বাংলাদেশ
ভূমিকম্পের উচ্চঝুঁকিতে বাংলাদেশ, নির্দেশনা জারি
বাংলাদেশ শক্তিশালী ভূমিকম্পের উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। সম্ভাব্য ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমাতে সতর্কতামূলক প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
শনিবার (২৯ মার্চ) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়েছে।
গতকাল (শুক্রবার) মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার পর এই সতর্কতা জারি করে প্রতিষ্ঠানটি। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মিয়ানমারে সাত দশমিক সাত মাত্রার একটি ভূমিকম্প ও পরে কয়েকটি আফটারশক (পরাঘাত) হয়েছে, যার একটির মাত্রা ছিল ছয় দশমিক চার।
একই মাত্রার ভূমিকম্প বাংলাদেশেও হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষত চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও ঢাকা অঞ্চল উচ্চঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য সব পর্যায়ে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ ও সচেতনতা তৈরির আহ্বান জানিয়ে বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে অধিদপ্তরটি।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারে দেড় শতাধিক নিহত
নির্দেশনাতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০২০ অনুযায়ী ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন নির্মাণ, ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরোনো ভবনগুলোর সংস্কার ও শক্তিশালী করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, সব বহুতল ও বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নি-প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করা, ইউটিলিটি সার্ভিস, যেমন: গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের লাইন ঠিকঠাক আছে কিনা তা নিশ্চিত করা, ভূমিকম্প চলাকালীন সময়ে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি পর্যায়ে বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে নিয়মিত মহড়া অনুশীলন ও প্রচারের ব্যবস্থা করা, জরুরি টেলিফোন নম্বর যেমন ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ, হাসাপাতাল ও অন্যান্য জরুরি নম্বর ব্যক্তিগত পর্যায়ের পাশাপাশি সকল ভবন বা স্থাপনায় সংরক্ষণ করা এবং তা দৃশ্যমান স্থানে লিখে রাখা, ভলান্টিয়ার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দুর্যোগকালীন কার্যকর ভূমিকা রাখার পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্প নতুন বিপর্যয় নিয়ে এসেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ মিয়ানমারে
পাশাপাশি জরুরি প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য সরঞ্জামাদি, যেমন: টর্চলাইট, রেডিও (অতিরিক্ত ব্যাটারিসহ), বাঁশি, হাতুরি, হেলমেট/কুশন, শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রী, ফার্স্ট এইড বক্স, শিশু যত্নের সামগ্রী ইত্যাদি বাসা-বাড়িতে নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ভূমিকম্প মোকাবিলায় সবাইকে সহায়তা করতে আহ্বান জানায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। যেকোনো প্রয়োজনে অধিদপ্তরের মিডিয়া সেলে (০১৭২২৮৫৬৮৬৭) যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
২১০ কোটি ডলার বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি বেইজিংয়ের
চীন সফরকালে দেশটির সরকার ও চীনা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে বাংলাদেশের জন্য ২১০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ও বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা চীনের বেসরকারি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের উৎপাদন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানানোর পর দেশটির প্রায় ৩০টি কোম্পানি (বাংলাদেশের) বিশেষ চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে।
এছাড়া মোংলা বন্দর আধুনিকীকরণ প্রকল্পে আরও প্রায় ৪০ কোটি ডলার, চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নে ৩৫ কোটি ডলার এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা হিসেবে আরও ১৫ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। বাকি অর্থ অনুদান ও অন্যান্য ঋণ সহায়তা হিসেবে আসবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-বেইজিংয়ের মধ্যে ১ চুক্তি, ৮ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
প্রধান উপদেষ্টার চার দিনের চীন সফরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক সফর।’
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, এই সফর বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ বৃদ্ধির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠককালে চীনের প্রেসিডেন্টকে চীনা বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য ‘সবুজ সংকেত’ দেওয়ার অনুরোধ জানান ড. ইউনূস।
শি চীনা কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে তাদের উৎপাদন কারখানা স্থানান্তরে উৎসাহিত করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন আশিক চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘এই সফর অনেক চীনা কোম্পানিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে রাজি করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি কেবল সময়ের ব্যাপার।’
আরও পড়ুন: সুদহার কমাতে ইতিবাচক সাড়া চীনা প্রেসিডেন্টের, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতার আশ্বাস
আজ (শুক্রবার) বেইজিংয়ে ড. ইউনূস ও আশিক চৌধুরী বিশ্বের কয়েকটি বৃহত্তমসহ শতাধিক চীনা কোম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন, যেখানে বাংলাদেশে উৎপাদন খাতে বিশেষ করে উন্নত টেক্সটাইল, ওষুধশিল্প, হালকা প্রকৌশল ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
তিনটি ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশনে তারা বক্তব্য রাখেন। এ ব্যাপারে আশিক চৌধুরী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা অত্যন্ত ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি।’
১ দিন আগে
ঢাকা-বেইজিংয়ের মধ্যে ১ চুক্তি, ৮ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে একটি চুক্তি ও আটটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার চার দিনের চীন সফরের তৃতীয় দিন শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তি ও স্মারকগুলো স্বাক্ষরিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে রয়েছে দুই দেশের কালজয়ী সাহিত্য ও শিল্পকর্মের অনুবাদ ও সৃজন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও খবর আদান-প্রদান, গণমাধ্যম, ক্রীড়া এবং স্বাস্থ্য খাতে বিনিময় সহযোগিতা।
এর পাশাপাশি, প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে দুই দেশের মধ্যে পাঁচটি বিষয়ে সহযোগিতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়েছে।
এগুলো হলো— বিনিয়োগ আলোচনা শুরু করা, চীনের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু, মোংলা বন্দরের আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণ, একটি রোবট ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণ এবং একটি কার্ডিয়াক সার্জারি গাড়ি অনুদান।
১ দিন আগে
বাংলাদেশের কিছু অংশে ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
কয়েক মিনিট স্থায়ী ভূমিকম্পটি শুক্রাবার(২৮ মার্চ) বেলা ১২টা ২০ মিনিটে অনুভূত হয়।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) অনুসারে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের সাগাইংয়ের ১৬ কিমি উত্তর-পশ্চিমে।
তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
১ দিন আগে
ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার
দেশের খাদ্য মজুত বাড়াতে ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন সিদ্ধ চাল (বাসমতি নয়) আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ২ কোটি ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২৫৯ কোটি ১০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ টন সিদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তা পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেয়।
ভারতের মেসার্স ভগদিয় ব্রদার্স প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এই চাল আনা হবে। প্রতি টন চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২৪.৭৭ ডলার। সে হিসেবে ৫০ হাজার টন চালের দাম পড়বে ২ কোটি ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ ডলার।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে এলো আরও সাড়ে ১১ হাজার টন চাল
এর আগে, গত ১৪ মার্চ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের মেসার্স এস পাত্তাভি অ্যাগ্রো ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ৫০ হাজার টন সিদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। সে সময় প্রতি টন চালের দাম ধরা হয় ৪২৯.৫৫ ডলার। সে হিসেবে ৫০ হাজার টন চালের দাম ধরা হয় ২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ ডলার।
তার আগে ২০ ফেব্রুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টন সিদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তা পর্যালোনচা করে অনুমোদন দেয়। ভারতের এমএস বগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট থেকে এই চাল আমদানি করার অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে মোট ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ১৭ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ ডলার।
তারও আগে ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম ও সিঙ্গাপুর থেকে চাল আমদানি অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এর মধ্যে ভারত থেকে দুই দফায় ৫০ হাজার টন করে এক লাখ টন, পাকিস্তান ও সিঙ্গাপুর থেকে ৫০ হাজার টন করে এবং ভিয়েতনাম থেকে ১ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়।
জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে চালের মোট চাহিদা ৩৯ দশমিক ৭৮ লাখ টন। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯ লাখ টন।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান থেকে আমদানির ৩৭২৫০ টন চাল দেশে এসেছে
২ দিন আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত: ড. ইউনূসকে মোদি
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে পাঠানো বার্তায় শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য দুই দেশের অংশীদারত্বকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঠানো এক বার্তায় মোদি বলেন, শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য আমাদের (দুদেশের) যে আকাঙ্ক্ষা, তার দ্বারা পরিচালিত হয়ে এবং একে অপরের স্বার্থ ও উদ্বেগের প্রতি পারস্পরিক সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে আমরা এই অংশীদারত্বকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে ড. ইউনূস ও এদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এই দিনটি আমাদের অভিন্ন ইতিহাস ও ত্যাগের সাক্ষ্য হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে, যা আমাদের দ্বিপাক্ষিক অংশীদারত্বের ভিত্তি স্থাপন করেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দুদেশের সম্পর্কের পথপ্রদর্শক হিসেবে অব্যাহত থাকবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এটি বিকশিত হয়েছে এবং দুদেশের জনগণের জন্য সত্যিকারের কল্যাণ বয়ে এনেছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন
দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে পাঠানো বার্তায় বলেন, ‘ভারতের সরকার, জনগণ এবং আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জাতীয় দিবস উপলক্ষে আপনাকে এবং বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম জনগণকে উষ্ণ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে বহুমুখী উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাণিজ্য, বহুমুখী যোগাযোগ, উন্নয়ন অংশীদারত্ব, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, শিক্ষা, সক্ষমতা বৃদ্ধি, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুদেশের পারস্পরিক সহযোগিতা রয়েছে।
ভারতের রাষ্ট্রপতি বলেন, ভারতের ‘প্রতিবেশী আগে’ ও ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া রয়েছে আমাদের সাগর মতবাদ ও ইন্দো-প্যাসিফিক ভিশন।
গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
৩ দিন আগে
সুযোগ নষ্ট করে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ড্র
ম্যাচ শুরুর বাঁশি পড়তেই এলো সুযোগ, তা নষ্ট করার পরও আরও বেশ কয়েকবার গোল করে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ কড়া নাড়ল, তবে সবই নষ্ট করে ভারতের বিপক্ষে জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করল বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে বাংলাদেশ।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ফুটবল উপহার দিতে থাকে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। এর পরিপ্রেক্ষিতে কিক অফের পরই আসে সুযোগ।
হামজা চৌধুরীর উদ্দেশে কিক অফের শট নেন শাহরিয়ার ইমন। বল রিসিভ করেই মজিবুর রহমান জনির উদ্দেশে ডান দিকে লং পাস বাড়ান তিনি। এ সময় জনি প্রস্তুত না থাকলেও ক্লিয়ার করতে গিয়ে তার পায়েই বল দিয়ে বসেন ভারতীয় গোলকিপার বিশাল কাইথ। এরপর ফাঁকা পোস্ট পেয়েও তাড়াহুড়ায় জালের বাইরে বল মারেন বাংলাদেশ ফরোয়ার্ড।
এরপর দশম মিনিটে শাকিল আহাদ তপুর ক্রসে ইমনের হেডার পোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর ভারতীয় গোলরক্ষকের গোলকিক শাকিল আহাদ তপুর পিঠে লেগে চলে যায় বক্সের ভেতরে থাকা হৃদয়ের পায়ে। তবে তাকে কোনোমতে কর্নারের বিনিময়ে গোল করা থেকে বঞ্চিত করেন শুভাশিষ বোস।
অষ্টাদশ মিনিটে ফের সুযোগ আসে ডেডলক ভাঙার। তবে শেখ মোরসালিনের পাঠানো ক্রসে ঠিকঠাক মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হয়ে সেটি নষ্ট করেন ইমন।
৩১তম মিনিটে অবশ্য দুর্দান্ত এক আক্রমণ শাণায় ভারত, তবে ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষক মিতুলের কল্যাণে যে যাত্রায় জাল অক্ষত থাকে বাংলাদেশের।
দশ মিনিট পর গোল করার আরও একটি সুবর্ণ সুযোগ পায় বাংলাদেশ। মাঝমাঠ থেকে উড়ে আসা বলে হেড পাস দিয়ে তা জনির কাছে পাঠান ইমন। বল ধরে প্রতিপক্ষের বক্সেও ঢুকে পড়েন তিনি। সে সময় তার সামনে শুধুই ভারতীয় গোলরক্ষক। অথচ, বোকার মতো সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে শেষ পর্যন্ত গোলরক্ষককে বল দিয়ে দেন তিনি।
প্রথমার্ধে কিছুটা নিষ্প্রভ ভারত দ্বিতীয়ার্ধে ছন্দে ফেরে। ২০তম মিনিটের দিকে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়া অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার তপু বর্মনের অনুপস্থিতিও টের পায় তার সতীর্থরা।
এ সময় থেকে বাংলাদেশের রক্ষণে ত্রাস ছড়াতে থাকেন ভারতীয় ফুটবলাররা। মাঝেমধ্যে অবশ্য বাংলাদেশও আক্রমণে উঠে গোল করার চেষ্টা অব্যাহত রাখে।
শেষ মুহূর্তে গোল করার ভালো একটি সম্ভাবনাও জাগান ফাহিম। তবে বিশাল কাইথের নৈপুণ্যে হতাশ হতে হয়ে কাবরেরার শিষ্যদের।
ফলে স্কোরলাইনে কোনো পরিবর্তন আনতে না পেরেই মাঠ ছাড়তে হয় দুদলকে।
৩ দিন আগে
স্টারলিংক বাংলাদেশের ডিজিটাল জগতে বিপ্লব আনবে: প্রধান উপদেষ্টা
স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ও মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্টারলিংকের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যের উচ্চগতির ইন্টারনেট বাংলাদেশের ডিজিটাল জগতে বিপ্লব আনবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, ইলন মাস্কের সঙ্গে আলাপ করে বাংলাদেশে স্টারলিংকের কার্যক্রম শুরু করার আহ্বান জানিয়েছি। সে অনুসারে, তাদের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করার আয়োজন করেছেন। তিন মাসের মধ্যেই তাদের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি চূড়ান্ত করার কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্টারলিংকের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে উচ্চগতির ইন্টারনেট বাংলাদেশের ডিজিটাল জগতে একটি বিপ্লব আনবে। স্টারলিংক চালু হলে বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম, দীপাঞ্চল, দুর্গম ও পাহাড়ি অঞ্চল অতি উচ্চগতির ইন্টারনেটের আওতায় চলে আসবে।
‘স্টারলিংক চালু হলে ভবিষ্যতে কোনো সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করে মানুষকে তথ্য থেকে বঞ্চিত করতে পারবে না। বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে বিশ্বমানের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, অর্থনীতির ক্ষেত্রে সব নাগরিকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যাবে।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্ম দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ পাবেন।
‘সরকার যুব উদ্যোক্তা নীতি ২০২৫ প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এর লক্ষ্য হবে, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত অগ্রগতির মূলচালক হিসেবে তরুণ-তরুণীদের ক্ষমতায়ন করা। এই নীতি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের উপায় হিসেবে সফল উদ্যোক্তা তৈরিতে সহায়ক হবে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তরুণ উদ্যোক্তাদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে,’ বলেন তিনি।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেস কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ সফর করেছেন। তাকে সঙ্গে করে আমি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরগুলো পরিদর্শন করেছি। ক্যাম্পে অবস্থানরত এক লাখ নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরের সঙ্গে ইফতার করেছি। আমাদের প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়ে, আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি পৃথক অধিবেশনের প্রস্তুত নেওয়া হয়েছে। মালয়েশিয়া ও ফিনল্যান্ড যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজক হতে এগিয়ে এসেছে।
‘গত ষোলো বছরে শেখ হাসিনা যে ভয়াবহ লুটপাট কায়েম করেছিল, আপনারা সেটার ভুক্তভোগী ছিলেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখেও তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় এক লণ্ডভণ্ড অর্থনীতি রেখে গেছে। এই পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে অন্তর্বর্তী সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা
ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ক্রমান্বয়ে অর্থনীতির অন্য সুযোগগুলো ইতিবাচক ধারায় ফিরতে শুরু করেছে। এই সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি। ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৩২ শতাংশে নেমে এসেছে। যা ২২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। আগামী জুনের মধ্যে এটি আট শতাংশের নিচে নেমে আসবে বলে আশা করছি।
‘দেশের ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতিতে স্বস্তি নিয়ে এসেছে আমাদের প্রবাসী ভাই-বোনেরা। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে। ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স প্রবাহ রেকর্ড গড়েছে। প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়ে আড়াই বিলিয়ন ডলার হয়েছে,’ বলেন তিনি।
৪ দিন আগে
সংকুচিত হয়েই চলেছে দেশের শ্রমবাজার, রপ্তানি কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ
গত এক বছরে বৈশ্বিক শ্রমবাজারে বাংলাদেশের জনবল রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ৩০ শতাংশ কমেছে। এর পাশাপাশি গত কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের শ্রমবাজার ক্রমেই সংকুচিত হয়ে চলেছে।
বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ১০ লাখ ১১ হাজার ৮৬৯ জন কর্মী বিদেশে গিয়েছেন। এর মধ্যে ৯৫ শতাংশ কর্মী গিয়েছেন মাত্র পাঁচটি দেশে— সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, কাতার, সিঙ্গাপুর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে এই সংখ্যা ২০২৩ সালের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ কম। সে বছর ১৩ লাখ ৭ হাজার ৮৯০ জন কর্মী বিদেশ পাঠানো হয়।
২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে ৯৭ হাজার ৮৭৩ জন কর্মী বিদেশে যান। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে এই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৬২ হাজার ৪৪২ জনে। অর্থাৎ, চলতি বছর জানুয়ারির তুলনায় কেবল ফেব্রুয়ারিতেই জনবল রপ্তানি কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ।
তিনটি বড় শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে যাওয়া বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর সংখ্যা কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। এগুলো হলো— মালয়েশিয়া, ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এছাড়া সৌদি আরব ও কাতারের মতো দেশগুলোতে নিয়োগ কমে যাওয়ায় এবং মালয়েশিয়া, ওমানের পাশাপাশি বাহরাইনের শ্রমবাজারও বন্ধ থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
এর মাঝে অবশ্য সরকার নতুন শ্রমবাজার খোলার চেষ্টা করছে, তবে তাদের সাফল্যকে এখনও পর্যাপ্ত বলা যায় না। বিদ্যমান বাজারগুলো চালু করতে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করা জরুরি বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
সরকার পরিবর্তনের পর শ্রমবাজারের অবস্থা
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ফলে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসে।
এরপর জনশক্তি ব্যবসায়ীরা আশা করেছিলেন, নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি কাজে লাগিয়ে বৈদেশিক কর্মসংস্থান বাড়ানো সম্ভব হবে। কিন্তু নতুন সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টা প্রবাসী কল্যাণ নিয়ে নানা সময়ে বক্তব্য দিলেও বাস্তবে কার্যকর কোনো উদ্যোগ এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য শ্রমবাজার নয়, মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হওয়া জরুরি: স্পিকার
প্রধান শ্রমবাজারগুলোর অবস্থা
মালয়েশিয়া
২০২৩ সালে সাড়ে তিন লাখের বেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন। কিন্তু ২০২৪ সালের জুন থেকে দেশটির শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে যায়। ২০২৪ সালে এক লাখেরও কম কর্মী দেশটিতে যেতে পেরেছেন।
ওমান
২০২৩ সালে ওমানে সোয়া লাখের বেশি কর্মী যান, কিন্তু ২০২৪ সালে দেশটির শ্রমবাজার বন্ধ থাকায় মাত্র ৩৫৮ জন কর্মী যেতে পেরেছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত
২০২৩ সালে প্রায় এক লাখ কর্মী আমিরাতে গিয়েছিলেন, তবে ২০২৪ সালে এই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজারে।
বাহরাইন
২০১৭ সাল থেকে বাহরাইনে কর্মী নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। গত বছরও দেশটি বাংলাদেশ থেকে একজন কর্মীও নেয়নি।
দক্ষ কর্মীর অভাব ও বিকল্প শ্রমবাজার
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা থাকলেও বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী পাঠানোর হার কম। দক্ষ কর্মীদের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান প্রতিশ্রুতিশীল শ্রমবাজার হলেও ভাষা ও পেশাগত দক্ষতার অভাবে অনেকেই সেখানে ঢোকার সুযোগ পাচ্ছেন না।
২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ১০ হাজার কর্মী নেওয়ার ঘোষণা দেয় দক্ষিণ কোরিয়া। অথচ সে বছর মাত্র ৪ হাজার ৪৯৬ জন কর্মী পাঠানো সম্ভব হয়। ২০২৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে গিয়েছেন মাত্র ২ হাজার ৯১৮ জন।
বিশেষজ্ঞদের মতামত
রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক ড. তাসনিম সিদ্দিকী ইউএনবিকে বলেন, ‘সরকার দাবি করে বাংলাদেশ থেকে ১৬৮টি দেশে কর্মী পাঠানো হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবে ৯৫ শতাংশ কর্মীই যাচ্ছে মাত্র ছয়টি দেশে। বাকি দেশে আসলে নামেমাত্র কর্মী পাঠানো হচ্ছে, কোথাও তা মাত্র ২ থেকে ৩/৪ শতাংশ।’
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও শ্রমবাজার খোঁজার তাগিদ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হয়েছে বাংলাদেশি ও মালয়েশিয়ার রিক্রুটিং এজেন্সির সিন্ডিকেটের কারণে। অনেক কর্মী মালয়েশিয়ায় গিয়ে কাজ পাননি, ফলে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি। সরকারকে দ্রুত মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবকাঠামো খাত বন্ধ থাকায় কর্মী নিয়োগ কমে গেছে। এছাড়া সৌদি আরবে গত বছর ৬ লাখ কর্মী যাওয়ায় (এ বছর) চাহিদা কমে গেছে বলে জানান এই গবেষক।
দেশের ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্টদের সংগঠন বায়রার সাবেক সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী ইউএনবিকে বলেন, ‘শ্রমবাজারের সংকট কাটাতে হলে বন্ধ হয়ে যাওয়া বাজারগুলো দ্রুত খুলতে ব্যবস্থা নিতে হবে।’ এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা যায় বলে পরামর্শ দেন তিনি।
হায়দার আলী বলেন, ‘বিকল্প বাজার তৈরি না করা গেলে (দেশের) শ্রমবাজার হুমকির মুখে পড়বে। তখন মানুষ অবৈধভাবে সাগরপথে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করবে, যা আরও বিপজ্জনক হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংকুচিত হয়ে যাওয়া কাতার ও সৌদির শ্রমবাজারে লোক পাঠানো আরও বাড়াতে হবে। থাইল্যান্ড সম্ভাবনাময় একটি বাজার ছিল, সেটিও বন্ধ। এটি চালু করতে দুই দেশের আলোচনার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।’
ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের সাত-আটটি বড় শ্রমবাজারের মধ্যে তিনটি বন্ধ রয়েছে। কাতার, কুয়েত ও সৌদি আরবেও কর্মী নিয়োগ কমেছে। মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান গত এক বছর ধরে শ্রমবাজার বন্ধ রেখেছে। এসব বাজার খুলতে না পারলে কর্মী পাঠানোর হার আরও কমে যাবে।’
কী বলছে সরকার
বিএমইটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল হাই বলেন, ‘আমরা শ্রমবাজার বৃদ্ধির জন্য কাজ করছি; নতুন নতুন বাজার খুলছি। যেমন: রাশিয়া, পর্তুগাল, মাল্টা, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম ও আফ্রিকার কঙ্গোতে নতুন করে কর্মী পাঠানো শুরু হয়েছে। এসব দেশের মধ্যে রাশিয়ায় বেশি কর্মী যাচ্ছে।’
ইরাক ও ইরানেও কর্মী পাঠানো হচ্ছে জানিয়ে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ইরাকে ৫০০ ডলার বেতনে ৫০ হাজারের বেশি কর্মী পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রায় সব ইউরোপীয় দেশের দূতাবাস থাকলেও কর্ম ভিসার জন্য ভারত বা নেপালের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়, যা বাংলাদেশিদের ইউরোপে যাওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা সৃষ্টি করছে।’
৪ দিন আগে
ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারে লিপ্ত: ফারুক
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ভারতের সুপ্রতিবেশীসুলভ আচরণ বাংলাদেশ প্রত্যাশা করলেও তাদের গণমাধ্যম সব সময় এই দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ভালো প্রতিবেশী হিসেবে আমরা সবসময় আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের কাছ থেকে ভালো আচরণ প্রত্যাশা করি। কিন্তু ভারতীয় গণমাধ্যম সব সময় বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারে লিপ্ত।’
বুধবার (১৯ মার্চ) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারী ও অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, ভারতীয় মিডিয়া শুধু অপপ্রচারই চালায়নি, উসকানি ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
একটি সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী বিভিন্ন অজুহাতে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হঠাৎ করে কিছু বিষয় সামনে আসছে, যা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য বিব্রতকর। তিনি বলেন, 'এগুলো একজন পতিত স্বৈরাচারের কাজ বলে মনে হচ্ছে।’
ফারুক বলেন, সংখ্যালঘু ইস্যুতে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পেছাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এনসিপি: ফারুক
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপির এই নেতা বলেন, তার দল তাকে সমর্থন দিচ্ছে কিন্তু তার আশপাশের কিছু লোক তাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে খারাপ লোকদের প্রভাবে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান। ‘মনে রাখতে হবে, এসব ষড়যন্ত্রের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচন বানচাল করা বা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আপনাদের বিপদে ফেলা।’
ফারুক বলেন, 'মনে রাখতে হবে, এসব ষড়যন্ত্রের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচন বানচাল করা অথবা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আপনাদের বিপদের দিকে ঠেলে দেওয়া।’
১০ দিন আগে