������������������������������������������-������������������������
রমজানে পণ্যের অবৈধ মজুদ বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে: ডিসিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
আসন্ন রমজান মাসে পণ্যের অবৈধ মজুদকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে এবং ভোক্তাদের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সুষ্ঠু সরবরাহ নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘রমজানে কিছু ব্যবসায়ী আছেন যারা সব সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মজুদ করে ও দাম বাড়িয়ে বাড়তি মুনাফা করতে চান। সেদিকে আমাদের বিশেষ নজর দিতে হবে।’
আজ রবিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) নিজ কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন-২০২৪ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
চার দিনব্যাপী সম্মেলনে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকরা যোগ দেন। যা শেষ হবে বুধবার।
তিনি বলেন, ‘সাপ্লাই চেইনে সমস্যা তৈরি হয় বা পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা করা হয়। কিছু মজুতদার আছেন যারা পণ্য পচে যেতে দেন, কিন্তু বাজারে সরবরাহ করেন না। এ ব্যাপারে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: আধুনিক প্রযুক্তিগত জ্ঞান সম্পন্ন সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী আসন্ন মুসলমানদের সিয়াম সাধনার মাস রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যাতে নির্বিঘ্নে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে সেদিকে বিশেষ নজর দিতে মাঠ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতির হার এখনও ১০ শতাংশের মধ্যে থাকলেও তা একটি সমস্যা।
বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ জোরদার করতে এবং ভোক্তারা যাতে হয়রানির শিকার না হন তা নিশ্চিত করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: অপরাধের নতুন ধরন দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে: পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রী
সম্মেলনের পরবর্তী কর্মসূচি ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে মোট ৩০টি অধিবেশন থাকবে।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এবং গাইবান্ধার ডিসি কাজী নাহিদ রসুল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
এই বছর মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের প্ল্যাটফর্ম ডিসি সম্মেলনের জন্য ডিসি এবং বিভাগীয় কমিশনাররা প্রায় ৩৫০টি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন।
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
আধুনিক প্রযুক্তিগত জ্ঞান সম্পন্ন সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার আধুনিক প্রযুক্তিগত জ্ঞান সম্পন্ন সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে।
আজ শনিবার (৩ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহী সেনানিবাসে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের (বিআইআর) তৃতীয় পুনর্মিলনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার চায় দেশের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘সে লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি।’
আরও পড়ুন: বেইলি রোডের ভবনটিতে ‘ফায়ার এক্সিট’ নেই: প্রধানমন্ত্রী
তিনি উল্লেখ করেন, যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অন্যান্য প্রয়োজনে দেশের জনগণের পাশে থেকে সশস্ত্র বাহিনী দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নেও কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এভাবেই সশস্ত্র বাহিনী দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছে।’
দেশ গড়তে ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকবে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলা এবং আমি বিশ্বাস করি- আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হব।’
সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার সুদূরপ্রসারী প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে আমরা 'ফোর্সেস গোল ২০৩০' প্রণয়ন করেছি এবং সশস্ত্র বাহিনী ক্রমাগত উন্নত হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: জাতীয় বিমা দিবস-২০২৪ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে তিনি বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করেন এবং ২০১১ সালে তিনি মর্যাদাপূর্ণ জাতীয় পতাকা প্রদান করেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে রেজিমেন্টে দুটি প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়নসহ মোট ৪৬টি ইউনিট রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই ইউনিটের সদস্যরা দেশ ও দেশের বাইরে দক্ষতা, সুনাম ও দেশপ্রেমের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। এই কষ্টার্জিত সুনাম বজায় রাখতে আপনারা নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করবেন এটাই আমার প্রত্যাশা।’
সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। তিনি সালাম গ্রহণ করেন এবং একটি খোলা জিপে চড়ে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: অপরাধের নতুন ধরন দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে: পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রী
বেইলি রোডের ভবনটিতে ‘ফায়ার এক্সিট’ নেই: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বেইলি রোডে বহুতল ভবনটিতে ‘ফায়ার এক্সিট’ নেই।
তিনি বলেন, ‘বেইলি রোডের যে বহুতল ভবনে আগুন লাগল, সেখানে কোনো ফায়ার এক্সিট নেই।’
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বিমা ধারণা প্রচারের লক্ষ্যে জাতীয় বিমা দিবস-২০২৪ উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।
অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
একই অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী ব্যাংক বিমা সেবারও উদ্বোধন করেন যা সরাসরি ব্যাংক থেকে বিমার প্রিমিয়াম প্রদানের সুবিধা প্রদান করে।
তিনি ভবন নির্মাণের সময় সকলকে নিয়ম-কানুন মেনে চলার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড: বুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু
তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় আমাদের স্থপতিদের অনুরোধ করি, অন্তত যখন তারা ঘর বা বিল্ডিং ডিজাইন করেন, তখন একটি ছোট খোলা বারান্দা, একটি ফায়ার এক্সিট বা বায়ুচলাচলের স্থান রাখুন। কিন্তু যেসব স্থপতি ভবন নির্মাণ করতে চান তারা ঠিকমতো নকশা করাবেন না এবং মালিকরাও এক ইঞ্চি জায়গাও ছাড়তে চান না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে ৪৫ জন মারা গেছে। এর চেয়ে কষ্টের আর কী হতে পারে!’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সব ভবনে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র স্থাপন এবং অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বারবার নির্দেশনা দিলেও তা মানা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, ‘এবং আমি জানি যে কোনো বীমা ছিল না, তাই তারা (বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ডের শিকাররা) ক্ষতিপূরণ হিসেবে কিছুই পাবে না। এসব ক্ষেত্রে সচেতনতা খুবই প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬
‘আমি কী পাপ করেছি যে এত বড় শাস্তি পেলাম! সব শেষ হয়ে গেল’
জাতীয় বিমা দিবস-২০২৪ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বিমা ধারণা প্রচারের লক্ষ্যে জাতীয় বিমা দিবস-২০২৪ উদ্বোধন করেছেন।
একই অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী ব্যাংক বিমা সেবারও উদ্বোধন করেন যা সরাসরি ব্যাংক থেকে বিমার প্রিমিয়াম প্রদানের সুবিধা প্রদান করে।
অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জাতীয় বিমা দিবস-২০২৪ দেশের অন্যত্র যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে।
এবারের প্রতিপাদ্য 'করব বিমা গড়ব দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ'।
আরও পড়ুন: অপরাধের নতুন ধরন দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে: পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দুটি বিভাগে রচনা লিখন প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
এছাড়া দুটি লাইফ ও নন-লাইফ বিমা কোম্পানিকে বিমা ব্যবসার বিকাশে অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
পরে পুরস্কার প্রাপ্তরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ, আইডিআরএ'র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) সভাপতি শেখ কবির হোসেন বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বিমা খাতের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
১৯৬০ সালের ১ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে কাজ শুরু করেন। তাই সরকার প্রতি বছর ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।
পরে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে সরকার 'জাতীয় বিমা দিবস'কে 'বি' ক্যাটাগরি থেকে 'এ' ক্যাটাগরিতে উন্নীত করে।
আরও পড়ুন: সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি আয়োজন না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রীর শোক
রাজধানীর বেইলি রোডের বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শুক্রবার (১ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের পাঠানো শোকবার্তায় বলা হয়, তিনি আগুনে পুড়ে মৃত্যুবরণকারীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন ও তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
আহতদের দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এতে আরও বলা হয়, আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪৩
অপরাধের নতুন ধরন দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে: পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রী
প্রযুক্তির উন্নয়নের যুগে অপরাধের নতুন ধরন মোকাবিলা করতে পুলিশ সদস্যদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে নানাভাবে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। অপরাধের নতুন নতুন ধরন তৈরি হচ্ছে। আমাদের পুলিশ বাহিনীকে সম্ভাব্য সব উপায়ে এগুলো মোকাবিলা করতে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে তার কার্যালয়ে বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে একথা বলেন।
'স্মার্ট পুলিশ স্মার্ট দেশ, শান্তি ও প্রগতির বাংলাদেশ' প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত ছয় দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ পালিত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপরাধের নতুন ধরন মোকাবিলায় সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। অপরাধের ধরন পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অপরাধ মোকাবিলায় সিস্টেম আপগ্রেড করা না গেলে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।
পুরুষ, নারী ও শিশু নির্বিশেষে জনগণকে কর্মক্ষেত্রে আপনজন হিসেবে বিবেচনা করে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা করার জন্য পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
পুলিশ এখন জনগণের বন্ধুতে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, এখন মানুষ অতীতের মতো পুলিশকে ভয় পায় না।
শেখ হাসিনা বলেন, 'এখন তারা (জনগণ) তাদের আস্থা ফিরে পেয়েছে এবং সাধারণ মানুষ পুলিশকে তাদের বন্ধু ও আস্থাভাজন মনে করে।’
সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি আয়োজন না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
আসন্ন রমজানে সরকারিভাবে বড় ধরনের ইফতার পার্টির আয়োজন না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্বকালে এ নির্দেশ দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর একটি নির্দেশনা রয়েছে, তা হলো- রমজান মাসে সরকারিভাবে বড় কোনো ইফতার পার্টির আয়োজন করা যাবে না।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বেসরকারি পর্যায়ে বড় ইফতার পার্টির আয়োজনকেও নিরুৎসাহিত করা হলো। বলা হয়েছে, কেউ যদি সত্যিই চায় তাহলে সেই টাকা দিয়ে খাবার কিনে গরিব মানুষের মধ্যে বিতরণ করতে পারে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১২ মার্চ থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: রমজানে অফিসের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ
অফশোর ব্যাংকিং আইন ২০২৪ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন
অফশোর গ্যাস উত্তোলনে বিনিয়োগ প্রয়োজন: আইটিএফসি প্রতিনিধি দলকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে জ্বালানি ঘাটতি দূর করতে সরকার অফশোর গ্যাস উত্তোলনের সিন্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এ জন্য আমাদের বিনিয়োগ প্রয়োজন।'
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইটিএফসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইঞ্জিনিয়ার হানি সালেম সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার দেশের সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৯৬ সালে তার প্রথম মেয়াদে তিনি বিদ্যুৎ খাতের জন্য বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার তা সৃষ্টি করায় দেশে বিনিয়োগ উপযোগী পরিবেশ বিরাজ করছে।’আরও পড়ুন: নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের বিশেষ তহবিল চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং এজন্য দেশে বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন,‘বিশেষ করে গ্রামীণ অর্থনীতি ও খাদ্য উৎপাদনের উন্নয়নকে আমরা অগ্রাধিকার দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বর্তমান মুদ্রাস্ফীতি রোধে লড়াই করছে এবং জনসাধারণের ভোগান্তি লাঘবের ওপর জোর দিয়েছে।
তিনি বলেন, এজন্য আমরা সব ধরনের উৎপাদন বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছি।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদক প্রতিরোধে কাজ করুন: স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের প্রধানমন্ত্রী
আইটিএফসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী হানি সালেম বলেন, তারা অবকাঠামো, আইসিটি, ঋণ ব্যবস্থাপনা, জ্বালানি খাত ও জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহায়তা দেবেন।
বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আর্থিক ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেন ইঞ্জিনিয়ার হানি সালেম।
তিনি বলেন, ঋণ পরিশোধে বাংলাদেশের চমৎকার ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদক দমনে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে: পুলিশকে প্রধানমন্ত্রী
জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদক দমনে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে: পুলিশকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, মাদক ও দুর্নীতি দমনে প্রাণবন্ত ভূমিকা পালনের জন্য পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ ব্যাপারে পুলিশকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী হিসেবে গড়ে তুলতে দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা একান্ত প্রয়োজন।’
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদক প্রতিরোধে কাজ করুন: স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের প্রধানমন্ত্রী
'স্মার্ট পুলিশ, স্মার্ট দেশ, শান্তি ও প্রগতির বাংলাদেশ' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৬ দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ চলবে আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত।
পেশাদারিত্ব, আন্তরিকতা ও যোগ্যতা প্রদর্শনের মাধ্যমে নিজেদেরকে জনগণের বন্ধু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ বিপদে পড়লে পুলিশের কাছে যায়। তাই, পুলিশ জনগণের বন্ধু। যা (এই নীতি) দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এটা প্রতিষ্ঠা করা একান্ত প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাই আমি মনে করি, আমাদের পুলিশ তাদের পেশাদারিত্ব, সততা, আন্তরিকতা, যোগ্যতা, নিরপেক্ষতা, নিষ্ঠা, সাহসিকতা, দেশপ্রেম ও মানবিক মূল্যবোধ সমুন্নত রেখে জনগণের সেবা করবে।’
আরও পড়ুন: স্বাধীন বিচার বিভাগ একটি দেশের উন্নয়নকে উৎসাহিত করে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী সাহসী কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৩৫ পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম-বীরত্ব) এবং ৬০ জনকে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম-বীরত্ব) প্রদান করেন।
এছাড়া, ৯৫ জন পুলিশ সদস্য বিপিএম সেবা পদক এবং ২১০ জন পিপিএম সেবা পদক পেয়েছেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মুস্তাফিজুর রহমান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন তাকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী খোলা জিপে চড়ে বাংলাদেশ পুলিশের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং সালাম গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মগুলো সময়মতো কাজ করে না: প্রধানমন্ত্রী
সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদক প্রতিরোধে কাজ করুন: স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের প্রধানমন্ত্রী
সমাজ থেকে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতি নির্মূলে সচেষ্ট থাকতে স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে হবে। আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।’
রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে 'স্থানীয় সরকার স্মার্ট হবে: সেবার অধিকার নিশ্চিত হবে' প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত ‘স্থানীয় সরকার দিবস -২০২৪’ অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
যুবসমাজের ওপর মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব এবং সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিকে উসকে দেওয়ার আশঙ্কার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী এসব সমস্যা মোকাবিলায় জনসচেতনতা গড়ে তুলতে জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে এই গতিশীলতায় অবদান রাখার জন্য স্থানীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
জনপ্রতিনিধিদের তাদের দেওয়া অঙ্গীকার রক্ষা এবং সঠিক প্রকল্প গ্রহণের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী, যাতে জনগণ সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু অ্যাপ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশকে একটি ব-দ্বীপ উল্লেখ করে তিনি নদ-নদী, খাল, নালা, বিল ও হাওরসহ জলাশয় সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
শেখ হাসিনা গ্রাম পর্যায়ের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং জলাশয় সংরক্ষণের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষার ওপরও জোর দেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে জটিলতা এড়াতে গ্রাম পর্যায়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শুরু করা জরুরি।
প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় প্রতিনিধিদের নিজস্ব স্থানীয় সংস্থার জন্য রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি, সমবায়ের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, আবাদি জমি রক্ষা এবং কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনা ও সেবার প্রতি মনোযোগ দিতে তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার খাতে বাজেট বরাদ্দ ছিল মাত্র ৫ হাজার ৭৯৯ কোটি টাকা, কিন্তু ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে তা বাড়িয়ে ৪৬ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা করা হয়।
তিনি এমন একটি ভবিষ্যতের কল্পনা করেছিলেন যেখানে স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলো জাতীয় উন্নয়নের ক্ষেত্রে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হবে এবং স্থানীয় উদ্যোগের জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামো সরবরাহে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকার উপর জোর দিয়েছিলেন।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ, শরীয়তপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, রাজশাহীর বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন আহমেদ, পঞ্চগড় পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন এবং সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদ্দল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রশিদ লাবলু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম উপস্থিত সবাইকে স্বাগত জানান এবং দেশব্যাপী স্থানীয় শাসন ও সেবা প্রদানের জন্য নিবেদিত একটি দিনের মঞ্চ তৈরি করেন।
আরও পড়ুন: নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের বিশেষ তহবিল চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের বিশেষ তহবিল চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী