অন্যান্য
মার্কিন শিক্ষককে ছেড়ে দিল রাশিয়া
মার্কিন শিক্ষক মার্ক ফোজেলকে ছেড়ে দিয়েছে রাশিয়া। তিনি গেল এক বছর তিন মাস ধরে রাশিয়ার কারাগারে বন্দি ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, তাকে ভুলভাবে আটক করা হয়েছে।
কাতারভিত্তিক আলজাজিরার খবরে বলা হয়, ২০২১ সালের আগস্টে রাশিয়ায় আটক করা হয়েছে ৪৩ বছর বয়সী ফোজেলকে। পরে ১৭ গ্রাম ঔষধি গাঁজা বহনের দায়ে ১৪ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজ বলেন, তাকে ফেরত আনার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ আলোচনা করেছেন। তবে কীসের বিনিময়ে এই শিক্ষককে ফেরত দিচ্ছে রাশিয়া তা উল্লেখ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ: জিম্মিদের ফেরত দিচ্ছে না হামাস
তিনি বলেন, ‘রুশরা আমাদের ওপর যে আস্থা রেখেছেন, তা বলে দিচ্ছে ইউক্রেনে প্রাণঘাতী হামলা বন্ধে আমরা সঠিক পথে আছি। আজ রাতের মধ্যে মার্ক ফোজেল আমেরিকার মাটিতে থাকবেন এবং তার পরিবারের সঙ্গে মিলিত হবেন।
নিজের নির্বাচনী প্রচারে প্রেসিডেন্ট হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের অঙ্গীকার করেছিলেন ট্রাম্প। এই যুদ্ধ এখন চার বছরে পা রাখতে যাচ্ছ। কিন্তু এই ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধে ট্রাম্প কী পরিকল্পনা নিয়েছেন, তা এখনো কারও কাছে স্পষ্ট না।
৫৫ মিনিট আগে
রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছে: ট্রাম্প
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মস্কোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার কোনো আলাপ হয়েছে কিনা; সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে অস্বীকার করেছেন।
রবিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এয়ার ফোর্স ওয়ানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন কথা বলেন। তিনি আভাস দিয়েছেন যে পুতিনের সঙ্গে তার যোগাযোগ আছে। আর এমন কিছু যদি হয়ে থাকে, তাহলে ২০২২ সালের পর কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পুতিনের আলোচনার স্বীকারোক্তি হবে এটি।
গেল ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে কিংবা পরে পুতিনের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা; জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এটা করেছি, ধরা যাক, আমি এটা করেছি..এবং আরও অনেক আলোচনা হবে বলে আমি মনে করছি। এই যুদ্ধ আমাদের বন্ধ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: দালালের খপ্পরে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়াচ্ছেন বাংলাদেশিরা: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যোগাযোগ আছে বলেও জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমরা দুই পক্ষের সঙ্গেই কথা বলছি।’
নির্বাচনী প্রচারে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের অঙ্গীকার করেছেন ট্রাম্প, কিন্তু সেটা কীভাবে করা হবে; তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দেননি তিনি।
শুক্রবার নিউ ইয়র্ক পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘পুতিন ও তিনি কতবার কথা বলেছেন সেটা না প্রকাশ করাই ভালো। এমনকি সবশেষ কখন কথা হয়েছে, সেটাও না বলা ভালো।’
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘আসছে দিনগুলোতে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা হবে। ব্যক্তিগতভাবে সম্ভবত এ সম্পর্কে আমি জানি না, অথবা এ বিষয়ে অবগত না। যে কারণে এ বিষয়টি আমি স্বীকার কিংবা অস্বীকার করতে পারব না।’
রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার আলোচনা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে অস্বীকার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ। এনবিবিসি নিউজকে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই বেশ কিছু স্পর্শকাতর আলোচনা চলছে।’
এরআগে বিভিন্ন সময়ে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের অঙ্গীকার করেছিলেন ট্রাম্প। এ বিষয়ে আলোচনা করতে পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠক হবে বলেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু এর বাইরে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। রবিবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, একটা উপযুক্ত সময়ে পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠক হবে।
সৌদি আরব কিংবা সংযুক্ত আরব আমিরাতে তাদের এই বৈঠক হতে পারে বলে এর আগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভিসা পদ্ধতি সহজসহ রাশিয়াকে আরও জনশক্তি নেওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
২ দিন আগে
ব্রাজিলে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ২
ব্রাজিলের সাও পাওলোতে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় দমকল বাহিনী দুর্ঘটনা ও এসব হতাহতের বিষয় জানিয়েছে।
দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট ছোট বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে সাও পাওলো শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাভিনিউতে একটি যাত্রীবাহী বাসের ওপর পড়ে।
দমকল বিভাগ জানিয়েছে, নিহত দুজন বিধ্বস্ত বিমানের আরোহী। বিধ্বস্তের কারণে বিস্ফোরণে একজন মোটরসাইকেল আরোহী এবং বাসের ভিতরে থাকা আরেক ব্যক্তি আহত হন। তাদের উভয়কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আলাস্কায় বিমান বিধ্বস্তে নিহত ১০
দুর্ঘটনার শিকার বিমানটি সাও পাওলোর ক্যাম্পো দে মার্তে প্রাইভেট জেট বিমানবন্দর থেকে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর পোর্তো আলেগ্রেতে যাচ্ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিমানটি বিধ্বস্তের ফলে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে বাসটিতে আগুন ধরে যায়। বাসটির ভিতরে খুব কম যাত্রী ছিল। একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ঘটনার সময় দূরে কালো ধোঁয়ার বিশাল কুণ্ডলী দেখা গেছে।
৪ দিন আগে
আলাস্কায় বিমান বিধ্বস্তে নিহত ১০
আলাস্কার নোমগামী একটি ছোট যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিমানটি সমুদ্রের বরফের ওপর বিধ্বস্ত হয়ে পড়ায় আরোহীদের সবাই নিহত হন।
গত ২৫ বছরের মধ্যে রাজ্যটির সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
উদ্ধারকারীরা হেলিকপ্টার দিয়ে তল্লাশির মাধ্যমে নোমের দক্ষিণ-পূর্বে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পান। কোস্টগার্ডের তোলা ছবিতে দেখা গেছে, বিধ্বস্ত বিমান ও হতাহতরা বরফের ওপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। জরুরি উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থল পৌঁছেছেন।
সেন লিসা মুরকোস্কি এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। নোমের মেয়র জন হ্যান্ডেল্যান্ডকে আবেগপ্রবণ দেখা গেছে। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় সম্প্রদায়ের স্থিতিস্থাপকতার উপর জোর দেন। সন্ধ্যায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রিগ্যান ন্যাশনাল এয়ারপোর্টে বিমান দুর্ঘটনা: ১৮ জনের লাশ উদ্ধার
বৈরি পরিবেশ, জমে থাকা বরফ এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণে পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টা কঠিন হয়ে পড়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, হতাহতদের নিরাপদে উদ্ধার কাজ করার জন্য সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বেরিং এয়ারের সেসনা ক্যারাভান ৯ জন যাত্রী ও একজন পাইলটকে নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে উনালাকলেট থেকে উড্ডয়ন করলেও এক ঘণ্টার মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কর্মকর্তারা হঠাৎ উচ্চতা এবং গতি হ্রাসের কথা উল্লেখ করেছেন। তবে দুর্ঘটনার কারণটি নির্ধারণ করতে পারেননি তারা। এমনকি কোনো বিপদের সংকেতও শনাক্ত করা যায়নি।
আলাস্কার দুর্গম ভূখণ্ড এবং পরিবহনের জন্য ছোট বিমানের উপর নির্ভরতা অত্যাবশ্যক, তবে তা ঝুঁকিপূর্ণ। ওয়াশিংটন ডিসি ও ফিলাডেলফিয়ায় প্রাণঘাতী ঘটনার পর এক সপ্তাহের মধ্যে এটি তৃতীয় বড় ধরনের বিমান দুর্ঘটনা।
বেরিং এয়ার, ৩২টি প্রত্যন্ত গ্রামে পরিষেবা দিয়ে থাকে। দুর্ঘটনার পর অনুসন্ধান প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ নির্ধারণের জন্য এরই মধ্যে এনটিএসবি থেকে ফেডারেল তদন্তকারীদের পাঠানো হয়েছে। এদিকে, নোম এবং আশেপাশের সম্প্রদায়গুলো নিহত এবং তাদের পরিবারগুলোর জন্য শোক প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১০ ফিলিস্তিনি নিহত
৪ দিন আগে
ব্রাজিলে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ৭
ব্রাজিলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পারনামবুকোতে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দেশটির সরকারি নিরাপত্তা বানিহী বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সংস্থাটির বরাতে স্থানীয় নিউজ নেটওয়ার্ক গ্লোবো’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার বিকাল থেকে পেরনামবুকোর রাজধানী রেসিফ শহরে ভারী বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
রেসিফের মেয়র জোয়াও ক্যাম্পোস শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্লাস স্থগিত করেছেন। এছাড়া ভূমিধসের কারণে ৯০টিরও বেশি পরিবারকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে বাস খাদে পড়ে নিহত ১৭
রেসিফ মেট্রোপলিটন এলাকার কমপক্ষে ১৮টি পৌরসভা বন্যায়ি পাম্পিং সমস্যার কারণে সুপেয় পানি বিতরণ করার ঘোষণা দিয়েছে।
মেয়রের কার্যালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের কারণে রেসিফে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
৫ দিন আগে
গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানা ও সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব ট্রাম্পের
গাজা যুদ্ধে উদ্বাস্তু হওয়া ফিলিস্তিনিদের উপত্যকাটির বাইরে স্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের পরামর্শ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুদ্ধ বিধ্বস্ত অঞ্চলটি নতুন করে নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি মালিকানা নেওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। এমনকি ভূখণ্ডটিতে সেনা মোতায়েনের কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।
হোয়াইট হাউসে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি এই পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। এ সময়ে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির বিষয়েও দুই নেতার কথা হয়েছে।-খবর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি)।
ট্রাম্পের এই প্রগলভ প্রস্তাবে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যকার ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি দীর্ঘায়িত করার আলোচনার পরবর্তী ধাপে আরও ক্ষোভ তৈরি হতে পারে। দুইপক্ষের হাতে বন্দিদের মুক্তির বিষয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে।
গাজায় মানবিক সহায়তা ও পুনর্গঠন নিয়ে যখন কথা হচ্ছে, তখন এসব উসকানিমূলক কথাবার্তাও বাড়িয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। গেল ১৫ মাসের যুদ্ধে পুরো গাজা অঞ্চল মাটিতে মিশে গেছে। সেখানে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে বলে খবরে উঠে এসেছে।
এখন গাজার ১৮ লাখ মানুষকে উপত্যকাটির বাইরে নিয়ে পুনর্বাসনের কথা বলছেন যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রেসিডেন্ট। অথচ এ অঞ্চলটি তাদের মাতৃভূমি, এখানেই তাদের জন্ম ও বেড়ে উঠেছেন। অঞ্চলটিকে ট্রাম্প এখন যুক্তরাষ্ট্রের বলে দাবি করছেন, সম্ভবত সেনা মোতায়েনের কথাও ভাবছেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি না, লোকদের ফিরে যাওয়া উচিত। তারা তো এখন গাজায় বসবাস করতে পারবেন না। আমি মনে করি, তাদের জন্য আরেকটি জায়গা দরকার। এটি এমন একটি জায়গা হওয়া উচিত, যা লোকজনকে সুখি করতে পারবে।’
আরও পড়ুন: আমেরিকানদেরও ‘কিছু যন্ত্রণা’ সইতে হবে: ট্রাম্প
‘যুক্তরাষ্ট্রের উচিত গাজার মালিকানা নিয়ে নেওয়া। এরপর ফিলিস্তিনিদের অন্য কোথাও পুনর্বাসন করে উপত্যকাটি পুনর্নির্মাণ করতে হবে, যাতে সেটি‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেয়ারায়’ রূপান্তর হয়ে যায়, যেখানে ‘পৃথিবীর মানুষ’—ফিলিস্তিনিসহ—বসবাস করবেন,’ বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ইতালীয় শব্দ রিভেয়ারা বলতে উপকূলীয় অঞ্চল বোঝায়।
তিনি বলেন, ‘আমি আশ্বস্ত করতে পারি, এটা বিশ্বমানের হবে। লোকজনের জন্য এটা খুবই চমৎকার হবে—ফিলিস্তিনিদের, আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনিদের নিয়েই আলোচনা করছি।’
ট্রাম্পকে সতর্ক করে দিয়ে মিসর, জর্ডান ও অন্য মার্কিন মিত্ররা বলছেন, গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্য কোথাও পুনর্বাসন করলে মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা হুমকিতে পড়বে, সংঘাত দীর্ঘায়িত হয়ে যাবে। পাশাপাশি কয়েক দশক ধরে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের যে কথা যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা বলে আসছে, সেটিও দুর্বল হয়ে যাবে।
কিন্তু এই ধ্বংসস্তূপ থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্য কোথাও যাওয়ার বিকল্প নেই বলে দাবি করছেন ট্রাম্প। আর তার শীর্ষ সহযোগী বলছেন, পুরো অঞ্চলটি পুনর্নির্মাণে তিন থেকে পাঁচ বছর সময় লাগবে।
গেল সপ্তাহে গাজাবাসীকে অন্য কোথাও পুনর্বাসনে ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন মিসরীয় প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি ও জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। কিন্তু ট্রাম্পের দাবি, মিসর-জর্ডান ও অন্য কয়েকটি দেশ এ বিষয়ে তার সঙ্গে একমত হয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, কয়েক দশক ধরে দেখছেন যে গাজায় সবাই মারা যাচ্ছেন। বছরের পর বছর ধরে এমনটা ঘটছে। এখানের সবাই মৃত। লোকজনকে স্থায়ীভাবে পুনর্বাসন করে আমরা একটি সুন্দর এলাকা পেতে পারি, সুন্দর বাড়িঘর, যেখানে তারা সুখে থাকতে পারবেন। কোনো গোলাগুলি হবে না, কেউ হত্যাকাণ্ডের শিকার হবে না, কেউ ছুরিকাঘাতে মরবে না, যেটা গাজায় এখন ঘটছে।
গাজা পুনর্গঠনে সেনা মোতায়েনের কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনি। অঞ্চলটি নতুন করে গড়ে তুলতে দীর্ঘমেয়াদি মার্কিন মালিকানার স্বপ্ন দেখছেন ট্রাম্প। নিরাপত্তা ঘাটতি পূরণে আমেরিকান সেনা মোতায়েনের সম্ভাব্যতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যেটা করা দরকার, সেটিই আমরা করবো।’
এমন এক সময় গাজা নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা বলছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, যখন ভূখণ্ডটিতে হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতি এক অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের অবস্থান মজবুত করতে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প-নেতানিয়াহু
১ সপ্তাহ আগে
মার্কিন পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ চীনের, গুগলের বিরুদ্ধে তদন্তের ঘোষণা
চীনা পণ্যতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুল্কারোপ করার পর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে মার্কিন পণ্য আমদানিতে শুল্কারোপ করেছে চীন। একই সঙ্গে গুগলসহ অন্যান্য বাণিজ্য ব্যবস্থার বিষয়ে তদন্তেরও ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
মঙ্গলবার চীন এই পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা অ্যাসেসিয়েটেড প্রেস(এপি) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
চীন বলেছে, তারা কয়লা ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা অপরিশোধিত তেল, কৃষি যন্ত্রপাতি ও বড় ইঞ্জিনের গাড়ির ওপর ১০ শতাংশ শুল্কারোপ করবে। আগামী সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে এই শুল্কহার কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: আমেরিকানদেরও ‘কিছু যন্ত্রণা’ সইতে হবে: ট্রাম্প
দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়মকে মারাত্মকভাবে লঙ্ঘন করেছে। ‘এটি কেবল নিজের সমস্যা সমাধানে অসহযোগিতাই নয়, বরং চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাভাবিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।’
মঙ্গলবার চীনের স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফর মার্কেট রেগুলেশন বলেছে, ‘অ্যান্টিট্রাস্ট ল’ লঙ্ঘনের সন্দেহে তারা গুগলের বিরুদ্ধেও তদন্ত করছে। ঘোষণায় শুল্কের কথা উল্লেখ করা হয়নি। তবে চীনের উপর ট্রাম্পের ১০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হওয়ার কয়েক মিনিট পরেই এই ঘোষণাটি এসেছে।
কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যের উপর আরোপিত মার্কিন শুল্ক মঙ্গলবার কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। সীমান্ত সুরক্ষা এবং মাদক পাচার সম্পর্কে ট্রাম্পের উদ্বেগ নিরসনে দেশ দুটি কাজ করবে— এমন আশ্বাসে ট্রাম্প মেক্সিকো এবং কানাডার পণ্যের ওপর শুল্কারোপের তার সিদ্ধান্ত ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করতে সম্মত হয়েছেন। এছাড়া আগামী কয়েকদিনের মধ্যে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলার পরিকল্পনা রয়েছে ট্রাম্পের।
চীন শুল্কারোপ ছাড়াও আধুনিক উচ্চ প্রযুক্তির পণ্য উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি উপাদানের উপর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে টাংস্টেন, টেলুরিয়াম, বিসমাথ, মলিবডেনাম এবং ইন্ডিয়াম। এগুলোর মধ্যে অনেকগুলো মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিতর্কিত খনিজ হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে। এর অর্থ হলো— উপাদানগুলো মার্কিন অর্থনৈতিক বা জাতীয় সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়, যেগুলোর নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে দেশটি।
ডিসেম্বরে চীন উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যালিয়ামের মতো মূল উপাদানগুলোতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ছাড়াও অন্যান্য পণ্যে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দুটি আমেরিকান সংস্থাকে একটি অনির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। প্রতিষ্ঠান দুটি হলো— কেলভিন ক্লেইন এবং টমি হিলফিগারের মালিকানার পিভিএইচ গ্রুপ এবং চীনে অফিসসহ একটি জৈবপ্রযুক্তি সংস্থা ইলুমিনা। চীনের এই তালিকাভুক্তির ফলে তারা দেশটিতে আমদানি বা রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনা এবং নতুন বিনিয়োগ করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: দেশগুলো ট্রাম্পের শুল্কারোপের পাল্টা জবাব দেবে কীভাবে?
১ সপ্তাহ আগে
আমেরিকানদেরও ‘কিছু যন্ত্রণা’ সইতে হবে: ট্রাম্প
মেক্সিকো-কানাডা ও চীনের ওপর শুল্কারোপের পর আসন্ন বাণিজ্য যুদ্ধে আমেরিকানদেরও ‘কিছু যন্ত্রণা’ সহ্য করতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, তারা যদি খেলতে চান, আমার কোনো আপত্তি নেই।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফ্লোরিডায় তার রিসোর্ট থেকে হোয়াইট হাউসে ফিরে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
এরআগে উত্তর আমেরিকার দুই প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে ২৫ শতাংশ ও চীনের বিরুদ্ধে ১০ শতাংশ শুল্কারোপ করে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেন তিনি। এ ঘটনায় ক্ষোভ, দুঃখ ও অনিশ্চয়তার মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এতে মেক্সিকো ও কানাডার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক দশকের অংশীদারত্বে ফাটল ধরার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। চীনের সঙ্গেও সম্পর্কে নতুন করে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের অবস্থান মজবুত করতে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প-নেতানিয়াহু
ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ছাড়া কানাডা অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন—এমনকি যুক্তরাজ্যকেও আমদানি কর দিতে হবে।’
এ সময়ে কানাডার কাছ থেকে পাল্টা পদক্ষেপের প্রশ্ন এলে তিনি তাতে পাত্তা না দিয়ে বলেন, ‘যদি তারা খেলতে চান, আমি কিছু মনে করবো না। তারা যে খেলা খেলতে চান, আমরাও সেটা পারি।’
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লোদিয়া সেইনবামের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু শুল্কারোপ নিয়ে নিজের অঙ্গীকার পূরণ করতে গিয়ে দ্রুত মূল্যস্ফীতি কমানোর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা আর রাখতে পারছেন না তিনি।
সামাজিকমাধ্যম পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এতে কী কিছু যন্ত্রণা সইতে হবে? হ্যাঁ, সম্ভবত (এবং সম্ভবত না!)। কিন্তু আমেরিকাকে আবার আমরা মহান করে তুলবো। এবং এটি যথার্থ মূল্য পাবে, যা তাকে দিতে হবে।’
সম্ভাব্য মুদ্রাস্ফীতির ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘সম্ভবত অল্পসময়ের জন্য আমাদের একটু ব্যথা হবে, কিন্তু জনগণ বিষয়টি বুঝতে পারছে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে বিশ্বের প্রতিটি দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে কার্যত ঠকিয়েছে।’
আরও পড়ুন: দেশগুলো ট্রাম্পের শুল্কারোপের পাল্টা জবাব দেবে কীভাবে?
১ সপ্তাহ আগে
দেশগুলো ট্রাম্পের শুল্কারোপের পাল্টা জবাব দেবে কীভাবে?
কোনো কথার কথা বলেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কানাডা-মেক্সিকো ও চীনের ওপর চড়া শুল্কারোপ করে সেটিই প্রমাণ করলেন। এরমধ্য দিয়ে ওভাল অফিস থেকে প্রথম তোপধ্বনি ছুড়লেন তিনি।
বিবিসির বিশ্লেষণ বলছে, যুক্তরাষ্ট্র কতটা শক্তিশালী থাকে, তার ওপর নির্ভর করছে দেশগুলো কীভাবে এই শুল্কারোপের জবাব দেবে।
বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থায় এরআগে কখনো এমন ধাক্কা লাগেনি। প্রথমে ইউরোপের বিরুদ্ধে একই ধরনের শুল্কারোপের প্রস্তুতি নিয়েছেন ট্রাম্প। পরে সেটা সার্বজনীন পর্যায়ে কমিয়ে আনা হয়েছে।
সবমিলিয়ে বিশ্ব আবারও একটা বাণিজ্যযুদ্ধের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বলে শঙ্কা আরও জোরালো হয়েছে। কিন্তু ট্রাম্প যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, সেটার ফল কী আসবে? বিশ্ব কীভাবে জবাব দেবে? এসবের মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কী অর্জন করতে যাচ্ছেন?
শুল্কারোপ নিয়ে নিজের যুক্তিতে বারবার পরিবর্তন আনছেন ট্রাম্প—বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা মোকাবিলায় হয় বলপূর্বক কূটনৈতিক পরিবর্তন কিংবা বড় অংকের রাজস্ব বাড়াতে জোর দিতে হয়েছে তাকে।
আরও পড়ুন: মেক্সিকো-কানাডা ও চীনা পণ্যে ট্রাম্পের শুল্কারোপ, বাণিজ্যযুদ্ধের শঙ্কা
তবে সব অর্জন ট্রাম্প একইসাথে করতে পারবেন না।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের অভিজ্ঞতা থেকে উদহারণ দিয়ে বলা যেতে পারে—তখন হোয়াইট হাউসকে কিছুটা জয় এনে দিতে আরও বেশি মার্কিন পণ্য কেনার জন্য দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা গেছে পশ্চিমা কূটনীতিকদের।
এবারও সেই প্রবণতা থাকুক কিংবা না-থাকুক, সেটা কোনো বিষয় না; বিজয়ের ছক কষতে কর্মকর্তাদের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজেই তাড়া দেবেন।
এখানে কী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনাই ট্রাম্পের লক্ষ্য?
প্রাণঘাতী সিনথেটিক মাদক ফেনটানিলের প্রবাহ রোধ করতে কানাডা-মেক্সিকো ও চীনকে সাজা দিচ্ছেন তিনি। সাধারণত এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কংগ্রেসের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু জরুরি পদক্ষেপের অজুহাতে নির্বাহী আদেশে এই শুল্কারোপকে আইনসিদ্ধ করছেন ট্রাম্প।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের শুল্কারোপের জবাব দেবে কানাডা, মেক্সিকোর ধীরে চলার নীতি
মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রতি কানাডা অনেকটা তেজি মনোভাব দেখিয়েছি। মানে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়ার প্রবণতা দেখায়নি উত্তর আমেরিকার দেশটি। এ বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে কথা বলেছেন দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদের প্রতিদ্বন্দ্বি মার্ক কারনি।
‘আমরা পাল্টা পদক্ষেপ নেব...ডলারের বদলে ডলার,’ বলেন তিনি। ফেনটানিলের অজুহাতকে পরিহাস করে তিনি বলেন, ‘কানাডা এসব ধমকের মোকাবিলা করবে।’
জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত কিংবা জি সেভেনের সভাপতি হতে পারুক কিংবা না পারুক মার্ক কারনির এই বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সাবেক গভর্নর হিসেবে জি২০ ও জি সেভেন বৈঠকে সরাসরি ট্রাম্পকে প্রত্যক্ষ করেছেন মার্ক কারনি। সেখান থেকে তার একটি স্পষ্ট ধারণা জন্মেছে যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কেবল শক্তিমত্তাকে সমীহ করেন।
যেসব দেশ চুপচাপ থাকতে চায় ও মার্কিন প্রেসিডেন্টের চোখে চোখ রাখতে চায় না, তাদের জন্য একটি গোপনীয় সতর্কবার্তা রয়েছে তার।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা ও অংশীদারত্বের প্রতিই জোর দিচ্ছেন ইউরোপীয় বাণিজ্য আলোচকরা। এমনকি গ্রিনল্যান্ডকে কিনে নেওয়ার প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে ন্যাটোমিত্র ডেনমার্কের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত শুল্কারোপের হুমকি দিলেও সরাসরি ট্রাম্পের সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকতে দেখা গেছে তাদের।
প্রশ্ন হচ্ছে—এই পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপে বিশ্বের অন্য দেশগুলো, অন্তত নীরবে, সহযোগিতা করে যাবে কিনা? প্রেসিডেন্টের ট্রাম্পের প্রভাবশালী সমর্থক হলেন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক। এই পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে গত সপ্তাহে হুঁশিয়ারি করে দিয়েছেন তিনি।
এতে যুক্তরাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণভাবেও মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে কার্বন বাণিজ্য কর প্রয়োগের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে হলেও এই প্রভাব পড়তে পারে।
আসলে এসব কিছু নির্ভর করছে, যুক্তরাষ্ট্র কতটা শক্তিশালী থাকে, তার ওপর। কোনো কোনো দেশের জন্য বিকল্প উৎস থাকতে পারে। কিন্তু বিশ্ব যখন এক অজানা গন্তব্যে, তখনই প্রতিনিয়ত এই শুল্কারোপের হুমকি বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ছে।
আরও পড়ুন: মেক্সিকো ও কানাডার পণ্যে শুল্কারোপ করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প
১ সপ্তাহ আগে
মেক্সিকো-কানাডা ও চীনা পণ্যে ট্রাম্পের শুল্কারোপ, বাণিজ্যযুদ্ধের শঙ্কা
মেক্সিকো, কানাডা ও চীনের ওপর চড়া শুল্কারোপ করে একটি আদেশে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে উত্তর আমেরিকার দুই প্রতিবেশী দেশের কাছ থেকেও তাৎক্ষণিক পাল্টা পদক্ষেপ এসেছে। এরমধ্য দিয়ে দীর্ঘ সময়ের মিত্র মেক্সিকো ও কানাডার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অনেকটা বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে।
সামাজিকমাধ্যমে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘আমেরিকাকে সুরক্ষায় এই শুল্কারোপ অপরিহার্য ছিল।’ অবৈধ ফেনটানিল উৎপাদন ও রফতানি বন্ধে এই তিন দেশকে আরও অনেক জোর দিতে হবে বলেও জানান তিনি।
পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসী কমিয়ে আনতে কানাডা ও মেক্সিকোকে জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে, বলেন ট্রাম্প।
তবে এই শুল্কারোপ ট্রাম্পের জন্য হীতে বিপরীতও ঘটতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে যদি মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যায়, তাহলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, পেট্রোল, আসবাবপত্রসহ অন্যান্য পণ্য কম দামে পেতে ট্রাম্পের ওপর যে আস্থা মার্কিন ভোটাররা রেখেছিলেন, সেটা ঝুঁকিতে পড়বে।
এরমধ্য দিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার মাত্র দু-সপ্তাহের মধ্যে বৈশ্বিক রাজনীতি ও অর্থনীতিকে নতুন এক অস্থিরতায় ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। চীনা থেকে আমদানি করা সব পণ্যে ১০ শতাংশ ও মেক্সিকো-কানাডীয় পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্কারোপ করতে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প।
মেক্সিকো, কানাডা থেকে যে জ্বালানি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়, তাতে ১০ শতাংশ হারে শুল্কারোপের ঘোষণা দিয়েছেন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট। দেশগুলো পাল্টা পদক্ষেপ নিলে শুল্কারোপ আরও বাড়িয়ে দেওয়ার একটি কৌশল অন্তর্ভুক্ত করেছেন তার আদেশে। এতে ব্যাপক অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের শঙ্কা রয়েছে।
কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, আজ ট্রাম্প যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, তাতে আমাদের একত্রিত করার বদলে বিচ্ছিন্ন করে দিল হোয়াইট হাউস। তার দেশও অ্যালকোহল ও ফলসহ মার্কিন পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্কারোপের ঘোষণা দিয়েছে। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ এক লাখ ৫৫ হাজার মার্কিন ডলারের শুল্কারোপ করা হয়েছে।
মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট ক্লোদিয়া সেইনবামও একই ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু চীনের তরফ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া মেলেনি।
১ সপ্তাহ আগে