আওয়ামী লীগ পুনরায় নির্বাচিত হলে সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার(২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের ইশতেহার ঘোষণার সময় তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পররাষ্ট্রনীতির সাফল্যের কারণে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শক্তিশালী ও মর্যাদাপূর্ণ স্থান দখল করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশিত 'সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়' নীতি অনুসরণ করেই এটা সম্ভব হয়েছে।’
আন্তঃসীমান্ত যোগাযোগ, ট্রানজিট, জ্বালানি অংশীদারিত্ব ও ন্যায়সঙ্গত পানি বণ্টনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত থাকার কথা উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগ প্রধান।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-৩: ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে নৌকার কর্মীদের হামলা, আহত ৫
তিনি বলেন, বাংলাদেশ তার ভূখণ্ডে জঙ্গি, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর উপস্থিতি রোধে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলা এবং পুরো অঞ্চল থেকে তাদের নির্মূল করতে দক্ষিণ এশিয়া টাস্কফোর্স গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আওয়ামী লীগ সরকার।
তিনি বলেন, 'আমরা যুদ্ধে নয়, শান্তিতে বিশ্বাস করি।’ দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত 'প্রতিরক্ষা নীতি-১৯৭৪' -এর আলোকে 'ফোর্সেস গোল-২০৩০' প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন চলমান বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন-শান্তি-সমৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়ে আ. লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা বাহিনীর দক্ষতা ও শৃঙ্খলার উন্নতি অব্যাহত থাকবে এবং ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আলোকে ব্যবস্থাপনার বিকাশও অব্যাহত থাকবে।
সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তা ও সৈন্যদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি এবং দেশের সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের চাকরির সুযোগ বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশ ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। সশস্ত্র বাহিনীর সব স্তরের জন্য নতুন নতুন কল্যাণমুখী প্রকল্প ও কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের ইশতেহার : অর্থনৈতিক গতি ত্বরান্বিত করতে মেগা প্রকল্প