খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার প্রতিবাদে ৭২ ঘণ্টার সড়ক ও নৌপথ অবরোধ চলছে। সড়ক অবরোধের কারণে খাগড়াছড়ি থেকে দূরপাল্লার কোনো যানবাহন ছেড়ে যায়নি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহরের ভেতর কিছু হালকা যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার একটি সমাবেশ থেকে সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছিল। কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়ে অবরোধ পালনের ঘোষণ দিয়েছে আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
বুধবার ভোরে খাগড়াছড়ি সদরে চুরির অভিযোগে মো. মামুনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে। ওই ঘটনার জের ধরে দীঘিনালা ও খাগড়াছড়ি সদরে অপ্রীতিকর ঘটনায় ৩ জন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হন। দীঘিনালায় পুড়িয়ে দেওয়া হয় শতাধিক দোকানপাট।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে সহিংসতায় নিহত ৩, আহত ৯
পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, বর্তমানে জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে আজ খাগড়াছড়ি যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। বিকালে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন তিনি।
প্রতিনিধি দলে আরও রয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে জুম্মদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ৭২ ঘণ্টা অবরোধের ডাক