রাষ্ট্রপতির-কার্যালয়
তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্প: বাংলাদেশে ৯ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
সম্প্রতি তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় সমবেদনা জানাতে বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে বাংলাদেশ।
বুধবার এ সংক্রান্ত একটি গেজেট জারি করেছে সরকার।
গেজেট অনুযায়ী, সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হবে।
৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে অনেকের মৃত্যু ও আহত হওয়ার পর উদ্ধারকাজে যোগ দিতে তুরস্কে দুটি দল পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্প: ৯০০০ জনের বেশি নিহত
অ্যাসোসিয়েটস প্রেস (এপি) একটি প্রতিবেদনে বলেছে বেঁচে যাওয়া লোকদের খুঁজে পাওয়ার আশা ছাড়লেও সম্প্রসারিত উদ্ধারকারী দল তুরস্ক এবং সিরিয়ায় রাতভর পরিশ্রম করেছে। বিপর্যয়কর ভূমিকম্পে ভেঙে পড়া হাজার হাজার ভবনের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে জীবিতদের সন্ধান করছে তারা। এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে মারাত্মক ভূমিকম্পে বুধবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ হাজার অতিক্রম করেছে।
আরও পড়ুন: পেরুতে প্রবল বর্ষণে ভূমিধসে ৩৬ জনের মৃত্যু
কেন আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বেশি দামে বিদ্যুত নেয়া হচ্ছে, প্রশ্ন এমপি চুন্নুর
ভারতের বিতর্কিত আদানি গ্রুপের কাছ থেকে সরকার কেন বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
চুন্নু বলেন, ‘বেশি দামে কেন আমরা আদানি গ্রুপ থেকে বিদ্যুৎ আনব, আমরা যদি নিয়ে আসি, সরকারের উচিত তা জনগণের স্বার্থে কিনা তা পুনরায় পরীক্ষা করা।’
তিনি বলেন, আদানি গ্রুপ যে দেড় হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করছে তা নিয়ে ভারতে এত সমালোচনা হওয়ায় তিনি বিস্মিত।
‘তাদের কাছ থেকে প্রতি ইউনিটের দাম ২৪ দশমিক ১০ টাকা। অর্থাৎ ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে বছরে ছয় হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। আদানি গ্রুপের কাছ থেকে এত বেশি দামে বিদ্যুৎ আনতে হবে কেন? যদি আমদানি করা হয়, তাহলে তা জনগণের স্বার্থ আছে কি না তা সরকারের পুনরায় পরীক্ষা করা উচিত।’
চুন্নু উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ রয়েছে এবং এতে কোনো সন্দেহ নেই।
‘আমরা গ্রামে বিদ্যুতের লাইন পেয়েছি। সমস্যা হলো বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়টি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের এখতিয়ারে ছিল, এখন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী তা নিজের হাতে নিয়েছেন।
তিনি বলেন, আসলে প্রতি মাসেই দাম বাড়বে।
তিনি উল্লেখ করেন, সরকার জানুয়ারিতে দুই দফা দাম বাড়িয়েছে। ‘যদি এটি সহনশীলতার স্তরের নিচে না হয়, তবে মানুষ এটি ব্যবহার করতে পারবে কি না সন্দেহ আছে।’
চুন্নু বলেন, পায়রা পাওয়ার স্টেশন থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ১৩ দশমিক ৩৭ টাকা এবং বার্ষিক ক্যাপাসিটি চার্জ তিন হাজার টাকা। এস আলম কোম্পানির প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ১৮ দশমিক ৩৯ টাকা এবং ক্যাপাসিটি চার্জ পাঁচ হাজার টাকা।
চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন মারা গেছেন
চট্টগ্রাম জেলা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম-৮ আসন (চাঁন্দগাও- বোয়ালখালি) সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ইন্তেকাল করেছেন।
রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। (ইন্তেকাল করেছেন ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী, ৪ কন্যা, একমাত্র ভাই, আত্মীয়স্বজন ও বহু রাজনৈতিক শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ মারা গেছেন
মোছলেম উদ্দিন আহমেদ এমপির ব্যক্তিগত সহকারী মো. মামুন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা দীর্ঘদিন ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। গত দুই বছর ধরে তিনি মরণব্যাধি ক্যান্সারের চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। দিন দিন তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকে। ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন থেকে মারা যান।
চট্টগ্রাম ৮ আসনের এমপি ও জাসদ নেতা মঈনুদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুর পর শূন্য আসনে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি নির্বাচন করে তিনি এমপি হয়েছিলেন।
প্রবীণ নেতার মৃত্যুতে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গণে শোক নেমে এসেছে। তাৎক্ষণিক গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান।
সরকারি তথ্য মতে, মোছলেম উদ্দিন আহমদ ১৯৬৯ সালে ছাত্রলীগের সরকারি কমার্স কলেজ, চট্টগ্রাম শাখার সহ-সভাপতি হন। পরবর্তীতে, তিনি চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭০ সালে ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম শহর শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
মোছলেম উদ্দিন আহমদ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর তিনি ১৯৮২ সালে ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার সভাপতি ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন মারা গেছেন
তিনি ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
জাতীয় সংসদে বিইআরসি আইনের সংশোধনী পাস
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) বিল-২০২২ পাস করেছে জাতীয় সংসদ। এই আইনের দ্বারা বিশেষ ক্ষেত্রে গণশুনানি ছাড়াই সরকারকে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
রবিবার বিরোধী দলের বিরোধীতার মধ্যেই আইনটির সংশোধনী পাস করে জাতীয় সংসদ।
জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাব ঠিক করার পরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংসদে বিলটি উত্থাপন করে। এরপর কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।
আরও পড়ুন: হাট ও বাজার (প্রতিষ্ঠা ও ব্যবস্থাপনা) বিল জাতীয় সংসদে
তবে বিলটি পাসের প্রতিবাদে সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেন গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান।
২০০৩ আইনের সংশোধনের ফলে, গ্যাস ও বিদ্যুতের নতুন মূল্য নির্ধারণে মন্ত্রণালয়কে আর বিইআরসি’র মাধ্যমে গণশুনানির প্রয়োজন হবে না।
এর আগে ২৮ নভেম্বর মন্ত্রিসভা কমিশনের গণশুনানি এবং সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা না করে সরকারকে বিশেষ পরিস্থিতিতে নিজস্বভাবে জ্বালানি শুল্ক নির্ধারণের ক্ষমতা দেয়ার জন্য বিইআরসি আইন-২০০৩ -এর একটি সংশোধনী অনুমোদন করে।
বিলে বলা হয়েছে, 'এই আইনের অন্য কোনো বিধান থাকা সত্ত্বেও, জ্বালানির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার বিশেষ ক্ষেত্রে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে, বিপণন, সরবরাহ, বিতরণ এবং ভোক্তা পর্যায়ে শুল্ক নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ বা সামঞ্জস্য করতে পারে। কৃষি, শিল্প, সার, বাণিজ্য ও গার্হস্থ্য কাজে জনগণের চাহিদার আলোকে যাতে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ এবং সঞ্চালন নিশ্চিত করা যায়।'
বিলের আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, পানির ট্যাংক ফুটো থাকলে কখনও তা ভরাট করা যায় না। যতদিন ভাড়া বিদ্যুৎ থাকবে এবং কুইক রেন্টাল থাকবে ততদিন লোকসান বাড়তে থাকবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, 'ভর্তুকি কি? মন্ত্রী ব্যাখ্যা করবেন। ভর্তুকির নামে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এই টাকা দিয়ে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বিল পরিশোধ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদ এখন ‘একদলীয় ক্লাব’: ফখরুল
গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির বলেন, সরকার গত ১৪ বছরে ১১ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে।
এ আইনকে ‘কালো আইন’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ খাতের সংকটের কারণ লুটপাট ও দুর্নীতি।
তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক মন্দার কারণে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। সামনে রমজান মাস। এর আগে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে।
তিনি বলেন, এই বিল জনস্বার্থবিরোধী।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নান বলেন, ঢাকায় দিনের বেলা গ্যাস থাকে না।
তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে তিন-চার ঘণ্টা গ্যাস নেই। গ্রামের অবস্থা আরও খারাপ। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়াই ভালো।’
আরও পড়ুন: দেশে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা ১৭ লাখ: জাতীয় সংসদে প্রতিমন্ত্রী
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন: স্পিকারের সাক্ষাৎ চেয়েছেন সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে বৈঠকের জন্য স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাক্ষাৎ চেয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং চলতি সপ্তাহে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, বৈঠকে সিইসি নির্বাচনের খসড়া তফসিল নিয়ে আসবেন এবং তিনি তার সুবিধাজনক সময় অনুযায়ী তফসিল ঘোষণা করবেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ও ওই দিন সংসদ সচিবালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
আইন অনুযায়ী নির্বাচনের জন্য সংসদ অধিবেশন ডাকার প্রয়োজন হবে না। বরং রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য সংসদ সদস্যদের সভা ডাকবেন সিইসি। ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন সিইসি।
যদি শুধুমাত্র একজন প্রার্থী থাকে তবে সেই বৈঠকেরও প্রয়োজন হবে না।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল নিয়ে তার সঙ্গে সিইসির বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী একক প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করবে।
আরও পড়ুন: স্বচ্ছ, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় ইসি
এছাড়া ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, আইনের বাধ্যবাধকতা থাকায় ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সে হিসেবে নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি শুরু করেছে।
আইনের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে: ইসি সচিব
বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময়
শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নসহ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পেছনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ইতিবাচক অবদান অনস্বীকার্য। জাতির পিতা একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন।’
বড়দিন উপলক্ষে বঙ্গভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
বড়দিন উপলক্ষে বঙ্গভবনে আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে হামিদ বলেন, আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান নির্বিশেষে জাতির পিতার নেতৃত্বে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি।
বাংলাদেশকে শান্তি ও সমৃদ্ধির দেশ হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, এ অর্জনের পেছনে রয়েছে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবার নিরলস পরিশ্রম ও নিরন্তর প্রচেষ্টা।
বাংলাদেশের সংবিধান বৈষম্য ছাড়াই সবার সমান অধিকারের নিশ্চয়তা দিয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান যথাযথ মর্যাদা ও আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করবে- এটাই সবার প্রত্যাশা।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বাঙালির চিরন্তন ঐতিহ্য এবং বিশ্ব স্বীকৃত উল্লেখ করে হামিদ বলেন, এই ঐতিহ্যকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে নিতে হবে।
কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যাতে এই সম্প্রীতির বন্ধনকে নষ্ট করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে বলেও তিনি জোর দেন।
তিনি সকলের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বের বন্ধন আরও গভীর করার কামনা করে বলেন, ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকলের মধ্যে এই দিবসের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে পারলেই এই দিবসের উদযাপন তাৎপর্যপূর্ণ হবে।
যীশু খ্রীষ্টকে মানবজাতির সঠিক পথের পথপ্রদর্শক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তিনি (যীশু খ্রিস্ট) ঈশ্বরের মহিমা এবং খ্রিস্টধর্মের শুভ বার্তা প্রচার করেছেন। তিনি মানুষের মধ্যে ভালবাসা, সেবা, ক্ষমা, ন্যায়বিচারসহ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের শিক্ষা দেন। পার্থিব সুখের পরিবর্তে, যীশু খ্রিস্ট ত্যাগ, সংযম এবং দানের মাধ্যমে চিরন্তন সুখ অর্জনের ওপর জোর দিয়েছেন।
আবদুল হামিদ বাংলাদেশ ও বিশ্বের সকল খ্রিস্টানদের এই দিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি হামিদ বঙ্গভবনে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
বিজয় দিবস: মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
৫২তম বিজয় দিবস উপলক্ষে শুক্রবার ভোরে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সকাল সাড়ে ৬টার দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে পর্যায়ক্রমে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তারা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় স্যালুট পেশ করে।
দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের (আ.লীগ) সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান হিসেবে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা সকালে নগরীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পৃথক দু’টি পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বেলা সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সামরিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন, যখন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি
হিসেবে অভিবাদন গ্রহণ ও কুচকাওয়াজ উপভোগ করবেন।
তিনি সেখানে আকর্ষণীয় কুচকাওয়াজ, বিমান বাহিনীর মহড়া এবং অ্যারোবেটিক ডিসপ্লে উপভোগ করবেন।
মুক্তিযুদ্ধে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিস্তৃত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতি তার ৫২তম বিজয় দিবস উদযাপন করছে।
১৯৭১ সালের এই গৌরবময় দিনে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।
দিবসটি পালনে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
ত্রিশ লাখ শহীদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ এবং প্রায় তিন লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে দেশটির জন্মের সবচেয়ে আনন্দের বিজয় দিবস দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের মানুষ উদযাপন করছে।
জনপ্রশাসনের উপসচিব বাধ্যতামূলক অবসরে
ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক উপসচিব এ কে এম রেজাউল করিমকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
গ্রন্থ কেন্দ্রের পরিচালক থাকাকালে রেজাউলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর একটি মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
২০১৯ সালের ২৫ জুন তাকে বরখাস্ত করা হয়।
পরে তিনি মামলা প্রত্যাহারের জন্য বাদীকে হুমকি দেন এবং হুমকি ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করে এবং তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়।
তবে কারণ দর্শানোর নোটিশের সন্তোষজনক জবাব পাননি তদন্তকারী কর্মকর্তা।
পরে মন্ত্রণালয় পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মতামত চায় এবং কমিশন তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর বিষয়ে সম্মত হয়।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ পরে প্রজ্ঞাপনের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজস্ব পরিচয় তৈরি করুন: এনডিসি স্নাতকদের রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স (এনডিসি) এবং আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সের (এএফডব্লিউসি) স্নাতকদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাদের নিজস্ব পরিচিতি তৈরি করতে বলেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘আমি আশা করি এই মর্যাদাপূর্ণ কোর্সের স্নাতকরা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।’
আরও পড়ুন: দ. কোরিয়ায় পদদলিত হয়ে প্রাণহানির ঘটনায় রাষ্ট্রপতির শোক
মঙ্গলবার বিকালে বঙ্গভবনের দরবার হলে তাঁর সঙ্গে এনডিসি ও এএফডব্লিউ কোর্স-২০২২-এর স্নাতকদের সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন।
এ অঞ্চলে বাংলাদেশকে দ্রুত বর্ধনশীল উদীয়মান অর্থনীতি হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিগত বছরগুলোতে উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনে সাফল্য অর্জন করেছে এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে অগ্রসর হচ্ছে, কারণ সরকার বিশ্ব অর্থনৈতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় অংশীদার হওয়ার লক্ষ্যে তার লক্ষ্য পূরণে সুনির্দিষ্ট ও সমন্বিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এখানে কোর্সের সফল সমাপ্তির জন্য সকল কোর্স সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আপনারা এনডিসিতে থাকার সময় মূল্যবান পেশাদার জ্ঞান সংগ্রহ করেছেন এবং এখান থেকে আপনি জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার বিস্তৃত বর্ণালী যোগ করেছেন।’
'বাংলাদেশ শান্তিতে বিশ্বাস করে' উল্লেখ করে হামিদ বলেন, ‘আমি এটা বলতে গর্বিত যে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও পেশাগত উৎকর্ষতা তুলে ধরে বিশ্ব শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। ’
জাতীয় উন্নয়নের পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টিও সমান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ কমান্ডারও বলেছেন, ‘রাষ্ট্রীয় প্রশাসন এবং জাতীয় নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মকর্তাদের জন্য একই সঙ্গে অর্থনৈতিক মুক্তি, জাতীয় উন্নয়ন এবং জাতীয় নিরাপত্তার জ্ঞান প্রদান ও প্রয়োগ করা গুরুত্বপূর্ণ।’
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, এখানে থাকার সময় গ্র্যাজুয়েটদের হৃদয়ে বাংলাদেশের প্রতি সহানুভূতি ও কৃতজ্ঞতার অনুভূতি বেড়েছে এবং অংশগ্রহণকারীদের নিজ নিজ অবস্থানে আমাদের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করতে সাহায্য করবে, এটাই প্রত্যাশা।
এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের কিছু দেশ থেকে ১৭টি দেশের প্রায় ৩২ জন অংশগ্রহণকারী কোর্সে অংশ নিয়েছিল।
অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল আকবর হোসেন, ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা এবং বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কিছু উপাচার্য ও শিক্ষকের কর্মকাণ্ডে সমাজে তাদের প্রতি সম্মান ক্রমশ কমছে: ঢাবি সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি
স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি
শপথ নিলেন নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোছা. ডরথী রহমান
একাদশ জাতীয় সংসদের ৩১৯ মহিলা আসন ১৯ (সংরক্ষিত) আসনের উপনির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোছা. ডরথী রহমান শপথ নিয়েছেন।
বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে শপথ বাক্য পাঠ করান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
শপথ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি ও হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি উপস্থিত ছিলেন।
শপথ গ্রহণ শেষে মোছা. ডরথী রহমান এমপি রীতি অনুযায়ী শপথ বইয়ে সাক্ষর করেন।
এ সময় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শপথ নিয়েছেন ৫৯টি জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যরা
ভারতের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু’র শপথ গ্রহণ