বৈদেশিক
২০২৩ সালে ১৫ লাখ লোক বিদেশে পাঠানো হবে: প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, চলতি বছর নতুন করে ১৫ লাখ লোক বিদেশে পাঠানোর প্রত্যাশা করছে সরকার।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সিলেট নগরীর মির্জাজাঙ্গালের একটি অভিজাত হোটেলে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি সিলেট, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের শ্রম বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে। এতে বাড়বে প্রবাসী আয়। চায়নায় বড় শ্রমবাজার সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া রোমানিয়া, গ্রিস ও ইতালিতে এখন মানুষ যাচ্ছে। লিবিয়াতেও লোক পাঠানোর চেষ্টা চলছে।
মন্ত্রী বলেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা কাজের ফাউন্ডেশন তৈরি করেন। অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে দেশ গড়ার কাজ করতে হবে।
বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাধীনতার জন্য ৩০ লাখ লোক রক্ত দিয়েছেন। আমরা ৩০ লাখ লোকের রক্তের ঋণের ওপর দাঁড়িয়ে আছি। আমাদেরকে রক্তের এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার কর্মজীবনে যা দিয়েছেন তা আপনাদের হিসাব আছে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্বে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। আমাদের দেশেও দাম বেড়েছে, কিন্তু খাদ্যের দাম নাগালের বাইরে যায়নি। এটিকে আরও সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য সরকার কাজ করছে।
কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে, এ জন্য স্কিলড্ ডেভেলপমেন্ট প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ অনিয়মতান্ত্রিক অভিবাসনকে নিরুৎসাহিত করে: প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী
এসময় মন্ত্রী দক্ষতা অর্জন করে ও নিয়ম মেনে বিদেশে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের দেশের লোকেরা বিদেশে যে কাজে যায় সেখানে গিয়ে তা ছেড়ে দেয়। এতে করে দেশের সম্মান ক্ষুন্ন হয়।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির সহ-সভাপতি (সিলেট) মো. উজ্জ্বল বখতের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম-সচিব (উন্নয়ন-২) সরোজ কুমার নাথ, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. জাফর আলী সিকদার।
শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির সহ-সভাপতি (চট্টগ্রাম) সত্যব্রত দাম চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাবিবুর রহমান, গীতা পাঠ করেন উজ্জ্বল কুমার রায় ও ত্রিপিঠক পাঠ করেন দয়ার কান্তি চাকমা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিসহ বিশেষ অতিথিদের সম্মাননা ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত হয় সাংগঠনিক সভা এবং সবশেষে অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আরও পড়ুন: চলতি মাসেই মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু: প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী
শ্রমবাজার সম্প্রসারণে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অলস না রেখে জনকল্যাণে ব্যয় করা ভালো: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রিজার্ভের টাকা অলস ফেলে রাখার চেয়ে জনগণের কল্যাণে ব্যয় করা ভালো।
সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) দেশের ৫৯টি জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী জেলা পরিষদ চেয়াম্যানদের শপথবাক্য পাঠ করান এবং ৬২৩ সদস্যকে শপথবাক্য পাঠ করান এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: মানুষ কথা বলবে কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কাজে বাংলাদেশ লাভবান হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমরা এই (রিজার্ভ) টাকা নিয়ে অলস বসে থাকতে পারি না। আমাদের এটি জনগণের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সাধারণ মানুষের কল্যাণ ও উন্নতির জন্য রিজার্ভের অর্থ ব্যয় করেছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে যোগাযোগ, পরিবহন, আমদানি সবকিছুই প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছিল। ফলে রিজার্ভের টাকা প্রায় ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্ব যখন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতেছিল, তখন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হয় এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়। ‘ফলস্বরূপ, উচ্চ পরিবহন ব্যয়ের সঙ্গে বিশ্বব্যাপী প্রতিটি দ্রব্যের দাম বেড়েছে’ বলেও তিনি জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খরচ সত্ত্বেও সরকার সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য করতে সবকিছু আমদানি করেছে।
তিনি বলেন, সরকার অনেক বেশি দামে খাদ্য, জ্বালানি তেল, গ্যাস, ভোজ্যতেল, গম ও ভুট্টা সংগ্রহ করছে।
তিনি বলেন, এক কোটি টিসিবি কার্ডের মাধ্যমে সরকার কম দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করছে। এই সুবিধার আওতায় ৫০ লাখ মানুষ ১৫ টাকা কেজি দরে চাল পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীর প্রতি প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিক: উশৈ সিং
তিনি বলেন, যারা সম্পূর্ণ অক্ষম তাদেরকে আমরা বিনামূল্যে খাবার দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, সরকার গৃহহীনদের ঘর দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
তিনি বলেন, আমরা অন্যের কাছ থেকে ঋণ না নিয়ে নিজেদের রিজার্ভের টাকা ব্যবহার করেছি।
তিনি বলেন, রিজার্ভ মানি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে উড়োজাহাজ কেনার জন্য ঋণ হিসেবে দেয়া হয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ দিচ্ছে।
রিজার্ভের টাকা নিয়ে বিএনপির অপপ্রচারের জবাবে তিনি বলেন, তাদের নেতা তারেক রহমান অর্থ পাচারের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় তারা অবশ্যই এটি করবে।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এলজিআরডি সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম।
আরও পড়ুন: এখন মেগাপ্রজেক্ট নয় জনকল্যাণমুখী প্রকল্প নিয়ে আসুন: প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাজ্যের বৈদেশিক সহায়তা ২০২৭ সাল পর্যন্ত স্থগিত হতে পারে: প্রতিবেদন
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের তথ্যমতে, নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক দেশের বৈদেশিক সহায়তা বাজেট আরও দুই বছরের জন্য স্থগিত রাখার কথা ভাবছেন।
ব্রিটেনের বৈদেশিক সাহায্য ব্যয় দেশটির জাতীয় আয়ের ০.৫ শতাংশের মতো। দুই বছর আগে করোনাভাইরাস মহামারির ফলে ব্রিটেনের সরকারি অর্থব্যবস্থা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সরকার আন্তর্জাতিক সাহায্যে তাদের ব্যয় হ্রাস করেছিল।
করোনাকালে বিটেনের অর্থমন্ত্রী থাকা সুনাক তখন বলেছিলেন, ২০২৪-২০২৫ সালের মধ্যে বৈদেশিক ব্যয় আগের মতো জিডিপির ০.৭ শতাংশে ফিরে আসা উচিত।
আরও পড়ুন: টুইটারের বহিষ্কৃত সিইও পরাগ আগরওয়াল পেতে পারেন ৪২ মিলিয়ন ডলার
যদিও টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটেনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিদেশি সাহায্য তহবিল স্থগিত রাখার মেয়াদ আরও দুই বছর অর্থাৎ ২০২৬-২০২৭ পর্যন্ত বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছেন।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে আরও বড় কাটছাঁটেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রতিবেদনটি এমন এক সময়ে প্রকাশিত হয়েছে যুক্তরাজ্য যখন ব্যয় হ্রাসের পরিকল্পনা করছে এবং আবাসন, খাদ্য, ও জ্বালানির ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের কারণে কর মওকুফ করার পরিকল্পনা করছে।
আরও পড়ুন: ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিম্নমুখী
বৈদেশিক আয় বৃদ্ধিতে কৃষিপণ্য বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
চলতি মাসের ১৫ দিনে দেশে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স এসেছে
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের মধ্যেও সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৫ দিনে বাংলাদেশ এক হাজার আট দশমিক ৬৭ মিলিয়ন (১০০০ মিলিয়ন = ১ বিলিয়ন) মূল্যের রেমিটেন্স পেয়েছে।
ব্যাংকাররা জানান, রেমিটেন্স প্রবাহের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার অন্যতম কারণ হলো টাকার মানের অবমূল্যায়নের জন্য প্রবাসীরা উৎসাহিত হওয়া। কেননা দেশে প্রতি ডলার ১০৮ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।
সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহ দুই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অন্যদেশ থেকে পণ্য কিনে তৃতীয় দেশে রপ্তানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা
বাংলাদেশ জুলাই মাসে ২ দশমিক ০৯ বিলিয়ন এবং আগস্ট মাসে ২ দশমিক ০৩ বিলিয়ন রেমিটেন্স পেয়েছে, যা বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের মধ্যে একটি আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো.সিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে আরও রেমিট্যান্স আকৃষ্ট করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন প্রক্রিয়া সহজ করেছে।
সরকার রেমিটেন্স প্রণোদনার পাশাপাশি নীতিগত সহায়তাও দিচ্ছে।
এই খাত সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, মহামারি-পরবর্তী সময়ে বিদেশের চাকরির বাজার বৃদ্ধি পাওয়ায় গত অর্থবছরে জনশক্তি রপ্তানি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। আর তাই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহও বেড়েছে।
ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং (বিএমইটি) এর তথ্যে দেখা গেছে যে ৯ দশমিক ৮৮ লাখেরও বেশি কর্মী ২২’ অর্থবছরে বিদেশ গিয়েছে, যেখানে ২১’ অর্থবছরে এই পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ৭১ লাখ।
গত সাত বছরের মধ্যে এ বছরেই সর্বোচ্চ মানুষ চাকরি করতে বিদেশ গেছে।
এটি অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধিতেও অবদান রাখছে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মাসিক লেনদেন ১.১১ লাখ কোটি টাকার বেশি
ডিবিএইচের রংপুর শাখার উদ্বোধন
আমদানিতে কড়াকড়ি সত্ত্বেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে
বর্তমানে দেশে কম আমদানি সত্ত্বেও বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেশ চাপের মধ্যে রয়েছে।
এলসি কেনার জন্য মার্কিন ডলার বিক্রির চাপ, ভ্রমণ, চিকিৎসার খরচ এবং বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মেটাতে ব্যক্তিগত চাহিদা বৃদ্ধির কারণে এটি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ২ বছরের মধ্যে প্রথম ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামলো রিজার্ভ
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (এসিইউ)-এর জুলাই-আগস্টের জন্য বকেয়া এক দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নামবে।
তিনি বলেন, ‘আগামীকালের মধ্যে এই ঋণ পরিশোধ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়াবে ৩৭ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারে।’
গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত (১ সেপ্টেম্বর ২০২২) বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৯ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার।
বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে ‘স্থিতিশীলতা’ আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে। বৃহস্পতিবারও কয়েকটি ব্যাংকের কাছে ৭৬ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে।
সর্বমোট, দুই মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ২ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে।
আরও পড়ুন: দেশে রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি নেই: ফখরুল
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, রেমিট্যান্স বাড়লেও ডলার বিক্রি অব্যাহত থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে গেলেও কোনো সমস্যা নেই। কারণ, এই রিজার্ভ দিয়ে ছয় মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।’
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমদানি কমছে; রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়ছে। এ অবস্থায় মনে হচ্ছে আগামী দিনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়বে।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার বাজারকে স্থিতিশীল করতে ২০২১-২২ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে ৭ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। বাংলাদেশ এর আগে কোনো এক অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে এত বেশি পরিমাণ ডলার বিক্রি করেনি।
এছাড়া আগের অর্থবছরে (২০২০-২১), বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক রেকর্ড আট বিলিয়ন ডলার কিনেছিল।
আরও পড়ুন: রিজার্ভ দিয়ে ৯ মাসের খাবার আমদানি করতে পারবো: শেখ হাসিনা