৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া ২২৭ চাকরিপ্রার্থীদের আবেদন পুনর্বিবেচনার জন্য আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি একটি সভা ডেকেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এতে সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান। রোববার (৫ জানুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত নোটিশ জারি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশকৃত দুই হাজার ১৬৩ চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে এক হাজার ৮৯৬ জনের নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ২২৭ প্রার্থী সম্পর্কে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বিরূপ মন্তব্য থাকায় তাদের নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি।
‘প্রার্থীরা তাদের নিয়োগের বিষয় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেছেন। এ বিষয়ে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সভাপতিত্বে একটি সভা হবে।
এরআগে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়াদের কেউ পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হচ্ছে। পুনর্বিবেচনার আবেদন করার সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত আছে।
এই বিসিএসের মাধ্যমে ২ হাজার ১৬৩ জনকে নিয়োগ দিতে সুপারিশ করেছিল পিএসসি। এর মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিতির কারণে ৪০ জনকে এবং গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আরও ৫৯ জনকে বাদ রেখে গত ১৫ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরে এ নিয়োগের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে ফের ‘প্রাক-চরিত্র’ যাচাই করা হয়। তাতে ‘বিরূপ মন্তব্য’ আসায় ২২৭ জনকে এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জনকে বাদ রেখে এক হাজার ৮৯৬ জনকে নিয়োগে ৩০ ডিসেম্বর ফের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা এ বিসিএসের সব প্রক্রিয়া শেষে ২০২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি দুই হাজার ১৬৩ জনকে নিয়োগ দিতে সুপারিশ করেছিল পিএসসি।