শিশুরোগী
শীতে কাহিল কুড়িগ্রামের মানুষ, হাসপাতালে বাড়ছে শিশুরোগী
তাপমাত্রা কমতে থাকায় কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষজন। ঠান্ডায় ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। হাসপাতালে বেড়েছে শিশুরোগী।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে শীতার্তদের কষ্ট লাঘবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে ৪৩ হাজার কম্বল বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: শীতে কাবু কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের মানুষ
শীত ও কনকনে ঠান্ডায় খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছেন হতদরিদ্র মানুষজন। শীত ও কনকনে ঠান্ডায় শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।
মঙ্গলবার ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ২০ জন শিশু। সেখানে গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিচ্ছেন আক্রান্তরা। হাসপাতালটিতে বর্তমানে ভর্তি রয়েছে ৪৩ শিশু।
এদিকে উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় কাহিল হয়েছে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের মানুষগুলো। শীত ও কনকনে ঠান্ডায় কাজে যেতে না পারায় কষ্টে পড়েছে শ্রমজীবীরা।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে বিপর্যস্ত লালমনিরহাটের জনজীবন
১১ মাস আগে
সিরাজগঞ্জে ঠান্ডাজনিত শিশুরোগীর সংখ্যা বাড়ছে
সিরাজগঞ্জে হাড় কাঁপানো তীব্র কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশার প্রভাবে হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে জ্বর ও ঠান্ডাজনিত রোগসহ বিভিন্ন রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে জেলার সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শীত ও ঠান্ডাজনিত কারণে প্রায় এক সপ্তাহে বিশেষ করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ৬ শতাধিক শিশুকে এই ধরণের রোগের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হওয়া শিশুদের নিয়ে হাসপাতালে ছুঁটছে বাবা-মাসহ স্বজনরা। এজন্য শিশু ও বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষরাও এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: করোনায় আরও ৩ জন আক্রান্ত, মৃত্যু নেই
এতে হাসপাতালে প্রতিদিন বাড়ছে এসব রোগীর চাপও।
ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ফরিদুল ইসলাম বলেন, শীতজনিত কারণে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। তবে হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ মজুদ রয়েছে এবং সার্বক্ষণিক রোগীদের দেখাশোনা করা হচ্ছে। তবে শীতজনিত কারণে আগের তুলনায় হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে। সেজন্য চিকিৎসক ও নার্সরা সার্বক্ষণিক রোগীদের পর্যবেক্ষণ করছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে শীতের প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় শীতবস্ত্রের অভাবে বিশেষ করে গরিব ও অসহায় পরিবারগুলো খারাপ অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৫৪
১ বছর আগে