বৈদেশিক
বৈদেশিক-বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশে বৈদেশিক ও বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের সমস্যা সমাধানে বিনিয়োগ সমন্বয় সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, জাতীয় গুরুত্ব বিবেচনায় দেশে বৈদেশিক ও বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোতে যেসব সমস্যা হয়, তা সমাধানে এ সভা আহ্বান করা হয়েছে।
সভায় অংশগ্রহণকারীরা নিজ নিজ দপ্তরের বর্তমান পরিস্থিতি, বিনিয়োগের পথে বাধা ও সম্ভাবনা, বিভিন্ন সফল উদ্যোগের তথ্য এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে বাংলাদেশ মিশনগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করেছে ভারত
আলোচনায় আন্তঃদপ্তর সমন্বয়ের ক্ষেত্রে সম্মিলিত প্রয়াসে বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধানের উপায় নির্ধারণ করা, সফল উদ্যোগগুলো অনুসরণ করা, প্রশাসনিক নীতিমালা ও শৃঙ্খলা মেনে চলা এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের থেকে প্রতিক্রিয়া গ্রহণ ও সহজতর সেবা প্রদানের বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
লুৎফে সিদ্দিকী আরও তুলে ধরেন যে, বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে অবকাঠামো উন্নয়ন ও সহজতর সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে একটি ফলাফল-ভিত্তিক কার্যকর ওয়ার্কিং গ্রুপ হিসাবে কাজ করতে প্রতিমাসে নিয়মিত এ সভাটি আয়োজন করা হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যানরা।
আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক অথরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার পলিসি এডভাইজার (সমন্বয় এবং সংস্কার), পিপিপি অথরিটি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ও স্বাভাবিক সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
২ সপ্তাহ আগে
বৈদেশিক আর্থিক প্রস্তাবে দরকষাকষির জন্য বাংলাদেশের একাধিক বিকল্প প্রয়োজন: জাপানি বিশেষজ্ঞ
জাপানের এক বিশেষজ্ঞের মতে, যেকোনো প্রস্তাব, বিশেষ করে আর্থিক প্রস্তাবের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আরও বেশি বিকল্প থাকা দরকার। এটি বাংলাদেশকে আরও বেশি দরকষাকষির সুযোগ দেবে।
ইন্টারন্যাশনাল হাউজ অব জাপানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং কেইও ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. কেন জিম্বো সম্প্রতি ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশকে আরও বেশি অবাধ সুযোগ-সুবিধা দিতে এ ধরনের প্রস্তাব তৈরিতে আমাদের অত্যন্ত শক্তিশালী হতে হবে। আপনার যদি দুটি বা ততোধিক বিকল্প থাকে তবে এটি আরও ভালো। আসলে আমাদের উভয়েরই আরও বিকল্প থাকা দরকার।’
জাপানের ফ্রি অ্যান্ড ওপেন ইন্দো-প্যাসিফিক (এফওআইপি) বিষয়ক নতুন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, জাপান কোনো শর্ত ছাড়াই ৫১টি আইটেম প্রস্তাব করছে এবং যেটি আকর্ষণীয় সেটি বেছে নিতে পারে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকব: জাপানি রাষ্ট্রদূত
২০২০ সালে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী তারো কোনোর বিশেষ উপদেষ্টা এবং ২০১৮-২০ সাল পর্যন্ত জাতীয় নিরাপত্তা সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এই জাপানি বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, চীনের প্রস্তাবগুলো নিয়মভিত্তিক এবং আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হলে তারা তা বিবেচনা করবে।
তিনি বলেন, 'যদি চীন থেকে খুবই আকর্ষণীয় কোনো প্রকল্পে অর্থায়নের বিষয়ে প্রস্তাব আসে এবং জাপান বা অন্য কোনো দেশের বিকল্প কোনো প্রস্তাব না থাকে, তাহলে চীনের অর্থ নেওয়া ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো উপায় নাও থাকতে পারে।’
এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক কেন বলেন, এফওআইপিতে অবশ্যই সহযোগিতামূলক উপাদানগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক উপাদান রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জাপানি সংস্করণে, আপনি প্রচুর সহযোগী উপাদান খুঁজে পেতে পারেন, আমরা যে আইটেমগুলোর রূপরেখা করেছি সেগুলোর মধ্যে প্রায় অনেকগুলোই।’
জাপানি এই বিশেষজ্ঞ বলেন, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা ও সামর্থ্য বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা একটি সক্ষমতা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করি। কোনো ধরনের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ দেখা দিলে আমরা যৌথভাবে যেন তা মোকাবিলা করতে সক্ষম হই। এটাই ভিত্তি।’
অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যাপক কেন স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যা বাংলাদেশের স্থিতিশীল শাসন ব্যবস্থার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থা তৈরি করবে।
তিনি বলেন, 'আমি মনে করি, বাংলাদেশে আরও সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য বিনিয়োগকারীদের ইতিবাচক মানসিকতা এবং জনগণের দৃষ্টিভঙ্গির জন্য এটি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
অধ্যাপক কেন বলেন, 'আমি মনে করি, বাংলাদেশকে একটি স্থিতিশীল দেশ হিসেবে তুলে ধরতে হলে গণতন্ত্র একটি ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া, কারণ আপনাকে জনগণের কথা শুনতে হবে, সরকারে প্রতিনিধিত্ব করতে হলে জনগণের নানা রকম স্বার্থের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।’
এফওআইপি সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাপান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৬ সাল থেকে মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক ধারণাটি প্রচার করছে।
প্রফেসর কেন বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইন্দো-প্যাসিফিক ধারণার প্রতি গভীর মনোযোগ দিচ্ছে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে তাদের সম্পৃক্ততা ও সহযোগিতা বাড়াচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি চলতি বছরের এপ্রিলে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বাংলাদেশের 'ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক' ঘোষণাকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: জাপানি ব্যবসায়ীদের শিল্পকারখানা স্থাপনের জন্য জায়গা দেওয়ার প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
অধ্যাপক কেন উল্লেখ করেন, ইন্দো-প্যাসিফিক ধারণাটি ২০১০ এর দশকে আবির্ভূত হয়েছিল কারণ ১৯৮০ এর দশক থেকে এশিয়ার আঞ্চলিক ধারণাগুলো প্রকাশ হয়েছিল।
ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় নীতির প্রথম আনুষ্ঠানিক সংস্করণটি জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ভাষণ থেকে আসে। ২০১৬ সালের আগস্টে কেনিয়ার নাইরোবিতে টিআইসিএডির ষষ্ঠ অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বিষয়টি উপস্থাপন করেছিলেন।
এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘সুতরাং এটি আজও গুরুত্বপূর্ণ জাপানি আঞ্চলিক সম্পৃক্ততা ধারণা হিসেবে রয়ে গেছে। মার্কিন-চীন মহাশক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতা অন্যান্য অনেক অঞ্চলেও প্রভাব বিস্তার করছে।’
তিনি বলেন, জাপান অর্থনৈতিক সংযোগ, প্রশাসনিক সংস্কার, নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার উপর অনেকগুলো আইটেম নিয়ে নতুন পরিকল্পনার প্রস্তাব করছে। এতে সহযোগিতার অনেকগুলো আইটেম রয়েছে যা জাপান কোনো বিশেষ শর্ত ছাড়াই সরবরাহ করতে পারে।
অধ্যাপক কেন বলেন, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবকাঠামো তহবিল, সংযোগ বিনিয়োগসহ অনেক আইটেম অনেক দেশের জন্য রয়েছে। তারা সত্যিই পছন্দ করে বেছে নিতে পারে।এখানে অনেকগুলো বিকল্প রয়েছে্।’
তিনি বলেন, জাপানের উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক ভিশনে এটি অর্থনীতিককেন্দ্রিক বা নিরাপত্তা আওতায় যাওয়ার অনুরোধ। ‘আমি মনে করি প্রধানত অর্থনৈতিক দিক থেকে এটি অনেক বেশি ভারসাম্যপূর্ণ।’
১ বছর আগে
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেমেছে ২২ বিলিয়ন ডলারের নিচে
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (এসিইউ) ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলারের আমদানি বিল পরিশোধের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
কোভিড-১৯ মহামারি শিথীল হওয়ার পর থেকে আমদানির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চাপের মধ্যে পড়েছে এবং ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে।
অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে মার্কিন ডলার ব্যয় করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর পদক্ষেপ সত্ত্বেও অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহ হ্রাস এবং রপ্তানি আয় দেরিতে পাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার সংকট আরও গভীর হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও ভারতের মুদ্রায় বাণিজ্য লেনদেন রিজার্ভের ওপর চাপ কমাবে: হাইকমিশনার
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসিইউ- কে ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে। এরপরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। আইএমএফ ঋণের শর্ত অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলারের কাঙ্ক্ষিত রিজার্ভের জন্য এটি খুব কম।
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (এসিইউ) হলো বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে একটি অর্থ প্রদানের ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: ৭ বছর পর রিজার্ভের পরিমাণ ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে
বাংলাদেশ ব্যাংক গণনা অনুযায়ী মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল প্রায় ২৭ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু রিজার্ভ গণনার সর্বজনীন স্বীকৃত সূত্র অনুসারে রবিবার রিজার্ভ হ্রাস পেয়ে ২১ দশমিক ৫০ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বিবির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেসবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, রবিবার এসিইউর দায় পরিশোধের পর প্রকৃত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয় ও বৈদেশিক অনুদান ক্রমাগত বৈদেশিক মুদ্রায় যুক্ত হওয়ায় রিজার্ভ সাধারণত স্থিতিশীল থাকে না।
আরও পড়ুন: আইএমএফ’র হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের রিজার্ভ ২৩.৫৭ বিলিয়ন ডলার
১ বছর আগে
বৈদেশিক লেনদেনে ৮.২২ বিলিয়ন ঘাটতির সম্মুখীন বাংলাদেশ
আমদানিতে কঠোরতা আরোপ করা সত্ত্বেও ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৮ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক লেনদেনের ঘাটতির সম্মুখীন হয়েছে বাংলাদেশ। ২০২২ অর্থবছরে সেই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৬ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের ব্যালেন্স অফ পেমেন্ট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বিগত অর্থবছরে (জুলাই-জুন) বাংলাদেশ ৬৯ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। এই সময়ের মধ্যে ৫২ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন মূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
এ কারণে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ১৭ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার। অর্থবছর ২০২৩-এ, আমদানি কমেছে ১৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ, যেখানে রপ্তানি বেড়েছে ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংক রেট ক্যাপসহ 'বাজারভিত্তিক' ডলারের বিনিময় হার চালু করেছে
বিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি হওয়ায় বিশ্ববাজারে জ্বালানিসহ সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ছে। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আশানুরূপ হচ্ছে না, বৈদেশিক বিনিয়োগ কমছে, এর প্রভাবে বাংলাদেশ বাণিজ্য ঘাটতির মধ্যে পড়ছে।
২০২৩ অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি সামগ্রিক বাণিজ্য ভারসাম্যে একটি বড় ব্যবধান তৈরি করেছে। এই ঘাটতি ৮ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
সামগ্রিক চলতি হিসাবে ঘাটতি বৃদ্ধির অর্থ হলো বিভিন্ন উৎস থেকে দেশে আসা বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ যা পরিশোধ করা হচ্ছে তার চেয়ে বেশি। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হয়।
আরও পড়ুন: রপ্তানি ঋণের সুদের হার কমিয়ে ৯ শতাংশ নির্ধারণ
বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৩ অর্থবছরে ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন বিক্রি করেছে। বিবি আগের অর্থবছরে ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন বিক্রি করেছে। এভাবে ডলার বিক্রির কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্রমাগত কমছে। চলতি বছরের ২৫ জুন পর্যন্ত রিজার্ভ ৩০ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বিদেশী প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) অর্থবছর ২০২৩ ২ দশমিক ৮৭ শতাংশ কমে ৪ দশমিক ৫০ বিলিয়ন হয়েছে যা ২০২২ অর্থবছরে ছিল ৪ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন।
২০২৩ অর্থবছরে ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ, যা ২০২২ অর্থবছরে ছিল ২১ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলার।
বিবি কর্মকর্তারা বলেছেন, রপ্তানির চেয়ে বেশি আমদানি, রেমিট্যান্সের মন্দা এবং এফডিআই প্রবাহের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: আগস্টে ১২ কেজি এলপিজির দাম বাড়ল ১৪১ টাকা
১ বছর আগে
অর্থনীতি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় নেই, দেশ চালাতে সর্বত্র বৈদেশিক ঋণ খুঁজছে সরকার: মোশাররফ
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সরকার যখন দেশ চালাতে এদিক-ওদিক বিদেশি ঋণ খুঁজছে, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাস্তবতা আড়াল করার চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, ‘জেনেভায় গিয়ে আমাদের দখলদার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে আমাদের দেশের অর্থনীতি একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে... এভাবে ফাঁপা কথা দিয়ে সত্যকে বেশিদিন চেপে রাখা যাবে না। বাংলাদেশের অর্থনীতি যেমন আমরা জানি, গোটা বিশ্বও তা জানে।’
এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা বলেন, ডলারের অভাবে আমদানি বন্ধ থাকলেও সরকার দেশ পরিচালনার জন্য বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক ঋণ সংস্থার কাছে বিদেশি ঋণ ‘ভিক্ষা’ করছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার জন্য জ্বালানি ও বিদ্যুত আমদানি করতে না পারায় মানুষ ভয়াবহ লোডশেডিং-এর সম্মুখীন হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির অবস্থা সবাই জানে। মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে, ডলারের সংকট তীব্র হচ্ছে, পণ্যের দাম ক্রমাগত বাড়ছে, এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের মধ্যে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স কমে যাচ্ছে। এগুলোই বাস্তবতা। তাহলে প্রধানমন্ত্রী কীভাবে দাবি করবেন বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে আছে?
বৃহস্পতিবার জেনেভায় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে দেশে গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতার ধারাবাহিকতার কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে অর্থনৈতিকভাবে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি মিডিয়া সেল।
১৯৭৪ সালের ১৬ জুন তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার তার অনুগত চারটি পত্রিকা ছাড়া সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়। সংবাদপত্র বন্ধের স্মরণে একদল সাংবাদিক দিনটিকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছেন।
মোশাররফ বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট থেকে মুক্তি পেতে শক্তিশালী আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: স্যাংশনে আ.লীগ সরকারের হাঁটু কাপতে শুরু করেছে: ফখরুল
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশে কখনোই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। বাংলাদেশের জনগণও বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অতীতে যেমন সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দল যতই চেষ্টা করুক না কেন তাদের দল এবার সরকারের কোনো ফাঁদে পা দেবে না। ‘আমাদের অবশ্যই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই শাসককে অপসারণ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ঘাবড়ে যাওয়ায় ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বিভিন্ন বিষয়ে পরস্পরবিরোধী মন্তব্য করছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে বিএনপিকে মাঠছাড়া করার ষড়যন্ত্র করছে সরকার: ফখরুল
১ বছর আগে
২০২৩ সালে ১৫ লাখ লোক বিদেশে পাঠানো হবে: প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, চলতি বছর নতুন করে ১৫ লাখ লোক বিদেশে পাঠানোর প্রত্যাশা করছে সরকার।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সিলেট নগরীর মির্জাজাঙ্গালের একটি অভিজাত হোটেলে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি সিলেট, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের শ্রম বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে। এতে বাড়বে প্রবাসী আয়। চায়নায় বড় শ্রমবাজার সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া রোমানিয়া, গ্রিস ও ইতালিতে এখন মানুষ যাচ্ছে। লিবিয়াতেও লোক পাঠানোর চেষ্টা চলছে।
মন্ত্রী বলেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা কাজের ফাউন্ডেশন তৈরি করেন। অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে দেশ গড়ার কাজ করতে হবে।
বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাধীনতার জন্য ৩০ লাখ লোক রক্ত দিয়েছেন। আমরা ৩০ লাখ লোকের রক্তের ঋণের ওপর দাঁড়িয়ে আছি। আমাদেরকে রক্তের এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার কর্মজীবনে যা দিয়েছেন তা আপনাদের হিসাব আছে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্বে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। আমাদের দেশেও দাম বেড়েছে, কিন্তু খাদ্যের দাম নাগালের বাইরে যায়নি। এটিকে আরও সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য সরকার কাজ করছে।
কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে, এ জন্য স্কিলড্ ডেভেলপমেন্ট প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ অনিয়মতান্ত্রিক অভিবাসনকে নিরুৎসাহিত করে: প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী
এসময় মন্ত্রী দক্ষতা অর্জন করে ও নিয়ম মেনে বিদেশে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের দেশের লোকেরা বিদেশে যে কাজে যায় সেখানে গিয়ে তা ছেড়ে দেয়। এতে করে দেশের সম্মান ক্ষুন্ন হয়।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির সহ-সভাপতি (সিলেট) মো. উজ্জ্বল বখতের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম-সচিব (উন্নয়ন-২) সরোজ কুমার নাথ, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. জাফর আলী সিকদার।
শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির সহ-সভাপতি (চট্টগ্রাম) সত্যব্রত দাম চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাবিবুর রহমান, গীতা পাঠ করেন উজ্জ্বল কুমার রায় ও ত্রিপিঠক পাঠ করেন দয়ার কান্তি চাকমা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিসহ বিশেষ অতিথিদের সম্মাননা ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত হয় সাংগঠনিক সভা এবং সবশেষে অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আরও পড়ুন: চলতি মাসেই মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু: প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী
শ্রমবাজার সম্প্রসারণে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
১ বছর আগে
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অলস না রেখে জনকল্যাণে ব্যয় করা ভালো: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রিজার্ভের টাকা অলস ফেলে রাখার চেয়ে জনগণের কল্যাণে ব্যয় করা ভালো।
সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) দেশের ৫৯টি জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী জেলা পরিষদ চেয়াম্যানদের শপথবাক্য পাঠ করান এবং ৬২৩ সদস্যকে শপথবাক্য পাঠ করান এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: মানুষ কথা বলবে কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কাজে বাংলাদেশ লাভবান হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমরা এই (রিজার্ভ) টাকা নিয়ে অলস বসে থাকতে পারি না। আমাদের এটি জনগণের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সাধারণ মানুষের কল্যাণ ও উন্নতির জন্য রিজার্ভের অর্থ ব্যয় করেছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে যোগাযোগ, পরিবহন, আমদানি সবকিছুই প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছিল। ফলে রিজার্ভের টাকা প্রায় ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্ব যখন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতেছিল, তখন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হয় এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়। ‘ফলস্বরূপ, উচ্চ পরিবহন ব্যয়ের সঙ্গে বিশ্বব্যাপী প্রতিটি দ্রব্যের দাম বেড়েছে’ বলেও তিনি জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খরচ সত্ত্বেও সরকার সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য করতে সবকিছু আমদানি করেছে।
তিনি বলেন, সরকার অনেক বেশি দামে খাদ্য, জ্বালানি তেল, গ্যাস, ভোজ্যতেল, গম ও ভুট্টা সংগ্রহ করছে।
তিনি বলেন, এক কোটি টিসিবি কার্ডের মাধ্যমে সরকার কম দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করছে। এই সুবিধার আওতায় ৫০ লাখ মানুষ ১৫ টাকা কেজি দরে চাল পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীর প্রতি প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিক: উশৈ সিং
তিনি বলেন, যারা সম্পূর্ণ অক্ষম তাদেরকে আমরা বিনামূল্যে খাবার দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, সরকার গৃহহীনদের ঘর দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
তিনি বলেন, আমরা অন্যের কাছ থেকে ঋণ না নিয়ে নিজেদের রিজার্ভের টাকা ব্যবহার করেছি।
তিনি বলেন, রিজার্ভ মানি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে উড়োজাহাজ কেনার জন্য ঋণ হিসেবে দেয়া হয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ দিচ্ছে।
রিজার্ভের টাকা নিয়ে বিএনপির অপপ্রচারের জবাবে তিনি বলেন, তাদের নেতা তারেক রহমান অর্থ পাচারের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় তারা অবশ্যই এটি করবে।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এলজিআরডি সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম।
আরও পড়ুন: এখন মেগাপ্রজেক্ট নয় জনকল্যাণমুখী প্রকল্প নিয়ে আসুন: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
যুক্তরাজ্যের বৈদেশিক সহায়তা ২০২৭ সাল পর্যন্ত স্থগিত হতে পারে: প্রতিবেদন
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের তথ্যমতে, নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক দেশের বৈদেশিক সহায়তা বাজেট আরও দুই বছরের জন্য স্থগিত রাখার কথা ভাবছেন।
ব্রিটেনের বৈদেশিক সাহায্য ব্যয় দেশটির জাতীয় আয়ের ০.৫ শতাংশের মতো। দুই বছর আগে করোনাভাইরাস মহামারির ফলে ব্রিটেনের সরকারি অর্থব্যবস্থা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সরকার আন্তর্জাতিক সাহায্যে তাদের ব্যয় হ্রাস করেছিল।
করোনাকালে বিটেনের অর্থমন্ত্রী থাকা সুনাক তখন বলেছিলেন, ২০২৪-২০২৫ সালের মধ্যে বৈদেশিক ব্যয় আগের মতো জিডিপির ০.৭ শতাংশে ফিরে আসা উচিত।
আরও পড়ুন: টুইটারের বহিষ্কৃত সিইও পরাগ আগরওয়াল পেতে পারেন ৪২ মিলিয়ন ডলার
যদিও টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটেনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিদেশি সাহায্য তহবিল স্থগিত রাখার মেয়াদ আরও দুই বছর অর্থাৎ ২০২৬-২০২৭ পর্যন্ত বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছেন।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে আরও বড় কাটছাঁটেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রতিবেদনটি এমন এক সময়ে প্রকাশিত হয়েছে যুক্তরাজ্য যখন ব্যয় হ্রাসের পরিকল্পনা করছে এবং আবাসন, খাদ্য, ও জ্বালানির ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের কারণে কর মওকুফ করার পরিকল্পনা করছে।
আরও পড়ুন: ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিম্নমুখী
বৈদেশিক আয় বৃদ্ধিতে কৃষিপণ্য বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
২ বছর আগে
চলতি মাসের ১৫ দিনে দেশে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স এসেছে
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের মধ্যেও সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৫ দিনে বাংলাদেশ এক হাজার আট দশমিক ৬৭ মিলিয়ন (১০০০ মিলিয়ন = ১ বিলিয়ন) মূল্যের রেমিটেন্স পেয়েছে।
ব্যাংকাররা জানান, রেমিটেন্স প্রবাহের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার অন্যতম কারণ হলো টাকার মানের অবমূল্যায়নের জন্য প্রবাসীরা উৎসাহিত হওয়া। কেননা দেশে প্রতি ডলার ১০৮ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।
সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহ দুই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অন্যদেশ থেকে পণ্য কিনে তৃতীয় দেশে রপ্তানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা
বাংলাদেশ জুলাই মাসে ২ দশমিক ০৯ বিলিয়ন এবং আগস্ট মাসে ২ দশমিক ০৩ বিলিয়ন রেমিটেন্স পেয়েছে, যা বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের মধ্যে একটি আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো.সিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে আরও রেমিট্যান্স আকৃষ্ট করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন প্রক্রিয়া সহজ করেছে।
সরকার রেমিটেন্স প্রণোদনার পাশাপাশি নীতিগত সহায়তাও দিচ্ছে।
এই খাত সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, মহামারি-পরবর্তী সময়ে বিদেশের চাকরির বাজার বৃদ্ধি পাওয়ায় গত অর্থবছরে জনশক্তি রপ্তানি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। আর তাই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহও বেড়েছে।
ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং (বিএমইটি) এর তথ্যে দেখা গেছে যে ৯ দশমিক ৮৮ লাখেরও বেশি কর্মী ২২’ অর্থবছরে বিদেশ গিয়েছে, যেখানে ২১’ অর্থবছরে এই পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ৭১ লাখ।
গত সাত বছরের মধ্যে এ বছরেই সর্বোচ্চ মানুষ চাকরি করতে বিদেশ গেছে।
এটি অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধিতেও অবদান রাখছে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মাসিক লেনদেন ১.১১ লাখ কোটি টাকার বেশি
ডিবিএইচের রংপুর শাখার উদ্বোধন
২ বছর আগে
আমদানিতে কড়াকড়ি সত্ত্বেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে
বর্তমানে দেশে কম আমদানি সত্ত্বেও বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেশ চাপের মধ্যে রয়েছে।
এলসি কেনার জন্য মার্কিন ডলার বিক্রির চাপ, ভ্রমণ, চিকিৎসার খরচ এবং বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মেটাতে ব্যক্তিগত চাহিদা বৃদ্ধির কারণে এটি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ২ বছরের মধ্যে প্রথম ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামলো রিজার্ভ
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (এসিইউ)-এর জুলাই-আগস্টের জন্য বকেয়া এক দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নামবে।
তিনি বলেন, ‘আগামীকালের মধ্যে এই ঋণ পরিশোধ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়াবে ৩৭ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারে।’
গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত (১ সেপ্টেম্বর ২০২২) বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৯ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার।
বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে ‘স্থিতিশীলতা’ আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে। বৃহস্পতিবারও কয়েকটি ব্যাংকের কাছে ৭৬ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে।
সর্বমোট, দুই মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ২ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে।
আরও পড়ুন: দেশে রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি নেই: ফখরুল
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, রেমিট্যান্স বাড়লেও ডলার বিক্রি অব্যাহত থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে গেলেও কোনো সমস্যা নেই। কারণ, এই রিজার্ভ দিয়ে ছয় মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।’
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমদানি কমছে; রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়ছে। এ অবস্থায় মনে হচ্ছে আগামী দিনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়বে।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার বাজারকে স্থিতিশীল করতে ২০২১-২২ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে ৭ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। বাংলাদেশ এর আগে কোনো এক অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে এত বেশি পরিমাণ ডলার বিক্রি করেনি।
এছাড়া আগের অর্থবছরে (২০২০-২১), বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক রেকর্ড আট বিলিয়ন ডলার কিনেছিল।
আরও পড়ুন: রিজার্ভ দিয়ে ৯ মাসের খাবার আমদানি করতে পারবো: শেখ হাসিনা
২ বছর আগে