সোমবার বিকালে কেশবপুরের সাগরদাঁড়ি বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, বাঙালি রেনেসাঁর শ্রেষ্ঠ কবি মহাকবি মাইকেল মুধুসূদন দত্ত। তার হাত ধরেই বাঙালি সংস্কৃতিতে স্বদেশ প্রেম ও জাতীয়তাবোধের বিকাশ ঘটেছে। বিশ্ব সাহিত্যে বাংলা ভাষার যোগাযোগ ঘটিয়েছেন মুধুসূদন দত্ত।
যশোরে কলেজছাত্র শিমুল হত্যায় গ্রেপ্তার ৫
আলোচনা সভার আগে মধুপল্লীতে মাইকেল মধুসূধন দত্তের আবক্ষ মূর্তিতে শ্রদ্ধাজ্ঞলি জ্ঞাপন করেন জেলা প্রশাসকসহ উপজেলা প্রশাসন, কেশবপুর প্রেসক্লাব, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, চারুপীট আর্ট স্কৃলসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন।
মধুমঞ্চে আলোচনা অনুষ্ঠানে সভপতিত্ব করেন কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন।
এছাড়া সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম রুহুল আমিন, কেশবপুর থানার ওসি জসীম উদ্দীন, সাগরদাঁড়ি ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত, মধু গবেষক কবি খসরু পারভেজ ও প্রভাষক কানাইলাল ভট্টাচার্য। সঞ্চালনায় ছিলেন মাসুদুর রহমান ও উজ্জ্বল ব্যানার্জী।
চাকরির লোভ দেখিয়ে ভারতে পাচার, যশোরে নারীর যাবজ্জীবন
আলোচনা শেষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনা করেন স্থানীয় শিল্পীরা।
প্রসঙ্গত, মহাকবি মাইকেল মধুসূদনের জন্মদিবস উপলক্ষে কেশবপুরের সাগরদাড়িতে প্রতিবছর সাতদিনব্যাপী আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গ্রামীন মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে।