বাংলাদেশ সরকার
অনলাইনে আবেদন করে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া ই-পাসপোর্ট পাওয়ার উপায়
ই-পাসপোর্ট পরিষেবায় বাতিল করা হয়েছে পুলিশ ভেরিফিকেশন। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে পরিপত্র জারির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ। এখন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র বা ন্যাশনাল আইডি (এনআইডি) কার্ড-এ বিদ্যমান তথ্যের ভিত্তিতে সরবরাহ করা হবে ই-পাসপোর্ট। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও প্রবাসি বাংলাদেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় এনআইডি কার্ড করার সুযোগ থাকে। তাই এই দুই শ্রেণীর নাগরিকদের পাসপোর্টের আবেদন নিরীক্ষার মাপকাঠি ধরা হবে অনলাইনে নিবন্ধনকৃত জন্ম নিবন্ধন সনদ। চলুন, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ব্যতীত ই-পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য আবেদনের সামগ্রিক প্রক্রিয়াটি দেখে নেওয়া যাক।
অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
• অনুর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সী প্রার্থীর জন্য অনলাইনে নিবন্ধনকৃত জন্ম সনদপত্র (BRC English Version)
• প্রার্থী ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সী হলে তার জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা অনলাইনে নিবন্ধনকৃত জন্ম সনদ (BRC English Version)
• ২০ বছরের অধিক আবেদনকারীদের জন্য এনআইডি কার্ড অত্যাবশ্যক। তবে অন্যান্য দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশন থেকে আবেদনকারীরা তাদের অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ (BRC English Version) দিতে পারবেন।
• শিশুদের ক্ষেত্রে পিতামাতা প্রত্যেকের এনআইডি কার্ড
• বসবাসরত ঠিকানার সাম্প্রতিক ইউটিলিটির (গ্যাস, বিদ্যুৎ বা পানি) বিল প্রদানের রশিদ
• দত্তক কিংবা অভিভাবকত্ব গ্রহণকারীদের জন্য সুরক্ষা সেবা বিভাগ (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) কর্তৃক জারিকৃত আদেশ
• বিবাহ সনদ অথবা নিকাহনামা এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে তালাকনামা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
আরো পড়ুন: পাসপোর্টে পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজনীয়তা শিথিল করে পরিপত্র
বিভিন্ন পেশাজীবী আবেদনকারীরা যে নথিপত্র দেখাবেন
• ড্রাইভার, ইঞ্জিনিয়ার, ও ডাক্তারের মতো কারীগরি কিংবা প্রযুক্তিগত পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কারীগরি সনদপত্র
• শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে তার সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক প্রদানকৃত প্রত্যয়নপত্র বা নিদেনপক্ষে স্টুডেন্ট আইডি কার্ড
• বেসরকারী কর্মকর্তার জন্য তার প্রতিষ্ঠান থেকে সরবরাহকৃত আনুষ্ঠানিক প্রত্যয়নপত্র
• সরকারী চাকরিজীবিদের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত যে কোনো একটি নথি (ইস্যূকারী কর্তৃপক্ষের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নোটিশ হিসেবে প্রকাশিত হতে হবে):
o সরকারী আদেশ (জিও)
o অনাপত্তি পত্র (এনওসি)
o প্রত্যয়নপত্র
o অবসরোত্তর ছুটির আদেশ (পিআরএল অর্ডার)
o পেনশন বই
· কৃষক বা কৃষি কাজে নিযুক্ত থাকলে তার জমির পর্চা (অনুলিপি)
· ব্যবসায়ীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স (অনুলিপি)
আরো পড়ুন: ২০২৫ সালে ভিসা ছাড়াই যেসব দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা
আবেদন জমা দেওয়ার সময় উপরোক্ত নথিপত্রের সাথে আরও যা যা যুক্ত করতে হবে:
· বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের নির্ধারিত সময়সহ আবেদনপত্রের সারাংশ (মুদ্রিত কপি)
· অনলাইন নিবন্ধিত পূর্ণ আবেদনপত্র (মুদ্রিত কপি)
· পাসপোর্টের ফি জমা প্রদানের রশিদ
· অনুর্ধ্ব ৬ বছর বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে গ্রে ব্যাকগ্রাউন্ডে ল্যাবে মুদ্রিত সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
· ৬ বছরের অধিক প্রার্থীর পৃথক ভাবে কোনো ছবি দেওয়ার দরকার নেই। আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় এই সকল নথিগুলো সত্যায়িত করার প্রয়োজন নেই।
আরো পড়ুন: আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট করবেন যেভাবে
ধাপে ধাপে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদনের নিয়ম
.
অনলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ
সর্বপ্রথম ইন্টারনেটের ব্রাউজার ওপেন করে সরাসরি চলে যেতে হবে www.epassport.gov.bd ওয়েবসাইটে। অতঃপর ‘অ্যাপ্লাই অনলাইন’ ট্যাবে ক্লিক করলে প্রথমে আসবে আঞ্চলিক ই-পাসপোর্ট কার্যালয় নির্ধারণের পালা। স্ক্রিনে ড্রপ ডাউন লিস্ট থেকে প্রার্থীর অবস্থানরত জেলা ও থানার নাম বাছাই করতে হবে। এতে করে স্বয়ংক্রিয় ভাবে অধিভূক্ত ই-পাসপোর্ট কার্যালয়ের নামটি নির্ধারিত হয়ে যাবে।
এছাড়া আলাদাভাবে নিজের নিকটস্থ ই-পাসপোর্ট কার্যালয়ের চেনার জন্য এই লিঙ্কে যাওয়া যেতে পারে- https://dip.gov.bd/site/page/4d4ea063-50df-46ee-a326-492d8ef2dbb0/-।
পাসপোর্ট অফিস নির্ধারণের পরের কাজ হলো ই-পাসপোর্ট অনলাইন নিবন্ধন পোর্টালে অ্যাকাউন্ট খোলা। এর জন্য ই-মেইল ঠিকানা, এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধন এবং মোবাইল নাম্বার দিয়ে একটি অনন্য পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে। এভাবে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়ে গেলে পরবর্তীতে এই ই-মেইল বা মোবাইল নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করা যাবে।
আবেদন ফর্মের প্রত্যেকটি তথ্য অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী হতে হবে। ন্যূনতম তারকা চিহ্নিত তথ্যগুলো সফলভাবে প্রদানের পর আসবে পাসপোর্ট ফি প্রদানের অপশন। ফি তাৎক্ষণিকভাবে অনলাইনে পরিশোধ করা হলে রশিদ নাম্বার স্বয়ংক্রিয় ভাবে সংযুক্ত হয়ে যাবে।
এরপরের সেকশনে বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের জন্য দিনক্ষণ ঠিক করতে হবে। স্ক্রিনে প্রদর্শিত ক্যালেন্ডার থেকে উপলব্ধ তারিখগুলো থেকে প্রার্থী নিজের পছন্দসই একটি তারিখ বাছাই করতে পারবেন।
তারপরেই চূড়ান্ত পর্যায়, যেখানে সাবমিট সম্পন্ন করার পর অ্যাপয়েন্টমেন্টসহ পুরো আবেদনের একটি সামারি দেখা যাবে। এই সামারি এবং সাবমিটকৃত পুরো অনলাইন নিবন্ধনের প্রিন্ট কপি অন্যান্য নথিগুলোর সাথে সংযুক্তি হিসেবে দিতে হবে।
ই-পাসপোর্ট ফি পরিশোধ
ফি পরিশোধের জন্য পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের অনুমোদিত কিছু পেমেন্ট সিস্টেম রয়েছে। এগুলো হলো- ভিসা, মাস্টার, ও অ্যামেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড, বিকাশ, নগদ, রকেট, ইউপে, ডিমানি, ওকে ওয়ালেট, এবং এমবিএল রেইন্বো। অনুমোদিত ব্যাঙ্কগুলো হলো- ব্যাঙ্ক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাঙ্ক, ইস্টার্ন ব্যাঙ্ক, সিটি ব্যাঙ্ক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাঙ্ক, আরব-বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক, ডাচ-বাংলা ব্যাঙ্ক, এবং মিডল্যান্ড ব্যাঙ্ক।
আরো পড়ুন: প্রবাসী বাংলাদেশিরা কিভাবে ই-পাসপোর্ট করবেন: দেশের বাইরে থেকে পাসপোর্ট নবায়নের উপায়
৫ বছর / ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট আবেদনের খরচ
পাসপোর্ট বইয়ের পৃষ্ঠা, পাসপোর্টের মেয়াদ, এবং বিতরণের সময়সীমার ভিত্তিতে ফি বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। প্রধানত রেগুলার, এক্সপ্রেস এবং সুপার এক্সপ্রেস- এই তিন ক্যাটাগরিতে ই-পাসপোর্ট সরবরাহ করা হয়।
সবচেয়ে দ্রুত সময়ে পাসপোর্ট পাওয়া যায় সুপার এক্সপ্রেসের মাধ্যমে, যার সময়সীমা বায়োমেট্রিক সংগ্রহের তারিখ থেকে মাত্র ২ কার্যদিবস। এক্সপ্রেস ক্যাটাগরিতে প্রক্রিয়াকরণের সময়কাল বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের তারিখ থেকে ৭ কার্যদিবস থেকে সর্বোচ্চ ১০ দিন। সর্বাধিক সময়সীমা রেগুলার ক্যাটাগরিতে, যেখানে বায়োমেট্রিক প্রদানের তারিখ থেকে ন্যূনতম ১৫ কার্যদিবস বা ২১ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট হাতে পাওয়া যায়।
৫ বছর মেয়াদ সম্পন্ন ৪৮ পৃষ্ঠা সম্বলিত ই-পাসপোর্ট
· ৫ বছর মেয়াদ সম্পন্ন ৪৮ পৃষ্ঠা সম্বলিত ই-পাসপোর্ট
· রেগুলার: ৪ হাজার ২৫ টাকা
· এক্সপ্রেস: ৬ হাজার ৩২৫ টাকা
· সুপার এক্সপ্রেস: ৮ হাজার ৬২৫ টাকা
৫ বছর মেয়াদ সম্পন্ন ৬৪ পৃষ্ঠা সম্বলিত পাসপোর্ট
· রেগুলার: ৬ হাজার ৩২৫ টাকা
· এক্সপ্রেস: ৮ হাজার ৬২৫ টাকা
· সুপার এক্সপ্রেস: ১২ হাজার ৭৫ টাকা
১০ বছর মেয়াদ সম্পন্ন ৪৮ পৃষ্ঠা সম্বলিত ই-পাসপোর্ট
· রেগুলার: ৫ হাজার ৭৫০ টাকা
· এক্সপ্রেস: ৮ হাজার ৫০ টাকা
· সুপার এক্সপ্রেস: ১০ হাজার ৩৫০ টাকা
১০ বছর মেয়াদ সম্পন্ন ৬৪ পৃষ্ঠা সম্বলিত পাসপোর্ট
· রেগুলার: ৮ হাজার ৫০ টাকা
· এক্সপ্রেস: ১০ হাজার ৩৫০ টাকা
· সুপার এক্সপ্রেস: ১৩ হাজার ৮০০ টাকা
আরো পড়ুন: ই-পাসপোর্টে ভুল তথ্য সংশোধন পদ্ধতি
আবেদন পত্রসহ নথিপত্র জমা ও বায়োমেট্রিক নিবন্ধন পদ্ধতি
উপরোল্লিখিত যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে পূর্বনির্ধারিত দিনে উপস্থিত হতে হবে সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে। এই দিন আবেদনকারীর ছবি তোলা এবং হাতের আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়। বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়ার সুবিধার্তে ছবি উঠানোর জন্য অবশ্যই রঙ্গিন পোশাক পরে পাসপোর্ট কেন্দ্রে যেতে হবে।
যাবতীয় কাজ শেষে প্রার্থীকে বিতরণের সম্ভাব্য তারিখ সম্বলিত একটি স্লিপ দেওয়া হবে। এই স্লিপটি প্রার্থীর বায়ো নিবন্ধনের প্রমাণপত্র, তাই এটি পাসপোর্ট সংগ্রহের দিন অবশ্যই সাথে রাখতে হবে।
অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা যাচাই করবেন যেভাবে
বায়ো নিবন্ধনের দিন থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহের সম্ভাব্য দিনটির আগে অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদনের অবস্থা যাচাই করা যায়। এর জন্য সরাসরি চলে যেতে হবে-
https://www.epassport.gov.bd/authorization/application-status- লিঙ্কে।
পাসপোর্ট অফিস থেকে দেয়া সেই বিতরণ স্লিপে ১৩ অঙ্ক বিশিষ্ট একটি অ্যাপ্লিকেশন আইডি পাওয়া যাবে। আবেদনের বর্তমান অবস্থা যাচাইয়ের জন্য এই আইডি অথবা আবেদন ফর্মে থাকা ওআইডি (অনলাইন রেজিস্ট্রেশন আইডি) ব্যবহার করতে হবে।
আরো পড়ুন: পুরাতন পাসপোর্ট নবায়নের উপায়
পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া ই-পাসপোর্ট সংগ্রহ
পূর্বে বায়োমেট্রিক নেয়ার কিছুদিনের মধ্যে পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য কল করা হতো। এখন থেকে এই কার্যক্রমটি আর সম্পন্ন হবে না। ই-পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে গেলে যথারীতি আবেদনপত্রে উল্লেখিত মোবাইল নাম্বার ও ই-মেইল ঠিকানায় নির্দিষ্ট তারিখ সম্বলিত বার্তা পাঠানো হবে। তদানুসারে বিতরণ স্লিপ ও এনআইডি কার্ড সঙ্গে নিয়ে সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট কার্যালয়ে হাজির হতে হবে।
পরিশিষ্ট
অনলাইনে আবেদন করে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া ই-পাসপোর্ট করার এই পদ্ধতি পাসপোর্ট প্রাপ্তির সময়কে আরো কমিয়ে আনবে। এতদিন আবেদন ফর্ম পূরণ থেকে বায়োমেট্রিক পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ বেশ সাবলীল ভাবে উতড়ে যাওয়া যেতো। কিন্তু বিড়ম্বনায় পড়তে হতো পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পর্যায়ে এসে। এবার প্রতিটি স্তরের নাগরিকদের রেহাই মিলবে এই পুলিশি হয়রানি থেকে। উপরন্তু, পুরো প্রক্রিয়ার কেন্দ্রবিন্দুতে এনআইডি কার্ডকে রাখার ফলে নথিটি আপ-টু-ডেট রাখার ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি হবে জনসাধারণের মাঝে। সর্বসাকূল্যে, এটি পাসপোর্ট পরিষেবা তুলনামূলক সহজীকরণের অভিমুখে এক বিরাট পদক্ষেপ।
আরো পড়ুন: অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদনে ভুল হলে সংশোধনের নিয়ম
২৭৬ দিন আগে
গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার আহ্বান
মানবাধিকার, আইনের শাসন ও উন্নয়নের প্রসারে 'সহায়ক' গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এক বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়া সরকার বলেছে, 'অস্ট্রেলিয়া একটি উন্মুক্ত, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অঞ্চলের জন্য নিজেদের অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার পানি থেকে ৩০০ জনকে উদ্ধার
গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিবৃতি দেয় অস্ট্রেলিয়া।
বিবৃতিতে বলা হয়, 'যদিও আমরা এই সত্যকে স্বাগত জানাই যে, লাখ লাখ বাংলাদেশি ভোটার নির্বাচনের দিন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন, তবে এটি দুঃখজনক যে নির্বাচন এমন একটি পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে সমস্ত অংশীজনরা অর্থবহ এবং উল্লেখযোগ্যভাবে অংশ নিতে পারেনি।’
আরও পড়ুন: ২০০৮ সাল থেকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় চলছে বাংলাদেশ: অস্ট্রেলিয়ান রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু হিসেবে অস্ট্রেলিয়া বলেছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে সংঘটিত সহিংসতা ও রাজনৈতিক বিরোধী দলীয় সদস্যদের গ্রেপ্তারে তারা উদ্বিগ্ন।
দেশটির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব অস্ট্রেলিয়া ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের কাছে তুলে ধরেছে।
আরও পড়ুন: মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে শোকপ্রকাশ অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের
৬৯৪ দিন আগে
শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
যুক্তরাষ্ট্র বুধবার বাংলাদেশ সরকারের প্রতি শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার রক্ষা এবং শ্রমিক ও শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ফৌজদারি অভিযোগের তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়ন সংশ্লিষ্টদের উপর চলমান নিপীড়ন নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন।’
তিনি বলেন, তারা বেসরকারি খাতের সদস্যদের প্রশংসা করেন, যারা যুক্তিসঙ্গত মজুরি বৃদ্ধির জন্য ইউনিয়নের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ত্রিপক্ষীয় প্রক্রিয়াটিকে ন্যূনতম মজুরির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছে। যাতে শ্রমিক ও তাদের পরিবারগুলো যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক চাপের মুখোমুখি হচ্ছে তা মোকাবিলা করতে পারে।
ন্যূনতম মজুরির দাবিতে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক 'শ্রমিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার' পাশাপাশি বৈধ শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রমকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: ভুয়া প্রোফাইল থেকে সাবধান: ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস
মিলার বলেন, ‘গত সপ্তাহে কারখানার শ্রমিক ও সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সদস্য রাসেল হাওলাদার (২৬) নামে এক যুবকের পুলিশ কর্তৃক নিহত হওয়ার খবরে আমরা মর্মাহত।’
তিনি নিহতদের পরিবার ও বৃহত্তর শ্রমিক সম্প্রদায়ের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, ‘এছাড়াও, ঢাকার একটি কারখানায় বিক্ষোভকারীদের আগুনে নিহত ৩২ বছর বয়সী শ্রমিক ইমরান হোসেনের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।’
মিলার বলেন, সরকারকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে- শ্রমিকরা সহিংসতা, প্রতিশোধ বা ভয় প্রদর্শনের ভীতি ছাড়াই সংগঠন ও সম্মিলিত দরকষাকষির স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ করতে সক্ষম হন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাপী কাজের মাধ্যমে আমরা এই মৌলিক মানবাধিকারগুলো এগিয়ে নিতে দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
আরও পড়ুন: শ্রম খাতের অগ্রগতি পর্যালোচনা: আগামী সপ্তাহে আসছে পাওলা পাম্পালোনির নেতৃত্বে ইইউ প্রতিনিধি দল
বাংলাদেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে কোনো সহিংসতা 'অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে' নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র প্যাটেল
৭৫৭ দিন আগে
সুন্দরবনে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন: ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি
সুন্দরবনের টেকসই উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ সরকারের আরও গবেষণা ও তথ্য সংগ্রহ পরিকল্পনার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (ইউনেস্কো) ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি।
সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত ৪৫তম ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কনভেনশনের বর্ধিত অধিবেশনে এই সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি সুন্দরবন রক্ষায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টা এবং ২০১৯ সালের যৌথ ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টার রিঅ্যাকটিভ মনিটরিং মিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে অগ্রগতির প্রশংসাও করে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি।
মূল অর্জনগুলোর মধ্যে রয়েছে- কৌশলগত পরিবেশ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা, ডলফিন সংরক্ষণ পরিকল্পনা এবং জাতীয় তেল ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণ কৌশল সম্পন্ন করা।
আরও পড়ুন: ৩ মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় সুন্দরবনে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়
এগুলো ম্যানগ্রোভ বনের অনন্য জীববৈচিত্র্য ও ঐতিহ্য রক্ষার জন্য শক্তিশালী সমন্বয় ও ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করে।
সুন্দরবনের আরও টেকসই ব্যবস্থাপনার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ সরকারের আরও গবেষণা ও তথ্য সংগ্রহপরিকল্পনা প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি। এটি কৌশলগত পরিবেশ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনায় (এসইএমপি) উল্লেখ করা হয়েছে।
কমিটি আরও উল্লেখ করেছে, আগামী ২০ বছরে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের উন্নয়ন থেকে প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ ও সমষ্টিগত প্রভাব রোধ করতে অব্যাহত প্রচেষ্টা প্রযোজন। পাশাপাশি স্ট্র্যাটেজিক এনভায়রনমেন্ট অ্যাসেসমেন্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ভবিষ্যতের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যেন সুন্দরবনের বাস্তুসংস্থান ও সামুদ্রিক ব্যবস্থার উপর নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে তা নিশ্চিত করার জন্য প্রচেষ্টা রাখতে অব্যাহত রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: ৩ মাস পর পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হলো সুন্দরবন
সুন্দরবনের অরণ্যের অসামান্য সর্বজনীন মূল্যবোধের গবেষণা ও মনিটরিং সম্পর্কিত প্রতিবেদন যত দ্রুত সম্ভব পর্যালোচনার জন্য বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির কাছে জমা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশকে বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রেক্ষাপটে প্রভাব মূল্যায়নের জন্য গাইডেন্স ও টুলকিট ব্যবহার নিশ্চিত করতে বলেছে ইউনেস্কো কমিটি। সাইটের দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এর নিকটবর্তী সমস্ত ভবিষ্যতের শিল্প বিকাশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এটি নিশ্চিত করতে হবে।
এসব পদক্ষেপ এ অঞ্চলের দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
বৈঠকে কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের অসামান্য সর্বজনীন মূল্যবোধকে প্রভাবিত করতে পারে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প সম্পর্কে বাংলাদেশকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারকে জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প, ব্যয় হবে প্রায় ৩৬ কোটি টাকা
এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশকে বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে ২০২৫ সালের ১ ডিসেম্বরের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন এবং ২০২৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্টেট অব কনজারভেশন রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
৭৯৮ দিন আগে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরও বিলম্ব পুরো অঞ্চলকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে: বাংলাদেশ সরকার
বাংলাদেশ সরকার বলেছে, নির্যাতিত এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তার তীব্র হ্রাস প্রতি বছর শিবিরের অভ্যন্তরে প্রায় ৩০ হাজার নবজাতকের জন্য সংকটকে আরও জটিল করে তুলছে।
শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, নিরাপদ, স্বেচ্ছায় এবং টেকসই প্রত্যাবাসন শুরু করতে আরও বিলম্ব এবং মানবিক সহায়তার ঘাটতি পুরো অঞ্চলকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
তাদের টেকসই প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা প্রদান চালিয়ে যেতে হবে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
কোনো সমাধান ছাড়াই সপ্তম বছরে পা দিয়েছে রোহিঙ্গা সংকট।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে এত দীর্ঘ সময় আশ্রয় দেওয়ার আর্থ-সামাজিক, জনসংখ্যাগত এবং পরিবেশগত ব্যয় বাংলাদেশকে শেষ সীমার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
এই জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষদের নিরাপদ এবং টেকসই পদ্ধতিতে তাদের নিজ ভূমিতে ফিরে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা এবং অধিকার রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘তাদের জন্মস্থান মিয়ানমারে এই সংকটের একটি টেকসই সমাধান খুঁজে বের করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত দায়িত্ব।’
রোহিঙ্গারা তাদের বহনযোগ্য দক্ষতা অর্জন করছে, স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছে এবং তাদের শিশুরা বাংলাদেশের ক্যাম্পে মিয়ানমারের পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে মিয়ানমার ভাষা শেখার সুবিধায় যোগ দিচ্ছে যাতে তারা তাদের সাংস্কৃতিক পরিচয় ধরে রাখতে পারে এবং রাখাইনে ফিরে আসার পর সমাজে সুচারুভাবে মিশে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ৬ বছর: প্রত্যাবাসন চায় বাংলাদেশ, একীভূতকরণে চাপ দিচ্ছে কিছু দেশ
বর্তমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গারা নিরাপদে তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরতে পারবে না বলে স্বীকার করে, ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস বলেছে, পুনর্বাসন হলো আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়, যেখানে তারা দায়িত্ব ভাগাভাগি করে কাজ করবে এবং রোহিঙ্গাদের দুর্দশার জন্য সার্বিক সমাধানে অবদান রাখে।
মার্কিন দূতাবাস বলেছে, ‘আমরা অন্যান্য দেশের উদারতার প্রশংসা করি যারা এই আন্তর্জাতিক পুনর্বাসন প্রচেষ্টায় যোগ দিচ্ছে। আমরা আশা করি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যগত পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার বাইরে থাকা দেশগুলো এই গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টায় যোগ দেবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশ সহ এই অঞ্চল থেকে প্রায় ১৩ হাজার রোহিঙ্গাকে ‘সাদরে গ্রহণ করেছে’।
মার্কিন দূতাবাস বলেছে, ‘যেহেতু এই সংকট সপ্তম বছরে পদার্পণ করছে, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা সমগ্র অঞ্চল জুড়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দুর্ভোগ কমাতে বা শেষ করতে সম্ভাব্য সব বিকল্পের অন্বেষণে অবিচল থাকি।’
২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা পুরুষ, নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সহিংসতা, ধর্ষণ এবং হত্যার নৃশংস অভিযানের ছয় বছর পূর্তি হয়েছে।
সরকারের গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ডের ফলে সাত লক্ষাধিক রোহিঙ্গা তাদের বহনযোগ্য কিছু জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল।
মার্কিন দূতাবাস বলেছে, ‘বাংলাদেশের জনগণ তাদের উন্মুক্ত হস্তে, সহানুভূতি এবং মানবতার বোধ দিয়ে স্বাগত জানিয়েছে। প্রায় ১০ লাখ উদ্বাস্তুকে আতিথেয়তা অব্যাহত রাখায় আমরা বাংলাদেশের জনগণকে তাদের উদারতা এবং আতিথেয়তার জন্য প্রশংসা করি।’
এর প্রতিক্রিয়ায়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশকে তার প্রচেষ্টায় সমর্থনে সমাবেশ করেছে।
আমেরিকান জনগণ ২০১৭ সাল থেকে এই অঞ্চল জুড়ে উদ্ভূত মানবিক সঙ্কটের প্রতিক্রিয়া হিসাবে ২ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি সহায়তা করেছে। এর মধ্যে ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বাংলাদেশে রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় সম্প্রদায়গুলোকে সহায়তা করার জন্য যারা তাদের এত উদারভাবে আতিথ্য করে। এবং আমরা আমাদের সহযোগিতা প্রদানে অবিচল রয়েছি।
দীর্ঘকাল থেকে ভুগতে থাকা রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশে আশ্রয় খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের পরীক্ষামূলক প্রত্যাবাসনে বাধা দেওয়া উচিত নয়: শাহরিয়ার
মার্কিন সরকার বলেছে, তারা নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে তাদের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার, তাদের পরিবারকে শান্তিতে লালন-পালন করার এবং অর্থবহ ও উদ্দেশ্যপূর্ণ জীবনযাপন করার সুযোগ পাওয়ার যোগ্য।
সে কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে,তারা নির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা, আন্তর্জাতিক চাপ এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে এই নৃশংসতার জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এই সঙ্কটের সমাধান,নির্যাতনের শিকারদের জন্য ন্যায়বিচার এবং অপরাধীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মার্কিন সরকার বলেছে, ‘মিয়ানমারের অবস্থার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত, আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে একটিকে মানবিক সহায়তা প্রদান চালিয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ‘আমাদের অবশ্যই বাংলাদেশ সরকার এবং রোহিঙ্গাদের আতিথেয়তাকারী বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের সমর্থন অব্যাহত রাখতে হবে।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আরও বলেছে, বিশ্বজুড়ে অন্যান্য সংকট যেমন সীমিত সম্পদ দিয়ে মোকাবিলা করে, তেমনি রোহিঙ্গারা কীভাবে তাদের স্বাগতিক সম্প্রদায় এবং তাদের নিজস্ব পরিবারের অর্থনৈতিক কল্যাণে অবদান রাখতে পারে তা চিহ্নিত করাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা গণহত্যার ৬ বছর: সহিংসতায় জড়িতদের জবাবদিহি দাবি জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞের
৮৩২ দিন আগে
রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘের ৬ সংস্থার তহবিল বরাদ্দ বাস্তবায়ন
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে জাতিসংঘ কেন্দ্রীয় জরুরি সহায়তা তহবিল (সিইআরএফ) এর পক্ষ থেকে ৯ মিলিয়ন ডলারের বেশি তহবিল বরাদ্দের পর ছয়টি জাতিসংঘ সংস্থা কক্সবাজার ও ভাসানচরে অবস্থিত শরণার্থী শিবিরগুলোয় বিভিন্ন সহায়তা প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে।
বাংলাদেশ সরকার এবং তাদের অংশীদারদের সঙ্গে যৌথভাবে জাতিসংঘ সংস্থাসমূহ শরণার্থীদের জন্য তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার, খাদ্য সহায়তা, পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও স্বাস্থ্যবিধি (ডব্লিউএএসএইচ) পরিষেবা এবং সুরক্ষা প্রদান করছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের সহায়তায় সাড়ে ৪ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই করল জাপান-ইউএনএইচসিআর
নারী, বালিকা ও প্রতিবন্ধীদের জন্যও ওই প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে সহায়তা দেয়া হবে।
কক্সবাজার জেলা এবং ভাসানচর দ্বীপের শিবিরে অবস্থানকারী ৯ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং উখিয়া ও টেকনাফে বসবাসকারী ১৭ হাজার ৮০০ বাংলাদেশির জন্য জীবন রক্ষাকারী সেবা দেয়ার লক্ষ্যে ২০২২ সালের নভেম্বরে সিইআরএফ কর্তৃক জাতিসংঘ অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর), জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ), জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), ইউএন উইমেন এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) মতো ছয়টি জাতিসংঘ সংস্থার অনুকূলে ৯ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়।
আইওএম ও ইউএনএইচসিআর কক্সবাজারের বিভিন্ন শিবিরে অবস্থানকারী শরণার্থী পরিবারগুলোকে এলপিজি বিতরণ করছে। এর ফলশ্রুতিতে মোট ৮ লাখ ৫৬ হাজার ৮৫১ জন শরণার্থী তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার পেতে শুরু করেছে।
এলপিজি বিতরণের ফলে শরণার্থীদের স্বাস্থ্য এবং বাসস্থানের পরিবেশ সুরক্ষিত হয়েছে। কারণ এতে শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে ধোঁয়া গ্রহণের পরিমাণ এবং বন থেকে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহকালীন সুরক্ষা ঝুঁকি হ্রাস পায়।
কক্সবাজারে আইওএম এবং ইউএনএইচসিআর-এর সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে নারী, শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি ও প্রতিবন্ধী শরণার্থীসহ সবচেয়ে ঝুঁকিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীকে কমিউনিটি আউটরিচ প্রোগ্রাম ও সচেতনতা সৃষ্টিকারী কার্যক্রমসহ বিভিন্ন সেবাও দেয়া হচ্ছে।
কক্সবাজার ও ভাসানচর এলাকায় যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য (এসআরএইচ) এবং জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা (জিবিভি) সমন্বয় মধ্যস্থতায় সহায়তা করার জন্য ইউএনএফপিএ দুই লাখ ৫০ হাজার ডলার বরাদ্দ পেয়েছে। ইউএনএফপিএ পরিচালিত প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো তিন লাখ ৩৫ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী নারী ও বালিকাকে যেকোনো ধরনের জিবিভি হতে সুরক্ষা প্রদান এবং এ সংক্রান্ত সহায়তা কার্যক্রম জোরদার করা।
২০২৩ সালের শেষ নাগাদ বাস্তবায়িত হবে এমন যেসব প্রকল্পে ‘ইউএনএফপিএ’ সহায়তা প্রদান করেছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিভিন্ন প্রজনন স্বাস্থ্য কিট, পণ্য, ওষুধ এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী। যেমন-বিভিন্ন পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির পাশাপাশি ধর্ষণ-পরবর্তী শুশ্রূষা কিট সংগ্রহ ও বিতরণ, এসআরএইচ/জিবিভি সংক্রান্ত বিভিন্ন রেফারেল সেবা জোরদার করা, জিবিভি ও ঘনিষ্ঠ সঙ্গী কর্তৃক সহিংসতা পরবর্তী ক্লিনিক্যাল ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য কর্মীদের সামর্থ্য গঠন, মিডওয়াইফ নিয়োগের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা স্থাপনাগুলোর মধ্যে জিবিভি সংক্রান্ত ঘটনা সুরাহার ব্যবস্থা রাখার মাধ্যমে নারীবান্ধব পরিবেশে নানা ধরনের মৌলিক যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির ব্যবস্থা করা।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট ভুলে যাওয়ার নয়: ইইউ উচ্চ প্রতিনিধি
ইউনিসেফ ও এর অংশীদারগণ একটি সমন্বিত পদ্ধতির মাধ্যমে ভাসানচর এলাকায় জরুরি শিশু সুরক্ষা ও জিবিভি সংঘটন প্রতিহত করা এবং এ সংক্রান্ত সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর মাঝে সচেতনতা ও তাদের ক্ষমতায়নের অনুকূল বিভিন্ন কার্যক্রমের মিশ্রণে গঠিত হয়েছে উক্ত সমন্বিত পদ্ধতি। শিশুরা ঘটনা মোকাবেলা, মনস্তাত্ত্বিক সহায়তা এবং জীবনমুখী দক্ষতাভিত্তিক শিখনের সুযোগ পেয়েছে। ইউনিসেফ কক্সবাজার ও ভাসান চরে বসবাসকারী ৪৮ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিধি (ডব্লিউএএসএইচ) পরিষেবাও দেবে।
ইউএন উইমেন রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে সহিংসতার পর বেঁচে থাকা এবং জিবিভি ঝুঁকিগ্রস্তদের জন্য জীবন রক্ষাকারী ও আবশ্যকীয় জিবিভি সেবাসমূহ এবং সহায়তা প্রাপ্তির সুযোগ বৃদ্ধি করছে। সংস্থাটি ইতোমধ্যে শিবিরগুলোতে পাঁচটি বহুমুখী নারী কেন্দ্র চালু করেছে এবং এই বহুমুখী কেন্দ্রগুলোতে জীবিকা সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা ও জিবিভি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে সিইআরএফ তহবিল বরাদ্দ করা হবে।
‘ডব্লিউএফপি'’ বিভিন্ন ফুড ভাউচারের মাধ্যমে শরণার্থীদেরকে খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা প্রদান করছে। শিবিরগুলোর বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ডব্লিউএফপি আউটলেটগুলোয় ব্যাপক পরিসরে নানা ধরনের শুকনো ও তাজা খাবার এই ফুড ভাউচারগুলোর বিনিময়ে ক্রয় করা যাবে।
অবশ্য তহবিল স্বল্পতার কারণে ডব্লিউএফপি এই ফুড ভাউচারের মূল্য প্রতিমাসে জনপ্রতি ১২ ডলার থেকে কমিয়ে ১০ ডলার করতে বাধ্য হয়েছে। যা ১ মার্চ থেকে চালু হবে। এই কর্তন এমন এক সময় এল যখন পুরো রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী তাদের মৌলিক খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ডব্লিউএফপির ওপর নির্ভরশীল এবং এদের শিশু ও নারীরা ইতোমধ্যে উচ্চ হারে অপুষ্টিতে আক্রান্ত।
২০২২ সালের নভেম্বরে তহবিল বরাদ্দের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, ‘শরণার্থী ও এ দেশের জনগোষ্ঠীকে তাদের নিত্যদিনের বেঁচে থাকার সংগ্রামে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে অপর্যাপ্ত তহবিল নিয়ে পরিচালিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী সহায়তা কার্যক্রমের অনুকূলে উক্ত তহবিলসমূহ বরাদ্দ প্রদানের ব্যাপারে জরুরি ত্রাণ সমন্বয়কারীর সিদ্ধান্তকে বাংলাদেশে জাতিসংঘ সংস্থাগুলো স্বাগত জানায়। বাংলাদেশ সরকার ও স্থানীয় এনজিওসমূহের সঙ্গে পরামর্শক্রমে সিইআরএফ কর্তৃক বরাদ্দকৃত এই অর্থের মাধ্যমে শরণার্থীদের সুরক্ষা প্রদান, জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা মোকাবিলা এবং শরণার্থীদের অধিকার ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠার অনুকূল পরিবেশ রচনা করা সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা রেজুলেশন বাস্তবায়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
১০০৪ দিন আগে
কোভ্যাক্সের ওপর নির্ভর রোহিঙ্গাদের টিকাদান
রোহিঙ্গাদের টিকা দেয়ার জন্য জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশে ভ্যাকসিন ডোজ আসার অপেক্ষায় রয়েছে। যদিও মার্চের শেষের দিকে এ কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা ছিল।
কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় সম্প্রদায় উভয়কেই ভ্যাকসিন ডোজের আওতায় আনতে চায়, কারও বিরুদ্ধে কোনও বৈষম্য দেখতে চায় না।
ইতোমধ্যে গত এপ্রিল ও মে মাসে রোহিঙ্গা শিবিরে কোভিড-১৯ শনাক্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, ২০ জুন পর্যন্ত শিবিরগুলোতে করোনায় অন্তত ২০ জন মারা গেছেন এবং ১ হাজার ৫৬৬ জন শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
সংস্থাটি জানায়, শুধুমাত্র মে মাসেই প্রায় ৬০০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে যা গত বছরের মার্চ থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সংখ্যার ৫০ শতাংশেরও বেশি।
কক্সবাজারে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র লুই ডোনভান ইউএনবিকে বলেন, ‘বাংলাদেশে কোভ্যাক্সের টিকা আসার সাথে সাথেই যাতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেয়া শুরু হয় সেই জন্য ইউএনএইচসিআর এবং আন্তর্জাতিক মানব সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
তিনি বলেন, কোভ্যাক্সের টিকা আসার এখনও কোনও নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট: জাতিসংঘ মহাসচিবের হস্তক্ষেপ চায় বাংলাদেশ
দেশে ভ্যাকসিনের ঘাটতি সম্পর্কে জানতে চাইলে লুই বলেন, কোভ্যাক্স থেকে প্রায় এক কোটি ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যা বাংলাদেশের নাগরিকদের পাশাপাশি রোহিঙ্গা ও অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোকে সমানভাবে টিকা দেয়ার জন্য ব্যবহার করা উচিত।
কোভিড -১৯ জাতীয় পরিকল্পনার পাশাপাশি জাতীয় টিকাদান পরিকল্পনা উভয় ক্ষেত্রেই বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেছেন ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ বিশেষ বরাদ্দ পেলে তারা রোহিঙ্গা ও ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় উভয় সম্প্রদায়েরই টিকা দিতে চায়।
তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র রোহিঙ্গাদের জন্য টিকা সরবরাহ করা হলে স্থানীয় সম্প্রদায়গুলো যারা রোহিঙ্গাদের কারণে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারা তা মানবে না।’
১৬২৭ দিন আগে
রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ড: আইওএমকে ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিচ্ছে কোরিয়া
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মানবিক সহায়তা হিসেবে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাকে (আইওএম) এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার জরুরি সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রজাতন্ত্র কোরিয়া সরকার।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির মতে, ২২ মার্চ অগ্নিকাণ্ডের কারণে কক্সবাজারের কুতুপালং বালুখালী এলাকায় অবস্থিত ক্যাম্প নং ৯, ক্যাম্প নং ৮ই এবং ক্যাম্প নং ৮ ডাব্লিউ-তে প্রায় ১০,১০০টি বাসস্থান ধ্বংস হয়ে গিয়েছে এবং এর ফলে প্রায় ৪৮ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১
কোরিয়ান সরকারের এই সহযোগিতা সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ এবং এলপিজি বিতরণ, ল্যাট্রিন এবং স্নান ব্যবস্থাসহ ক্ষতিগ্রস্ত শরণার্থী আশ্রয়কেন্দ্র ও বাসস্থান পুনঃনির্মাণে আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোর পুনরুদ্ধার কার্যক্রমকে সহায়তা করবে।
২০১৩ সালে রোহিঙ্গা শরণার্থী সঙ্কটের প্রাদুর্ভাবের পরে, মানবিক সহায়তাস্বরূপ রোহিঙ্গা ও স্থানীয় কমিউনিটির জন্য প্রজাতন্ত্র কোরিয়া ইউএনএইচসিআর, ইউনিসেফ, আইওএম, ডব্লিউএফপিএবং আইএফআরসি-র মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিকে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বার্ষিক চার থেকে পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সরবরাহ করে আসছে।
আরও পড়ুন: আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের জন্য ১ কোটি ডলার দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া
প্রজাতন্ত্রের কোরিয়া দূতাবাস বাংলাদেশ সরকার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে নিবিড় সহযোগিতার মাধ্যমে মানবিক সঙ্কট এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চূড়ান্ত প্রত্যাবাসন মোকাবিলায় প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
১৬৯৯ দিন আগে
আগামী ৩ অর্থবছরে আমদানি বাণিজ্যে গতি আনার লক্ষ্য সরকারের
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ২০১৯-২০ অর্থবছরে আমদানি বাণিজ্য মারাত্মকভাবে হ্রাস পেলেও বর্তমান ২০২০-২১ অর্থবছরসহ পরবর্তী তিন মেয়াদে গড়ে ৮ শতাংশ আমদানি বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়েছে সরকার।
১৭৯৪ দিন আগে
'আলহামদুলিল্লাহ, ভাসানচরের সুযোগ-সুবিধায় সন্তুষ্ট’: এক রোহিঙ্গার অনুভূতি
রোহিঙ্গাদের একজন সৈয়দ উল্লাহ শুক্রবার ভাসানচরে পৌঁছে সেখানকার সব সুযোগ-সুবিধাগুলো দেখে খুব খুশি হয়েছেন।
১৮২৬ দিন আগে