লাইফস্টাইল
ঢাকা-সিলেট রুটে বিমানের ভাড়া পুনর্নির্ধারণ
ঢাকা-সিলেট রুটে বিমান ভাড়ার উচ্চমূল্য নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ ও সমালোচনার মুখে ভাড়া পুণর্নিধারণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সিলেটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মিডিয়া সেল থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানানো যাচ্ছে যে, সিলেট-ঢাকা-সিলেট রুটে যাত্রীসেবা উন্নয়ন এবং বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় বিমানের ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঢাকা-সিলেট রুটে নতুন ভাড়া কাঠামো
সর্বনিম্ন ভাড়া: ২,০২৪ (দুই হাজার চব্বিশ) টাকাট্যাক্সসহ মোট: ৩,১৯৯ (তিন হাজার একশত নিরানব্বই) টাকা।
সর্বোচ্চ ভাড়া: ৭,০২৪ (সাত হাজার চব্বিশ) টাকাট্যাক্সসহ মোট: ৮,১৯৯ (আট হাজার একশত নিরানব্বই) টাকা।
ঢাকা-সিলেট রুটে বিমানের উচ্চ ভাড়া নিয়ে সিলেটজুড়ে কিছুদিন ধরে ক্ষোভ বিরাজ করছিল। ভাড়া কমানোর দাবিতে আন্দোলন চলমান ছিল সিলেটে। আন্দোলকারীদের দাবি, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দুর্বস্থার সুযোগে দাম অস্বাভাবিক বাড়িয়ে দিয়েছে অসাধু সিন্ডিকেট।
৬ দিন আগে
বৈশ্বিক টিকাদান অঙ্গনে ইন্দোনেশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করে চলেছে বায়ো ফার্মা ও ডিসিভিএমএন
বিশ্বব্যাপী সাশ্রয়ী, নিরাপদ ও মানসম্মত টিকার ন্যায্য প্রাপ্তি নিশ্চিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর টিকা উৎপাদনকারী নেটওয়ার্ক বা ডিসিভিএমএন-এর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় ওষুধ ও টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান পিটি বায়ো ফার্মা (পারসেরো)।
২০০০ সালে নেটওয়ার্কটি গঠনের পর থেকেই বায়ো ফার্মা উন্নয়নশীল দেশগুলোর টিকা স্বনির্ভরতা ও জনস্বাস্থ্য সক্ষমতা বৃদ্ধির অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে ভূমিকা পালন করে আসছে।
বায়ো ফার্মা ও ডিসিভিএমএনের এই সহযোগিতামূলক যৌথ কার্যক্রম শুরু হয় নেটওয়ার্কের সূচনালগ্নেই। ২০০০ সালে নেদারল্যান্ডসের নর্ডউইকে অনুষ্ঠিত নেটওয়ার্কটির প্রথম বার্ষিক সাধারণ সভায় বায়ো ফার্মা ছিল ১০টি প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের একটি। পরের বছর, অর্থাৎ ২০০১ সালের এপ্রিলে ইন্দোনেশিয়ার ব্যান্ডুংয়ে দ্বিতীয় বার্ষিক সভার আয়োজন করে বায়ো ফার্মা, যেখানে নেটওয়ার্কের কাঠামো ও পরিচালনব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্ধারণ করা হয়। বায়ো ফার্মার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডিরেক্টর থামরিন পুয়েলোয়েংয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভাটি ইন্দোনেশিয়াকে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে টিকা সহযোগিতা ও জ্ঞান বিনিময়ের কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডিরেক্টর শাদিক আকাসিয়া বলেন, বায়ো ফার্মার সক্রিয় অংশগ্রহণ ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় স্বার্থ ছাড়িয়ে বৈশ্বিক স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অবদান রাখার প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
তিনি বলেন, “ডিসিভিএমএন প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বায়ো ফার্মার নেটওয়ার্কটিতে সম্পৃক্ত হওয়া কেবল প্রতিনিধিত্বের জন্য নয়, বরং বৈশ্বিক টিকা স্বনির্ভরতা অর্জনে সত্যিকারের অবদান রাখার জন্য। সহযোগিতা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে আমরা সবার জন্য ন্যায্য ও টেকসই স্বাস্থ্যসমাধান দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
আকাসিয়া আরও বলেন, “সহযোগিতার মধ্যেই উন্নয়নশীল দেশগুলোর টিকা শিল্পের প্রকৃত শক্তি নিহিত। ডিসিভিএমএনে সক্রিয় ভূমিকার মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে প্রত্যেক দেশ নিরাপদ, মানসম্পন্ন ও সাশ্রয়ী টিকার নাগাল পাবে— যা বৈশ্বিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় ইন্দোনেশিয়ার বাস্তব অবদানের প্রতিফলন।”
২০০৪ সালে নেদারল্যান্ডস ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউটের সঙ্গে প্রযুক্তি হস্তান্তর সহযোগিতার মাধ্যমে বায়ো ফার্মা ডিসিভিএমএনের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে মিলে পেন্টাভ্যালেন্ট (ডিপিটি–হেপবি–হিব) টিকার প্রাপ্যতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি প্রমাণ করে, এই নেটওয়ার্কে বায়ো ফার্মার অবদান শুধুমাত্র প্রতীকী নয়, বরং প্রযুক্তিগত ও বাস্তবধর্মী।
২০১২ সালে বালিতে পুনরায় ডিসিভিএমএনের ত্রয়োদশ বার্ষিক সভা আয়োজন করে ইন্দোনেশিয়া। সে সময় বায়ো ফার্মার পরিচালক মাহেন্দ্র সুফারদোনো ডিসিভিএমএনের নির্বাহী কমিটির সভাপতি হিসেবে (২০১৩–২০১৪ মেয়াদে) নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০২৩–২০২৫ মেয়াদের জন্য নেটওয়ার্কের বোর্ড চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয় বায়ো ফার্মা, যা উন্নয়নশীল দেশগুলোর টিকা শিল্পে ইন্দোনেশিয়ার নেতৃত্বের স্বীকৃতি বহন করে।
সহযোগিতার বাইরে বায়ো ফার্মা উদ্ভাবনেও অগ্রগামী। ২০২০ সালে তাদের তৈরি nOPV2 টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) জরুরি ব্যবহার তালিকায় (ইমার্জেন্সি ইউজ লিস্টিং) অন্তর্ভুক্ত প্রথম টিকা হয়, যা বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকটে দ্রুত টিকা ব্যবহারের পথ খুলে দেয়। এই অর্জন কেবল বায়ো ফার্মার বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষতার প্রমাণ নয়, বরং আন্তর্জাতিক তহবিলদাতা, গবেষক, নীতিনির্ধারক, বিজ্ঞানী ও টিকা নির্মাতাদের সঙ্গে সমন্বিত কার্যকর সহযোগিতার ফলাফল।
এই সাফল্য দেখিয়েছে যে, উন্নয়নশীল দেশের একটি প্রতিষ্ঠানও নিরাপত্তা, মান ও কার্যকারিতার সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক মান পূরণ করে বিশ্বমানের উদ্ভাবন করতে পারে। nOPV2 কেবল বৈজ্ঞানিক সাফল্য নয়, এটি প্রযুক্তিগত স্বনির্ভরতার প্রতীক এবং বৈশ্বিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় ইন্দোনেশিয়ার সক্ষমতার প্রতি আস্থার প্রতিফলন। এই অর্জন গবেষণা, উদ্ভাবন ও উৎপাদন সক্ষমতা জোরদারেও ডিসিভিএমএনের সদস্যদের অনুপ্রাণিত করেছে।
বায়ো ফার্মা বছরে ৩৫০ কোটি (৩.৫ বিলিয়ন) ডোজ টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা রাখে এবং বর্তমানে ১২ ধরনের টিকার জন্য ডব্লিউএইচও প্রাক-যোগ্যতা (প্রিকোয়ালিফিকেশন) সনদপ্রাপ্ত। প্রতিষ্ঠানটি ১৫০টিরও বেশি দেশে টিকা সরবরাহ করে এবং ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)-এর টিকা উন্নয়ন, উৎপাদন ও বিতরণে উৎকর্ষ কেন্দ্র (সেন্টার অব এক্সেলেন্স) হিসেবে স্বীকৃত।
আগামী ২৯ থেকে ৩১ অক্টোবর আরও একবার ডিসিভিএমএনের বার্ষিক সাধারণ সভার আয়োজন করতে চলেছে ইন্দোনেশিয়া। বালিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা বৈশ্বিক স্বাস্থ্য কূটনীতিতে নেতৃত্ব পুনর্নিশ্চিত করতে দেশটির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হবে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে বায়ো ফার্মা বৈশ্বিক স্বাস্থ্য খাতে উদ্ভাবন, সহযোগিতা ও টিকা স্বনির্ভরতার প্রচেষ্টা আরও জোরদার করার অঙ্গীকার করেছে, যাতে আরও টেকসই ও ন্যায্য বৈশ্বিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ে ওঠে।
ডিসিভিএমএন
উন্নয়নশীল দেশগুলোর টিকা উৎপাদনকারী নেটওয়ার্ক বা ডিসিভিএমএন ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি বৈশ্বিক জোট, যার সদস্য ১৭টি উন্নয়নশীল দেশের ৪৬টি টিকা নির্মাতা সংস্থা। এর লক্ষ্য হলো মানসম্পন্ন টিকার ন্যায্য প্রাপ্তি নিশ্চিতের মাধ্যমে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যকে শক্তিশালী করা। সংগঠনটি সদস্যদের মধ্যে যৌথ গবেষণা, সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং প্রতিটি দেশকে সাশ্রয়ী ও জীবনরক্ষাকারী টিকা উৎপাদনে সক্ষম করে তুলতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, জিএভিআই, সিএপিআই, পিএটিএইচ, সিএইচএআই ও বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে।
বায়ো ফার্মা
পিটি বায়ো ফার্মা (পারসেরো) ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জীবনবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক। ১৮৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটি ব্যান্ডুংয়ে সদর দপ্তর স্থাপন করার পর থেকে ১৫০টিরও বেশি দেশে টিকা সরবরাহ করছে। বায়ো ফার্মা বায়োটেকনোলজি গবেষণা, উদ্ভাবন ও বৈশ্বিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তা জোরদারে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। ডিসিভিএমএনের সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বব্যাপী টিকার ন্যায্য প্রাপ্তি ও জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় অবদান রেখে চলেছে।
সূত্র: এশিয়া নেট
৪২ দিন আগে
অমর একুশে বইমেলা শুরু হবে ১৭ ডিসেম্বর
অমর একুশে বইমেলা ২০২৬ এবার আয়োজন হতে যাচ্ছে ভিন্ন আঙ্গিকে। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন থেকে অমর একুশে বইমেলা শুরু হলেও এবার ডিসেম্বরের মধ্যভাগে এই মেলা শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলা একাডেমি বলেছে, আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত অমর একুশে বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে।
আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে বাংলা একাডেমির শহীদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে অমর একুশে বইমেলা ২০২৬-এর তারিখ নির্ধারণসংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও পবিত্র রমজানের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, একাডেমির সচিব ও পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলা প্রতিবছর ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে আয়োজিত এ মেলায় প্রকাশিত হয় বিপুলসংখ্যক নতুন বই। মাঝখানে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে একাধিকবার মেলা মার্চ-এপ্রিল মাসেও অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
৭৭ দিন আগে
ঢামেকে ৬ সন্তানের জন্ম দিলেন এক নারী
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ছয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন প্রিয়া নামের এক প্রসূতি। ওজন কম হওয়ায় তিনটি শিশুকে ঢামেকে এবং অপর তিনটিকে বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে (নবজাতকের জন্য নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউ) রাখা হয়েছে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে ঢামেকের ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে তিনটি ছেলে ও তিনটি মেয়ে প্রসব করেন ওই নারী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগের এক নম্বর ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবিদা সুলতানা বলেন, ‘গতরাতে আমাদের এখানে প্রিয়া নামের এক গর্ভবতী নারী ভর্তি হন। পরে আজ সকালে তিনি ছয়টি সন্তানের জন্ম দেন।’
‘তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এটি ‘বেবি’ বলা যায় না, এটি আসলে ২৭ সপ্তাহের ইনএবিটেবল অ্যাবরশন।’
তিনি জানান, এর আগে একটি পূর্ণবয়স্ক শিশুর জন্ম দিয়েছিলেন প্রিয়া, কিন্তু সেটি ডেলিভারির সময় মারা যায়। এবার জন্ম নেওয়া ছয় নবজাতকের মধ্যে তিনটির ওজন ৯০০ গ্রামের মতো এবং বাকি তিনটির ওজন প্রায় ৮০০ গ্রাম।
ডা. আবিদা সুলতানা বলেন, ‘শিশুদের মধ্যে তিনটি ঢামেকের এনআইসিইউতে এবং অন্য তিনটি বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে চিকিৎসাধীন। এখন পর্যন্ত আলহামদুলিল্লাহ সবাই জীবিত আছে, ভালো আছে।’
এই চিকিৎসকের মতে, আমাদের দেশে চিকিৎসকেরা ২৮ সপ্তাহকে ভ্রূণের জীবনোপযোগী বয়স হিসেবে গণ্য করেন। কিন্তু এই নারীর ক্ষেত্রে সেই সময়ের আগেই ডেলিভারি হয়েছে। ফলে শিশুদের প্রাণ-সংকট রয়েছে। তবে ঢামেকের উন্নত এনআইসিইউ সুবিধা থাকায় ভাগ্যে থাকলে তারা বেঁচে যেতেও পারে।
৮১ দিন আগে
রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসার বিস্ফোরণ কেন হয়? জেনে নিন প্রতিরোধের উপায়
বাংলাদেশে রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসার বিস্ফোরণের ঘটনা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ধরনের দুর্ঘটনা সাধারণত বিদ্যুৎ সংযোগের ক্রুটিপূর্ণতা, কম্প্রেসারের অতিরিক্ত গরম হওয়া, শর্ট সার্কিট, এবং পুরনো বা নিম্নমানের যন্ত্রাংশ ব্যবহারের কারণে ঘটে থাকে।চলুন জেনে নেই ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আরও বিস্তারিত।
রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসার কি? এটি কিভাবে কাজ করে?
রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসার হচ্ছে ফ্রিজের মূল চালিকা শক্তি, যেটি রেফ্রিজারেন্ট গ্যাসকে চাপ দিয়ে সঞ্চালন করায় এবং ঠান্ডা করার পুরো প্রক্রিয়াটি সচল রাখে।
এই যন্ত্রাংশটি রেফ্রিজারেন্ট গ্যাসকে কম চাপ থেকে উচ্চচাপে রূপান্তরিত করে কনডেনসারে পাঠায়, যেখানে গ্যাস তরলে পরিণত হয়ে তাপ বাইরে ছড়িয়ে দেয়। এরপর সেই তরল গ্যাস ইভ্যাপোরেটরে গিয়ে আবার গ্যাসে পরিণত হয় এবং আশেপাশের তাপ শোষণ করে ফ্রিজের ভেতরের অংশকে ঠান্ডা রাখে।
এই পুরো প্রক্রিয়ায় কম্প্রেসার মোটরের সাহায্যে গ্যাসকে বারবার চাপ দেয় এবং সঞ্চালন ঘটায়, যার ফলে ফ্রিজ ক্রমাগত ঠান্ডা হতে থাকে। মূলত কম্প্রেসার ছাড়া ফ্রিজ কোনোভাবেই কাজ করতে পারে না, কারণ এটি না থাকলে গ্যাসের চাপ পরিবর্তন ও সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যাবে, আর ফ্রিজ ঠান্ডা করার ক্ষমতা হারাবে।
আরো পড়ুন: গরম পানির গিজার: জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, মডেল, ধরন ও দাম
রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসার বিস্ফোরণের কারণ কি
রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসার বিস্ফোরণের মূল কারণ সাধারণত কয়েকটি বিষয় থেকে হয়ে থাকে।
প্রথমত, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট বা তারের সমস্যা হলে অতিরিক্ত কারেন্ট প্রবাহিত হয়ে কম্প্রেসার অতিরিক্ত গরম হয় এবং ভেতরে চাপ (Pressure) বেড়ে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
দ্বিতীয়ত, গ্যাস লিকেজ বা অতিরিক্ত গ্যাস ভরা থাকলে সেটি কম্প্রেসারের ভেতরে অস্বাভাবিক চাপ তৈরি করে এবং তাপমাত্রা বেশি হয়ে গেলে বিস্ফোরণ হতে পারে। তৃতীয়ত, ভেতরে তেল বা গ্যাসের রাসায়নিক বিক্রিয়া (যেমন অশুদ্ধ রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার) হলে তা দাহ্য অবস্থার সৃষ্টি করে।
এছাড়া কম্প্রেসারের ভেতরে ভেন্টিলেশনের সমস্যা বা কুলিং ফ্যান না চললে অতিরিক্ত তাপ জমে যায়, যা বিস্ফোরণের ঝুঁকি বাড়ায়।
এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সর্বদা সঠিক ভোল্টেজ ব্যবহার করা, মানসম্মত স্ট্যাবিলাইজার লাগানো, অনুমোদিত টেকনিশিয়ানের মাধ্যমে সার্ভিস করা এবং নকল বা অশুদ্ধ রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার না করা জরুরি।
আরো পড়ুন: ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায়
রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসার বিস্ফোরণ প্রতিরোধের উপায়
রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসার বিস্ফোরণ প্রতিরোধের জন্য কিছু বিষয় খুব গুরুত্বের সঙ্গে মেনে চলা প্রয়োজন।
- খেয়াল রাখতে হবে ভোল্টেজ ওঠানামা যেন কম্প্রেসারের ক্ষতি না করে, তাই একটি মানসম্মত ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করা নিরাপদ। - সবসময় অনুমোদিত ও সঠিক রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করতে হবে, কারণ নকল বা ভুল ধরনের গ্যাস ভেতরে অস্বাভাবিক চাপ সৃষ্টি করে বিস্ফোরণের ঝুঁকি বাড়ায়। - নিয়মিত সার্ভিস ও রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে গ্যাস লিক, বৈদ্যুতিক তার এবং কম্প্রেসারের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত, এতে সম্ভাব্য সমস্যা আগেই ধরা যায়। - ফ্রিজের তার বা প্লাগ যেন কখনও ক্ষতিগ্রস্ত বা ঢিলা না থাকে, কারণ সেখান থেকে শর্ট সার্কিট হতে পারে। - কম্প্রেসারের চারপাশে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে, যাতে অতিরিক্ত তাপ জমে না থাকে। - টেকনিশিয়ানদের দিয়ে অতিরিক্ত গ্যাস ভরানো থেকে বিরত থাকতে হবে, কারণ এতে প্রেসার বেড়ে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। - ফ্রিজ সবসময় সমতল স্থানে স্থাপন করতে হবে যাতে কম্প্রেসারের ভেতরে অস্বাভাবিক চাপ তৈরি না হয় - ঘরে অগ্নি-নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা উচিত। রান্নাঘরে বা ফ্রিজের পাশে ছোট ফায়ার এক্সটিংগুইশার রাখুন, জরুরি সময় কাজে আসবে।
সব মিলিয়ে সঠিক ব্যবহার, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপদ বৈদ্যুতিক সংযোগ নিশ্চিত করলে রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসার বিস্ফোরণের ঝুঁকি সহজেই এড়ানো সম্ভব।
আরো পড়ুন: মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ: কারণ ও বাঁচার উপায়
১০৩ দিন আগে
জন্মাষ্টমীর ইতিহাস ও তাৎপর্য
শুভ জন্মাষ্টমী, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণ অষ্টমী তিথিতে মথুরায় কংসের কারাগারে জন্ম নিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। সেই পুণ্য তিথির স্মরণে পালন হয় জন্মাষ্টমী।
সনাতন ধর্ম অনুযায়ী, যখনই পৃথিবীতে অধর্ম বেড়ে গিয়ে ধার্মিক ও সাধারণের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে, তখনই দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের মাধ্যমে ধর্মের রক্ষার জন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অবতাররূপে ধরায় নেমে আসেন।
দিনটিতে শ্রীকৃষ্ণের পূজাসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
শ্রীকৃষ্ণের জন্মকাহিনী সম্পর্কে জানা যায়, দ্বাপর যুগে অত্যাচারী রাজা কংসের নৃশংসতায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল মথুরাবাসী (ভারতের)। কংসের হাত থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা শুরু করে তারা। ভক্তের ডাকে সাড়া দেন ভগবান।
একদিন আদরের ছোট বোন দেবকী ও তার স্বামী বসুদেবকে নিয়ে রথে চড়ে যাচ্ছিলেন রাজা কংস। এমন সময় দৈববাণী হলো, ‘বোন দেবকীর অষ্টম সন্তানই হবে তোর মৃত্যুর কারণ।’
দৈববাণী শুনে সঙ্গে সঙ্গে বোনকে হত্যা করতে উদ্যত হলেন রাজা কংস, তবে বসুদেব তাকে এই বলে নিবৃত্ত করলেন, ‘আমাদের দুজনকে কারাগারে আটকে রাখুন। আমাদের সন্তান হলে আপনার হাতে তুলে দেওয়া হবে। জন্মের পরই আপনি তাদের হত্যা করে নিজের প্রাণ সংশয় কাটাবেন।’
বসুদেবের যুক্তি কংসের মনঃপুত হলো। তিনি তাদের কারাবন্দি করলেন। তারপর থেকে একে একে ছয়টি সন্তান কংসের হাতে তুলে দেন দেবকি ও বসুদেব, তবে সপ্তম সন্তান হাতে নেওয়ার পরই সে হাসতে হাসতে শূন্যে ভেসে যায়। যাওয়ার সময় সে কংসকে ‘তার মৃত্যু অবধারিত’ বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে যায়।
পরে ভাদ্র মাসের শুক্লা পক্ষের অষ্টমী তিথির রাতে অষ্টম সন্তানের জন্ম দেন দেবকি। সে রাত ছিল ঝড়-ঝঞ্চাপূর্ণ। বৈরী আবহাওয়ার কারণে কারাগারের ফটকে কোনো রক্ষী সে সময় পাহারায় ছিল না।
এমন সময় এক দৈববাণীতে সদ্যোজাত ছেলেসন্তানকে নিরাপদে গোকুলে নন্দ-যশোদা দম্পতির কাছে রেখে আসতে বলা হয়। এ সময় কারাগারের দরজাও খুলে যায়। ফলে বসুদেব ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে ছেলেকে নিয়ে গোকুলে যশোদার পাশে রেখে আসেন। আর সঙ্গে নিয়ে আসেন যশোদার সদ্যোজাত মেয়েকে।
পরে গোকুলেই বড় হতে থাকেন শ্রীকৃষ্ণ। পরবর্তী সময়ে দ্বারকার রাজা হয়ে তিনি যুদ্ধে মথুরারাজ কংসকে পরাজিত ও হত্যা করেন।
সেই থেকে শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি ভাদ্র মাসের শুক্লা অষ্টমীতে জন্মাষ্টমী পালন করে থাকেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তারা বিশ্বাস করেন, পাশবিক শক্তি যখন সত্য, সুন্দর ও পবিত্রতাকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়, তখনই ধর্ম সংস্থাপনের জন্য ভক্তের প্রার্থনায় সাড়া দিয়ে ঈশ্বর অবতার রূপে পৃথিবীতে আসেন। ষড়গুণ অর্থাৎ শৌর্য, বীর্য, তেজ, জ্ঞান, শ্রী ও বৈরাগ্যসম্পন্ন পূর্ণাবতাররূপে প্রকাশিত হন কৃষ্ণ।
অনন্ত সর্বশক্তিমান সত্তায় শাশ্বত সত্যরূপে শ্রীকৃষ্ণকে বিষ্ণুর সবচেয়ে অপরূপ অবতার বলে মনে করা হয়। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন জন্মাষ্টমীতে শ্রীকৃষ্ণের আরাধনায় জগতের সব সুখ লাভ হয়; মঙ্গল হয় পরিবার, দেশ ও সমাজের। তাই তো শুধু মথুরা নয়, শ্রীকৃষ্ণের লীলাক্ষেত্র বৃন্দাবন থেকে শুরু করে সারা বিশ্বের সনাতন ধর্মাবলম্বীরাই তিথিটি ভক্তিভরে পালন করে থাকেন।
তাদের বিশ্বাস, এই দিনটিতে ব্রত পালন করলে মনের ময়লা দূর হয়; সৎগুণের জয় হয় এবং এর ফলস্বরূপ মৃত্যুর পর জীবাত্মার মুক্তি হয়।
শ্রীমদ্ভগবতগীতায় বলা হয়, ‘যে যেভাবে আমায় আরাধনা করে, আমি সেইভাবে তাকে কৃপা করি।’ এ বিশ্বাসেই মহাকাল ও মহাজগৎ ব্যাপ্ত শ্রীকৃষ্ণের আরাধনায় মত্ত বিশ্বের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেন, ‘যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত। অভ্যুত্থানম ধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম্। পরিত্রাণায় সাধুনাং বিনাশায় চ দুস্কৃতাম্। ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে।’
অর্থাৎ, ধর্মের গ্লানি ও অধর্মের বৃদ্ধির তাৎপর্য হলো ভগবতপ্রেমী, ধর্মাত্মা, সদাচারী, নিরপরাধ মানুষের ওপর নাস্তিক, পাপী, দুরাচার, বলবান ব্যক্তিদের অত্যাচার বৃদ্ধি পাওয়া। মানুষের মধ্যে সদগুণ, সদাচার অত্যন্ত কমে গিয়ে দুর্গুণ-দুরাচার অত্যধিক বৃদ্ধি পায়। আর যখনই এমন পাপাচার শুরু হয় পৃথিবীতে, তখনই শ্রীকৃষ্ণ দুষ্কৃতকারীদের বিনাশ, সাধুর রক্ষা, ধর্ম সংস্থাপনে অবতাররূপে পৃথিবীতে আসেন।
নিজের জন্ম নিয়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেন, ‘আমার জন্ম-মৃত্যু সাধারণ মানুষের মতো নয়। মানুষ জন্মগ্রহণ করে এবং মারা যায়, কিন্তু আমি জন্মরহিত হয়েও আবির্ভূত হই এবং অবিনশ্বর হয়েও অন্তর্ধান করে থাকি। আবির্ভূত হওয়া এবং অন্তর্হিত হওয়া—দুটিই আমার অলৌকিক লীলা।’
গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বলেন, ‘আমি জন্মহীন, অব্যয় আত্মা, ভূতগণের ঈশ্বর হয়েও নিজ প্রতীকে আশ্রয় করে আত্মমায়ায় জন্মগ্রহণ করি।’
যিনি সর্বাপেক্ষা বৃহৎ, তিনিই ভগবান। বেদে তার পরিচয় ব্রহ্ম। আমাদের ষড় ইন্দ্রীয়, আমাদের ক্ষুদ্র মন, আমাদের সংকীর্ণ বুদ্ধি এসবের বহু ঊর্ধ্বে তিনি। তাকে পাওয়া আমাদের সাধ্যের বাইরে, তবে তাকে পাওয়ার জন্য ভক্তের নিরন্তর আকুলতা সৃষ্টিকর্তার মনেও দোলা না দিয়ে পারে না। এ সমস্যার সমাধান করলেন তিনি নিজেই নিত্য ও অনুগ্রহ শক্তির প্রেরণায়।
গীতার ৭/১০ অধ্যায়ে অর্জুনকে শ্রীকৃষ্ণ বলেন, ‘হে পার্থ, আমাকে সর্বভূতের সনাতন বীজ বলিয়া জানিও। আমি বুদ্ধিমানদিগের বুদ্ধি এবং তেজস্বীগণের তেজস্বরূপ।’
৪/১১ অধ্যায়ে শ্রীকৃষ্ণ বলেন, ‘যে যেভাবে আমায় আরাধনা করে, আমি সেইভাবে তাহাকে কৃপা করি।’
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি ও ইসকনসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বাণী দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ সরকারি ছুটি। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনসহ বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলে সম্প্রচারিত হবে বিশেষ অনুষ্ঠান।
শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে কেন্দ্রীয়ভাবে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সকাল ৮টায় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় গীতাযজ্ঞ ও বিকেল ৩টায় ঐতিহাসিক জন্মাষ্টমী মিছিল ও রাতে শ্রীকৃষ্ণ পূজা।
বিকেল ৩টায় পলাশীর মোড়ে ঐতিহাসিক কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী মিছিলের উদ্বোধন হবে। এই ঐতিহাসিক মিছিল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। এছাড়াও নৌবাহিনী প্রধান এ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান এবং নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. মঈন খান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর এই ঐতিহাসিক মিছিল প্রতি বছরের মতোই জগন্নাথ হল, শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট মোড়, বঙ্গবাজার, গোলাপশাহ মাজার হয়ে পুরনো ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে গিয়ে শেষ হবে।
পবিত্র জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান ১৯ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় আয়োজিত হবে আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এবং অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন মজুমদার। সভাপতিত্ব করবেন মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব।
আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) এ উপলক্ষে চার দিনব্যাপী (১৪ থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত) ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্য রয়েছে শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ, ভজন কীর্তন, ভোগ আরতি, মহাপ্রসাদ বিতরণ, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ধর্মীয় নাটক কীর্তন মেলা।
১১১ দিন আগে
কিংবদন্তি চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী আজ
দেশে-বিদেশে খ্যাতি ছড়ানো কিংবদন্তি চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট তিনি নড়াইলের মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এ বছর নানা আয়োজনে শিল্পীর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, প্রদর্শনী, বই প্রকাশনা ও গবেষণা উদ্যোগ।
শনিবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব আয়োজনের কথা জানান এস এম সুলতান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘দ্য লেগেসি অব আর্টিস্ট সুলতান: ইমাজিনেশন, বিউটি অ্যান্ড দ্য পলিটিক্স অব আপলিফটিং দ্য কমন ম্যান’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত আলোকচিত্রী ও কমিটির সদস্যসচিব নাসির আলী মামুন স্বাগত বক্তব্যে বলেন, গত বছর জুলাইয়ের উত্তাল পরিস্থিতির কারণে শিল্পীর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা যায়নি। তাই এ বছর দুই বছরের উদযাপন একসঙ্গে করা হচ্ছে।
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বরেণ্য শিল্পীর জন্মদিন পালন করা হচ্ছে। বৈচিত্র্যময় আয়োজনের মধ্যে রয়েছে— চিত্রকলা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, কর্মশালা এবং এস এম সুলতান স্মারক বক্তৃতা। তাছাড়া শিল্পীর জীবন, কর্ম ও দর্শন নিয়ে বইও প্রকাশ করা হবে।
১১৬ দিন আগে
পটেটো চিপস খেয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনছেন না তো!
আপনি আলু খেতে ভালোবাসেন? উত্তর যদি ‘হ্যাঁ’ হয়, তাহলে আলুর চিপস বা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই দেখলে নিশ্চয়ই আপনার জিভে জল চলে আসার যাওয়ার কথা!
তাহলেই আপনাকেই বলছি। চিপস বা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই জাতীয় খাবার মুখে তোলার আগে একটু থামুন।
সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে, আলুর চিপস মানুষের শরীরে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
অবশ্য এ কারণে আলু খাওয়াই বাদ দিতে হবে, এমন কোনো কিছু নয়। চিপস স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না হলেও আলু সেঁকে, সিদ্ধ করে কিংবা ভর্তা করে খাওয়া যেতে পারে। তাতে স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই।
ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণা অনুযায়ী, সপ্তাহে তিনবার ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি ২০ শতাংশ বাড়ে, আর সপ্তাহে পাঁচবার খেলে এই ঝুঁকি বেড়ে যায় ২৭ শতাংশ পর্যন্ত।
বিশ্বব্যাপী চাল ও গমের পর তৃতীয় সর্বাধিক খাওয়া খাদ্যশস্য হলো আলু।
যুক্তরাজ্যে প্রতি ১০ জন ডায়াবেটিস রোগীর মধ্যে ৯ জনই টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এর সঙ্গে দেশটির জীবনযাপনের ধরন, বিশেষ করে খাদ্যাভ্যাস ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: ধীরেসুস্থে খাবার না খেয়ে বিপদ টানছেন নাতো?
গবেষণায় দেখা গেছে, আলু শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়, তবে আলুকে ভেজে চিপস তৈরি করে তা প্রতিনিয়ত খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সাইয়েদ মোহাম্মদ মুসাভির নেতৃত্বে পরিচালিত এক আন্তর্জাতিক গবেষকদল আলু খাওয়ার সঙ্গে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকির সম্পর্ক পরীক্ষা করেছেন।
এই গবেষণায় ১৯৮৪ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে প্রতি চার বছর অন্তর যুক্তরাষ্ট্রের ২ লাখ ৫ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীর পূরণ করা খাদ্যসংক্রান্ত প্রশ্নাবলি বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
১১৯ দিন আগে
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ঢাবিতে কনসার্ট ও ড্রোন শো
২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে স্মরণীয় করে রাখতে আগামী সোমবার (১৪ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কনসার্ট ও ড্রোন শো প্রদর্শিত হবে।
ওই দিন রাত ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু চত্বরের উপরে প্রদর্শিত হবে ড্রোন শো ‘জুলাই বিষাদসিন্ধু’।
শনিবার (১২ জুলাই) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দিনটি উপলক্ষে আয়োজিত উইমেন ডে কনসার্টে সংগীত পরিবেশন করবেন শিল্পী সায়ান, এলিটা করিম, পারসা এবং ব্যান্ড এফ মাইনর ও ইলা লালা।
১৪৫ দিন আগে
সাপে কাটলে কী করবেন? কোন বিষয়গুলো এড়িয়ে চলা জরুরি?
বৃষ্টি মৌসুমগুলোতে ভারী বর্ষণের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে দেখা দেয় বন্যা। আর বন্যা মানেই নানা ধরণের কীট-পতঙ্গের পাশাপাশি শুরু হয় সাপের উপদ্রব। এমনকি এই চিত্র কেবল গ্রামেরই নয়, শহরাঞ্চলগুলোরও একই অবস্থা। এছাড়া যারা বর্ষার সময় বনে বা পাহাড়ে ঘুরতে যান তাদেরও প্রায় সময় সাপের কবলে পড়তে হয়। তাছাড়া বিগত বছরগুলোতে দেশ জুড়ে সাপে কাটার ঘটনা আশঙ্কাজনক মাত্রায় রয়েছে। সব থেকে উদ্বেগের ব্যাপার হলো- সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে অনেকেই পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হন। তাই চলুন, সাপে কামড়ালে কী করণীয় এবং কোন বিষয়গুলো এড়িয়ে চলতে হবে তা জেনে নেওয়া যাক।
সাপে কাটলে কী করা উচিত
সাপে কাটা ব্যক্তিকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত। হাসপাতালে যাওয়ার পথে আক্রান্ত ব্যক্তির প্রাণরক্ষার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো নেওয়া উচিত:
- সাপে কামড়ানো ব্যক্তি প্রায় ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেক ক্ষেত্রে এই মানসিক অবস্থা প্রাণঘাতী হতে পারে। তাই আক্রান্ত ব্যক্তির ভয় দূর করে তাকে আশ্বস্ত করতে হবে এবং সাহস দিতে হবে। বিশেষত নির্বিষ সাপের দংশনে মৃত্যু হয় না। আর বাংলাদেশের অধিকাংশ সাপেরই বিষ নেই। বিষধর সাপের সংখ্যা খুবই কম। তাছাড়া এগুলো অধিকাংশ সময় শিকারের শরীরে পর্যাপ্ত বিষ ঢুকিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়।
আরো পড়ুন: বর্ষা-বন্যায় বসতবাড়িতে সাপের উপদ্রব মোকাবিলা করবেন যেভাবে
- ব্যক্তির আক্রান্ত অঙ্গকে অবশ্যই স্থির করে রাখতে হবে। খুব বেশি নড়াচড়া করা যাবে না। হাঁটাচলা বা অধিক ঝাঁকুনির সম্মুখীন না করে স্থির ভাবে আধশোয়া অবস্থায় রাখা উত্তম।
- ক্ষতস্থানে একটু চাপ প্রয়োগ করে ব্যান্ডেজ বেধে দিতে হবে। এই প্রাথমিক চিকিৎসাটি প্রেসার ইমোবিলাইজেশন নামে পরিচিত। ব্যান্ডেজের বদলে গামছা, ওড়না বা এ জাতীয় কাপড় ব্যবহার করা যেতে পারে।
- রোগী শ্বাস না নিলে অবিলম্বে তার মুখে শ্বাস দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
- আক্রান্ত স্থান জীবাণুমুক্ত করার জন্য সাবান দিয়ে ধুয়ে ভেজা কাপড় দিয়ে হাল্কা ভাবে মুছে নিতে হবে।পড়নে অলঙ্কার বা ঘড়ি কিংবা তাগা, তাবিজ থাকলে তা খুলে ফেলতে হবে। নতুনবা এগুলো রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, যা চিকিৎসা প্রক্রিয়ার জন্য ক্ষতিকর।
আরো পড়ুন: মরণঘাতী ড্রাগ ‘ডেভিলস ব্রেথ’ বা ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ থেকে বাঁচতে করণীয়
১৪৭ দিন আগে