নদীগর্ভে
কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙনে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে
কুড়িগ্রামে সবক'টি নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে ভাঙন। বিশেষ করে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা নদীর ভাঙনে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এছাড়া, হুমকিতে রয়েছে খিতাব খাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুল থেকে ৩০ থেকে ৩৫ মিটার দূরে অবস্থান করছে নদী। মাঝে একটি আঁকাবাঁকা রাস্তা, রাস্তার ধারে কিছু গাছপালা।
যে কোনো মুহূর্তে তিস্তা হিংস্র হয়ে উঠলে বিদ্যালয়টির অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। একই অবস্থা ওই ইউনিয়নের গতিয়াশাম কমিউনিটি ক্লিনিকের।
আরও পড়ুন: বিপদসীমার ২৮ সেমি ওপরে তিস্তার পানি
সরেজমিনে দেখা গেছে, তিস্তা নদীতে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন তীব্র হয়ে উঠেছে। গত ৩ মাস ধরে দফায় দফায় ভাঙছে তিস্তা।
এরমধ্যে শুধু খিতাবখাঁ গ্রামেই ইসমাইল হোসেন, রসুল, মোস্তাক, কদিমল, হাসেন আলী, ইউসুফ, দুলাল, আব্দুর রহিম, বালো, কছো মামুদ মমিন, হারুন, আবুল, আ. ছাত্তার, রফিকুল, অতুর আলী, রুস্তম, রফিকুল, আবুল হোসেন, মসুল, নুর ইসলাম, ফয়েজ, মাহাম্মদ, আবেদ, শফিকুল ইসলামসহ ৩০টি পরিবারের ভিটে মাটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অন্যান্য ৪টি গ্রামসহ এর সংখ্যা ৫০-এর উপরে।
উপজেলার ঘড়িয়ালডাঁঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখাঁ, গতিয়াশাম ও বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চতুরা, রামহরি এবং কালিরহাট গ্রামে শত শত একর ফসলি জমি ও গাছপালা গিলে খাচ্ছে তিস্তা নদী। বাড়িঘর হারিয়ে তাদের অনেকেই খোলা আকাশের নীচে মানবেতর দিনাতিপাত করছেন। এই গ্রামের অনেকে আবার মাঝেরচর নামক স্থানে নতুন বসতি স্থাপনের কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: তিস্তার ভাঙন: গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে শতাধিক পরিবার গৃহহীন
১ বছর আগে
যমুনার ভাঙনে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন
যমুনায় পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। দুই সপ্তাহে এ অঞ্চলের প্রায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়িসহ জায়গা জমি ও বহু গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পর অসংখ্য স্থাপনা এখন হুমকির মুখে রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উজানের ঢলের পানিতে ও প্রবল বর্ষণে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ওই এলাকার খাসপুকুরিয়া থেকে ভুতের মোড় পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অনেক সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
এর আগে ভাঙনে অর্ধশত বসতভিটা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদ, মাদরাসা, বাজার ও কয়েক’শ একর জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
স্থানীয় ভূক্তভোগীরা বলছেন, জুন মাসের শেষ দিক থেকে এ অঞ্চলে ভাঙন শুরু হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিনানই সেতুটি অর্ধেক অংশের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। এ সেতুটি যেকোনো সময় নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে। এ ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। এ বাঁধ নির্মাণ না হলে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাট-বাজারসহ বহু ঘরবাড়ি নদীগর্ভে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পড়ুন: টাঙ্গন নদী থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। ইতোমধ্যেই নিম্নাঞ্চলের তিল কাউন পাটসহ বিভিন্ন ফসল ডুবে গেছে।
এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন বলেন, চৌহালীর ভাঙন রোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে। ইতোমধ্যেই বিনানই বাজার ভাঙন রোধ হয়েছে এবং চরনাকালিয়া ভাঙ্গন রোধে কাজ চলছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (চৌহালীর দায়িত্বপ্রাপ্ত) সিরাজুল ইসলাম বলেন, চৌহালীর ভাঙনের কোন শেষ নেই। কোথা থেকে কোথায় ভাঙছে সে বিষয়ে হিসেব করাও সম্ভব হচ্ছে না। তবে এ ভাঙন রোধে সেখানে জরুরি ভিত্তিতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ নিক্ষেপ করা হচ্ছে।
পড়ুন: বন্যার আশঙ্কা: কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত
বাড়ছে পানি, ফরিদপুরে নদী ভাঙন শুরু
এছাড়া নদী তীর সংরক্ষণ বাঁধ প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
৩ বছর আগে