গত জুলাই ও আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং দেশের কিছু জেলায় বন্যার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পেঁয়াজ, আলু ও কিছু কীটনাশক আমদানিতে শুল্ককর হ্রাস করেছে সরকার।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে এনবিআর।
এর আগে উদ্ভুত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কীটনাশক, আলু ও পেঁয়াজের মতো গুরুত্বপূর্ণ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য কমানোর ব্যবস্থা নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ করে।
সিদ্ধান্ত অনুসারে কীটনাশকের উপর প্রযোজ্য ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করে আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করে ও সমুদয় রেগুলেটরি শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর প্রত্যাহার করা হয়।
আরও পড়ুন: এনবিআর পরিদর্শনে গিয়ে কাজের গুরুত্ব তুলে ধরলেন অর্থ উপদেষ্টা
আলুর আমদানিতে বিদ্যমান ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে এবং প্রযোজ্য ৩ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পেঁয়াজের উপর প্রযোজ্য ৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এছাড়া আলু এবং পেঁয়াজ অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদনের মাধ্যমে যেহেতু দেশের মোট চাহিদার সিংহভাগ পূরণ করা হয়। আমদানি শুল্ক কম থাকলে দেশীয় উৎপাদন প্রতিরক্ষা হ্রাস পায়। ফলে কৃষককে আলু ও পেঁয়াজ উৎপাদনে উৎসাহিত করতে উল্লিখিত শুল্ক ছাড় সাময়িক সময় ধরে চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত কার্যকর করা হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের গৃহীত কার্যক্রমের ফলে পণ্য দুটির বাজারমূল্য সহনশীল পর্যায়ে থাকার আশা করা হচ্ছে।
দীর্ঘমেয়াদে কৃষকদের আলু ও পেঁয়াজ উৎপাদনে প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে বলেও এতে উল্লেখ হয়।
আরও পড়ুন: বড় কর ফাঁকিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা জোরদার করছে এনবিআর