বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অবৈধভাবে ১৪টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে ৮টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছেন।
এ সময় একটি ক্লিনিক বন্ধ করার পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। অভিযানের খবর পেয়ে বাকি ৬টি প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ নিজেরাই তালা দিয়ে পালিয়ে গেছেন।
বাগেরহাট জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তালিকা অনুযায়ী বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায় মোট ১৪টি লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। গত সোম ও মঙ্গলবার তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে বাগেরহাট সদর, চিতলমারী, মোল্লাহাট ও শরণখোলা উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে লাইসেন্সবিহীন ১১ হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ
তিনি আরও বলেন, অভিযান চলাকালে লাইসেন্স না থাকায় ৩টি ক্লিনিক ও ৫টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে তালাবদ্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় সদর উপজেলায় একটি ক্লিনিককে বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ডা. জালাল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, লাইসেন্স ছাড়া অবৈধ অপর ৬টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্তৃপক্ষ অভিযানের খবর পেয়ে নিজেরা তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পালিয়ে গেছেন।
অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
২০২৩ সালের তথ্য অনুয়ায়ী জেলায় ৪৫টি ক্লিনিক ও ৭৫টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে বলে সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ডায়াগনসিস সেন্টার, ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী