স্থানীয়ভাবে কায়াক নামে পরিচিত এ নৌকার নকশা করেছেন প্রতিষ্ঠান দুটির কর্ণধার ও ফ্রান্সে জম্মগ্রহণকারী বাংলাদেশি নাগরিক ইভস মারে।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মারে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সাড়ে ১৬ ফুট লম্বা ও ৪ ফুট প্রস্থের এ নৌকায় ৬৩০ ওয়াটের পাওয়ার প্যানেল রয়েছে। এছাড়াও ২ দশমিক ২ কিলোওয়াটের ব্যাটারি রয়েছে। যা একবার পূর্ণ চার্জ হলে আড়াই দিন থেকে তিনদিন থাকে, আর পাড়ি দিতে পারে ১১০-১২০ কিলোমিটার পথ।
বায়ু প্রবাহ অনুকুলে থাকলে পাল তোলার ব্যবস্থা থাকা নৌকাটি সাধারণ নৌকার পালের চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি কাজ করে, যোগ করেন তিনি।
নিজের তৈরি এই হাইব্রিড সোলার ভিত্তি 'সানফ্লাওয়ার' কায়াক নৌকায় চড়ে ব্রহ্মপুত্র থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত ৪৫০ কিলোমিটার সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়েছেন ইভিস মারে।
ভ্রমণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মারে বলেন, দারুণ রোমাঞ্চকর ছিল আমাদের জন্য। কোনো ধরনের বাধা-বিপত্তির মুখে পড়তে হয়নি। স্থানীয় লোকজন থেকে শুরু করে প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতা করেছে।
প্রকল্পের প্রধান শেখ মনোয়ার আহমেদ জানান, সানফ্লাওয়ার কায়াক নৌকায় নির্মাণে প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে।
বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এ নৌকা তৈরির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, মে-জুনে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে। ৮ জন, ১৫ জন, ২৫ জন থেকে ৫০ জনের ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এসব নৌকার মূল্য সাধারণ নৌকার মতোই হবে বলেও জানান তিনি।
মহাব্যবস্থাপক রিভু দেওয়ান বলেন, দেশে যে প্রযুক্তি আছে তা দিয়ে এ প্রকল্প পরিচালনা করা হচ্ছে। ডিজেলচালিত নৌকার পরিবর্তে সোলার ভিত্তিক নৌকা তৈরি করবো আমরা। এ শিল্পে আমরা বিপ্লব ঘটাতে চাই।