ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার ষড়যন্ত্র দুই থেকে তিন মাস আগেই করা হয়েছিল বলে জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিএমপি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ।
তিনি বলেন, ‘ঢাকায় এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল কিন্তু বাংলাদেশে পুলিশের কঠোর নজরদারির কারণে অপরাধীরা তাকে কলকাতায় হত্যার পরিকল্পনা করে। মূলহোতা আখতারুজ্জামানের গুলশান ও বসুন্ধরার বাসায় এই হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।’
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
ডিবি প্রধান বলেন, ‘এমপিকে হত্যার পর লাশ খণ্ড খণ্ড করে হাড় থেকে মাংস আলাদা করে হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে দেয়। পরে, তারা একটি ব্যাগে করে কলকাতার ফ্ল্যাট থেকে বের করে নেয়।’
তবে দেহের অংশ বিশেষ কোথায় ফেলা হয়েছে তা স্পষ্ট নয় বলে জানান তিনি।
ডিবি প্রধান বলেন, পরিকল্পনার অংশ হিসেবে হত্যাকারীরা ২৫ এপ্রিল কলকাতায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেয়। ৩০ এপ্রিল হত্যার পরিকল্পনার মূল হোতা এবং আরও দুজন সেখানে যায়। এমপি আনোয়ারুল কলকাতায় যাবেন এ বিষয়ে তারা দুই মাস আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিলেন।
পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য মূল হোতা আরও দুই ব্যক্তি- জিহাদ বা জাহিদ এবং সিয়ামকে ভাড়া করে এবং একটি গাড়ি ভাড়া করে।
চিকিৎসার জন্য ১১ মে এমপি আনোয়ারুল কলকাতায় যান। ১২ মে তার বন্ধু গোপালের বাড়িতে যান এরপর ১৪ মে থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আনোয়ারুল আজিমকে কলকাতার কাছে নিউ টাউনের একটি ফ্ল্যাটে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।