ছুরিকাঘাত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবকের ছুরিকাঘাতে এসআই আহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবকের ছুরিকাঘাতে পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) আহত হয়েছেন। রবিবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নে বেহাইর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত উপপরিদর্শক আতিকুল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় কর্মরত। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারী মানসিক প্রতিবন্ধী সাইদুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ২ ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকের সহকারী নিহত, আহত ৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার শাখাওয়াত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে জানানো হয়, বেহাইর গ্রামের ওই যুবক তার মা-বাবাকে ঘরে বন্দি করে আগুন দিতে যাচ্ছে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করেন। পরে পুলিশ সাইদুলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করলে সে এসআই আতিকুল্লাহকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
এক পর্যায়ে পুলিশ সাইদুলের কাছ থেকে ছুরি কেড়ে নিয়ে তাকে ধরে ফেলে।
তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আহত পুলিশ কর্মকর্তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করেন চিকিৎসক।পরে রাত সাড়ে ৮টায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় র্যাবের একটি হেলিকপ্টার তাকে ঢাকায় নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: নাটোরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নারীসহ নিহত ২,আহত ৪
কুমিল্লায় ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২, আহত ১
শজিমেক হাসপাতালের প্রিজন সেলের কারারক্ষী ছুরিকাঘাতে আহত
বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল (শজিমেক) হাসপাতালের প্রিজন সেলের এক কারারক্ষীকে ছুরিকাঘাতে আহত করেছেন অজ্ঞাত তিন ব্যক্তি।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে হাসপাতালের ১ নম্বর গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ছুরিকাহত কারারক্ষী আব্দুস সালাম (৪৪) বগুড়া কারাগারের কারারক্ষী, তিনি শজিমেক হাসপাতালের প্রিজন সেলে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আরও পড়ুন: রংপুরে ২ বাসের সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ১০
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রকিবুল হাসান।
তিনি জানান, সালাম বগুড়া কারাগারে কর্মরত আছেন। শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা কারাবন্দীদের জন্য থাকা প্রিজন সেলের দায়িত্বে আছেন তিনি। সোমবার সন্ধ্যার দিকে সালাম ফ্লেক্সিলোড দেয়ার জন্য হাসপাতালের ১ নম্বর গেটে এক মুদি দোকানে যান। এ সময় অজ্ঞাত তিন ব্যক্তি একটি মোটরসাইকেলে এসে কারারক্ষীকে মারধর শুরু করেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে একজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে সালামের শরীরের পেছন অংশে আঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে সালাম চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তিনি শঙ্কামুক্ত। তবে এ ঘটনার কারণ ও জড়িতদের শনাক্ত করা যায়নি বলেও জানান রকিবুল হাসান।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের ফের সংঘর্ষ, সহকারী প্রক্টরসহ আহত ৯
মেরিন ড্রাইভ সড়কে পর্যটকবাহী জিপ উল্টে নিহত ১, চালকসহ আহত ৭
কক্সবাজারে ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা নেতা নিহত
কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলায় পালংখালী ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে এক রোহিঙ্গা মাঝি নিহত হয়েছেন। শনিবার (০৭ জানুয়ারি) রাতে উখিয়া ক্যাম্প-১৫ এ এই ঘটনা ঘটে।
রশিদ আহমদ (৩৬) ক্যাম্প-১৫ এর ‘এ’ ব্লকের বাসিন্দা ও হেড মাঝি (নেতা)।
আরও পড়ুন: ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে ইউএনএইচসিআরের সুপারিশ বিবেচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র
শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এসব তথ্য জানিয়েছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী।
তিনি জানান, রাতে তিন জন দুর্বৃত্ত রশিদকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘর ক্যাম্প-১৫ এ অবস্থান করছিলেন।
আহত অবস্থায় তাকে ক্যাম্পের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাস্থলে থাকা উখিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওলিউর রহমান বলেন, এমএসএফ হাসপাতালে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেছি। ছুরিকাঘাতে ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
এছাড়া মৃতের মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়না তদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয় বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে রোহিঙ্গা নেতা নিহত
শ্রীমঙ্গলে শিশু ও নারীসহ ১৬ রোহিঙ্গা আটক
কুমিল্লায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবক খুন
কুমিল্লায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর সুজা বাদশা মসজিদের কাছে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত মাহবুব হোসেন মান্না নগরীর গাংচর চৌধুরীপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: বাসে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় রাজধানীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
স্থানীয়রা জানান, দুই গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের লোকজনের ছুরিকাঘাতে আহন হন মান্না।
তাকে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে ভোর ৪টার দিকে মান্নার মৃত্যু হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরান হোসেন বলেন, নিহত মান্না একজন মাদক কারবারী ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, মান্নার বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি ও তিনটি মাদক মামলা আছে।
এছাড়া মান্নার খুনিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
চট্টগ্রামে ফেসবুক পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে যুবক খুন
গেম নিয়ে দ্বন্দ্ব, বন্ধুর ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন
বগুড়ার শিবগঞ্জে ফ্রি ফায়ার গেমস এর আইডি নিয়ে দ্বন্দ্বে এক বন্ধুকে গলাকেটে হত্যা করেছে আরেক বন্ধু। বুধবার দুপুরে বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এ ঘটনায় জড়িত বন্ধুকে ঢাকার মনিপুরীপাড়া এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাপাতি ও জ্যাকেটও উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শকসহ আহত ২
হত্যাকাণ্ডে জড়িত কিশোর অপ্রাপ্ত বয়সের হওয়ায় তার নাম পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। সে বগুড়া শহরের একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
হত্যার শিকার কিশোর সিফাত বগুড়া শহরের নূরানীমোড় এলাকার শাহ আলমের ছেলে।
পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী জানান, মোবাইল গেম 'ফ্রি ফায়ার' খেলাকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়েছে। ওই গেমের আইডি ও পাসওয়ার্ড না দেয়ার কারণে সিফাতকে নৃশংসভাবে খুন করে তারই কিশোর বন্ধু।
তিনি জানান, সিফাতের কাছ থেকে কৌশলে তার কিশোর বন্ধু ফ্রি ফায়ার গেমের আইডি ও পাসওয়ার্ড নেয়। সিফাত ওই গেম তার কিশোর বন্ধুর কাছে বারবার ফেরত চাইলে সে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীতে কয়েকজন বন্ধুর সহায়তায় সিফাত ওই গেম আইডি ফেরত নেয়।
২৫ ডিসেম্বর সিফাত তার বোনের মুঠোফোন ঠিক করতে বাহিরে আসে। এ সময় হত্যাকারী ওই কিশোর বন্ধু তাকে নিজ দাদার বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার নিশ্চিন্তপুর নিয়ে যায়। ওইদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই স্থানে এক বাঁশ বাগানে সিফাতকে নিয়ে গিয়ে প্রথমে গলায় ধারালো চাপাতি দিয়ে আঘাত করে ওই কিশোর বন্ধু। সিফাত এ সময় মাটিতে পড়ে গেলে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে ও বাম হাতের রগ কেটে হত্যা করে।
হত্যার পরেরদিন পুলিশ লোকমুখে খবর পেয়ে শিবগঞ্জ উপজেলার নিশ্চিতপুর থেকে সিফাতের লাশ উদ্ধার করে। পরে বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
হত্যাকাণ্ড শেষে ওই বন্ধু ঢাকায় পালিয়ে মনিপুরী পাড়ায় আশ্রয় নেয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের একমাত্র আসামি সিফাতের বন্ধু অপ্রাপ্ত বয়স্ক। এ ঘটনায় আরও তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
বগুড়ায় ‘বিলিয়ার্ড’ খেলতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
পাবনায় মেয়েকে বিয়ে না দেয়ায় ছুরিকাঘাতে বাবা নিহত
পাবনায় বখাটের ছুরিকাঘাতে ফরিদ হোসেন (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে ভাঁড়ারা শাহী মসজিদের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
ফরিদ তাঁর মেয়েকে বখাটে অনিক হোসেনের সঙ্গে বিয়ে না দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ছুরিকাঘাতে আহত র্যাবের তথ্যদাতার মৃত্যু
নিহত ফরিদ ভাঁড়ারা ইউনিয়নের মধ্য জামুয়া গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় রংমিস্ত্রি অভিযুক্ত অনিক হোসেন (২৬) একই গ্রামের ইয়াজ উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে।
ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ খান জানান, বছর খানেক আগে ফরিদ হোসেনের মেয়ের সঙ্গে বখাটে অনিক হোসেনের বিয়ে ঠিক হয়। বখাটে স্বভাবের কারণে পরে মেয়ের পরিবার বিয়ে ভেঙে দেয়। এরপর মাস ছয়েক আগে ফরিদ হোসেন তার মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেন।
তারপর থেকে ওই ছেলে নানাভাবে মেয়ের পরিবারের ওপর মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল।
এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার রাতে ভাঁড়ারা শাহী মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বের হওয়ার পর ফরিদ হোসেনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় অনিক।
স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় আড়াইশ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবা নিহত
সীতাকুণ্ডে ‘চোরে’র ছুরিকাঘাতে বাবা নিহত, ছেলে আহত
চাঁদপুরে লঞ্চে ছুরিকাঘাতে যাত্রী নিহত, আটক ৮
চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে সিট পাওয়া নিয়ে ঝগড়ার জেরে চাঁদপুরগামী একটি লঞ্চে এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
নিহত সুমন গাজী চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার ইউসুফ আলী গাজীর ছেলে।
চাঁদপুর নৌপুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, রাত ১১টার দিকে চাঁদপুরগামী লঞ্চ ‘এমভি সোনার তরী-৩’ এ সিট পাওয়া নিয়ে ২২ বছর বয়সী বাবুল আহমেদের সঙ্গে সুমনের বাকবিতণ্ডা হয়।
তারা দুজনেই সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে চাঁদপুর যাওয়ার জন্য লঞ্চে ওঠেন।
রাত সোয়া ১১টায় লঞ্চটি চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে পৌঁছালে বাবুসহ ৮-৯ জন লোক সুমনের ওপর হামলা করে এবং নির্বিচারে ছুরিকাঘাত করে আহত করে।
পরে সুমনকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হলে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় আটজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বরগুনায় ৩ আলোকচিত্র সাংবাদিকের ওপর হামলা, আটক ২
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ, আটক ৪
ঢাবিতে ৫ ছাত্রদল কর্মীকে আটক করে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ
ছুরিকাঘাতে আহত র্যাবের তথ্যদাতার মৃত্যু
অজ্ঞাত হামলাকারীদের ছুরিকাঘাতে আহত র্যাবের তথ্যদাতা মো. আমিন হোসেন আসিফের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকাল ১০টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে।
নিহত মো. আমিন হোসেন আসিফ (৩০) কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মৃত আলী এরশাদের ছেলে এবং তিনি র্যাব ও পুলিশের তথ্যদাতা হিসেবে কাজ করতেন।
তার ভাই রফিকুল ইসলাম জানান, আটদিন আগে গত ৩ ডিসেম্বর রাত ৯টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আর্মি ক্যাম্পের কাছে অজ্ঞাত হামলাকারীরা আসিফকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢামেক নিয়ে যায়। আসিফ সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তার ভাই আরও জানান, রবিবার সকাল ১০টার দিকে আসিফের মৃত্যু হয়।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্কুলছাত্রের মৃত্যুৎ
ময়মনসিংহে পুকুরে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু
বগুড়ায় ইন্টার্ন চিকিৎসককে ছুরিকাঘাতের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতলের এক ইন্টার্ন চিকিৎসককে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করা হয়।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) রাত ৯ টা থেকে সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত শজিমেক হাসপাতালের ২ নম্বর গেটের সামনে রংপুর -ঢাকা সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা।
আহত ফাহিম রহমান (২৮) শজিমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন ২৫তম ব্যাচের চিকিৎসক এবং ঢাকার সবুজবাগের নুর মোহাম্মাদের ছেলে। তিনি বর্তমানে শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ করে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ
পরে ঘটনাস্থলে এসে বগুড়া শজিমেকের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. রেজাউল আলম জুয়েল জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরে যান।
বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, গত কয়েক মাসে আরও দুই থেকে তিনবার শিক্ষার্থীরা বহিরাগতদের দ্বারা উত্যক্ত হয়েছেন। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করলেও বিচার পাওয়া যায়নি। ক্যাম্পাসের আশপাশের সড়ক,ডরমেটরি,বাসকেট বল খেলার গ্রাউন্ড ও খেলার মাঠ সন্ধ্যার পরে ঘুটঘুটে অন্ধকার হয়ে যায়। সেখানে বহিরাগতরা এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারসহ নারী শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করেন।
এসময় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত শজিমেক হাসপাতালের আশপাশে খাবার ও ওষুধের দোকান ছাড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দাবি জানান।
পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রশাসনের কাছে তাদের দাবি তুলে ধরেন।
শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিতে জানান, শজিমেক হাসপাতালের আশেপাশের সড়কে রাতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া কলেজ ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ ও অন্ধকার স্থানগুলোতে আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কলেজ ক্যাম্পাসে সব ধরণের ভ্রাম্যমাণ দোকান ও অ্যাম্বুলেন্স চালকসহ দালালদের দৌরত্ব বন্ধের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ চলাকালীন শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্বতা জানান বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, আপনাদের দাবির সঙ্গে আমি একমত পোষণ করছি। এই ক্যাম্পাস চিকিৎসক,শিক্ষার্থী ও রোগীদের জন্য । এই ক্যাম্পাসে বহিরাগত থাকবে না। ইতোমধ্যে একজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। আরও একজনকে গ্রেপ্তারের জন্য একাধিক দল কাজ করছে।
বগুড়া শজিমেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা.রেজাউল আলম জুয়েল শিক্ষার্থীদের বলেন, আহতের জীবন এখনও শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। তিনি মারাত্মক ভাবে আক্রান্ত। এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, বুধবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে শজিমেক হাসপাতালের দুই নম্বর গেটে ইন্টার্ন চিকিৎসক ফাহিম রহমানকে ছুরিকাঘাত করা হয়। স্থানীয় এক ভ্রাম্যমাণ ঝাল-মুড়িওয়ালা দোকানী বাবা ও ছেলে বাকবিতণ্ডার জেরে এ ঘটনা ঘটায়।
এ ঘটনায় ঝাল-মুড়িওয়ালা ফরিদ ব্যাপারীকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে তার ছেলে শাকিল হোসেন (২৫) পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: চবির মূল ক্যাম্পাসে ফেরার দাবিতে ফটকে তালা লাগিয়ে চারুকলার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে ববি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
জকিগঞ্জে ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ভাই খুন!
সিলেটের জকিগঞ্জে আপন চাচাতো ভাইয়ের হাতে ভাই খুন হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সুলতানপুর ইউপির মাজবন্দ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মনসুর আহমদ (১৪) সুলতানপুর ইউপির মাজবন্দ গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে মৃত তেরা মিয়ার ছেলে আশিকুর রহমানের সঙ্গে মনসুরের বিরোধ দেখা দেয়। এ ঘটনার সূত্র ধরে রবিবার সন্ধ্যার পরে মাজবন্দ মসজিদের পাশে আশিক ও মনসুরের মধ্যে ঝগড়ার একপর্যায়ে আশিক উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে মনসুরকে।
আরও পড়ুন: পুরান ঢাকায় ‘ডাকাতি’, বৃদ্ধ খুন
এসময় মনসুরের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
ঘটনার পর স্থানীয় ইউপি সদস্য শামিম আহমদ স্থানীয়দের সহায়তায় অভিযুক্ত আশিককে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন।
ইউপি সদস্য শামিম আহমদ জানিয়েছেন, ঘটনার পরপরই তিনি অভিযুক্ত আশিকুর রহমানকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে আসামি নিয়ে যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের সহকারি অফিসার আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, মনসুরকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরির বেশ কয়েকটি আঘাত রয়েছে।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, বাড়ির পুকুরের মাছ ধরা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। ওইসন্ধ্যার পর মনসুরকে চাচাতো ভাই আশিকুর রহমান ছুরিকাঘাত করে। এতে মনসুরের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ আশিকুরকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
ময়মনসিংহে চাচার হাতে ভাতিজা খুনের অভিযোগ