রাজনীতি
ফখরুলের সঙ্গে ভুটানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, সার্ক নিয়ে আলোচনা
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সার্ককে সক্রিয় করা সহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টসিল।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক হয়।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা আবেদ উপস্থিত ছিলেন।
আমীর খসরু সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে কি না, তা ঠিক করবে জনগণ: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক সবসময়ই ভালো। বিএনপি সরকারের আমলে ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্য উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে, বিশেষ করে আমরা ভুটান থেকে আমদানি করা সবজির ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করেছিলাম।’
বিএনপি নেতা উল্লেখ করেন, তারা ভবিষ্যতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) মাধ্যমে ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যে বৃহত্তর পরিসরে বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
তিনি বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ রপ্তানিতে ভুটানের আগ্রহের কথাও তুলে ধরেন। ‘আমরা সহযোগিতার সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করেছি, কারণ ভুটানের প্রায় ৩০ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে। এটি একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ। তারা এখনও এই সম্ভাবনার ২৫ হাজার মেগাওয়াট অনুসন্ধান করতে পারেনি, যা থেকে তারা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে পারে।
খসরু বলেন, আলোচনায় সার্ককে পুনরুজ্জীবিত ও শক্তিশালী করা এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বৃহত্তর সংহতি জোরদারের বিষয়েও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন ছিল সার্কের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার একীভূত করা, যে স্বপ্ন আমরা এখনো বাস্তবায়ন করতে পারিনি। দক্ষিণ এশিয়ার সংহতির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করব।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর হাতে সব ক্ষমতা দেওয়ায় হাসিনার মতো দৈত্য সৃষ্টি হয়েছিল: আমির খসরু
৫ ঘণ্টা আগে
প্রধানমন্ত্রীর হাতে সব ক্ষমতা দেওয়ায় হাসিনার মতো দৈত্য সৃষ্টি হয়েছিল: আমির খসরু
প্রধানমন্ত্রীর হাতে সব ক্ষমতা দেওয়ায় শেখ হাসিনার মতো দৈত্য সৃষ্টি হয়েছিল মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সেই দৈত্য সৃষ্টি যাতে আর সৃষ্টি না হয়, সেজন্য ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে বুধবার (২০ নভেম্বর) কুড়িগ্রামের উলিপুরে এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জনসভায় আমির খসরু বলেন, ‘ক্ষমতার বন্টন ও ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। দুই বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকবে না। ইতোমধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিএনপির বক্তব্য পরিষ্কার করেছেন।’
‘আগামী দিনে জনগণ যদি বিএনপিকে রায় দেয়, তাহলে তারেক রহমান জাতীয় সরকার গঠনের যে ঘোষণা দিয়েছেন, সরকার সেই ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে কি না, তা ঠিক করবে জনগণ: ফখরুল
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজিত জনসভায় উলিপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি হায়দার আলী মিঞার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাবেক উপমন্ত্রী ও দলটির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তাসভীরুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সোহেল হোসাইন কায়কোবাদ প্রমুখ।
জনসভায় জেলা ও উপজেলার থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত হন।
১৩ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে কি না, তা ঠিক করবে জনগণ: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল। তারা রাজনীতি বা নির্বাচন করবে কি না, তা ঠিক করবে জনগণ। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে তা আমরা নির্ধারণ করতে পারি না।
বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ফেনীর ফুলগাজীর শ্রীপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পৈতৃক বাড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও ঢেউটিন বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একটি ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। উপদেষ্টাকে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ নাকি আমরা দিয়েছি। এ কথাটি সঠিক নয়। আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি।’
‘আমরা বলেছি, আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল। এখানে ভুল বোঝাবুঝির কোনো অবকাশ নাই। আমরা কখনও কোনো দলকে নির্বাচনে আনতে মানা (নিষেধ) করিনি। কিন্তু হাসিনাসহ যারা মানুষ খুন করেছে, বিদেশে টাকা পাচার ও দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে, তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে। আর জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে- কাকে রাজনীতি করতে দেবে, আর কাকে দেবে না; এখানে আমরা কেউ নই, এ দায়িত্ব আমাদের নয়।’
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের সঙ্গে অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। রাতারাতি সবকিছু হয়ে যাবে না। ১৫ বছরের যে জঞ্জাল, সেটি সাফ করতে সময় লাগে। তারা অনেক কাজ করবে। শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে তো। এখন কি আর আওয়ামী লীগের লোকজন অত্যাচার করতে পারে? উনাদের একটু সময় দিতে হবে। তারা কাজ শেষ করলে নিশ্চয়ই নির্বাচন হবে এবং জনগণের সরকার আসবে। আমরা বলেছি, এটি একটু তাড়াতাড়ি করলে ভালো হয়।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠিয়েছেন। তাকে যে কষ্টে রাখা হয়েছিল তা চিন্তাও করতে পারবেন না। তারপরও কখনও তিনি মাথা নত করেনি; তিনি মাথা উঁচু করে এখনও দাঁড়িয়ে আছেন। বেগম খালেদা জিয়া খুব অসুস্থ। আমরা তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর চেষ্টা করছি।’
বন্যায় বিএনপি নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘বন্যায় এখানকার মানুষ অনেক কষ্ট করেছেন। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা মাঠে কাজ করেছেন। শত নির্যাতনের পরও আমরা বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। আর দেশের ওপর যারা এত অত্যাচার করেছে, তারা পালিয়ে গেছে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু, চট্টগ্রাম বিভাগের সংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক ও ফেনী-১ আসনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক রফিকুল ইসলাম মজনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: উপদেষ্টা নিয়োগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের প্রয়োজন নেই: ফখরুল
বিতর্কিত ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সতর্ক করলেন ফখরুল
১৬ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য ভোটাধিকার নিশ্চিত করা অপরিহার্য: তারেক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, যেকোনো মূল্যে জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষা করতে হবে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীতে এক কর্মশালায় ভার্চুয়াল সমাপনী বক্তব্যে তারেক রহমান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা মানুষের বাকস্বাধীনতা ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছি। তাই যেকোনো মূল্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই অধিকার আদায় করতে হবে।’
বাংলাদেশের জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি সতর্ক করে বলেন, জাতির বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
তারেক রহমান বলেন, জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া কোনো সংস্কারই কার্যকর হবে না বা জাতির কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারবে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, রাজনৈতিক মুক্তি মানে সব জনপ্রতিনিধিকে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ হতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি শহীদদের নামে প্রতিষ্ঠান-স্থাপনার নামকরণ করবে: তারেক
তিনি বলেন, সরকার, বিরোধী দল, রাজনৈতিক দল, স্থানীয় নেতা যেমন উপজেলা বা পৌরসভার চেয়ারম্যান, সদস্য বা কাউন্সিলর কাউকেই তাদের ব্যক্তিগত মর্জি অনুযায়ী কাজ করতে দেওয়া উচিত নয়।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘সবাইকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। এটা নিশ্চিত করতে হলে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। যেকোনো গণতান্ত্রিক ও সভ্য দেশে ভোটের মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়।’
তারেক বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে জনগণের রাজনৈতিক, ভোটাধিকার ও অন্যান্য মৌলিক অধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে লিপ্ত। ‘এটি এমন একটি সংগ্রাম ছিল, যার জন্য অনেক জীবনকে উৎসর্গ এবং গুরুতর নিপীড়ন ও দমনকে সহ্য করতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায়ই বলি, ষড়যন্ত্র কখনো থেমে থাকে না। আপনারা (বিএনপির নেতা-কর্মীরা) পত্রিকার সাম্প্রতিক খবর থেকে যেমন দেখেছেন, তেমনি বুঝতে পারছেন কোথাও একটা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তাই জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে এবং তাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনামলে 'টেক ব্যাক বাংলাদেশ' স্লোগানের কথা স্মরণ করেন বিএনপি নেতা। এই স্লোগান ছিল মানুষের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং তাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের মজবুত ভিত্তি স্থাপনের প্রতীক। আমি একজন সহকর্মী হিসেবে আপনাদেরকে অনুরোধ করব এবং নেতা হিসাবে আপনাদেরকে আদেশ করব: আজ থেকে কেউ আমার নামের পাশে 'দেশনায়ক' বা 'রাষ্ট্রনায়ক' ব্যবহার করবেন না।’
ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ মিলনায়তনে বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কারের রূপরেখা নিয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করে বিএনপি। সকালে কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি আগামীতে আবার ক্ষমতায় আসবে যদি তাদের নেতাকর্মীরা দেশের জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ ও আচরণ করে।
আরও পড়ুন: দেশ পরিচালনায় সরকারের অযোগ্যতাকে বরদাশত করবে না জনগণ: তারেক
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের জন্য বিএনপি দেশের সব গণতান্ত্রিক দলের মতামতের ভিত্তিতে ৩১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘অনেকেই এখন বিভিন্ন সংস্কারের কথা বলছেন। কিন্তু যখন অন্য কেউ তা নিয়ে ভাবেনি, তখন বিএনপি বহু বছর আগে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিল।’
তবে বিএনপির এই নেতা বলেন, ৩১ দফা প্রস্তাব অপরিবর্তনীয় নয়। ‘আমরা যেকোনো ভাল প্রস্তাব বা পরামর্শ পেলে তা অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমরা প্রস্তুত।’
৩১ দফা প্রস্তাব গ্রামীণ এলাকাসহ সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়ে জনগণকে অবহিত ও মতামত নেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি নেতা।
তিনি সংস্কার প্রস্তাব সম্পর্কে জনগণকে পরিষ্কার ধারণা দিতে গ্রামাঞ্চলসহ সারা দেশে ছোট ছোট সভা করতে বিএনপি নেতাকর্মীদের উৎসাহিত করেন।
তারেক রহমান দুর্নীতি রোধে প্রাথমিক শিক্ষায় বিনিয়োগ, শিক্ষকদের ভালো বেতন নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উভয়ের শিক্ষার মানের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।’
তিনি মানসম্মত সেবা প্রাপ্তিসহ একটি সুস্থ জাতি গঠনে স্বাস্থ্য খাতের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ‘ দুর্নীতি কমাতে পারলে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারব।’
বৈশ্বিক শ্রমবাজার মূল্যায়ন এবং বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দক্ষ ও স্বল্প-দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে দলের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন তারেক রহমান।
আরও পড়ুন: বিএনপি ফিরলে ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বৈরাচার দমনের অঙ্গীকার তারেকের
১ দিন আগে
আস্থা ফেরাতে নির্বাচনি রোডম্যাপ দিন: অন্তর্বর্তী সরকারকে বিএনপি
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা ধরে রাখতে একটি নির্বাচনি রোডম্যাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে জনগণ সন্দেহ করতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এক আলোচনা সভায় তিনি সরকারের উপদেষ্টাদের অসংলগ্ন বক্তব্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
বিএনপি নেতা বলেন, 'দেশ চালানোর দায়িত্ব আপনাদের (উপদেষ্টাদের) নয়। দ্রুত একটি নির্বাচনের আয়োজন করুন এবং রাজনীতিবিদদের এই কাজটি করতে দিন।’
আরও পড়ুন: বিএনপি শহীদদের নামে প্রতিষ্ঠান-স্থাপনার নামকরণ করবে: তারেক
তিনি আরও বলেন, তাদের দল ইতোমধ্যে অন্যান্য গণতান্ত্রিক দলগুলোর কাছে তাদের প্রস্তুত করা ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব পেশ করেছে, যা দেশে সুস্থ গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে যথেষ্ট হবে।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছি। সেখান থেকে আপনারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কোনটা গ্রহণ করবেন আর কোনটা বাতিল করবেন, কিন্তু সর্বোপরি পর্যন্ত আসল কাজ হচ্ছে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে নির্বাচন করা।’
তিনি বলেন, ‘একটি রোডম্যাপ উপস্থাপন করুন এবং আপনি কখন কী করবেন তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন। সেটা করতে পারলে মানুষের আস্থা থাকবে। জনগণ নির্বাচনের তারিখ জানতে চায়, কবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তা জানতে চায়।’
বিএনপিপন্থী পেশাজীবীদের একটি সংগঠন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ সালের ‘সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান’ স্মরণে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে হতাশ বিএনপি
বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় যেতে চায় না: বুলু
১ দিন আগে
নির্বাচনি সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অবস্থানের সমালোচনা করলেন মঈন খান
সংস্কারের পর নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অবস্থানকে অযৌক্তিক বলে সমালোচনা করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীতে এক কর্মশালার উদ্বোধনকালে সরকারের সমালোচনা করেন তিনি।
মঈন আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে প্রয়োজনীয় নির্বাচনি সংস্কার সম্পন্ন করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা।
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কার করবে, কেউ এর বিরোধিতা করছে না। তবে সমস্যা হচ্ছে, আজ আমি যে সংস্কার বাস্তবায়ন করছি তা আগামীকাল পুনর্বিবেচনা করার প্রয়োজন হতে পারে।’
রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কারের রূপরেখা নিয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা সত্যিকার অর্থে কখনো শেষ হয় না। তিনি বলেন, 'এটা বলা অযৌক্তিক যে, আমরা সংস্কার সম্পন্ন করব এবং তারপর নির্বাচন দেব, দেশ পরিচালনার দায়িত্ব জনগণের হাতে তুলে দেব। সংস্কার চলছে, এই যুক্তি মেনে নেওয়া যায় না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারকে বুঝতে হবে যে সংস্কার একটি চিরস্থায় প্রয়োজন। কারণ সভ্যতা নিজেই ক্রমাগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায়। ‘সংস্কার শেষ হবে কবে? সংস্কার সম্পন্ন হলেই নির্বাচন হওয়া উচিত, এমন কোনো যুক্তি থাকতে পারে না।’
আরও পড়ুন: জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে হতাশ বিএনপি
তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে বিপ্লবের নেতৃত্বদানকারী তরুণ ও বিভিন্ন পেশার মানুষ তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। ‘জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনাই এ সরকারের প্রধান দায়িত্ব।’
জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা যাবে বলে আস্থা প্রকাশ করেন ড. মঈন। ‘প্রকৃতপক্ষে জনপ্রতিনিধিরাই সংসদ গঠন করবেন, যে সংসদ সরকার প্রতিষ্ঠা করবে।’
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ৩১ দফা রাষ্ট্রীয় সংস্কারের রূপরেখা বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। জনগণ ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনলে শাসন নয়, জনগণের সেবার দায়িত্ব আমরা নেব আমরা।
তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, বিএনপি কাগজে-কলমে সংস্কার সমর্থন করে না, বরং এমন সংস্কারের পক্ষে, যাতে সত্যিকার অর্থে জনগণ উপকৃত হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি শহীদদের নামে প্রতিষ্ঠান-স্থাপনার নামকরণ করবে: তারেক
১ দিন আগে
বিএনপি শহীদদের নামে প্রতিষ্ঠান-স্থাপনার নামকরণ করবে: তারেক
শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক গণআন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
হুইল চেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, বিএনপি যদি জনসমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করতে পারে তবে শহীদদের নামে সারা দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার নামকরণ করা হবে।
তিনি বলেন, 'আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সামর্থ্য অনুযায়ী সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য আমি সমাজের প্রতিটি মানুষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি ‘
সোমবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে শেখ হাসিনার স্বৈরাচারবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পঙ্গু ১০ ব্যক্তির মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আমরা বিএনপি পরিবার।
তারেক বলেন, জনগণের হারানো অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দীর্ঘ ১৭ বছরের সংগ্রামে বিপুলসংখ্যক মানুষ বিভিন্ন পর্যায়ে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দেশ এখন স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। এটি অর্জন করতে দলমত নির্বিশেষে বাংলাদেশ জুড়ে বহু মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: দেশ পরিচালনায় সরকারের অযোগ্যতাকে বরদাশত করবে না জনগণ: তারেক
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করার সংগ্রামে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবারের পাশাপাশি যারা আহত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের পাশে দাঁড়ানো সবার দায়িত্ব।
তারেক বলেন, ‘তারা দেশের জন্য এই ত্যাগ স্বীকার করেছেন, যাতে আমরা যারা বেঁচে আছি, তারা যেন স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারি। দলমত নির্বিশেষে আমাদের কর্তব্য হচ্ছে সাধ্যমতো তাদের এবং তাদের পরিবারের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া।’
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আহত ও পঙ্গু ব্যক্তিদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা, পুনর্বাসন এবং শহীদদের পরিবারকে সহায়তা করার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি সরকার গঠন করলে স্বৈরাচার অবসানে জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের নামে সারা দেশে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করার প্রস্তাব করবে। এর ফলে এই নায়কদের নাম কখনও মুছে যাবে না।’
তিনি বলেন, বিএনপি সারা দেশে আন্দোলনের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিসহ সকল পঙ্গু ব্যক্তিকে তাদের পরিবারের বোঝা না করে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আন্দোলনের বাইরেও সমাজে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা জন্মগতভাবে বা অন্য কোনো কারণে প্রতিবন্ধী হয়ে গেছেন। দেশের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে কেউ প্রতিবন্ধী হলে তা পরিবারের ওপর ভারী বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। ব্যক্তিগতভাবে আমার ইচ্ছা এসব মানুষের স্বাস্থ্য স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানোর উপায় খুঁজে বের করা।’
তিনি আরও বলেন, বিএনপি যখন ভবিষ্যতে সরকার গঠন করবে, তখন সারা দেশে এ ধরনের পরিবারগুলোকে সহায়তা করার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকবে। তারা আর্থিকভাবে সচ্ছল হোক বা না হোক। ‘আমরা রাষ্ট্র থেকে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্য রাখব, যাতে এই পঙ্গু ব্যক্তিরা যতটা সম্ভব স্বাবলম্বী হতে পারে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি ফিরলে ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বৈরাচার দমনের অঙ্গীকার তারেকের
এসব পরিবারের সহায়তায় দেশের আর্থিকভাবে সচ্ছল ব্যক্তিদের সহযোগিতার আহ্বানও জানান তারেক।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমরা সবাই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে আমরা আমাদের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করতে পারব।’
সভায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপি ও যারা শেখ হাসিনার সরকারকে হটানোর আন্দোলন করেছে তাদের সমর্থনে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। ‘আমরা এখনও এই সরকারকে সমর্থন করছি।’
তবে সংস্কারের জন্য সরকারের চার বছরের মেয়াদ নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য উদ্বেগের বিষয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, রাজনীতিবিদরা যুগ যুগ ধরে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার করবেন, বর্তমান সরকার কিছু পরামর্শ দিতে পারে।
তিনি বলেন, কিছু জটিলতা বা কোনো অশুভ পরিকল্পনার কারণে সরকার সংস্কারের নামে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করতে পারে। ‘এটা আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। দেশের মানুষ জানতে চায় সংস্কার ও নির্বাচনের জন্য কেন চার বছর সময় লাগবে।’
আরও পড়ুন: তারেকের জন্মদিন পালনের কর্মসূচি নেই বিএনপির
২ দিন আগে
জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে হতাশ বিএনপি
জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা না করায় হতাশা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সফল করতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি না করতে বিএনপি নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে রবিবার জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণে অনেকেই খুশি হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমি কিছুটা হতাশ। আমি আশা করেছিলাম প্রধান উপদেষ্টা তার সমস্ত প্রজ্ঞা দিয়ে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করবেন এবং নির্বাচনের একটি রূপরেখা দেবেন।’
আরও পড়ুন: বিএনপিকে যারা থামাতে গিয়েছে, তারাই ধ্বংস হয়েছে: আমীর খসরু
মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এই আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসুক বা না আসুক নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের অর্ধেক সমস্যার সমাধান সম্ভব।
তিনি বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে নির্বাচিত সরকার গঠিত হলে যারা বাংলাদেশের ক্ষতি করতে চায়, অস্থিতিশীল করতে চায় এবং দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে চায় তারা পিছু হটতে বাধ্য হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা শুধু সংস্কার চাই না, আমরা সেগুলোর উদ্যোগ নিয়েছি এবং আমরা তা করব। আমরা আপনাদেরকে জনগণ-স্বীকৃত পদ্ধতিতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। আমরা এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করিনি, বরং আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে আপনাদের পাশে আছি।’
স্বৈরাচারের সহযোগীরা সচিবালয়ে তাদের পদে বহাল থাকা অবস্থায় সরকার কীভাবে সংস্কার করবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় যেতে চায় না: বুলু
মির্জা ফখরুল বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি এই সরকার ও তরুণরাই নতুন বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি ১৭ বছর সংগ্রাম করলেও শেষ পর্যন্ত ছাত্ররাই শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। ‘তাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো দূরত্ব তৈরি করা উচিত হবে না। এটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। শিক্ষার্থীরা অনেক কিছু বলছে এবং তাদের সেই অধিকার আছে।’
তিনি বলেন, বিএনপি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সংস্কার চায়। তা না হলে মানুষের মনে ধারণা জন্মাবে যে, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার জন্য সরকারের খারাপ উদ্দেশ্য রয়েছে। ‘আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, জাতির কল্যাণে নির্বাচন করতে হবে।’
ফখরুল বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করেই নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ হিসেবে জাতির জন্য মাওলানা ভাসানীর অবদানের কথা স্মরণ করেন। তার উপস্থিতি আমাদের সমগ্র অস্তিত্বে অনুভূত হয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, সাধারণ পরিবারে জন্ম নেওয়া ভাসানী ছিলেন একজন ব্যতিক্রমী ও কিংবদন্তি জাতীয় নেতা।
এর আগে রবিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনি সংস্কারের সিদ্ধান্ত হলেই সরকার নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবে।
আরও পড়ুন: পাবনায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
২ দিন আগে
দেশ পরিচালনায় সরকারের অযোগ্যতাকে বরদাশত করবে না জনগণ: তারেক
জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার ও আস্থা গড়ে তুলে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
দলের একটি ইউনিটের কাউন্সিলে দেওয়া বক্তব্যে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দেশ পরিচালনায় সরকারের অযোগ্যতা পেলে জনগণ তা বরদাশত করবে না।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। জনগণ নির্ভয়ে,স্বাধীনভাবে ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ভোট দিতে এবং তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রত্যাশা করে।
তিনি বলেন, সরকার ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে যদি জনগণ সরকারের প্রতি তাদের আস্থা বজায় রাখতে পারে। ‘জনগণ যখন দেখবে সরকার সত্যিকার অর্থেই তাদের ভোটাধিকার ও অন্যান্য মৌলিক অধিকার সমুন্নত রাখতে কাজ করছে, তখন স্বাভাবিকভাবেই সরকারের প্রতি তাদের আস্থা আরও গভীর হবে।’
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের তৃতীয় জাতীয় কাউন্সিলের সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি জনগণের ন্যূনতম দাবিও পূরণ করতে পারে তবে ষড়যন্ত্রকারীদের সমস্ত অপচেষ্টা বৃথা যাবে।
তারেক রহমান বলেন, 'জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা না গেলে আমরা যাকেই গণতন্ত্র, উন্নয়ন বা সংস্কার বলি না কেন, এর কোনোটিই টেকসই হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘নাগরিকের রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রধান মাধ্যম হচ্ছে ভোটের অধিকার। জনগণকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ না দিলে রাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ও অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে না।’
তারেক বলেন, দেশ-বিদেশের ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী ও তাদের সহযোগীদের পাশাপাশি প্রশাসনের ভেতরেও থাকা প্রেতাত্মারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। বিএনপি নেতা বলেন, 'তারা যদি এই সরকারকে দুর্বল করতে সফল হয়, তাহলে তারা গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে লালন করা কোটি কোটি বাংলাদেশিকেও ব্যর্থ করবে।’
আরও পড়ুন: জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে পদক্ষেপ নিন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তারেক
তিনি বলেন, এ অবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এমন কিছু সিদ্ধান্ত জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করে জনগণের ওপর সেটাই চাপিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, ‘অনেক ধরনের অসন্তোষ ও ঘাটতি সত্ত্বেও জনগণ সরকারের প্রতি আস্থা ধরে রাখতে চায়। কিন্তু সরকার কি তা চায়? সরকার ও জনগণের মধ্যে আস্থা দৃঢ় ও ঘনিষ্ঠ হলে ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের চক্রান্ত ছড়িয়ে দিতে সফল হবে না।’
তারেক বলেন, প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে নির্মমভাবে আহত এবং প্রায় দুই হাজার ছাত্র ও সাধারণ মানুষকে হত্যার পর শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তখন বিধ্বস্ত প্রশাসন ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব গ্রহণ করে। মাত্র তিন মাসে ১৫ বছর ধরে মাফিয়া সরকারের সৃষ্ট জঞ্জাল দূর করা অসম্ভব হলেও এই সময়ের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সফলতা বা ব্যর্থতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন তোলা অযৌক্তিক বা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
তিনি বলেন, সরকারকে মনে রাখতে হবে, জনগণের সব দাবি পূরণ করা সম্ভব নাও হতে পারে। ‘তবে সরকারের মধ্যে যদি যোগ্যতার ঘাটতি থাকে বা জনগণ যদি তা উপলব্ধি করে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই তারা তা মেনে নেবে না।’
তারেক আরও বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় যদি ভুলভাবে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করা হয়, তাহলে তা সরকারের অদক্ষতার লক্ষণ হিসেবে দেখবে জনগণ।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, গণঅভ্যুত্থানে আহতরা সম্প্রতি সুচিকিৎসার দাবিতে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এটি দেশের সকল গণতন্ত্রকামী মানুষের জন্য, বিশেষ করে সাধারণ নাগরিক ও বিবেকবানদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক দৃশ্য। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা ও নিরাপত্তা কেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অগ্রাধিকার নয়? অথবা তাদের অগ্রাধিকারের তালিকায় এটি কোথায় দাঁড়িয়ে আছে?'
তিনি আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সরকার বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যর্থ হওয়ায় সমাজের সর্বস্তরের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
‘সুতরাং আরেকটি প্রশ্ন উঠছে, দ্রব্যমূল্য কমানো সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন অগ্রাধিকার তালিকায় কোথায়? প্রশ্ন তোলেন তারেক।
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সব পদক্ষেপকে সবাই সাফল্য হিসেবে দেখতে পারে না। তবে অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকারের ব্যর্থতা আমাদের সবার ব্যর্থতা। এটা অবশ্যই আমাদের স্বীকার করতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গত ১৫ বছরে স্বৈরাচারী সরকারগুলো দেশকে আমদানি ও বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভরশীল করে তুলেছে। এ অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে।’
তাদের দল ইতোমধ্যে রাষ্ট্রের ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব পেশ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য একটি ঐতিহাসিক দলিল।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশ এখন এক সংকটময় সময় পার করছে।‘আমাদের অবশ্যই এই সময়টি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পরিচালনা করতে হবে।’
জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নির্বাচনি সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নিয়ে দলের ভাবমূর্তি সংরক্ষণের জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তারেক।
জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি ফখরুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ড. এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি ফিরলে ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বৈরাচার দমনের অঙ্গীকার তারেকের
তারেকের জন্মদিন পালনের কর্মসূচি নেই বিএনপির
৪ দিন আগে
আ.লীগ আফ্রিকান মাগুর, সবই খেয়ে ফেলত: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ ছিল আফ্রিকান মাগুর মাছের মতো। যা পেত সবই খেয়ে ফেলত। এছাড়া ১৬ বছর আওয়ামী লীগ নিজেদের লোকজনকে লুটপাটের গণতন্ত্র দিয়েছিল।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হরণ করেছিল। তাই দেশে এখন গণতন্ত্র আনতে অচিরেই নির্বাচন দরকার। এই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হলে সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
বরিশালের বাকেরগঞ্জে শনিবার (১৬ নভেম্বর) জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিদেশ থেকে দেশে নিয়ে আসা ১৮ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার ১৭ লাখ কোটিই পাচার করেছে আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: পরাজিত ফ্যাসিস্টরা ভূত-পেত্নির মতো আওয়াজ দিচ্ছে: রিজভী
শেখ হাসিনা রক্ত পিপাসু, ক্ষমতায় টিকে থাকতে হাজার হাজার মানুষ খুন করেছেন বলেও মন্তব্য করেন রুহুল কবির রিজভী।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা দেশকে নিজের বাবার জমিদারি মনে করতেন। তাই তিনি নিজের ইচ্ছে মতো দেশ পরিচালনা করেছেন, ব্যাংক লুট করেছেন। বিরোধী দলের ওপর খুন, গুম, নির্যাতন চালিয়েছেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ভারতে পলাতক অবস্থায় থেকেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে বিএনপির দুই নেতাকে হত্যা করিয়েছেন।
ফ্যাসিবাদ পুনরায় যেন ক্ষমতায় না আসতে পারে সে বিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে বলে জানান বিএনপির এই নেতা।
তিনি আরও বলেন, তাহলেই ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ সার্থক হবে।
আমরা বিএনপি পরিবার’র উদ্যোগে উপজেলার দুধল ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা ডিগ্রি কলেজ মাঠে এই সভা হয়।
এর আগে তিনি সুন্দরকাঠী গ্রামে শহীদ আরিফুর রহমান রাসেলের কবর জিয়ারত করেন।
আমরা বিএনপি পরিবারের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুম্মানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান ও মাহাবুবুল হক নান্নু, বরিশাল নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক, যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন ও সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার, জেলা বিএনপির (দক্ষিণ) আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান ও সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহিন, বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব নাসির হাওলাদার, পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির জমাদ্দার ও সাধারণ সম্পাদক শাহিন তালুকদার প্রমুখ।
সভার শুরুতে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বরিশাল বিভাগের ৩১টি শহীদ পরিবারকে উপহার সামগ্রী তুলে দেন রিজভী।
দেশের ২৮টি জেলার ১৫০ শহীদ পরিবারকে সহায়তা করা হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা।
আরও পড়ুন: মুজিবের ছবি অপসারণ নিয়ে বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন রিজভী
শেখ মুজিবের ছবি সরানো উচিত হয়নি: রিজভী
৪ দিন আগে