উদ্বোধনের পর দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও চালু হয়নি খুলনা-মোংলা রেললাইন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে পণ্য পরিবহন সাশ্রয় ও সহজ করতে খুলনার ফুলতলা রেলস্টেশন থেকে মোংলা পর্যন্ত রেলপথ স্থাপনের প্রকল্পটি শুরু হয় ২০১০ সালে। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। এরপর দুই দফা সংশোধনের পর সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। কিন্তু ডিসেম্বরের মধ্যেও ৯০ কিলোমিটারের মধ্যে ৭৫ কিলোমিটারের কাজ সম্পন্ন হয়। বাকি থাকে আরও ১৫ কিলোমিটার রেলপথের কাজ। এজন্য ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত আরও ছয় মাস প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। এরপর আরেক দফা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হলেও প্রকল্পের কাজে আর কোনো অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
রেলওয়ে প্রকল্প সূত্র জানায়, ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। শুরু থেকেই প্রকল্পটি নানা ধরনের বাধার মুখে পড়ে। তিন বছর মেয়াদের কাজটির জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দিতে সময় লাগে দুই বছর।
এদিকে, গত বছরের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনা-মোংলা রেললাইন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এরপর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ খুলনা-মোংলা রেললাইনে ১ জানুয়ারি থেকে কমিউটার ট্রেন চালুর তারিখ নির্ধারণ করে। কিন্তু রেললাইন পুরোপুরি ট্রেন চলাচলের উপযোগী না হওয়ায় ওই দিন এ রেললাইনে ট্রেন চলাচল চালু করা হয়নি।
রেলওয়ের পশ্চিম জোনের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার জানান, খুলনা-মোংলা রেললাইনে এখনও ছোটখাটো কিছু কাজ বাকি রয়েছে। সে কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রেললাইনটি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেনি। হস্তান্তর করতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। রেললাইনটি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করার পর ট্রেন চলাচলের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে।
এ ব্যাপারে খুলনা মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান জানান, রেললাইনের কিছু কাজ বাকি রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, সব কাজ শেষে আগামী মার্চের মধ্যেই রেললাইনটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এরপরই ট্রেন চলাচলের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হবে।