আইনশৃঙ্খলা
মেছো বিড়াল হত্যার অভিযোগে ঝিনাইদহে যুবক গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নলডাঙ্গা বাজারে মেছো বিড়াল হত্যার অভিযোগে জাহিদুল ইসলাম নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাহিদুল ইসলাম একটি মেছো বিড়াল হত্যা করে ইজিবাইকের পেছনে ঝুলিয়ে রাখেন। তার বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এর ৩৪ (খ) ধারায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
গত ১৯ ডিসেম্বর সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে হত্যার শিকার মেছো বিড়ালের পাশে মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননাকর বক্তব্যসহ ছবি প্রকাশ করা হয়। বিষয়টি নজরে আসার পর বন বিভাগের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। স্থানীয় জনগণ, জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে তারা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ৩টি বন বিড়াল ছানা উদ্ধার
জাহিদুল ইসলাম আগেও বন্যপ্রাণী হত্যায় জড়িত ছিলেন জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই অপরাধের সত্যতা পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করা হয়।
বন্যপ্রাণী হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
৫ ঘণ্টা আগে
শেখ হাসিনার নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়: পলক
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার সময় সারা দেশে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয় বলে জানিয়েছন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সেফহোমে জিজ্ঞাসাবাদে পলক ইন্টারনেট বন্ধের কথা স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর আট কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির, অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল ও শুনানি নিয়ে আদালতের আদেশের পর চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে পলক স্বীকার করেছেন, ইন্টারনেট বন্ধ করে জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। আর ইন্টারনেট বন্ধের এ নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, পলক নিজেই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের ও আন্তর্জাতিক ইন্টারনেটের সব গেটওয়ে বন্ধ রাখা হয়। ইন্টারনেট বন্ধের উদ্দেশ্য ছিল গণহত্যার বিষয় যেন কেউ জানতে না পারে।
আরও পড়ুন: রিমান্ডে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি পলক
এর আগে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা পলককে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে পলক ওই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে আজ চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
জুলাইয়ে কোটা আন্দোলন চলাকালে ইন্টারনেট বন্ধ করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ১২ ডিসেম্বর অনুমতি দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে গতকাল বুধবার তাকে তদন্ত সংস্থায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
১ দিন আগে
সাংবাদিক তুরাব হত্যা, পুলিশের এডিসির ৫ দিনের রিমান্ড
গত ১৯ জুলাই সিলেট নগরীর বন্দরবাজারে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক এটিএম তুরাবকে গুলি করে হত্যা মামলার মূল অভিযুক্ত সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার সাদেক কাওসার দস্তগীরকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় তাকে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তায় আদালতে তোলা হয়।
এ সময় সিলেটের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আব্দুল মোমেন ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রব জানান, সাদেক কাওসার দস্তগীরকে ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) শেরপুর জেলার একটি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রার শর্ত শিথিল করল আইএমএফ
এর আগে ১৭ নভেম্বর রাতে এ মামলার আরেক আসামি পুলিশের কনস্টেবল উজ্জ্বলকে ঢাকা থেকে পিবিআই গ্রেপ্তার করে। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ১৯ আগস্ট সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আব্দুল মোমেনের আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই আবুল হাসান মো. আজরফ (জাবুর)।
মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (ক্রাইম- উত্তর) মো. সাদেক দস্তগীর কাউছার, উপকমিশনার (উত্তর) অতিরিক্ত ডিআইজি আজবাহার আলী শেখসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলায় আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
১ দিন আগে
কেরাণীগঞ্জে রূপালী ব্যাংক থেকে ৩ ডাকাতের আত্মসমর্পণ
ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের চুনকুটিয়া রূপালী ব্যাংক শাখায় ঢুকে পড়া তিন ডাকাত র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ডাকাতরা আত্মসমর্পণ করলে তাদের র্যাব- ১০ এর হেডকোয়ার্টারে নেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় গ্রাহক সেজে ১০-১২ জন ডাকাত ব্যাংকে ঢুকে ম্যানেজার শেখর মন্ডলসহ কর্মচারীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লকার থেকে টাকার বস্তুা দিতে বলে।
এসময় কৌশলে এক কর্মচারী গ্রহক সেজে নিচের লোকজন নিয়ে ব্যাংকের গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। এ সময় এলাকাবাসী পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯- এ ফোন দিয়ে ডাকাতির ঘটনা জানান। পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ব্যাংকটির আশপাশের এলাকা ঘিরে রাখে।
আরও পড়ুন: কেরাণীগঞ্জে রূপালী ব্যাংকের শাখায় ডাকাত, ঘিরে ফেলেছে পুলিশ
দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, সংবাদ সম্মেলন করে মিডিয়া কর্মীদের সব তথ্য জানানো হবে।
তিনি বলেন, শেখর মন্ডল কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। পুলিশ, ডিবি, সেনাবাহিনীর ও র্যাবের সদস্যরা এ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।
এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত পুলিশ, ডিবি, সেনাবাহিনীর ও র্যাবের সদস্যরা রুপালী ব্যাংকটি ঘেরাও করে রাখে।
১ দিন আগে
শেখ হাসিনাসহ ৫৭ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫৭ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেছেন শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে তারা ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন।
শহীদ পরিবারের পক্ষে অ্যাডভোকেট উদয় তাসমীর এই অভিযোগ দাখিল করেন।
পরে তিনি গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুপুর ২টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কাছে পিলখানা গণহত্যায় শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা এই অভিযোগ জমা দেন।
এসময় তৎকালীন বিডিআর-এর ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে রাকিন আহমেদ, কর্নেল মুজিবুর হকের স্ত্রী ফেরদৌসী, কর্নেল কুদরত এলাহীর ছেলে সাকিব রহমানসহ ১৫-২০ জনের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায় বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যরা। সেই ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন প্রাণ হারান। এ ঘটনায় করা দুই মামলার মধ্যে হত্যাযজ্ঞের মামলার বিচার কাজ হাইকোর্ট বিভাগে সম্পন্ন হয়েছে। অপরদিকে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলা এখনো নিম্ন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা-রেহানার ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে বিএফআইইউ
হত্যাযজ্ঞের মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর রায় দেন বিচারিক আদালত। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় ১৬০ জনের। ১০ বছরসহ বিভিন্ন মেয়াদের সাজা হয় ২৫৬ জনের। খালাস পান ২৭৮ জন।
আপিলের পর হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর রায় দেওয়া হয়। রায়ে ফাঁসি বহাল রাখা হয় ১৩৯ জনের। যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে। ২২৮ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়। খালাস পান ৪৫ জন।
উচ্চ আদালতে খালাস পাওয়া ও সাজা কমা ৮৩ জনের ক্ষেত্রে আপিল বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) দায়ের করেছে। পাশাপাশি আসামিপক্ষেও লিভ টু আপিল দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারিতে পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের তদন্তে জাতীয় স্বাধীন কমিশন/কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে গত মাসে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী তানভীর আহমেদ ও বিপ্লব কুমার পোদ্দার।
পরবর্তী সময়ে প্রকৃত সত্য বের করতে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিটি বা কমিশন গঠন করতে এবং ‘শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণার পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানিয়ে ৩ নভেম্বর স্বরাষ্ট্রসচিব বরাবর আবেদন করেন রিটকারীরা।
এরপর রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ৫ নভেম্বর হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। স্বরাষ্ট্রসচিব বরাবর করা আবেদন নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আবেদনটি ১০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে স্বরাষ্ট্রসচিবের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।
পরে ২ ডিসেম্বর জাতীয় স্বাধীন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শুরু করেছে বলে সেদিন হাইকোর্টকে জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। পাশাপাশি দুই সপ্তাহ সময়ের আরজি জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আদেশের জন্য ১৫ ডিসেম্বর দিন রাখেন। পরে গত ১৫ ডিসেম্বর ২০০৯ সালে রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদরদপ্তরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুটি মামলা চলমান থাকায় আপাতত জাতীয় স্বাধীন কমিটি গঠন করা যাচ্ছে না বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সহকারী সচিব মো. মফিজুল ইসলামের সই করা স্মারকে বলা হয়েছে, সাবেক বিডিআর ও বর্তমান বিজিবি হেডকোয়ার্টার ঢাকায় ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারিতে সংঘটিত ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে দুটি মামলা করা হয়।
হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ, ১৬১ জন যাবজ্জীবন, ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ এবং ২৭৮ জনকে খালাস দেওয়া হয়। পরবর্তীতে হাইকোর্টে শুনানি শেষে রায় প্রকাশ করা হয়। বর্তমানে মামলাটি আপিল বিভাগে শুনানি চলমান রয়েছে।
অপর মামলাটি বকশী বাজারের অস্থায়ী আদালতে বিচারাধীন থাকায় আবেদনকারীর চাহিদা অনুযায়ী প্রস্তাবিত কমিটি গঠন আদালতের আদেশের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে বিধায় আপাতত কমিটি গঠন সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় সরকার অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছে। আদালতে দুটি মামলা বিচারাধীন থাকায় এ পর্যায়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি।’
এ তথ্য জানার পর গতকাল রবিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদনটির শুনানি ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রকাশ
১ দিন আগে
বিএসএফের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি কিশোরকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ
পঞ্চগড়ের সীমান্ত এলাকা থেকে ওয়াসিম নামে এক কিশোরকে ধরে নিয়ে যাওয়া অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিএসএফের বিরুদ্ধে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের সেনপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার (৭৪৬) এলাকা থেকে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
তাকে দেশে ফেরাতে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আটক ওয়াসিমের বাড়ি সেনপাড়া এলাকায়। সে ওই এলাকার রেজাউল করীমের ছেলে।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা যায়, সেনপাড়া সীমান্ত দিয়ে ৪-৫ জন কিশোর অবৈধ উপায়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় বিএসএফের ৪৬ ব্যাটালিয়নের গোড়ালবাড়ী ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করেন। সবাই পালিয়ে এলেও বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে ওয়াসিম। পরে তাকে গোড়ালবাড়ি ক্যাম্পে নিয়ে যায় বিএসএফ।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের টোকা পাড়া ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েব সুবেদার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ওই কিশোরকে দেশে ফেরাতে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। আশা করছি রাতেই তাকে দেশে ফেরানো হবে।’
ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা বলেন, ‘ভারতে অনুপ্রবেশ রোধে আমরা সীমান্তবর্তী মানুষের মাঝে জনসচেতনামুলক সভা করছি। কেউ যাতে অবৈধ উপায়ে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা না করে সেজন্য তাদের বোঝানো হচ্ছে।’
ইউএনবি/এএস
পঞ্চগড়ে সীমান্ত এলাকা থেকে বাংলাদেশী কিশোরকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের সদর উপজেলায় সীমান্ত এলাকা থেকে ওয়াসিম (১৫) নামে এক কিশোরকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বুধবার বিকেলে উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের সেনপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৭৪৬ এলাকা থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের ৪৬ ব্যাটালিয়নের গোড়ালবাড়ী ক্যাম্পের সদস্যরা। এদিকে, ধরে নিয়ে যাওয়া যুবককে দেশে ফেরাতে কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে বিজিবি।
আটক কিশোর ওয়াসিমের বাড়ি সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের সেনপাড়া এলাকায়। সে ওই এলাকার রেজাউল করীমের ছেলে।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের সেনপাড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে ৪-৫ জন কিশোর ভারতে অবৈধ উপায়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। এসময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের ৪৬ ব্যাটালিয়নের গোড়ালবাড়ী ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। সবাই পালিয়ে এলেও বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে ওয়াসিম। পরে তাকে গোড়ালবাড়ি ক্যাম্পে নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের টোকা পাড়া ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েব সুবেদার শফিকুল ইসলাম বলেন, বুধবার বিকেলে সেনপাড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল ৪-৫ কিশোর। পরে তাদের একজনকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফের সদস্যরা। আটক কিশোরকে দেশে ফেরাতে কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। আশা করছি রাতেই তাকে দেশে ফেরানো সম্ভব হবে।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা বলেন, ওয়াসিম নামে ওই যুবক সহ কয়েকজন ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। পরে ওয়াসিম তাকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। আমরা কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান করেছি। রাতেই ওয়াসিমকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। আমরা সীমান্তবর্তী মানুষজনের মাঝে জনসচেতনামুলক সভা করছি। কেউ যাতে অবৈধ উপায়ে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা না করে সেজন্য তাদের বোঝানো হচ্ছে। সীমান্তে সবর্দা বিজিবি টহল অব্যাহত থাকে।
২ দিন আগে
তুরাগ নদীর আশেপাশে মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ
তুরাগ নদীর দক্ষিণ ও পশ্চিম তীরের কামারপুর, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর-১০ ও এর আশেপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ, মিছিল ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বুধবার টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত ও অনেকে আহত হওয়ার পর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
আরও পড়ুন: দুই দিনের অভিযানে ১৭৯৯ মামলা দিল ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ
বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ২৯ ধারার অধীনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ (অধ্যাদেশ নম্বর III/৭৬) জারি করা হয়েছে।
সংঘর্ষের পর যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য বিশ্ব ইজতেমা ময়দান ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে কর্তৃপক্ষ।
সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং অন্যান্য বাহিনীর একটি বড় দল নিয়মিত পুলিশসহ ওই এলাকায় টহল দিচ্ছে।
বিজিবি সদর দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওই এলাকায় চার প্লাটুন মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কর্মক্ষেত্র-বাচ্চার স্কুলের কাছে বাসা নেওয়ার পরামর্শ ডিএমপি কমিশনারের
২ দিন আগে
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বাবরসহ ৬ জন খালাস
চাঞ্চল্যকর ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ছয় আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরীন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে এ মামলায় ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) প্রধান পরেশ বড়ুয়ার সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক আবদুর রহিমকেও মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: সিলেটে চার মামলায় জামিন পেলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর
চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) জেটিতে ১০ ট্রাক অস্ত্র জব্দ করার পর ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।
এ ঘটনায় পরদিন কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র আইনে ৫০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। আর বিশেষ ক্ষমতা আইনের আরেকটি মামলায় ৫২ জন আসামি করা হয়।
২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মজিবুর রহমান বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। অস্ত্র মামলায় দুই ধারায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায়ে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উলফা প্রধান পরেশ বড়ুয়া, ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী ও এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক আবদুর রহিমসহ ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালান সংক্রান্ত অভিযোগগুলো আনা হয়েছিল।
এদের মধ্যে ২০১৬ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধে মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর হয়।
আরও পড়ুন ৮ বছরের সাজা থেকে খালাস পেলেন বাবর
৩ দিন আগে
সংবিধানে জাতির জনক, সাতই মার্চসহ কয়েকটি ধারা সংসদের জন্য রেখেছেন আদালত
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর পুরোটা হাইকোর্ট বাতিল করেননি বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, সংবিধানে জাতির জনক, সাতই মার্চসহ কয়েকটি অনুচ্ছেদ সংসদের জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে। এসব ব্যাপারে সংসদই সিদ্ধান্ত নেবে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রায় ঘোষণার পর নিজ কার্যালয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এই মন্তব্য করেন।
সাংবাদিকদের অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘রিটকারীরা সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর পুরোটাই অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণার দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আদালত পুরো সংশোধনীটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেননি। আদালত বলেছেন, পুরোটা সংবিধান পরিপন্থী বলছি না। দ্বিতীয়ত বলেছেন, সংবিধানের ৭(এ) ও ৭(বি) এই দুটো সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এটি সংবিধানে ছিলোই না- এভাবে ধরে নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ দেবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন
তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করাটি আদালত অবৈধ বলেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এটি বাতিল করা হয়েছে। রেফারেন্স হিসেবে আদালত বলেছেন, গত তিনটি নির্বাচন কীভাবে হয়েছে, কীভাবে গণতন্ত্র নির্বাসিত হয়েছে, কীভাবে আইনের শাসন ভূলুন্ঠিত হয়েছে, কীভাবে বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কীভাবে সংবিধানের মূল ভিত্তিতে আঘাত হানা হয়েছে- এগুলো উনারা বলেছেন। এরপর সংবিধানের ৪৪(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছিল, সরকার ইচ্ছে করলেই যে কোন জায়গায় হাইকোর্ট বসাতে পারবেন। এটাও অবৈধ।’
‘কারণ, এটা অষ্টম সংশোধনীর রায়ে বলা হয়েছে, এখানে একটি সুপ্রিমকোর্ট থাকবে। এই একটি সুপ্রিমকোর্টকে ভেঙেচুরে টুকরো টুকরো করবেন- এর সুযোগ নেই। তৃতীয়ত, গণভোটে জনগণের যে পাওয়ার সরকার যেভাবে সংকুচিত করেছিলেন, সেটা অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করেছেন।’
‘পঞ্চদশ সংশোধনীর বাকি বিষয়গুলো নিয়ে আদালত কিছুই বলেননি। বাকি বিষয়গুলো বৈধ নাকি অবৈধ- কিছুই বলেননি। সেগুলো সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সংসদ সিদ্ধান্ত নেবে- সেগুলো রাখবে কি রাখবে না।’
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকার ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে এবং সংবিধানে জাতীয় চার মূলনীতি- জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা ফিরিয়ে আনে। একইসঙ্গে তখন সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রেখে অন্যান্য ধর্মের সমমর্যাদা নিশ্চিত করার বিধান আনা হয়। পাশাপাশি ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণ, ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণা ও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে।
অবৈধ ক্ষমতা দখল করলে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা ও সংরক্ষিত নারী আসন ৫০-এ উন্নীত করা এবং জাতির পিতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বীকৃতি দেওয়া হয় ২০২১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে।
মঙ্গলবার পৃথক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের দেওয়া রায়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তি-সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের মাধ্যমে সংবিধানে যুক্ত ৭ক, ৭খ, ৪৪ (২) অনুচ্ছেদ বাতিল ঘোষণা করেন আদালত।
আরও পড়ুন: পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারে বাধা নেই
৩ দিন আগে
পাশাপাশি বিএনপির দুপক্ষের সভা, সংর্ঘষ এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি
বাগেরহাটের কচুয়ায় উপজেলা বিএনপির জনসভা এবং দলটির সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিমের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ঘিরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে উপজেলা প্রশাসন সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) উপজেলার গোয়ালমাঠ এলাকার মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি কলেজ মাঠ এবং পার্শ্ববর্তী গোয়ালমাঠ রশিক লাল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ এলাকায় সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম আবু নওশাদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে ১৪৪ ধারা জারির বিষয়টি জানানো হয়।
আদেশে উল্লেখ করা হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিকসহ জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কচুয়ার গোয়ালমাঠ এলাকার মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি কলেজ মাঠ এবং গোয়ালমাঠ রশিক লাল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ এলাকা ও চারপাশের এক কিলোমিটারের মধ্যে সব ধরনের জনসমাগম, সভা-সমাবেশ, আগ্নেয়াস্ত্র বহন নিষিদ্ধসহ ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা জারি করা হলো। এই আদেশ জরুরি পরিষেবা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
আরও পড়ুন: বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কচুয়ার গোয়ালমাঠ এলাকার মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি কলেজ মাঠে বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ এইচ সেলিমকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়া পার্শবর্তী গোয়ালমাঠ রশিক লাল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে কচুয়া উপজেলা বিএনপির জনসভার আয়োজন করা হয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করলে পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং সংর্ঘষ এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আবু নওশাদ বলেন, ‘পরিস্থিতি সামাল দিতে ওই দুই এলাকায় বিএনপির দুই পক্ষের সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ঘিরে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।’
৩ দিন আগে