বাংলাদেশ
বাংলাদেশে ন্যায়বিচার ও মূল্যবোধ নবায়নের আশাবাদ ইইউ রাষ্ট্রদূতের
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি আশা প্রকাশ করে বলেছেন, নিরীহ মানুষের প্রাণহানিসহ সাম্প্রতিক মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞের ফলে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাকালীন মূল্যবোধের নবায়ন ও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনের মেয়াদ শেষে ঢাকা ত্যাগ করার প্রস্তুতিকালে রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হ্যান্ডেলে তার উপলদ্ধি ও আশার কথা তুলে ধরেন। এতে তিনি ন্যায়বিচারের গুরুত্ব এবং বাংলাদেশ যে মূল নীতিগুলোর উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার শক্তিশালীকরণের উপর জোর দেন। বিশেষ করে সাম্প্রতিক দুঃখজনক ঘটনাবলির দিকেও আলোকপাত করেছেন রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে গাড়ি রেখে সিএনজিতে ইইউ রাষ্ট্রদূত
রাষ্ট্রদূতের বার্তাটি ঐক্য ও সহনশীলতার আহ্বান জানিয়েছে। এতে যারা চড়া মূল্য দিয়েছে তাদের সম্মান জানানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে গুরুত্বের সঙ্গে। যা বাংলাদেশের জন্য একটি ন্যায্য ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের হাওর-উপকূলীয় এলাকায় বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হবে: ইইউ রাষ্ট্রদূত
সপ্তাহজুড়ে সংঘর্ষের পর স্বাভাবিক হচ্ছে বাংলাদেশ, নিহত প্রায় ২০০: এপি
সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা বিশৃঙ্খলার পর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি। বুধবার সীমিত পরিসরে ইন্টারনেট সেবা ও অফিস চালু হয়েছে। এক সপ্তাহজুড়ে চলা এ সহিংসতায় প্রায় ২০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এ অবস্থায় দেশের বেশিরভাগ অংশে ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ সাত ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করার পরে হাজার হাজার গাড়ি রাজধানীর রাস্তায় দেখা গেছে।
বুধবার(২৪ জুলাই) ঢাকা ও চট্টগ্রামের কিছু এলাকায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালুর পর কয়েক ঘণ্টার জন্য অফিস ও ব্যাংকের কার্যক্রম চালানো হয়।
আরও পড়ুন: জবিতে বিকাল ৪টার মধ্যে হলত্যাগের নির্দেশ, ছাত্রীদের বিক্ষোভ
পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ঢাকাসহ অন্যান্য এলাকায় কারফিউ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
গত ১৬ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত সহিংসতায় অন্তত ১৯৭ জন নিহত হয়েছেন বলে বুধবার (২৩ জুলাই) শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলোর খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস কোনও সরকারি সূত্র থেকে মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারেনি।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্কুল-কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মীয়দের জন্য সরকারি চাকরির ৩০ শতাংশ সংরক্ষিত কোটা বাতিলের দাবিতে ১৫ জুলাই থেকে সপ্তাহজুড়ে পুলিশ ও ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ চলে।
দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও ডানপন্থী জামায়াতে ইসলামী এই বিক্ষোভে সমর্থন জানানোর পর এই বিশৃঙ্খলা মারাত্মক আকার ধারণ করে। দেশজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকায় অনেক সরকারি স্থাপনায় হামলা করা হয়।
রবিবার সুপ্রিম কোর্ট মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত কোটা ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছেন। এর ফলে সিভিল সার্ভিসের ৯৩ শতাংশ চাকরি মেধাভিত্তিক হবে এবং অবশিষ্ট ২ শতাংশ জাতিগত সংখ্যালঘুদের পাশাপাশি তৃতীয় লিঙ্গ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কার করে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায় কার্যকর করতে মঙ্গলবার পরিপত্র জারি করে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, এই রায় বাস্তবায়নে তারা প্রস্তুত।
তবে রবিবারের রায়ের প্রতিক্রিয়া জানাতে সময় নেয় বিক্ষোভকারীরা। মঙ্গলবার তারা জানায়, সুপ্রিম কোর্টের রায় এবং পরবর্তী সরকারি বিজ্ঞপ্তি বিক্ষোভকারীদের পক্ষে রয়েছে।
তবে বিক্ষোভের সময় রক্তপাত ও মৃত্যুর জন্য সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে।
গত জানুয়ারির নির্বাচনে শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবারের মতো জয়ী হওয়ার পর প্রধান বিরোধী দলগুলো তাদের বর্জন করার পর এই বিক্ষোভ বাংলাদেশ সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধের পাশাপাশি ইন্টারনেট সেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর সরকার জনগণকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়।
বিক্ষোভকারীরা যুক্তি দিয়েছিলেন, কোটা পদ্ধতি বৈষম্যমূলক এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ সমর্থকদের উপকৃত করছে। এর পরিবর্তে তারা যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরির ব্যবস্থা চেয়েছিল।
কোটা সংস্কারের পক্ষে যুক্তি দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করা মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ এবং ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার নারীরা দলমত নির্বিশেষে সর্বোচ্চ সম্মান পাওয়ার যোগ্য।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রায়ই রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতায় ইন্ধন যোগানোর জন্য একে অপরকে দোষারোপ করে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দেশের জাতীয় নির্বাচনের আগে বেশ কয়েকজন বিরোধী দলীয় নেতার উপর দমনপীড়ন চালানো হয়।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কারের দাবিতে ওসমানী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বুধবার(২৪ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করেছে সরকার। এরপর বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত অফিস ও ব্যাংকের কার্যক্রম চালু ছিল। একই সঙ্গে ঢাকার কয়েকটি প্রধান সড়কে যানজট ছিল চোখে পড়ার মতো।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বারবার বলেছেন, বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং ডানপন্থী জামায়াতে ইসলামীর সশস্ত্র ক্যাডাররা বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিল। রাষ্ট্র পরিচালিত বাংলাদেশ টেলিভিশনের সদর দপ্তর, একটি ফ্লাইওভারের দুটি টোল প্লাজা এবং একটি এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকায় মেট্রোরেলের দুটি স্টেশনসহ অনেক সরকারি স্থাপনায় হামলা চালায় তারা। এছাড়া শত শত সরকারি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
প্রধান বিরোধী দলের সদর দপ্তরে অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ঢাকায় বিরোধী দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে লাঠি, লোহার রড এবং দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রধান বিরোধী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বিপুল সংখ্যক প্রাণহানির জন্য সরকারকে দায়ী করেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ছয় দিন পর মঙ্গলবার রাতে ঢাকা ও চট্টগ্রামে আংশিকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়েছে।
প্রধান ডাটা সেন্টারে আগুন ধরিয়ে দেওয়া এবং ফাইবার অপটিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ইন্টারনেট বন্ধ থাকার জন্য তিনি বিক্ষোভকারীদের দায়ী করেন। তাদের দুর্বৃত্ত আখ্যা দেন তিনি।
তিনি বলেন, ধীরে ধীরে সারা দেশে ইন্টারনেট সচল করা হবে। তবে আপাতত করপোরেট ব্যবসা, ব্যাংক, কূটনৈতিক অঞ্চল এবং অন্যান্য কিছু অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা দেওয়া হবে।
কয়েকদিন আগে কারফিউ জারিসহ দেখামাত্র গুলি (শুট অন সাইট অর্ডার) করার বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল। এ সময় সামরিক সদস্যদের রাজধানী ও অন্যান্য অঞ্চলে টহল দিতে দেখা গেছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য সারা দেশে ২৭ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়।
সামরিক বাহিনীর তিন বিভাগের প্রধান, শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা ও রাজনৈতিক অংশীদারদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। তিনি সহিংসতার জন্য বিরোধীদের দোষারোপ করেছেন এবং অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেছেন।
মার্কিন দূতাবাস রবিবারের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল ও অপ্রত্যাশিত বলে বর্ণনা করে বলেছে, দূতাবাসের আশেপাশে বন্দুক, টিয়ার গ্যাস ও অন্যান্য অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। তারা আমেরিকানদের সতর্ক হতে, বড় ভিড় এড়িয়ে চলতে এবং ভ্রমণ পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: কোটা বাতিলের দাবিতে বাকৃবিতে আবারও মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ
বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নিতে চায় জাপান: প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, ‘জাপানের বিভিন্ন খাত, বিশেষ করে কেয়ার গিভিং, কৃষিসহ অন্যান্য খাতে প্রচুর দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন রয়েছে। তাই এসব খাতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নিতে চায় দেশটি।’
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) প্রতিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরিয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ১২ ক্যাটাগরিতে ওমানে শ্রমবাজার উন্মুক্ত হয়েছে: প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রদূত জাপানি ভাষা শিক্ষার ওপর জোর দিয়েছেন। আমরাও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) জাপানি ভাষা ও কারিগরি জ্ঞানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীদের নিয়োগ দিতে আমাদের প্রস্তুতির কথা বলেছি।’
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে যুগোপযোগী ও আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রশিক্ষকদের জাপানি ভাষায় দক্ষ করতে তাদের সহযোগিতা চেয়েছি। আধুনিক যন্ত্রপাতির ও ভালো মানের ভাষা প্রশিক্ষকদের সমন্বয় আমরা আমাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহ শিগগিরই সাজাতে সক্ষম হব।’
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন, বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. খায়রুল আলম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে রেমিটেন্স যোদ্ধাদের আরও আন্তরিক ও স্মার্ট সেবা প্রদান করা হবে: প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ও মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রীর বৈঠক মঙ্গলবার
বাংলাদেশকে ‘সবুজ দেশে’ রূপান্তরে জাপানের সহযোগিতা চান পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ‘বাংলাদেশে সবুজ বিনিয়োগ, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে সবুজ, টেকসই ও সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরের ক্ষেত্রে জাপানের অব্যাহত সহায়তা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
বাংলাদেশের জলবায়ু ঝুঁকিকে সহিষ্ণুতা ও তারপর সমৃদ্ধিতে রূপান্তরিত করার জন্য জাপানকে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা (এমসিপিপি) বাস্তবায়িত করতে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: জলবায়ু ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বৈশ্বিক সহযোগিতার বাড়ানোর আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে জাপানের পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী মটোমে তাকিসাওয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে আগামী এনডিসি ও কার্বন নিঃসরণ কমানোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের মিথেন গ্যাস হ্রাস লক্ষ্য পূরণে জাপানের সহায়তা কামনা করেন পরিবেশমন্ত্রী। এ বিষয়ে গবেষণা, জ্ঞান ভাগাভাগি ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে দেশটির সহায়তা কামনা করেন তিনি।
তিনি প্রস্তাব করেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের অধীনে সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে জয়েন্ট ক্রেডিটিং মেকানিজমের (জেসিএম) মাধ্যমে জাপান-বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো যেতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী তাকিসাওয়া এশিয়া প্যাসিফিক ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডাপ্টেশন ইনফরমেশন প্ল্যাটফর্মের (এপি-প্ল্যাট) মাধ্যমে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নতুন প্রযুক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হতে পারে।
উভয় পক্ষই আসন্ন বহুপাক্ষিক আলোচনা, যেমন: জীববৈচিত্র্য-সংক্রান্ত জাতিসংঘ কনভেনশন (ইউএনসিবিডি), ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অব ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসিসি), জাতিসংঘের কনভেনশন অন কমব্যাটিং ডেজার্টিফেশনের (ইউএনসিসিডি) পাশাপাশি সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনা করেন। এসময় প্লাস্টিক চুক্তি ও অভিন্ন উদ্বেগের বিষয়ে দুই দেশের অবস্থানের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়।
মন্ত্রীরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থাসহ বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন এবং নীতিগতভাবে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ককে আরও গভীর করতে সহযোগিতার একটি সমঝোতা স্মারক সই করে এগিয়ে যেতে সম্মত হন।
পরে মন্ত্রী স্টপ ইকোসাইড ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জোজো মেহতার সঙ্গে একটি বৈঠক করেন ও বড় ধরনের পরিবেশগত অপরাধ মোকাবিলায় ইতিবাচক অগ্রগতি এবং এ বিষয়ে জাতীয় আইনগুলো উন্নত করার সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর প্রয়োজনে জাতিসংঘকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক পরিবেশ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করবে: পরিবেশমন্ত্রী
বাংলাদেশের হাওর-উপকূলীয় এলাকায় বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হবে: ইইউ রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশের হাওর ও উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
তিনি বলেন, গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক, অবকাঠামোগত ও মানবিক বিভিন্ন খাতে উন্নয়ন হলেও হাওর ও উপকূলীয় এলাকার মতো দেশের অনগ্রসর অঞ্চলগুলোতে অতিদারিদ্র্যের হার এখনও বেশি। তাই এসব স্থানে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হবে।
রবিবার (১৪ জুলাই) পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত ‘ন্যাশনাল ওয়ার্কশপ অন পিপিইপিপি-ইইউ প্রজেক্ট’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সঙ্গে ভারতের হাইকমিশনার ও ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পিকেএসএফের বাস্তবায়নে ‘পাথওয়েজ টু প্রসপারিটি ফর এক্সট্রিমলি পুওর পিপল– ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (পিপিইপিপি-ইইউ)’ প্রকল্পের আওতায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিকেএসএফ ভবনে কর্মশালাটি আয়োজন করা হয়।
হোয়াইটলি আরও বলেন, গত বছর ইইউ ও বাংলাদেশ পারস্পরিক সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করেছে। পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্পটি এ সম্পর্কেরই একটি প্রতিফলন।
কর্মশালায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, ‘গত দেড় দশকে বাংলাদেশে দারিদ্র্য ও অতিদারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে এবং এর পেছনে সরকারের বিভিন্ন গণমুখী, সময়োপযোগী পদক্ষেপের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর সহায়তা কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে।’
মুখ্যসচিব আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো অতিদারিদ্র্য নিরসন এবং এ লক্ষ্যপূরণে দীর্ঘমেয়াদি, টেকসই কার্যক্রম নেওয়ার বিকল্প নেই।
পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নমিতা হালদার।
পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্পকে একটি অভিনব প্রকল্প হিসেবে আখ্যায়িত করে ড. নমিতা হালদার বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ও লবণাক্ততার প্রকোপ মোকাবিলার মতো কঠিন বিষয়গুলো সমাধানে কাজ করা সম্ভব যা একই সঙ্গে সময়সাপেক্ষ ও চ্যালেঞ্জিং।
পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন বলেন, দারিদ্র্য দূরীকরণে পিকেএসএফের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্পের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের অগ্রগতি আশানুরূপ তবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে প্রকল্পের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে।
কর্মশালায় প্রকল্প থেকে পাওয়া সহায়তার সুফল নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা সদস্যরা নিজেদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।
এছাড়া, ২০২২ সাল থেকে বাস্তবায়নাধীন পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্পের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একটি প্যানেল আলোচনা হয় এবং প্রকল্পবিষয়ক একটি সংক্ষিপ্ত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে গাড়ি রেখে সিএনজিতে ইইউ রাষ্ট্রদূত
'ট্যালেন্ট পার্টনারশিপ উইথ বাংলাদেশ'র অভিবাসন সুবিধা তুলে ধরলেন ইইউ রাষ্ট্রদূত
অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্স ক্রিকেট দল
অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের হাই পারফরম্যান্স ইউনিট। গত ১৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেট দল অস্ট্রেলিয়া সফর করছে।
শনিবার (১৩ জুলাই) অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছে দলটি।
দলের সঙ্গে আছেন জাতীয় দলের নির্বাচক হান্নান সরকার। তিনি এই সফর তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী হবে বলে আত্মবিশ্বাসের কথা তুলে ধরেন। মূল্যবান অভিজ্ঞতা অর্জন করবে বলেও উল্লেখ করেন হান্নান।
এই সফরে বাংলাদেশ এইচপি চার দিনের দুটি ম্যাচে পাকিস্তান শাহিনসের মুখোমুখি হবে এবং ওয়ানডেতে পাকিস্তান শাহিনস এবং নর্দার্ন টেরিটরি দলের বিপক্ষে খেলবে।
প্রথম চার দিনের ম্যাচ শুরু হবে ১৯ জুলাই। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচ হবে ২৬ জুলাই। ওয়ানডে হবে ১ ও ৬ আগস্ট। আগামী ১১, ১২, ১৪, ১৫, ১৬ ও ১৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
মোট ২৫ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে এই সফরের জন্য আলাদা স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বিসিবি। এই খেলোয়াড়দের মধ্যে কয়েকজন ইতোমধ্যে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের আম্পায়ার হওয়ার ইচ্ছা সাথিরা জাকিরের
অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য এইচপি স্কোয়াড:
তিন দলেই আছেন পারভেজ হোসেন ইমন, আরিফুল ইসলাম, রাকিবুল হাসান, মুকিদুল ইসলাম, রিপন মন্ডল ও মারুফ মৃধা।
চার দিনের ও ওয়ানডে ক্রিকেট খেলোয়াড়: এসকে পেভেজ রহমান জীবন।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলোয়াড়: তানজিদ হাসান, জিসান আলম, আফিফ হোসেন (ওয়ানডে অধিনায়ক), শামীম হোসেন, আকবর আলী (টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক, ওয়ানডে দলের সহঅধিনায়ক), ওয়াসি সিদ্দিক, আবু হায়দার রনি ও মাহফুসুর রহমান রাব্বি (টি-টোয়েন্টি দলের সহঅধিনায়ক)।
শুধু চার দিনের ক্রিকেট খেলোয়াড়: সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয় (অধিনায়ক), অমিত হাসান, শাহাদাত হোসেন দিপু (সহঅধিনায়ক), মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, আইচ মোল্লা, রেজাউর রহমান রাজা ও হাসান মুরাদ।
শুধু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলোয়াড়: আলিস ইসলাম
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে বিসিসিআইয়ের বাড়তি বোনাস ফিরিয়ে দিয়ে প্রশংসিত রাহুল দ্রাবিড়
আওয়ামী লীগ সরকার সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ডুবাচ্ছে: আমীর খসরু
ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ভারী বর্ষণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার জন্য সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগের দুঃশাসন ও রাজনীতির কারণে বাংলাদেশ সব দিক থেকে ডুবে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘দেশ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে ডুবে গেছে। এখন দেখবেন ঢাকা শহর পানিতে ডুবে যাচ্ছে। আসলে এই ফ্যাসিবাদী সরকারের কারণেই বাংলাদেশ চতুর্দিকে ডুবছে।’
শুক্রবার (১২ জুলাই) এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ঢাকা শহরে জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে কারণ এই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের পর্যায়ে সক্ষম ও মেধাবীদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয় না।
তিনি বলেন, ‘প্রশাসন যদি দলীয় লোকদের দ্বারা পরিচালিত হয়, তাহলে ঢাকা শহর ডুবে যাবে, পুরো বাংলাদেশ ডুবে যাবে।’
কয়েকটি বিরোধী দলের প্লাটফর্ম ‘গণতন্ত্র মঞ্চের’ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
উচ্চ আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু।
তিনি বলেন, ‘কোটা পদ্ধতি নিয়ে আমার অবস্থান পরিষ্কার। এই শাসকগোষ্ঠী বাংলাদেশের মেধাবীদের খাটো করতে চায়। আওয়ামী লীগ এভাবে শাসন করতে থাকলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে মেধাবীদের কোনো সুযোগ থাকবে না, বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ারও কোনো সুযোগ থাকবে না।’
আরও পড়ুন: সরকারের দুঃশাসন দেশকে ধ্বংস করছে: ফখরুল
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে মেধাবী জাতি হিসেবে দেখে বলে মনে হয় না। ‘একটি ফ্যাসিবাদী সরকার একটি বুদ্ধিমান দেশে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না। বুদ্ধিমান লোকেরা সত্য কথা বলে, সত্যের পথে চলে, আওয়াজ তোলে এবং প্রতিরোধ করে।’
খসরু কোটা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও তাদের ভোটাধিকারের দাবিতে একই দৃঢ় সংকল্প নিয়ে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, বাংলাদেশের নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কোটা আন্দোলন ইতোমধ্যে মানুষের হৃদয় ছুঁয়েছে। ছাত্র ও যুবসমাজ এখন সমগ্র জনগোষ্ঠীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করছে।’
তিনি আরও বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল বা পুনর্বহাল শুধু আইনি বিষয় নয়, এটি রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বিষয়।
সরকার যেন দ্রুত নীতিনির্ধারণী ভিত্তিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের জন্য একটি কমিশন গঠন করে আমাদের কর্মসংস্থান কীভাবে হবে সে বিষয়ে একটি কার্যকর ও বিশ্বাসযোগ্য উদ্যোগ গ্রহণ করার দাবিও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরের মতোই চীন থেকে খালি হাতে ফিরে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের হতাশ করেছেন বলেও মন্তব্য করেন সাইফুল হক।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশ ও নাগরিকদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দেশের সম্পদ লুটপাট ও জনগণকে দমন অব্যাহত রেখেছে।
তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বিরোধী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
সাকি বলেন, ‘এই ফ্যাসিবাদী সরকার কোনও কথাই শুনছে না। জনগণ আশা করে, বিরোধী দলগুলো আবারও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে এবং এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করবে।’
আরও পড়ুন: চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদলের সমর্থন
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক মেশিনারি মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
৩৫তম মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক মেশিনারি মেলায় প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ।
ই এস ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের আয়োজনে মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে ১১ থেকে ১৩ জুলাই তিন দিনব্যাপী এই মেলায় বাংলাদেশসহ ১০টি দেশের ৭৮০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে এই মেলায় অংশ নেয় বাংলাদেশের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান।
এছাড়া মেলায় অংশ নেওয়া অন্য দেশগুলো হলো- চীন, জার্মানি, কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান, ইরান, জাপান, ভারত, হংকং ও সিংগাপুর।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) মেলার উদ্বোধন করেন মালয়েশিয়া এক্সটারনাল ট্রেড ডেভলপমেন্ট করপোরেশনের উপপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বকর ইউসুফ।
এসময় আরও ছিলেন সংসদ সদস্য (চেরাস) ও প্রধানমন্ত্রীর চীনবিষয়ক সাবেক দূত ওয়াইবি তান কোক ওয়েই এবং ই এস ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও মালয়েশিয়া-চায়না ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড লিংক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট দাতো চং চং তিক।
মেলার দ্বিতীয় দিন শুক্রবার মেলা ও বাংলাদেশের স্টল পরিদর্শন করেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান।
এ সময় বাংলাদেশ হাইকমিশনের স্টলে আগত ব্যবসায়ী ও দর্শনার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
এছাড়াও বাংলাদেশে সম্ভাবনাময় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে আলোচনা করেন।
হাইকমিশনার উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষাপটে প্রথমবারের মতো এ
ধরণের গুরুত্বপূর্ণ মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নতুন পণ্যের বাজার সৃষ্টির সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করা যায়।
রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণের অংশ হিসেবে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য বেশি করে রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুসৃত ‘অর্থনৈতিক কূটনীতি’ অনুসরনের ধারাবাহিকতায় কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ হাইকমিশন এর স্টলে প্লাস্টিক পণ্য, তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, পাটপণ্য, খাদ্যপণ্য এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকাশনা প্রদর্শিত হচ্ছে। এছাড়াও, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প, প্যাকেজিং শিল্প, বাংলাদেশে ব্যবসা-বিনিয়োগ সংক্রান্ত নানা ধরনের প্রকাশনা, পর্যটন ও বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা বিষয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ঢাকাস্থ এলিয়েন্ট লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় আমান প্লাস্টিক , এক্সক্লুসিভ ক্যান লিমিটেড , কিউ পেইল, এসিআই প্রিমিও প্লাস্টিক, প্রিমিয়াফ্লেক্স প্লাস্টিক লিমিটেড, আরএফএল কোম্পানির প্লাস্টিকপণ্য, নওগাঁ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, মাফিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, রাজা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ, ফেয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, মেশিন ঘর ওয়ার্কস, বায়োনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, সুইস বায়োহাইজেনিক ইকুইপমেন্টসের তথ্যবহুল প্রকাশনা, ড্যানিশ, তীর , প্রাণ কোম্পানির খাদ্যসামগ্রী এবং কেএডব্লিউ এপারেলস, জাবের অ্যান্ড জুবায়ের ফেব্রিক্স লিমিটেড, স্কয়ার টেক্সটাইল, এনজেড টেক্স গ্রুপ, আরবিডি ফাইবারস লিমিটেডের তৈরি পোশাক সামগ্রীর সংশ্লিষ্ট শিল্পসমূহ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য বাংলাদেশ হাইকমিশনের স্টলে আগত দর্শনার্থীদের মাঝে তুলে ধরা হচ্ছে।
মেলা উদ্বোধনের দিন থেকেই বাংলাদেশি স্টলে বিদেরি ব্যবসায়ীসহ দর্শনার্থীরা ভিড় করছে। বাংলাদেশি পণ্য বিশেষত প্লাস্টিক পণ্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প, তৈরি পোশাক ও পাটজাত পণ্য সম্পর্কে আগ্রহ বেশি দর্শনার্থীদের।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়া, মালয়েশিয়া বাংলাদেশে বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ।
এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য বাংলাদেশ কোনদিকে যায় তা গুরুত্বপূর্ণ: ফরাসি রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই বলেছেন, বাংলাদেশ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। বিশ্বের এ অংশের স্থিতিশীলতার জন্য বাংলাদেশ কোন দিকে যায় তা গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণেই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে ফ্রান্স আগ্রহী।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় ফ্রান্স দূতাবাসে ফান্সের জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন,“অনেক বিশেষজ্ঞ ও সাংবাদিক মনে করেন সম্পূর্ণরূপে বাণিজ্যিক কারণে ফ্রান্সের এ সম্পর্ক উন্নয়নের আগ্রহ। তারা তথাকথিত 'এয়ারবাস চুক্তি' ও অন্যান্য বাণিজ্যিক বিষয় উল্লেখ করতে চান। অবশ্যই, তারা ভুল - এবং আমাদের প্রতিযোগীদের মাধ্যমে তারা পক্ষপাতদুষ্ট (হাসি)।”
রাষ্ট্রদূত বলেন, গত কয়েক মাস তাকে অনেকবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছে কেন ফ্রান্স বাংলাদেশের মতো একটি দেশের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চায়; যেখানে এই অঞ্চলে ফ্রান্সের এরই মধ্যে শক্তিশালী কৌশলগত অংশীদার রয়েছে।
আরও পড়ুন: কসমস অ্যাতেলিয়ার ৭১ পরিদর্শন করলেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক অনুষ্ঠানে দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক মেলবন্ধন ও সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কৌশলগত ক্ষমতা অর্জনে সমর্থনের আগ্রহ আছে আমাদের। গত জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতে প্রেসিডেন্ট মাখোঁর লেখা চিঠিতেও তা স্মরণ করিয়ে দেন।’
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘কিন্তু এটা সত্য যে, আমাদের বর্তমান পৃথিবী অবাঞ্ছিত উন্নয়নের নাট্যমঞ্চে পরিণত হয়েছে। এক সময় এটি খুব হতাশাজনক হতে পারে। সংঘাতপূর্ণ এলাকার সংখ্যাবৃদ্ধি, জনপ্রিয়তা ও উদারনীতিবাদের উত্থান, এসবই গুজবের সঙ্গে হাত ধরাধরি করে চলে।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে তরুণরা দৃঢ়ভাবে কাজ করছে: রাষ্ট্রদূত মাসদুপুই
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে: শিল্পমন্ত্রী
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যকার সম্পর্ক হাজার বছরেরও বেশি পুরোনো। চলতি বছরের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থাইল্যান্ড সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
বুধবার (১০ জুলাই) রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের গ্র্যান্ড বলরুমে ঢাকায় রয়্যাল থাই দূতাবাস এবং থাই ট্রেড সেন্টারের যৌথ আয়োজনে চার দিনব্যাপী (১০-১৩ জুলাই) "টপ থাই ব্র্যান্ড" ট্রেড ফেয়ার ২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জিআই স্বীকৃতির সঙ্গে গুণগত মানের দিকেও নজর দিতে হবে: শিল্পমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও জানান, সফরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ জোরদার করার ওপর জোর দেন উভয় দেশের নেতারা। এছাড়াও মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) লক্ষ্যে শিগগিরই আলোচনা শুরু করার জন্য লেটার অব ইনটেন্ট সই করেন। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে উৎসাহ দেবে।
মন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া (আসিয়ান) অঞ্চলে বাংলাদেশের জন্য বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে থাইল্যান্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বছরের পর বছর ধরে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ক্রমাগত বাড়ছে। বর্তমানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা আরও বাড়ানোর বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে সহযোগিতা বাড়াতে পারি; অবকাঠামো এবং কানেক্টিভিটি উন্নত করতে কাজ করতে পারি; বিশেষ করে থাইল্যান্ডের রানং বন্দর এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি শিপিং রুট স্থাপন করা যেতে পারে।
পারস্পরিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব বাড়ানোর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড বৃহত্তর সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন অর্জনে একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত বলে জানান মন্ত্রী।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য এখানে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ বিদ্যমান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শিল্পোন্নয়নে বিটাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে: শিল্পমন্ত্রী
বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করার কথা উল্লেখ করে সেখানে থাই বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান শিল্পমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডে তৈরি পোশাক (আরএমজি), ওষুধ, হিমায়িত খাদ্য, ক্যাবল, চাল, কৃষিপণ্য, হস্তশিল্প, পাট, আলু ও সিরামিক ইত্যাদি পণ্যের রপ্তানি সম্প্রসারণ করতে চায়।
একইসঙ্গে বাংলাদেশ থাইল্যান্ড থেকে খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণ, ক্যানিং, প্যাকেজিং, আইটি, পর্যটন, চিকিৎসা পর্যটন এবং চিকিৎসা কর্মীদের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও দক্ষতা আমদানি করতে চায় বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত থাই রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন থাই দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন ও মিনিস্টার কাউন্সেলর ফ্যানম থংপ্রায়াম ও মিনিস্টার কাউন্সেলর (কমার্শিয়াল) খেমাথাত আর্চাওয়াথামরং।
উল্লেখ্য, আকর্ষণীয় থাই পণ্যের এই মেলায় ৬৪টি থাই প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশে থাই পণ্যের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নিয়েছে। মেলায় খাদ্যপণ্য, জুয়েলারি, স্বাস্থ্যসেবা, প্রসাধনী, বেডিং, স্পা, ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতি, টেক্সটাইল, অন্তর্বাস, স্টেশনারি, গৃহস্থালি পণ্যসহ নানা ধরনের বিশ্বমানের থাই পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে।
প্রতিদিন সকাল ১০টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত এ মেলা চলবে।
আরও পড়ুন: বিএসটিআইকে আন্তর্জাতিক মানের করতে সরকার কাজ করছে: শিল্পমন্ত্রী