অন্যান্য
ভানুয়াতুতে ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি
ভানুয়াতুর রাজধানী পোর্ট ভিলা থেকে ৩০ কিলোমিটার পশ্চিমে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার(১৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৪৭ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)।
তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ক্যালিফোর্নিয়ায় ৭.০ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা
ইউএসজিএস জানিয়েছে, ৪৩ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল। এর উচ্চতা ছিল ১৭ দশমিক ৭১১ ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষাংশ এবং ১৬ দশমিক শূন্য ৩০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ।
এদিকে ভূমিকম্পের কারণে সুনামি সতর্কতা জারি করেছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
ফিজি, টোঙ্গা এবং ভানুয়াতুর মতো প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশগুলো প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিং অফ ফায়ারের উপর অবস্থিত, ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির অঞ্চলগুলোর একটি বৃত্তচাপ যেখানে মহাদেশীয় প্লেটগুলো সংঘর্ষ হয়, ঘন ঘন ভূমিকম্পের সৃষ্টি করে।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার গোরোনটালো প্রদেশে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প
১৭ ঘণ্টা আগে
বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারে জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান
বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সেইসঙ্গে ঋণগ্রস্ত দেশগুলোর সংকট মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত জি-২০ শেরপাস-ফাইন্যান্স ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটিদের প্রথম যৌথ সভায় বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতিংস মহাসচিব বলেন, ‘সঠিক অর্থায়ন অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির বিকাশ, শিল্পায়নে সহায়তা, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা মোকাবিলা ও বৈষম্য হ্রাসের মতো বিষয়ে মৌলিক ভূমিকা পালন করে।’
তিনি বলেন, ‘আর্থিক ন্যায়বিচার প্রদানে জি-২০-র মতো প্রতিষ্ঠানকে নেতৃত্ব দিতে হবে। এসব প্রতিষ্ঠানকেই আজকের অর্থনীতির প্রতিনিধিত্ব করতে হবে। উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোকে ন্যায্যভাবে তাদের শাসন ব্যবস্থার প্রতিনিধিত্ব করতে হবে। আর এসব প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই বৈশ্বিক ধাক্কা থেকে অর্থনীতিকে, বিশেষ করে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে রক্ষা করতে হবে।’
বক্তব্য প্রদানকালে তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ ও বৈশ্বিক ঋণ সংকটের মতো গুরুতর বিষয়গুলো মোকাবিলায় দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। এরপর দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তার।
১ ডিসেম্বর জি-২০ এর সভাপতিত্ব গ্রহণ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর ফলে প্রথম কোনো আফ্রিকার দেশ বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির এই প্রভাবশালী গ্রুপের নেতৃত্ব দেওয়ার তৃতিত্ব অর্জন করল।
৫ দিন আগে
১৬ বছরের কম বয়সিদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করল অস্ট্রেলিয়া
১৬ বছরের কম বয়সি শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ করে বিশ্বে প্রথম আইন পাস করে ইতিহাস গড়ল অস্ট্রেলিয়া।
সাইবার বুলিং, আসক্তি ও ক্ষতিকর কনটেন্টের সংস্পর্শসহ তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিরূপ প্রভাব নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যেই এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
এই সপ্তাহের শুরুতে সংসদে এ আইনের অনুমোদন দেওয়া হয়। সামাজিক যোগযোগের প্ল্যাটফর্মগুলোকে কঠোরভাবে বয়স যাচাইকরণ ব্যবস্থা প্রবর্তনে বাধ্য করতেই এ আইন করা হয়েছে।
১৬ বছরের কম বয়সিরা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে বা প্ল্যাটফর্মগুলোতে প্রবেশ করতে পারবে না-তা এই এসব নিয়মের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে।
নতুন নিয়মগুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে ২০২৫ সাল শুরু না হওয়া পর্যন্ত সময় রয়েছে সামাজিক যোগাযোগের কোম্পানিগুলোর। এর মধ্যে তাদের প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।
নতুন আইনে বয়স যাচাইয়ের বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে প্ল্যাটফর্মগুলোকে এক বছর সময় দেওয়া হবে।
২০২৫ সাল থেকে ১৬ বছরের কম বয়সি ব্যবহারকারীদের শনাক্ত এবং ব্লক করতে সক্ষমতাসম্পন্ন সিস্টেমগুলো স্থাপন করতে আইনত বাধ্য হবে সামাজিক মাধ্যম সংস্থাগুলো। এই নিয়ম মেনে চলতে ব্যর্থ হলে, তাদের বিশাল অঙ্কের জরিমানা গুণতে হবে। এটির পুনরাবৃত্তি হলে সর্বোচ্চ ৫০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
আইননের ফলে উন্নত বয়স যাচাইকরণ প্রযুক্তির বিকাশ করতে হবে। এতে
সামাজিক মাধ্যম সংস্থাগুলোর উপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
কিছু প্ল্যাটফর্ম এরই মধ্যে ব্যবহারকারীদের বয়স নির্ভুলভাবে নিশ্চিত করতে ডিজিটাল পরিচয় শনাক্তকরণ ব্যবস্থা এবং ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি স্থাপনে কাজ শুরু করেছে।
তবে এ ধরনের প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার গোপনীয়তা ও তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ নতুন আইনটিকে দেশের যুবকদের সুরক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, আইনটির লক্ষ্য ডিজিটাল যুগে শিশুদের সুস্থ চিন্তাভাবনা ও মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা।
গবেষণায় বলা হয়েছে, অতিরিক্ত সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার ও হতাশা, উদ্বেগ ও ঘুমের সমস্যাসহ বিভিন্ন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার মধ্যে একটি শক্তিশালী যোগাযোগ রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ান সাইকোলজিক্যাল সোসাইটির ২০২৩ সালের একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ কিশোর-কিশোরী তাদের অনলাইনের সঙ্গে সম্পর্কিত উদ্বেগ বা হতাশার অনুভূতির কথা জানিয়েছেন।
সাইবার বুলিং এবং সামাজিকভাবে নানা তুলনার চাপগুলোকে এই চ্যালেঞ্জগুলোর প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এই যুগান্তকারী আইন পাস করে অস্ট্রেলিয়া বাকি বিশ্বের জন্য একটি নজির স্থাপন করেছে। অন্যান্য দেশগুলোকে তরুণ প্রজন্মের উপর সোশ্যাল মিডিয়ার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব এবং এই প্রভাবগুলো কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো নিতে উৎসাহ দেবে।
২ সপ্তাহ আগে
এশিয়ায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন প্রসঙ্গে রাশিয়ার পাল্টা হুমকি
এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র দেখা গেলে, মাঝারি পাল্লার ও স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করতে পারে রাশিয়াও।
সোমবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রাশিয়া এশিয়ায় মধ্যমপাল্লার ও স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের কথা বিবেচনা করছে কি না-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পশ্চিমা দেশগুলো ঠেকাতে পারবে না: পুতিন
রিয়াকভ বলেন, ‘বিশ্বের যেকোনো অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সিস্টেমের উপস্থিতি আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করবে। এর মধ্যে সামরিক ও সামরিক-প্রযুক্তিগত প্রতিক্রিয়া সংগঠিত করার বিষয়ও থাকবে।’
তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের যেসব ইউরোপীয় ঘাঁটিগুলোতে পারমাণবিক অস্ত্রও মোতায়েন করা হয়েছে, সেগুলোও রাশিয়ার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্য হতে পারে।
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ সোমবার ঘোষণা করেছে, ইউক্রেনীয় বাহিনী পশ্চিম রাশিয়ার তিনটি অঞ্চলে ‘গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়’ রাতভর ধারাবাহিক আক্রমণ চালিয়েছে।
জেনারেল স্টাফ এক ফেসবুক বিবৃতিতে জানান, কালুগা অঞ্চলের একটি তেলের ডিপোতে আক্রমণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ব্রায়ানস্ক ও কুরস্ক অঞ্চলের অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণের ক্ষতির পরিমাণ এখনও ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ৬টি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার দাবি মস্কোর
৩ সপ্তাহ আগে
সুমাত্রা দ্বীপে ভূমিধস-বন্যায় নিহত ১৬
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের পার্বত্য গ্রামগুলোতে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যায় চাপা পড়ে এবং বন্যায় ১৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার কর্তৃপক্ষ জানায় এখনও ৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
শুক্রবার ও শনিবারের ভারী বৃষ্টির পর মাটির স্তূপ, পাথর ও গাছপালা পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়ে এবং নদীগুলোর পানি বাঁধ ভেঙে উত্তরের সুমাত্রা প্রদেশের চারটি পার্বত্য জেলা প্লাবিত হয়। এতে বাড়িঘর ভেসে গেছে এবং কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার প্রধান জাস্প্রি এম. নাদেক জানান, পুলিশ, সেনা ও উদ্ধারকর্মীরা সেমাংগাত গুনং, কোরো জেলার একটি রিসোর্ট এলাকায় ধ্বংসাবশেষে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। লাশ ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে এক্সকাভেটর ও কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছেন তারা।
তিনি বলেন, রবিবার রাতে ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত দুটি বাড়ি এবং একটি কটেজ থেকে উদ্ধারকর্মীরা ছয়টি লাশ উদ্ধার করেছেন। আহত নয়জন লোক কোনোভাবে সরে যেতে সক্ষম হয়েছেন। সোমবারও উদ্ধারকর্মীরা দুই শিশুসহ চারজন নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে কাজ করছেন।
স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার প্রধান পুপুত মাশুরি জানান, রবিবার উদ্ধারকর্মীরা একটি নদী থেকে দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন। আকস্মিক বন্যায় অন্তত ১০টি বাড়ি ভেসে গেছে এবং দক্ষিণ তাপানুলি জেলার গ্রামগুলোর প্রায় ১৫০টি বাড়ি ও ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্যায় কয়েক ডজন লোক আহত হয়েছে। এছাড়া ১৩০ হেক্টরের (৩২১ একর) বেশি কৃষিজমি এবং বাগান ধ্বংস করেছে।
রবিবার আকস্মিক বন্যায় দেলি সেরদাং জেলায় চারজন মারা গেছে এবং সোমবার উদ্ধারকর্মীরা ভেসে যাওয়া দু'জনের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছেন।
পাদাং লওয়াস জেলার পাহাড়ি গ্রামে হারাং জুলুতে ভূমিধসে বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার প্রধান মুস্তারি এ সব তথ্য জানান।
শনিবার রাতের দিকে উদ্ধারকর্মীরা একটি গ্রাম থেকে একই পরিবারের চার সদস্যের লাশ উদ্ধার করেন। এর মধ্যে দুটি শিশু ছিল। এছাড়া তিনজন আহত মানুষকে উদ্ধার করেন।
প্রতি বছর অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত মৌসুমি বৃষ্টির কারণে ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা ও ভূমিধস হয়। এই দ্বীপপুঞ্জে হাজার হাজার মানুষ পাহাড়ি এলাকায় অথবা উর্বর বন্যার তীরবর্তী অঞ্চলে বাস করতে বাধ্য হয়।
৩ সপ্তাহ আগে
২০২৩ সালে গড়ে দিনে ১৪০ নারী সঙ্গী বা আত্মীয়ের হাতে নিহত: জাতিসংঘ
২০২৩ সালে নারীদের জন্য বাসা-বাড়ি সবচেয়ে প্রাণঘাতী স্থান হয়ে উঠেছে। সেখানে প্রতিদিন গড়ে ১৪০ জন নারী ও কিশোরীকে নিকটাত্মীয় বা পরিবারের সদস্যরা হত্যা করেছে।
সোমবার জাতিসংঘের দুটি সংস্থার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
ইউএস উইমেন এবং জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ দপ্তরের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫১ হাজার ১০০ নারী ও কিশোরীকে তাদের সঙ্গী বা পরিবারের সদস্যরা হত্যা করেছে। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল প্রায় ৪৮ হাজার ৮০০ জন।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে গড়ে দিনে ১৪০ নারী সঙ্গী বা আত্মীয়ের হাতে নিহত: জাতিসংঘ
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন বিরোধী দিবসে এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, হত্যা বেড়েছে বিষয়টি এমন নয়, আসলে তথ্য প্রাপ্তির উন্নতির কারণে সংখ্যা বেড়েছে।
তবে, উভয় সংস্থা জোর দিয়ে বলেছে, এই ধরনের লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলে নারীদের এবং কিশোরীদের প্রভাবিত করে। কোনো অঞ্চলই এ থেকে মুক্ত নয়। প্রতিবেদনে আবারও বলা হয়েছে, ‘বাড়ি নারী ও মেয়েদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থান।’
২০২৩ সালে সঙ্গী ও পারিবারিক সহিংসতার কারণে সবচেয়ে বেশি হত্যার ঘটনা ঘটেছে আফ্রিকায়। আনুমানিক ২১ হাজার ৭০০ জনকে হত্যা করা হয়েছে সেখানে। এই মহাদেশে জনসংখ্যার তুলনায় এই ধরনের মৃত্যুর হারও সবচেয়ে বেশি ছিল। প্রতি ১ লাখে ২.৯ জনকে হত্যা করা হয়েছে আফ্রিকা মহাদেশে।
আমেরিকা ও ওশেনিয়াতেও এ সংক্রান্ত মৃত্যুহার বেশি ঘটনা ছিল। আমেরিকায় প্রতি ১ লাখে ১.৬ জন নারী এবং ওশেনিয়ায় প্রতি ১ লাখে ১.৫ জনকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
এর বিপরীতে এশিয়া ও ইউরোপে মৃত্যুহার ছিল অনেক কম, যথাক্রমে প্রতি এক লাখে ০.৮ এবং ০.৬ জন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউরোপ ও আমেরিকায় ব্যক্তিগত পরিসরে বেশিরভাগ নারীকে তার সঙ্গী হত্যা করেছে।অন্যদিকে পুরুষ অথবা কিশোরদের হত্যা করা হয়েছে বাড়ির বাইরে কোথাও।
এতে আরও বলা হয়, মোট হত্যার শিকার মানুষের মধ্যে পুরুষ ও কিশোরেরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। তবে পরিবারের মধ্যে প্রাণঘাতী সহিংসতার শিকার নারী ও মেয়েরা।
২০২৩ সালে হত্যার শিকার হওয়া নারীদের প্রায় ৬০ শতাংশই ঘনিষ্ঠ সঙ্গী বা পরিবারের সদস্যরা খুন করেছে। আর মোট হত্যাকাণ্ডের শিকার মানুষের মধ্যে নারীদের হার ২০ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ধরনের হত্যাকাণ্ডগুলো উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। এসব মৃত্যু প্রায়ই লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার ফলে ঘটে এবং সঠিক সময়ে ও কার্যকর হস্তক্ষেপের মাধ্যমে এগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: পর্তুগালে জাতিসংঘ সভ্যতা জোটের দশম গ্লোবাল ফোরামে যোগ দেবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
৩ সপ্তাহ আগে
গাজায় সাহায্য ও ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানের আহ্বান জি২০ সম্মেলনে
দারিদ্র্য ও ক্ষুধা মোকাবিলার জন্য বৈশ্বিক চুক্তি, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত গাজা অঞ্চলে আরও সহায়তা দান এবং মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেনে যুদ্ধের অবসানের আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্বের ২০টি প্রধান অর্থনীতির দেশের নেতারা।
সোমবার এ বিষয়ে একটি যৌথ ঘোষণা জারি করেন তারা। তবে, এই ঘোষণাকে সাধারণ দিক-নির্দেশনা বলা যায়, এসব লক্ষ্য অর্জনের জন্য নির্দিষ্ট কৌশল বা বিস্তারিত কোনো পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়নি এতে।
যৌথ বিবৃতিতে জোট সদস্যরা সমর্থন করলেও সম্পূর্ণ ঐকমত্য অর্জন করা যায়নি। এতে ভবিষ্যতে বিলিওনিয়ারদের ওপর একটি বৈশ্বিক কর আরোপ এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্যের বাইরেও সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য সংস্কারের আহ্বান জানানো হয়েছে।
তিন দিনের এ বৈঠকে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা সমবেত নেতাদের নিয়ে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারবেন কি না-তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা সন্দেহ প্রকাশ করেন।
প্রাথমিক খসড়ায় কিছু ভাষার বিষয়ে চ্যালেঞ্জ জানায় আর্জেন্টিনা এবং এটিই একমাত্র দেশ যা সম্পূর্ণ ঘোষণায় সমর্থন করেনি।
স্বাধীন রাজনৈতিক পরামর্শক ও ব্রাজিলের সাবেক মন্ত্রী টমাস ট্রমা বলেন, 'যদিও এটি সাধারণ, তবে ব্রাজিলের জন্য এটি ইতিবাচক চমক। এমন সময়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে, এ মুহূর্তে কোনো ঘোষণা দেওয়া হবে বলেই আশঙ্কা ছিল। এত সতর্কতা সত্ত্বেও এটা লুলার জন্য ইতিবাচক।’
যুদ্ধের নিন্দা, শান্তির ডাক, কোনো দোষারোপ নয়
ইসরায়েলে ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার এক বছরের বেশি সময় পরে এ ঘোষণাপত্রে ‘গাজার বিপর্যয়কর মানবিক পরিস্থিতি এবং লেবাননে উত্তেজনা বৃদ্ধির’ কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মানবিক সহায়তা সম্প্রসারণ এবং বেসামরিক নাগরিকদের আরও ভালোভাবে রক্ষা করার জরুরি প্রয়োজনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, 'ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রতি আমরা সমর্থন দিচ্ছি। দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি আমাদের অঙ্গীকার অবিচল। অর্থাৎ ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র শান্তিতে পাশাপাশি বসবাস করবে।’
এতে ইসরাইলের দুর্ভোগ বা হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ১০০ জনের কথা উল্লেখ করা হয়নি। ইসরায়েল জি-২০ এর সদস্য নয়। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অভিযানের পর যুদ্ধে গাজায় এ পর্যন্ত ৪৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি এবং লেবাননে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলের দুর্দশার উল্লেখ যে বাদ পড়েছে, তা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের প্রতি ধারাবাহিক সমর্থনের বিপরীতে চলে বলে মনে হয়েছিল। এটি এমন একটি বিষয় যা বাইডেন সর্বদা প্রকাশ্যে উল্লেখ করেন, এমনকি যখন তিনি ফিলিস্তিনিদের ওপর অবহেলার বিষয়েও কথা বলেন। জি২০ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে, ঘোষণা চূড়ান্ত করার আগে, বাইডেন বলেন হামাসই এই যুদ্ধের একমাত্র দায়ী এবং তিনি অন্যান্য নেতাদের কাছে হামাসের ওপর চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানান; যেন তারা একটি যুদ্ধবিরতির চুক্তি মেনে নেয়।
ইউক্রেনকে আরও গভীরভাবে রাশিয়ার ভেতরে আঘাত হানতে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার বিষয়ে বাইডেনের সিদ্ধান্তও এই বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সম্মেলনে বাইডেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়ভাবে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সমর্থন করে। আমার মতে, এই টেবিলের চারপাশে বসা সবারই এভাবে সমর্থন করা উচিত।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৈঠকে উপস্থিত হননি। তার পররাষ্ট্র মন্ত্রী সেরগেই লাভরভকে পাঠিয়েছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত তাকে গ্রেপ্তার করতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে বাধ্য করার পর থেকে পুতিন এসব সম্মেলন এড়িয়ে চলছেন।
জি২০ ঘোষণাপত্রে ইউক্রেনে মানবিক বিপর্যয়ের উল্লেখ করা হয়েছে এবং শান্তির আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে সেখানে রাশিয়ার নাম উল্লেখ করা হয়নি।
রিও ডি জেনেইরোর স্টেট ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক পাওলো ভেলাসকো বলেন, ‘ঘোষণাটি দোষীদের প্রতি আঙুল তোলার বিষয়টি এড়িয়ে গেছে। অর্থাৎ, এতে ইসরায়েল বা রাশিয়ার সমালোচনামূলক কোনো উল্লেখ নেই। তবে উভয় ক্ষেত্রেই মানবিক সংকটের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।’
পুরো ঘোষণাপত্রটি স্পষ্টতার অভাবে ভুগছে বলেও মন্তব্য করেন ভেলাসকো।
তিনি বলেন, ‘এটি অনেকটাই ব্রাজিলের প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কিন্তু যদি আমরা এটি গভীরভাবে বিশ্লেষণ করি, তাহলে দেখতে পাব এটি মূলত ইচ্ছাপ্রকাশের একটি ঘোষণা। এটি বিভিন্ন বিষয়ে সদিচ্ছার প্রকাশ, তবে এতে খুব কমই সুনির্দিষ্ট, বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ রয়েছে।’
বৈশ্বিক বিলিওনিয়ারদের ওপর কর আরোপের উদ্যোগ
ঘোষণায় বৈশ্বিক বিলিওনিয়ারদের ওপর সম্ভাব্য কর আরোপের কথা বলা হয়েছে, যা লুলা সমর্থন করেন। এই ধরনের কর বিশ্বের প্রায় ৩,০০০ ধনী ব্যক্তিকে প্রভাবিত করবে। এর মধ্যে প্রায় ১০০ জন লাতিন আমেরিকায় রয়েছেন।
আর্জেন্টিনার বিরোধিতা সত্ত্বেও এই ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তেমনিভাবে, একটি ধারা লিঙ্গ সমতার প্রসারেও উৎসর্গ করা হয়েছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্রাজিল এবং অন্য দেশের কর্মকর্তারা।
আর্জেন্টিনার আপত্তি সত্ত্বেও জি২০ ঘোষণায় স্বাক্ষর
আর্জেন্টিনা জি২০ ঘোষণায় স্বাক্ষর করলেও জাতিসংঘের ২০৩০ টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডার উল্লেখ নিয়ে আপত্তি জানায়। দেশটির ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই এই এজেন্ডাকে ‘সমাজতান্ত্রিক প্রকৃতির একটি অতিরাষ্ট্রীয় প্রোগ্রাম’ বলে অভিহিত করেছেন। এছাড়া, সামাজিক মাধ্যমে ঘৃণাত্মক বক্তব্য নিয়ন্ত্রণের আহ্বান এবং ক্ষুধা মোকাবিলায় সরকারের ভূমিকা বাড়ানোর প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন। তিনি এটিকে জাতীয় সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ বলে মনে করেন।
মিলেই প্রায়ই বহুপাক্ষিক আলোচনায়, বিশেষ করে তার প্রকাশ্য সমালোচক লুলার নেতৃত্বাধীন বৈঠকে ট্রাম্পের মতো বাধা সৃষ্টিকারীর ভূমিকা পালন করেন।
বৈশ্বিক ক্ষুধা মোকাবিলায় নির্দিষ্ট উদ্যোগ
ঘোষণাপত্রের বড় একটি অংশই ক্ষুধা নির্মূলের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। এটি লুলার অগ্রাধিকার।
ব্রাজিল সরকার বলেছে, ‘ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক জোট’ চালু করা জি২০ ঘোষণার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। ব্রাজিলের মতে, এরই মধ্যে ৮২টি দেশ এই পরিকল্পনায় সই করেছে। এই উদ্যোগ রকফেলার ফাউন্ডেশন এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের মতো সংগঠনগুলোর সমর্থন পেয়েছে।
রবিবার রিওর কোপাকাবানা সৈকতে একটি প্রতীকী প্রদর্শনীতে ৭৩৩টি খালি থালা সাজানো হয়েছিল। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ সালে ক্ষুধার্ত ৭৩৩ মিলিয়ন মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে এই প্রদর্শনী।
ব্রাজিলের জি২০ সম্মেলনে সভাপতিত্বের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন দারিদ্র্যবিরোধী অলাভজনক সংস্থা অক্সফামের একজন পরিচালক ভিভিয়ানা সান্তিয়াগো। চরম বৈষম্য, ক্ষুধা ও জলবায়ু বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষের দাবির প্রতি সাড়া দিতে এবং বিশেষত ধনীদের উপর কর আরোপের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন তিনি।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘ব্রাজিল আরও ন্যায়সঙ্গত এবং স্থিতিশীল বিশ্বের পথে আলো দেখিয়েছে। এই সংকটময় মুহূর্তে অন্যদেরও তাদের সঙ্গে যুক্ত হতে চ্যালেঞ্জ আহ্বান জানিয়েছে’
বহু প্রতীক্ষিত জাতিসংঘ সংস্কার
নেতারা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের "রূপান্তরমূলক সংস্কার" নিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন। ‘২১ শতকের বাস্তবতা ও চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং আরও প্রতিনিধিত্বমূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক, দক্ষ, কার্যকর, গণতান্ত্রিক ও দায়বদ্ধ’ হতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন তারা।
ঘোষণাপত্রে বলা হয়, ‘আমরা এমন নিরাপত্তা পরিষদের সম্প্রসারিত কাঠামোর আহ্বান জানাই, যা আফ্রিকা, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের মতো কম প্রতিনিধিত্বশীল এবং অপ্রতিনিধিত্বশীল অঞ্চল ও গোষ্ঠীগুলোর প্রতিনিধিত্ব উন্নত করবে।’
সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ শীর্ষ সম্মেলনের আগে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দেয়, তারা আফ্রিকার দুটি দেশের জন্য নতুন স্থায়ী আসনের সমর্থন করছে, তবে ভেটো ক্ষমতা ছাড়া। পাশাপাশি, প্রথমবারের মতো একটি ছোট দ্বীপ উন্নয়নশীল দেশের জন্য অস্থায়ী আসনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
তবে গ্রুপ অব ফোর (ব্রাজিল, জার্মানি, ভারত ও জাপান) একে অপরের স্থায়ী আসনের দাবির পক্ষে সমর্থন জানাচ্ছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান, ইতালি, তুরস্ক ও মেক্সিকোসহ এক ডজন দেশের বৃহত্তর ইউনাইটিং ফর কনসেনসাস গ্রুপ দীর্ঘ মেয়াদের অতিরিক্ত অস্থায়ী আসন চায়।
৪ সপ্তাহ আগে
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্টের আনুষ্ঠানিক পদত্যাগ
শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইউভাল গ্যালান্ট।
তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ইসরায়েল কাতজ। তিনি বর্তমানে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
তিন দিন আগে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গ্যালান্টকে বরখাস্ত করেন। এ ঘটনার পরই দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়।
ইসরায়েলের অনেকেই গ্যালান্টকে কট্টোর ডানপন্থি সরকারের মধ্যে একমাত্র মধ্যপন্থি কণ্ঠস্বর হিসেবে বিবেচনা করেন। তার অপসারণকে গাজায় বন্দিদের উদ্ধারে নেতানিয়াহুর অনাগ্রহ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কাতজ বর্তমানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন এবং তিনি নেতানিয়াহুর দীর্ঘকালীন অনুগামী ও বর্ষীয়ান মন্ত্রী হিসেবে পরিচিত।
আরও পড়ুন: নেদারল্যান্ডসে ইসরায়েলি ফুটবল সমর্থকদের ওপর হামলা
এছাড়াও, শুক্রবার ইসরায়েলের সামরিক দপ্তর গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানোর জন্য নতুন এইড ক্রসিং খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে এর সময় এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, ৩০০ ট্রাক মানবিক সহায়তা সামগ্রী সরবরাহ করছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তারা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে গাজা উপত্যকায়েএসব সহায়তা পাঠানোর অনুমতি দেবে তারা। তবে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা অনুযায়ী কম। যুক্তরাষ্ট্র চায় প্রতিদিন ৩৫০টি ট্রাক সহায়তা গাজায় পাঠানো হোক।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হয় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ। সে সময় সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে প্রায় ১,২০০ মানুষকে হত্যা করে। এর মধ্যে অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। এছাড়া ২৫০ জনকে জিম্মি করে।
এরপরে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী হামলা চালিয়ে ৪৩,০০০ জনেরও বেশি মানুষ হত্যা করে বলে জানান ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। তবে এর মধ্যে কতজন বেসামরিক ও সামরিক বাহিনীর সদস্য, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানাননি। তবে তাদের দাবি, নিহতদের অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু।
হিজবুল্লাহ ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলে গোলাবর্ষণ শুরু করে। সংঘাত শুরু হওয়ার পর লেবাননে ৩,১০০ জনের বেশি মানুষ নিহত এবং প্রায় ১৩,৯০০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রবাসী বাংলাদেশি নিহত
১ মাস আগে
বাড়ছে যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর টিউশন ফি
আট বছর পর যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর টিউশন ফি বাড়ানো হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রিজেট ফিলিপসন জানিয়েছেন, ২০১৬ সালের পর আগামী বছর ইংল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে টিউশন ফি ৩ দশমিক ১ শতাংশ বাড়বে।
মুদ্রাস্ফীতির কারণে টিউশন ফি বাড়ানো হচ্ছে। এর ফলে সর্বোচ্চ বার্ষিক ফি দাঁড়াবে ৯ হাজার ৫৩৫ পাউন্ড (১২ হাজার ৩৩৫ মার্কিন ডলার)। পাশাপাশি, জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে শিক্ষার্থীদের জন্য রক্ষণাবেক্ষণ ঋণও ৩ দশমিক ১ শতাংশ বাড়বে।
উচ্চশিক্ষায় আর্থিক চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী ফিলিপসন সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে আসন্ন সংস্কারের ইঙ্গিত দেন।
এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে শ্যাডো এডুকেশন সেক্রেটারি লরা ট্রট বলেন, যেসব খাতে সাম্প্রতিক বাজেটের বিরূপ প্রভাব পড়েছে, তার তালিকায় শিক্ষার্থীদেরও যুক্ত করা হলো।
১ মাস আগে
তুরস্কে অ্যারোস্পেস কোম্পানিতে হামলায় নিহত ৪, আহত ১৪
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় তুর্কি অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ ইনকরপোরেশনের (টিইউএসএএস) উৎপাদন কেন্দ্রে সন্ত্রাসী হামলায় চারজন নিহত ও ১৪ জন আহত হয়েছে।
আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়ারলিকায়া।
ইয়ারলিকায়া জানান, আঙ্কারার উপকণ্ঠে মূল প্রতিরক্ষা কমপ্লেক্সকে লক্ষ্য করে একজন পুরুষ ও একজন মহিলা হামলা চালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করতে কাজ করছি। সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করা গেলে তাদের তথ্য প্রকাশ করা হবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এই জঘন্য হামলার নিন্দা জানাই। শেষ সন্ত্রাসীকে নির্মূল না করা পর্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে লড়াই চলবে।’
এনটিভিতে প্রকাশিত ফুটেজে দেখা গেছে, 'কয়েকজন সন্ত্রাসী' ট্যাক্সিতে করে কমপ্লেক্সের কেন্দ্রীয় গেটে আসে এবং মেশিনগান দিয়ে রক্ষীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে।
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ফুটেজে একটি ক্ষতিগ্রস্ত গেট ও কাছের একটি পার্কিং লটে সংঘর্ষ দেখা গেছে।
কমপ্লেক্সে নিরাপত্তা বাহিনী, দমকলকর্মী ও প্যারামেডিকস পাঠানো হয়েছে এবং আহতদের দুটি পৃথক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
তুসাস তুরস্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা ও বিমান সংস্থা। এটি অন্যান্য প্রতিরক্ষা প্রকল্পের মধ্যে দেশের প্রথম জাতীয় যুদ্ধ বিমান কেএএএন তৈরি করে।
নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) অতীতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে।
তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত পিকেকে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে তুর্কি সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে আসছে।
১ মাস আগে