আইনশৃঙ্খলা
পূর্বশত্রুতা ও ট্রলারের লোভে যাত্রীবেশে চাচাকে হত্যা: এসপি
বরিশালের উজিরপুরে পূর্বশত্রুতা ও ট্রলারের লোভে যাত্রীবেশে চাচাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভাতিজা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বরিশাল জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) শরিফ উদ্দীন লিখিত বক্তব্যে এই তথ্য জানান।
গত ৩১ জানুয়ারি উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ট্রলারচালক মাহাবুব মুণ্ডপাশা গ্রামের সেকান্দার আলীর ছেলে।
পুলিশ সুপার বলেন, গত ৩১ জানুয়ারি শিকারপুর খেয়াঘাটে ট্রলারচালক মাহাবুব হাওলাদারকে যাত্রী বেশে মাঝ নদীতে নিয়ে হত্যা করে তার ভাতিজা ও পরিবারের সদস্যসহ ৬ জন। ওই ঘটনায় থানায় একটি নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে মাহাবুবের পরিবার। এরপর আসামিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কঙ্গোতে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা নিরাপদে আছেন: আইএসপিআর
আসামিরা হলেন— বরিশালের উজিরপুরের সুজন হাওলাদার, রিয়াদ হাওলাদার, মুলাদীর নাঈম হাওলাদার, সাব্বির খান, তাজিম হাওলাদার ও বরগুনা জেলার তাসিন হাওলাদার।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) উজিরপুরের পৃথক স্থান থেকে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে হত্যা মামলায় আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাদের জেল হাজতে পাঠান।
৩২ মিনিট আগে
বরিশালে পুকুরপাড়ে মিলল ৫ পাইপগান
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার খানপুরার রহমতপুর ইউনিয়ন থেকে পাঁচটি পাইপগান উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদের খান বাড়ির পুকুরপাড় থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী রহিম মাঝি বলেন, ‘দুপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীরা পুকুরের পাশে একটি ব্যাগ দেখতে পেয়ে তারা উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় খান বাড়ির নারীরা তা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই ব্যাগ খেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।’
আরও পড়ুন: মাগুরায় দেশীয় পাইপগানসহ ২ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার
এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির সিকদার বলেন, ‘উদ্ধারকরা অস্ত্রগুলো সম্পর্কে আমরা তদন্ত করে দেখছি। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
তবে এই অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় এখনও কাউকে শনাক্ত বা আটক করা যায়নি বলে জানান তিনি।
৩৫ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংশ্লিষ্ট মামলায় গুরুত্ব দিতে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশ
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংশ্লিষ্ট মামলাগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রাজারবাগ বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে জানুয়ারি মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে হওয়া মামলাগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করতে হবে। মামলা তদন্তে অগ্রগতির পাশাপাশি মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়াতে হবে। মাদক উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে আরও তৎপর হতে হবে।’
আরও পড়ুন: রাজশাহী সারদা পুলিশ একাডেমী থেকে এসপি তানভীর আটক
তিনি বলেন, “বিভিন্ন অপরাধে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযান শুরু হয়েছে। গত ১৫ বছরে যারা গুম, লুটপাট, চাঁদাবাজি ও গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিল, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।”
ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তারে ডিএমপির থানা ও ফাঁড়িগুলোকে আরও বেশি তৎপর হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এ সময় পুলিশকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে বলে পরামর্শ দেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
ঢাকা শহরের যানজট নিয়ে সাজ্জাত আলী বলেন, ‘একটি রাস্তা বন্ধ হলে অন্য রাস্তাগুলো বন্ধ হয়ে যায়। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন রাস্তা বন্ধ করে সরকারের কাছে তাদের দাবি জানাচ্ছে। রাস্তা বন্ধ করে দাবি আদায়ের এ চর্চা বন্ধ করতে হবে।’
ওভার স্পিড নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে ট্রাফিক বিভাগকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন ডিএমপি কমিশনার।
সভায় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন জানুয়ারি মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি যেমন- ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন মামলা-সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করেন।
অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার, ডিএমপির সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজশাহী সারদা পুলিশ একাডেমী থেকে এসপি তানভীর আটক
রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী থেকে তানভীর সালেহীন ইমন নামের এক পুলিশ সুপারকে (এসপি) আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) সারোয়ার জাহান বলেন, ‘মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকা থেকে ডিবির টিম এসে এসপি তানভীর সালেহীন ইমনকে নিয়ে গেছে। কেন, কী অভিযোগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা ডিবি বলতে পারবে।’
তানভীর সালেহীনের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ২৮তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে ২০১০ সালে পুলিশে যোগ দেন তানভীর সালেহীন। তিনি ২০১৬ সালে আইজিপি ব্যাজ এবং ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পান।
আওয়ামী লীগ সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তা ছিলেন তিনি। কর্মজীবনে তিনি রেকর্ড ২৭ বার কুমিল্লা জেলা পুলিশের সেরা সার্কেল অফিসার হিসেবে পুরস্কৃত হন। ২০২২ সালে তিনি এসপি হিসেবে পদোন্নতি পান।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির দায়ে এসপি নিহার রঞ্জনকে শাস্তি
এরপর তাকে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (সদরদপ্তর ও প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাকে রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির পুলিশ সুপার (বেসিক ট্রেনিং-২) হিসেবে পদায়ন করা হয়।
সম্প্রতি সারদায় প্রশিক্ষণরত পুলিশ কর্মকর্তা ও কনস্টেবলদের তার স্বাক্ষরেই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হচ্ছিল। একাডেমীর অধ্যক্ষের পক্ষে তিনি শোকজ করছিলেন।
৭ ঘণ্টা আগে
আয়নাঘর পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা
আয়নাঘর পরিদর্শনে গিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তার সঙ্গে ছিলেন দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ও ভুক্তভোগীরা।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় প্রধান উপদেষ্টা আয়নাঘর পরিদর্শনে যান। ঢাকায় অবস্থিত ৩টি গোপন বন্দিশালা ও নির্যাতন কেন্দ্র (আয়নাঘর) পরিদর্শনে গিয়েছেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম বলেন, শেখ হাসিনা সরকার কয়েক হাজার গুমের শিকার ব্যক্তিকে আয়নাঘরে রাখা হয়েছিল। তাদের কয়েকজনকে আট থেকে ৯ বছর বন্দি করে রাখা হয়েছিল। শেখ হাসিনা নিজেই গুম ও বিচারবহির্ভুত হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন বলে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: শিগগিরই আয়নাঘর পরিদর্শনে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টার আয়নাঘর পরিদর্শনের সময় তার সঙ্গে ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার আয়নাঘর পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত হয়।
এর আগে গুমের শিকার ব্যক্তিদের ছাড়া আয়নাঘর পরিদর্শনে অপারগতা প্রকাশ করেছিল গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশন। গত ২৯ জানুয়ারি কমিশনের সচিব আশিকুল খবির প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বিষয়টি জানান।
চিঠিতে বলা হয়েছে, পরিদর্শনের সময় স্থাপনা শনাক্ত করাসহ গুমের ঘটনার সব তথ্য যাচাইয়ে সংশ্লিষ্ট ভুক্তভোগীদের সঙ্গে রাখা আবশ্যক। পরিদর্শনের সময় ভুক্তভোগীদের সঙ্গে না রাখলে তাদের আইনগত অধিকার ক্ষুণ্ণ হবে বলে মত দিয়েছিলেন তারা।
৭ ঘণ্টা আগে
চাঁদাবাজির অভিযোগে কোম্পানীগঞ্জ থানার ১৩ পুলিশ সদস্য ক্লোজড
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার ১৩ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ করা হয়েছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. রাসেলুর রহমানের সই করা আদেশে তাদের ক্লোজ করা হয়।
ক্লোজড পুলিশ সদস্যের মধ্যে রয়েছেন ২ জন উপপরিদর্শক (এসআই), ২ জন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ও ৯ জন কনস্টেবল।
এরা হলেন— এসআই খোকন চন্দ্র সরকার ও মিলন ফকির, এএসআই শিশির আহমেদ মুকুল ও শামীম হাসান। কনস্টেবল নাজমুল আহসান, মুন্না চৌধুরী, নাইমুর রহমান, তুষার পাল, আবু হানিফ, সাখাওয়াত সাদী, সাগর চন্দ্র দাস, মেহেদী হোসেন ও কিপেস চন্দ্র রায়।
আরও পড়ুন: আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় গোমস্তাপুরের ওসির বদলি, ৭ পুলিশ সদস্য ক্লোজড
স্থানীয়রা জানান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলা কেটে পাথর উত্তোলন শুরু করেন স্থানীয়রা। টিলার পাথরবাহী গাড়ি থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে ওঠে কোম্পানীগঞ্জ থানার কিছু পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।
এ-সংক্রান্ত কিছু ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর তাদের ক্লোজ করে সিলেট পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কোম্পানীগঞ্জ থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পাই আমরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ করা হয়েছে। তাদের আপাতত অন্য কোনো কর্মস্থলে দেওয়া হয়নি। তাদের সিলেট পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া তদন্তের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১ দিন আগে
মাইনরিটি জনতা পার্টিকে নিবন্ধন দেওয়ার নির্দেশ
বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টিকে (বিএমজেপি) রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: তিন বিভাগীয় কমিশনারসহ ৮ জনকে হাইকোর্টে তলব
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তাজুল ইসলাম ও ওমর ফারুক। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুনতাসীর মাহমুদ রহমান; তাকে সহযোগিতা করেন এএনএম আশিকুর রহমান খান।
এর আগে নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন না দেওয়ায় দলটির সভাপতি সুকৃতি কুমার মন্ডল হাইকোর্টে রিট করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী মুনতাসীর মাহমুদ রহমান বলেন, কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
১ দিন আগে
হবিগঞ্জের সাবেক এমপি মজিদ কারাগারে
হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও আওয়ামী লীগ নেতা আইনজীবী মো. আব্দুল মজিদ খানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল আলীম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে তাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সোমবার রাতে ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশ মো. আব্দুল মজিদ খানকে গ্রেপ্তার করে। ওই দিন রাতে বানিয়াচং থানার পুলিশ ঢাকায় গিয়ে মঙ্গলবার সকালে তাকে হবিগঞ্জে নিয়ে আসা হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মজিদ ঢাকায় গ্রেপ্তার
তিনি জানান, গত ৫ আগস্ট বানিয়াচংয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিতে ৯ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় তিনি ২ নম্বর আসামি ছিলেন। এ ছাড়াও রিপন শীল হত্যা মামলায় তার নাম ৩ নম্বরে রয়েছে।
মজিদ খান ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ওই আসনে এমপি নির্বাচিত হন। পরে ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কাছে তিনি হেরে যান। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
১ দিন আগে
সাগর-রুনি হত্যায় সাবেক সরকার জড়িত: রুনির ভাই
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় সাবেক সরকার জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন রুনির ভাই নওশের আলম রোমান। এ মামলার তদন্তে বেশকিছু অগ্রগতি এসেছে বলে জানিয়েছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী শিশির মনির।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তারা এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাগর-রুনির ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ।
তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে আইনজীবী বলেছেন, ‘যতটুকু আমরা জানতে পেরেছি বেশ কিছু ডেভেলপমেন্ট (অগ্রগতি) হাতে এসেছে। সময়ের ব্যবধানে এই ডেভেলপমেন্ট নিয়ে হাইকোর্ট বিভাগে তদন্ত প্রতিবেদন সাবমিট করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘অতীতে এই মামলাটিকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে দেওয়া হয়নি। বর্তমানে তদন্ত রিপোর্টে কিছু তথ্য-উপাত্ত এসেছে। অতীতে এই তদন্ত প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। আইনি পদ্ধতিতে তদন্ত চলতে দেওয়া হয়নি।’
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় এই সাংবাদিক দম্পতি খুন হন। সাগর মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক ও রুনি এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ছিলেন।
আরও পড়ুন: ১১৫ বারের মতো পেছাল সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল
ওই হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম রোমান বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেছিলেন।
প্রথমে এ মামলা তদন্ত করেছিল শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। চার দিন পর মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৬২ দিনের মাথায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি।
পরে আদালত র্যাবকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। কিন্তু তদন্তের কোনো অগ্রগতি হয়নি। এ অবস্থায় হাইকোর্টের নির্দেশে গত ২৩ অক্টোবর এ মামলার তদন্তে চার সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত বছরের ৪ নভেম্বর র্যাবের হাত থেকে পিবিআই ওই মামলার তদন্তের দায়িত্ব বুঝে নেয়। এরপর সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজনকে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তারা।
আইনজীবী শিশির মনির জানান, ‘এটি চাঞ্চল্যকর এবং দুর্ভাগ্যজনক। ১৩ বছরেও এই মামলার তদন্ত শেষ করে রহস্য উন্মোচন করতে পারেনি।’
‘আমি মনে করি এটি রাষ্ট্রীয় লেভেলে বড় ধরনের ব্যর্থতার ফল। এই সরকার আসার পর হাইকোর্ট বিভাগের আদেশে উচ্চতর টাস্কফোর্স গঠিত হয়েছে। এই টাস্কফোর্স ৪ এপ্রিলের মধ্যে তাদের তদন্তের সারবত্তা পেশ করবেন।’
স্বল্পতম সময়ের মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তারা একটি গ্রহণযোগ্য তদন্ত রিপোর্ট আদালতের সামনে দাখিল করবেন বলে আশাবাদী এই আইনজীবী।
আরও পড়ুন: সাগর রুনি হত্যা: ৯৬ বার পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তদন্তের বিষয়টির সঙ্গে স্পর্শকাতরতা আছে। এক ধরনের গোপনীয়তা আছে। তবে যাদের এক্সামিন (জেরা) করা হয়েছে, তদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।’
‘এ ছাড়াও অন্য মামলায় জেলে আছেন, এরকম ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আলাপ করা হয়েছে। যারা কিছুটা বক্তব্য দিয়েছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যোগাযোগের ব্যাপারে তারা মুখ খুলেছেন।’
মামলাটি বিচারাধীন উল্লেখ করে শিশির মনির আরও বলেন, ‘অতীতে উচ্চ পর্যায় থেকে এখানে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। এই উচ্চ পর্যায় চিহ্নিত করে তদন্ত রিপোর্টে দেখানো হবে। আপাতত সবটা বলা সমীচীন নয়।
‘আগের সরকার জড়িত’
রুনির ভাই নওশের আলম রোমান বলেন, ‘তদন্ত তো আমরা বুঝি না। তারপরও সব কিছু দেখে কিছুটা আশার আলো দেখতে পাই।’
তিনি বলেন,‘আমরা সব সময় মনে করতাম যে, আগের সরকারের সংশ্লিষ্ট কেউ বা সরকার স্বয়ং এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। কারণ যত ধরনের নাটক হয়েছে, ডিএনএ টেস্ট থেকে শুরু করে আমাদের হয়রানি এবং নানা সময় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী কথাবার্তা বলেছেন।’
নওশের জানান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, কারো বেডরুম পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব তার না। এ কারণে তারা মনে করতেন তৎকালীন সরকার বা তাদের সংশ্লিষ্ট কেউ এটার সঙ্গে জড়িত।
তার ভাষ্যে, ‘সরকার আন্তরিক হলে ১২ বছর ধরে তদন্ত চলতো না। র্যাবের মতো একটা বাহিনী যারা তদন্ত প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত না...।’
তিনি বলেন, এতবার আশাভঙ্গ ঘটেছে, ‘যার ফলে আমরা আশাবাদী হওয়ার মতো কিছু পাচ্ছি না, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা তদন্ত রিপোর্ট কী আসছে সেটা জানতে পারছি।’
পজিটিভ কিছু একটা শুনতে পাব: মেঘ
মাহির সরওয়ার মেঘ বলেন, ‘আগে তো কিছু হতো না। এখন তো দেখছি যে ওরা কাজ করছে। তো একটু হলেও আমরা আশাবাদী। আশা করা যাচ্ছে পজিটিভ কিছু একটা শুনতে পাবো।’
১ দিন আগে
ফ্যাসিবাদের দোসরদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ফ্যাসিবাদ ও তাদের দোসর, দুষ্কৃতিকারী, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ বিদায় নিয়েছে; কিন্তু তাদের দোসররা দেশে বিদেশে সরকারের বিরুদ্ধে নানাবিধ ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী এসব অপতৎপরতাকারী এবং তাদের সহযোগীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে গত ৮ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযান পরিচালনা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ‘দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ’ বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনির সভাপতিত্বে কর্মশালায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।আরও পড়ুন: অপারেশন ডেভিল হান্টে নির্দোষরা যেন শাস্তি না পায়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার মাহাবুবুর রহমান। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী, পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম ও সুপ্রিমকোর্টের অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অপারেশন ডেভিল হান্টের সামগ্রিক কার্যক্রম তদারকি করছে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে স্থাপিত জয়েন্ট অপারেশন সেন্টারের মাধ্যমে অপারেশন ডেভিল হান্টের সার্বিক কার্যক্রম সমন্বয় করা হচ্ছে। মেট্রোপলিটন এলাকায় মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এবং জেলা পর্যায়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনায় সমন্বয় করছেন।
উপদেষ্টা বলেন, জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত সন্ত্রাসী, নরহত্যায় জড়িত বিশেষ হেলমেট বাহিনী, ফৌজদারি অপরাধে সম্পৃক্ত ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসররা, অর্থ পাচারকারী, লুণ্ঠনকারী, ষড়যন্ত্রকারী, দুষ্কৃতকারী, রাষ্ট্রদ্রোহী, দুদকের মামলায় আসামিদের আইনের আওতায় আনার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের পুলিশ বাহিনী, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা আইনি প্রক্রিয়ায় এসকল অপরাধীদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গ্রেফতার করেছে। এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর আমরা একটি চ্যালেঞ্জিং সময় অতিবাহিত করছি। তারা আইনশৃঙ্খলা, বিচারব্যবস্থা, অর্থনীতিসহ রাষ্ট্রের এমন কোনো কাঠামো নেই যেটা ধ্বংস করেনি। আদালত, প্রসিকিউশন, প্রশাসন ও পুলিশ—রাষ্ট্রের এ চারটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করলে জনগণ ন্যায়বিচার পাবেন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।
তিনি বলেন, পুলিশ ও আদালত ফাংশনাল হলে মবতন্ত্র কমে যাবে। মানুষ দেখতে চায় রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকরভাবে কাজ করছে তথা রাষ্ট্রের প্রকৃত অস্তিত্ব রয়েছে।
তিনি এসময় বিচারকদের হুটহাট করে জামিন না দেওয়া এবং জামিনের যোগ্য ব্যক্তিদের বঞ্চিত না করার আহ্বান জানান।
শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে শতশত গুম ও হাজার হাজার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থার পাশাপাশি রাষ্ট্রের কাঠামোকে ব্যবহার করা হয়েছে ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায়।আরও পড়ুন: সন্ত্রাসী ও দুস্কৃতকারীরা ‘অপারেশন ডেভিল হান্টের’ টার্গেট: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতা ও রাজনৈতিক কর্মীদের পাশাপাশি মানবাধিকার কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মানুষকে মুক্তি দেওয়া তথা মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ শুরু করেছে। সেজন্য পুলিশ, প্রশাসন ও বিচার বিভাগসহ নানা সেক্টরে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে।
‘মৌলিক মানবাধিকার নীতিকে মাথায় রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কাজ করতে হবে এবং আদালতকে সত্যিকার অর্থে কার্যকর করতে হবে।’
কর্মশালায় ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেসির সব ম্যাজিস্ট্রেট, সব পাবলিক প্রসিকিউটর, ঢাকা ও গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটনের সব জোনাল উপপুলিশ কমিশনার ও সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
১ দিন আগে