বাংলাদেশ
বাংলাদেশ শ্রমশক্তি জরিপে প্রথবারের মতো অক্ষমদের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করেছে
সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক প্রকাশিত শ্রমশক্তি জরিপ ২০২২-এ প্রথমবারের মতো ডিজঅ্যাবিলিটি মডিউল অন্তর্ভুক্তি করা হয়েছে যা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্তকরণের একটি বড় পদক্ষেপ। ২০২১ সালে বিবিএস ‘অর্গানাইজেশন অব পারসন উইথ ডিজঅ্যাবিলিটিজ’ (ওপিডি) এর পরামর্শে এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কারিগরি সহায়তায় বিশ্ব-স্বীকৃত ‘ওয়াশিংটন গ্রুপ প্রশ্নপত্র’ -এর উপর ভিত্তি করে একটি ডিজঅ্যাবিলিটি মডিউল গ্রহণ এবং অন্তর্ভুক্ত করে। যার উদ্দেশ্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তির উপাত্তকে জাতীয় শ্রমশক্তি জরিপের অংশ করা।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে দেশের প্রতিটি পরিবারের গড় ঋণ ছিল ৭০ হাজার ৫০৬ টাকা: বিবিএস জরিপ
আইএলও বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পৌটিয়াইনেন বলেন, ‘বাংলাদেশের শ্রমশক্তি জরিপের তথ্যে ডিজঅ্যাবিলিটি মডিউল অন্তর্ভুক্তি করা দেশের শ্রমবাজারে অন্তর্ভুক্তির প্রকৃত চিত্র অনুধাবন এবং গৃহীত কর্মসংস্থান নীতি বাস্তবায়নের সময় কেউ যাতে পিছিয়ে না থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য একটি বড় মাইলফলকস্বরূপ।’
পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রতিবন্ধী ব্যক্তি চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান এবং নীতিসমূহ গ্রহণ করেছে। তার ভিত্তিতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের তাদের দৈনন্দিন সাধারণ কার্যক্রম সম্পাদনে অসুবিধা পরিমাপের মাধ্যমে শ্রমবাজারে তাদের কার্যকারিতা নির্ধারণ করা হয়। এই পদক্ষেপটি দেশের শ্রমশক্তির অন্তর্গত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংখ্যা, তাদের কর্মসংস্থান এবং বেকারত্বের হার, তাদের কোনো আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি আছে কি-না তা তুলে ধরে। পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে তারা কোন সামাজিক সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক সুবিধা ভোগ করছেন কি-না সে সম্পর্কে লিঙ্গ-বিভাজিত ধারণা পেতেও সাহায্য করেছে।
আরও পড়ুন: ১৫০০ কোটি টাকার নিরাপত্তা তহবিল অযোগ্য সুবিধাভোগীদের জন্য ব্যয়: সিপিডি‘র জরিপ
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘এই জরিপ দেশের শ্রমবাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে শ্রমবাজারে হওয়া উন্নতিকে প্রতিফলিত করবে। প্রকৃতপক্ষে, শ্রমবাজারের উন্নয়ন দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের সমার্থক।’
বাংলাদেশ শ্রমশক্তি জরিপ যুব কর্মসংস্থান, শ্রমবাজারে নারীদের অন্তর্ভুক্তি, অভিবাসী শ্রম এবং সম্প্রতি গৃহীত, ডিজঅ্যাবিলিটি মডিউল অন্তর্ভুক্তিসহ কর্মসংস্থান এবং বেকারত্বের সঙ্গে জড়িত নানা বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য প্রদান করে যা আন্তর্জাতিক শ্রম ধারণা, সংজ্ঞা এবং তত্তসমূহের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের জরিপে দেশের ৬৪টি জেলার ৩০ হাজার ৮১৬টি পরিবার থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা শহরে ২০১৯-২০২২ সালের মধ্যে সামগ্রিক দারিদ্র্যের হার কমেছে ৪.৩ শতাংশ: বিআইডিএসের জরিপ
ইউএনআইডিও’র সম্মেলনে টেকসই সাপ্লাই চেইনের সক্ষমতা বৃদ্ধির বাংলাদেশের প্রস্তাব গৃহীত
ভিয়েনায় জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থার (ইউএনআইডিও) ২০তম সাধারণ সম্মেলনে 'উৎপাদনশীল, সহনশীল ও টেকসই সরবরাহ শৃঙ্খল উন্নয়নে সদস্য দেশগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি' শীর্ষক বাংলাদেশের উত্থাপিত একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।
সপ্তাহব্যাপী এই সম্মেলনে ইউএনআইডিও’র ১৭২টি সদস্য দেশের সরকার প্রধান, মন্ত্রী ও উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।
শনিবার(২ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে, যা বিশ্বজুড়ে উৎপাদক, শিল্প ও ভোক্তাদের প্রভাবিত করেছে।
আরও পড়ুন: তথ্য সভায় এফএও বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সাফল্য উপস্থাপন
এই প্রস্তাবটি ইউএনআইডিও-কে জাতিসংঘের অন্য যেকোনো শাখার তুলনায় বেসরকারি খাতের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে পারে। দেশ ও অর্থনীতিকে সরবরাহ শৃঙ্খল স্থিতিশীলতার প্রচারে সহায়তা করবে এবং এইভাবে ভবিষ্যতের যেকোনো পরিস্থিতির জন্য তাদের প্রস্তুত করবে।
প্রস্তাবটি প্রাসঙ্গিক অংশীজনদের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংলাপকে উৎসাহিত করবে। বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সরবরাহ শৃঙ্খলের স্থায়িত্ব, স্থিতিশীলতা ও উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেবে। এছাড়া উৎপাদক দেশ ও সরবরাহকারীদের সহায়তার উপরও বিশেষ জোর দেবে এটি।
এই প্রস্তাবটি ইউএনআইডিওকে সরবরাহ শৃঙ্খলে তার ন্যায্য অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নিজস্ব সক্ষমতা তৈরি করবে। এছাড়াও সমস্ত অংশীজনদের মধ্যে ন্যায়সঙ্গত মুনাফা বিনিময় করবে- যা ন্যায্য মূল্য, দক্ষতা ও জ্ঞান হস্তান্তর সুরক্ষিত করতে অবদান রাখবে। পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে অংশগ্রহণকারী সংস্থাগুলোর জন্য বাজার ও প্রযুক্তির প্রবেশাধিকার ও উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করবে।
আরও পড়ুন: আইএমও'র কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত বাংলাদেশ
সাপ্লাই চেইন নিয়ে সাধারণ সম্মেলনে বাংলাদেশের পেশ করা প্রস্তাবটিই ছিল আলোচনার মাধ্যমে গৃহীত একমাত্র প্রস্তাব।
মেক্সিকো ও নরওয়ের পেশ করা লিঙ্গ সমতা সম্পর্কিত একটি প্রস্তাব এবং পরিবেশগত স্থায়িত্ব ও বৃত্তাকার অর্থনীতির উপর আর্মেনিয়ার পেশ করা আরেকটি প্রস্তাব সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অবস্থান বা দৃষ্টিভঙ্গির তীব্র পার্থক্যের কারণে গৃহীত হয়নি।
গত চার সপ্তাহ ধরে অবিচল প্রচেষ্টার মাধ্যমে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাবটি গ্রহণে সব সদস্য রাষ্ট্রকে সম্মত করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন: ‘ওপিসিডব্লিউ-দ্য হেগ পুরস্কার ২০২৩’ পেলেন বুয়েটের অধ্যাপক ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া
ঘরের মাঠে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক টেস্ট জয়
দেশের মাটিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টেস্ট জিতল বাংলাদেশ। শনিবার (২ ডিসেম্বর) সফরকারীদের বিপক্ষে ১৫০ রানের বড় জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা।
এদিকে স্পটলাইট স্বাগতিক বাংলাদেশের দিকে ছিল কারণ নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের প্রথম হোম জয় নিশ্চিত করতে তাদের প্রয়োজন ছিল মাত্র তিন উইকেট।
আরও পড়ুন: সিলেট টেস্টে শান্তর সেঞ্চুরিতে ২০০ রানের লিড পেল বাংলাদেশ
চতুর্থ দিনে চার উইকেটের পাশাপাশি পঞ্চম দিনে আরও দুটি উইকেট শিকার করে ৭৫ রানে ছয় উইকেট শিকার করেন তাইজুল ইসলাম।
এই শক্তিশালী পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ ১৫০ রানের দুর্দান্ত জয় দিয়ে ম্যাচটি শেষ করে। ৩৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিউ জিল্যান্ড ১৮১ রান করে।
তাইজুলের ১৮৪ রানে ১০ উইকেট নিয়েছেন। এক টেস্টে ১০ বা তার বেশি উইকেট অর্জনের ঘটনা তাইজুলের দ্বিতীয়বার। ২০১৮ সালে একই ভেন্যুতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি করেন তিনি।
এই জয় বাংলাদেশকে নতুন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সাইকেলে নিয়ে গেছে।
এই ম্যাচে বেশ কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতিতে এটি একটি উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব। আঙুলের ইনজুরির কারণে ছিটকে যান টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সেই সঙ্গে অনুপস্থিতির দলে রয়েছেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস।
এদিকে সাকিবের অনুপস্থিতিতে বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বে বাংলাদেশ টেস্ট দলের উপর এই দায়িত্ব পড়ে। যিনি টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে সেঞ্চুরি করে দুর্দান্ত অভিষেক ঘটান।
আরও পড়ুন: সিলেট টেস্ট: নিউ জিল্যান্ডকে ৩৩২ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ
এই সেঞ্চুরিটি নিউ জিল্যান্ডের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য নির্ধারণের ভিত্তি তৈরি করেছিল। এমন একটি দল যারা টেস্ট জয়ের জন্য চতুর্থ ইনিংসে কখনও সফলভাবে ৩২৪ রানের বেশি সংগ্রহ করতে পারেনি।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ১৯৯৪ সালে শেষবার তারা ৩২৪ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তানকে পরাজিত করেছিল।
চতুর্থ ইনিংসে ৩৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামে তারা। ৩০ রানে তিন উইকেট হারানোর প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে ব্যর্থ হয় নিউ জিল্যান্ড।
ড্যারিল মিচেল ৫৮ রান করে স্থিতিশীল হন এবং টিম সাউদি বাংলাদেশের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের মুখে ৩৪ রান করেন। তবে তারা ছাড়া নিউ জিল্যান্ডের অন্য কোনো ব্যাটসম্যানই উল্লেখযোগ্য প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি।
এই ম্যাচে তাইজুলের ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্স টেস্টে তার ১৩তম পাঁচ বা ততোধিক উইকেট, যা সাকিবের পরে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেরা।
প্রথম ইনিংসে টস জিতে মাহমুদুল হাসান জয়ের ৮৬ রানের জুটিতে ৩১০ রান তোলে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড়ই ৫০ রানের মাইলফলক অতিক্রম করতে পারেননি। নিউ জিল্যান্ডের হয়ে গ্লেন ফিলিপস চার উইকেট নেন।
জবাবে নিউ জিল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে ৩১৭ রান করে সাত রানের সামান্য লিড অর্জন করে। কেন উইলিয়ামসন দুর্দান্ত খেলে সেঞ্চুরি করেন। তাইজুল প্রথম ইনিংসে চার উইকেট নেন।
শেষ ইনিংসে শান্তর সেঞ্চুরি, মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজের হাফ সেঞ্চুরিতে ৩৩৮ রান তোলে বাংলাদেশ। সফরকারীদের পক্ষে এজাজ প্যাটেল নেন চার উইকেট।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে এই জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে লিড নিল বাংলাদেশ। আগামী ৬ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ।
আরও পড়ুন: নিউ জিল্যান্ড সফরের জন্য বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা
আইএমও'র কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত বাংলাদেশ
লন্ডনে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) কাউন্সিল নির্বাচন ২০২৩ এ 'সি' ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ ১২৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে।
প্রথমবারের মতো আইএমও'র 'সি' ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ বিজয়ী হলো।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ও আইএমওতে স্থায়ী প্রতিনিধি সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের এলিট ৪০ সদস্যের কাউন্সিলে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে একটি সামুদ্রের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের নেতৃত্ব ও পদক্ষেপের ওপর আইএমও সদস্য রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক মেরিটাইম কমিউনিটির আস্থা ও বিশ্বাসের সাক্ষ্য।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঢাকার জিরো টলারেন্স নীতিকে স্বাগত জানিয়েছে ওয়াশিংটন
হাইকমিশনার বাংলাদেশকে কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত করার জন্য আইএমও সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সামুদ্রিক সমস্যা মোকাবিলায় আইএমও'র কর্মপরিকল্পনার প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ২০২৩ সালের আইএমও কাউন্সিল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।
এর আগে আইএমও'র ৩৩তম অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন সাইদা মুনা তাসনিম।
আইএমও জাতিসংঘের একমাত্র বিশেষায়িত সংস্থা যা বিশ্বব্যাপী শিপিং মান নিয়ন্ত্রণ করে।
ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের অ্যাসেম্বলি ১ ডিসেম্বর ২০২৪-২০২৫ দ্বিবার্ষিক মেয়াদে কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত করেছে।
আরও পড়ুন: সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া জাতিসংঘ নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠায় না: মুখপাত্র
কাউন্সিল আইএমওর নির্বাহী অঙ্গ এবং সংস্থার কাজ তদারকির জন্য পরিষদের অধীনে দায়বদ্ধ।
পরিষদের অধিবেশনগুলোর মধ্যে কাউন্সিল সামুদ্রিক সুরক্ষা এবং দূষণ প্রতিরোধের বিষয়ে সরকারকে সুপারিশ করা ব্যতীত বিধানসভার কার্যাবলী সম্পাদন করে।
ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের পরিষদ নিম্নলিখিত রাষ্ট্রগুলোকে ২০২৪-২০২৫ দ্বিবার্ষিক মেয়াদে কাউন্সিলের সদস্য হিসাবে নির্বাচিত করেছে:
ক্যাটাগরি ‘এ’
আন্তর্জাতিক শিপিং পরিষেবা প্রদানে সর্বাধিক আগ্রহী ১০ রাষ্ট্র (বর্ণানুক্রমিক ক্রম অনুসারে): চীন, গ্রিস, ইতালি, জাপান, লাইবেরিয়া, নরওয়ে, পানামা, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: ‘ওপিসিডব্লিউ-দ্য হেগ পুরস্কার ২০২৩’ পেলেন বুয়েটের অধ্যাপক ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া
ক্যাটাগরি ‘বি’
আন্তর্জাতিক সমুদ্র বাণিজ্যে সর্বাধিক আগ্রহী ১০ রাষ্ট্র: অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, সুইডেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
ক্যাটাগরি ‘সি’
ক্যাটাগরি ‘এ’ বা ‘বি’ এর অধীন নির্বাচিত নয় এমন ২০টি রাষ্ট্র, যাদের সামুদ্রিক পরিবহন বা নেভিগেশনে বিশেষ স্বার্থ রয়েছে এবং যাদের কাউন্সিলে নির্বাচন বিশ্বের সমস্ত প্রধান ভৌগলিক অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করবে: বাহামা, বাংলাদেশ, চিলি, সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, মিশর, ফিনল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, জ্যামাইকা, কেনিয়া, মালয়েশিয়া, মাল্টা, মেক্সিকো, মরক্কো, পেরু, ফিলিপাইন, কাতার, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর এবং তুরস্ক।
আরও পড়ুন: ‘বর্তমান পরিস্থিতি’ নিয়ে আলোচনা করেছেন রাষ্ট্রদূত হাস ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ: মার্কিন দূতাবাস
বাংলাদেশে এখন আরএমজি সেক্টরে ২০৪টি 'সবুজ' কারখানা
'সবুজ' অর্থাৎ পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানায় বিশ্বনেতা হিসেবে নিজের অবস্থান আরও শক্তিশালী করেছে বাংলাদেশ।
দেশের ২০৪টি কারখানা এখন ইউনাইটেড স্টেটস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) লিড সার্টিফিকেশন (সবুজ কারখানার জন্য প্রশংসাপত্র) পেয়েছে।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) তথ্য অনুসারে, ডিসেম্বরে গোল্ড ক্যাটাগরিতে ইউএসজিবিসি থেকে গ্রিন বিল্ডিং সার্টিফিকেশন পেয়েছে আরও একটি বাংলাদেশি পোশাক কারখানা।
১১০ পয়েন্টের মধ্যে ৯৯ পয়েন্ট পাওয়া গাজীপুরের গ্রিন সার্টিফাইড কারখানাটি হলো ‘ইন্টিগ্রা ড্রেসেস লিমিটেড’।
বাংলাদেশ ২০২২ সালে ২৭টি গ্রিন বিল্ডিং সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে, যার মধ্যে ১৩টি প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে রয়েছে; যা এক বছরে সর্বোচ্চ।
মোট ২০৪টি সবুজ সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত কারখানার মধ্যে ৭৪টি প্লাটিনাম-রেটেড, ১১৬টি গোল্ড-রেটেড এবং বাকিগুলো অন্যান্য-রেটেড।
আরও পড়ুন: দায়িত্বশীল ক্রয় পদ্ধতিতে মার্কিন অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতা চাইলেন বিজিএমইএ সভাপতি
ইউএসজিবিসি’র লিড সার্টিফিকেশন পেতে আরও ৫০০টি কারখানা পাইপলাইনে রয়েছে।
বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ১০০টি সর্বোচ্চ মানের লিড গ্রিন কারখানার মধ্যে ৫৪টি বাংলাদেশে রয়েছে।
শুধু তাই নয়, বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ১০টির মধ্যে ৯টি এবং বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ২০টি লিড সার্টিফিকেশন কারখানার মধ্যে ১৮টি বাংলাদেশে রয়েছে।
এটি সত্যিই গর্বের বিষয় বিশ্বের সর্বোচ্চ ১০৪ স্কোর পাওয়া কারখানাটি বাংলাদেশেই অবস্থিত।
ইউএসজিবিসি বিভিন্ন মানদণ্ডের ভিত্তিতে কারখানাগুলোকে সম্মানিত করে। যেমন- রূপান্তর কার্যক্ষমতা, জ্বালানি, পানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। সেরা পারফর্মারদের প্ল্যাটিনাম দিয়ে রেট দেওয়া হয়, এরপরে গোল্ড ও সিলভার।
আরও পড়ুন: নতুন মজুরি ডিসেম্বর থেকেই বাস্তবায়ন করবে পোশাক শিল্প
নতুন মজুরি ডিসেম্বর থেকেই বাস্তবায়ন করবে পোশাক শিল্প
কপ-২৮: ৫ গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানে অন্য দেশের সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ
বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অত্যন্ত বিপন্ন ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর পক্ষে কার্যকর ভূমিকা পালনে এবারের কপ-২৮ সম্মেলনে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিষ্পত্তিতে সমন্বিতভাবে কাজ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ।
এ বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন ইউএনবিকে বলেন, বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল কপ সম্মেলনে বিভিন্ন ইস্যুভিত্তিক আলোচনায় বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অত্যন্ত বিপন্ন ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর পক্ষে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কপ-২৮ সম্মেলনে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিষ্পত্তিতে সমন্বিতভাবে কাজ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
সেগুলো হলো:
# প্রথম গ্লোবাল স্টকটেক অবশ্যই ১.৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কার্যক্রমের অগ্রগতি মূল্যায়ন, ভবিষ্যৎ উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও কংক্রিট মাইলফলকসহ সুস্পষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে।
# অধিক বিপদাপন্ন উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ অ্যাড্রেস করার লক্ষ্যে কপ-২৮ সম্মেলনে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড অপারেশনালাইজ’ করা এবং এর ‘ডিটেইল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ ঠিক করা।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত থাকা সত্ত্বেও মেয়াদ বাড়ছে ব্যয়বহুল ভাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের
# অভিযোজনসংক্রান্ত বৈশ্বিক লক্ষ্য ‘গ্লোবাল গোল অন অ্যাডাপ্টেশন’-এর কাঠামো তৈরি বা প্রণয়ন; সদস্য দেশগুলোকে অবশ্যই ১.৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করার জন্য তাদের এনডিসিতে বর্ণিত ২০৩০ প্রশমন লক্ষ্যমাত্রাকে শক্তিশালীকরণ এবং এনডিসি বাস্তবায়নের জন্য এলডিসি দেশগুলোর অর্থায়ন বাড়ানো।
# উন্নত দেশগুলোকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়া নিশ্চিত করা; জলবায়ু অর্থায়নের সংজ্ঞা চূড়ান্ত করা।
# অভিযোজন অর্থায়ন দ্বিগুণ করা; জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং ২০২৫ পরবর্তী সময়ে জলবায়ু অর্থায়নের জন্য ‘নিউ কালেক্টিভ কোয়ান্টিফাইড গোল অন ক্লাইমেট ফাইন্যান্স’ আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করা।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, কপ সম্মেলনে বাংলাদেশের অবস্থান যথাযথভাবে তুলে ধরার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে দেশের বিশিষ্ট জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার মতামত নিয়ে একটি অবস্থানপত্র প্রণীত হয়েছে।
বিগত কপসমূহের মতো এবারও কপ-২৮ সম্মেলনে বাংলাদেশ ১৫২ বর্গমিটার আয়তনের একটি প্যাভিলিয়ন তৈরি করেছে এবং এখানে বিভিন্ন সাইড ইভেন্ট আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বরাবরের মতো এবারের কপ-২৮ সম্মেলনেও বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল এসব বিষয়ে কার্যকর ও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রাণলয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ ইউএনবিকে বলেন, কপ-২৮ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে ১৩টি সেমিনারসহ ২৪টি সাইড লাইন প্রোগ্রাম আয়োজন করবে। সেখানে শুধু বাংলাদেশ নয়, উন্নয়নশীল দেশের লিডার হিসেবে অন্যান্য দেশগুলোর জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব তুলে ধরবে বাংলাদেশ। এছাড়াও প্রতি বছরের মতো কপ-২৮ সম্মেলনের রিজিউমড হাই-লেভেল সেগমেন্টের আগে সম্মেলনের ভেন্যুতে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে অফশোর হাইড্রোকার্বন অনুসন্ধানের আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের পরিকল্পনা স্থগিত
৩০ নভেম্বর শুরু হয়ে ১২ ডিসেম্ব পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে ২৮তম বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন কপ-২৮ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এর অংশ হিসেবে ১ থেকে ২ ডিসেম্বর সম্মেলনের হাই-লেভেল সেগমেন্ট ‘ওয়ার্ড ক্লাইমেট সামিট’, ৮ থেকে ৯ ডিসেম্বর রিজিউমড হাই-লেভেল সেগমেন্ট, ৩০ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত টেকনিক্যাল নেগোসিয়েশন এবং ১২ ডিসেম্বর তারিখে সমাপনী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রাণালয় জানায়, সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী। তার সঙ্গে থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাসান মাহমুদ; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার; প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ দেশের বিশিষ্ট জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার নির্বাচিত পরিচালক সায়মা ওয়াজেদেরও সম্মেলনে অংশে নেওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বেসরকারি খাতের উৎপাদকদের ক্রমবর্ধমান অর্থ বকেয়া বিদ্যুৎখাতের অন্যতম বাধা
সিলেট টেস্ট: নিউ জিল্যান্ডকে ৩৩২ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ
চলমান সিলেট টেস্টে শুক্রবার নিউ জিল্যান্ডকে ৩৩২ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ।
এই টেস্টে জয় নিশ্চিত করতে হলে নিউ জিল্যান্ডকে অবশ্যই চতুর্থ ইনিংসে তাদের সেরাটা দিয়ে লক্ষ্যকে তাড়া করতে হবে। ১৯৯৪ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসে তাদের সর্বোচ্চ সফল লক্ষ্য ছিল ৫ উইকেটে ৩২৪ রান।
বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরি এবং মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজের অর্ধশতরান সহ মোট ৩৩৮ রান নিয়ে বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ করেছে।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে ৯৮ রানের বড় স্কোর গড়েন মুশফিক ও শান্ত। তৃতীয় উইকেটে শান্ত ও মুমিনুল হকের জুটিতে বাংলাদেশ ৯০ রান করে।
আরও পড়ুন: নিউ জিল্যান্ড সফরের জন্য বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা
মুশফিক আউট হওয়ার পর বাংলাদেশের দরকার ছিল একজন স্থিতিস্থাপক খেলোয়াড়ের, যিনি উইকেটে টিকে থেকে ধীরে রান করবেন এবং সফরকারীদের জন্য চ্যালেঞ্জিং স্কোর করবেন। মেহেদী তার টেস্ট ক্যারিয়ারে পঞ্চম ফিফটি দিয়ে এই দায়িত্ব পালন করেন।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে এজাজ প্যাটেল ৩৬ দশমিক ৪ ওভারে ১৪৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন এবং নিউ জিল্যান্ডের অপর স্পিনার ইশ সোধি ২ টি উইকেট নেন।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩১০ রানের জবাবে কেন উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরিতে ৩১৭ রান তোলে নিউ জিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে ৮৬ রান করেন মাহমুদুল হাসান জয়।
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের হয়ে গ্লেন ফিলিপস চার উইকেট নেন এবং স্বাগতিকদের পক্ষে তাইজুল ইসলাম নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার হন।
আরও পড়ুন: সিলেট টেস্টে শান্তর সেঞ্চুরিতে ২০০ রানের লিড পেল বাংলাদেশ
সিলেট টেস্ট: মুমিনুলের ৩ উইকেটে ৩১৭ রানে ইনিংস শেষ করেছে নিউ জিল্যান্ড
নিউ জিল্যান্ড সফরের জন্য বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা
আগামী মাসে নিউ জিল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
দুই সিরিজেই বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেবেন ভারপ্রাপ্ত টেস্ট অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং সহ-অধিনায়ক হিসেবে থাকছেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।
দুই সপ্তাহের সফরে স্বাগতিক নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।
ওয়ানডে সিরিজের বাংলাদেশ দল: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, এনামুল হক বিজয়, তৌহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস, আফিফ হোসেন ধ্রুব, সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ (সহ-অধিনায়ক), মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, হাসান মাহমুদ, রিশাদ হোসেন ও রাকিবুল হাসান।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য বাংলাদেশ দল: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, রনি তালুকদার, তৌহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন, আফিফ হোসেন ধ্রুব, সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ (সহ-অধিনায়ক), শেখ মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব।
সফরসূচি
ওয়ানডে সিরিজ:
১৭ ডিসেম্বর - প্রথম ওয়ানডে, ইউনিভার্সিটি অব ওটাগো ওভাল, ডুনেডিন (বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টা)
২০ ডিসেম্বর - দ্বিতীয় ওয়ানডে, স্যাক্সটন ওভাল, নেলসন (বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টা)
২৩ ডিসেম্বর - তৃতীয় ওয়ানডে, ম্যাকলিন পার্ক, নেপিয়ার (বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টা)
টি-টোয়েন্টি সিরিজ
২৭ ডিসেম্বর - প্রথম টি-টোয়েন্টি, ম্যাকলিন পার্ক, নেপিয়ার (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ১০ মিনিট)
২৯ ডিসেম্বর - দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি, বে ওভাল, মাউন্ট মঙ্গানুই (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ১০ মিনিট)
৩১ ডিসেম্বর - তৃতীয় টি-টোয়েন্টি বে ওভাল, মাউন্ট মঙ্গানুই (বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় শুরু)।
সিলেট টেস্টে শান্তর সেঞ্চুরিতে ২০০ রানের লিড পেল বাংলাদেশ
নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়কত্বের অভিষেক ঘটে সেঞ্চুরি দিয়ে। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন তিনি। এই অসাধারণ সেঞ্চুরিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ তৃতীয় দিনের শেষে ২০৫ রানের লিড অর্জন করে।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) তৃতীয় দিন শেষে নাজমুল ১০৪ ও মুশফিকুর রহিম ৪৩ রানে অপরাজিত থাকায় তিন উইকেটে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ২১২ রানে।
২৪ ম্যাচের ক্যারিয়ারে টেস্ট ক্রিকেটে শান্তর পঞ্চম সেঞ্চুরি। উল্লেখ্য, শান্তর পাঁচটি টেস্ট সেঞ্চুরির তিনটিই চলতি বছরে হয়েছে।
প্রথম ইনিংসে উইকেটের পাশাপাশি কয়েকটি বাউন্ডারি মেরে শক্তিশালী শুরু করেন শান্ত। তবে তিনি গ্লেন ফিলিপসের ফুল টসের শিকার হন, যার সঙ্গে তিনি সঠিকভাবে মানিয়ে নিতে পারেননি।
তৃতীয় দিনে রান আউটে দুটি উইকেট পড়ে যায় বাংলাদেশের।
আরও পড়ুন: সিলেট টেস্ট: নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, শাহাদাতের অভিষেক
কেন উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ড ৩১৭ রান নিয়ে আগের ইনিংসটি শেষ করে।
বাংলাদেশের অসাধারণ বোলার হিসেবে তাইজুল ইসলাম ৪টি ও মুমিনুল হক ৩টি উইকেট নেন।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদুল হাসান জয়ের ৮৬ রানের জুটিতে ৩১০ রান তোলে বাংলাদেশ।
গ্লেন ফিলিপস নিউজিল্যান্ডের হয়ে চার উইকেট নিয়ে তার দুই ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা বোলিংয়ের মর্যাদায় আসীন হন।
আরও পড়ুন: সিলেট টেস্ট: মুমিনুলের ৩ উইকেটে ৩১৭ রানে ইনিংস শেষ করেছে নিউ জিল্যান্ড
বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা সক্রিয়, মার্কিন শ্রম নীতি নিয়ে খুব উদ্বেগ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডাম অন অ্যাডভান্সিং ওয়ার্কার এমপাওয়ারমেন্ট, রাইটস অ্যান্ড হাই লেবার স্ট্যান্ডার্ডস গ্লোবালি’ নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
কারণ বাংলাদেশি পণ্যগুলো তার গুণমান, প্রতিযোগিতামূলক মূল্য ও সময়মতো পৌঁছে দেওয়ার কারণে মার্কিন বাজারে প্রবেশাধিকার পায়।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা খুবই স্মার্ট ও সক্রিয়। আমাদের গতিশীল বেসরকারি খাতের ওপর আমার আস্থা আছে। এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।’
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির একটি প্রধান বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমাদের বেসরকারি খাত তৈরি পোশাক রপ্তানি করে এবং মার্কিন বেসরকারি খাত বাংলাদেশি পণ্য কেনে।’
তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের পণ্য কেনে কারণ আমাদের পণ্যগুলো উচ্চ মানসম্পন্ন, দামে সস্তা ও সময়মতো পৌঁছে দেওয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, এমনকি আপনি মার্কিন স্টোরগুলোতে অনেক চীনা পণ্যও পাবেন।
অন্যদিকে, ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস বলেছে, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডাম অন অ্যাডভান্সিং ওয়ার্কার এমপাওয়ারমেন্ট, রাইটস অ্যান্ড হাই লেবার স্ট্যান্ডার্ডস গ্লোবালি’ শিরোনামের স্মারকলিপি নিয়ে বাংলাদেশের ‘শঙ্কিত হওয়ার’ অনেক কারণ রয়েছে।
সম্প্রতি চালু হওয়া এই মার্কিন উদ্যোগ পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে দূতাবাস এক চিঠিতে জানিয়েছে, ‘স্মারকলিপিতে শ্রম অধিকার সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তার পেছনে রাজনীতি রয়েছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন উপায়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের চেষ্টা করবে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্টের স্মারকলিপিটি ১৬ নভেম্বর প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘বর্তমান পরিস্থিতি’ নিয়ে আলোচনা করেছেন রাষ্ট্রদূত হাস ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ: মার্কিন দূতাবাস
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ‘যারা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের, শ্রম অধিকার রক্ষাকারী ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে হুমকি দেয়, ভয় দেখায় এবং হামলা করে তাদের জবাবদিহি করা হবে। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্য জরিমানা ও ভিসা বিধিনিষেধের’ মতো পদক্ষেপগুলো কার্যকর করতে তারা কাজ করবে।
ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাসের চিঠিতে বলা হয়েছে ‘স্মারকলিপিটি’ বাংলাদেশের জন্য একটি সংকেত। কারণ শ্রম সমস্যার অজুহাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এতে বর্ণিত যেকোনো ব্যবস্থা নিতে পারে। ‘স্মারকলিপিটি বাংলাদেশের পোশাক খাতেও প্রভাব ফেলতে পারে এবং এটি সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিবেচনা করা উচিত।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্র পুরো শ্রম খাতের জন্য উদ্যোগ নিলে তারা অবশ্যই স্বাগত জানাবে।
মোমেন বলেন, ‘তারা যদি একটি ভালো নীতি গ্রহণ করে তাহলে সেটা হবে একটি মহৎ উদ্যোগ। আমি আশা করি যুক্তরাষ্ট্র ধনী দেশ হওয়ায় জলবায়ু ও অভিবাসন বিষয়ে ভালো উদ্যোগ নেবে।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি ইতিবাচক কর্মসূচি নিয়ে আসে, আমরা অবশ্যই এটাকে স্বাগত জানাব।’ বাংলাদেশ দেখতে চায় সব শ্রমিক ভালোভাবে জীবনযাপন করছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে মোমেন জানান, তিনি চিঠির বিষয়ে জানেন না।
কিছু লোকের মধ্যে দেশপ্রেমের অভাব রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মোমেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাধাগ্রস্ত করে এমন কোনো প্রচেষ্টা বাংলাদেশ দেখতে চায় না।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ছুটি থেকে ফেরার পর এটি রুটিন বৈঠক।
তিনি বলেন, ‘আমরা খুশি যে তিনি ফিরে এসেছেন। নতুন কিছু নয়। শুধু রুটিন মিটিং।’
রাষ্ট্রদূত হাস বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকের পর ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস জানায়, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতি নিয়ে আলোচনার জন্য রাষ্ট্রদূত হাস এবং পররাষ্ট্র সচিব মোমেন একটি রুটিন বৈঠক করেছেন।
বেলা ১১টায় বৈঠক শুরু হয়ে ৩০ মিনিট চলে।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরানও উপস্থিত ছিলেন।
হাস ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বৈঠকস্থলের বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি।
ছুটি কাটিয়ে সোমবার ঢাকায় ফিরেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: ঢাকায় নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে ইইউ'র কারিগরি দল
যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে আছে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী