বাংলাদেশ
শনিবার সিলেটের যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না
জরুরি মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ ও গাছের ডালপালা কাটার জন্য শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সিলেট নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিদ্যুৎ বিভাগের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ–১-এর প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরাফাত ও বিভাগ-২–এর প্রকৌশলী আবদুর রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তারা জানিয়েছেন, আগামী শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩৩/১১ কেভি আম্বরখানা উপকেন্দ্রের বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এই উপকেন্দ্রের অধীন এলাকাগুলো হলো: ইলেকট্রিক সাপ্লাই রোড, আম্বরখানা পয়েন্ট, রায়হুসেন গলি, মজুমদারী, সৈয়দমুগনী, লেচুবাগান, পীর মহল্লা (পূর্ব–পশ্চিম), হাউজিং এস্টেট, জালালাবাদ আবাসিক এলাকা, দরগাহ গেট, চন্দনটুলা, ঘূর্ণি আবাসিক এলাকা, দরগাহ মহল্লা, গৌরগোবিন্দ টিলা, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, পুরান লেন, লালবাজার, জল্লারপাড়, স্টেডিয়াম মার্কেট, মিয়া ফাজিলচিস্ত, পিটিআই, সুবিদবাজার, বনকলপাড়া, কলবাখানী, চাষনীপীর মাজার রোড, গোয়াইপাড়া, শাহী ঈদগাহ, হাজারীবাগ, টিবি গেট, উঁচা সড়ক, কাহের মিয়ার গলি, মক্তব গলি, কাজীটুলা, মীরবক্সটুলা, তাঁতীপাড়া ও আশপাশের এলাকা।
এ ছাড়াও সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বালুচর, সেনপাড়া ও শিবগঞ্জ ফিডার এলাকার অধীন শান্তিবাগ আবাসিক এলাকা, সোনার বাংলা আবাসিক এলাকা, নতুন বাজার, আল-ইসলাহ, আরামবাগ, বালুচর ছড়ারপাড়, ফোকাস, জোনাকী, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, আলুরতল, সেনপাড়া, শিবগঞ্জ, ভাটাটিকর, সাদিপুর, টিলাগড়, গোপালটিলা, এমসি কলেজ এলাকা, সবুজবাগ, বোরহানবাগ, হাতিমবাগ, লামাপাড়া, রাজপাড়া ও আশপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
তারা আরও জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের আগে কাজ শেষ হলে সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হবে। সাময়িক ভোগান্তির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে গ্রাহকদের সহযোগিতা কামনা করেছেন এই প্রকৌশলীরা।
১৬ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়ার জন্য সারা দেশে দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান সরকারের
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনা করে আগামী শুক্রবার বাদ জুমা দেশের সব মসজিদে দোয়ার আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ আহ্বান জানানো হয়।
পাশাপাশি মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডাসহ অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয়েও সংশ্লিষ্ট ধর্মের রীতি ও আচার অনুযায়ী প্রার্থনার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বার্তায় আরও বলা হয়েছে, দেশের সর্বস্তরের মানুষকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দোয়া ও প্রার্থনার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
১২ দিন ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার শারীরিক অবস্থা এখনো উদ্বেগজনক। তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।
২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ১১ দিন ধরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখনো উদ্বেগজনক। তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।
২১ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ ও গঠন প্রক্রিয়া বৈধ: আপিল বিভাগ
সুপ্রিম কোর্টের রেফারেন্সের আলোকে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ গ্রহণ ও এই সরকার গঠনের প্রক্রিয়া বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রিটকারীর লিভ টু আপিল খারিজ করে বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে গতকাল (বুধবার) অন্তর্বর্তী সরকার গঠন ও শপথ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে পাঠানো রেফারেন্স এবং মতামত প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ করে করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল সংক্রান্ত বিষয়ে আদেশের জন্য আজ বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
এদিন লিভ টু আপিলের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ। ইন্টারভেনার (পক্ষ) হিসেবে যুক্ত হওয়া লেখক ফিরোজ আহমেদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া। সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে মতামত চান। এরপর আপিল বিভাগের মতামতের ভিত্তিতে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয় এবং উপদেষ্টারা শপথ নেন।
পরবর্তী সময়ে সরকার গঠনের এ প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ করে গত বছরের ডিসেম্বরে আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
রিট আবেদনে বলা হয়, যে বিষয়টি (অন্তর্বর্তী সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা) সংবিধানে নেই, সে বিষয়ে রেফারেন্স চাওয়া যায় না। সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রেফারেন্সের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের রুলস অনুসরণ করতে হয়, কিন্তু এক্ষেত্রে তা করা হয়নি।
ওই রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেন। পরে হাইকোর্টের ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন এ আইনজীবী।
রিট খারিজের আদেশে হাইকোর্ট তখন বলেছিলেন, এক ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের উপদেশমূলক মতামত গ্রহণ করেছেন এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছেন। তাই এটি আইনি দলিল ও জনগণের ইচ্ছার সমর্থনপুষ্ট।
আদালত আরও উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসের অংশ এবং আগামী বহু বছর জনগণ তা স্মরণে রাখবে। দেশের জনগণ বৈধতা দেওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না।
সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদে ‘সুপ্রিম কোর্টের উপদেষ্টামূলক এখতিয়ার’-এর কথা বলা আছে। এতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির কাছে যদি মনে হয় জনগুরুত্বপূর্ণ কোনো আইনি প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে বা হতে পারে এবং এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের মতামত নেওয়া প্রয়োজন, তাহলে তিনি প্রশ্নটি আপিল বিভাগের কাছে পাঠাতে পারবেন। আপিল বিভাগ উপযুক্ত শুনানির পর রাষ্ট্রপতিকে মতামত জানাতে পারবেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেন। ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এ সরকার গঠন ও উপদেষ্টাদের শপথের আগে রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের কাছে মতামত চেয়ে রেফারেন্স পাঠান।
রাষ্ট্রপতির বিশেষ রেফারেন্স (১/২৪) অনুযায়ী তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগ ওই বছরের ৮ আগস্ট মতামত দেন।
সর্বোচ্চ আদালতের মতামতে বলা হয়, রাষ্ট্রের সাংবিধানিক শূন্যতা পূরণে জরুরি প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের নির্বাহী কার্য পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের নিয়োগ দিতে পারবেন এবং তাদের শপথ পাঠ করাতে পারবেন।
২১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীতে আবারও ভূমিকম্প অনুভূত, উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় আবারও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ১৪ মিনিটে এ কম্পন অনুভূত হয়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সকাল ৬টা ১৪ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডে এই কম্পন অনুভূত হয়। হালকা মাত্রার এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর শিবপুর, রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১।
রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্র থেকে ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ছিল ৩৮ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ইউরো-মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল গাজীপুরের টঙ্গী থেকে ৩৩ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তরপূর্বে, আর নরসিংদী থেকে ৩ কিলোমিটার উত্তরে। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ৩০ কিলোমিটার।
এর আগে, গত শুক্র (২১ নভেম্বর) ও পরদিন শনিবার প্রায় ৩১ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা ও এর আশপাশে চারবার ভূমিকম্প হয়। এর মধ্যে শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎস ছিল নরসিংদীর মাধবদী। উৎপত্তিস্থলের গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
শুক্রবারের ভূমিকম্পে দুই শিশুসহ ১০ জন প্রাণ হারান। এর মধ্যে ঢাকায় চারজন, নরসিংদীতে পাঁচজন ও নারায়ণগঞ্জে একজন নিহত হন। এ ছাড়া বিভিন্ন জেলায় কয়েকশ’ মানুষ আহত হন।
২১ ঘণ্টা আগে
১৬ মাসে খুলনায় ৪৮ খুন, নভেম্বরেই ৭
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর গত ১৬ মাসে খুলনায় ৪৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে সন্ত্রাসীদের অভ্যন্তরীণ বিরোধ, মাদক ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে হত্যা করা হয়েছে ২০ জনকে। কেবল গত নভেম্বর মাসেই ৭ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
একের পর এক হত্যাকাণ্ডে ভয় আর আতঙ্কের নগরীতে পরিণত হচ্ছে খুলনা। দিনদুপুরে আদালত এলাকার মতো জনবহুল জায়গায় হওয়া সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড সাধারণ মানুষকে আরও উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।
পুলিশের তথ্য বলছে, গত ১৬ নভেম্বর দুপুরে নগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনারের কালভার্ট এলাকায় বাড়ির মধ্যে নানি মহিতুন্নেসা (৫৫), তার নাতি মুস্তাকিম (৮) এবং নাতনি ফাতিহাকে (৬) হত্যা করা হয়। ওই রাতেই করিমনগরে নিজ বাড়ির ভেতর আলাউদ্দিন মৃধা নামের এক যুবককে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
২৭ নভেম্বর রাতে খালিশপুর ফেয়ার ক্লিনিকের সামনে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় ইমান নামের এক যুবককে। সর্বশেষ রবিবার (৩০ নভেম্বর) আদালত চত্বরে আরও দুটি খুনের ঘটনা ঘটল।
একের পর খুনে উদ্বিগ্ন নাগরিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। ধারাবাহিক হত্যা ও সহিংস ঘটনার প্রতিবাদে খুলনা মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এ ছাড়া আইনশৃখলা পরিস্থিতি অবনতির প্রতিবাদে গত শনিবার নগরীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে আইন অধিকার বাস্তবায়ন ফোরাম। তার এক দিন পরেই আরও দুটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটল।
সংশ্লিষ্টরা জানান, নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে চরমপন্থীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল খুলনা। নতুন শতাব্দীর শুরুতেও তা বহাল ছিল। বোমা মেরে অথবা গুলি করে মানুষ হত্যা নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়। চরমপন্থী সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ হারায় সাংবাদিকসহ অসংখ্য মানুষ। পরবর্তীতে তৎকালীন চার দলীয় জোট সরকার দক্ষিণাঞ্চলসহ সারা দেশের সন্ত্রাস দমনে র্যাব গঠন করে। যৌথবাহিনীর সমন্বয়ে শুরু হয় অপারেশন ক্লিনহার্ট, অপারেশন স্পাইডার ওয়েব। এসব অভিযানে অধিকাংশ চরমপন্থী নিহত হন, অনেকে গ্রেপ্তারও হন। ধীরে ধীরে শান্তি ফিরে আসে খুলনাসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে।
খুলনার আইনশৃখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আবারও বিশেষ অভিযান শুরুর দাবি জানিয়েছেন নাগরিক নেতারা।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, ‘বেশিরভাগ হত্যার কারণ উদ্ঘাটন করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। এই (আদালত চত্বরে) হত্যার সঙ্গে জড়িতরাও দ্রুত গ্রেপ্তার হবেন।’
২২ ঘণ্টা আগে
ওয়ার্ল্ড রোবট অলিম্পিয়াডের সেরা দশে বাংলাদেশের ৩ দল
সিঙ্গাপুরে আয়োজিত বিশ্বের অন্যতম সম্মানজনক রোবটিকস প্রতিযোগিতা ‘ওয়ার্ল্ড রোবট অলিম্পিয়াড ২০২৫’-এ বাংলাদেশের তিনটি দল সেরা দশে স্থান অর্জন করেছে।
এই তিন দলের মধ্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু নাফিস মোহাম্মদ নূরের নেতৃত্বাধীন টিম লেজি গো ফিউচার ইঞ্জিনিয়ার্স ক্যাটাগরিতে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করেছে। বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী আফিয়া হুমায়রার নেতৃত্বাধীন সাইবার স্কোয়াড ফিউচার ইনোভেটরস ক্যাটাগরির জুনিয়র গ্রুপে নবম স্থান পেয়ে রৌপ্য পদক জিতেছে। এছাড়া মাস্টারমাইন্ড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষার্থী ফাতিন আল হাবিবের নেতৃত্বাধীন সোরাল্যাবস ফিউচার ইনোভেটরস ক্যাটাগরির সিনিয়র গ্রুপে নবম স্থান অর্জন করে রৌপ্য পদক লাভ করেছে।
গত ২৬ থেকে ২৮ নভেম্বর সিঙ্গাপুরের মেরিনা বেই স্যান্ড এক্সপোতে রোবটিকস ও প্রযুক্তির এই বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ থেকে নয়টি দল এবারের আসরে অংশ নেয়। আন্তর্জাতিক এই প্রতিযোগিতায় সেরা দশের বাইরে আরও কয়েকটি দল পদক লাভ করেছে। এর মধ্যে টিম ইনক্রেভো ফিউচার ইনোভেটরস ক্যাটাগরির সিনিয়র গ্রুপে সিলভার পদক, টিম ডমিনাস রোবোমিশন ক্যাটাগরির এলিমেন্টারি গ্রুপে ব্রোঞ্জ পদক, টিম নেক্সোরা রোবোমিশন ক্যাটাগরির জুনিয়র গ্রুপে ব্রোঞ্জ পদক এবং টিম এক্স-ফ্যানাটিক রোবোমিশন ক্যাটাগরির সিনিয়র গ্রুপে ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেছে।
ফিউচার ইঞ্জিনিয়ার্স ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের টিম ইকো ড্রিফট ২৯তম স্থান অধিকার করেছে। রোবোস্পোর্টস ক্যাটাগরিতে ৫৬টি দলের মধ্যে বাংলাদেশের দল ফিউশনবোটিক্স গ্রুপ পর্বে চতুর্থ স্থান অর্জন করে।
টিম লেজি গো দলের সদস্যরা হলেন: ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু নাফিস মোহাম্মদ নূর, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের রাকিবুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের ইকবাল সামিন।
টিম ইকো ড্রিফট দলের সদস্যরা হলেন: ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের নুরুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. সালেহ সাদিক এবং লিডিং ইউনিভার্সিটির মাজেদুল ইসলাম।
সাইবার স্কোয়াড দলের সদস্যরা হলেন: তায়েফ মাহমুদ, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের আফিয়া হুমায়রা এবং ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ড স্কুলের হুমায়রা আফিয়া।
টিম ইনক্রেভো দলের সদস্যরা হলেন: সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের নাফিস ইশতিয়াক, মো. আব্দুল্লাহ আল মিজান এবং মো. সাজ্জাদ আল ফুয়াদ।
সোরাল্যাবস দলের সদস্যরা হলেন: রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুদীপ্ত মন্ডল, মাস্টারমাইন্ড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ফাতিন আল হাবিব এবং হলি ক্রস কলেজের ফাতেমা হারুন।
ফিউশনবোটিক্স দলের সদস্যরা হলেন: বিএএফ শাহীন ইংলিশ মিডিয়াম কলেজের মেহতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের মুয়াজ ইবনে বাশার।
টিম এক্স-ফ্যানাটিক দলের সদস্যরা হলেন: মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের মাহির তাজওয়ার চৌধুরী, ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের আমিন আনোয়ার আইমান এবং রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের মুয়াম্মার দাইয়ান অরিত্র।
টিম নেক্সোরা দলের সদস্যরা হলেন: রামু ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজের আফিফা জাফরীন, ইশরাত জাহান এবং মরিয়ম হোসেন।
টিম ডমিনাস দলের সদস্যরা হলেন: প্লেপেন স্কুলের রুওয়াইজা আমিরা সুলতান এবং লাইটহাউস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ইউসুফ আব্দুল্লাহ বিন আলম।
এর আগে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হয় ওয়ার্ল্ড রোবট অলিম্পিয়াড ২০২৫-এর বাংলাদেশ জাতীয় পর্ব। জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ীদের নিয়ে প্রায় এক মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক দল নির্বাচনী ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। এই ক্যাম্পে সাফল্য ও দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ দল।
১ দিন আগে
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে এভারকেয়ারে প্রধান উপদেষ্টা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা প্রায় আধা ঘণ্টা হাসপাতালে অবস্থান করেন। এ সময় তিনি খালেদা জিয়ার পরিবার ও দলের নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানান।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার পর হাসপাতালে পৌঁছান তিনি। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে ইউএনবিকে এ তথ্য জানানো হয়।
হাসপাতালে পৌঁছালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ. জে. এম. জাহিদ হোসেন, অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলের স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান এবং ছোট ভাই শামীম এসকান্দার প্রধান উপদেষ্টাকে রিসিভ করেন।
বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে তার চিকিৎসক দল প্রধান উপদেষ্টাকে ব্রিফ করেন। তারা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট সিনাই ও জনস হপকিন্স এবং যুক্তরাজ্যে ও চীনসহ বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধান ও সহায়তায় বেগম জিয়ার চিকিৎসা চলছে।
এ সময় সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
একই সঙ্গে তিনি দেশবাসীর কাছে বেগম খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান জানান।
হাসপাতাল পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।
২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ১১ দিন ধরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখনো উদ্বেগজনক। তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।
১ দিন আগে
নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন জেড আই খান পান্না, হাসিনার নতুন আইনজীবী আমির হোসেন
আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক দুই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হয়েছেন মো. আমির হোসেন।
শেখ হাসিনার পক্ষে শুনানি করতে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না অপারগতা প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়ে আবেদন করার পর বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আমির হোসেনকে নিয়োগের আদেশ দেন।
গুমের এই দুই মামলায় শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী হতে চাইলে গত ২৩ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল-১ জেড আই খান পান্নাকে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেন। তবে পরবর্তীতে তিনি হাসিনার পক্ষে আইনজীবী হবেন না বলে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি পাঠান। আজ (বুধবার) বিষয়টি জেনে ট্রাইব্যুনাল জেড আই খান পান্নাকে ডেকে পাঠান। এরপর এই আইনজীবী ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে তার শারীরিক অসুস্থতার বিষয় তুলে ধরে নিজেকে শেখ হাসিনার আইনজীবীর দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা বলেন।
গুমের এ মামলায় আজ শুনানি শুরু করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। শুনানির একপর্যায়ে স্টেট ডিফেন্সের আইনজীবী জেডআই খান পান্নাকে ফোন করে ট্রাইব্যুনালে আসতে বলেন। ঠিক ১০ মিনিট পর হুইলচেয়ারে করে অন্য আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে আসেন পান্না।
এ সময় প্রসিকিউশনের শুনানি থামিয়ে পান্নার কাছে শুনতে চান ট্রাইব্যুনাল। সুস্থ আছেন কিনা জানতে চেয়ে তার উদ্দেশে ট্রাইব্যুনাল বলেন, আপনি শেখ হাসিনার পক্ষে নিয়োগ পেয়েছেন। আপনি আসেননি কেন? আপনার অনুপস্থিতিতে শুনানি করতে হয়েছে। চাইলে আবার শুনানি হবে।
জবাবে পান্না বলেন, আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তবে এ মামলায় না দাঁড়ানোর জন্য আমি রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, আপনার ক্লায়েন্ট হাজির হবেন না, আপনিও আসবেন না। আপনি নিজেই আগ্রহ দেখিয়েছেন আইনজীবী হওয়ার জন্য। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা অর্ডার (আদেশ) দিয়েছি। আপনি না করতে চাইলে ট্রাইব্যুনালে এসে বলতে হবে। এ ছাড়া আপনি এক ভিডিওবার্তায় ট্রাইব্যুনাল নিয়ে মন্তব্য করেছেন যে, আপনার ক্লায়েন্ট এই আদালত মানেন না, এ জন্য আপনিও মানেন না। এটা কি আপনি বলতে পারেন?
জেডআই খান পান্না বলেন, আমি আনকনডিশনাল অ্যাপোলজি (নিঃশর্ত ক্ষমা) চাই।
পরে এ মামলায় লড়ার কথা ফের জানতে চান ট্রাইব্যুনাল। তখন ‘না’ জবাব দেন এই আইনজীবী।
এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘আমরা আশা করব, আপনার কাছ থেকে সহায়তা পাব।’ একইসঙ্গে তার বদলে কাকে নিয়োগ দেওয়া হবে পরামর্শ চান ট্রাইব্যুনাল। তবে কারও নাম না বলায় মো. আমির হোসেনকে স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি এর আগেও শেখ হাসিনার পক্ষে আইনি লড়াই করেছেন।
আজ ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউসন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম শুনানি করেন। এ সময় অপর প্রসিকিউটর ও আসামী পক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক দুই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিকী ও ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে গত ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালের পরোয়ানা জারির পর গত ১১ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে ১৫ জন কর্মরত সেনা কর্মকর্তাকে হেফাজতে নেওয়ার কথা জানায় সেনাবাহিনী।
আর্মি অফিসার্স মেসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেদিন সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, দুটি মামলার ৩০ জন আসামির মধ্যে ২৫ জনই সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে ৯ জন অবসরপ্রাপ্ত, একজন এলপিআরে গেছেন এবং বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন ১৫ জন।
পরবর্তীতে ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা করে গত ১২ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব মো. হাফিজ আলী সাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮-এর ধারা ৫৪১(১)-এর ক্ষমতাবলে এবং দি প্রিজন অ্যাক্টের ধারা ৩-এর বি অনুসারে ঢাকা ঢাকা সেনানিবাসের বাশার রোড-সংলগ্ন উত্তর দিকে অবস্থিত ‘এমইএস’ ভবন নম্বর-৫৪-কে সাময়িকভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হলো।
গ্রেপ্তার সেনা কর্মকর্তাদের পরবর্তীতে এই কারাগারে রাখা হয়।
১ দিন আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে সার বিতরণকালে মারধরের শিকার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় সার বিতরণের সময় মারধরের শিকার হয়েছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার উমরাডাঙ্গী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয়রা জানান, মল্লিক ট্রেডার্সের প্রতিনিধি মোজাম্মেল হোসেনের তত্ত্বাবধানে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আকতারুল ইসলামের উপস্থিতিতে কৃষকদের মধ্যে সার বিতরণ চলছিল। এ সময় তিনটি ভ্যানে করে ৩৩ বস্তা সার নিয়ে যাচ্ছিলেন পাঁচজন কৃষক। এতে সার নিতে আসা অন্য কৃষকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত দেখে একপর্যায়ে আকতারুল ইসলাম দুপুরের খাবার খাওয়ার কথা বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম তাকে সঙ্গে নিয়ে ফের বিতরণস্থলে এলে উপস্থিত লোকজন আকতারুল ইসলামের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর করেন। এতে তার দাঁত ভেঙে যায় এবং মাথায়ও গুরুতর আঘাত লাগে।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, সার বিতরণের শুরু থেকেই বাজার এলাকায় অস্বাভাবিক চাপ ছিল। সকাল থেকে কৃষকরা সার নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ দেখা যায়, ভ্যানে করে কয়েকজন কৃষক একসঙ্গে অনেক বস্তা সার নিয়ে চলে যাচ্ছেন। এতে লাইনে দাঁড়ানো লোকজনের মনে হয়, সার বুঝি শেষ হয়ে যাবে বা কাউকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এই চিন্তা থেকেই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় উমরাডাঙ্গী বাজারের ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন বলেন, সকালে শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই সার বিতরণ চলছিল। পরে দেখি কয়েকজন একসঙ্গে অনেক বস্তা সার তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তখন লাইনে থাকা লোকজন চেঁচামেচি শুরু করে। কে আগে সার পেল, কে পেল না—এ নিয়ে সবাই রেগে যায়।
ঘটনাস্থলে থাকা মোতালেব আলী বলেন, কৃষি কর্মকর্তারা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু ভিড় এত বেশি, আর মানুষের রাগ এমন জায়গায় পৌঁছায় যে, কেউ একজন কথা কাটাকাটি করতে গিয়েই মারামারি লেগে যায়।
ঘটনাস্থলের পাশের বাসিন্দা মিজান বলেন, কেউ ইচ্ছা করে মারধর করবে—এমন মনে হয় না। কিন্তু যে ভিড়টা তৈরি হয়েছিল, তাতে ঠেলা-ধাক্কা-উত্তেজনা মিলেই পুরো ঘটনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কর্মকর্তার দাঁত ভেঙে যাওয়া খুবই দুঃখজনক। এটা না হলেই ভালো ছিল।
এ বিষয়ে রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, রোগীর অবস্থা ভালো নয়। মাথায় জখম হয়েছে, দাঁত ভেঙে গেছে। চিকিৎসা শেষে ভুক্তভোগীর মতামত অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১ দিন আগে
এভারকেয়ারের কাছে হেলিকপ্টার মহড়া কাল, বিভ্রান্ত না হওয়ার পরামর্শ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যেখানে চিকিৎসাধীন, সেই এভারকেয়ার হাসপাতালের কাছে দুটি মাঠে সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার পরীক্ষামূলকভাবে ওঠানামা করবে জানিয়ে এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বুধবার (৩ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর (এসএসএফ) নিরাপত্তা প্রটোকল অনুযায়ী আগামীকাল (৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে এভারকেয়ার হাসপাতালের নিকটস্থ দুটি উন্মুক্ত মাঠে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার পরীক্ষামূলক অবতরণ ও উড্ডয়ন পরিচালনা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে কোনো ধরনের অপপ্রচার বা বিভ্রান্তি থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) হিসেবে এভারকেয়ারে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়াকে নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
তার নিরাপত্তা ও যাতায়াতের সুবিধা এবং উচ্চ মর্যাদা বিবেচনায় এ উদ্যোগ নেয় সরকার।
সে অনুযায়ী ওই দিন দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ভিভিআইপি বিশেষ নিরাপত্তায় নিয়োজিত এসএসএফ সদস্যরা এভারকেয়ার হাসপাতালে দায়িত্ব পালন শুরু করেন।
১ দিন আগে