অন্যান্য
আন্দামান সাগরে দুর্ঘটনাকবলিত রোহিঙ্গাদের উদ্ধারে আঞ্চলিক উদ্যোগের আহ্বান ইউএনএইচসিআরের
শত শত রোহিঙ্গা নিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত নৌযানগুলো উদ্ধারে দ্রুত অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালাতে সব দেশ বিশেষ করে আন্দামান সাগরের আশেপাশের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
এছাড়াও, এই বিপজ্জনক সামুদ্রিক যাত্রা মোকাবিলা করতে ব্যাপক আঞ্চলিক পদক্ষেপের জন্য তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে ইউএনএইচসিআর।
২০২২ সাল থেকে আজ পর্যন্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ ৫৭০ জনেরও বেশি মানুষ সমুদ্রে মৃত বা নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ফের সতর্ক করেছে, উপকূলীয় দেশগুলো সময়মতো উদ্ধার অভিযান না চালালে এবং দুর্ঘটনাকবলিতদের নিরাপদ স্থানে না আনলে অনেকের মৃত্যু হতে পারে।
বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া তথ্যে জেনেছে ইউএনএইচসিআর, যাত্রীবাহী দুটি নৌকারই ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেছে এবং বর্তমানে আন্দামান সাগরে ভেসে বেড়াচ্ছে।
আরেকটি বিষয় হলো আগামী দিনে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা।
শনিবার জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা জানিয়েছে, দুটি নৌকায় প্রায় ৪০০ জন যাত্রী আছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের জন্য ৮৭৬ মিলিয়ন ডলার সহায়তার আহ্বান জানাল ইউএনএইচসিআর
১৫০ জন রোহিঙ্গা নিয়ে আরেকটি নৌকা শনিবার ভোরে আচেহের উত্তরে একটি দ্বীপ সাবাং-এ পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।
দুর্ঘটরাবকলিতদের খাবার ও পানি ফুরিয়ে যেতে পারে বলেও ইউএনএইচসিআর উদ্বিগ্ন।
তাদের আশঙ্কা দুর্ঘটনাকবলিতদের উদ্ধার না করা হলে বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে।
নন-ফুলমেন্টের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সমুদ্র আইনের অধীনে আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতা বজায় রাখতে হবে এবং জাতীয়তা বা আইনি অবস্থা নির্বিশেষে সমুদ্রে দুর্ঘটনাকবলিতদের উদ্ধার করার দায়িত্ব অবশ্যই পালন করতে হবে।
১৪ নভেম্বর থেকে ১ হাজার জনেরও বেশি মানুষকে উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতিকে সম্মান করার জন্য ইন্দোনেশিয়ার প্রশংসা করেছে ইউএনএইচসিআর।
ইন্দোনেশিয়ার সংহতি ও মানবতার উদাহরণ এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোকে অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা বলেছে, ইউএনএইচসিআর এবং তার অংশীদারেরা দুর্ঘটনাকবলিতদের জন্য প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতদের স্থায়ী সমাধানে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব চায় ইউএনএইচসিআর-এনজিও
রোহিঙ্গাদের সহায়তায় সাড়ে ৪ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই করল জাপান-ইউএনএইচসিআর
যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১৭৫
গাজা উপত্যকায় শুক্রবার সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পরপরই ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১৭৮ জন নিহত হয়েছেন। সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টি জানিয়েছে।
ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা হামাসের ২০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।
গাজায় সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসরায়েলের দিকে রকেট নিক্ষেপ শুরু করে এবং লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের উত্তর সীমান্তে সক্রিয় ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই শুরু হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ৩ যুবককে গুলি
যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারী কাতার বলেছে, যুদ্ধবিরতি পুনর্নবীকরণের প্রচেষ্টা চলছে। যার ফলে ইসরায়েল গাজায় বেশিরভাগ সামরিক কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে এবং গাজায় আটক ১০০ জনেরও বেশি জিম্মিকে মুক্ত করার বিনিময়ে ৩০০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে।
ইসরায়েল বলছে, ১১৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ, ২০ জন নারী ও ২ শিশু এখনো বন্দী রয়েছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ এবং স্থল অভিযানের ফলে গাজার ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন বাসিন্দার তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এতে খাদ্য, পানি এবং অন্যান্য সরবরাহের ব্যাপক ঘাটতির কারণে সেখানে মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় 'অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের' আহ্বান ইইউ'র
সম্ভাব্য ব্যাপক অনুপ্রবেশের আগে গাজায় স্থল অভিযান ইসরায়েলি সেনাদের
ইথিওপিয়ায় ৫ মাত্রার ভূমিকম্প
জিএফজেড জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস বলেছে, শনিবার জিএমটি বা গ্রীনিচ মান সময় ০৬২৬-এ ইথিওপিয়ায় ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল প্রাথমিকভাবে ৫ দশমিক ৩১ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৩৬ দশমিক ৭৫ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে নির্ধারণ করা হয়।
আরও পড়ুন: জর্ডান-সিরিয়া অঞ্চলে ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্প
নেপালের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত ১২৮
জাতিসংঘের বৈঠকে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে হামাসকে ধ্বংস করার অঙ্গীকার ইসরাইলের
মঙ্গলবার জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে জাতিসংঘ প্রধান, ফিলিস্তিনি এবং অনেক দেশের যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েল হামাসকে ধ্বংস করার শপথ নিয়েছে এবং ঘোষণা করেছে- গাজায় যুদ্ধ কেবল তাদের যুদ্ধ নয়, বরং ‘মুক্ত বিশ্বের যুদ্ধ’।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেনও একই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের আকস্মিক হামলায় ১ হাজার ৪০০ জন নিহত হয় এবং তারপর থেকে গাজায় ৫ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
কোহেন প্রশ্ন করেন, ‘আমাকে বলুন, শিশু হত্যা, নারীদের ধর্ষণ ও পুড়িয়ে মারা, শিশুর শিরশ্ছেদ করার জন্য ‘সমানুপাতিক’ প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে? আপনারা কীভাবে এমন একজনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে পারেন যিনি আপনাদের নিজের অস্তিত্বকে শেষ করার শপথ নিয়েছেন?’
আরও পড়ুন: রাফাহ সীমান্ত দিয়ে ঢুকল সহায়তা বহনকারী তৃতীয় চালান, ২ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি হামাসের
কোহেন ৭ অক্টোবরের হামলাকে ‘চরমপন্থার’ বিরুদ্ধে সমগ্র মুক্ত বিশ্বের জন্য জেগে ওঠার আহ্বান জানান এবং হামাসকে পরাজিত করতে সভ্য বিশ্বকে ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
এবং তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আজ ইসরায়েল এবং আগামীকাল হামাস ও হামলাকারীরা পশ্চিমা থেকে শুরু করে সবার দোরগোড়ায় থাকবে।
কোহেন কাতারের বিরুদ্ধে হামাসকে অর্থায়নের অভিযোগ এনে বলেন, ইসরায়েল থেকে নেওয়া ২০০ জনেরও বেশি জিম্মিদের ভাগ্য, যাদের কয়েকজন পরিবার জাতিসংঘের বৈঠকে এসেছিল, তাদের ভাগ্য তার আমিরের হাতে ছিল।
ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল মালিকি ইসরায়েলি হামলা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিরিয়া-অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের হামলা, গাজায় পৌঁছেছে ত্রাণের দ্বিতীয় বহর
তিনি বলেন, ‘আমরা আজ এখানে এসেছি হত্যা বন্ধ করতে, থামাতে… ফিলিস্তিনি বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে দখলদার শক্তি ইসরাইল কর্তৃক পরিকল্পিতভাবে এবং নৃশংসভাবে চলমান গণহত্যা চালানো হচ্ছে।’
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এগুলো বন্ধ করা আমাদের সম্মিলিত মানবিক দায়িত্ব।
আল-মালিকি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আরও হামলা, হত্যা, অস্ত্র ও জোট ইসরাইলকে নিরাপদ করবে না, ‘কেবলমাত্র শান্তিই করবে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস কয়েক দশকের পুরনো ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিয়ে মাসিক বৈঠকের উদ্বোধন করেন, যা একটি বড় ইভেন্টে পরিণত হয়েছে এবং যুদ্ধের মূল পক্ষের মন্ত্রী এবং আরও এক ডজন দেশের মন্ত্রীরা নিউ ইয়র্কে গেছেন এবং সতর্ক করেছেন যে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে মার্কিনিরা হামলার শিকার হলে জবাব দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র: ব্লিঙ্কেন-অস্টিনের হুঁশিয়ারি
ইসরায়েলি হামলায় গাজার অন্তত ৬০ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ
জাতিসংঘের একটি সংস্থা জানিয়েছে, চলমান ইসরায়েলি হামলার ফলে গাজা উপত্যকার জনসংখ্যার অন্তত ৬০ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
শনিবার জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় দপ্তর (ওসিএইচএ) সিনহুয়াকে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে বলেছে, ‘১৫ দিন আগে বর্তমান হামাস-ইসরায়েল রক্তক্ষয়ী সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ১৬ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর থেকে বাস্তুচ্যুত হতে বাধ্য হয়েছেন।’
সংস্থাটি আরও বলেছে, ফিলিস্তিন শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) সঙ্গে যুক্ত ১৪৭টি শিক্ষামূলক জেলা এবং স্কুলে ৫ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি লোক বাস করে। যার মধ্যে মধ্য ও দক্ষিণ গাজায় ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ এবং ইউএনআরডব্লিউএ’র সঙ্গে অনুমোদিত নয় এমন ৬৭টি স্কুলে ৭০ হাজার জন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: মিশরকে গাজায় সীমিত মানবিক সহায়তা সরবরাহের অনুমতি ইসরায়েলের
বিবৃতিটি অনুযায়ী, প্রায় ১ লাখ ১ হাজার মানুষ অর্থোডক্স সেন্টার, গাজা শহরের গির্জা, হাসপাতাল এবং অন্যান্য সরকারি ভবনে আশ্রয় নিয়েছেন।
উপরন্তু, ফিলিস্তিনের সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় অনুমান করছে, আশ্রয়দাতা পরিবারসহ প্রায় ৭ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষ রয়েছেন।
বিবৃতি অনুযায়ী, গাজা উপত্যকার মধ্য ও দক্ষিণ অঞ্চলে ইউএনআরডব্লিউএ এডুকেশনাল অপারেশনস ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো এমন এক সময়ে ক্রমবর্ধমান জনবহুল হয়ে উঠেছে, যখন পানি, খাদ্য এবং ওষুধের মতো মৌলিক সম্পদের মারাত্মক ঘাটতির খবর পাওয়া যাচ্ছে।
কিছু শিক্ষামূলক জেলায় ইউএনআরডাব্লিউএ পানির ব্যবহারে রেশন পদ্ধতি প্রয়োগ করতে বাধ্য হয়েছে। এতে প্রতিদিন মাথাপিছু মাত্র এক লিটার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাজায় 'মানবিক বিরতির' আহ্বান জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবের ব্যর্থতায় ফ্রান্সের দুঃখ প্রকাশ
এতে বলা হয়, অতিরিক্ত ভিড় এবং মৌলিক সরবরাহের অভাব লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার প্রতিবেদনের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছে।
১৯ অক্টোবর ইউএনআরডাব্লিউএ খান ইউনিসে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের জন্য প্রথম শিবির স্থাপন করে। যেখানে ৬০টি তাঁবু রয়েছে এবং শত শত অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ফিলিস্তিনি ছিটমহলের দক্ষিণ অংশে চলমান বোমা হামলা এবং যুক্তিসঙ্গত বাসস্থান খুঁজে পেতে ব্যর্থতার কারণে কিছু বাস্তুচ্যুত মানুষ উত্তর গাজা উপত্যকায় ফিরে আসছে বলে উপাখ্যানমূলক প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বেসামরিক নাগরিকদের বাস্তুচ্যুতি এবং মৌলিক পরিষেবাগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত দুর্বল প্রবেশাধিকারপ্রাপ্ত শিশু, বয়স্ক, চিকিৎসা যত্নের প্রয়োজন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং গর্ভবতী নারীসহ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের জন্য উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ইহুদি বিরোধী ছবি না আঁকার অভিযোগে দীর্ঘদিনের কার্টুনিস্টকে বরখাস্ত করল গার্ডিয়ান
তারা মানসিক ও সামাজিক দুর্দশা, অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনা, তথ্যে প্রবেশাধিকার থেকে বঞ্চিত এবং অপব্যবহার বা শোষণের সম্ভাবনার মুখোমুখি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী অধিকৃত গাজা উপত্যকায় তাদের হামলা জোরদার করতে থাকে।
হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুক্রবার জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৪ হাজার ১৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত ও ১৩ হাজারের বেশি আহত হয়েছে। ইসরায়েলে ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানবিক সহায়তা নিয়ে ট্রাক রাফাহ সীমান্ত দিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯ কোটি ৬৭ লাখ ছাড়িয়েছে
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯ কোটি ৬৭ লাখ ছাড়িয়েছে।
সর্বশেষ বৈশ্বিক পরিসংখ্যান অনুসারে, বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৯ কোটি ৬৭ লাখ ৩১ হাজার ৬৩ জনে। এ ছাড়া এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৯ লাখ ২৭ হাজার ৪৩৮ জনে।
অন্যদিকে, বিশ্বব্যাপী করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬৬ কোটি ৮৬ লাখ ৫৪ হাজার ৬৫৯ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা ১০ কোটি ৮৯ লাখ ৮৫ হাজার ৮৯১ জন। এখন পর্যন্ত দেশটিতে মারা গেছে মোট ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৫৮৭ জন। মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে দেশটি।
ভারতে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে ৪ কোটি ৪৯ লাখ ৯৯ হাজার ৬৮০ জন। একই সময়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩১ হাজার ৯৩০ জনে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে বুধবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময় নতুন করে ৭ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৪৫ হাজার ৮৬৫ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
মিশরকে গাজায় সীমিত মানবিক সহায়তা সরবরাহের অনুমতি ইসরায়েলের
বুধবার ইসরায়েল বলেছে, তারা মিশরকে গাজা উপত্যকায় সীমিত মানবিক সহায়তা সরবরাহের অনুমতি দেবে। গাজার একটি হাসপাতালে বিস্ফোরণে শত শত মানুষ নিহত এবং গাজার সংগ্রাম করা চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টির একদিন পর ওই অঞ্চলে ১০ দিনের অবরোধের প্রথম ফাটল দেখা দেয়।
গাজা শহরের আল-আহলি হাসপাতালে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার পর এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই অঞ্চলে বৃহত্তর সংঘাত রোধের আশায় ইসরায়েল সফর করার সময় পানি, খাদ্য এবং অন্যান্য সরবরাহের অনুমতি দেওয়ার ঘোষণাটি ঘটে।
মঙ্গলবার রাতে বিস্ফোরণের পেছনে কারা ছিল তা নিয়ে পরস্পরবিরোধী দাবি করা হলেও অনেক আরব নেতা ইসরায়েলকে দায়ী বলে মন্তব্য করায় বিক্ষোভ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। গাজায় হামাসের কর্মকর্তারা ইসরায়েলি বিমান হামলাকে দায়ী করে বলেছেন, এতে শত শত মানুষ নিহত হয়েছে। ইসরায়েল তাদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে এবং ভিডিও, অডিও ও অন্যান্য তথ্য প্রকাশ করেছে যা দেখায়- গাজায় সক্রিয় আরেকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের রকেট মিসফায়ারের কারণে বিস্ফোরণটি হয়েছিল। ইসলামিক জিহাদ এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) স্বাধীনভাবে কোনও দাবি বা প্রমাণ যাচাই করেনি।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাস গাজায় হামলা চালানোর পর পরই ইসরায়েল গাজায় সব ধরনের সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। সরবরাহ শেষ হয়ে যাওয়ায় গাজার অনেক পরিবার দিনে এক বেলা খাবার কমিয়ে দিয়েছে এবং নোংরা পানি পান করতে বাধ্য হয়েছে।
বাইডেন বলেন, মিশরের প্রেসিডেন্ট ক্রসিংটি খুলে দিতে এবং মানবিক সহায়তাসহ ২০টি ট্রাকের একটি প্রাথমিক দলকে প্রবেশের অনুমতি দিতে সম্মত হয়েছেন। তিনি বলেন, হামাস যদি সহায়তা বাজেয়াপ্ত করে, তাহলে তা ‘শেষ হয়ে যাবে’। হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে এই সহায়তা কার্যক্রম শুরু হবে।
উত্তর সিনাইয়ের রেড ক্রিসেন্টের প্রধান খালিদ জায়েদ জানান, ইসরায়েলি বিমান হামলায় বিধ্বস্ত হওয়া সীমান্তের ওপারের রাস্তাটি মিশরকে অবশ্যই মেরামত করতে হবে। ২০০টিরও বেশি ট্রাক এবং প্রায় ৩ হাজার টন পরিমাণ সহায়তা রাফাহ ক্রসিংয়ে বা তার কাছাকাছি অবস্থান করছে। স্থানটি মিশরের সঙ্গে গাজার একমাত্র সংযোগ।
আরও পড়ুন: অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তার আহ্বান জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞের
মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শৌকরি আল-আরাবিয়া টিভিকে বলেছেন, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহায়তা সরবরাহ করা হবে। বিদেশি ও দ্বৈত নাগরিকদের দেশ ছাড়তে দেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত ক্রসিংটি স্বাভাবিকভাবে চলছে এবং (ক্রসিং) সুবিধাটি মেরামত করা হয়েছে।’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, বাইডেনের অনুরোধে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ইসরায়েল মিশর থেকে খাদ্য, পানি বা ওষুধ সরবরাহ ‘বাধা দেবে না’, যতক্ষণ না তারা গাজা উপত্যকার দক্ষিণে বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে এবং হামাসের কাছে না যায়। বিবৃতিতে জ্বালানির কোনো উল্লেখ করা হয়নি, যা হাসপাতালের জেনারেটরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
আরও পড়ুন: গাজার দক্ষিণাঞ্চলে শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৪০ ফিলিস্তিনি
ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১,০৭৮: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনিদের মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা যথাক্রমে ১ হাজার ৭৮ ও ৫ হাজার ৩১৪ জনে পৌঁছেছে।
রামাল্লাভিত্তিক ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়টি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ১ হাজার ৭৮ জনের মধ্যে ১ হাজার ৫৫ জন গাজায় মারা গেছেন এবং গাজায় আহতের সংখ্যা ৫ হাজার ১৮৪ জন।
বুধবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, এদিকে ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহতের সংখ্যা অন্তত ১ হাজার ২০০ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল ও হামাসের সংঘর্ষে ৯ মার্কিন নাগরিক নিহত: এনএসসি
কঠোর লড়াইয়ের পর ইসরায়েলি সৈন্যরা খুঁজে পান ধ্বংসস্তূপ ও শিশু হত্যার চিহ্ন
আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে আবারও শক্তিশালী ভূমিকম্প
আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে বুধবার সকালে আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। একই অঞ্চলে কয়েকদিন আগে শক্তিশালী ভূমিকম্পে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ অনুযায়ী, সর্বশেষ ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হেরাত প্রদেশের রাজধানী হেরাতের বাইরে প্রায় ২৮ কিলোমিটার (১৭ মাইল) এবং ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) গভীরে। শনিবারের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল প্রাদেশিক রাজধানী থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার (২৫ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে এবং শনিবার আরও ৬ দশমিক ৩ মাত্রার আরেকটি আফটারশকসহ বেশ কয়েকটি আফটারশক আঘাত হানে।
তালেবান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পূর্ববর্তী ভূমিকম্পের পর হেরাতজুড়ে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। পরে তারা ভূমিকম্পে হাজার হাজার মানুষ নিহত ও আহত হওয়ার কথা বললেও হতাহতের সংখ্যা জানায়নি।
সর্বশেষ কম্পনের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। তবে ধ্বংসস্তূপ এবং শেষকৃত্য ছাড়া এই অঞ্চলের ধুলোময় পাহাড়ে গ্রামগুলোর খুব কমই অবশিষ্ট রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার ওত্রাদার এনএনইতে ৫.৩ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত
প্রায় আড়াই হাজার জনের নায়েব রাফি গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের সময় বাইরে কাজ করা পুরুষরা ছাড়া আর কেউ বেঁচে নেই। জীবিতরা সারাদিন খননযন্ত্রের সাহায্যে গণকবরের জন্য দীর্ঘ গর্ত খননের কাজ করেন।
জিন্দা জান জেলার একটি অনুর্বর জমিতে একটি বুলডোজার কবরের দীর্ঘ সারির জন্য জায়গা পরিষ্কার করার জন্য মাটির স্তূপ সরায়।
স্থানীয়দের সাহায্য করার জন্য শত শত স্বেচ্ছাসেবকের সঙ্গে যোগ দেওয়া হেরাত শহরের মীর আগা বলেন, ‘একটি বিধ্বস্ত বাড়ি থেকে পরিবারের কোনো সদস্যকে খুঁজে পাওয়া এবং কয়েক মিনিট পরে তাকে নিকটবর্তী স্থানে কবর দেওয়া খুব কঠিন কাজ।’
২০টি গ্রামের প্রায় দুই হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে তালেবান। ভূমিকম্পকবলিত এলাকায় মাত্র একটি সরকারি হাসপাতাল রয়েছে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প
আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার: তালেবান মুখপাত্র
অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন ক্লডিয়া গোল্ডিন
শ্রমবাজারে লিঙ্গ ব্যবধানসংক্রান্ত গবেষণার জন্য অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্লডিয়া গোল্ডিন (৭৭)।
সোমবার (৯ অক্টোবর) স্টকহোমে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সের সেক্রেটারি জেনারেল হ্যান্স এলেগ্রেন এই পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে ক্লডিয়া গোল্ডিনের নাম ঘোষণা করেন।
গোল্ডিন এই পুরস্কার জয়ী তৃতীয় নারী।
অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কারবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান জ্যাকব সভেনসন বলেছেন, ‘শ্রমবাজারে নারীর ভূমিকা বোঝা সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ক্লডিয়া গোল্ডিনের যুগান্তকারী গবেষণার জন্য ধন্যবাদ, আমরা এখন অন্তর্নিহিত কারণগুলো এবং ভবিষ্যতে কোন বাধাগুলো সমাধান করা প্রয়োজন হতে পারে সে সম্পর্কে আরও অনেক কিছু জানি।’
পুরস্কার কমিটির সদস্য রান্ডি হজালমারসন বলেছেন, গোল্ডিন সমাধানের প্রস্তাব দেয়নি, তবে তার গবেষণা শ্রমবাজারে বিদ্যমান লিঙ্গবৈষম্য সম্পর্কে বুঝতে নীতি নির্ধারকদের সাহায্য করবে।’
হজালমারসন বলেন, ‘তিনি বৈষম্যের উৎস, সময়ের সঙ্গে এটি কীভাবে পরিবর্তিত হয় এবং কীভাবে এটি বিভিন্ন পর্যায়ে বিকশিত ও পরিবর্তিত হয় তা ব্যাখ্যা করেন।’
তিনি বলেন, ‘সুতরাং এটি একটি জটিল নীতিগত প্রশ্ন, কারণ আপনারা যদি অন্তর্নিহিত কারণটি না জানেন, তবে কোনো নির্দিষ্ট নীতি (সমাধান) কাজে আসবে না।’
আরও পড়ুন: শান্তিতে নোবেল পেলেন ইরানের সমাজকর্মী নার্গেস মোহাম্মদি
হজালমারসন আরও বলেন, ‘ফলে সমস্যাটি বোঝার ও সঠিকভাবে ব্যাখা করার মাধ্যমে আমরা আরও ভালোভাবে এগিয়ে যেতে পারব।’
তিনি বলেন, গোল্ডিনের আবিষ্কারগুলোর ‘বিশাল সামাজিক প্রভাব রয়েছে।’
এলেগ্রেন জানান, পুরস্কারপ্রাপ্তির পর গোল্ডিন ‘বিস্মিত ও খুব, খুব আনন্দিত’।
গত সপ্তাহে চিকিৎসা, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, সাহিত্য ও শান্তিতে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।
১৯৬৮ সালে সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থনীতিতে পুরস্কার প্রবর্তন করে। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে আলফ্রেড নোবেলের স্মৃতিতে অর্থনৈতিক বিজ্ঞানে ব্যাংক অব সুইডেন পুরস্কার হিসেবে পরিচিত।
আগামী ডিসেম্বরে অসলো ও স্টকহোমে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেক নোবেল বিজয়ী ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার (প্রায় ১ মিলিয়ন ডলার) নগদ পুরস্কার, ১৮ ক্যারেট স্বর্ণপদক ও সার্টিফিকেট পাবেন।
আরও পড়ুন: সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন নরওয়ের লেখক জন ফসে
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জিতলেন ৩ বিজ্ঞানী