অর্থনীতি
আইসিএমএবির প্রাক-বাজেট গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত
জাতীয় বাজেট ঘোষণার পূর্ব প্রস্তুতিতে সরকারের জন্য নীতি সুপারিশ তৈরি করার লক্ষ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের উপর গোলটেবিল আলোচনা সভার আয়োজন করে দি ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এ গোল টেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারী বক্তারা জলবায়ু পরিবর্তন, মুদ্রাস্ফীতি ও নীতি অনিশ্চয়তার মতো বিভিন্ন বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জের প্রতি সরকারের প্রতিক্রিয়ার প্রত্যাশা ও আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বক্তারা জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অঙ্গীকারগুলো এবং দেশের কৌশলগত উদ্দেশ্যগুলো অর্জনের জন্য অর্থায়ন বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। সঞ্চয়ে উৎসাহিত করা, করের আওতা প্রসারণ, রিজার্ভ বৃদ্ধি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বও আলোচনায় উঠে আসে।
আলোচনার স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিএমএবির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মো. সেলিম উদ্দিন এবং সঞ্চালনা করেন আইসিএমএবির সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমান কাউন্সিল সদস্য আরিফ খান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়েশা খান।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপান্তরকারী নেতৃত্বে আগামী বাজেটের সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচনের ধারণা দেন।
তিনি বলেন, অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করতে সরকার মূল্যস্ফীতি হ্রাস, রিজার্ভ বৃদ্ধি, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, রপ্তানির নতুন বাজার অনুসন্ধান, বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।
আগামী বাজেটে তিনি তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর বাজেট ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো ও প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা, মানব সম্পদ উন্নয়ন, কৃষি খাতে প্রণোদনা এবং মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি রাজস্ব স্ট্র্যাটেজি প্রণয়নের ধারণা দেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানটিতে অংশ নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর ও ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির চিফ অ্যাডভাইজর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ. মনসুর ও এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম।
প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত রেখে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সরকারের লক্ষ্য: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
আগামী বাজেটে প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত রেখে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান।
তিনি বলেন, ‘আগামী বাজেটে প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত রাখা, ফাস্ট-ট্র্যাক অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়ন, ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। জ্বালানি তেলের মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সমন্বয় করা এবং সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা সম্প্রসারণ করা হবে।’
মঙ্গেলবার দি ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) আয়োজিত 'প্রাক বাজেট আলোচনা ২০২৪-২০২৫' শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যখন সুদের হার নয় শতাংশ ও ছয় শতাংশ ছিল, তখনো নন-পারফর্মিং লোন আমরা বাড়তে দেখেছি। সুদের হার বাড়লে খেলাপি ঋণ বাড়বে, এমন বিষয় নয়। আর্থিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এটা দূর করতে হবে। যদি মুনাফা করার সুযোগ থাকে তবে ব্যবসায়িরা উচ্চ সুদেও ঋণ নেবে।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপান্তরকারী নেতৃত্বে কোভিড পরবর্তী বিরূপ প্রভাব, মধ্যপ্রাচ্য সংকট ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোবাবিলা করে বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা রপ্তানি বাড়াতে চাই। রপ্তানি বাড়লে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও এফডিআই বাড়বে। রপ্তানি বৃদ্ধির বিষয়ে সরকার মনোযোগী। রাজস্ব খাতে পরিকল্পিত সংস্কার কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং কর আহরণের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কৌশল প্রণয়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম এবং পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মিজনুর রহমান, মাগুরা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মহিউদ্দিনসহ ব্যবসা সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিএমএবি প্রেসিডেন্ট মো. সেলিম উদ্দিন এবং সঞ্চালনা করেন আইসিএমএবির সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. আরিফ খান।
তৃতীয় কিস্তির ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ পেতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে জোর আইএমএফর
বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেওয়ার শর্ত হিসেবে ২০২৪ সালের মার্চে নির্ধারিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
বুধবার (৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি তাদের অবস্থান তুলে ধরে।
ঋণের তৃতীয় কিস্তির ৪৭০ কোটি ডলার দেওয়ার আগে আর্থিক পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য বাংলাদেশ সফর করছে আইএমএফ প্রতিনিধি দল।
আইএমএফের ঋণের শর্ত অনুযায়ী ২০২৪ সালের মার্চে ১ হাজার ৯২৬ কোটি ডলার রিজার্ভ রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু প্রকৃত রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলারের নিচে ছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, 'শর্ত পূরণে আইএমএফ কিছুটা কঠোর হওয়ায় সংস্থাটির ঋণের তৃতীয় কিস্তি নিয়ে জটিলতা ও অনিশ্চয়তা রয়েছে।’
তিনি ইউএনবিকে জানান, রিজার্ভ ঘাটতির কারণ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারা বেশ কিছু ধারণা জানিয়েছেন। আইএমএফ শেষ পর্যন্ত এ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে ইতিবাচক হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন তিনি।
ডলার সংকট নিরসনে আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি করে সরকার। ঋণের তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের আগে আইএমএফের একটি পর্যালোচনা মিশন বাংলাদেশ সফর করছে।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর ইউএনবিকে বলেন, আইএমএফ নিট রিজার্ভের প্রয়োজনীয়তা সহজ করলেও বাংলাদেশের পক্ষে মার্চের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা কঠিন।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক ঋণদাতা বাংলাদেশের জন্য নিট রিজার্ভের নতুন মান নির্ধারণ করতে পারে বা ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তি ছাড় বিলম্বিত করতে পারে।
বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কারণে আমরা পেঁয়াজ পেয়েছি। তবে দাম কমাতে খানিকটা দেরি হয়েছে। ভারতের ৮০০ ডলারের পেঁয়াজ ৪০০ ডলারে আমরা আনতে পেরেছি। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে পেঁয়াজ দেওয়ার জন্য ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।’
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনের সামনে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, পর্যায়ক্রমে বাকি পেঁয়াজ আনার ব্যবস্থা করব। ঢাকা, চট্টগ্রামে এ বিক্রয় কার্যক্রমে দেশের অন্যান্য জায়গায় পেঁয়াজের দাম কমে যাবে।'
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য ভারত ছাড়াও মিয়ানমার, রাশিয়া, ব্রাজিলের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, এ আমদানি কার্যক্রম সরকারের সফল বাণিজ্য কূটনীতির ফল। ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা হলেও বাংলাদেশের জন্য বিশেষ কোটা থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এর আগে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের অতিরিক্ত পরিচালক খন্দকার নুরুল হক ও মোহাম্মদ রবিউল মোর্শেদ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামীম হাসানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, ভারত থেকে আমদানির ৫০ হাজার টন পেঁয়াজের মধ্যে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ দেশে পৌঁছেছে। ঢাকা মহানগরের ১০০টি স্থানসহ গাজীপুর ও চট্টগ্রাম মহানগরের খোলাবাজারে মঙ্গলবার থেকে ক্রেতারা ৪০ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।
এপ্রিল থেকে সুদের হার ১৩.৫৫ শতাংশ, ভোক্তা ঋণে যোগ হবে আরও ১ শতাংশ
বাংলাদেশ ব্যাংক 'ছয় মাসের মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিলস' এর ওপর ভিত্তি করে এপ্রিল মাসের জন্য ব্যাংক ঋণের সুদহার ঘোষণা করেছে।
রবিবার(৩১ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।
স্মার্ট ফেব্রুয়ারিতে ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং জানুয়ারিতে ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ থেকে মার্চ মাসে প্রায় ১ শতাংশ বেড়ে ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
এপ্রিলে ঋণ চুক্তি সইয়ের সময় ব্যাংকগুলোকে স্মার্ট নম্বরে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ যোগ করার অনুমতি দেওয়া হবে, যা মার্চে ছিল সাড়ে ৩ শতাংশ।
ফলে এপ্রিল মাসে ব্যাংক ঋণের সুদহার হবে সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং ভোক্তা ঋণের সুদহার হবে সর্বোচ্চ ১৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। কারণ, একটি ব্যাংক ভোক্তা ঋণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১ শতাংশ তদারকি ফি নিতে পারে।
মার্চ মাসে ব্যাংক ঋণের সুদহার ছিল ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ, ভোক্তা ঋণে ১৪ দশমিক ১১ শতাংশ। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে ছিল ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ ও ১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ। জানুয়ারিতে এই সুদের হার ছিল ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
মার্চে স্মার্ট রেট প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় মুদ্রানীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যের স্বার্থে ব্যাংকগুলোর 'স্মার্ট' মার্জিন রেট শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফেব্রুয়ারিতে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ মুনাফা কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আরও পড়ুন: ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিদেশ যাত্রা নিষিদ্ধ, রাষ্ট্রীয় সম্মাননার অযোগ্য: বাংলাদেশ ব্যাংক
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণ এবং কৃষি ও পল্লী ঋণের ক্ষেত্রে মুনাফা সংযোজন হবে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ, যা মার্চে ছিল আড়াই শতাংশ।
সাধারণত ব্যক্তিগত ও ভোগ্যপণ্য যেমন গাড়ি ঋণ, গৃহনির্মাণ ঋণ এবং রেফ্রিজারেটর, টিভি, কম্পিউটারসহ শিক্ষা ঋণ ক্রয়ের জন্য ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ হলো ভোক্তা ঋণ।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার বাড়ানো ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর কোনো বিকল্প নেই।
ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতির হার ৫ থেকে ৬ শতাংশে না নামিয়ে আনা পর্যন্ত সুদের হার বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে, তবেই সুদের হার স্থিতিশীল হবে।
এই সময়ের মধ্যে, শিল্প এবং ব্যক্তিগত ঋণগ্রহীতারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে, তবে তাদের বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে। এই কষ্টের মধ্য দিয়ে অর্থনীতি শক্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জন করবে।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কোনো কারণ নেই: ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন
পুঁজিবাজার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কোনো কারণ নেই: ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন
পুঁজিবাজার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ।
মঙ্গলবার(১৯ মার্চ) ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা নিয়ে এক বৈঠকে সংগঠনটির পক্ষ থেকে একথা বলা হয়েছে।
তারা বলেছে, ফ্লোর প্রাইসের বাধা তুলে নেওয়ায় শেয়ারের মূল্য সমন্বয় হচ্ছে এটাই স্বাভাবিক।
দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোয় খুব শিগগিরই বাজার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে বলে আভাস দিয়েছেন ব্রোকার প্রতিনিধিরা।
প্রতিনিধিরা শেয়ারবাজারের ভবিষ্যতের স্বার্থ বাস্তবায়নের জন্য কিছু পয়েন্ট উত্থাপন করেছেন। এসব উদ্যোগ বাজারে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে এবং বাজার দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল ও টেকসই হবে।
এগুলো হলো- শেয়ারের দামের ওপর নতুন করে ফ্লোর আরোপ করা হতে পারে বলে বাজারে যে গুজব ছড়িয়েছে, তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ফ্লোর প্রাইসের পুনরাবৃত্তি হবে বলে মনে করে না ডিবিএ।
বর্তমান মুনাফা বিধিমালা-১৯৯৯ এর আধুনিকায়ন ও সংস্কার প্রয়োজন। ভালো কোম্পানিগুলোকে আইপিও মার্কেটে তালিকাভুক্ত করতে হবে। কোম্পানি তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে সব আইন ও বিধিবিধানের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।
বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ওপর জোর দিতে হবে। লভ্যাংশের পরিবর্তে কোম্পানির মূলধন আকারের ভিত্তিতে শ্রেণিবদ্ধ করা যৌক্তিক। সাধারণ শেয়ারহোল্ডার ও স্পন্সর শেয়ারহোল্ডারদের না জানিয়ে অন্য কোনোভাবে কোনো কোম্পানির শেয়ার বাড়ানো উচিত নয়।
আর দ্বৈত করের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অবিলম্বে সমাধান করতে হবে।
আরও পড়ুন: লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে প্রথমবারের মতো তালিকাভুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশি বন্ড
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম। সভায় ডিএসইর পরিচালক শরীফ আনোয়ার হোসেন, রিচার্ড ডি রোজারিও, ডিবিএর সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী, বিএলআই সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, বেক্সিমকো সিকিউরিটিজের সিইও মোস্তফা জামানুল বাহার উপস্থিত ছিলেন।
বড় পতনের মুখে ঢাকার শেয়ারবাজার
নিয়ন্ত্রক সংস্থার (ডিএসই) সূচক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করলেও মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচকের বড় পতন হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধান পুঁজিবাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪২ শতাংশ কমে পাঁচ হাজার ৮১৪ পয়েন্টে লেনদেন শেষ হয়।
এ নিয়ে টানা অষ্টম দিনের মতো বাজার পতন হওয়ায় ডিএসইএক্স ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে গেছে।
একদিন আগে ৪৮৬ কোটি টাকা থেকে লেনদেন কমে ৪৬৫ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৪১টির, কমেছে ৩১৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির শেয়ার।
আরও পড়ুন: আইপিওর যাচাই-বাছাইয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের আরও ভূমিকা থাকা উচিত: এটিএম তারিকুজ্জামান
ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিদেশ যাত্রা নিষিদ্ধ, রাষ্ট্রীয় সম্মাননার অযোগ্য: বাংলাদেশ ব্যাংক
ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিদেশ যাত্রা নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘তাদের নতুন কোনো ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া যাবে না এবং তাদের সব ধরনের রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বা সম্মাননার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচনা করা হবে।’
মঙ্গলবার(১২ মার্চ) ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের শনাক্ত ও চূড়ান্তকরণের জন্য সব ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া ঋণ, অগ্রিম, বিনিয়োগের সুদ বা মুনাফা নিজের অনুকূলে নিজের, পরিবারের সদস্য, আগ্রহী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির অনুকূলে পরিশোধ করবেন। অন্যথায় তিনি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে বিবেচিত হবেন।
আরও পড়ুন: ৭ মাসে ২ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় এনবিআরের, প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশের বেশি
এ ছাড়া জালিয়াতি, প্রতারণা বা মিথ্যা তথ্য প্রদান করে বা যে উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে সেই উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনো খাতে ব্যবহার করা বা অন্য ব্যাংকের জামানত করা সম্পদ অনুমতি ছাড়া নতুন ঋণের ক্ষেত্রে জামানত হিসেবে দেখালে তিনি ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসেবে গণ্য হবেন।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসে (আরজেএসসি) ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞার জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সির কাছে তালিকাভুক্ত করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
একই সঙ্গে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের যানবাহন, জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট ইত্যাদির তালিকাও নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। যাতে সংশ্লিষ্ট সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।
এছাড়াও, কোনও ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বা সম্মানের জন্যও যোগ্য হবেন না।
আরও পড়ুন: ১৮ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আরএডিপি অনুমোদন দিল এনইসি
১৮ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আরএডিপি অনুমোদন দিল এনইসি
মূল এডিপির ১৮ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকার সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)।
মঙ্গলবার(১২ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে এনইসি চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
সড়ক পরিবহন, যোগাযোগ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎসহ আরও কিছু খাতে অগ্রাধিকার দেওয়া আরএডিপি চলতি অর্থবছরের মূল এডিপি ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার আকার থেকে ৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ কম।
সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার জানান, মোট ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকার সংশোধিত আরএডিপির মধ্যে ১ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা স্থানীয় উৎস থেকে আসবে। আর বৈদেশিক উৎস থেকে আসবে ৮৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে আরএডিপিতে মোট প্রকল্পের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৫৮৮টি। প্রকল্পগুলোর মধ্যে ১ হাজার ৩৪৫টি বিনিয়োগ প্রকল্প, ৩৬টি সম্ভাব্যতা যাচাই, কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ১১৫টি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রকল্প ৯২টি।
পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম বলেছেন, চলমান প্রকল্পগুলোর মধ্যে যেগুলো বাস্তবায়নে স্বল্প তহবিল ও কম সময় লাগবে, সেগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দের ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রকল্প প্রণয়ন, অনুমোদন ও বাস্তবায়নের বিষয়ে ইতোপূর্বে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নির্দেশনার আলোকে বৈঠকে বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৯৭৬৪৩ কোটি টাকা সংশোধিত এডিপি এনইসিতে অনুমোদন
তিনি বলেন, প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন পর্যায়ে স্বাভাবিক বিলম্বের প্রবণতা রোধে সম্ভাব্যতা যাচাই পরিচালনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বৈঠকে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সামাজিক সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো খাতে বরাদ্দ ও বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
'স্থিতিশীলতা উন্নয়নের পূর্বশর্ত এবং এটি এখন রয়েছে' উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন এখন সুষ্ঠুভাবে চলছে।
এডিপির আকার কমানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সালাম বলেন, এডিপি সংশোধন একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি অব্যাহত থাকবে।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন এনে বর্তমান ও বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় এ বছর আরএডিপি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
পরিকল্পনা সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী চলতি অর্থবছরের মধ্যে কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে এমন প্রায় ৩৩০টি প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ২,০৭,৫৫০ কোটি টাকার সংশোধিত এডিপি অনুমোদন করেছে এনইসি
২০২০-২১ অর্থবছরের আরএডিপি অনুযায়ী, পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ ৬৩ হাজার ২৬৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা (২৫ দশমিক ৮২ শতাংশ), বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৩৭ হাজার ৮৯৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা (১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ), আবাসন ও কমিউনিটি সুবিধা খাতে ২৮ হাজার ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা (১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ), স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ১৯ হাজার ৯৬৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা (৮ দশমিক ১৫ শতাংশ), শিক্ষা খাতে ১৭ হাজার ২২৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা (৭ দশমিক ০৩ শতাংশ), পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ খাতে ১৪ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা (৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ) বরাদ্দ ধরা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য খাতে ১২ হাজার ৬৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা (৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ), কৃষিতে ১০ হাজার ৩১৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা (৪ দশমিক ২১ শতাংশ), শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা ৪ হাজার ৬৩০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা (১ দশমিক ৮৯ শতাংশ) এবং বিজ্ঞান ও আইসিটি খাতে ৩ হাজার ৬৩৭ কোটি ১২ লাখ (১ দশমিক ৪৮ শতাংশ) টাকা।
সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ ৪২ হাজার ৭০০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা (১৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ), সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ২৭ হাজার ৮০৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা (১১ দশমিক ৩৫ শতাংশ), বিদ্যুৎ বিভাগ ২৭ হাজার ১২৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা (১১ দশমিক ০৭ শতাংশ), রেলপথ মন্ত্রণালয় ১৩ হাজার ১১৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা (৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ), পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ১২ হাজার ১৯২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা (৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ১১ হাজার ৪১৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা (৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ) এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ৯ হাজার ৩৪৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকা (৩ দশমিক ৮১ শতাংশ) বরাদ্দ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২৪ অর্থবছরের জন্য ২.৬৩ লাখ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন করেছে এনইসি
টেলিকমে কর ও শুল্ক: এমটবের ২১ দফা প্রস্তাবনা
আগামী বাজেটে টেলিকমে কর ও শুল্কের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে ২১ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেছেন দেশের মোবাইল অপারেটর কোম্পানির প্রতিনিধিরা।
মঙ্গলবার প্রাক-বাজেট সভায় এ প্রস্তাবনা তুলে ধরেন তারা।
এমটব মহাসচিব লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জুলফিকার (অব.) বলেন, এদেশে টেলিযোগাযোগ এবং ইন্টারনেট প্রাপ্তির অন্যতম প্রধান উৎস মোবাইল শিল্প খাত। এই শিল্পের অবকাঠামোর ওপর দেশের সার্বিক ডিজিটাইজেশন প্রত্যক্ষভাবে নির্ভরশীল। কিন্তু এই খাতের ওপর বিবিধ কর দেশের অন্যান্য খাতের চেয়ে এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় যথেষ্ট বেশি।
এই বিষয়গুলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সুপারিশসমূহ তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান তিনি।
দেশে ডিজিটাইজেশনে সরকারের সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে এনবিআর গুরুত্ব সহকারে বিষয়গুলো বিবেচনা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন এমটব পরিচালক।
কর আরোপ ও দ্বৈতকর এড়ানো, সরকারি সংস্থাসমূহের রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা স্পষ্ট করা, কর্পোরেট করের উচ্চহার নিয়ন্ত্রণ, ন্যূনতম কর সমন্বয় করা, সিম সরবরাহের ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক), সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওপর মূসক নিয়ন্ত্রণ এবং টেলিকম মেশিনারি, ইকুইপমেন্ট ও সফটওয়্যারের জন্য পৃথক এইচএস কোডের বিষয়ে সভায় উত্থাপিত প্রস্তাবনায় সুপারিশ করা হয়।
৭ মাসে ২ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় এনবিআরের, প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশের বেশি
২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৭ মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আদায় বেড়েছে ১৫.০৯ শতাংশ। যা চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার ৫১ শতাংশ।
৭ মাসে ২ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে প্রায় ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা সংগ্রহ করেছে রাজস্ব বোর্ড। এতে রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি পেলেও লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব ঘাটতি রয়েছে ১৭ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা।
বাজেটে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা হিসাব করলে ঘাটতি আরও বেশি হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে এনবিআরকে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। তবে সম্প্রতি এই লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করে ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে।