বাংলাদেশ
হজ প্যাকেজের অবশিষ্ট টাকা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে
হজ প্যাকেজের অবশিষ্ট টাকা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমে ২০২৬ সালের হজের জন্য প্রাথমিক নিবন্ধনকারীদের এ অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখা থেকে জারিকৃত পত্রে বলা হয়েছে-, হজ-২০২৬-এর সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমের হজযাত্রীদের তিন লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা জমার মাধ্যমে প্রাথমিক নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। হজ প্যাকেজ ও গাইডলাইন ২০২৬ অনুযায়ী প্রত্যেক হজযাত্রীকে প্যাকেজ মূল্যের সমুদয় অর্থ আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আবশ্যিকভাবে জমা প্রদানের নির্দেশনা রয়েছে। তাই যেসব হজযাত্রী নির্বাচিত প্যাকেজের সম্পূর্ণ অর্থ এখনও জমা দেননি, তাদের উক্ত সময়ের মধ্যে জমা দিতে অনুরোধ করা হলো।
এ সময়ের মধ্যে কোনো নিবন্ধিত হজযাত্রী প্যাকেজের অবশিষ্ট টাকা জমা না দিলে তার হজযাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলেও জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
৯ ঘণ্টা আগে
নাশকতার আশঙ্কা: ভূমি অফিসগুলোতে নিরাপত্তা জোরদারে স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি
ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠপর্যায়ের ভূমি অফিসগুলোর নিরাপত্তা জোরদারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো ওই চিঠিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি স্থাপনায় নাশকতামূলক অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে সরকারি স্থাপনাসমূহে দুর্বৃত্তদের দ্বারা নাশকতামূলক অগ্নিসংযোগের ঘটনা লক্ষ করা যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬ ডিসেম্বর ভোর সোয়া ৪টার দিকে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা মাগুরা সদর উপজেলা ভূমি অফিসে প্রবেশ করে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ ঘটায়। একই সময়ে মাগুরা সদর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসেও আগুন লাগে।
অগ্নিকাণ্ডে উপজেলা ভূমি অফিসের একটি কক্ষে সংরক্ষিত প্রয়োজনীয় কিছু নথিপত্র ও রেজিস্টার, একটি কম্পিউটার, একটি প্রিন্টারসহ টেবিল, চেয়ার, আলমারি ও অন্যান্য আসবাবপত্র পুড়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি পেট্রোলের বোতল, কয়েকটি খালি বোতল ও মাস্ক উদ্ধার করা হয়েছে, যা পুলিশ আলামত হিসেবে জব্দ করেছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, উপজেলা ভূমি অফিস, রাজস্ব সার্কেল ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোতে জনগণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমি সংক্রান্ত দলিলপত্র সংরক্ষিত থাকে। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে ভবিষ্যতে এ ধরনের নাশকতামূলক ঘটনার ঝুঁকি বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ড কক্ষসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠপর্যায়ের সব উপজেলা ভূমি অফিস, রাজস্ব সার্কেল ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অগ্নিসংযোগসহ যেকোনো ধরনের নাশকতা ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি বলে উল্লেখ করা হয় ওই চিঠিতে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট সব কার্যালয়ের নিরাপত্তা জোরদারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠিতে স্বরাষ্ট্র সচিবকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
নিরাপত্তা উদ্বেগের মাঝে ভারতীয় ভিসা আবেদনকেন্দ্রে প্রণয় ভার্মা
নিরাপত্তা উদ্বেগের মাঝে ঢাকার ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (আইভ্যাক) পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। এ সময় ভিসা সেবার সার্বিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি চিকিৎসা ভিসার আবেদনকারীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা জানান তিনি।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত আইভ্যাক পরিদর্শনে গিয়ে তিনি ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ঘুরে দেখেন এবং আবেদনকারীদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শোনেন।
গত সপ্তাহে নিরাপত্তাজনিত কারণে ঢাকার ভারতীয় ভিসা সেন্টার একদিনের জন্য বন্ধ রাখা হলেও পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে তা পুনরায় চালু করা হয়। বন্ধের দিনে যাদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল, তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিকল্প তারিখে ভিসা আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হয়।
হাইকমিশন জানায়, বর্তমানে ভিসা আবেদনকারীদের বড় একটি অংশ চিকিৎসা ভিসার জন্য আবেদন করছেন। এসব আবেদনকারীর অনেকেই ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে গুরুতর রোগের চিকিৎসা নিতে যাচ্ছেন। তাই চলমান নিরাপত্তা উদ্বেগের মধ্যেও মানবিক বিবেচনায় চিকিৎসাসহ জরুরি ভিসা সেবা চালু রাখতে সচেষ্ট রয়েছে হাইকমিশন। এ কারণে ঢাকা ছাড়াও খুলনা, সিলেট ও রাজশাহীর আইভ্যাক কেন্দ্রগুলোতে ভিসা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
তবে চট্টগ্রামের আইভ্যাক সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। ১৮-১৯ ডিসেম্বর রাতে চট্টগ্রামে সহকারী হাইকমিশনারের প্রবেশপথে হামলা ও পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় নিরাপত্তার গুরুতর উদ্বেগ তৈরি হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পরিদর্শনকালে আইভ্যাক কর্মকর্তারা হাইকমিশনারকে জানান, বিপুল পরিমাণ জাল নথি জমা পড়ছে এবং দালাল ও মধ্যস্বত্বভোগীরা সার্ভারে হ্যাকের চেষ্টা করে কৃত্রিম চাপ সৃষ্টি করছেন, যার কারণে প্রকৃত আবেদনকারীরা বৈধ অ্যাপয়েন্টমেন্ট থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা এসব সমস্যা সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরার আশ্বাস দেন এবং আবেদনকারীদের বৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে ও দালালদের এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন।
১২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ উত্তেজনা কমানোর আহ্বান রাশিয়ার
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার গ্রিগোরিয়েভিচ খোজিন।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকায় রাশিয়া দূতাবাসে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। এ সময় প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বিদ্যমান উত্তেজনাও যত দ্রুত সম্ভব কমানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে আমরা হস্তক্ষেপ করছি না। তবে বিদ্যমান উত্তেজনা বর্তমান অবস্থা থেকে যেন আর না বাড়ে, সে জন্য একটি সমাধানের পথ খোঁজাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে দুই দেশের সম্পর্ক হওয়া উচিত।
নির্বাচন কমিশনের তফসল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে তিনি আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং কমিশনের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণের অপেক্ষায় রয়েছেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
১৬ জানুয়ারি পবিত্র শবে মেরাজ
বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৭ হিজরি সনের পবিত্র রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) থেকে পবিত্র রজব মাস গণনা শুরু হবে। সেই অনুযায়ী আগামী ১৬ জানুয়ারি শুক্রবার দিবাগত রাতে সারা দেশে পবিত্র শবে মেরাজ উদযাপিত হবে।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে দেশের সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান (স্পারসো) থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এ সিদ্ধান্তে পৌঁছায়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামাল উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব মো. ফজলুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান, ওয়াকফ প্রশাসক মো. শাহীন হোসেন, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ আবদুল মালেক, ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল অধ্যাপক মোহাম্মদ ওবায়দুল হক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর মাওলানা সৈয়দ মো. মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি এবং অতিরিক্ত প্রধান তথ্য অফিসার ইয়াকুব আলী।
এ ছাড়াও সভায় ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) ওয়ারেছ আনসারী, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক মো. জহিরুল ইসলাম মিয়া, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দ্বীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক ড. মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মমিনুল ইসলাম এবং স্পারসোর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়া ও ইসলামিক শিক্ষা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবদুল্লাহ ফারুক, আদমপুরা ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আবু সালেহ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়ার উপাধ্যক্ষ আবদুল গাফফারসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৯
সম্প্রতি জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার এবং দুটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যালয়ে হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে অন্তত ৯ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন— মো. কাশেম ফারুক, মো. সাইদুর রহমান, রাকিব হোসেন, মো. নাইম, ফয়সাল আহমেদ প্রান্ত, মো. সোহেল রানা এবং মো. শফিকুল ইসলাম।
এছাড়া পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও গোয়েন্দা পুলিশ আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
এদিকে, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রবিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক এসব ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ইতোমধ্যে ৩১ জনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবনের নিকটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টাকারীদের মধ্যে তিনজনকে ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার কাশেম ফারুক বগুড়ার আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার সাবেক ছাত্র এবং ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা। মো. সাইদুর রহমান ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার নোয়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।
প্রেস উইং জানিয়েছে, শেরপুর জেলার বাসিন্দা গ্রেপ্তার রাকিব হোসেন প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের ছবি তুলে তার আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা হয়। তিনি তার ফেসবুক আইডি থেকে উসকানিমূলক পোস্টও করেন।
ঢাকার তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. নাইমকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় এ ঘটনায় লুট হওয়া ৫০ হাজার টাকাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাইম স্বীকার করেছেন যে তিনি মোট ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা লুট করেছেন। লুট করা টাকা দিয়ে তিনি মোহাম্মদপুর থেকে একটি টিভি ও একটি ফ্রিজ কিনেছিলেন, যা ইতোমধ্যে জব্দ করা হয়েছে।
ঢাকার কারওয়ান বাজার রেললাইন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার মো. সোহেল রানার বিরুদ্ধে মাদকসহ অন্যান্য আইনে ঢাকার বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। একই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অতীতে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুটি মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া অন্যান্যদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ, নয়াদিল্লির বক্তব্য প্রত্যাখ্যান ঢাকার
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের বাইরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। ঢাকা বলেছে, ওই বিক্ষোভের কারণে হাইকমিশনার ও তার পরিবার নিরাপত্তা শঙ্কা অনুভব করেছেন।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এ বিষয়ে ঢাকার অবস্থান তুলে ধরেন।
উপদেষ্টা বলেন, ভারতের দাবি অনুযায়ী নয়াদিল্লির বাংলাদেশ দূতাবাসের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভাঙার চেষ্টা হয়নি। বরং ২০–২৫ জন যুবক ময়মনসিংহে দীপু চন্দ্র দাসের হত্যার প্রতিবাদে স্লোগান দিয়েছে। তবে ভারতের প্রেসনোটে এ বিষয়টি ‘সহজভাবে’ উপস্থাপন করা হয়েছে, যা বাংলাদেশ পুরোপুরি গ্রহণ করছে না।
তিনি বলেন, মাত্র ২০–২৫ জন হিন্দু চরমপন্থীর একটি দল কূটনৈতিক এলাকায় এত গভীরে প্রবেশ করতে পারবে কেন? এটা স্পষ্টভাবে কূটনৈতিক শিষ্টাচারের লঙ্ঘন। একজন বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনা কেন সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, তা আমাদের কাছে অপ্রাসঙ্গিক। বাংলাদেশ এই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, দূতাবাসের ভেতরে থাকা কর্মকর্তারা নিরাপত্তা শঙ্কা অনুভব করেছেন, যথেষ্ট নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল না। আমরা পরিস্থিতি খারাপ হলে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সীমিত করার পদক্ষেপ নিতে পারি।
আরও পড়ুন: নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে নিরাপত্তা ভাঙার চেষ্টা হয়নি: ভারত
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে উগ্রবাদী সংগঠন অখণ্ড হিন্দু রাষ্ট্রসেনার অন্তত ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল চার থেকে পাঁচটি গাড়িতে করে নিরাপত্তা বেষ্টনী অতিক্রম করে বাংলাদেশ হাউসের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেয়। সেখানে তারা কিছু সময় ধরে বাংলাদেশবিরোধী উগ্র স্লোগান দিতে থাকে। সে সময় বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহকে হুমকিও দেয় তারা।
এ ব্যাপারে নয়াদিল্লিতে আজ (রবিবার) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘বিষয়টি হচ্ছে, নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনের সামনে ২০–২৫ জন তরুণ জড়ো হয়ে ময়মনসিংহে দিপু চন্দ্র দাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে স্লোগান দেন। তারা বাংলাদেশে সব সংখ্যালঘুর সুরক্ষার আহ্বান জানান।’
তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ সদস্যরা কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসব ঘটনার দৃশ্যমান প্রমাণও রয়েছে। চাইলে যে কেউ তা দেখতে পারেন।
এ সময় ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী নিজেদের ভূখণ্ডে বিদেশি মিশন ও পোস্টগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও মন্তব্য করেন জয়সওয়াল।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে উদ্ভূত পরিস্থিতির ওপর ভারত নিবিড়ভাবে নজর রাখছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। এছাড়া (বাংলাদেশে) সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় কর্তৃপক্ষের কাছে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।’
জয়সওয়াল বলেন, দিপু চন্দ্র দাসের বর্বর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে ভারত।
১ দিন আগে
প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে অগ্নিসংযোগকারী কয়েকজনের ছবি ও পরিচয় শনাক্ত হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে অগ্নিসংযোগকারী কয়েকজনের ছবি ও পরিচয় শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে যারা আগুন দিয়েছে, আমি গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে জানতে পেরেছি, তাদের কিছু ছবি ও পরিচয় আমরা ইতিমধ্যে শনাক্ত করেছি। তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা ব্যবস্থা করেছি।
ধর্ম নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে ময়মনসিংহে হিন্দু তরুণ দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যা করে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি ধর্ম উপদেষ্টা হিসেবে এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি এবং এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়, গর্হিত কাজ। আমরা কোনো ক্রমে আইন হাতে নিতে দেব না। আইন হাতে নেওয়াটা একটা রাষ্ট্রের সুষ্ঠু পরিচালনার ক্ষেত্রে বড় বাধা।’
মব জাস্টিসকে যাতে প্রশ্রয় দেওয়া না হয়, সে জন্য আজ সকালেই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং উপদেষ্টাদের গ্রুপে বার্তা পাঠিয়েছেন বলে জানান তিনি।
আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, যে বা যারা এই মানুষটাকে পিটিয়ে মেরেছে এবং আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য আমি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছি।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা এখন সম্পূর্ণ আমাদের নিয়ন্ত্রণে। কিছু ঘটনা যে ঘটছে না—এমন নয়, তবে আমরা যতটুকু এই পর্যন্ত এসেছি, আমরা আশাবাদী যে নির্বাচন যথাসময়ে হবে। সুষ্ঠু, অবাধ, অংশগ্রহণমূলক এবং স্বতঃস্ফূর্ততার মাধ্যমে আমরা নির্বাচন করতে পারব। এই পরিবেশ এখনো বহাল আছে।
ছায়ানটেও হামলা হয়েছে। শিবিরের কেউ কেউ বলেছে যে এই ধরনের প্রতিষ্ঠান থাকা উচিত নয়—এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, কে কী বলল, সেটা তো আমাদের এখতিয়ারের বাইরে। তবে কথা হচ্ছে যে আমরা যেহেতু সরকারে আছি, সরকার অনুমোদিত কোনো প্রতিষ্ঠানে কেউ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেবে অথবা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করবে, এটা কোনভাবে কাম্য নয়। আমরা এটাকে অন্যায় ও গর্হিত কাজ বলে বিবেচনা করি। এদের আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।
১ দিন আগে
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে নিরাপত্তা ভাঙার চেষ্টা হয়নি: ভারত
গতকাল শনিবার নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে একদল উগ্রপন্থীর বিক্ষোভের সময় কোনোভাবেই নিরাপত্তা বেষ্টনী ভাঙার চেষ্টা বা নিরাপত্তার অবনতিজনিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি বলে জানিয়েছে ভারত।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ কথা জানিয়েছেন।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে উগ্রবাদী সংগঠন অখণ্ড হিন্দু রাষ্ট্রসেনার অন্তত ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল চার থেকে পাঁচটি গাড়িতে করে নিরাপত্তা বেষ্টনী অতিক্রম করে বাংলাদেশ হাউসের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেয়। সেখানে তারা কিছু সময় ধরে বাংলাদেশবিরোধী উগ্র স্লোগান দিতে থাকে। সে সময় বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহকে হুমকিও দেয় তারা।
এ ব্যাপারে নয়াদিল্লিতে আজ (রবিবার) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘বিষয়টি হচ্ছে, নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনের সামনে ২০–২৫ জন তরুণ জড়ো হয়ে ময়মনসিংহে দিপু চন্দ্র দাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে স্লোগান দেন। তারা বাংলাদেশে সব সংখ্যালঘুর সুরক্ষার আহ্বান জানান।’
তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ সদস্যরা কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসব ঘটনার দৃশ্যমান প্রমাণও রয়েছে। চাইলে যে কেউ তা দেখতে পারেন।
এ সময় ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী নিজেদের ভূখণ্ডে বিদেশি মিশন ও পোস্টগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও মন্তব্য করেন জয়সওয়াল।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে উদ্ভূত পরিস্থিতির ওপর ভারত নিবিড়ভাবে নজর রাখছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। এছাড়া (বাংলাদেশে) সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় কর্তৃপক্ষের কাছে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।’
এ ঘটনায় বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর প্রচার লক্ষ করা গেছে বলেও তিনি দাবি করেন।
জয়সওয়াল বলেন, দিপু চন্দ্র দাসের বর্বর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে ভারত।
১ দিন আগে
হাদির সমাধিস্থল নিয়ে ছড়ানো ছবি বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত
ইনকিলাব মঞ্চের প্রয়াত আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির সমাধিস্থল নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিটি সম্পূর্ণ বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, হাদির সমাধিস্থল নিয়ে যে ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে, তা সত্য নয় এবং বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। বাস্তবে সমাধিস্থলটি যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় রয়েছে।
এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সর্বসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানায় ডিএমপি।
১ দিন আগে