বাংলাদেশ
গুম ও হাওর সংক্রান্ত অধ্যাদেশ অনুমোদন
গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
আজকের বৈঠকে গুম প্রতিরোধসহ মোট তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টা প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি সংরক্ষণ অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া অনুমোদন এবং সুইজারল্যান্ডের বার্নে বাংলাদেশের নতুন একটি দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন।
গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বলা হয়েছে, এর ফলে গুম হওয়া ব্যক্তি অন্যূন ৫ বছর ধরে গুম থাকলে এবং জীবিত ফিরে না আসলে ট্রাইবুন্যাল তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ডিসাপিয়ার্ড’ বা ‘গুম’ ঘোষণা করতে পারবে।
অধ্যাদেশের ফলে সরকার ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইবুনাল’-এর জন্য মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয়সংখ্যক পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ দিতে পারবে। ভুক্তভোগী বা অভিযোগকারীও ব্যক্তিগত উদ্যোগে ট্রাইবুনাল আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন এবং গুম হওয়া ব্যক্তির স্ত্রী বা তার ওপর নির্ভরশীল পরিবারের কোনো সদস্য কমিশনের পুর্বানুমতি ব্যাতিরেকে গুম হওয়া ব্যক্তির সম্পত্তি ব্যবহার করতে পারবেন।
হাওর ও জলাভূমি সংরক্ষণ অধ্যাদেশ অনুমোদন
বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি সংরক্ষণ অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশের হাওর অঞ্চলের ইকোসিস্টেম বিশ্বে বিরল ও অনন্য। কিন্তু নদী ও নদীপথের বাধা সৃষ্টি করে অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ, বিষ ও কীটনাশকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার এবং পর্যটনের বিরূপ প্রভাবের কারণে এই ইকোসিস্টেম ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পড়ছে। আবার জলাশয় রক্ষায় আইনি কাঠামোরও অপ্রতুলতা রয়েছে।
এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব, কর্তৃত্ব ও অধিক্ষেত্র সুস্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হবে। হাওর ও জলাভূমি এলাকার জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণের লক্ষ্যে সুরক্ষা অধ্যাদেশ জারির বিধান রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, হাওর ও জলাভূমি এলাকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ‘সংরক্ষিত হাওর ও জলাভূমি এলাকা’ ঘোষণা করার বিধানও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়াও হাওর ও জলাভূমি এলাকায় নিষিদ্ধ কার্যক্রমের বিবরণ প্রদান, নিষিদ্ধ কার্যক্রম সংঘটিত হলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা এবং উক্ত অপরাধের জন্য আরোপনীয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে অধ্যাদেশে।
হাওর ও জলাভূমি এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নির্ধারিত ব্যতিক্রম সাপেক্ষে অধিদপ্তরের মতামত গ্রহণের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অন্যান্য কর্তৃপক্ষ, দপ্তর কিংবা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়, স্থানীয় অংশীজনদের সম্পৃক্ততা এবং সংরক্ষণ কার্যক্রমে তাদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিধি, প্রবিধান ও নির্দেশিকা প্রণয়নের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
বার্নে হচ্ছে নতুন দূতাবাস
এদিন সুইজারল্যান্ডের রাজধানী বার্নে বাংলাদেশের নতুন একটি দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় থেকেই সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশের পার্মানেন্ট মিশন রয়েছে। তবে বার্নে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেরই দূতাবাস থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের দূতাবাস নেই। এর ফলে জেনেভার স্থায়ী মিশনেই এতদিন ধরে জাতিসংঘ ও দূতাবাসের কাজগুলো একসঙ্গে সম্পন্ন করা হচ্ছিল।
সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী ও কৌশলগত অংশীদার। তাই সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে বার্নে বাংলাদেশ দূতাবাস স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে একজন রাষ্ট্রদূত, ফার্স্ট সেক্রেটারি, কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে দূতাবাসের কার্যক্রম শুরু হবে।
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ৮২টি মিশন অফিস আছে।
আলোচনায় হাদির শারীরিক অবস্থা
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সামনের সারির যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়েও আলোচনা হয়।
হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। তার বিষয়ে সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান নিয়মিতভাবে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন এবং খোঁজখবর জানাচ্ছেন।
এদিকে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গতকাল (বুধবার) েসিঙ্গাপুর পৌঁছেছেন। তিনি সরাসরি হাদির চিকিৎসার দেখভাল করছেন।
১১ ঘণ্টা আগে
বিদেশি দূতাবাসগুলোকে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে ঢাকা
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি এবং দেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকায় বিদেশি মিশনের প্রধানদের অবহিত করেছে সরকার। এ সময় বিদেশি দূতাবাসগুলোকে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে ঢাকা।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত এক বৈঠক বিদেশি মিশনের প্রধানদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন যে বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাবে, ব্রিফিংয়ে সেটা তাদের জানানো হয়েছে। তাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠাতেও আমন্ত্রণ জানানো হয়।
তিনি বলেন, এ ছাড়া স্বশস্ত্র বাহিনীসহ দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সদাসতর্ক ও সচেষ্ট রয়েছেন, এ বিষয়ে তাদের জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে দূতাবাসগুলোকে তাদের নিরাপত্তার ব্যাপারেও আশ্বস্ত করা হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে ঢাকার দূতাবাসগুলোর প্রায় ৪০ জন কূটনীতিক উপস্থিত ছিলেন।
১১ ঘণ্টা আগে
হাদির সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
হত্যাচেষ্টার শিকার ওসমান হাদির সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, এই মুহূর্তে হাদির জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার সবার দোয়া।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা সবাই আমাদের ছোট ভাই ওসমান হাদির জন্য দোয়া করবেন, যেন সে সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসতে পারে। আগামীকাল জুম্মার নামাজের পরেও হাদির জন্য দোয়া করবেন। আপনারা খাস দিলে দোয়া করবেন।
‘অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদেরও তার জন্য দোয়া করতে বলবেন। আমাদের দোয়াই এখন তার জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার। আপনারা যদি খাস দিলে দোয়া করেন, সে অবশ্যই সুস্থ হয়ে ফিরে আসবে।’
এদিকে, গত সোমবার ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ তিন দফা দাবি মানা না হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি আবু সাদিক কায়েম।
হাদিকে হত্যা প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের অগ্রগতি এবং পদত্যাগের দাবি প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
১২ ঘণ্টা আগে
নভেম্বরে সড়কে প্রাণহানি বেড়েছে ১৩.২২ শতাংশ, প্রতিদিন গড়ে ১৬.১ মৃত্যু
গত নভেম্বর মাসে দেশে মোট ৫৩৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৮৩ জন নিহত এবং ১ হাজার ৩১৭ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ৬৪ জন, যা মোট নিহতের ১৩.২৫ শতাংশ এবং ৭১টি শিশু রয়েছে, যা ১৪.৬৯ শতাংশ।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, নভেম্বর মাসে ২২৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৯৪ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ৪০.১৬ শতাংশ। এ মাসে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ছিল ৪২.৫০ শতাংশ। দুর্ঘটনায় পথচারী নিহত হয়েছেন ১০৬ জন, যা মোট নিহতের ২১.৯৪ শতাংশ। এ ছাড়া যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫৭ জন, যা ১১.৮০ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, একই সময়ে ৬টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত এবং ৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন। পাশাপাশি ৪৭টি রেল ট্র্যাক দুর্ঘটনায় ৩৮ জন নিহত এবং ৯ জন আহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী নিহত হয়েছেন ১৯৪ জন (৪০.১৬ শতাংশ), বাসের যাত্রী ২৪ জন (৪.৯৬ শতাংশ), ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি-মিকচার মেশিন গাড়ির আরোহী ২২ জন (৪.৫৫ শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাসের আরোহী ১৪ জন (২.৮৯ শতাংশ), থ্রি-হুইলারের যাত্রী ৮৩ জন (১৭.১৮ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী ৩১ জন (৬.৪১ শতাংশ) এবং রিকশা-বাইসাইকেলের আরোহী ৯ জন (১.৮৬ শতাংশ)।
দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, জাতীয় মহাসড়কে ঘটেছে ১৩১টি দুর্ঘটনা (২৪.৫৩ শতাংশ), আঞ্চলিক সড়কে ২৪৫টি (৪৫.৮৮ শতাংশ), গ্রামীণ সড়কে ৮২টি (১৫.৩৫ শতাংশ), শহরের সড়কে ৭১টি (১৩.২৯ শতাংশ) এবং ৫টি দুর্ঘটনা অন্যান্য স্থানে (০.৯৩ শতাংশ) ঘটেছে।
দুর্ঘটনার ধরন অনুযায়ী, ১২২টি (২২.৮৪ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষে, ২৩৭টি (৪৪.৩৮ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১০৯টি (২০.৪১ শতাংশ) পথচারীকে চাপা বা ধাক্কা দেওয়ার মাধ্যমে, ৫৯টি (১১.০৪ শতাংশ) পেছন থেকে আঘাতের কারণে এবং ৭টি (১.৩১ শতাংশ) অন্যান্য কারণে সংঘটিত হয়েছে।
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি-ড্রাম ট্রাক-মিকচার মেশিন গাড়ি ২৫.৯১ শতাংশ, যাত্রীবাহী বাস ১২.৮৪ শতাংশ, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-অ্যাম্বুলেন্স-জিপ ৪.৫৮ শতাংশ, মোটরসাইকেল ২৭.৬৩ শতাংশ, থ্রি-হুইলার ১৭.৫৪ শতাংশ, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ৪.৮১ শতাংশ, বাইসাইকেল-রিকশা ২.৯৮ শতাংশ এবং অজ্ঞাত যানবাহন ৩.৬৬ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্ঘটনায় মোট ৮৭২টি যানবাহন সম্পৃক্ত ছিল। এর মধ্যে বাস ১১২টি, ট্রাক ১২৭টি, কাভার্ডভ্যান ২৩টি, পিকআপ ২৯টি, ট্রাক্টর ৯টি, ট্রলি ১৭টি, ড্রাম ট্রাক ২০টি, মিকচার মেশিন গাড়ি ১টি, মাইক্রোবাস ১৪টি, প্রাইভেটকার ২১টি, অ্যাম্বুলেন্স ২টি, জীপ ৩টি, মোটরসাইকেল ২৪১টি, থ্রি-হুইলার ১৫৩টি, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ৪২টি, বাইসাইকেল-রিকশা ২৬টি এবং অজ্ঞাত যানবাহন ৩২টি।
সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনা ঘটেছে ভোরে ৪.৮৬ শতাংশ, সকালে ২০.৯৭ শতাংশ, দুপুরে ১৯.১০ শতাংশ, বিকালে ১৭.৭৯ শতাংশ, সন্ধ্যায় ১৯.৮৫ শতাংশ এবং রাতে ১৭.৪১ শতাংশ।
বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ২৬.৪০ শতাংশ ও প্রাণহানি ২৪.৬৩ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৬.১০ শতাংশ ও প্রাণহানি ১৪.০৭ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ২০.৯৭ শতাংশ ও প্রাণহানি ২২.৯৮ শতাংশ, খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ১২.১৭ শতাংশ ও প্রাণহানি ১৪.৪৯ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৬.৩৬ শতাংশ ও প্রাণহানি ৬.২১ শতাংশ, সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৫.৬১ শতাংশ ও প্রাণহানি ৪.৯৬ শতাংশ, রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ৭.১১ শতাংশ ও প্রাণহানি ৭.২৪ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৫.২৪ শতাংশ ও প্রাণহানি ৫.৩৮ শতাংশ।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১৪১টি দুর্ঘটনায় ১১৯ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ৩০টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত হয়েছেন। একক জেলা হিসেবে চট্টগ্রাম জেলায় সবচেয়ে বেশি ৪১টি দুর্ঘটনায় ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম শেরপুর ও পঞ্চগড় জেলায়, জেলাদুটিতে ৯টি করে দুর্ঘটনায় ২ জন করে নিহত হয়েছেন।
নিহতদের পেশাগত পরিচয় অনুযায়ী, শিক্ষার্থী ৫৭ জন, স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ২৩ জন, ওষুধ ও বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী বিক্রয় প্রতিনিধি ১৭ জন, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ১৪ জন, শিক্ষক ১৩ জন, বিভিন্ন ব্যাংক–বীমা কর্মকর্তা ও কর্মচারী ৯ জন, এনজিও কর্মী ৭ জন, পোশাক শ্রমিক ৬ জন, চিকিৎসক ৫ জন, পুলিশ সদস্য ৪ জন, নির্মাণ শ্রমিক ৪ জন, সাংবাদিক ৩ জন, প্রতিবন্ধী ৩ জন, আইনজীবী ২ জন, র্যাব সদস্য ১ জন, সেনা সদস্য ১ জন এবং স্বর্ণকার ১ জন নিহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন ও সড়ক, বেপরোয়া গতি, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা ও অদক্ষতা, নির্দিষ্ট বেতন ও কর্মঘণ্টা না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজিকেই দায়ী করা হয়েছে।
সুপারিশে দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, বিআরটিএ’র সক্ষমতা বৃদ্ধি, ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ করে সার্ভিস রোড নির্মাণ, পর্যায়ক্রমে রোড ডিভাইডার স্থাপন, গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ, রেল ও নৌ-পথ সংস্কার, টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন এবং সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত অক্টোবর মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে ১৪.২২ জন নিহত হলেও নভেম্বর মাসে প্রতিদিন গড়ে নিহত হয়েছেন ১৬.১ জন। এই হিসেবে নভেম্বর মাসে প্রাণহানি বেড়েছে ১৩.২২ শতাংশ।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলেছে, অধিকাংশ দুর্ঘটনা অতিরিক্ত গতির কারণে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘটছে। গতি নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি এবং চালকদের মোটিভেশনাল প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। পাশাপাশি যানবাহনের বেপরোয়া গতি ও পথচারীদের অসচেতনতার কারণে পথচারী নিহতের ঘটনা বাড়ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এজন্য সরকারি উদ্যোগে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অধিকাংশ চালকের নিয়োগপত্র, বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকায় তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন এবং বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালাচ্ছেন।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে পরিবহন শ্রমিকদের পেশাগত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সড়ক পরিবহন নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত সংস্কার করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
ঢাকার ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র চালু হয়েছে
নিরাপত্তাজনিত কারণে গতকাল দুপুরের পর বন্ধ করে দেওয়া হয় ঢাকার ভারতীয় ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টার (আইভ্যাক)। তবে আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকে ভিসা সেন্টারের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আইভ্যাকের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে একজন কর্মকর্তা বলেন, আমরা আবেদনকারীদের সম্মুখীন হওয়া সমস্যাগুলো বুঝতে পারছি। পরিবর্তনশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতির ভিত্তিতে আইভ্যাকের কার্যক্রম পুনরায় মূল্যায়ন করা হবে।
বিদ্যমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির আলোকে বাংলাদেশের অন্যান্য আইভ্যাকগুলোর ভিসা পরিষেবাও পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
এর আগে চলমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা থেকে রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আইভ্যাক বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ প্রকাশ করা হয়।
নোটিশে বলা হয়, উদ্ভূত নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে বুধবার দুপুর ২টার পর আর কোনো কার্যক্রম চলবে না।
এতে আরও বলা হয়, যেসব আবেদনকারীর আজকের (বুধবার) স্লট বা অ্যাপয়েন্টমেন্ট নির্ধারিত ছিল, তাদের জন্য পরবর্তী সময়ে নতুন একটি তারিখ ও সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।
১৫ ঘণ্টা আগে
সুদানে আহত বেড়ে ৯, শান্তিরক্ষীদের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাল আইএসপিআর
সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ড্রোন হামলায় আরও একজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে করে দেশটিতে আহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের সংখ্যা ৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানিয়েছে, সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৮ জন শান্তিরক্ষী আহত হন। পরবর্তীতে প্রাপ্ত হালনাগাদ তথ্যে আরও একজন শান্তিরক্ষী আহত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ায় মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুততম সময়ে সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছে। বর্তমানে তারা কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে অবস্থিত আগা খান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ইতোমধ্যে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ত্যাগও করেছেন। বর্তমানে আহতদের সবাই আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া, ওই হামলায় নিহত ছয় শান্তিরক্ষীর মরদেহ আগামী ২০ ডিসেম্বর ঢাকায় ফেরানোর কথা রয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে প্রত্যাবর্তনের পর যথাযথ মর্যাদায় তাদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
গত ১৩ ডিসেম্বর আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিকস বেইসে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী পরিচালিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ জন দায়িত্বরত শান্তিরক্ষী নিহত হন।
১৬ ঘণ্টা আগে
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা মানে দায়িত্বহীনতা নয়: বিজয় দিবসের আলোচনায় রাষ্ট্রদূত মুশফিক
মেক্সিকোতে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে মহান বিজয় দিবস ২০২৫ উদযাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাস, মেক্সিকো সিটি কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং বিপুলসংখ্যক প্রবাসী অংশগ্রহণ করেন।
দিবসব্যাপী কর্মসূচির সূচনা সকালেই দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে হয়। এরপর দূতাবাসের মিলনায়তনে একটি বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় রাষ্ট্রদূত জনাব মুশফিকুল ফজল আনসারী মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সকল বীর, স্বাধীনতার অগ্রণায়ক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানসহ সকল বীর সেনানীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং মহান বিজয় দিবসের ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত মুশফিক তার বক্তব্যে বলেন, ‘১৯৭১ সালের এই গৌরবময় দিনে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। তাদের আত্মত্যাগ, বীরত্ব ও অসীম সাহস জাতির ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে। স্বাধীনতা কেউ কোনো সোনার থালায় এনে দেয়নি, এটি ছিনিয়ে নিতে হয়েছে রক্তস্নাত যুদ্ধ, ত্যাগ ও আত্মবিসর্জনের বিনিময়ে। সেই অদম্য সাহস ও প্রতিবাদের উত্তরাধিকার আমরা দেখেছি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে, যেখানে নির্ভীক তরুণরা নিপীড়ন, অন্যায় ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিল।’
রাষ্ট্রদূত মুশফিক সতর্ক করে বলেন, ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অবশ্যই অবারিত থাকবে। তবে এর নামে গণতন্ত্র হত্যাকারী, খুনী ও লুটেরা চক্রকে পুনর্বাসনের চক্রান্ত মেনে নেওয়া যায় না। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা মানে দায়িত্বহীনতা নয়। আমাদের বক্তব্য, বিবৃতি বা সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত কোনো কন্টেন্ট যেনো সামাজিক অস্থিরতা বা সহিংসতাকে উসকে না দেয়।’ তিনি ফ্যাসিবাদী শক্তির পুনরুত্থান রোধে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি কমিউনিটির একজন তরুণ বিজয় দিবস উপলক্ষে তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন। এছাড়া রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। প্রবাসী বাংলাদেশি শিশুদের অংশগ্রহণে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশিত হয়। কর্মসূচির সমাপনীতে দূতাবাসের গার্ডেনে অতিথিদের জন্য বিশেষ আপ্যায়নের আয়োজন করা হয়।
রাষ্ট্রদূত মুশফিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান এবং ব্যবসা-বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘আসন্ন ১২ ফেব্রুয়ারী নির্বাচনের মাধ্যমে সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে এবং এর মাধ্যমে দেশে নতুন গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার সূচনা হবে।’
১ দিন আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন: প্রেস উইং
সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান আজ বুধবার দেশটিতে চিকিৎসাধীন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখযোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে দেখতে গিয়েছিলেন।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ৯:৪০ মিনিটে ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে হাদির চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি জানান, হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
প্রধান উপদেষ্টার থেকে বুধবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে হাদির জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন।
এর আগে, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেলে করে আসা দুই আততায়ীর একজন চলন্ত রিকশায় থাকা ওসমান হাদির মাথায় গুলি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
কিন্তু সেখানে অবস্থার খুব বেশি পরিবর্তন না হওয়ায় সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়।
১ দিন আগে
ভাতার দাবিতে আন্দোলন: সচিবালয়ের ১৪ কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত
সচিবালয় ভাতার দাবিতে আন্দোলন করা ১৪ জন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার। তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় আদালত চার্জশিট গ্রহণ করায় সরকারি চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করে ওই কর্মচারীদের বরখাস্ত করা হয়।
বরখাস্ত হওয়া কর্মচারীদের মধ্যে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবির, সহ-সভাপতি শাহীন গোলাম রাব্বানী ও নজরুল ইসলাম রয়েছেন।
এ ছাড়াও সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অন্য কর্মচারীরা হলেন—স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মো. তায়েফুল ইসলাম, বিকাশ চন্দ্র রায়, ইসলামুল হক, মো. মহসিন আলী, রোমান গাজী ও আবু বেলাল, তথ্য মন্ত্রণালয়ের মিজানুর রহমান সুমন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কামাল হোসেন ও মোহাম্মদ আলিমুজ্জামান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিপুল রানা বিপ্লব এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নাসিরুল হক।
সচিবালয় ভাতার দাবিতে গত ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সচিবালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে আন্দোলনে নামেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের নেতৃত্বে হওয়া ওই আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রায় ছয় ঘণ্টা সচিবালয়ের একটি দপ্তরে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা।
পরের দিনও আন্দোলন অব্যাহত থাকলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থান নেয়। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া কয়েকজন কর্মচারীকে সচিবালয় এলাকা থেকেই আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে আদালত তাদের রিমান্ডেও পাঠান।
সরকার দাবির বিষয়ে আশ্বাস দেওয়ার পরও আন্দোলন অব্যাহত রাখায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই আন্দোলনকারী কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো।
১ দিন আগে
আড়াই ঘণ্টা পর ইসলামবাগের আগুন নিয়ন্ত্রণে
ফায়ার সার্ভিসের আড়াই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় পুরান ঢাকার ইসলামবাগের বহুতল ভবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিটের চেষ্টায় বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় ইসলামবাগের চেয়ারম্যান ঘাট এলাকার ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের ওয়্যারহাউস পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের এই অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর ১টা ৫০ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে তাদের ছয়টি ইউনিট।
তখন আনোয়ারুল ইসলাম বলেছিলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে লালবাগ, হাজারীবাগ ও পলাশী থেকে দুটি করে মোট ৬টি ইউনিট কাজ করছে। সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশন থেকে ৩টি ইউনিট সেখানে যাচ্ছে।
তবে আগুনের ভয়বহতা বিবেচনায় ওই তিন ইউনিটের পর আরও দুটি ইউনিট তাদের সঙ্গে যোগ দেয়।
১ দিন আগে