'মুজিব: দ্য মেকিং অব এ নেশন' চলচ্চিত্রটি একটি ঐতিহাসিক দলিল। এটি বঙ্গবন্ধুর জীবন কাহিনি ও দীর্ঘ সংগ্রামের সারমর্ম তুলে ধরে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী।
বায়োপিকের প্রধান উপদেষ্টা ড. রিজভী উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন, সংগ্রাম ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগের দীর্ঘ ইতিহাসকে আড়াই ঘণ্টার চিত্রনাট্যে ধারণ করে ঐতিহাসিক বিষয়বস্তু অক্ষুণ্ণ রেখে চলচ্চিত্রটির চমৎকার কাজ করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরিচালক শ্যাম বেনেগাল।
যুক্তরাজ্যে সম্প্রতি লন্ডনের একটি বিশেষ থিয়েটারে 'মুজিব: দ্য মেকিং অব এ নেশন' সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করে বাংলাদেশ ও ভারতের হাইকমিশন যৌথভাবে।
আরও পড়ুন: মিনি ফিল্ম ফেস্টিভেলের মাধ্যমে মানবাধিকার সপ্তাহ পালন ডাচ দূতাবাসের
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, গৌরবোজ্জ্বল বিজয়ের মাস এবং বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি ও ব্রিটিশ-এশীয় তরুণদের উপস্থিতিতে থিয়েটার পূর্ণ ছিল।
ব্রিটিশ হাউস অব লর্ডসের সদস্য, কূটনীতিক, ব্রিটিশ শিক্ষাবিদ ও পেশাজীবী এবং মূলধারার সাংবাদিকরাও বিশেষ প্রদর্শনীতে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম এবং ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কে দোরাইস্বামী।
২০১৭ সালের এপ্রিলে নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউজে এক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও উত্তরাধিকারের ওপর বায়োপিক নির্মাণের পরিকল্পনা যৌথভাবে ঘোষণা করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, বোয়িং কেনার মার্কিন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
হাইকমিশনার বলেন, 'এই বায়োপিক দক্ষিণ এশিয়ার একজন নেতার অসাধারণ জীবন ও স্থায়ী কর্ম তুলে ধরে, যিনি বাংলাদেশ ও এর জনগণের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন। নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেন তাকে 'বিশ্ববন্ধু' বা বিশ্বের বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। বিবিসি ২০০৪ সালে একটি বৈশ্বিক জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে স্থান পেয়েছিলেন তিনি।
ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কে দোরাইস্বামী চলচ্চিত্রটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততা ও অবদানের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্প তার হৃদয়ে রেখেছেন।
দোরাইস্বামী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর মহাকাব্যিক সংগ্রামের গল্প ছাড়া বাংলাদেশের গল্প বলা যায় না। চলচ্চিত্রটির গুরুত্ব এবং এটি কীভাবে বাংলাদেশের অতীত সম্পর্কে জানার এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে শিক্ষা পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ করে দেয় তার উপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন