রাজনীতি
টেলিভিশনে নির্বাচনি প্রচারে সব প্রার্থীকে সমান সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ ইসির
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ সব বেসরকারি চ্যানেলের নির্বাচনি প্রচারে সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ইসি সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) ও তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন মল্লিকের সই করা ওই চিঠি চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়, সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচনি পরিবেশ সৃষ্টি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে সকল প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ তৈরি করে দিয়ে নির্বাচনি পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আসন্ন নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান, সাক্ষাৎকার, টকশো বা নির্বাচনি সংলাপ প্রচারের সময় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর প্রতি সমান সুযোগ নিশ্চিত করার বিষয়েও চিঠিতে বলা হয়।
রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫-এর বিধি ২৫ উল্লেখ করে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমে নির্বাচনি সংলাপে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী বা দলের প্রতিনিধি কোনো ব্যক্তিকে আক্রমণ করে বক্তব্য দিতে পারবে না।
চিঠিতে সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশনসহ অন্যান্য গণমাধ্যমে নির্বাচনি সংলাপ বা অনুষ্ঠান প্রচারের ক্ষেত্রে সকল প্রার্থী যাতে সমান সুযোগ পান এবং কোনো দল বা প্রার্থীকে হেয়প্রতিপন্ন করা না হয়, সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
‘সামনে কঠিন পথ’, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান তারেক রহমানের
দেশে ‘ষড়যন্ত্র থেমে নেই’ উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সতর্ক করে বলেছেন, ‘সামনের পথ অসম্ভব কঠিন। কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে।’ এ অবস্থায় দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার লন্ডনের সিটি প্যাভিলিয়নে লন্ডন বিএনপির আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে তারেক রহমান বলেন, ‘আমি এক বছর আগে আপনাদের বলেছিলাম যে, সামনে কিন্তু আমাদের কঠিন সময়। ষড়যন্ত্র থেমে নেই এবং এই নির্বাচনও কিন্তু খুব সহজ নয়। আপনারা অনেকেই কিন্তু ব্যাপারটা এখন বুঝতে পারছেন। এক বছর আগে যা বলেছি, সেটা কিন্তু হচ্ছে। এখন আমি আবারও বলছি, সামনের সময় কিন্তু খুব সুবিধের নয়। কাজেই সকলকে সজাগ থাকতে হবে, সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
হলভর্তি প্রবাসী বিএনপি কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কী ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারবেন?’ কর্মী-সমর্থকরা সমবেত কণ্ঠে ‘হ্যাঁ’ বলেন।
তখন তারেক বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারলেই আমরা আমাদের এই যে পরিকল্পনার (দেশ গড়ার পরিকল্পনা) কথা বললাম, তা সফল করতে পারব, ঐক্যবদ্ধ থাকলেই আমরা আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে পারব, ঐক্যবদ্ধ থাকলেই আমরা বাংলাদেশে জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারব।’
যুক্তরাজ্যের উদাহরণ টেনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই ব্রিটেনে যে আপনারা আছেন, এই দেশে জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা আছে বলেই এই দেশের মানুষ তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় না। বাংলাদেশের মানুষ বহু বহু যুগ ধরে তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। কাজেই আসুন, বাংলাদেশের মানুষের ন্যায্য অধিকার যদি ফিরিয়ে দিতে হয়, যেকোনো মূল্যে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ না থাকার কোনো বিকল্প নেই আমাদের।’
১৪ ঘণ্টা আগে
‘নিরাপত্তা শঙ্কায়’ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন নারায়ণগঞ্জের বিএনপির প্রার্থী
নিরাপত্তার শঙ্কার কথা জানিয়ে ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সদর ও বন্দর উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনের প্রার্থী এ ঘোষণা দেন।
মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেন, ‘নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণার পর থেকেই পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন। ঢাকায় ওসমান হাদির উপর গুলির ঘটনার পর তারা আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।’ তাই পরিবারের অনুরোধেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, তিনি তার প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়টি জানাতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।
‘সংবাদ সম্মেলনেই এ কথা প্রথম জানালাম। বিষয়টি দলকেও বুঝিয়ে বলব,’ বলেন মাসুদুজ্জামান।
গত শুক্রবার রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদি। চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করেন চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা আততায়ী। গুলিটি লাগে হাদির মাথায়। গুরুতর আহত হাদিকে শুরুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও পরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সোমবার তাকে নেওয়া হয় সিঙ্গাপুরে।
এ ঘটনার পর নির্বাচনের প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে অনেক দলের পক্ষ থেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করে তাদের নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানানো হয়। এ অবস্থায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে রাজনৈতিকভাবে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ব্যক্তি এবং নির্বাচনের প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে কিছু উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যেই প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন মাসুদুজ্জামান মাসুদ।
হঠাৎ করে তার দেওয়া এ ঘোষণায় আশ্চর্য হয়েছেন তার অনুসারী নেতা-কর্মীরাও। তাদের কেউ কেউ সংবাদ সম্মেলনে মাসুদের প্রতি ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।
মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক চৌধুরী দলের প্রার্থী মাসুদুজ্জামানকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীদের এভাবে ফেলে চলে যেতে পারেন না আপনি। আমরা অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আপনার পাশে নেমেছি। আপনার এ সিদ্ধান্ত আমরা মানি না।
জিয়া সমাজকল্যাণ পরিষদের মহানগর শাখার সদস্যসচিব নাঈম খন্দকার বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগেও শহীদনগরে তিনি পূর্ব-নির্ধারিত একটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। সেখান থেকে এসেই এমন ঘোষণা দিলেন। আমরা এ সিদ্ধান্তে আশ্চর্য হয়েছি। আমরা কিছুই জানতাম না।’
১ দিন আগে
স্বাধীনতার শত্রুরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়: মির্জা ফখরুল
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায় জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তবে গণতন্ত্রকামী মানুষ তাদের সেই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেবে।
তিনি বলেছেন, ‘স্বাধীনতার শত্রুরা, যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে একাত্তর সালে অবস্থান নিয়েছিল; আজকে তারা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়।
‘বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষ, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ—তাদের সমস্ত ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দিয়ে অবশ্যই বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে অটুট রাখবে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে ইনশাল্লাহ।’
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, সেই যুদ্ধ আমরা ডিসেম্বর মাসের ১৬ তারিখে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেছিলাম। এজন্য এদিনটি আমাদের কাছে বিএনপির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
‘আমরা স্বাধীনতার ঘোষকের মাজার জিয়ারত করেছি, শ্রদ্ধা জানিয়েছি। আমরা আজকে শপথ নিয়েছি, আমরা স্বাধীনতাকে অক্ষুণ্ন রাখবার জন্য আমাদের যে সংগ্রাম, সেই সংগ্রাম সবসময় অব্যাহত থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শপথ নিয়েছি, বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা যে সংগ্রাম করছি, সেটা অবশ্যই আমরা অব্যাহত রাখব; একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র অবশ্যই প্রতিষ্ঠা করব।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মহান বিজয় দিবসের দিনে আমি আমার দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের পক্ষ থেকে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের যারা শহীদ হয়েছেন—তাদের প্রতি আমরা জানাচ্ছি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি।
‘একই সঙ্গে আমরা আল্লাহ তালার কাছে প্রার্থনা করছি এদেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য যিনি নিরন্তর সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন সেই মহান নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন। আমরা তার রোগমুক্তির জন্য পরম করুণাময় আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া চাইছি।’
ফখরুল বলেন, আমরা আশা করছি, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে আসবেন। তিনি এসে গণতন্ত্রের লড়াইকে আরও বেগবান করবেন।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহ উদ্দিন আহমদ,চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দলটির সহযোগী সংগঠন মুক্তিযোদ্ধা দল, যুব দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, কৃষক দল, মৎস্যজীবী দল, তাঁতী দল, ড্যাব ও ছাত্র দলের পক্ষ থেকেও জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নেতা-কর্মীরা। এ সময় তারা নানা স্লোগান দেন।
এর আগে সকালে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে বিএনপি নেতা-কর্মীরা সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
১ দিন আগে
পদ বাঁচাতে তিন উপদেষ্টাকে তিন দাবি পূরণের আল্টিমেটাম ডাকসুর
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ৩ দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে স্বরাষ্ট্র, আইন ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েমের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বৈঠকে এই আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
ডাকসুর পক্ষ থেকে প্রথম দাবিতে বলা হয়, ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের সঙ্গে জড়িত প্রত্যক্ষ হামলাকারী, পরিকল্পনাকারী ও সহায়তাকারী সব সন্ত্রাসীকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। একইসঙ্গে গোয়েন্দা সংস্থাসহ রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট সব অর্গানকে (অঙ্গ সংস্থাকে) দ্রুত জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। যাদের গাফিলতি প্রমাণিত হবে, তাদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবিও জানানো হয়। পাশাপাশি এই হামলাকে সমর্থন ও উসকানি দেওয়া ‘কালচারাল ফ্যাসিস্টদের’ সামাজিকভাবে সম্পূর্ণ বয়কটের আহ্বান জানানো হয়। এসব পদক্ষেপ দ্রুত দৃশ্যমান করার দাবি করে ডাকসু।
দ্বিতীয় দাবিতে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে এলাকাভিত্তিক চিরুনি অভিযান শুরুর আহ্বান জানানো হয়। নিষিদ্ধ সংগঠনের সব স্তরের নেতাকর্মী ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানিয়ে বলা হয়, এ বিষয়ে সরকারের অবহেলা আর মেনে নেওয়া হবে না।
তৃতীয় দাবিতে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে মানবতাবিরোধী অপরাধে দেওয়া রায় কার্যকরের দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে গণহত্যাকারী ও অভিযুক্তদের আশ্রয় দেওয়ার প্রতিবাদে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানানো হয়। অভিযুক্তদের ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করা যাবে না বলেও দাবি জানানো হয়।
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেলে করে আসা দুই আততায়ীর একজন চলন্ত রিকশায় থাকা ওসমান হাদির মাথায় গুলি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
কিন্তু সেখানে অবস্থার খুব বেশি পরিবর্তন না হওয়ায় আজ (সোমবার) দুপুরে হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়েছে। দুপুর ২টার দিকে হাদিকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
২ দিন আগে
হাদির ঘটনা বিচ্ছিন্ন, নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা নেই: সিইসি
আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই বলে পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলকভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর সকালে রাজধানীর গুলশান-১ এ অবস্থিত আলোকিতে ‘জেনভোট ফেস্টিভ্যাল’ উদ্বোধনের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এবং সবার সহযোগিতায়। গতকালই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি। তারাও পুরোপুরি প্রস্তুত।
‘নির্বাচন পর্যন্ত শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সম্পূর্ণ প্রস্তুতির কথা গতকালই আমাদেরকে জানিয়েছে। আপনারা সব দুশ্চিন্তা ঝেড়ে দিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। সঠিক সময়ে, সঠিকভাবে একটা সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন আমরা দেখতে পাব।’
এ সময় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গ টেনে সিইসি ঘটনাটিকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেন।
বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের পথে বাধা কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা অবনতি হলো কোথায়? মাঝেমধ্যে দুই-একটা খুনখারাবি হয়। এই যে হাদির একটা ঘটনা হয়েছে, আমরা এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করি।’
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে অতীতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টার এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়ার প্রসঙ্গ টেনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা তো সবসময় ছিল। আগে আহসানউল্লাহ মাস্টারের সঙ্গেও এ রকম হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা হয় বাংলাদেশে, এটা নতুন কিছু না।’
তিনি বলেন, ‘মিডিয়াসহ বিভিন্ন মহলে নির্বাচন নিয়ে কিছু আশঙ্কা হয়তো আছে, তবে আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো সংশয় নেই। আমরা সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। ইনশাআল্লাহ, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তা হবে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে, সবার সহযোগিতা নিয়ে।’
এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা গতকালই আমাদের শীর্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেছি এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি। আমাদের বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তারা নিশ্চিত করেছে, নির্বাচনের সময় পর্যন্ত শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকবে এবং সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনে তারা সক্ষম। আপনারা মিডিয়াতে হয়তো দেখেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের প্রস্তুতির কথা আমাদের জানিয়েছে।
‘আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন, নির্বাচন সঠিক সময়ে, সঠিকভাবে, একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। জাতিকে আমরা যে ওয়াদা দিয়েছি, নির্বাচন কমিশন তা পরিপালনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আশা করি, আমাদের পরবর্তী নির্বাচন হবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পেছনে ফিরে যাইনি। এখন তরুণদের ওপর ভর করে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা আশা করি, আমাদের পরবর্তী নির্বাচন হবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন। দেশের বিশেষ জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ যখন আমি দেখি, তখন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আমি আরও বেশি উৎসাহিত বোধ করি।’
আসন্ন নির্বাচনকে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে নির্বাচনের কমিশনের প্রধান বলেন, ‘আমি বারবার বলে থাকি, এই নির্বাচনটি একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন। কারণ এই নির্বাচনে প্রথমবারের মতো আমরা ডাকযোগে (পোস্টাল ব্যালট) আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের আওতায় এনেছি। গত ৫৪ বছর ধরে যা হয়নি, এবার আমরা সেটা করছি।
‘এবার আমরা প্রায় ১০ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ যারা ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকেন, তারা কোনোদিন ভোট দিতে পারতেন না। আমরা এবার তাদেরও ভোটের ব্যবস্থা করছি—পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে। কারাবন্দিদের জন্য ভোটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, প্রবাসীদের জন্য করা হচ্ছে এবং যেসব সরকারি কর্মচারী নিজ নির্বাচনী এলাকার বাইরে আছেন, তাদের জন্যও ভোটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সর্বোপরি এবার একটি গণভোটও একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে। এই সমস্ত দিক থেকে এটি নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক। আমরা যে সাহস করে এই পথে নেমে পড়েছি, আমাদের এই সাহসী পদক্ষেপের সঙ্গে যদি আপনাদের সবার, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ থাকে, ইনশাআল্লাহ আমরা সফল হব। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন একা সফল হতে পারে না। সবাইকে নিয়েই আমরা এটি করব।’
অনুষ্ঠানে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, সেকেন্ড সেক্রেটারি (পলিটিক্যাল এফেয়ার্স) ফিলিপ বার্নিয়ার আর্ক্যান্ড, বৃটিশ হাইকমিশনের হেড অব পলিটিক্যাল টিমোথি ডাকেট, সুইডেন দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন ইভা স্মেডবার্গ, আইএফইএস কান্ট্রি ডিরেক্টর পল গেরিন ও ইসি সচিব আখতার হোসেনসহ অন্যান্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
আজকের ‘জেনভোট ফেস্টিভ্যাল’-এ তরুণদের ভোটদানে উৎসাহিত করতে মক ভোটিং, কমিকস, ক্যারিকেচার, আর্ট ফেস্টিভ্যালসহ নানা আয়োজন রয়েছে। ভোট সংক্রান্ত তথ্য প্রদানের জন্য বসেছে স্টল এবং তরুণ ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ভোটারদের জন্য আকর্ষণীয় সেশনও আয়োজন করা হয়েছে।
এই উদ্যোগে সহযোগী হিসেবে রয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইউকে ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট, সুইডিশ এম্ব্যাসি, ক্যানাডিয়ান তহবিল বা সিএফএলআই এবং ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেকটোরাল সিস্টেমস।
২ দিন আগে
তারেক রহমানের দেশে ফেরার সংবর্ধনা হবে নজিরবিহীন: মির্জা ফখরুল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার পর তাকে নজিরবিহীন সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এমন সংবর্ধনা দেওয়া হবে, যা অতীতে কোনো নেতা এই দেশে পাননি।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা দলের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া আদায় করতে চাই যে, আমাদের আমাদের নেতা দীর্ঘ ১৮ বছর নির্বাসনে থাকার পরে আগামী ২৫ ডিসেম্বর আমাদের মাঝে এসে উপস্থিত হবেন। এটা আমাদের জন্য অনেক অনুপ্রেরণার বিষয়।’
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আসুন, আমরা ২৫ তারিখে তাকে এমন এক সংবর্ধনা জানাই, যেটা অতীতে কখনো কোনো নেতা বাংলাদেশে পায়নি। আমরা সবাই প্রস্তুত আছি, ইনশাল্লাহ।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা এত উদ্বেগের মধ্যে এই সংবাদে অনুপ্রাণিত হয়েছি। একদিকে আমাদের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনি অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আছেন। অন্যদিকে এক অনিশ্চয়তা, তার মধ্যে আমাদের সেই নিশ্চয়তার (তারেক রহমান) আলো যিনি আমাদের দেখাচ্ছেন, আমাদের যিনি সামনে পথ দেখাচ্ছেন, সেই নেতা আমাদের মাঝে এসে উপস্থিত হবেন ২৫ তারিখে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, জকে বাংলাদেশের মানুষকে ভাবতে হবে, তারা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পক্ষে থাকবে নাকি স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তির পক্ষে থাকবে। আমি মনে করি, যারা স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনে দুইটা শক্তি আছে। একটা উদার গণতন্ত্রপন্থি শক্তি। আরেকটা পিছিয়ে পড়া শক্তি। যারা ধর্মের নামে দেশকে বিভক্ত করতে চায়, সেই শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, যেভাবে উঠেছিল ১৯৭১ সালে। তারা এখন এমনভাব দেখাচ্ছে যে, তারা নতুন বাংলাদেশ বির্নিমাণ করবে।
তিনি আরও বলেন, নতুন ফ্যাসিস্ট আবার জাগতে আমরা দিতে পারি না। পিছিয়ে পড়তে দিতে পারি না। আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।
কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটের হলে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের উদ্যোগে বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘জাতির ক্রান্তিলগ্নে গণতন্ত্র রক্ষায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল জয়নুল আবেদিন, মুক্তিযোদ্ধা দলের অবসরপ্রাপ্ত মিজানুর রহমান, নজরুল ইসলাম, এম এ হালিম, এম এ হাকিম খান, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের সদস্য সচিব কেএম কামরুজ্জামান নান্নুনহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
৩ দিন আগে
হাদিকে গুলির মতো ঘটনা আরও ঘটতে পারে: আশঙ্কা ফখরুলের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোববার সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশ যখন একটা নতুন অধ্যায়ের দিকে একটা নতুন সূর্য দেখছে, বাংলাদেশর মানুষ স্বপ্ন দেখছে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণ করবে। ঠিক সেই সময় আবার নতুন করে বাংলাদেশের শত্রুরা হত্যাকাণ্ডে মেতে উঠেছে। গত পরশু যে ঘটনা ঘটেছে (ওসমান হাদির ওপর হামলা) আমরা তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছি এবং আমরা আশঙ্কা করছি যে এরকম আরও ঘটনা ঘটতে পারে।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, যখন পাক হানাদার বাহিনীর পরাজয় অসাধ্য হয়ে উঠেছে, চতুর্দিক থেকে যখন মুক্তিবাহিনী ঢাকা ঘিরে ফেলেছে, সেই সময়ে পাক হানাদার বাহিনী এই বাংলাদেশে সমস্ত মেধাকে বিনষ্ট করে দেওয়ার জন্য এই দেশের সমস্ত বুদ্ধিজীবীদের তুলে তুলে নিয়ে গিয়ে দোসরদের সঙ্গে তারা যোগসাজশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, গবেষক, কবি সাহিত্যিক, সাংবাদিকসহ অনেককেই তারা তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে। এভাবেই আমরা আমাদের সর্বশেষ্ঠ সন্তানদের হারাই। এটা একটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে সম্পূর্ণভাবে মেধাহীন করে দেওয়ার জন্য এই হত্যাকাণ্ডটা ঘটানো হয়। আজকে আমাদের এই দিনে বার বার আমরা সেই কথা মনে করি। একইভাবে আমরা সবাই জানি যে, ২০২৪ সালে আমাদের সন্তানদের গণহত্যা করা হয়েছে। আজকে বাংলাদেশ যখন একটা নতুন অধ্যায়ের দিকে একটা নতুন সূর্য দেখছে, বাংলাদেশর মানুষ স্বপ্ন দেখছে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণ করবে সেই সময় আবার নতুন করে বাংলাদেশের শত্রুরা এই হত্যাকাণ্ডে মেতে উঠেছে। গত পরশু যে ঘটনা ঘটেছে আমরা তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছি এবং আমরা আশঙ্কা করছি যে, এইরকম আরও ঘটনা ঘটতে পারে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে আমাদের নেত্রী যিনি অসুস্থ, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া তার পক্ষ থেকে আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আমরা শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এসেছি, শ্রদ্ধা জানিয়েছি। আমরা এই শপথ নিয়েছি যে, আমরা যে কোনো মূল্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করবো, স্বর্বভৌমত্বকে রক্ষা করবো এবং গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। এই দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের সবার প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আমাদের নেতা আমাদের প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এই বাংলাদেশের যে আমূল পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলেন তার প্রতি আমরা গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ সিনিয়র নেতারা এবং ঢাকা মহানগর ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
৩ দিন আগে
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন খন্দকার মোশাররফ
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটি সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ডক্টর খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সস্ত্রীক সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে খন্দকার মোশাররফের ছোট ছেলে খন্দকার মারুফ হোসেন ইউএনবিকে বলেছেন, সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে তিনি ডাক্তার দেখাবেন। মস্তিষ্কে টিউমারের ফলো-আপ চিকিৎসার জন্য তাকে একাধিক পরীক্ষা করা হবে।
পরিবারের পক্ষ থেকে তিনি দেশের মানুষের কাছে তার বাবার সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনায় দোয়া চেয়েছেন।
‘ফ্যাসিবাদবিরোধী’ আন্দোলনের সময়ে ২০২৩ সালের ১৭ জুন রাজধানীতে বিএনপির এক পদযাত্রায় অসুস্থ হয়ে পড়লে খন্দকার মোশাররফকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আট দিন চিকিৎসা নেন তিনি। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে ২৭ জুন তাকে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মস্তিষ্কে টিউমার ধরা পড়ে। সেখানে দুই মাস ১০ দিন চিকিৎসার পর ৫ সেপ্টেম্বর তিনি ঢাকায় ফেরেন।
কিন্তু আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে ৫ ডিসেম্বর তাকে ফের এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসকেরা পরবর্তীতে তাকে আবারও সিঙ্গাপুরে গিয়ে চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচার করার পরামর্শ দেন।
২০২৪ সালের ২৭ জানুয়ারি সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে খন্দকার মোশাররফের মস্তিস্কে টিউমারের সফল অস্ত্রোপচার হয়। চিকিৎসা শেষে তিনি ২১ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরেছিলেন।
৩ দিন আগে
দেশের রাজনীতিকে মেধাশূন্য করতেই হাদির ওপর গুলি: বাংলাদেশ ন্যাপ
বাঙ্গালি জাতিকে মেধাশূন্য করতেই স্বাধীনতার উষালগ্নে দেশের শ্রেষ্ঠসন্তান শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাংবাদিকসহ হাজারো বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করেছে পরাজিত অপশক্তি ও সাম্রাজ্যবাদী-আধিপত্যবাদী অপশক্তি। ঠিক তেমনিভাবে বাংলাদেশের রাজনীতিকে মেধাশূন্য করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সাহসী সেনানী, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার লক্ষ্যে গুলি করা হয়েছে। এটি শুধু একটি দুঘর্টনা নয়, এর পেছনের প্রকৃত রহস্য অত্যন্ত গভীর, যা সরকারকে খুজে বের করতে হবে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ‘১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেছেন।
শহিদ বুদ্ধিজীবীদের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তারা বলেন, ‘দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন উৎসর্গকারীদের অবদান কোনো দিন ম্লান হবে না। শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আকাঙ্ক্ষিত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণে আমাদের জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি করা সময়ের দাবি।’
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর এই সশস্ত্র হামলা জুলাই অভুত্থান, গণতন্ত্র, আইনশৃঙ্খলা ও নাগরিকদের নিরাপত্তার ওপর সরাসরি আঘাত। দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য দাঁড়িয়েছিল বলেই জুলাই অভ্যুত্থানের সাহসী সেনাদের ১৪ ডিসেম্বরের মতো দেশকে ব্যর্থ করার সুদূরপ্রসারী অশুভ পরিকল্পনার অংশ বলেই প্রতিয়মান হচ্ছে। এই আক্রমণ নিঃসন্দেহে নির্বাচনি পরিবেশ বানচাল করে গণতন্ত্রকেই অকার্যকর করার নীলনকশা।’
তারা বলেন, ‘১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ১৪ ডিসেম্বর এক কালো অধ্যায়। রক্ত দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ গণতন্ত্রের প্রশ্নে কোনো আপস চলবে না। বহুদলীয় গণতন্ত্রের জন্যেই স্বাধীনতার সংগ্রাম আর শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ। সুতরাং স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জুলাই চেতনার ভিত্তিতেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আকাঙ্ক্ষিত জনগণের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সংগ্রামের কোনো বিকল্প নাই।’
হুশিয়ারি উচ্চারণ করে তারা আরও বলেন, ‘কেউ যদি দেশে আবার নতুন করে ফ্যাসিবাদ বা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায়, তাহলে খুব দেরি হবে না, জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে এবং রুখে দাঁড়াবে। জুলাইয়ে আমাদের সন্তানরা আত্মত্যাগ করেছে ক্ষমতা কিংবা পদ-পদবির জন্য নয়। দেশকে সংস্কার, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া ও ফ্যাসিবাদের চির অবসানের লক্ষ্যে তারা গুলির মুখে বুক পেতে দিয়েছিল ও ফ্যাসিবাদকে চ্যালেঞ্জ করেছিল এবং বিশ্বাস করেছিল বাংলাদেশ ভিন্ন হতে পারে। দেশকে সঠিক পথের সন্ধান দেওয়ার জন্য এই লড়াই আমাদের চালিয়ে যেতে হবে।’
৪ দিন আগে