মরুভূমি
মিশরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭
মিশরের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ইসমাইলিয়া-সুয়েজ মরুভূমির সড়কে শুক্রবার একটি মিনিবাস ও প্রাইভেট কারের সংঘর্ষে সাতজন নিহত হয়েছেন।
দেশটির আহরাম পত্রিকা জানিয়েছে, সংঘর্ষের ফলে প্রাইভেট কারের ভেতরে থাকা অক্সিজেন সিলিন্ডার ও মিনিবাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে।
আরও পড়ুন: চীনে প্রবল বর্ষণে নিহত ১৫, নিখোঁজ ৩
যানবাহনে আটকে পড়ায় সাত জনের লাশ পুড়ে গেছে। লাশগুলো উদ্ধারের পর অ্যাম্বুলেন্সে করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, প্রাইভেটকারের চালক রাস্তার অপর পাশে ঘুরতে গেলে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
মিশরে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এবং প্রায় ক্ষেত্রে ট্রাফিক আইন মেনে না চলায় দেশটিতে সড়ক দুর্ঘটনা স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়ে।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনায় প্রথম মাঙ্কিপক্স শনাক্ত
গত কয়েক বছর ধরে, মিশর দুর্ঘটনা এড়াতে পুরানো সড়কগুলো মেরামত, নতুন রাস্তা ও সেতু নির্মাণ করছে।
২ বছর আগে
চাহিদার অর্ধেক পানিও সরবরাহ করতে পারছে না নাচোল পৌরসভা
তীব্র তাপদাহে চরম পানি সংকটে রয়েছে বরেন্দ্র অঞ্চলের চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল পৌরসভার নাগরিকরা। গ্রাহকদের চাহিদার অর্ধেক পানিও সরবরাহ করতে পারছে না পৌর কর্তৃপক্ষ। বিশুদ্ধ পানি নিতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে পানি সংগ্রহ করতে দেখা গেছে অনেককেই। তবুও পানি না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন নাগরিকরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, প্রতিবছরের এই সময়ে খাবার পানির সংকট থাকে বরেন্দ্র অঞ্চলের নাচোল পৌরসভায়। কিন্তু চলতি বছর অত্যধিক তাপমাত্রা ও রোজার মাস হওয়ায় এই মুহূর্তে চরম সংকটে পড়েছেন পৌরবাসী। তাদের আশঙ্কা, এখনই দীর্ঘমেয়াদী উদ্যোগ না নিলে হুমকিতে পড়বে এই অঞ্চলের মানুষ। এর প্রভাব পড়বে কৃষি ও প্রাণিসম্পদেও।
নাচোল পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মালেক মুঠোফোনে জানান, বর্তমানে নাচোল পৌরসভায় এক হাজার ৪০০ পানির গ্রাহক রয়েছে। তার মধ্যে পৌরসভার ০৮ ও ০৩ নং ওয়ার্ডে পানির সংকট তীব্র রয়েছে। বর্তমানে পৌরসভার যে দুটি ডিপ টিউবওয়েল রয়েছে, তা দিয়ে এই ১৪০০ সংযোগেও সঠিকভাবে পানির চাহিদা মেটানো সম্ভব।
আরও পড়ুন: পানি সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যৌথ পদক্ষেপের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
জানা গেছে, পৌর কর্তৃপক্ষ খাবার পানির চাহিদা মিটাতে না পারায় পৌরসভার প্রায় দুই শতাধিক গ্রাহক নিজেরাই স্বেচ্ছায় পৌরসভার পানির সরবারাহ লাইন বিচ্ছিন্ন করেছেন।
নাচোল পৌরসভার ০৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুর রাকিব বলেন, পৌরসভার পানি সরবারাহের লাইন থেকে আমরা দিনে একবার পানি পায়। এই পানিতে পান করা, গোসল করা, রান্না করা সম্ভব হচ্ছে না। পৌরসভার এই সামান্য পানি দিয়ে জনগণের চাহিদা মিটছে না। জনগণের উপর করের বোঝা ঠিকই বাড়ছে, কিন্তু খাবার পানি দিতে ব্যর্থ পৌর কর্তৃপক্ষ।
গৃহিণী শাহনাজ পারভীন জানান, রোজার মাসে খাবার পানি নিয়ে যে দুর্ভোগে আছি, তাতে মনে হয় আমরা বাংলাদেশ নয়, বসবাস করছি মরুভূমির কোন দেশে। গত কয়েকদিন ধরে বাধ্য হয়েই গোসল করা, থালা বাসন মাজা, পোশাক পরিস্কার করাসহ বিভিন্ন কাজ করছি বদ্ধ পুকুরের অপরিষ্কার পানিতে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে বাঁধ উপচে হাওরে ঢুকছে ঢলের পানি
২ বছর আগে