অন্যান্য
মোদি 'সবচেয়ে ভালো মানুষ’ : ট্রাম্প
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘বন্ধু’ পরিচয় দিয়ে 'সবচেয়ে ভালো মানুষদের একজন' হিসেবে প্রশংসা করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ইন্ডিয়া টুডে ম্যাগাজিন জানিয়েছে, ফ্ল্যাগ্র্যান্ট পডকাস্টে কথোপকথনের সময় ট্রাম্প ভারতে মোদির নেতৃত্ব তুলে ধরে বিশ্ব নেতাদের সম্পর্কে তার ধারণা নিয়ে মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, 'মোদি আমার বন্ধু এবং আমার দেখা সবচেয়ে চমৎকার মানুষদের একজন।’
ট্রাম্প আরও বলেন, মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে ভারত বেশ অস্থিতিশীল ছিল। বাইরে থেকে তাকে পিতৃসুলভ মনে হলেও তিনি একজন শক্তিশালী ও দৃঢ়চেতা নেতা।
২১ ঘণ্টা আগে
মাইক্রোআরএনএ আবিষ্কারের জন্য চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন ২ মার্কিন বিজ্ঞানী
মাইক্রোআরএনএ আবিষ্কারের জন্য চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন মার্কিন নাগরিক ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রুভকুন।
জিনের কার্যকলাপ কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় তা নিয়ন্ত্রণকারী একটি মৌলিক নীতির বিষয়টি তাদের আবিষ্কারে উঠে এসেছে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) তাদেরকে এই পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়।
নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের এই আবিষ্কার 'জীবের বিকাশ ও কার্যকারিতার জন্য মৌলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রমাণিত হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: স্বল্প বিরতির পর ফের বিমান চলাচল শুরু ইরানে
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে করা অ্যামব্রোসের গবেষণাটি নোবেল পুরষ্কার পেয়েছে। তিনি বর্তমানে ম্যাসাচুসেটস মেডিকেল স্কুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের অধ্যাপক।
নোবেল কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল থমাস পার্লম্যান বলেন, জেনেটিক্সের অধ্যাপক রুভকুনের গবেষণাটি ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতাল এবং হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলে করা হয়েছিল।
পার্লম্যান বলেন, ঘোষণার কিছুক্ষণ আগে তিনি রুভকুনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।
পার্লম্যান বলেন, ‘ফোনের কাছে আসার আগে এটি দীর্ঘ সময় নিয়েছিল এবং খুব ক্লান্ত লাগছিল, তবে তিনি বেশ দ্রুত, বেশ উত্তেজিত এবং খুশি ছিলেন, যখন তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে এটি কী ছিল।’
গত বছর চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন হাঙ্গেরি-আমেরিকান কাতালিন কারিকো এবং যুক্তরাষ্ট্রের ড্রিউ উইজম্যান।
তারা কোভিড-১৯ মহামারি রোধে ভ্যাকসিন এমআরএনএ আবিষ্কার করেছিলেন, যা মহামারি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
পুরস্কারের প্রবর্তক সুইডিশ উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া উইল থেকে নগদ ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার (১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) দেওয়া হয়।
এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে এ বছরের নোবেল পুরস্কার দেওয়ার মৌসুম শুরু হলো।
মঙ্গলবার পদার্থবিজ্ঞান, বুধবার রসায়ন এবং বৃহস্পতিবার সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হবে। এছাড়া শুক্রবার নোবেল শান্তি পুরস্কার এবং ১৪ অক্টোবর অর্থনীতিতে নোবেল স্মারক পুরস্কার ঘোষণা করা হবে।
১০ ডিসেম্বর নোবেলের আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে পুরস্কার গ্রহণের জন্য বিজয়ীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।
আরও পড়ুন: গাজায় মসজিদ ও স্কুলে বোমা হামলা, নিহত ২৪
ইসরায়েলি বিমান হামলায় লেবানন-সিরিয়ার যোগাযোগের প্রধান সড়ক বিচ্ছিন্ন
৩ দিন আগে
জিবুতির উপকূলে লোহিত সাগরে নৌকাডুবিতে ৪৫ অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু
জিবুতি উপকূলের কাছে লোহিত সাগরে আফ্রিকা থেকে আসা অভিবাসন প্রত্যাশী বহনকারী দুটি নৌকা ডুবে ৪৫ জন নিহত হয়েছেন।
জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন জানিয়েছে, নৌকাগুলো ৩১০ জন আরোহী নিয়ে ইয়েমেন থেকে রওনা হয়েছিল।
ইউরোপে উন্নত জীবনের আশায় আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার অভিবাসী অনিয়মিত অভিবাসনের চেষ্টা করে। চোরাকারবারিরা ইউরোপ মহাদেশে পৌঁছানোর জন্য তাদের জীবনের ঝুঁকি নিতে ইচ্ছুক অতি আগ্রহী লোকদের নৌকায় তোলে।
তল্লাশি ও উদ্ধার তৎপরতায় সহায়তাকারী জাতিসংঘের সংস্থাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ জানিয়েছে, ৩২ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
জিবুতির কোস্টগার্ড জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খোর আঙ্গার অঞ্চলের কাছে একটি সৈকতের ১৫০ মিটার (প্রায় ৫০০ ফুট) দূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সোমবার ভোরে শুরু হওয়া এ যৌথ উদ্ধার তৎপরতা চলছে বলে জানিয়েছেন তারা। এতে বলা হয়, ১১৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাদা ব্যাগের মধ্যে রাখা নিহতদের ছবিসহ পোস্ট করা এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, 'আমরা নিখোঁজদের খুঁজে বের করতে এবং জীবিতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
১ সপ্তাহ আগে
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মার্ক্সবাদী দিশানায়েকের জয়
মার্কসবাদী আইন প্রণেতা অনুড়া কুমারা দিশানায়েকে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন।
রবিবার তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিকে ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়ায় অভিযুক্ত পুরোনো রাজনৈতিক দলকে ভোটাররা প্রত্যাখ্যান করেছে।
শ্রমিক শ্রেণির সমর্থন এবং রাজনৈতিক অভিজাতবিরোধী প্রচার তাকে তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় করে তুলেছিল। বিরোধী নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা এবং বর্তমান উদারপন্থী রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহেকে পরাজিত করে জয়লাভ করেন দিশানায়েকে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দিশানায়েকে পেয়েছেন ৫৭ লাখ ৪০ হাজার ১৭৯ ভোট এবং প্রেমাদাসা পেয়েছেন ৪৫ লাখ ৩০ হাজার ৯০২ ভোট।
দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকট এবং এর ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক বিপর্যয় থেকে পুনরুদ্ধারে শনিবারের নির্বাচনটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
টুইটারে এক বার্তায় দিশানায়েকে বলেন, ‘এই অর্জন কোনো একক ব্যক্তির কাজের ফল নয়, বরং আপনাদের মতো কয়েক লাখ মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। আপনাদের প্রতিশ্রুতি আমাদের এতদূর নিয়ে এসেছে। এজন্য আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। এই জয় আমাদের সবার।’
২০২২ সালে খেলাপি হওয়ার পর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পুনরুদ্ধার কর্মসূচির আওতায় শ্রীলঙ্কার ঋণ পুনর্গঠনসহ ভঙ্গুর পুনরুদ্ধারে বিক্রমাসিংহের নেতৃত্বের ওপর ভার্চুয়াল গণভোট ছিল এই নির্বাচন।
৫৫ বছর বয়সি দিশানায়েকে বলেন, কৃচ্ছ্রসাধনের পদক্ষেপকে আরও সহনীয় করতে তিনি আইএমএফ চুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনা করবেন। বিক্রমাসিংহে সতর্ক করে বলেছিলেন, চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো পরিবর্তন করার যেকোনো পদক্ষেপ প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের চতুর্থ কিস্তি প্রকাশ করতে বিলম্ব করতে পারে; যা স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এটি দিশানায়েকের শক্তিশালী উত্থান। এর আগে ২০১৯ সালে পূর্ববর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মাত্র ৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন।
দিসানায়েকের ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার জোটের নেতৃত্বে রয়েছে জনতা বিমুক্তি পেরামুনা বা পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট। এটি মার্কসবাদী দল যা সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের জন্য ১৯৭০ ও ১৯৮০ এর দশকে দুটি সশস্ত্র বিদ্রোহ করে ব্যর্থ হয়েছিল। পরাজয়ের পরে, জেভিপি ১৯৯৪ সালে গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে প্রবেশ করে এবং বেশিরভাগ সময় বিরোধী দলের মূল ভূমিকা পালন করে।
এনপিপি গ্রুপিংয়ে শিক্ষাবিদ, নাগরিক সমাজের আন্দোলন, শিল্পী, আইনজীবী ও শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন।
দিশানায়েকে ২০০০ সালে প্রথম সংসদে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তৎকালীন প্রেসিডেন্ট চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গার অধীনে সংক্ষিপ্তভাবে কৃষি ও সেচমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
তিনি ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং গোতাবায়া রাজাপাকসের কাছে হেরে যান। রাজপাকসে দুই বছর পরে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে প্রকাশ্য বিক্ষোভে ক্ষমতাচ্যুত হন।
বিক্রমাসিংহের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী সাবরি দিশানায়েককে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি ‘স্বচ্ছতা, সততা ও দেশের দীর্ঘমেয়াদি মঙ্গলের প্রতিশ্রুতি নিয়ে’ নেতৃত্ব দেবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সাবরি।
২ সপ্তাহ আগে
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা করছে জাতিসংঘ
গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে আগামী এক বছরের মধ্যে ইসরায়েলের 'অবৈধ উপস্থিতি' বন্ধ এবং দেশটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও অস্ত্র সরবরাহে নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব দিয়েছে ফিলিস্তিন। এই প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
বুধবার এই প্রস্তাব ১৯৩ সদস্যের এসেম্বলিতে ভোটের জন্য উত্থাপন করা হবে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর শুরু হওয়া যুদ্ধের প্রথম বার্ষিকী নিকটে আসতে থাকায় এবং পশ্চিম তীরে সহিংসতার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় দ্রুত এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় গুরুত্ব দিচ্ছে জাতিসংঘ।
এদিকে সদস্য দেশগুলোকে এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন বলেছেন, এটি 'কূটনৈতিক সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে ইসরায়েলকে ধ্বংস করার চেষ্টা' ছাড়া আর কিছু নয়। এই প্রস্তাব 'সত্যকে উপেক্ষা করে, ঘটনাকে বিকৃত করে এবং বাস্তবতার বদলে কল্পকাহিনী তুলে ধরেছে।’
ড্যানন আরও বলেন, ‘হামাস ৭ অক্টোবর যে ধর্ষণ ও গণহত্যা চালিয়েছে তার নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাবের পরিবর্তে, আমরা এখানে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনিদের সার্কাস দেখতে জড়ো হয়েছি- যে সার্কাসে মন্দকে ন্যায়সঙ্গত, যুদ্ধকে শান্তি, হত্যাকারীকে নির্দোষ এবং সন্ত্রাসের প্রশংসা করা হয়।’
আরও পড়ুন: ১ জুলাই-১৫ আগস্ট পর্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য জমা দেওয়ার আহ্বান জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং দলের
জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, এই প্রস্তাব এ অঞ্চলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে না, বরং পেছনের দিকে টেনে নিয়ে যাবে। শান্তি ও অগ্রগতির আশাকে বিলম্বিত করবে।
সাধারণ পরিষদে গৃহীত হলেও প্রস্তাবটি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হবে না। তবে এর সমর্থন বিশ্ববাসী কি চায় সেই জনমত প্রকাশ করবে। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের মতো এই পরিষদে কোনো ভেটো নেই।
এর আগে গত জুলাইয়ে জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত এক রায়ে বলেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের উপস্থিতি অবৈধ এবং অবশ্যই এর অবসান ঘটাতে হবে।
১৯৬৭ সালে যুদ্ধের সময় দখল করা জমির ওপর ইসরায়েলের শাসনের ব্যাপক নিন্দা জানিয়ে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত বলেন, এই এলাকাগুলোর ওপর ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের কোনো অধিকার নেই। বলপূর্বক জমি অধিগ্রহণ করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে ইসরায়েল।
ফিলিস্তিনিরা 'অস্তিত্বের হুমকির' মুখোমুখি উল্লেখ করে সাধারণ পরিষদের বৈঠকের শুরুতে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর বলেন, ইসরায়েল তাদের 'শেকলে' বদ্ধ করে রেখেছে। ইসরায়েলের দখলদারিত্বের অবসান এবং ফিলিস্তিনিদের 'মর্যাদা, শান্তি ও নিরাপত্তার' সঙ্গে নিজেদের পূর্বপুরুষের ভূমিতে ফিরে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, 'যারা মনে করে ফিলিস্তিনি জনগণ দাসত্বের জীবন, বর্ণবাদের জীবন মেনে নেবে, তারাই বাস্তববাদী নয়। ফিলিস্তিন সমস্যার ন্যায়সঙ্গত সমাধান ছাড়া আমাদের অঞ্চলে শান্তি সম্ভব বলে যারা দাবি করে, তারা বাস্তববাদী নয়।’
প্রস্তাবে ইসরাইলকে তার সেনা প্রত্যাহার, অবিলম্বে নতুন সব বসতি নির্মাণ বন্ধ এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে সব বসতি স্থাপনকারীদের সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিশরের সঙ্গে গাজা সীমান্তের উন্মুক্ত নিয়ন্ত্রণ চান নেতানিয়াহু
এছাড়াও ইসরায়েলকে তার দখলদারিত্বের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির জন্য ফিলিস্তিনিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পৃক্ত বাণিজ্য বা বিনিয়োগ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে এবং 'বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতাসহ' অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রস্তাবটি প্রসঙ্গে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস বলেন, প্রস্তাবে বেশকিছু অসঙ্গতি রয়েছে৷ এটি আইসিজের নিয়মনীতির সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরি করছে। এছাড়াও গাজার নিয়ন্ত্রণে থাকা 'হামাস একটি সন্ত্রাসী সংগঠন' এবং ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের বিষয়টি এই প্রস্তাবে তুলে ধরা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, 'এই প্রস্তাব ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য বাস্তব সুফল বয়ে আনবে না বলে আমরা মনে করছি। এটি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। সংঘাত অবসানে যেসব চেষ্টা চলছে সেগুলো জটিল করে তুলতে পারে। দুই রাষ্ট্রের মধ্যে সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলোকে বাধাগ্রস্ত করবে বলে আমি মনে করি।’
রিয়াদ মনসুর বলেন, প্রাথমিক খসড়ায় ছয় মাসের মধ্যে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের দখলদারিত্বের অবসান ঘটানোর দাবি জানানো হলেও কিছু দেশের উদ্বেগের কারণে সময় বাড়িয়ে এক বছরের কথা বলা হয়েছে।
মনসুর আরও বলেন, এই প্রস্তাবটির লক্ষ্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের রায় পাওয়া যদিও তা আইনত বাধ্যতামূলক নয়।
ইসরায়েল এই প্রস্তাবে গুরুত্ব নাও দিতে পারে মনে করছেন মনসুর। তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে ফিলিস্তিনিরা তখন আরেকটি প্রস্তাব জমা দেবে।
উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ও গাজা উপত্যকা দখল করে নেয় ইসরায়েল। ফিলিস্তিনিরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য এই তিনটি ভূমিই চায়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই তিনটি এলাকাকেই দখলকৃত ভূখণ্ড হিসেবে বিবেচনা করে থাকে।
আরও পড়ুন: উত্তরাঞ্চলের বাস্তুচ্যুত ইসরায়েলিদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্য ইসরায়েলের
৩ সপ্তাহ আগে
বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে ইসরাইলের নতুন আদেশে মানবিক নিরাপত্তা অঞ্চল আরও কমেছে: জাতিসংঘ
শুক্রবার দেইর আল বালাহ ও খান ইউনিসের কিছু অংশ থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। এ আদেশের পর গাজার মানবিক নিরাপত্তা এলাকা কমিয়ে মাত্র ১১ শতাংশ অবশিষ্ট রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ) কার্যালয় জানিয়েছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় খান ইউনিসের আল মাওয়াসিতে ইসরায়েল নির্ধারিত মানবিক অঞ্চলের মধ্যে দুটি ব্লক সহ ছয়টি ব্লক খালি করার নির্দেশ দিয়েছে। ১২০টিরও বেশি বাস্তুচ্যুত এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেখানে আনুমানিক ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ বসবাস করছে।
ওই কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ‘আগের খালি করার আদেশের পরে অনেকেই সম্প্রতি এই অঞ্চলে পৌঁছেছিলন। আজকের (শুক্রবার) খালি করার আদেশে উদ্বিগ্ন বাস্তুচ্যুতরা।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘ওসিএইচএ ওই অঞ্চলে একটি ছোট দল পাঠিয়েছিল এবং তারা হাজার হাজার লোককে সরে যেতে দেখেছিল। তাদের মধ্যে অনেক শিশু ও নারী ছিল। তারা সুস্পষ্ট গন্তব্য ছাড়াই দেইর আল বালাহর দিকে অগ্রসর হচ্ছিল।’
ওসিএইচএ জানায়, ‘মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে তাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা না থাকায় তাড়াহুড়ো করে চলে যেতে হয়েছিল।’
অফিস জানায়, নতুন আদেশটি বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির একটি গুদামসহ মানবিক সুবিধাগুলোকেও প্রভাবিত করেছে। গাজায় সংরক্ষণ সক্ষমতার একটি বড় ঘাটতি রযেছে। এটি সহায়তা গ্রহণ এবং পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রভাবিত করেছে।
ওসিএইচএ জানায়, চলতি মাসে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী খান ইউনিস এবং গাজার উত্তরাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার আটটি আদেশ জারি করেছে। জেরি ক্যান ও শ্যাম্পুর মতো তাঁবু ও স্বাস্থ্যবিধি সরবরাহসহ আশ্রয়ের ঘাটতি এবং আগমনের স্থানগুলোতে প্রয়োজনীয় পরিষেবা সীমিত হওয়ায় বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
শুক্রবারও জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস পোলিও ভাইরাস বিরোধী প্রচারণার জন্য গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও জাতিসংঘ শিশু তহবিল এই মাসের শেষের দিকে বা সেপ্টেম্বরে দুই দফা প্রচারাভিযানের পরিকল্পনা করেছে। প্রায় এক মাস আগে গাজার বর্জ্য পানিতে পোলিও ভাইরাস শনাক্ত হয়।
১ মাস আগে
গাজায় ইসরায়েলি বোমার আঘাতে নিহত ১৫
গাজার সুজাইয়া এলাকায় বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয় নেওয়া একটি স্কুলে ইসরায়েলি বোমা হামলায় অন্তত ১৫ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে।
ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দালাল মুঘরাবি স্কুলে এ হামলা চালায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনী।
নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াফা।
এদিকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে বলেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী দালাল মুঘরাবি স্কুলের একটি কম্পাউন্ডের ভিতরে অবস্থানরত ‘সন্ত্রাসীদের’ ওপর হামলা চালিয়েছে।
আইডিএফ বিবৃতিতে আরও বলেছে, স্কুল প্রাঙ্গনটি আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করছিল হামাস। ইসরায়েল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করছিল তারা।
বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি কমাতে এই অভিযানের আগে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল বলে জানায় আইডিএফ।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে অতর্কিত হামলা চালানোর পর থেকে গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে বড় আকারের অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।
বৃহস্পতিবার গাজাভিত্তিক স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় এই উপত্যকায় ৩৫ জন নিহত ও ৫৫ জন আহত হয়েছে। মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ৪৮০ জনে এবং আহত ৯১ হাজার ১২৮ জন।
২ মাস আগে
ইন্দোনেশিয়ায় অবৈধ স্বর্ণের খনিতে ভূমিধসে নিহত ১১, নিখোঁজ ১৯
প্রবল বৃষ্টিপাতে ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপের একটি অননুমোদিত স্বর্ণের খনিতে ভূমিধসে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ১৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
গোরোনটালোর সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সির মুখপাত্র আফিফুদ্দিন ইলাহুদে জানান, রবিবার প্রায় ৩৫ জন গ্রামবাসী গোরোনটালো প্রদেশের প্রত্যন্ত বোন বোলাঙ্গো জেলার একটি স্বর্ণের খনিতে স্বর্ণ তুলতে খোঁড়ার কাজ করছিলেন। এ সময় আশপাশের পাহাড় ধসে কয়েক টন কাদার নিচে তারা চাপা পড়েন।
তিনি বলেন, উদ্ধারকারীরা রবিবার আহত পাঁচজনকে উদ্ধার করেছে এবং সোমবার ১১ জনের লাশ উদ্ধার করেছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১৯ জন। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।
ইলাহুদে বলেন, 'ভারী বৃষ্টিপাত, ঘন কাদা ও ধ্বংসাবশেষের কারণে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মৃত ও নিখোঁজদের জন্য ত্রাণ তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, উদ্ধার করা তিনটি লাশ সেখান থেকে সরিয়ে নিতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।
ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির মুখপাত্র আবদুল মুহারি বলেন, শনিবার থেকে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে একটি বাঁধও ভেঙে গেছে, যার ফলে বোন বোলাঙ্গোর পাঁচটি গ্রামে ৩ মিটার (১০ ফুট) পর্যন্ত বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে প্রায় ৩০০ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছে।
ইন্দোনেশিয়ায় অননুমোদিত খনিতে কাজের বিষয়টি খুবই সাধারণ। গুরুতর আহত বা মৃত্যুর উচ্চ ঝুঁকি নিয়ে এসব খনিতে কাজ করে হাজার হাজার মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে।
ভূমিধস, বন্যা ও টানেল ধসে পড়ার মতো ঘটনায় মাঝে মাঝেই এখানকার শ্রমিকরা বিপদের সম্মুখীন হন। স্বর্ণের আকরিক প্রক্রিয়াজাতকরণের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অত্যন্ত বিষাক্ত পারদ ও সায়ানাইড থাকে। অথচ অধিকাংশ সময় খুব হালকা আবার কখনো কখনো কোনো সুরক্ষাই ব্যবহার করেন না শ্রমিকরা।
২০২২ সালের এপ্রিলে দেশটির সর্বশেষ বড় খনি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। উত্তর সুমাত্রার ম্যান্ডেলিং নাটাল জেলায় একটি অবৈধ ঐতিহ্যবাহী স্বর্ণের খনিতে ভূমিধস হয়েছিল। সেখানে ১২ জন নারী মারা গিয়েছিলেন।
এর আগে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের একটি অবৈধ স্বর্ণের খনিতে অস্থায়ী কাঠের কাঠামোর মাটি সরে যায় এবং বিপুল সংখ্যক গর্তের কারণে মাটি ধসে পড়ে। ওই ঘটনায় ৪০ জনেরও বেশি মানুষ মাটি চাপা পড়ে মারা গিয়েছিল।
৩ মাস আগে
গাজার বৃহত্তম ফুটবল স্টেডিয়াম এখন বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়স্থল
গাজার উত্তরাঞ্চলে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি দেশটির সবচেয়ে বড় ফুটবল স্টেডিয়ামে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে সামান্য খাবার-পানি নিয়েই তাদের আসতে হয়েছে।
স্টেডিয়ামের বসার জায়গায় এখন তাদের অস্থায়ী তাঁবু, যেখানে বেশ ধুলোবালির মধ্যে তাদের সময় পার করতে হচ্ছে। এদিকে শুকনো মাঠে তাদের কাপড় ঝুলতে দেখা গেছে। খেলোয়াড়রা যে ঢাকা স্থানে বসতেন, সেখানে একটি প্লাস্টিকের বড় পাত্রে দাঁড়িয়ে থাকা একটি শিশুকে গোসল করাতে দেখা যায় উম্মে বাশারকে।
তিনি বলেন, তাদেরকে একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হতে হয়েছে। অতি সম্প্রতি গাজা সিটির শিজাইয়াহ এলাকায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের নতুন করে অভিযান শুরু হয়েছে।
উম্মে আরও বলেন, ‘আমরা ঘুম থেকে উঠে দেখি দরজার সামনে ট্যাংক। আমরা সঙ্গে করে কিছু নিয়ে আসতে পারিনি, তোষক নয়, বালিশও না, জামাকাপড় নয়, একটা জিনিসও না। এমনকি খাবারও নয়।’
তিনি আরও ৭০ জনের একটি দলের সঙ্গে শিজাইয়াহ থেকে ৩ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ইয়ারমুক স্পোর্টস স্টেডিয়ামে পালিয়ে আসেন। স্টেডিয়ামে যারা আশ্রয় নিয়েছেন তাদের অনেকেই বলছেন, তাদের ফিরে যাবার কোনো জায়গা নেই।
আরও পড়ুন: গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে ইসরাইল
আশ্রয় নেওয়া হাজেম আবু থোরাইয়া বলেন, ‘আমরা আমাদের বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছি। এবং আমাদের সমস্ত বাড়িঘর বোমা মেরে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং আমাদের চারপাশের সবারই একই অবস্থা।’
ইসরায়েলি সেনারা গাজার উত্তরাঞ্চল ঘিরে ফেললেও লাখ লাখ মানুষ গাজার উত্তরাঞ্চলে রয়ে গেছেন। তবে সম্প্রতি সেখানে ত্রাণ প্রবাহের উন্নতি হয়েছে এবং জাতিসংঘ এই সপ্তাহের শুরুতে বলেছে যে তারা এখন উত্তরাঞ্চলের মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটাতে সক্ষম।
ইসরায়েল বলেছে যে তারা গাজায় ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে এবং এটি সরানোর জন্য যথেষ্ট পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য জাতিসংঘকে দোষারোপ করেছে।
তবুও বাসিন্দারা বলছেন, বঞ্চনা ও নিরাপত্তাহীনতা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে।
বাস্তুচ্যুত উম্মে আহমেদ বলেন, ‘কোনো নিরাপদ জায়গা নেই। নিরাপত্তা আল্লাহর হাতে।’
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৩৮ হাজার ছাড়িয়েছে: গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
৩ মাস আগে
গত ৭ দিনে লিবিয়া থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে ৩০৩ অভিবাসীকে: আইওএম
গত সপ্তাহে লিবিয়া থেকে ৩০৩ জন অবৈধ অভিবাসীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ আইওএম লিবিয়া জানায়, ‘গত সপ্তাহে আইওএম লিবিয়া দুটি ভলান্টারি হিউম্যানিটারিয়ান রিটার্ন (ভিএইচআর) চার্টার ফ্লাইটের মাধ্যমে বেনগাজী থেকে ১৬২ জন অভিবাসীকে ঢাকায় এবং ১৪১ জন অভিবাসীকে ত্রিপোলি থেকে গিনি বিসাউ ও বেনিনে নিয়ে এসেছে।’
লিবিয়ায় আটকে পড়া অভিবাসীদের নিজ দেশে ফিরে যেতে সহায়তা করে থাকে আইওএমের ভিএইচআর প্রোগ্রাম।
আইওএম জানিয়েছে, গত ২৩-২৯ জুন পর্যন্ত লিবিয়া উপকূল থেকে ৩২ নারী ও ১৩ শিশুসহ ২২৬ অভিবাসীকে আটক করে ফেরত পাঠানো হয়।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত লিবিয়া উপকূলে ৮ হাজার ৯৮০ জন অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। একই সময়ে ৩৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৫১৩ জন নিখোঁজ হয়েছে বলে জানিয়েছে আইওএম।
আফ্রিকান অভিবাসীরা প্রায়ই সময় লিবিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের উপকূলে পৌঁছানোর চেষ্টা করে। বিশেষ করে ২০১১ সালে প্রয়াত নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে এই অবৈধ অভিবাসনের চেষ্টা বেড়েছে।
৩ মাস আগে