খুলনা বটিয়াঘাটা উপজেলার গ্রাম্য সার্ভেয়ার অশ্বিনী রায় হত্যা মামলার একমাত্র আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত প্রশান্ত বিশ্বাস ঘেদো উপজেলার বায়ারডাঙ্গা গ্রামের শশিপাড়া এলাকার সূর্যকান্ত বিশ্বাসের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি প্রশান্ত বিশ্বাস পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলায় ভাইসহ ২ ভাতিজার যাবজ্জীবন
আদালত সূত্র জানায়, নিহত অশ্বিনী রায় ওই এলাকার প্রশান্তকে প্রায়ই টাকা ধার দিতেন। ধারে দেয়া টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। একপর্যায়ে অশ্বিনীকে হত্যা করার পরিকল্পনা মাথায় আসে আসামি প্রশান্ত বিশ্বাসের।
২০১৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বিকালে স্থানীয় মাইলমারী বাজারের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয় অশ্বিনী। বিকাল ৫টার দিকে তিনি বায়ারডাঙ্গা গ্রামের পশ্চিমপাড়া জনৈক কালিপদ মন্ডলের বাড়ির সামনে পৌঁছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা প্রশান্ত তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হত্যার উদ্দেশে আসামি কাঠ বা রড দিয়ে অশ্বিনীর মাথা ও নাক বরাবর আঘাত করতে থাকে। আঘাতে একসময় অশ্বিনী রায় অচেতন হয়ে পড়েন। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে বটিয়াঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য অশ্বিনীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। পরদিন খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: ‘মাদক’ মামলায় ঠাকুরগাঁওয়ে এক জনের যাবজ্জীবন
এ ব্যাপারে নিহতের ছেলে অজয় কুমার রায় বাদী হয়ে বটিয়াঘাটা থানায় প্রশান্ত বিশ্বাস ঘেদোকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের ১৭ মে বাটিয়াঘাটা থানার এসআই নিমাই চন্দ্র কুন্ডু প্রশান্ত বিশ্বাস ঘেদোকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।