রাষ্ট্রপতির-কার্যালয়
দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কটের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘কোনো মানুষই দুর্নীতিবাজ হিসেবে জন্মগ্রহণ করে না। পারিবারিক, সামাজিক ও আশপাশের পরিবেশই মানুষের জীবনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। তাই দুর্নীতিবিরোধী অভিযান নিজের ঘর থেকেই শুরু করতে হবে। দুর্নীতি ও দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: একাডেমিক ডিগ্রির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মান অর্জনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ‘আপনার অধিকার, আপনার দায়িত্ব: দুর্নীতিকে না বলুন’।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সৎ, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবানদের সামাজিকভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। তাহলেই সমাজে দুর্নীতি হ্রাস পাবে।’
তিনি বলেন, ‘মানুষের চাহিদার সীমা থাকে, কিন্তু লোভ সীমাহীন। দুর্নীতি এমন একটি বিষয় যা প্রত্যেক সমাজে প্রচলিত আছে। পৃথিবীর কোনো দেশই এর কুপ্রভাব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত নয়। ’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সামাজিকভাবে দুর্নীতিবিরোধী মনোভাব জাগ্রত না হলে কেবল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একার পক্ষে দুর্নীতি দমন করা সম্ভব নয়।’
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তোলা ছাড়া এর কোনো বিকল্প নেই। মানুষের মাঝে দুর্নীতিবিরোধী সচেতনতা তৈরি এবং দুর্নীতগ্রস্ত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমেই কেবলমাত্র দুর্নীতিকে সহনশীল মাত্রায় কমিয়ে আনা সম্ভব।’
তিনি কমিশনের সকল পর্যায়ে কর্মচারীদেরকে তাদের দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা ও নৈতিকতা প্রদর্শনের আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘অন্যের দুর্নীতি চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার আগে আপনাকে নিজের অনিয়ম ও অসততা দূর করতে হবে। যারা রাষ্ট্র কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব ও ক্ষমতার অপব্যবহার করবে তাদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে প্রচলিত আইনের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে জাতীয় ঐক্যের জন্য মতভেদ দূর করুন: রাষ্ট্রপতি
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি করলে শাস্তি পেতে হবে এবং দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না জনমনে এমন ধারণা জন্মাতে পারলেই দুদকের ওপর জনগণের আস্থা বাড়বে।’
দিবসটি উপলক্ষে দুদক রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আলোচনা অনুষ্ঠানের পাশাপাশি মানববন্ধনের আয়োজন করেছে।
এ উপলক্ষে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) কার্টুন প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
দুর্নীতিকে বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার উদ্যোগের ফলে ২০০৩ সালের ৩১ অক্টোবর জাতিসংঘে দুর্নীতিবিরোধী সনদ আনকাক গৃহীত হয়।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।
একাডেমিক ডিগ্রির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মান অর্জনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বুধবার প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে একাডেমিক ডিগ্রির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মান অর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা শতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ১৬ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি ভার্চুয়ালি বঙ্গবন থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা সময়ের সাথে সাথে যেমন বেড়েছে, তেমনি এর অবকাঠামো ও শিক্ষা কার্যক্রমের পরিধিও বেড়েছে। আধুনিক বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধার জন্য প্রতিযোগিতাকেও আন্তর্জাতিকীকরণ করা হয়েছে। তাই একজন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রীর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মান অর্জন করতে হবে।
আবদুল হামিদ বলেন, কারিকুলাম ও পাঠদান নির্ধারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও বিশ্বমানের বিবেচনা করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, উচ্চ আশা ও আকাঙ্খা নিয়ে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠান। এছাড়া দেশ ও জনগণ তাদের শিক্ষিত করার জন্য বিনিয়োগ করে।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রদের পরিবার, দেশ ও জনগণের আশা-আকাঙ্খা পূরণের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
আবদুল হামিদ বলেন, অবকাঠামো, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের সম্প্রসারণ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে অবদান রাখে। তবে শিক্ষা ও গবেষণার মানই প্রধান সূচক।
এসময় রাষ্ট্রপতি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের চাহিদা ও যোগ্যতা বিবেচনায় রেখে শিক্ষার মান ও শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়সহ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এ যাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: আজ শুরু হচ্ছে ঢাবির ১৬ দিনব্যাপী শতবর্ষ উদযাপন
১৯২১ সালের ১ জুলাই যাত্রা শুরু করা দেশের প্রাচীনতম এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী এই প্রতিষ্ঠান শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছে।
করোনা মহামারিরর কারণে উদযাপনটি পাঁচ মাস বিলম্বিত হয়েছে। আজ বুধবার থেকে ক্যাম্পাসে শুরু হওয়া জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান চলবে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগ দেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে বিশেষ বই, ফটোগ্রাফি অ্যালবাম ও ওয়েবসাইট উন্মোচন করেন।
উদযাপনের উদ্বোধনী দিনে শতবর্ষ উপলক্ষে একটি তথ্যচিত্র এবং একটি থিম গানও প্রকাশ করা হয় এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিংয়ের একটি শুভেচ্ছা বার্তাও অনুষ্ঠান উপস্থাপন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.আখতারুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এম আব্দুল মোমেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ বক্তব্য দেন।
৩ ডিসেম্বর জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদারের নেতৃত্বে দলছুট ব্যান্ড, বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ এবং নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করবেন।
পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে জাতীয় ঐক্যের জন্য মতভেদ দূর করুন: রাষ্ট্রপতি
৪ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. শাহাদাত আলীর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ও শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী অংশ নেবেন।
১২ ডিসেম্বর সকালে অপরাজেয় বাংলা প্রাঙ্গণ থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৭টায় মহান বিজয় দিবসে উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অপর্ণ করবেন। সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ‘লেজার শো’ এর মধ্য দিয়ে শেষ হবে ১৬ দিনব্যাপী এই উৎসব।
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে জাতীয় ঐক্যের জন্য মতভেদ দূর করুন: রাষ্ট্রপতি
বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় রূপান্তরের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাম্প্রদায়িকতা ও অগণতান্ত্রিক চর্চার বিরুদ্ধে শক্তিশালী জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।
বুধবার বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সংসদের দুই দিনব্যাপী বিশেষ অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি রাজনৈতিক দল-মত নির্বিশেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করে সহনশীলতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার সংস্কৃতি গড়ে তুলে দেশকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর গৌরবময় অনুষ্ঠানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রা ও দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভায় রাষ্ট্রপতির খসড়া ভাষণ অনুমোদন
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে। দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও তথ্য কমিশন সক্রিয়ভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারসহ চাঞ্চল্যকর অন্যান্য মামলার রায় দ্রুত নিষ্পত্তি করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
আব্দুল হামিদ বলেন, দুর্নীতি, মাদকাসক্তি, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা দমনের লক্ষ্যে সরকারের 'জিরো টলারেন্স' নীতি দেশে স্বস্তি এনেছে, যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে।
সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য প্রতিটি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি, অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থাপনা, নাগরিক সনদ এবং সততা কৌশল বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আমাদের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা, শিল্পায়ন, অর্থনৈতিক সমন্বয়, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং একটি যোগ্যতাভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে হবে। আর এ লক্ষ্যে সবাইকে নিরলসভাবে কাজ করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অধিবেশনে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
মন্ত্রিসভায় রাষ্ট্রপতির খসড়া ভাষণ অনুমোদন
স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী ২৪ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদের ১৫তম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ভাষণের খসড়া সোমবার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে বৈঠকে যোগ দেন। এছাড়া মন্ত্রিসভার সদস্যরা বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে যুক্ত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২৪ নভেম্বর জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনায় রাষ্ট্রপতি ভাষণ দিবেন। মন্ত্রিসভায় আজ সেটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরব্যাপী উদযাপনের অংশ হিসেবে আগামী ২৪ ও ২৫ নভেম্বর বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: ২৪ নভেম্বর সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি
নৌবাহিনীকে সমুদ্র অর্থনীতির পতাকাবাহী হওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
৭ দিনের সফরে কিশোরগঞ্জে রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সাত দিনের সফরের প্রথম দিনে শুক্রবার কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলায় তার পৈতৃক গ্রাম কামালপুরে পৌঁছেছেন।
প্রায় দুই বছর আগে দেশে কোভিড-১৯ মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর এই প্রথম বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে তাকে কিশোরগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর জেলা পরিষদের নতুন ডাক বাংলোতে তাকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয়া হয়।
এছাড়াও এদিন তিনি উপজেলার ‘গোরা উতরা’ নামের স্থানীয় একটি সেতু পরিদর্শন করেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানান, ৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৩৬৫ মিটার দীর্ঘ সেতুটি হাওরের এলাকাগুলোকে কিশোরগঞ্জ সদরের সাথে সংযুক্ত করবে এবং এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
সাত দিনের সফর শেষে রাষ্ট্রপতি আগামী ১৮ নভেম্বর বঙ্গভবনে ফিরবেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নৌবাহিনীকে সমুদ্র অর্থনীতির পতাকাবাহী হওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন রাষ্ট্রপতি
জার্মানি ও যুক্তরাজ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে মঙ্গলবার দেশে ফিরবেন রাষ্ট্রপতি
নৌবাহিনীকে সমুদ্র অর্থনীতির পতাকাবাহী হওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে জাতির সার্বিক সমৃদ্ধির জন্য দেশের সমুদ্র অর্থনীতির পতাকাবাহী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, নৌবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে অবশ্যই দেশের সমুদ্রভিত্তিক অর্থনীতির বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় মানব পাচার ও চোরাচালান রোধ, জেলেদের নিরাপত্তা ও বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিতসহ সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আরও দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ (বিএনএস) শহীদ মোয়াজ্জেমকে নৌবাহিনীতে অসামান্য সেবার স্বীকৃতিস্বরূপ ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড উপাধিতে ভূষিত করার পর তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন রাষ্ট্রপতি
রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাপ্তাইয়ের পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত ঘাঁটিতে এই জাতীয় পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ বঙ্গভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগদান করেন।
অনুষ্ঠান চলাকালে রাষ্ট্রপতির পক্ষে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল বিএনএস শহীদ মোয়াজ্জেমের কাছে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড হস্তান্তর করেন।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর বিশাল সমুদ্রের ওপর আমরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল। এ কারণে একটি উন্নয়ন-বান্ধব পরিবেশ বজায় রাখা এবং সমুদ্র এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জাতীয় ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার কমিশনকে আরও সক্রিয় হতে বললেন রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি নৌবাহিনীর সদস্যদের সততা ও আন্তরিকতার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখার জন্যও আহ্বান জানান।
আব্দুল হামিদ বলেন, দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখা এবং সমুদ্রে বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপত্তাসহ সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবহারের জন্য পরিবেশ তৈরি ও রক্ষা করার দায়িত্ব আপনাদের।
দেশের সার্বভৌমত্ব ও আত্মসম্মান রক্ষায় নৌবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, নৌবাহিনীকে আধুনিক কৌশল ও তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ ও পারদর্শী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতিবাজদের শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
একাদশ জাতীয় সংসদের ১৫তম অধিবেশন শুরু ১৪ নভেম্বর
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ১৪ নভেম্বর বিকাল ৪টায় ঢাকার শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় সংসদ ভবনের সংসদ কক্ষে একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশন আহ্বান করেছেন।
সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রেসিডেন্ট এ অধিবেশন আহ্বান করেছেন।
সংবিধান অনুযায়ী, একটি অধিবেশন শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে পরবর্তী অধিবেশন আহ্বান করতে হয়।
মাত্র সাতটি বৈঠকের পর একাদশ সংসদের চতুর্দশ অধিবেশন ১৬ সেপ্টেম্বর স্থগিত করা হয়েছিল। করোনা মহামারির মধ্যে এটি সংক্ষিপ্ত আরেকটি অধিবেশন ছিল।
আরও পড়ুন: এমপির 'হাস্যকর' প্রস্তাবে সংসদে হাসির রোল
সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ‘নির্লজ্জ’ আখ্যা দিয়ে পদত্যাগ দাবি
চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন রাষ্ট্রপতি
স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চোখের চিকিৎসার জন্য জার্মানি ও যুক্তরাজ্যে ১৮ দিনের সফর শেষে মঙ্গলবার সকালে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতির ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মুন্সি জালাল উদ্দিন ইউএনবিকে বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।‘
এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, কূটনৈতিক কোরের ডিন আর্চবিশপ জর্জ কোচারি, ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সেনাবাহিনী প্রধান, ভারপ্রাপ্ত নৌবাহিনী প্রধান, সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব এবং অন্যান্য বেসামরিক ও সামরিক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান।
পড়ুন: জার্মানি ও যুক্তরাজ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে মঙ্গলবার দেশে ফিরবেন রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি হামিদ সোমবার বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে (লন্ডন সময়) ঢাকার উদ্দেশে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীন এবং হাইকমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানান।
এর আগে ৯ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রী রাশিদা খানম এবং অন্যান্য সফরসঙ্গী জার্মানির রাজধানী বার্লিনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। তিনি ১৯ অক্টোবর বার্লিন থেকে লন্ডন পৌঁছান।
৭৭ বছর বয়সী রাষ্ট্রপতি হামিদ দীর্ঘদিন ধরে গ্লুকোমায় ভুগছেন।
পড়ুন: শনিবার চিকিৎসার জন্য ইউরোপ যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি
বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সাথে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ খানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে যোগদানসহ যুক্তরাষ্ট্র সফরের সার্বিক বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। এছাড়াও তিনি সরকারের সার্বিক কর্মকাণ্ড, বিশেষ করে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং টিকা প্রদানের মাধ্যমে জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গৃহীত কার্যক্রম বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করুন: নবীন সরকারি কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রী
এসময় ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে যোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে সঠিক পথে অগ্রসর রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’ অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি জাতিসংঘ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক ভূমিকার প্রশংসা করেন। এছাড়াও রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানান।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনের উদ্বোধনী পর্বে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউসসহ রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিবগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মানবাধিকার কমিশনকে আরও সক্রিয় হতে বললেন রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, জনগণের স্বার্থ সুরক্ষা এবং সরকারকে অধিকতর দায়িত্বশীল করে তুলতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে আরও বেশি সক্রিয় হতে হবে।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম এনডিসির নেতৃত্বে কমিশনের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে কমিশনের ২০২০ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
আবদুল হামিদ বলেন, সরকারের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং জনস্বার্থ ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম: স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
প্রতিনিধিদল বৈঠকে কমিশনের সার্বিক কর্মকাণ্ড এবং বার্ষিক প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। কমিশনের প্রতিনিধিদলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ ও সদস্য জেসমিন আরা বেগম।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: দুর্নীতিবাজদের শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতির সাথে মরক্কোয় নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ