উইকেটে আসা-যাওয়ার মিছিলে লিটন দাস যখন ক্রিজে আসলেন, তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৬ রান, ৬ উইকেটের বিনিময়ে। এমন বিপর্যয়কালে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে চোয়াল শক্ত করে খেলে গেলেন তিনি। এরপর পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস থেকে সামান্য পিছিয়ে থেকে ভাঙল তার প্রতিরোধ।
লিটনের অনবদ্য শতক ও সপ্তম উইকেটে ১৬৫ রানের সুবাদে ৭৮.৪ ওভারে ২৬২ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। ফলে ১২ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের খেলা শুরু করেছে পাকিস্তান।
এদিন ব্যাট হাতে লিটন করেছেন সর্বোচ্চ ১৩৮ রান, আর মিরাজ ৭৮ রান করে ফিরে যান। বাকি ব্যাটারদের কেউই বলার মতো রান স্কোরবোর্ডে তুলতে পারেননি। তবে লিটনকে শেষ পর্যন্ত ভালো সঙ্গ দিয়ে গেছেন হাসান মাহমুদ।
এর আগে, ধ্বংস্তুপে মুষ্টি শক্ত করে দাঁড়িয়ে একে একে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন ও মিরাজ। তাদের জুটিতে আশার আলো দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ। এরপর ১৬৫ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন মিরাজ। এর আগে অবশ্য রেকর্ডও করে ফেলেন তারা।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে পঞ্চাশের নিচে ৬ উইকেট পড়ার পর এই প্রথম কোনো জুটি দেড় শতাধিক রান করল। এর আগের কীর্তিটি ছিল অবশ্য পাকিস্তানের। ২০০৬ সালে করাচিতে ভারতের বিপক্ষে ৩৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ১১৫ রানের জুটি গড়েছিলেন আব্দুর রাজ্জাক ও কামরান আকমল।
আরও পড়ুন: মিরাজের ঘূর্ণিতে ২৭৪ রানে থামল পাকিস্তান
এদিকে, মিরাজকে ফিরিয়ে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফারের দেখা পেয়েছেন খুররাম শাহজাদ। শুধু তাই নয়, একাই ৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দেন তিনি। এছাড়া দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মির হামজা ও আগা সালমান।
মিরাজ ফিরে যাওয়ার পর তাসকিনকেও বিদায় করেন খুররাম। তবে লিটনকে যোগ্য সঙ্গ দেন হাসান মাহমুদ। লিটন অবশেষে ২২৮ বলে ১৩টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ১৩৮ রান করে ফিরে যাওয়ার দুই বল পর লেগ বিফোরের ফাঁদি পড়ে আউট হন নাহিদ রানাও। তবে ৫১ বল মোকাবিলা করে ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন হাসান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস: ২৭৪/১০ (৮৫.১ ওভার; সাইম ৫৮, মাসুদ ৫৭ ও সালমান ৫৪; মিরাজ ৫/৬১ ও তাসকিন ৩/৫৭)।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: (আগের দিন ১০/০) ২৬২/১০ (৭৮.৪ ওভার; লিটন দাস ১৩৮, মেহেদী মিরাজ ৭৮; শাহজাদ ৬/৯০, হামজা ২/৫০, সালমান ২/১৩)।