চাকরি
চাকরির ইন্টারভিউয়ে প্রত্যাশিত বেতন নিয়ে যেভাবে কথা বলবেন
পেশাগত জীবন গঠনের সব থেকে সংবেদনশীল পর্যায়টি হচ্ছে চাকরির ইন্টারভিউ। যেখানে মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিটের ওপর নির্ভর করে পুরো ক্যারিয়ার, বিশেষ করে চাকরিটি যদি হয় খুব প্রয়োজনীয় অথবা বহু প্রত্যাশিত। নিয়োগকর্তার সঙ্গে এই আলাপচারিতায় প্রতিটা বাক্য তাৎক্ষণিকভাবে গড়ে দেয় চাকরি পাওয়ার মাইলফলক।
এই আলাপের শেষ পর্বে থাকে বেতন সম্পর্কিত কথোপকথন, যে মুহূর্তটি চাকরি প্রার্থীদের জন্য আরও উত্তেজনার। প্রত্যাশিত বেতন নিয়ে কথা বলার এই ছোট্ট পর্বটি কীভাবে সফলভাবে সম্পন্ন করা যায়, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
প্রত্যাশিত বেতন বলতে আসলে কী বোঝায়
কোনো সুনির্দিষ্ট কাজের জন্য সম্মানী হিসেবে নিয়োগর্কতার কাছে প্রার্থীর যে পরিমাণ অর্থের দাবি থাকে সেটিই প্রত্যাশিত বেতন নামে অভিহিত। কাজের ধরন ও ক্ষেত্র, দেশ, ও সময়ের ভিত্তিতে এই সম্মানী পরিবর্তিত হয়। আর প্রত্যাশার সঙ্গে মৌলিকভাবে জড়িয়ে থাকে প্রার্থীর দক্ষতা, যার পরিপূরকভাবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় অভিজ্ঞতা। এর সঙ্গে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে কাজটির চাহিদা, উপলব্ধতা এবং দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা।
আরও পড়ুন: চাকরির জন্য সিভি তৈরিতে যে বিষয়গুলো পরিহার করবেন
এই সব উপাদানের সাপেক্ষে যে পরিমাণ অর্থ দাবি করা হচ্ছে প্রার্থী আসলেই তার প্রাপ্য কি না তা প্রমাণ করা জরুরি। আর তারই যাচাই-বাছাই চলে চাকরির ইন্টারভিউতে।
বিষয়টি সম্পূর্ণ প্রার্থীর ঐচ্ছিক বিষয় হলেও অঙ্কটি নির্ধারণের ক্ষেত্রে যথাযথ গবেষণার প্রয়োজন। নতুবা খুব কম দাবি করার ফলে প্রার্থী সঠিক আর্থিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। শুধু তাই নয়, এটি দীর্ঘ মেয়াদে তার ক্যারিয়ারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং একই সঙ্গে সেই কাজের বাজার নষ্ট করে। অন্যদিকে খুব বেশি দাবি করার মাধ্যমে চাকরির সুযোগটাই হাত ছাড়া হয়ে যেতে পারে।
কীভাবে প্রত্যাশিত বেতন নির্ধারণ করবেন
আত্ম-মূল্যায়ন
নিজের বাজার মূল্যটা ঠিক কত তা বুঝতে হলে নিজেকে একটি পণ্য বা সেবা হিসেবে চিন্তা করতে হবে। একটি পণ্য চূড়ান্ত ভাবে বিক্রিযোগ্য হওয়ার পূর্বে কাঁচামাল সংগ্রহ এবং প্রক্রিয়াকরণ পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যায়। এ সময় তার যাবতীয় খরচের সঙ্গে লাভের পরিমাণ যোগ করে তারপর ঠিক পণ্যের দাম। একজন ব্যক্তির পারদর্শিতার মূল্য নির্ধারণের ব্যাপারটিও ঠিক একই। এখানে যাচাই করতে হয় একটি কাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যেতে কতটা শ্রম এবং সময় দেওয়া হচ্ছে। শারীরিক শ্রম অপেক্ষা মানসিক শ্রমের মূল্য বেশি।
আরও পড়ুন: ফুড ব্লগার বা ভ্লগার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার উপায়
অপেক্ষাকৃত কম রসদে তুলনামূলক কম সময়ের মধ্যে গুণগত মান অক্ষুন্ন রেখে কাজটি সম্পন্ন করা। মুলত এর উপর ভিত্তি করেই প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়ে ওঠে কোনো কর্মচারী বা কর্মকর্তার বাজার মূল্য।
এই মূল্য যাচাইয়ের জন্য প্রার্থীকে প্রথমে দেখতে হবে বাজারে তার পারদর্শিতার চাহিদা কতটুকু। এই নিরীক্ষায় উতড়ে গেলে তারপরেই আসবে দক্ষতার বিষয়টি। কাজের ইন্ডাস্ট্রি ভেদে এই বিষয়টিকে বিশেষায়িত করে উচ্চ শিক্ষা, পেশাগত ট্রেনিং এবং সরাসরি কাজের অভিজ্ঞতা। ব্যবহারিক বা প্রযুক্তিগত কাজগুলোতে প্রায় ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার উপর হাতে-কলমে কাজের অভিজ্ঞতা গুরুত্ব পায়। আবার যে পারদর্শিতাগুলো খুব কম দেখা যায়, কিন্তু বাজারে চাহিদা প্রচুর, এগুলোর সম্মানী নিলামের মত বাড়তে থাকে।
নেটওয়ার্কিং
বেতন কত হওয়া উচিৎ তা জানার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো একই ইন্ডাস্ট্রির লোকদের সঙ্গে নেটওয়ার্কিং করা। ক্যারিয়ারের শুরুতে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র এবং শিক্ষকগণ এই নেটওয়ার্কিংয়ে ব্যাপক অবদান রাখে। তাদের মধ্যে যারা বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন পদের বেতনের ব্যাপারে ধারণা পাওয়া যায়।
স্বভাবতই তথ্য সংগ্রহের জন্য এটি খুব স্বল্প মেয়াদী উপায় নয়, কেননা বেতন নিয়ে কথা বলতে কেউই প্রস্তুত থাকেন না। দীর্ঘ দিন সম্পর্কের সুবাদে এরকম তথ্য পাওয়া সম্ভব। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুর দিন থেকেই বিভিন্ন ক্লাব, সিনিয়র ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সান্নিধ্য অর্জনের চেষ্টা শুরু করতে হবে। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে বিভিন্ন অনলাইন গ্রুপ ও ফোরামের দৌলতে নেটওয়ার্কিং অনেকটা সহজ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: উবার ড্রাইভার অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করবেন যেভাবে
চাকরির জন্য সিভি তৈরিতে যে বিষয়গুলো পরিহার করবেন
কাঙ্ক্ষিত চাকরিটি পাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো সিভি তৈরি, যেখানে প্রতিটি শব্দ অত্যন্ত মূল্যবান। নিয়োগকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য যেখানে সুযোগ থাকে এক অথবা সর্বোচ্চ দুই পৃষ্ঠার মধ্যে নিজেকে উপস্থাপনের। অসম্পূর্ণ সিভি যেমন কাম্য নয়, ঠিক তেমনি অপ্রাসঙ্গিক, অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় তথ্যের সয়লাবও সিভিকে গুরুত্বহীন করে তোলে। তাছাড়া শব্দের আধিক্যের সঙ্গে থাকে ভুল-ভ্রান্তির আশঙ্কা। এমনকি কোনোভাবে ইন্টারভিউ পর্যন্ত পৌঁছতে পারলেও ঘটতে পারে বিপত্তি। চলুন, জেনে নেওয়া যাক চাকরির সিভিতে ঠিক কোন বিষয়গুলো পরিহার করা জরুরি।
সিভি লেখার সময় যে বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকা উচিৎ
বানান ও ব্যাকরণগত ভুল
একটি সিভির উপাদানগুলো চাকরির অঙ্গন, প্রার্থীর দক্ষতা ও সৌন্দর্য্য বোধের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়। কিন্তু সবকিছুর উর্ধ্বে প্রতিটি সিভি বানান ও ব্যাকরণগত দিক থেকে নির্ভুল হওয়া আবশ্যক। এই ধরনের ত্রুটিগুলো প্রার্থীর সম্পর্কে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে। কেননা বাক্য গঠনের ন্যূনতম নিয়ম-কানুন অনুসরণের মাঝে আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রতিফলন ঘটে। অনিচ্ছাবশতও যদি তা হয়ে যায়, তখন ধরেই নেওয়া হয় যে খুঁটিনাটি বিষয়গুলোতে তার বিশদ মনোযোগ নেই।
দীর্ঘ প্যারাগ্রাফ দিয়ে শুরু করা
চোখের সামনে একটি সিভি ধরা হলে স্বাভাবিকভাবেই প্রথমে দৃষ্টি পড়ে শিরোনামের দিকে। সিভির একদম উপরের অংশে নামের নিচের এই জায়গাটুকু এক নজরে প্রার্থীর সম্পর্কে ধারণা লাভের প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করে। এখানে পরিচিতি পর্বটা দীর্ঘ হলে এই সিভির বাকি অংশ পড়ার আর আগ্রহ থাকে না। তাই এই সূচনা শব্দগুলো হওয়া উচিৎ সুচিন্তিত, সংক্ষিপ্ত এবং আগ্রহ উদ্দীপক।
আরও পড়ুন: ফুড ব্লগার বা ভ্লগার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার উপায়
এক সময় সিভির শুরুতে ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ বেশ জনপ্রিয় ছিলো। কিন্তু প্রশ্ন যখন কম সময়ে হাজার সিভি দেখার, সেখানে ৩ থেকে ৪ লাইনের প্যারাগ্রাফ পড়া নিতান্তই সময়সাপেক্ষ।
অপ্রাসঙ্গিক দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা
বর্তমানে প্রতিযোগিতাপূর্ণ যুগে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিঃসন্দেহে শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি। কিন্তু একই সঙ্গে এও সত্য যে সময়ের প্রয়োজনে বড় বড় কাজগুলো ভেঙে এখন ছোট ছোট পদের সৃষ্টি হচ্ছে। বিকেন্দ্রীকরণের এই ব্যবস্থায় অগ্রাধিকার পায় কিছু সুনির্দিষ্ট পারদর্শিতা। তাই শুধুমাত্র সেই পারদর্শিতাগুলোকেই অন্তর্ভূক্ত করা উচিৎ, যেগুলো উদ্দিষ্ট চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে চাওয়া হয়েছে।
তাছাড়া স্কুল-কলেজ জীবনের এমন অনেক অর্জন রয়েছে, যেগুলো কোনো ভাবেই উল্লেখিত পদের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। যারা জীবনের প্রথম চাকরির জন্য চেষ্টা করছেন তাদেরও এই বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে। অসামঞ্জস্য তথ্য দিয়ে দুই পৃষ্ঠার সিভি অপেক্ষা প্রত্যক্ষ ভাবে সম্পর্কিত তথ্যে ভরপুর এক পৃষ্ঠার রেজুমিই উত্তম।
আরও পড়ুন: উবার ড্রাইভার অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করবেন যেভাবে
অস্পষ্ট সফট স্কিল ও অভিজ্ঞতা
সমস্যা-সমাধানকারী, স্বপ্রণোদিত, শৃঙ্খলাবদ্ধ, পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারা; এরকম সফট স্কিলগুলো অনেকেই তাদের সিভিতে রাখতে পছন্দ করেন। কিন্তু এগুলো জায়গার অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। এগুলোর পরিবর্তে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে হার্ড স্কিলগুলো দেয়া ভালো; যেমন গাড়ি চালানো, বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সম্পাদন সফটওয়্যার বা কোনো নির্দিষ্ট মেশিন অপারেশনে পারদর্শিতা। তবে উত্তম পন্থা হলো সফট স্কিলগুলো কীভাবে ব্যবহার করা হয়েছে তা সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করা।
এটি অভিজ্ঞতা প্রদর্শনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। শুধুমাত্র কোম্পানি ও পদবির নাম সংযোজনটাই যথেষ্ট নয়। এক লাইনের মধ্যে উপযুক্ত শব্দ চয়নের মাধ্যমে প্রতিটি বিবরণ শেষ করা উচিৎ।
এক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত শব্দগুলোর ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। যেমন ‘রেস্পন্সিবল’, ‘লিডার’, ‘সাক্সেস’ প্রভৃতি শব্দগুলো খুব বেশি দেখা যায়। অন্যান্য সিভির মত একই শব্দ ব্যবহার করা মানে সিভির বিশেষত্ব নষ্ট করা। এগুলো অল্প কথায় সিভির জায়গা বাঁচায় ঠিক, কিন্তু প্রার্থী সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে পারে না।
আরও পড়ুন: অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় করবেন যেভাবে
কিন্তু এর বদলে পরিমাপযোগ্য ফলাফল দেয়া হলে একসঙ্গে দুটো উদ্দেশ্য হাসিল হয়। এক. বহুল ব্যবহৃত শব্দ এড়ানো যায় এবং দুই. নিজের পারদর্শিতার ব্যাপারে সঠিক ধারণা দেওয়া যায়।
ফুড ব্লগার বা ভ্লগার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার উপায়
ব্যক্তির পারদর্শিতার জায়গাগুলোকে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর স্তরে নিয়ে গেছে হাল ফ্যাশনের স্বাধীন কন্টেন্ট নির্মাণ। ছোট ছোট বিষয়ে দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই নানা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন একদম কৈশোর থেকেই। এগুলোর মধ্যে সব থেকে জনপ্রিয়গুলোর একটি হচ্ছে খাবারের মূল্যায়ন করা। এর শুরুটা মূলত ফুড ক্রিটিক থেকে, যেটি অনেক আগে থেকেই একটি স্বতন্ত্র মর্যাদা সম্পন্ন শিল্প। প্রযুক্তির ক্রমবিকাশে অনলাইন কন্টেন্টের সান্নিধ্যে এরই অবারিত অবতারণা ফুড ব্লগার এবং ফুড ভ্লগার। সদ্যপ্রাপ্ত কোনো স্বাদের অভিজ্ঞতা কেউ শব্দে প্রকাশ কছেন, কেউ বা ক্যামেরা হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন রেস্তোরাঁ থেকে রেস্তোরাঁয়।
এই ধরনের কন্টেন্ট নির্মাণও হতে পারে ক্যারিয়ারের হাতিয়ার। আর ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির এই সম্ভাবনাময় পেশার নানা দিক নিয়েই আজকের নিবন্ধ। চলুন, একজন ফুড ব্লগার বা ভ্লগার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
যেভাবে একজন ফুড ব্লগার বা ভ্লগার হয়ে উঠবেন
ফুড ব্লগিং বা ভ্লগিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা
হোক সে কলম হাতে ব্লগ লেখা অথবা ক্যামেরার সামনে কথা বলা; এ সময়ের একজন স্বাধীন ফুড ক্রিটিকের প্রথমেই কিছু দক্ষতা অর্জন আবশ্যক। চলুন দেখে নিই, এ ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা জরুরি।
খাবার ও রান্নার ব্যাপারে সঠিক জ্ঞান
উদ্দেশ্য যখন খাদ্যের বিচার করা, স্বভাবতই তখন প্রথমেই এই বিচারের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এখানে রন্ধনশিল্প বা খাদ্যের উপর একাডেমিক কোনো ডিগ্রী নেওয়া জরুরি নয়। এমনকি পাকা রাঁধুনি হওয়ারও প্রয়োজন নেই। দরকার শুধুমাত্র বিষয়টির প্রতিটি প্রচণ্ড ভালো লাগা। আর এর উপর ভিত্তি করে বই ও ইন্টারনেটের তথ্য ভান্ডার থেকে জ্ঞানার্জনটা হবে স্বতঃস্ফূর্ত।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে বুফে খেতে যেসব রেস্তোরাঁয় যেতে পারেন
শুধু তাই নয়; এই তাড়না তাদেরকে প্রাসঙ্গিক অন্যান্য ব্যবহারিক জ্ঞানার্জনের দিকেও ধাবিত করবে। যেমন- নতুন নতুন রেসিপি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, খাদ্যের ইতিহাস এবং সাংস্কৃতিক প্রভাব ইত্যাদি। এই প্রস্তুতি তাদের খাদ্যের খুটিনাটি বিশ্লেষণ করে তথ্যপূর্ণ সমালোচনা করার ক্ষমতা বিকাশে সহায়তা করবে।
এছাড়া একটি পূর্ণাঙ্গ আর্টিকেল লেখার আগে তার প্রয়োজনীয় রসদ খোঁজার জন্যও মস্তিষ্কে সঠিক তথ্যের যোগান দরকার। এটি ক্যামেরার সামনে অনর্গল কথা বলে যাওয়ার জন্যও প্রযোজ্য।
গল্প বলার ও পরিবেশনের দক্ষতা
প্রতিটি রাঁধুনিই মানেন, শুধু রাধলেই হয় না, খাবারটিকে সুন্দর করে পরিবেশনও করতে হয়। রান্নার বাইরে যারা খাদ্য নিয়ে কন্টেন্ট বানাচ্ছেন, বিষয়টি তাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। গবেষণা লব্ধ তথ্যগুলোর প্রকাশ হওয়া উচিত জটিলতা বিবর্জিত এবং সাবলীল। পাঠক পড়ার সময় যেন এই অনুভূতি পান, লেখক সরাসরি তাকে উদ্দেশ্য করেই কথা বলছেন।
এটি ব্লগারদের ক্ষেত্রে কঠিন হলেও ভ্লগারদের জন্য অনেকখানি সহজ। বলাই বাহুল্য- শব্দবহুল লেখা থেকে ছোট্ট ভিডিও উন্নত অভিজ্ঞতার সঞ্চার করতে পারে। এরপরেও একটি ভিডিও স্ক্রিপ্ট প্রস্তুত রাখা আবশ্যক। পরিকল্পিত চিত্রনাট্য অনুসরণ করা হলে শ্যুটের সময় ভুল-ভ্রান্তি কম হয়। এতে ভিডিওর পোস্ট-প্রোডাকশনে সময় বাঁচায়।
অনেক ব্লগার লেখার মাঝে প্রাসঙ্গিক ও মান সম্পন্ন ছবি যুক্ত করেন। এতে করে লেখার প্রতি পাঠকদের আকর্ষণ বাড়ে। এমনকি অনেকে ভিডিও সংযুক্ত করে দেন। ব্লগিং ও ভ্লগিংয়ের এই সংমিশ্রণটি অনেক বেশি পরিমাণে পাঠক ও দর্শক আকৃষ্ট করার একটি মোক্ষম উপায়।
আরও পড়ুন: বাজেটের মধ্যে ঢাকার সেরা ১০টি বুফে রেস্টুরেন্ট
উবার ড্রাইভার অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করবেন যেভাবে
বহুজাতিক কোম্পানি উবারের দৌলতে রাইড শেয়ারিং এখন জনপ্রিয় একটি আয়ের মাধ্যম। ধরাবাঁধা কোনো সময় না থাকায় একজন উবার ড্রাইভার মুক্তপেশার মতোই উপার্জন করতে পারেন নিজের সক্ষমতা অনুযায়ী। তবে এর জন্য কিছু নীতিমালা অনুসরণ করতে হয়। এগুলো নির্ধারিত হয় মূলত সংশ্লিষ্ট দেশের পরিবহন অধিদপ্তর প্রণীত বিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। আজকের নিবন্ধে উবার ড্রাইভার অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। একই সঙ্গে জেনে নেওয়া হবে- প্রয়োজনে উবার ড্রাইভার অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করার পর কীভাবে তা পুনরায় চালু করবেন।
উবার ড্রাইভার অ্যাকাউন্ট করার পূর্বশর্ত
মোটর বাইক বা কার থাকুক বা না থাকুক, উভয় ক্ষেত্রেই ড্রাইভার হিসেবে উবারে যোগ দেওয়া যেতে পারে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যানবাহনটির জন্য বিআরটিএ’র (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) রাইড শেয়ারিং তালিকাভুক্তি সনদপত্র নিতে হবে। নিজের গাড়ি থাকলে মালিক নিজে এই সনদপত্র নিবেন।
আর গাড়ি না থাকলে রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান তথা উবার সেই গাড়ির জন্য বিআরটিএর রাইড শেয়ারিং-এ তালিকাভূক্ত করবে। এই সনদপত্র নেবার পর উবার ড্রাইবার অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আবেদন করা যাবে।
এছাড়া বিআরটিএ মতে, ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ন্যূনতম ১৮ বছরের যে বয়ঃসীমা আছে, উবার বাংলাদেশের ড্রাইভারদের বেলায়ও তা প্রযোজ্য হবে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ বিলাসবহুল গাড়ি
উবার ড্রাইভার অ্যাকাউন্ট করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
চালক হিসেবে আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্য সম্বলিত পরিচিতিপত্র:
- প্রোফাইল ছবি (চালকের পুরো মুখমণ্ডলসহ কাঁধের শীর্ষভাগ ফোকাসে থাকা চশমাবিহীন উজ্জ্বল ছবি হতে হবে, যেখানে ফ্রেমে শুধুমাত্র চালকের মুখ থাকবে। ড্রাইভিং লাইসেন্সের ছবি বা অন্য কোনও মুদ্রিত ছবি হওয়া যাবে না।)
- জাতীয় পরিচয়পত্র
- বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স
গাড়ির (মোটর বাইক/কার) প্রয়োজনীয় নথি:
- নিবন্ধনপত্র
- ফিটনেস সনদপত্র
- ট্যাক্স টোকেন
- ইনস্যুরেন্স
যানবাহন না থাকলে আবেদনকারীকে শুধু নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড) ও ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় গাড়ি চালানো শেখার জন্য কয়েকটি নির্ভরযোগ্য ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টার
ধাপে ধাপে উবার ড্রাইভার অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করার পদ্ধতি
বিআরটিএ রাইড শেয়ারিং তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন প্রক্রিয়া
বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টালে নিবন্ধন
প্রথমেই বিএসপি (বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টাল) পোর্টালে (https://bsp.brta.gov.bd/register) যেয়ে ‘নিবন্ধন’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। অতঃপর প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ‘নিবন্ধন করুন’ এ ক্লিক করার পর ইমেইল ঠিকানা যাচাই করা হবে।
এ সময় প্রদানকৃত ইমেইলে বার্তা প্রদান এবং মোবাইল নম্বরে ওটিপি প্রদানের মাধ্যমে তথ্য যাচাই করা হবে। যাচাই শেষে পুনরায় ইমেইল ঠিকানা বা মোবাইল নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করা যাবে।
এরপর প্রথমে ড্যাশবোর্ডের বাম পাশে ছবির উপরে ক্লিক করে সকল তথ্য দিয়ে প্রোফাইল সম্পূর্ণ করতে হবে।
মোটরযান নিবন্ধন
হোম পেজের ‘মোটরযান নিবন্ধন’ মেনুর অধীনে ‘মোটরযান সংযুক্তকরণ’ এ যেতে হবে। এখানে মোটরযানের মালিকের নাম, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, চেসিস নম্বর, উৎপাদনের বছর ও ইঞ্জিন নম্বর দিতে হবে।
তারপর বাম পাশের মেনুগুলো থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্সে মেনুর অধীনে ‘ড্রাইভার সংযুক্তকরণ’-এ যেতে হবে। এখানে আবেদনকারীর ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর, জন্ম তারিখ ও মোবাইল নম্বর দিতে হবে। মোবাইল নম্বর ওটিপির মাধ্যমে যাচাই করা হবে।
এবার বাম পাশের ‘রাইড শেয়ারিং’ মেনুর অধীনে ‘মোটরযান নিবন্ধন’-এ যেতে হবে। এখানে পূর্বের ন্যায় মোটরযান নম্বর সহ ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর তথ্যাবলি প্রদান করতে হবে।
অতঃপর রাইড শেয়ারিং কোম্পানির তথ্যে উবার মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এবং আবেদনের সময়কাল এক বছর দিতে হবে। সকল তথ্য দেয়ার পর সাবমিট করলে আবেদনটি উবারের অনুমোদনের জন্য গৃহীত হবে। অনুমোদন করা হলে তা ড্যাশবোর্ডে প্রদর্শন করা হবে।
আরও পড়ুন: ব্লু জোন রহস্য: রোগহীন দীর্ঘজীবী সম্প্রদায়ের খোঁজে
অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় করবেন যেভাবে
নেশা বা পেশা যাই বলা হোক না কেন; ফটোগ্রাফি এখন আর চারপাশের প্রকৃতি ও মানুষকে ফ্রেমবন্দি করার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ডিজিটাল কন্টেন্টের অবতারণা দারুণভাবে প্রভাবিত করছে সৃজনশীলতাকে। ছবি তোলার পরেও অকৃত্রিম কন্টেন্টগুলোতে নৈপুণ্যের পরশ দিয়ে সৃষ্টি করা হচ্ছে নতুন ধরনের শিল্প। ফলে অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও তৈরি হয়েছে নজরকাড়া এই শিল্পের বাজার। এভাবে সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে দক্ষ ফটোগ্রাফারদের জন্য। আজকের নিবন্ধটি অনলাইনে ছবি বিক্রি করে অর্থ উপার্জন সেরা কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ে। চলুন, ঘুরে আসা যাক ছবির ডিজিটাল বাজার থেকে।
অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় করার সেরা ৭টি প্ল্যাটফর্ম
অ্যাডোবি স্টক
বিখ্যাত সফটওয়্যার কোম্পানি অ্যাডোবির উচ্চ মানের গ্রাফিক পরিষেবা অ্যাডোবি স্টক। পেওনিয়ার সাপোর্ট করায় ১৮ বছরের যে কোনো বাংলাদেশি সহজেই এই সাইট থেকে আয়ের চেষ্টা করতে পারবেন।
তাদের ওয়েবসাইটের কন্ট্রিবিউটর পাতায় গিয়ে ‘জয়েন নাউ’তে ক্লিক করে খুব সহজেই খুলে নেওয়া যাবে একটি অ্যাডোবি আইডি। নিবন্ধনের সময় অন্যান্য তথ্যগুলোর সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে ট্যাক্স ফর্ম পূরণ করতে হবে। এখানে বাংলাদেশিরা ডব্লিউ-৮বিইএন ফর্মের মাধ্যমে ট্যাক্স তথ্যাদি জমা দিবেন।
সাইন-আপ প্রক্রিয়া শেষ করার পর পরই আপলোড করা যাবে নিজের তোলা সেরা ছবিগুলো। অবশ্য ছবিগুলো কোনও স্বীকৃত ব্যক্তি বা অন্য কারও ব্যক্তিগত সম্পদের হলে, সেগুলোতে যে তার স্বত্ব আছে- এই মর্মে তার স্বাক্ষর প্রয়োজন হবে।
এই সাইট প্রতিটি স্টক ছবির জন্য ৩৩ শতাংশ রয়্যালটি দেয়। সাধারণত কন্ট্রিবিউটররা প্রতি ছবি বাবদ কমপক্ষে শূন্য দশমিক ৩৩ (৩৬ দশমিক ২৩ বাংলাদেশি টাকা) (১ মার্কিন ডলার = ১০৯ দশমিক ৭৭৫৬ বাংলাদেশি টাকা) থেকে সর্বোচ্চ ২১ দশমিক ১২ মার্কিন ডলার (২ হাজার ৩১৮ দশমিক ৪৬ বাংলাদেশি টাকা) (১ মার্কিন ডলার = ১০৯ দশমিক ৭৭৫৬ বাংলাদেশি টাকা) পেয়ে থাকেন। এভাবে নূন্যতম ২৫ মার্কিন ডলার (২ হাজার ৭৪৪ দশমিক ৩৯ বাংলাদেশি টাকা) (১ মার্কিন ডলার= ১০৯ দশমিক ৭৭৫৬ বাংলাদেশি টাকা) জমা হলে তারা অর্থপ্রাপ্তির জন্য আবেদন করতে পারেন।
আরও পড়ুন: কর্ম জীবনে উন্নতির জন্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই কিভাবে প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক তৈরি করবেন
শাটারস্টক
উচ্চমানের ছবির জগতে সুপরিচিত একটি নাম শাটারস্টক। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের যে কোনো ফটোগ্রাফি উৎসাহী যুক্ত হতে পারবেন এর বিশাল কম্যুনিটিতে। নিবন্ধনের জন্য সরাসরি চলে যেতে হবে তাদের ওয়েবসাইটের সাবমিট পাতায়। এখানে নাম, ইমেল ও মেইলিং ঠিকানা দেওয়ার মাধ্যমে খুব সহজেই সাইন-আপ সম্পন্ন করা যাবে।
তারপর কয়েকটি ছবি জমা দিতে হবে। যেগুলো শাটারস্টকের নিজস্ব পর্যালোচকদের মাধ্যমে যাচাই করা হবে। কন্ট্রিবিউটরকে খেয়াল রাখতে হবে, ছবির কপিরাইট যেন শুধুমাত্র তার নিজের হয়।
বাংলাদেশিদের অবশ্যই ডব্লিউ-৮বিইএন ফর্মে ট্যাক্সের তথ্য জমা দিতে হবে। সাইটটি পেওনিয়ার সাপোর্ট করায় বাংলাদেশিরা সহজেই পেমেন্ট নিজেদের ব্যাংকে নিতে পারবেন।
শাটারস্টক থেকে ১৫ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত রয়্যালটি উপার্জন করা যায়। ধরা যাক, কোনো গ্রাহক ৩০টি ছবির জন্য ১১১ দশমিক ২০ মার্কিন ডলারের প্যাকেজটি কিনলেন। এখানে ১৫ শতাংশ রয়্যালটি পাওয়া কন্ট্রিবিউটররা তাদের প্রতি ছবির জন্য ৫৬ সেন্ট (৬১ দশমিক ৪৪ বাংলাদেশি টাকা) (১ মার্কিন ডলার= ১০৯ দশমিক ৭৭৫৬ বাংলাদেশি টাকা) করে পাবেন। এভাবে নূন্যতম ২৫ (বাংলাদেশি টাকায় ২ হাজার ৭৪৪ দশমিক ৩৯ টাকা) (১ মার্কিন ডলার= ১০৯ দশমিক ৭৭৫৬ বাংলাদেশি টাকা) জমা পড়লেই টাকাটা তোলার জন্য তারা আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ইউটিউব ভিডিও স্ক্রিপ্ট রাইটিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা
ইউটিউব ভিডিও স্ক্রিপ্ট রাইটিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা
শুধুমাত্র বিনোদন প্রদানের ভনিতায় আবির্ভূত ইউটিউব নামটি এখন দিনযাপনের অর্থ। তাই একে ঘিরে মৌলিক চাহিদার কথা চিন্তা করাটা যুগের সহজাত ধারণা। মুঠো ভরা তথ্যের ওপর সামাজিক মাপকাঠির নির্ভরশীলতা তথ্যকে পরিণত করেছে পণ্যে। আর এরই নিরীখেই শাখা-প্রশাখা বিস্তার করেছে প্রজন্মের সেরা ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউব কেন্দ্রিক পেশাগুলো। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় কন্টেন্ট ভিডিও, আর তার প্রধান কাঁচামালের যোগান দেয় স্ক্রিপ্ট রাইটাররা। তাই ইউটিউব ভিডিওর স্ক্রিপ্ট রাইটিং এবং এর প্রয়োজনীয় দক্ষতাগুলো নিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের নিবন্ধ। চলুন, এই সৃজনশীল পেশার নানা দিক সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
স্ক্রিপ্ট রাইটিং কী
স্ক্রিপ্ট রাইটিং বা পান্ডুলিপি লিখন হলো ভিডিওর মাধ্যমে দেখানোর জন্য নির্ধারিত তথ্যগুলো নির্দিষ্ট নিয়মে লেখা। প্রতিটি দৃশ্যে ক্রমান্বয়ে যা যা দেখানো, শোনানো এবং বোঝানো হবে, তার সামগ্রিক লিখিত রূপ হচ্ছে স্ক্রিপ্ট।
পাঠ্য, স্থির চিত্র, ও চলচ্চিত্রসহ যাবতীয় কন্টেন্টের সংমিশ্রণ স্পষ্টভাবে লেখা হয় এতে। মুলত ছকে বাঁধা লেখাগুলো অনুসরণ করেই চূড়ান্ত ভাবে নির্মাণ করা হয় কন্টেন্ট।
এর আরেক নাম চিত্রনাট্য বা স্ক্রিনরাইটিং, যেটা সাধারণত মুভি বা মঞ্চ নাটকের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে এর পরিধি টিভি নাটক, গেমস, তথ্যচিত্র পর্যন্ত বিস্তৃত। এমনকি রেডিওর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্যও লেখা হয়ে থাকে পান্ডুলিপি।
আরও পড়ুন: হ্যাকারদের থেকে সময় টিভির ইউটিউব চ্যানেলের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার
ভিডিও স্ক্রিপ্টের প্রয়োজনীয়তা
প্রতিটি তথ্যের উপস্থিতি
একটি পূর্ণাঙ্গ স্ক্রিপ্ট আপনার চিন্তাভাবনা এবং ধারণাগুলোকে সুসংগঠিত করতে পারে। এতে করে পূর্ব পরিকল্পিত ও প্রাসঙ্গিক কোনও তথ্য বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
গুছিয়ে কথা বলা
আগে থেকে একটি স্ক্রিপ্ট ভালভাবে সম্পন্ন হয়ে গেলে সেটার ওপর সময় নিয়ে কথা বলার চর্চা করা যায়। এভাবে চূড়ান্ত ভিডিওর সময় নিরবচ্ছিন্ন ভাবে কথা বলার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ফলে কন্টেন্টের গুণগত মানোন্নয়নের পাশাপাশি কথা বলা রেকর্ডিং-এও সময় কম প্রয়োজন হয়।
সময়ের হিসাব
একটি নিক্ষুত স্ক্রিপ্টে প্রতিটি দৃশ্যে নির্ধারিত কথাগুলো বলার জন্য সময় নির্দিষ্ট করা থাকে। প্রতিটি দৃশ্য আলাদা করে রেকর্ড করার সময় পুনঃ পুনঃ অনুশীলনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়টি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এতে করে পুরো কারিগরি রক্ষণাবেক্ষণের বেলায়ও সময়ের হেরফের হয় না।
ধারাবাহিকতা বজায়
যে কোন কন্টেন্টের ক্ষেত্রেই একটি সুস্পষ্ট কাঠামো তার গুণগত মান বৃদ্ধির পরিচায়ক। ভিডিওর ক্ষেত্রেও এর স্ক্রিপ্ট বিভিন্ন ফুটেজ, শব্দ, স্থিরচিত্র, ও স্পেশাল ইফেক্ট সহ প্রতিটি বিষয়ের মধ্যে সামঞ্জস্যপূর্ণতা নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুন: কর্মজীবনে সাফল্যের জন্য কিভাবে নিজেকে গ্রুমিং করবেন?
ইউটিউব ভিডিওর জন্য স্ক্রিপ্ট রাইটিং
বর্তমান সময়ে সম্প্রচার মাধ্যমগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অনেকটা এগিয়ে ইউটিউব। নাটক-সিনেমার মানের জন্যও এখন গুরুত্ব দেয়া হয় লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারকে, যেগুলো মুলত এই প্ল্যাটফর্মের প্যারামিটার।
নেটিজেনদের উদ্দেশ্য করে এখন মুক্তি দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের কন্টেন্ট। তাই সঙ্গত কারণেই এগুলোর জন্য স্ক্রিপ্ট রাইটারদের চাহিদা বাড়ছে। শুধুমাত্র ইউটিউব প্ল্যাটফর্ম নির্ভর লেখালেখিই পরিণত হয়েছে স্বতন্ত্র এক পেশায়।
নিউজ ও পাবলিশিং কোম্পানি, তথ্যচিত্র নির্মাতা, ব্লগার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের ব্র্যান্ড প্রোমোশনের জন্য তৈরি করছে ইউটিউব চ্যানেল। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে যাচ্ছে পান্ডুলিপি লেখকদের চাহিদা।
ইউটিউব ভিডিও স্ক্রিপ্ট রাইটিংয়ে প্রয়োজনীয় দক্ষতা
সৃজনশীলতা
সৃজনশীলতা হলো সম্পূর্ণ অভিনব ধারণার অবতারণা করা। অন্যান্য চ্যানেলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় প্রত্যেক চ্যানেল মালিকের নতুন নতুন কন্টেন্ট বানানোর প্রবণতা থাকে। আর তখনি তাদের সরণাপন্ন হতে হয় পান্ডুলিপি লেখকদের। নতুন ধারণা প্রবর্তনের ক্ষেত্রে স্ক্রিপ্ট রাইটারদের খেয়াল রাখতে হবে যে, বিষয়বস্তু দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারছে কিনা। প্রকৃতপক্ষে, এই চিত্তাকর্ষণের জায়গাতেও তাদেরকে সৃজনশীল হতে হবে।
আরও পড়ুন: গুগলে কীভাবে চাকরি পেতে পারেন
গবেষণা ও বিশ্লেষণ
তথ্য হচ্ছে স্ক্রিপ্টের মুল জীবনী শক্তি। তাই লেখকদের সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিশ্লেষণী ক্ষমতা কাজে লাগাতে হবে। তথ্যের নির্ভরযোগ্য উৎস খুঁজে বের করা, অতঃপর সেই তথ্যের পুঙ্ক্ষানুপুঙ্ক্ষ যাচাইও এই দক্ষতার অন্তর্ভূক্ত।
গল্প বলা
এটি এমন এক দক্ষতা যা প্রতিটি লেখকেরই থাকা আবশ্যক। লেখা পড়েই যদি কোন পাঠকের গল্প শোনার অনুভূতি সৃষ্টি হয়, তাহলেই কন্টেন্ট সফল হওয়ার অর্ধেক কাজ হয়ে যায়। বাকিটুকু থাকে কারিগরির জায়গাতে। জটিল রকেট সায়েন্স থেকে শুরু করে বিপণন বিজ্ঞাপন সবকিছুই চিত্তাকর্ষক করে তোলা যায় সুনিপুণ গল্প বলার মাধ্যমে।
সংলাপ তৈরি
পান্ডুলিপি মানেই সংলাপ আকারে পুরো ধারা বর্ণনা করা। ইউটিউবের শর্ট ফিল্ম থেকে শুরু করে মনোলগ পর্যন্ত সবকিছু হবে কথোপোকথন আকারে। এটি স্ক্রিপ্ট রাইটারদের মূল হাতিয়ার, কারণ এর মাধ্যমে একটি দৃশ্য কতটুকু প্রাণবন্ত তা ফুটে উঠে।
প্রুফরিডিং ও রিরাইটিং
যে কোন লেখা শেষ হওয়ার পর প্রতিটি লেখকের উচিত তা কয়েকবার পড়ে দেখা। এ সময় ব্যাকরণজনিত নানা ছোট খাটো ভুল ধরা পড়ে। অনেক কষ্ট করে একটি পান্ডুলিপি শেষ করার পরেও ক্লায়েন্টের কাছে তা নির্ভুলভাবে পরিবেশন না করা গেলে সব কষ্টই বৃথা। অনেক ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট নতুন শর্ত জুড়ে দিলে সামগ্রিক লেখায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিবর্তন আনতে হয়। তাই লেখককে রিরাইটিং-এ দক্ষ হওয়া জরুরি।
আরও পড়ুন: ইউটিউব দেখে মাশরুম চাষে সফল সবজি বিক্রেতা
ধৈর্যশক্তি
যে মাধ্যমের জন্যই হোক না কেন; পুরো একটি পান্ডুলিপি শেষ করা বেশ ধৈর্য্যের কাজ। প্রথমত সৃজনশীল এই কাজে জোর-জবরদস্তির কোনও সুযোগ নেই। এরপর শেষ করার পর পুনরায় তার মান যাচাই করাতেও যথেষ্ট অধ্যবসায়ের প্রয়োজন। তাই লেখার কাজে ধৈর্য্যশীলতার কোনও বিকল্প নেই।
বাংলাদেশে থেকে জার্মান ভাষার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট পাওয়ার উপায়
জার্মান ভাষা শিক্ষা নিঃসন্দেহে উচ্চশিক্ষা এবং পেশাগত সমৃদ্ধির জন্য একটি নতুন দিগন্তের উন্মোচন করতে পারে। এর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, অর্থনীতি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রভাবশালী অবস্থানের কারণে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে জার্মানি।
বিখ্যাত জার্মান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জন অথবা সেখানকার কোনো স্বনামধন্য কোম্পানিতে চাকরি- লক্ষ্য যাই হোক না কেন, তার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন জার্মান ভাষায় দক্ষতা অর্জন।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর এই অর্জনে অভাবনীয়ভাবে নিজেদের স্বাক্ষর রাখছেন। যারা তাদের সারিতে নিজেদের যুক্ত করতে চাইছেন, তাদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে এই নির্দেশিকা নিবন্ধটি।
এটি বাংলাদেশ থেকে জার্মান ভাষার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট পাওয়ার সার্বিক ধারণা প্রদান করবে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জার্মান ভাষার দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষা ও কোর্সগুলোর ব্যাপারে অবগত হওয়ার জন্য এটি এক পরিপূর্ণ গাইড হিসেবে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
বাংলাদেশে জার্মান ভাষার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট পাওয়ার বিস্তারিত নির্দেশিকা
জার্মান ভাষার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট পাওয়ার যোগ্যতা
কমন ইউরোপীয় ফ্রেমওয়ার্ক অফ রেফারেন্স ফর ল্যাঙ্গুয়েজ (সিইএফআর) অনুযায়ী জার্মান ভাষায় দক্ষতা যাচাইয়ের স্তর ছয়টি- এ১, এ২, বি১, বি২, সি১ এবং সি২। এই ছয়টি স্তর যাচাইয়ের জন্য বিভিন্ন বয়সের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষার আয়োজন করে গ্যোটে ইনস্টিটিউটের বাংলাদেশ শাখা। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এই পরীক্ষাগুলোতে উত্তীর্ণের মাধ্যমে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়ে থাকে।
চলুন, এই পরীক্ষাগুলোর বিভিন্ন শর্ত এবং ন্যূনতম কত বয়স হলে সেগুলোতে অংশগ্রহণ করা যাবে তা জেনে নিই।
এ১ স্তরের সার্টিফিকেট পরীক্ষা
গ্যোটে-জার্টিফিকেট এ১: ফিট ইন ডয়েচ ১ (এফডি ১)
বয়স: ১০ থেকে ১৬ বছর
ভাষা দক্ষতা: প্রার্থীদের ন্যূনতম সিইএফআর-এর এ১ স্তরে জার্মান ভাষায় সাবলীল হতে হবে।
প্রয়োজনীয় কোর্স: জার্মান ভাষায় পূর্ববর্তী জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীকে ৪৫-মিনিটের ৮০ থেকে ২০০ টিচিং ইউনিট শেষ করতে হবে।
আরও পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
গ্যোটে-জার্টিফিকেট এ১: স্টার্ট ডয়েচ ১ (এসডি ১)
বয়স: সর্বনিম্ন ১৬ বছর।
ভাষা দক্ষতা: প্রার্থীদের অবশ্যই জার্মান ভাষায় সিইএফআর-এর এ১ স্তরের দক্ষতা থাকতে হবে।
প্রয়োজনীয় কোর্স: জার্মান ভাষায় পূর্ববর্তী জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীকে ৪৫ মিনিটের ৮০ থেকে ২০০ টিচিং ইউনিট শেষ করতে হবে।
এ২ স্তরের সার্টিফিকেট পরীক্ষা
গ্যোটে-জার্টিফিকেট এ২: ফিট ইন ডয়েচ (এফডি)
বয়স: সর্বনিম্ন ১২ বছর
ভাষা দক্ষতা: প্রার্থীদের অবশ্যই জার্মান ভাষাতে সিইএফআর-এর এ২ স্তরের দক্ষতা থাকতে হবে।
প্রয়োজনীয় কোর্স: জার্মান ভাষায় পূর্ববর্তী জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীকে ৪৫ মিনিটের ২০০ থেকে ৩৫০টি ক্লাস শেষ করতে হবে।
গ্যোটে-জার্টিফিকেট এ২
বয়স যোগ্যতা: সর্বনিম্ন ১৬ বছর।
ভাষা দক্ষতা: প্রার্থীদের অবশ্যই সিইএফআর-এর এ২ স্তরের জার্মান ভাষা দক্ষতা থাকতে হবে।
প্রয়োজনীয় কোর্স: জার্মান ভাষায় পূর্ববর্তী জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীকে ৪৫ মিনিটের ২০০ থেকে ৩৫০টি ক্লাস শেষ করতে হবে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার আশায় নিরাশা এনে দিয়েছে লকডাউন!
বি১ স্তরের সার্টিফিকেটের জন্য মানদণ্ড
গ্যোটে-জার্টিফিকেট বি১
বয়স যোগ্যতা: সর্বনিম্ন ১২ বছর
ভাষা দক্ষতা: প্রার্থীদের অবশ্যই জার্মান ভাষাতে সিইএফআর-এর বি১ স্তরের দক্ষতা থাকতে হবে।
বি২ স্তরের সার্টিফিকেটের জন্য মানদণ্ড
গ্যোটে-জার্টিফিকেট বি২
বয়স যোগ্যতা: ন্যূনতম ১৫ বছর
ভাষা দক্ষতা: প্রার্থীদের অবশ্যই জার্মান ভাষায় সিইএফআর-এর বি২ স্তরের দক্ষতা থাকতে হবে।
সি১ স্তরের সার্টিফিকেটের জন্য মানদণ্ড
গ্যোটে-জার্টিফিকেট সি১
বয়স যোগ্যতা: সর্বনিম্ন ১৬ বছর
ভাষা দক্ষতা: প্রার্থীদের অবশ্যই জার্মান ভাষাতে সিইএফআর-এর সি১ স্তরের দক্ষতা থাকতে হবে।
প্রয়োজনীয় কোর্স: জার্মান ভাষায় পূর্ববর্তী জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীকে ৪৫-মিনিটের ৮০০ থেকে ১ হাজার টিচিং ইউনিট শেষ করতে হবে।
সি২ স্তরের সার্টিফিকেট পরীক্ষা
গ্যোটে-জার্টিফিকেট সি২: গ্রসেস ডয়েচেস স্প্রাচডিপ্লোম (জিডিএস)
বয়স: ন্যূনতম ১৮ বছর
ভাষা দক্ষতা: প্রার্থীদের অবশ্যই জার্মান ভাষাতে সিইএফআর অনুযায়ী দক্ষতার সর্বোচ্চ স্তর সি২-এর দক্ষতা থাকতে হবে।
প্রয়োজনীয় কোর্স: জার্মান ভাষায় পূর্ববর্তী জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীকে ৪৫ মিনিটের কমপক্ষে ১ হাজার টিচিং ইউনিট শেষ করতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রবাসী বাংলাদেশিরা কিভাবে ই-পাসপোর্ট করবেন: দেশের বাইরে থেকে পাসপোর্ট নবায়নের উপায়
বিশেষ সার্টিফিকেট পরীক্ষা
টেস্টডিএএফ
বয়স: ন্যূনতম ১৮ বছর
ভাষা দক্ষতা: প্রার্থীদের অবশ্যই জার্মান ভাষাতে সিইএফআর-এর কমপক্ষে বি২ এবং সি১ স্তরের দক্ষতা থাকা জরুরি।
প্রয়োজনীয় কোর্স: জার্মান ভাষায় পূর্ববর্তী জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীর সম্পন্ন করা কোর্স ৪৫ মিনিটের ৭০০ থেকে ১ হাজার টিচিং ইউনিটের মধ্যে থাকতে হবে।
গ্যোটে-টেস্ট প্রো
বয়স: সর্বনিম্ন ১৬ বছর।
জার্মান ভাষার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন পরীক্ষা
যে শিক্ষার্থীরা গোথ-ইন্সটিটিউটের কোর্সগুলোতে অংশগ্রহণ করেন, এমন আভ্যন্তরীণ প্রার্থীদের পরীক্ষার ফি’তে বিশেষ ছাড় থাকে। এই অভ্যন্তরীণ প্রার্থী হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের একটি কোর্সের অবশ্যই যে কোনো একটি নির্দিষ্ট স্তরের কোর্স সম্পূর্ণভাবে শেষ করতে হবে। বাইরের শিক্ষার্থী অর্থাৎ শুধুমাত্র পরীক্ষাতে যারা অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন তাদের পরীক্ষা সমূহের নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
জার্মান ভাষার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট পরীক্ষা সমূহ
গ্যোটে-জার্টিফিকেট এ১ (এসডি১)
গ্যোটে-জার্টিফিকেট এ১ (ফিট ইন ডয়েচ)
গ্যোটে-জার্টিফিকেট এ১ (এসডি১)
গ্যোটে-জার্টিফিকেট এ২ (ফিট ইন ডয়েচ)
গ্যোটে-জার্টিফিকেট এ২
গ্যোটে-জার্টিফিকেট বি১
গ্যোটে-জার্টিফিকেট বি১ জুগ্যান্ডলিশ: ফিট ইন ডয়েচ
গ্যোটে-জার্টিফিকেট বি২
গ্যোটে-জার্টিফিকেট সি১
গ্যোটে-জার্টিফিকেট সি২
সূত্র: গ্যোটে ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ
আরও পড়ুন: অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদনে ভুল হলে সংশোধনের নিয়ম
বর্তমানে, বাংলাদেশ গ্যোটে ইনস্টিটিউট শুধুমাত্র এ১ থেকে বি২ স্তর পর্যন্ত সার্টিফিকেশন পরীক্ষার ব্যবস্থা করছে। পরীক্ষা সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য শিক্ষার্থীদের নিবন্ধনের সময় নতুন ইস্তেহারে দেওয়া হয়ে থাকে। তাই এই পরীক্ষাগুলো হালনাগাদকৃত ফি-এর ব্যাপারে জানতে অনুগ্রহপূর্বক বাংলাদেশ গ্যোটে ইনস্টিটিউটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন বা সরাসরি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
জার্মান ভাষা আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেটের জন্য কোর্স
জার্মান ভাষা শেখা ও আন্তর্জাতিক জার্মান ভাষা সার্টিফিকেট পরীক্ষাগুলোতে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য বাংলাদেশে গ্যোটে ইন্সটিটিউট-এর এক্সটেনসিভ, ইনটেনসিভ, এবং ব্লেন্ডেড লার্নিং কোর্স রয়েছে।
প্রতিটি কোর্সে সাধারণত সর্বোচ্চ ২২ জন শিক্ষার্থী নেওয়া হয়। কোর্সগুলো সাধারণত জানুয়ারি, মার্চ, জুন এবং সেপ্টেম্বরে শুরু হয়ে থাকে।
কোর্সগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক:
এক্সটেনসিভ ও ইনটেনসিভ কোর্স
এক্সটেনসিভ অনলাইন লাইভ এ১.১/এ১.২
অনলাইনে পরিচালিত এই কোর্সটি এ১ স্তরে একদম নতুনদের জন্য। এর প্রতি সপ্তাহে ২টি সেশন থাকে, যার প্রতিটি সেশন ৪৫ মিনিটের ৪টি টিচিং ইউনিট পর্যন্ত দীর্ঘ হয়। এভাবে ১০ সপ্তাহে সর্বমোট ৭৫টি টিচিং ইউনিট সম্পন্ন করা হয় কোর্সটিতে।
এক্সটেনসিভ অনলাইন লাইভ এ২.১/এ২.২
এ২ স্তরে শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করা এই অনলাইন কোর্সে প্রতি সপ্তাহে ২টি সেশন রাখা রয়েছে। প্রতিটি সেশন ৪৫ মিনিটের ৪টি টিচিং ইউনিট পর্যন্ত চলে। ১০ সপ্তাহে কোর্সটিতে মোট ৮০টি টিচিং ইউনিট সম্পন্ন করা হয়।
ইনটেনসিভ অনলাইন লাইভ এ১
এ১ স্তরে দ্রুত অগ্রসর হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে বানানো হয়েছে এই কোর্সটি। প্রতি সপ্তাহে থাকে ৪টি সেশন, যেগুলোর প্রতিটি সাড়ে ৩ ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়। ১০ সপ্তাহে কোর্সে সর্বমোট ১৫০টি টিচিং ইউনিট শেষ করা হয়, যেখানে এ১-এ দ্রুত দক্ষতা অর্জনের সুবিধা পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষায় দেশের বাইরে যেতে প্রস্তুতির ধাপগুলো জেনে নিন
ইনটেনসিভ অনলাইন লাইভ এ২
ইনটেনসিভ এ১ কোর্সের মতো একইভাবে এই প্রোগ্রামটিও শিক্ষার্থীদের এ২ স্তরের দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে। এরও প্রতি সপ্তাহে ৪টি সেশন এবং প্রতিটিতে সাড়ে ৩ ঘন্টা সময়। তবে ১০ সপ্তাহে কোর্সটি সব মিলিয়ে ১৬০টি টিচিং ইউনিট শেষ করে।
ইনটেনসিভ অনলাইন লাইভ বি১
বি১ স্তরে পৌঁছাতে উচ্চাকাঙ্ক্ষী শিক্ষার্থীদের জন্য এই প্রোগ্রামটি। এই ইনটেনসিভ কোর্সের প্রতি সপ্তাহে রয়েছে ৫টি করে সেশন। প্রতিটি সেশন ৪ ঘন্টা ৫ মিনিট স্থায়ী হয়। কোর্সটি ১০ সপ্তাহে সর্বমোট ১৯০টি টিচিং ইউনিটে শেষ হয়। ইউনিটগুলো জার্মান ভাষায় তুলনামূলকভাবে আরও উন্নত দক্ষতা এবং সংস্কৃতি বোঝার ওপর জোর দেয়।
ইনটেনসিভ অনলাইন লাইভ বি২
বি২ স্তরে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে তৈরি এই ইনটেনসিভ কোর্সে প্রতি সপ্তাহে ৪টি সেশন থাকে। বি১-এর মত এই সেশনগুলোও ৪ ঘন্টা ৫ মিনিটের এবং ১০ সপ্তাহে মোট ১৯০টি টিচিং ইউনিটে পাঠদান করা হয়। এই কোর্সটি শিক্ষার্থীদের ভাষাকে পরিমার্জিত করা, শব্দভান্ডার প্রসারিত করা এবং উচ্চ-মধ্যবর্তী স্তরে যোগাযোগের ক্ষমতা জোরদার করতে সাহায্য করে।
ইনটেনসিভ হাইব্রিড এ১
এই কোর্সটি ক্লাসরুম এবং জুম স্ট্রিমিং এর সমন্বয়ে তৈরি। অংশগ্রহণকারীরা শারীরিকভাবে ক্লাসে যোগদান করতে পারে। আবার বিকল্পভাবে যোগদান করতে পারে অনলাইন সেশনগুলোতেও। এর প্রতি সপ্তাহে ৪টি সেশন, যেগুলোর প্রতিটি সাড়ে ৩ ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়। ১০ সপ্তাহে কোর্সটি মোট ১৫০টি টিচিং ইউনিট শেষ করে।
ইনটেনসিভ হাইব্রিড এ২
হাইব্রিড এ১ কোর্সের মতো, এই প্রোগ্রামটি তৈরি করা এ২ স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য। এখানেও প্রতি সপ্তাহে সাড়ে ৩ ঘন্টার ৪টি সেশন, যেগুলোতে ক্লাসরুম এবং জুম মিলিয়ে অংশগ্রহণ করা যায়। ১০ সপ্তাহে কোর্সটি মোট ১৬০টি টিচিং ইউনিট শেষ করে।
ব্লেন্ডেড লার্নিং কোর্স
এই কোর্সগুলো ৫০/৫০ অনুপাতে ক্লাসরুম সেশন এবং স্ব-অধ্যয়নকে একীভূত করে। কোর্সের অর্ধেক পরিচালিত হয় একজন শিক্ষকের সঙ্গে সরাসরি ক্লাসে যোগদানের মাধ্যমে। বাকি অর্ধেক সম্পন্ন হয় ইনস্টিটিউটের প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে স্ব-অধ্যয়নের অনলাইন শিক্ষার মাধ্যমে।
ক্লাসরুমের সেশনে শিক্ষার্থীরা সরাসরি শিক্ষক এবং সহপাঠীদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এখানে তারা তাদের কথা বলা এবং শোনার দক্ষতা অনুশীলনের সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পান। অনলাইন স্ব-অধ্যয়নের অংশটি প্ল্যাটফর্মের বিভিন্ন শিক্ষার উপকরণ, অনুশীলনসহ বিভিন্ন সেবা ব্যবহারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
এই কোর্স ফরমেটটি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণের ক্ষমতা, বুদ্ধি এবং সঠিক ক্রমবিকাশের ক্ষেত্রগুলো বিবেচনা করে পৃথক শিক্ষার প্রয়োজন মেটানোর লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে। এখানে প্রতি সপ্তাহে ৪টি সেশন করে ১০ সপ্তাহ পর্যন্ত চলে।
প্রতি সেশনের স্থায়ীত্বকাল ৩ ঘন্টা এবং কোর্স শেষে শিক্ষার্থীরা এখানে ৪৫ মিনিটের মোট ১৬টি টিচিং ইউনিট সম্পন্ন করতে পারে। এই নমনীয় সময়সূচীটি অন্যান্য শিক্ষা ব্যবস্থার থেকে প্রতিশ্রুতিশীল বা বহুমুখী শিক্ষার পরিবেশের জন্য বেশ উপযুক্ত।
আরও পড়ুন: ডেনমার্কে উচ্চশিক্ষা: উপায়, খরচ ও সুযোগ-সুবিধা
জার্মান ভাষার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট কোর্সের সময়
জার্মান ভাষার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট কোর্সসমূহ
সময় (সপ্তাহ)
এক্সটেনসিভ অনলাইন লাইভ (এ১.১/এ১.২)
১০
এক্সটেনসিভ অনলাইন লাইভ (এ২.১/এ২.২)
১০
ইনটেনসিভ অনলাইন লাইভ/হাইব্রিড এ১
১০
ইনটেনসিভ অনলাইন লাইভ/হাইব্রিড এ২
১০
ইনটেনসিভ অনলাইন লাইভ বি১
১০
ইনটেনসিভ অনলাইন লাইভ বি২.১/বি২.২
৯
পরীক্ষা প্রস্তুতি (এ১/বি১)
১
সূত্র: গ্যোটে ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ
এই কোর্সের সময়, ফিসহ বিবিধ বিষয় বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তন হয়। সাধারণত শিক্ষার্থীদের নিবন্ধনের সময় হালনাগাদকৃত কোর্স ইস্তেহারে নতুন ফি ঘোষণা করা হয়। তাই সর্বশেষ তথ্যের ব্যাপারে অবগত হওয়ার জন্য বাংলাদেশ গ্যোটে ইনস্টিটিউটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট-এ চোখ রাখার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
শেষাংশ
সর্বোপরি, এই নিবন্ধটি বাংলাদেশে জার্মান ভাষার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট পাওয়ার উপায় জানার সহজ সমাধান। জার্মান ভাষাতে ক্যারিয়ার গড়ায় উৎসাহীদের যাবতীয় প্রয়োজনগুলোই মূল কাঁচামাল বাংলাদেশ গ্যোটে-ইন্সটিটিউট-এর কোর্স এবং পরীক্ষা পদ্ধতির। তাই এই পদ্ধতিগুলো বাংলাদেশের জার্মান ভাষা শিক্ষার্থীদের পরম নির্ভরতার জায়গা।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষা: উপায়, খরচ ও সুযোগ-সুবিধা
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩: ১০০ জন সহকারী পরিচালক নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকে সহকারী পরিচালক (এডি) পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এবার বাংলাদেশ ব্যাংক ১০০ জন সহকারী পরিচালক নেবে। এখনও যারা আবেদন করেননি দ্রুত করুন। আগামী বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) শেষ হচ্ছে আবেদনের সময়।
বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করতে প্রার্থীদের যেসব যোগ্যতার প্রয়োজন
স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে চার বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) অথবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকলে সহকারী পরিচালক (জেনারেল) পদে আবেদন করা যাবে।
এসএসসি ও তদূর্ধ্ব পর্যায়ের পরীক্ষাগুলোর কমপক্ষে দুটিতে প্রথম বিভাগ/শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ থাকতে হবে। কোনো পর্যায়েই তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না।
৬ জুলাই বা এর আগে যাদের স্নাতকোত্তর বা চার বছর মেয়াদি স্নাতক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে বা হবে, তারা আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: পিএসসির নন-ক্যাডারে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি: ২৯৫৩ শূন্য পদে চাকরি
বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদনের বয়সসীমা
আবেদনকারীদের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর।
বাংলাদেশ ব্যাংকে সহকারী পরিচালক পদের বেতন স্কেল
নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ২২ হাজার থেকে ৫৩ হাজার ৬০ টাকা স্কেলে বেতন এবং ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকে নিয়োগ প্রক্রিয়া
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রার্থীদের প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পাস নম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে।
নিয়োগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে এই লিংকে প্রবেশ করুন।
আরও পড়ুন: ৪৮টি পদে ঢাকা কাস্টম হাউজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১৬৯ পদে বেসামরিক লোকবল নিয়োগ দেবে
৪৮টি পদে ঢাকা কাস্টম হাউজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
কাস্টম হাউস, ঢাকা একাধিক পদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
এ প্রতিষ্ঠানে ১১টি ক্যাটাগরির পদে ১২ থেকে ২০ শ্রেণি পর্যন্ত ৪৮ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে।
আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
আরও পড়ুন: পিএসসির নন-ক্যাডারে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি: ২৯৫৩ শূন্য পদে চাকরি
১. পদের নাম: পরিসংখ্যান গবেষক
পদ সংখ্যা: এক
যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত/পরিসংখ্যান/অর্থনীতিতে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি (সম্মান) বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।
বেতন স্কেল: ১১,৩০০ টাকা থেকে ২৭,৩০০ টাকা (গ্রেড-১২)
২. পদের নাম: টাইপিস্ট কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদ সংখ্যা: দুই
যোগ্যতা: স্নাতক ডিগ্রি বা সিজিপিএ সহ দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া কম্পিউটারে দক্ষতা এবং ন্যূনতম ট্রান্সক্রিপশন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ৮০ শব্দ এবং বাংলায় ৫০।
এবং কম্পিউটার টাইপিংয়ের সর্বনিম্ন গতি ইংরেজিতে প্রতি মিনিটে ৩০ শব্দ এবং বাংলায় ২৫ শব্দ হতে হবে।
বেতন স্কেল: ১১,০০০ থেকে ২৬,৫৯০ (গ্রেড-১৩)
৩. পদের নাম: সিনিয়র সহকারী
পদ সংখ্যা: দুই
যোগ্যতা: স্নাতক ডিগ্রি বা সিজিপিএসহ দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়।
কম্পিউটার দক্ষতা এবং ন্যূনতম কম্পিউটার টাইপিং গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ৩০ শব্দ এবং বাংলায় ২৫ শব্দ।
বেতন স্কেল: ১০,২০০ থেকে ২৪,৬৮০ (গ্রেড-১৪)
৪. পদের নাম: ক্যাশিয়ার কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদ সংখ্যা: দুই
যোগ্যতা: স্নাতক ডিগ্রি বা সিজিপিএসহ দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়। কম্পিউটার দক্ষতা এবং ইংরেজিতে প্রতি মিনিটে ৭০ শব্দ এবং বাংলায় ৪৫ শব্দের ন্যূনতম প্রতিলিপি গতি; কম্পিউটার টাইপিংয়ের সর্বনিম্ন গতি ইংরেজিতে প্রতি মিনিটে ৩০ শব্দ এবং বাংলায় ২৫ শব্দ হতে হবে।
বেতন স্কেল: ১০,২০০ থেকে ২৪,৬৮০ (গ্রেড-১৪)
৫. পদের নাম: অফিস ক্লার্ক কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট
পদ সংখ্যা: এক
যোগ্যতা: দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএসহ এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার দক্ষতা এবং কম্পিউটার টাইপিংয়ের ন্যূনতম গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ২০ শব্দ এবং বাংলায় ২০ শব্দ হতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০ থেকে ২২,৪৯০ (গ্রেড-১৬)
৬. পদের নাম: ড্রাইভার
পদ সংখ্যা: এক
যোগ্যতা: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পাস। হালকা গাড়ি চালানোর বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং যানবাহন অভিজ্ঞ চালকদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০ থেকে ২২,৪৯০ (গ্রেড-১৬)
৭. পদের নাম: টেলিফোন অপারেটর
পদ সংখ্যা: এক
যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস। সংশ্লিষ্ট কাজে তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০ থেকে ২২,৪৯০ (গ্রেড-১৬)
আরও পড়ুন: নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১৬৯ পদে বেসামরিক লোকবল নিয়োগ দেবে
৮. পদের নাম: সিপাহী
পদ সংখ্যা: ৩৫
যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস। পুরুষদের জন্য উচ্চতা নূন্যতম পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি, মহিলাদের জন্য ন্যূনতম পাঁচ ফুট দুই ইঞ্চি। বুকের মাপ সর্বনিম্ন ৩০ থেকে ৩২ ইঞ্চি (উভয় ক্ষেত্রেই)।
বেতন স্কেল: ৯,০০০ থেকে ২১,৮০০ (গ্রেড-১৭)
৯. পদের নাম: ডেসপ্যাচ রাইডার
পদ সংখ্যা: এক
যোগ্যতা: দ্বিতীয় বিভাগের সমমানের জিপিএ সহ এসএসসি বা সমমানের পাস। মোটরসাইকেল চালানোর জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারি করা বৈধ লাইসেন্সধারী হতে হবে। কম্পিউটারে দক্ষতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৮,৮০০ থেকে ২১,৩১০ (গ্রেড-১৮)
১০. পদের নাম: নকল মেশিন অপারেটর
পদ সংখ্যা: এক
যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস। নকল পরিচালনায় দুই বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৮,৮০০ থেকে ২১,৩১০ (গ্রেড-১৮)
১১. পদের নাম: নিরাপত্তা প্রহরী
পদ সংখ্যা: এক
যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস।
বেতন স্কেল: ৮,২৫০ থেকে ২০,০১০ (গ্রেড-২০)
যেসব জেলায় প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন:
মানিকগঞ্জ, চাঁদপুর, ফেনী, জয়পুরহাট এবং গাইবান্ধা ছাড়া সব জেলায় এক থেকে ১০ নম্বরের পদের জন্য।
ঢাকা, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, নোয়াখালী, নওগাঁ ও বরগুনা জেলা ব্যতীত ১১ নম্বর পদের জন্য।
তবে, এতিম ও সকল জেলার শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
বয়স সীমা:
সাধারণ প্রার্থী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, এতিম, আনসার-ভিডিপি প্রার্থী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধ/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধের নাতি-নাতনিদের জন্য ১লা মার্চ ২০২৩ তারিখে বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩০ বছর।
বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩২ বছর।
যদি আবেদনকারীর বয়স ২৫ মার্চ, ২০২০ তারিখে সর্বোচ্চ বয়সসীমার মধ্যে হয় তবে প্রার্থী আবেদন করার যোগ্য হবেন।
ক্লার্ক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট, নিউমিসম্যাটিক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর এবং অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার নিউমেরোলজিস্ট পদের জন্য বিভাগীয় প্রার্থীদের মেয়াদ ৪০ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।
ঢাকা কাস্টমস চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে কীভাবে আবেদন করবেন:
আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে (http://dch.teletalk.com.bd/) ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হবে।
আবেদন করতে কোনো সমস্যা হলে টেলিটক নম্বর থেকে ১২১ নম্বরে ডায়াল করতে পারেন অথবা [email protected] ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।
এছাড়া টেলিটকের জব পোর্টালের ফেসবুক পেজে মেসেজের মাধ্যমেও যোগাযোগ করতে পারবেন।
মেইল এবং মেসেজের বিষয় উল্লেখ করতে হবে।
প্রতিষ্ঠান এবং অবস্থানের নাম, ব্যবহারকারী আইডি এবং যোগাযোগ নম্বর। একজন প্রার্থী শুধুমাত্র একটি পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
নিয়োগ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ঢাকা কাস্টম হাউসের ওয়েবসাইটে (https://www.dch.gov.bd/) জানা যাবে।
ঢাকা কাস্টমস হাউসের চাকরির জন্য আবেদন ফি:
অনলাইনে ফর্ম পূরণের ৭২ ঘন্টার মধ্যে, এক নম্বর পোস্টের জন্য ৩০০ টাকা এবং টেলিটকের ৩৪ টাকা সার্ভিস চার্জ সহ মোট আবেদন ফি ৩৩৪ টাকা।
টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএস-এর মাধ্যমে ২০০ টাকাসহ মোট ২২৩ টাকা এবং দুই থেকে সাত নম্বর পদের জন্য ২৩ টাকা এবং আট থেকে ১১ নম্বরের জন্য ১০০ টাকা এবং টেলিটক সার্ভিস চার্জ টাকা ১২ সহ মোট ২২৩ টাকা জমা দিতে হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ: ২৩ মার্চ থেকে ১২ এপ্রিল, বিকাল ৪টা।
আরও পড়ুন: ১৬০ টাকায় পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেলেন ৯৩ জন
১৬০ টাকায় পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেলেন ৯৩ জন
কোনো প্রকার তদবির কিংবা ঘুষ বাণিজ্য ছাড়া কেবল শারীরিকভাবে ফিটনেস, যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে ১৬০ টাকায় পুলিশ কনস্টেবল পদে সরকারি চাকরি পেলেন ১৪জন নারীসহ মোট ৯৩ প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার দিনভর মৌখিক পরীক্ষা শেষে রাতে তাদের ফুল আর মিষ্টি দিয়ে বরণ করে নেন পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ (পিপিএম বার)।
চাঁদপুর পুলিশ লাইনস্ এর মালটিপারপাস শেডে আয়োজিত এ ‘ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি)/কনস্টেবল’- পদে নিয়োগ পরীক্ষায় পুরুষ প্রার্থী ছিলেন দুই হাজার ৭৬৫ জন এবং নারী ছিলেন ২৬১ জন।
নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের অভিনন্দন ও তাদের পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে ব্রিফিং সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ।
এ সময় পুলিশ সুপার বলেন, শারীরিক ফিটনেস, যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে আপনারা সকলে আজ এই জায়গায়।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য চাকরি মেলা উদ্বোধন আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, স্যার আইজিপি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বাংলাদেশ পুলিশকে একটি যুগপোযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ার লক্ষ্য হিসেবে আপনাদের এই নিয়োগ অন্যতম একটি ধাপ। আপনাদের সততা ও কর্মনিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্বল হবে, গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ।
পরে পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ নির্বাচিত প্রার্থী ও অভিভাবকদের অভিব্যক্তি শুনতে চান।
এ সময় প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে নির্বাচিত কয়েকজন আনন্দে আপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন।
তখনো তারা বিশ্বাস করতে পারছেন না যে কোনও ঘুষ ছাড়াই সততার সঙ্গে পুলিশে চাকরি পেয়েছেন।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ: ৬ পদে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে চাকরির সুযোগ
খুলনায় বিডিজবস চাকরি মেলায় ১ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ