বাংলাদেশ
হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে শাহবাগ অবরোধ
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্রশক্তি।
এ সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করার অভিযোগ তুলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগও দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে জাতীয় ছাত্রশক্তির নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। পরে তারা শাহবাগ মোড়ে গিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন।
অবরোধের ফলে শাহবাগ এলাকায় যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
জাতীয় ছাত্রশক্তির সভাপতি আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘আমরা আজকে শান্তিপূর্ণ ও গণতন্ত্রিক আন্দোলন কর্মসূচি পালন করব। আমাদের আন্দোলন জনদুর্ভোগ তৈরি করার জন্য নয়। আমাদের কর্মসূচি জনমত ও ন্যায়ের কর্মসূচি। আমরা আশা করি, অন্তর্বতী সরকার এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন যাতে জনদূর্ভোগ কম হয়।’
দুপুর দেড়টার দিকে ১টা ৩০ মিনিটে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চলছিল।
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেলে করে আসা দুই আততায়ীর একজন চলন্ত রিকশায় থাকা ওসমান হাদির মাথায় গুলি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
কিন্তু সেখানে অবস্থার খুব বেশি পরিবর্তন না হওয়ায় আজ (সোমবার) দুপুরে হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের পথে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স
উন্নত চিকিৎসার জন্য ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটের দিকে থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এস এম রাগিব সামাদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, বেলা ১১টা ২২ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকায় এসে পৌঁছায়। এরপর দুপুর ১টা ১০ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে হাদিকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। অ্যাম্বুলেন্সটি বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে দেড়টার দিকে অ্যাম্বুলেন্স থেকে হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়।
ওসমান হাদির সঙ্গে তার ভাই ওমর বিন হাদি এবং ওসমান হাদির বন্ধু আমিনুল হাসান ফয়সাল সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর জানায়, সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাকসিডেন্ট অ্যান্ড ইমার্জেন্সি বিভাগে হাদির চিকিৎসার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তার উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে সরকার টানা দুদিন ধরে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার বিভিন্ন হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
এর আগে রোববার এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের পরামর্শ এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়। পরবর্তীতে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়–বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. জাফর এবং হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
হাদিকে সিঙ্গাপুর নিতে শাহজালালে পৌঁছেছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নিতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা ২২ মিনিটে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহৃত ওসপ্রে এভিয়েশনের গালফস্ট্রিম জি-১০০ সিরিজের প্রাইভেট জেটটি বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এস এম রাগিব সামাদ জানিয়েছেন, দুপুর দেড়টায় হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে শাহজালাল ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটির।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পল্টনের বিজয়নগর এলাকায় মোটরসাইকেলে এসে দুই দুর্বৃত্ত শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে আজ সরকারি খরচে এয়ার এম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুর পাঠানো হচ্ছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
রেল ও নদীপথ ঢেলে সাজিয়ে যোগাযোগব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে: পরিকল্পনা উপদেষ্টা
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, আমরা রাজনৈতিক বা বাণিজ্যিক স্বার্থে সড়ককে গুরুত্ব দিতে গিয়ে সস্তা রেল ও নদীপথকে উপেক্ষা করেছি। আমাদের রেল ও নদীপথকে ঢেলে সাজাতে হবে। মালামাল পরিবহনে সড়কপথের বিকল্প হিসেবে রেল ও নদীপথের অধিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকায় সড়ক ভবন মিলনায়তনে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর আয়োজিত অংশীজন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের জাতীয় সমন্বিত বহুমুখী পরিবহন মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের চলমান উদ্যোগের অংশ হিসেবে আয়োজিত এই অংশীজন সেমিনারের উদ্দেশ্য ছিল দেশের পরিবহন ব্যবস্থার সমন্বিত ও টেকসই উন্নয়নকে আরও শক্তিশালী করা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মঈনুদ্দিন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা বলেন, পরিবহন সেক্টরে উন্নয়ন কার্যক্রমে সমন্বয়ের অভাবে অন্যান্য খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ক্ষতি এড়াতে সমন্বিত যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থার প্রতি সরকার গুরুত্বারোপ করছে। এর অন্যতম উদ্দেশ্য ন্যাচারাল হাইওয়ে (প্রাকৃতিক মহাসড়ক) বাধাগ্রস্ত না করা, এক ধরনের যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নির্ভরতা কমানো এবং যথাযথ তথ্য উপাত্তনির্ভর পরিবহন নেটওয়ার্ক স্থাপন করা।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হক। এ সময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও নগর পরিকল্পনাবিদরা উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সরকারি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, বন্দর ও টার্মিনাল কর্তৃপক্ষ, বেসরকারি খাত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, নাগরিক সমাজ সংগঠন এবং অন্যান্য অংশীদারদের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধিরাও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। তারা এই বিকল্প বহুমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেন ও বিভিন্ন সুপারিশ করেন। এ বিষয়ে পরবর্তীতে অংশীজনদের নিয়ে পৃথক সেমিনার আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।
এ ছাড়া সেমিনারে প্রাপ্ত মতামত ও সুপারিশসমূহ প্রাথমিক মূল্যায়ন ও কৌশলগত রোডম্যাপের পরিমার্জনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যা দেশে একটি পূর্ণাঙ্গ, সমন্বিত ও বাস্তবায়নযোগ্য জাতীয় সমন্বিত বহুমুখী পরিবহন মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের পথ প্রশস্ত করবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
১৪ ঘণ্টা আগে
চার স্তরের নিরাপত্তায় শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ
আগামীকাল ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। পাকিস্তানের শাসন-শোষণ থেকে বাঙালির মুক্তির ৫৪তম বার্ষিকী। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে জাতির শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হতে প্রস্তুত সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
ইতোমধ্যে পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকা ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রঙ-তুলির আঁচড়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। স্মৃতিসৌধ এলাকায় গ্রহণ করা হয়েছে চার স্তরের কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। এরই মধ্যে ১১ ডিসেম্বর থেকে সব দর্শনার্থীর জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চলছে।
নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে ইতোমধ্যে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, জেলা পুলিশ সুপারসহ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও বিভিন্ন সংস্থার বড় বড় কর্তাব্যক্তিরা একাধিকবার জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
রাজধানী ঢাকা থেকে স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত প্রায় ২৩ কিলোমিটার মহাসড়কে ১৩টি সেক্টরের মাধ্যমে ৪ হাজার পুলিশের ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ১৩ ডিসেম্বর থেকে সাদা পোশাকে এবং ইউনিফর্মে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে, যা ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবে।
এ বিষয়ে ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, জনগণ যতক্ষণ থাকবে, ততক্ষণ শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। ১৬ ডিসেম্বর প্রত্যুষে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, কূটনৈতিক কোরের ডিন, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা জাতীয় স্মৃতিসৌধে নাম না জানা লাখো শহীদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এ সময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টাকে তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সর্বসাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধ খুলে দেওয়া হবে। পরে সাধারণ জনগণের পাশাপাশি সেখানে শ্রদ্ধা জানাবেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা।
ঢাকা জেলা পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সাভারের আমিনবাজার থেকে শুরু করে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত করার পাশাপাশি পোশাকে এবং সাদা পোশাকে চার হাজারের বেশি ফোর্স মোতায়েন করা হচ্ছে। তারা জনগণের জানমাল রক্ষাসহ সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।
এদিকে, তথ্য অধিদপ্তরের এক বার্তায় বলা হয়েছে, বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকার গাবতলী থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সড়কে কোনো ধরনের পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন লাগানো যাবে না। ওইদিন সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণকালে স্মৃতিসৌধের আকর্ষণীয় ফুলের বাগানের কোনোরকম ক্ষতি না করার জন্য সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিরাপত্তা প্রটোকল দেবে সরকার
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পুলিশের পক্ষ থেকে সকল রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) প্রেস উইং থেকে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা এবং আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা, তাদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া, গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় হামলাকারী ও তার সহযোগীদের পুলিশ ইতোমধ্যে শনাক্ত করেছে। তাদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ইতোমধ্যে জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে।
প্রেস উইং জানায়, প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য শুক্রবার রাতেই সবগুলো ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
দেশের ভেতরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে আরও জানানো হয়েছে, পুলিশ ইতোমধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া, এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে—এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে ইতোমধ্যে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।
প্রেস উইং বলেছে, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালকে বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণের অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেছে।
‘হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করা ও আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগত ভাবে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তার দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন।
‘ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে যেন তারা অনতিবিলম্বে তার এবং ভারতে পলাতক তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের এ সকল ফ্যাসিস্ট টেররিস্ট কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়।
‘ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, শরিফ ওসমান হাদির হত্যাচেষ্টাকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা রোধে ভারত সরকার যেন বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে এবং তারা ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে তাদের যেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে পাকড়াও করার উদ্যোগ নেয় এবং বাংলাদেশের কাছে তাদের প্রত্যর্পণ করে।’
১ দিন আগে
শেখ হাসিনার বক্তব্য ঘিরে ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্যের বিষয়ে ভারত সরকারের কাছে বাংলাদেশ সরকারের উদ্বেগ জানাতে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে ভারতীয় হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন পদ্মায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনাকে ‘বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার আহ্বান জানিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য অব্যাহত রাখার অনুমতি দেওয়ায়’ বাংলাদেশ সরকারের গভীর উদ্বেগের কথা ভারত সরকারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি দণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে দ্রুত প্রত্যর্পণের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
এ ছাড়াও আগামী নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার জন্য ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ সদস্যদের বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করার জন্য ভারত সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি বাংলাদেশের ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদিকে হত্যার চেষ্টায় জড়িত সন্দেহভাজনদের ভারতে পালিয়ে যাওয়া রোধ করতে এবং যদি তারা ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়, তবে তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার এবং বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ নিশ্চিত করতে ভারতের সহযোগিতা চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জোর দিয়ে বলেছে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ন্যায়বিচার সমুন্নত রাখা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া রক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানো ভারতের কাছ থেকে প্রত্যাশিত।
এ সময় ভারতের হাইকমিশনার বলেছেন, ভারত বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে এবং এ বিষয়ে তারা সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
১ দিন আগে
সুদানে হতাহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের পরিচয়সহ সর্বশেষ তথ্য জানাল আইএসপিআর
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে গতকাল (শনিবার) স্থানীয় সময় আনুমানিক দুপুর ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত ড্রোন হামলা চালায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী। হামলায় সেখানে দায়িত্বরত ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শহীদ এবং আটজন শান্তিরক্ষী আহত হন।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ ও আহত শান্তিরক্ষীদের নাম ও পরিচয় জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। সেইসঙ্গে আহতদের চিকিৎসার সর্বশেষ আপডেট জানানো হয়েছে।
শহীদ শান্তিরক্ষীরা হলেন: কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা, এএসসি (নাটোর); সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম, বীর (কুড়িগ্রাম); সৈনিক শামীম রেজা, বীর (রাজবাড়ি); সৈনিক শান্ত মন্ডল, বীর (কুড়িগ্রাম); মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (কিশোরগঞ্জ), লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া (গাইবান্ধা)।
আহত শান্তিরক্ষীরা হলেন: লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান, পিএসসি, অর্ডন্যান্স (কুষ্টিয়া); সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন, বীর (দিনাজপুর); কর্পোরাল আফরোজা পারভিন ইতি, সিগনালস (ঢাকা); ল্যান্স কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম, ইএমই (বরগুনা); সৈনিক মো. মেজবাউল কবির, বীর (কুড়িগ্রাম); সৈনিক মোসা. উম্মে হানি আক্তার, ইঞ্জি. (রংপুর); সৈনিক চুমকি আক্তার, অর্ডন্যান্স (মানিকগঞ্জ); সৈনিক মো. মানাজির আহসান, বীর (নোয়াখালী)।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানায়, আহত আটজন শান্তিরক্ষীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে সৈনিক মো. মেজবাউল কবিরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ইতোমধ্যে তার সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করা হয়েছে এবং বর্তমানে তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। অপর আহত সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং তারা সকলেই শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। শহীদ শান্তিরক্ষীদের আত্মত্যাগ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারের এক উজ্জ্বল ও গৌরবময় নিদর্শন হয়ে থাকবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হচ্ছে এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হচ্ছে।
১ দিন আগে
সিলেটে বিজিবি সদস্যদের ওপর মাদক কারবারিদের হামলা
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে মাদক কারবারিদের হামলার মুখে পড়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাধ্য হয়ে সে সময় বিজিবি সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছোড়েন। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়েছে।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম খান।
তিনি জানান, বিজিবি মামলা দায়ের করেছে। মামলায় ছয় থেকে সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৬ থেকে ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের চার রাস্তার মোড় ট্রলির লাইন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
বিজিবি সূত্র জানায়, মাদক পাচারের সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় টহলে যান বিজিবি সদস্যরা। এ সময় বেপরোয়া গতির একটি মোটরসাইকেলে ধাওয়া দিলে চালক মোটরসাইকেলটি ফেলে পালিয়ে যান। পরে সেখানে পড়ে থাকা ১৬৭ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করা হয়।
বিজিবির দাবি, তার অল্প সময়ের মধ্যেই ২০ থেকে ৩০ জনের একটি দল বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করে অতর্কিত হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একপর্যায়ে চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। এরপর হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যায়।
বিজিবি-৪৮ সিলেট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হক বলেন, মাদক কারবারিদের ধরতে গিয়ে বিজিবি সদস্যরা হামলার শিকার হন। আত্মরক্ষা ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৩ থেকে ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
১ দিন আগে
হাদিকে গুলির পর কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির নজরদারি বৃদ্ধি
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের পর থেকে কুমিল্লা সীমান্তজুড়ে টহল জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সীমান্তের যেসব এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই, সেখানে অতিরিক্ত নজরদারির পাশাপাশি ফোর্স বাড়ানো হয়েছে। গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে জেলার চৌদ্দগ্রাম, সদর দক্ষিণ ও সদর উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা ঘুরে এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গোলাবাড়ি, বিবিরবাজার, বৌয়ারা বাজার ও চৌদ্দগ্রামের আমানগড় এলাকায় বিজিবি সদস্যদের তৎপরতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
বিবিরবাজার এলাকার বাসিন্দা আবু হাশেম বলেন, ঢাকায় গুলির ঘটনার পর শুক্রবার ও শনিবার সীমান্ত অনেকটা গরম। বিজিবি চেকপোস্ট বাড়িয়েছে, যাকে পাচ্ছে তাকেই তল্লাশি করছে।
১ দিন আগে