সিরাজগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
৫ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা হলেন- কুড়িগ্রামের আ ন ম ওবায়দুর রহমান, ঠাকুরগাঁওয়ের আব্দুল মজিদ, সিরাজগঞ্জের শামীম তালুকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিল্লাল মিয়া ও হবিগঞ্জের আলেয়া আক্তার।
পরে একই স্থানে শপথ নেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সাধারণ ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ৪৪ জন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলররা। কাউন্সিলরদের শপথ বাক্য পাঠ করান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম।
কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের মেয়ে তাহসিন বাহার সূচনা জয়ী হওয়ায় প্রথম নারী মেয়র পেয়েছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন। গত ৯ মার্চ সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনে জয়ী হন তিনি।
ওই দিনই ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন একরামুল হক টিটু।
আরও পড়ুন: রূপপুর দ্বিতীয় পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মাণে রোসাটমকে প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
দেশে শিশু-মাতৃমৃত্যু কমানোর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার বিভিন্ন বাস্তবমুখী পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশে দারিদ্র্যের পাশাপাশি শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস করেছে।
তিনি বলেন, 'জনগণের প্রাথমিক চিকিৎসা সুবিধার ব্যবস্থা করতে আমরা সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেছি। ফলে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে।’
বুধবার (৩ এপ্রিল) শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজের ব্যবস্থাপনা দল গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
কেপিজে হেলথকেয়ারের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেরহাদ চিন কিট চুয়ান দলের নেতৃত্ব দেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এলাকার শ্রমিক ও জনগণ যাতে সহজে চিকিৎসা সুবিধা পায় সেজন্য এই শিল্পাঞ্চলে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এডিবির আরও সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী
হাসপাতালটি বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অধীনে পরিচালিত হয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'আমি এবং আমার বোন শেখ রেহানা আমাদের সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি জনগণের স্বার্থে ট্রাস্টে দান করেছি। আমাদের কেউ নেই এবং আমরা মানুষের কল্যাণে আমাদের সম্পদ দান করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিচারণ করে বলেন, এক সময় বাংলাদেশের লোকেরা দরিদ্র ও স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল এবং দিনে দুই বেলা খাবার জোগাড় করতে পারত না।
তিনি বলেন, ‘আমরা দারিদ্র্যের হার কমাতে সক্ষম হয়েছি।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অধীনে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।
২৫০ শয্যার হাসপাতালটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে মালয়েশিয়ার বিখ্যাত বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা কেপিজে হেলথকেয়ার বারহাদ। কেপিজে হেলথ কেয়ার বেরহাদের বর্তমানে মালয়েশিয়ায় ২৯টি হাসপাতালের একটি চেইন রয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে নামকরণ করা ২৫০ শয্যার বিশ্বমানের এই হাসপাতালটি ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে মানুষের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: শিশু ও মাতৃমৃত্যু হ্রাসে বাংলাদেশের বলিষ্ঠ সাফল্য অর্জন: ডব্লিউএইচও
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অধীনে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত অত্যাধুনিক এই চিকিৎসা কেন্দ্রটি মালয়েশিয়ার স্বনামধন্য বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা কুম্পুলান পেরুবেতান জোহর (কেপিজে) হেলথকেয়ার বারহাদ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।
এটি বাংলাদেশের প্রথম ইন্টিগ্রেটেড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইএমএস) সনদপ্রাপ্ত হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজ। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক সনদ প্রদানকারী সংস্থা ব্যুরো ভেরিতাস এর পদক পায় প্রতিষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন: শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর: শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
রূপপুর দ্বিতীয় পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মাণে রোসাটমকে প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
ঢাকা, ২ এপ্রিল (ইউএনবি)-রূপপুরে দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার জন্য রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু সংস্থা রোসাটমকে অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচোভ গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা রোসাটমকে বলেন, চলমান প্রকল্প শেষ হলে রূপপুরে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বর্তমান সরকার।
তিনি বলেন, নতুন দুটি ইউনিট স্থাপনের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে কারিগরি জরিপ করা প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিটের জ্বালানি বর্জ্য রাশিয়ায় ফেরত নেওয়ার সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এডিবির আরও সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী
রোসাটমের মহাপরিচালক প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদিত পারমাণমিক জ্বালানি বর্জ্য রাশিয়ান ফেডারেশনকে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে রাশিয়া সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেন এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সব আনুষ্ঠানিকতা যথাসময়ে সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দেন।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পারমাণবিক জ্বালানি বর্জ্য রাশিয়ায় ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ইতোমধ্যে ঢাকা ও মস্কোর মধ্যে একটি আন্তঃরাষ্ট্রীয় চুক্তি সই হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় বিশেষ করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সহায়তার জন্য রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল এবং তা বাস্তবায়িত হচ্ছে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় রাশিয়ার সহায়তা এবং পরবর্তীতে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে সহায়তার কথা স্মরণ করেন তিনি।
পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী।
রোসাটমের মহাপরিচালক রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে জানান।
তিনি বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ২০২৫ সালের মধ্যে উৎপাদনে যাবে এবং জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করবে।
তিনি আরও বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় নতুন দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট (ইউনিট-৩ ও ইউনিট-৪) নির্মাণের জন্য রুশ সরকারের কাছে প্রস্তাব করেন তিনি।
মহাপরিচালক বলেন, প্রথম দুটি ইউনিটের নির্মাণকাজ শেষ হলেই নতুন ইউনিট-৩ ও ইউনিট-৪ এর নির্মাণকাজ দ্রুত শুরু করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, বিদ্যমান পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর সম্প্রসারণ আর্থিক দৃষ্টিকোণ থেকে এবং কারিগরি ও পারমাণবিক নিরাপত্তার আলোকে অধিকতর লাভজনক ও যুক্তিসঙ্গত, যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতও।
তিনি বলেন, প্রকল্পে বাংলাদেশ ও রাশিয়ানসহ প্রায় আড়াই হাজার কর্মী কাজ করছেন। একই সঙ্গে তারা দক্ষতাও অর্জন করেছেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যান্য পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে বাংলাদেশের দক্ষতাকে কাজে লাগাতে রোসাটমের মহাপরিচালকের প্রতি আহ্বান জানান।
রোসাটমের মহাপরিচালক বলেন, মহামারি ও নিষেধাজ্ঞার কারণে কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকলেও কাজ স্বাভাবিক গতিতে চলছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তিগতভাবেই প্রতিবন্ধকতা এড়ানো হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
বর্তমানে রূপপুর প্রকল্প এলাকায় ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ইউনিটের (১২০০ x ২ = ২৪০০ মেগাওয়াট) নির্মাণকাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
চলতি বছরের ডিসেম্বরে প্রথম ইউনিট চালু হবে। ইউনিট-১ ও ইউনিট-২ থেকে ২০২৫ ও ২০২৬ সালে বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণদের প্রতি আহ্বান
বিরোধীদলীয় নেতা ও উপনেতাকে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা
জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের ও উপনেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষের-১৪৩১ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার জাতীয় সংসদের অফিস কক্ষে জি এম কাদেরের একান্ত সচিব শামসুল ইসলামের কাছে এবং আনিসুল ইসলাম মাহমুদের একান্ত সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের কাছে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা এবং পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা সম্বলিত কার্ড পৌঁছে দেন প্রধানমন্ত্রীর প্রোটোকল অফিসার-২ মোহাম্মদ আবু জাফর রাজু।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটি একদিন বাড়ানোর সুপারিশ মন্ত্রিসভা কমিটির
এ ছাড়া সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদকেও পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষের-১৪৩১ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রওশন এরশাদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তার কাছে শুভেচ্ছা সম্বলিত কার্ড পৌঁছে দেন প্রধানমন্ত্রীর প্রোটোকল অফিসার-২ মোহাম্মদ আবু জাফর রাজু।
আরও পড়ুন: ঈদের কেনাকাটা ও ভ্রমণে কার্ড পেমেন্টে মোটা অঙ্কের ছাড় দিচ্ছে ব্যাংকগুলো
ঈদ অবকাশ: ভিসা-মুক্ত এশিয়ায় সেরা ভ্রমণ গন্তব্য
একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন
দেশের ৩২২টি উপজেলায় ৩ হাজার ৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৭৪টি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণসহ মোট ১১টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।
১১টি প্রকল্পের মোট সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা (শুধু সংশোধিত প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয় এখানে অন্তর্ভুক্ত)। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে নেওয়া হবে ৪৮৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: একনেকে অনুমোদন পেল ডিএসসিসির ৮ লেনের সড়ক নির্মাণ প্রকল্প
এর মধ্যে সাতটি নতুন প্রকল্প এবং তিনটি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে। এছাড়া এর মধ্যে একটির খরচ না বাড়িয়ে শুধু সময় বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে একনেক।
প্রকল্পের তথ্যপত্র অনুযায়ী, ২০২৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ৬২টি জেলার ৩২২টি উপজেলার ৬৭৪টি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স নির্মাণকাজ (তৃতীয় পর্যায়) সম্পন্ন করার কথা রয়েছে।
নতুন প্রকল্পগুলোর মধ্যে বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের পল্লি অবকাঠামো উন্নয়নে ২০২৮ সালের জুনের মধ্যে পাঁচটি জেলার ৩৫টি উপজেলায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা হবে।
আরও পড়ুন: একনেকে ৩৯০৯৪ কোটি টাকার ৪৪ প্রকল্প অনুমোদন
নতুন পাঁচটি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ১৬৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ চ্যান্সেলারি ভবন ও মিশরের কায়রোতে আবাসিক ভবন নির্মাণ, কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে কাশিনাথপুর-দাশুরিয়া-নাটোর-রাজশাহী-নবাবগঞ্জ-কানসাট-সোনামজ্জিদ-বালিয়াদীঘি সীমান্ত (এন-০৬) ৪৮১ জাতীয় মহাসড়ক (নবাবগঞ্জ অংশ) যথাযথ মান ও প্রশস্তকরণ প্রকল্প, ৩৭১ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে বিদ্যমান সরকারি মৎস্য খামারের সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে অবকাঠামো উন্নয়ন, ২৩২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টারের উন্নয়ন কক্সবাজার মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের উন্নয়ন এবং ১১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকার মিরপুরে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড কমপ্লেক্স নির্মাণ।
সংশোধিত প্রকল্প তিনটি হচ্ছে- ২৮৮ কোটি ৭ লাখ টাকা (বর্তমানে ব্যয় ধরা ২ হাজার ১৫৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা) অতিরিক্ত ব্যয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ ও ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী বগি সংগ্রহ (প্রথম সংশোধিত), ১৬৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা (বর্তমানে ব্যয় ৯২৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা) ব্যয়ে প্রমোটিং রেজিলিয়েন্স ফর ভালনারেবল থ্রু অ্যাকসেস টু ইনফ্রাস্ট্রাকচার, ইমপ্রুভড স্কিলস অ্যান্ড ইনফরমেশন (প্রভাতি) এবং ১ হাজার ৪৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয়ে (বর্তমানে ব্যয় ৩,৪৩৩ কোটি টাকা) ব্যয়ে ৮টি বিভাগীয় শহরে (প্রথম সংশোধিত) পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার, কার্ডিয়াক ও কিডনি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন (প্রথম সংশোধিত)।
এছাড়া বৈঠকে শাহবাগের বাংলাদেশ বেতার কমপ্লেক্স ঢাকার আগারগাঁওয়ে স্থানান্তর এবং এর নির্মাণ ও আধুনিকায়ন (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি গ্রামীণ উন্নয়নে গুরুত্ব দিন: একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমানের আনুগত্য নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'মির্জা আসলাম বেগ (যিনি সে সময় বাংলাদেশে সেনা কর্মকর্তা ছিলেন) মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমানের কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করে একটি চিঠি লিখেছিলেন।’
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার(২৬ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এই প্রশ্ন তোলেন।
তিনি বলেন, জিয়া বাংলাদেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন নাকি পাকিস্তানের জন্য যুদ্ধ করেছেন, এই প্রশ্ন উঠেছিল।
চিঠির বরাতে তিনি দাবি করেন, মির্জা আসলাম বেগ আরও বলেছেন, জিয়াউর রহমানের স্ত্রী ও সন্তানরা ঢাকা সেনানিবাসে ভালো আছেন।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণদের প্রতি আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'প্রশ্ন হচ্ছে, ওই ব্যক্তি যদি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে থাকেন, তাহলে কেন পাকিস্তানিরা সেনানিবাসে ওই ব্যক্তির স্ত্রী-সন্তানদের দেখভাল করল এবং চাকরিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে চিঠি লিখল।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের ১১টি সেক্টরে যুদ্ধ হলেও জিয়ার নেতৃত্বাধীন সেক্টরে সবচেয়ে বেশি মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি হতাহত হয়েছে সেখানে।’
তিনি আরও বলেন, যে কোন অভিযানের সময় জিয়াউর রহমান নিজেকে নিরাপদ স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধের ময়দানে ঠেলে দিতেন এবং বাস্তবতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটত।
তিনি বলেন, 'তিনি (জিয়াউর রহমান) সঠিক নেতৃত্বের অভাবে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।’
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে ইউএই নেতাদের অভিনন্দন
তিনি উল্লেখ করেন, যে কোনো যুদ্ধে সফল অভিযানের অর্থ হলো কম হতাহতের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো।
জিয়া তা করতে পারেননি, তাই আসলাম বেগ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
জেনারেল বেগ ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯১ সালে অবসর গ্রহণের আগ পর্যন্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তৃতীয় সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ সালের ১৭ আগস্ট এক বিমান দুর্ঘটনায় তার পূর্বসূরি প্রেসিডেন্ট জেনারেল মুহাম্মদ জিয়া-উল-হক নিহত হওয়ার পর তিনি সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান।
২৫ মার্চ রাতে (২৬ মার্চের প্রথম দিকে) স্বাধীনতার ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা তারবিহীনভাবে প্রচার করা হয়েছিল, কিন্তু জাতির পিতাকে হত্যার পর ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘বিকৃত ইতিহাসে বলা হয়, একজন মেজর ড্রামের ওপর দাঁড়িয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেয়েছিল। এভাবে একটি দেশ স্বাধীনতা অর্জন করতে পারে না। এটা যদি করা যেত তাহলে বাংলাদেশের ইতিহাস অন্যভাবে লেখা হতো।’
তিনি বলেন, এখন বিএনপি নেতারা গণতন্ত্র খুঁজছেন এবং বিএনপির একজন নেতা দাবি করেছেন যে ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগ নেতারা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছে। যদি সত্যি হয় তাহলে কে লড়াই করল আর কে জয় এনে দিল।
তিনি বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন করেন।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল এই সরকার গঠনের পর তারা মেহেরপুরে শপথ নেয় এবং মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বেতনভোগী ব্যক্তি হিসেবে জিয়াউর রহমান ওই সরকারের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘এটা তাদের (বিএনপি নেতাদের) ভুলে গেলে চলবে না। তাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমান মেজর থেকে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি পেয়েছিলেন। এই অকৃতজ্ঞ ব্যক্তিরা সেটাও ভুলে যায়।’
ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে বিএনপির এক নেতার শাল পোড়ানোর কাজকে উপহাস করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বিএনপি নেতাদের স্ত্রীদের কাছে থাকা ভারতীয় শাড়ি তল্লাশি করে পুড়িয়ে ফেলতে এবং রান্নাঘরে ভারতীয় পণ্য ব্যবহার বন্ধ করতে বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস ও মানুষ হত্যার জন্য জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি বলেন, ‘জনগণ যাদের প্রত্যাখ্যান করেছিল, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনে জিততে পারেনি, তারা এখন গণতন্ত্র খুঁজছে।’
এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক ও শাজাহান খান, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা.রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা জেলা সভাপতি বেনজির আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি হুমায়ুন কবির ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি এসএম মান্নান কচি।
সভাটি সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে দেশের সব মুক্তিযোদ্ধাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিগত বছরের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী ঢাকার মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রে (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ফুল, ফল ও মিষ্টি পাঠিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সহকারী একান্ত সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু ও সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সরওয়ার-ই-আলম সরকার আজ সকালে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে এসব সামগ্রী হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে ইউএই নেতাদের অভিনন্দন
স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, দুই ঈদ ও পহেলা বৈশাখসহ প্রতিটি জাতীয় দিবস ও উৎসবে তাদের স্মরণ করায় মুক্তিযোদ্ধারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যার নেতৃত্বে দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন মুক্তিযোদ্ধারা।
তারা শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
মুক্তিযোদ্ধারা নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তারা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত হয় এবং মুক্তিযোদ্ধারা ও তাদের পরিবার ভালো থাকে।
তারা মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি ও আবাসনের ব্যবস্থা করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বক্তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা মনে করেন- শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের দারিদ্র্যমুক্ত, সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাশীল 'সোনার বাংলাদেশ' হিসেবে বিশ্বের সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
তারা প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজার শ্রদ্ধা