নতুন প্রধান নির্বাচিত
ইমরান খানের পরিবর্তে পিটিআইয়ের নতুন প্রধান নির্বাচিত
কারাবন্দি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো নতুন প্রধান নির্বাচিত করা হয়েছে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) ইমরান খানের সুপারিশের ভিত্তিতে দলীয় প্রধান নির্বাচন করা হয়েছে।
১৯৯৬ সালে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এর দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ইমরান খান।
বর্তমানে তিন বছরের কারাদণ্ড ভোগ করা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গত বুধবার তার আইনজীবী গহর খানকে দলের শীর্ষ পদে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছেন।
দলের প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়াজুল্লাহ নিয়াজি নিশ্চিত করেছেন যে, গহর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন এবং দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনে ইমরান খানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইমরান খানকে উচ্চ-নিরাপত্তা সম্পন্ন কারাগারে স্থানান্তর
পিটিআইয়ের নব নির্বাচিত দলীয় প্রধান উত্তরাঞ্চলীয় শহর পেশোয়ারে সমর্থকদের বলেন, তিনি ইমরান খানের অনুগত প্রতিনিধি হিসেবে থাকবেন।
তিনি বলেন, ‘ইমরান খানের সাজা বাতিল হলে আমি পদত্যাগ করব।’
গহর খান পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। তার ওয়েবসাইট দেওয়া তথ্যানুসারে তিনি যুক্তরাজ্যের উলভারহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করেন এবং বর্তমানে ইমরান খানের আইনি প্রতিরক্ষা দলের অংশ।
পিটিআইয়ের এক জ্যেষ্ঠ নেতা ওমর আইয়ুব খান বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী আত্মীয়ের পরিবর্তে দলের একজন সদস্যকে তার উত্তরসূরি হিসেবে মনোনীত করে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, যা পাকিস্তানের রাজনীতিতে প্রচলিত রীতি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের ইমরান খানের বিরুদ্ধে যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়া মানার আহ্বান জাতিসংঘ প্রধানের
তিনি এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘তিনি অত্যন্ত উচ্চ মানদণ্ড স্থাপন করেছেন।’
গত বছর ইমরান খানকে দলীয় প্রধান হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত করার পর গত মাসে দলীয় নির্বাচন বাতিল করে পিটিআইকে নেতা নির্বাচনের জন্য ২০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছিল পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন।
দেশটির অন্যতম জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রির দায়ে গত আগস্টে দোষী সাব্যস্ত হন এবং তার দলের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। তিনি ২০২২ সালে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন। সেই তখন থেকেই দুর্নীতির অভিযোগ ও রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা প্রকাশসহ অন্যান্য বিষয়ে আইনি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন।
ইমরান খান সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেছিলেন, তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার সঙ্গে জড়িত পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের দুর্নীতির মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ড স্থগিত
১ বছর আগে