������������������������������������������-������������������������
কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
জার্মানির মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী আবদুর রহমান আল থানির সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার(১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মিউনিখের হোটেল বায়েরিসচার হফে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মানি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে ‘মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন-২০২৪’।
আরও পড়ুন: জার্মানিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
জার্মানিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
জার্মানির মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার(১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে জার্মানির মিউনিখের হোটেল বায়েরিসচার হোফের কনফারেন্স হলে তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেন।
সম্মেলনে বিশ্বের সবচেয়ে জরুরি নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা নীতি নিয়ে পর্যালোচনার জন্য বিশ্বের নেতৃস্থানীয় ফোরাম ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। আর ফোরামটির ৬০তম বার্ষিকী উদযাপনের সময় এবারের মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনটি হচ্ছে।
ইওয়াল্ড ভন ক্লেইস্ট কর্তৃক প্রতিষ্ঠার ছয় দশক পরে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন আবারও ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে সবচেয়ে জরুরি আন্তর্জাতিক সুরক্ষা উদ্বেগ নিয়ে আলোচনার জন্য সারা বিশ্বের শীর্ষ নীতি নির্ধারক এবং চিন্তাবিদদের একত্রিত করেছে।
আরও পড়ুন: মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মানির পথে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনে যোগ দিতে তিন দিনের সরকারি সফরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মিউনিখ পৌঁছান, টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি তার প্রথম বিদেশ সফর।
এমএসসির উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগদানের আগে তিনি হোটেল বায়েরিসচার হোফে কাতারের প্রধানমন্ত্রী আব্দুল-রহমান আল-থানির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
এর আগে নারী রাজনৈতিক নেত্রীদের (ডব্লিউপিএল) প্রেসিডেন্ট সিলভানা কোচ-মেহরিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সফরকালীন আবাসস্থলে সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মানি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মানি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন-২০২৪ এ যোগ দিতে তিন দিনের সরকারি সফরে জার্মানি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট মিউনিখ সময় ১৬টা ৩৪ মিনিটে জার্মানির মুনচেন ফ্রাঞ্জ জোসেফ স্ট্রস বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নারী জাগরণ ঘটেছে: প্রধানমন্ত্রী
গত মাসে অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হওয়ার পর এটাই তার প্রথম বিদেশ সফর।
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনকে নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনার জন্য বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ফোরাম হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি মিউনিখে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে জার্মান চ্যান্সেলর, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট, ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
আরও পড়ুন: মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মানির পথে প্রধানমন্ত্রী
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মানির পথে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে ৩ দিনের সরকারি সফরে জার্মানির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
গত মাসে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হওয়ার পর এটাই তার প্রথম বিদেশ সফর।
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনকে নিরাপত্তা ইস্যুতে বিতর্কের জন্য বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ফোরাম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সকাল ১১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি মিউনিখে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা নিরাপত্তা সম্মেলনের পাশাপাশি জার্মান চ্যান্সেলর, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট, ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নারী জাগরণ ঘটেছে: প্রধানমন্ত্রী
৬০তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে নারী জাগরণ ঘটেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংরক্ষিত আসনের জন্য জাতীয় সংসদে প্রত্যাশী ১ হাজার ৫৫০ জনেরও বেশি নারীর প্রবেশ প্রমাণ করে বাংলাদেশে নারী জাগরণ ঘটেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন দেখি মাত্র ৪৮টি সংরক্ষিত আসনের জন্য ১ হাজার ৫৫৩ জন নারী আশাবাদী, তখন আমরা এই উপসংহারে আসতে পারি যে বাংলাদেশে নারীর জাগরণ ঘটেছে।’
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী নারীদের সঙ্গে এক সভায় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নারীরা এখন প্রতিটি সেক্টরে সফলভাবে কাজ করছে এবং তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চান রুগ্ণ শিল্পের মালিকরা
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যেখানেই নারীদের পাঠাই, তারা সবাই সফলভাবে কাজ করে… আমাদের নারীরা তাদের যোগ্যতার পরিচয় দিচ্ছে।’
খেলাধুলাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে নারীদের সাফল্যের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘নারীদের জন্য নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কোনো যুক্তি নেই।’
তিনি বলেন, এটা অযৌক্তিক যে নারীরা খেলাধুলা, ব্যবসা ও চাকরিতে যোগ দিতে পারবে না। কারণ একজন নারী (খাদিজা) প্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিবি খাদিজা একজন ব্যবসায়ী ছিলেন এবং তিনি ইসলাম প্রচার ও প্রসারের জন্য হযরত মুহাম্মদকে (সা.) তার সমস্ত অর্থ ও সম্পদ দিয়ে সহায়তা করেছিলেন।
ইসলাম নারীকে এমনকি হিজড়া সম্প্রদায়কেও যথেষ্ট অধিকার দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নারীদেরকে অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে আমরা খুবই সচেতন। আজ গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো নারীই পিছিয়ে নেই।’
প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আরও বেশি সংখ্যক নারী সরাসরি ভোটের মাধ্যমে এগিয়ে আসবে।
জাতীয় সংসদে ৩৫০টি আসন রয়েছে, যার মধ্যে ৫০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও বিমসটেক একসঙ্গে কাজ করবে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ ও বিমসটেক একসঙ্গে কাজ করবে: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসায় বাংলাদেশের মানুষ এখন গণতন্ত্র উপভোগ করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) মহাসচিব ইন্দ্র মণি পান্ডে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'দেশের মানুষ এখন গণতন্ত্র উপভোগ করছে।’
আরও পড়ুন: জননিরাপত্তা নিশ্চিতে অপচেষ্টা প্রতিহত করুন: প্রধানমন্ত্রী
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সময় ছিল যখন দেশ সামরিক শাসনের অধীনে নিমজ্জিত ছিল।
দেশের মানুষকে তার অন্যতম শক্তি হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার সব সময় গ্রামীণ উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়েছে।
তিনি বলেন, তিনি অসংখ্য গ্রাম পরিদর্শন করেছেন এবং জনগণকে খাদ্য উৎপাদন ছাড়া এক ইঞ্চি আবাদি জমিও ফেলে না রাখতে উৎসাহিত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি সবাইকে অনুরোধ করেছি যেভাবেই হোক খাদ্য উৎপাদনে সম্পৃক্ত হতে।’
তিনি আরও বলেন, অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ ও বিমসটেক একসঙ্গে কাজ করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত সবসময়ই বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশ।
তিনি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন যে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে অনেক সাহায্য করেছে ভারত। সেসময় প্রায় এক কোটি মানুষকে আশ্রয়ও দিয়েছে দেশটি।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর তিনি এবং তার বোন শেখ রেহানা ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
বিমসটেক মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীকে পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানান।
তিনি বিমসটেকের সঙ্গে বাংলাদেশের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বিমসটেকের চমৎকার সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি গ্রামীণ উন্নয়নে গুরুত্ব দিন: একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও প্রধানমন্ত্রীর ভিশন এবং স্বল্পোন্নত দেশের স্ট্যাটাস থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় অনুষ্ঠেয় সপ্তম শীর্ষ সম্মেলনের সময় বিমসটেক নেতাদের উদ্বোধনের লক্ষ্যে আগামী তিন বছরের মধ্যে প্রস্তাবিত বিমসটেক সচিবালয় ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ।
প্রতিটি সেক্টরের জন্য একটি শীর্ষস্থানীয় দেশ সহ সাতটি খাতে নামিয়ে আনাসহ বিমসটেকের অধীনে সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো পুনর্গঠন করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন বিমসটেক সহযোগিতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত এবং বাংলাদেশ এ খাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
পরবর্তী শীর্ষ সম্মেলনের পর বাংলাদেশ যখন সভাপতিত্ব গ্রহণ করবে তখন পরবর্তী বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন ফোরামের কার্যক্রম আরও জোরদার করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বিমসটেক প্রক্রিয়াকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন, যেহেতু নতুন মহাসচিব ও সভাপতিত্বে থাকবে দুটি অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ- ভারত ও বাংলাদেশ এবং সচিবালয়ের আনুষ্ঠানিকতা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
৬ষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনের পর এই গ্রুপের সভাপতিত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশ বিমসটেক প্রক্রিয়ায় আরও দায়িত্ব গ্রহণে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান শেখ হাসিনা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকবান্ধব: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
৪৮ জেলায় তরুণদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের জন্য প্রকল্প অনুমোদন
দেশের ৪৮টি জেলায় শিক্ষিত ও তরুণ চাকরিপ্রার্থীদের ২৯৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
মঙ্গলবার(১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণসহ মোট ৪ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ৯টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক।
'৪৮টি জেলায় শিক্ষিত যুব চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি' নামক প্রকল্পটি ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার জানান, ‘আজকের বৈঠকে ১০টি প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে নয়টি প্রকল্পে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: জিআই পণ্যের বিষয়ে সক্রিয় থাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, ৯টি প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ৪ হাজার ৪৫৩ কোটি ২১ লাখ টাকা (এখানে সংশোধিত তিনটি প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয় এখানো যুক্ত করা হয়েছে)।
এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯০৯ কোটি ২১ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ২৮৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ ২৫৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বিদেশি ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে বলে জানান পরিকল্পনা সচিব।
নতুন অন্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- ২০২৭ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বাস্তবায়নের সময়সীমা ধরে ১ হাজার ১২৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ঢাকা জেলায় গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন’ ; ৫২৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে পিডিবিএফের কার্যক্রম সম্প্রসারণ(দ্বিতীয় পর্যায়); ৬০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন পথসমূহে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন সমন্বিতকরণ; ৭৬১ কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যয়ে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এলাকার জন্য স্মার্ট প্রিপেইড মিটারিং (২য় পর্যায়) এবং ১৩৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে খুলনা, রংপুর, রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেটে দুদকের বিভাগীয় কার্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ এবং ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের বহুতল ভবনের হিসেবে সম্প্রসারণ।
আরও পড়ুন: জননিরাপত্তা নিশ্চিতে অপচেষ্টা প্রতিহত করুন: প্রধানমন্ত্রী
তিনটি সংশোধিত প্রকল্প হচ্ছে- ১৫১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয়ে বিএসএমএমইউর অধীনে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থাপন (২য় সংশোধিত); ২৯০ কোটি ৬৫ লাখ টাকার অতিরিক্ত ব্যয়ে ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার মেইনস্ট্রিমিং প্রজেক্ট (সিআরআইএমপি) (১ম সংশোধিত) এবং ৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যয়ে আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্ট (ইউআরপি): প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেশন অ্যান্ড মনিটরিং ইউনিট (পিসিএমইউ), (চতুর্থ সংশোধিত)।
এছাড়া বৈঠকে সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (৩য় সংশোধিত) সময়সীমা ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
কিন্তু চট্টগ্রাম মহানগরী প্রকল্পের স্যুয়ারেজ সিস্টেম স্থাপন (ফেজ-১) প্রকল্পের প্রথম সংশোধনী সভায় অনুমোদন পায়নি।
পরিকল্পনা সচিব বলেন, বৈঠকে প্রক্রিয়াধীন বিদেশি ঋণ ও অনুদান বিতরণে ঝামেলামুক্তভাবে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি প্রকল্পগুলোর সেকশন প্রসেস এবং চলমান প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি গ্রামীণ উন্নয়নে গুরুত্ব দিন: একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি গ্রামীণ উন্নয়নে গুরুত্ব দিন: একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি গ্রামীণ উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকার সার্বিক উন্নয়নও প্রয়োজন।’
তিনি স্বল্প অর্থ বরাদ্দের কারণে যেসব উন্নয়ন প্রকল্প বিলম্বিত হয়েছে সেগুলো দ্রুত শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে বলব বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সব সচিবকে বিষয়টি জানাতে যাতে এ ধরনের প্রকল্প দ্রুত শেষ হয়।’
আরও পড়ুন: জননিরাপত্তা নিশ্চিতে অপচেষ্টা প্রতিহত করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে সরকারের জন্য নতুন উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা সহজ হবে।
তিনি আরও বলেন, কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হলেও সেগুলোও খুব তাড়াতাড়ি শেষ করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কারণ, সেগুলো অসমাপ্ত থাকলে প্রকল্পগুলোর ব্যয় অহেতুক বাড়বে এবং সময়ও নষ্ট হবে। এগুলো সম্পন্ন হওয়া নিশ্চিত করুন।’
তিনি বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য সরকারকে অবশ্যই উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি সরকারের লক্ষ্য অর্জনে যে কোনো ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের সময় সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: জিআই পণ্যের বিষয়ে সক্রিয় থাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
গণতন্ত্রের স্বার্থেই জাতীয় নির্বাচন আ. লীগের সব সদস্যের জন্য উন্মুক্ত ছিল: প্রধানমন্ত্রী
জননিরাপত্তা নিশ্চিতে অপচেষ্টা প্রতিহত করুন: প্রধানমন্ত্রী
জননিরাপত্তা রক্ষায় যে কোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করতে সাহস ও আন্তরিকতার সঙ্গে রুখে দাঁড়াতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (ভিডিপি) সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘দেশের বৃহত্তম বাহিনী হিসেবে আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। জননিরাপত্তা রক্ষায় যে কোনো অশুভ তৎপরতা প্রতিহত করতে হবে। আপনাদের সততা, সাহস ও আন্তরিকতার সঙ্গে এটা করতে হবে।’
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে গাজীপুরের সফিপুরে বাংলাদেশ আনসার-ভিডিপি একাডেমিতে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির ৪৪তম জাতীয় সমাবেশ-২০২৪ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জনগণের নিরাপত্তা ও বিনিয়োগের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং শান্তি বজায় রাখা তার সরকারের পবিত্র দায়িত্ব।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের স্বার্থেই জাতীয় নির্বাচন আ. লীগের সব সদস্যের জন্য উন্মুক্ত ছিল: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘দেশের সার্বিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সুষ্ঠু অর্থনৈতিক পরিবেশ ও গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা অব্যাহত রাখা পূর্বশর্ত।’দেশে এমন পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের অর্জিত উন্নয়নের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এখন যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার সক্ষমতা অর্জন করেছে।
দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকলকে সততার সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি দেশের সরকারি-বেসরকারি কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সর্ববৃহৎ বাহিনী আনসার-ভিডিপির ৬১ লাখ সদস্যের অবদানের কথা স্মরণ করেন।
বৃহৎ এই বাহিনীটিতে দু’টি নারী ব্যাটালিয়ন এবং একটি বিশেষায়িত ব্যাটালিয়নসহ মোট ৪২টি ব্যাটালিয়ন রয়েছে।
আরও পড়ুন: জিআই পণ্যের বিষয়ে সক্রিয় থাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আনসারকে যদি জাতীয় কোনো কাজে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়, তখন তারা তা যথাযথভাবে পালন করে।
তিনি বলেন, 'এমনকি আমাদের আনসার সদস্যরা বাংলাদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন বিদেশি দূতাবাস থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করে আসছে।’
বিগত ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ ও ২০২৩ সালে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস থেকে বাংলাদেশ রেলওয়েসহ দেশের সম্পদ রক্ষায় আনসার সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
আনসার ও ভিডিপির আধুনিকায়নে তার সরকারের পদক্ষেপের উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই বাহিনী এখন দেশে-বিদেশে সুনাম অর্জন করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আনসার ও ভিডিপির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: এবার দারিদ্র্যকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
এ সময় সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদক থেকে দেশকে রক্ষায় তার সরকারের দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান সব সময় অব্যাহত থাকবে।’
ভবিষ্যতেও এসব সামাজিক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণে আনসার ও ভিডিপি তাদের দায়িত্ব অব্যাহত রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সরকারের ভিশন-২০৪১ -এর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আনসার ও ভিডিপিও স্মার্ট ফোর্স হিসেবে গড়ে উঠবে এবং দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাবে।
তিনি বলেন, সরকার স্মার্ট বাংলাদেশে প্রতিটি গ্রামকে একটি স্মার্ট ও নিরাপদ এলাকা হিসেবে গড়ে তুলবে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম আমিনুল হক তাকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী একটি খোলা জিপ থেকে আনসার ও ভিডিপির কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন। সাহসিকতা ও প্রশংসনীয় সেবার জন্য ১৮০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্যের হাতে আট ধরনের বিশেষ পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
পদকগুলো হলো- বাংলাদেশ আনসার পদক, রাষ্ট্রপতি আনসার পদক, বাংলাদেশ ভিডিপি পদক, রাষ্ট্রপতি ভিডিপি পদক, বাংলাদেশ আনসার সার্ভিস পদক, রাষ্ট্রপতি আনসার সেবা পদক, বাংলাদেশ ভিডিপি সার্ভিসেস পদক ও রাষ্ট্রপতি ভিডিপি সার্ভিসেস পদক।
পরে প্রধানমন্ত্রী আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের পরিবেশিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
আরও পড়ুন: টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে বিজ্ঞানে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো উচিত: প্রধানমন্ত্রী
জিআই পণ্যের বিষয়ে সক্রিয় থাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
দেশের পণ্যের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদের বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার সকালে রাজধানীতে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্বকালে তিনি এ নির্দেশ দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বাংলাদেশ সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বৈঠকে জিআই পণ্যের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী সবাইকে সক্রিয় হতে বলেছেন এবং আমাদের পণ্যের (জিআই সনদ) বিষয়ে উদ্যোগ নিতে বলেছেন।’
এর আগে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন টাঙ্গাইল শাড়ি, নরসিংদীর অমৃতা সাগর বানা ও গোপালগঞ্জের রসগোল্লার জিআই সনদ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান রচিত কাব্যগ্রন্থ 'পিতার প্রতিচ্ছবি'র মোড়ক উন্মোচন করেন।
ভারত সরকার টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই স্বীকৃতি দেওয়ার পর জিআই সার্টিফিকেশনের বিষয়টি এখন সামনে এসেছে। তাদের দাবি, পণ্যগুলোর মূল উৎপত্তিস্থল পশ্চিমবঙ্গ।