লাইফস্টাইল
শিশুদের পেটের মেদ কমাতে কী করবেন?
পেটের মেদ বা ভুড়ি নিয়ে স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ উদ্বিগ্ন থাকেন না এমনটি খুঁজে পাওয়া যাবে না। পরিণত বয়সের সচেতন সবাই এটি নিয়ন্ত্রণে বেশ চেষ্টা করেন—নিয়ন্ত্রণ করেন খাদ্যাভাস, করেন নানারকম ব্যায়াম বা শরীরচর্চা।
তবে এটি যে শুধু পরিণতদের জন্য জরুরি, তা কিন্তু নয়—শিশুদের জন্যও এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শিশুদের পেটের চর্বি কমাতেও সচেতন হতে হবে অভিভাবকদের। শিশুদের খাদ্যাভাস কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, কীভাবে শরীরচর্চা করে চর্বি কমানো যায়, আজ সে বিষয়ে গবেষকদের মতামত তুলে ধরব।
অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা বলছেন, শিশুদের পেটের অতিরিক্ত মেদ কমানোর সর্বোত্তম উপায় হলো একটি মিশ্র পদ্ধতি অনুসরণ করা। শিশুদের স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশনের পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চ বা ব্যায়াম হলো এই মিশ্র পদ্ধতি।
আরও পড়ুন: কতটুকু ঘুম দরকার সুস্থ মানুষের?
শনিবার (১২ এপ্রিল) প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যায়াম ও নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাসের সমন্বয় শিশুর স্থূলতা কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। ৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী ৮ হাজার ১০০টির বেশি শিশুর ওপর পরিচালিত ৩৪টি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
চার্লস স্টার্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, পেট এবং অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোর চারপাশে জমা হওয়া চর্বি সাধারণ স্থূলতার চেয়ে বেশি বিপজ্জনক। কারণ এটি হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য দায়ী।
জেএএমএ নেটওয়ার্ক ওপেনে প্রকাশিত এই গবেষণায় বলা হয়েছে, কোমরের আকার কমাতে শুধু খাদ্যাভ্যাস, শুধু ব্যায়াম, সম্পূরক বা ওষুধের মতো স্বতন্ত্র কৌশলগুলোতে উল্লেখযোগ্য ফলাফল দেখা যায়নি।
গবেষণায় উঠে এসেছে, সবচেয়ে সফল কর্মসূচিগুলোর মধ্যে ৬ থেকে ৯ মাস পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরীয়-ধাঁচের বা কম চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ এবং সপ্তাহে ১৫০ মিনিট পর্যন্ত শারীরিক ব্যায়াম বা কার্যক্রম পরিচালনা করা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী শৈশবকালীন স্থূলতার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২২ সালে সারা বিশ্বে আনুমানিক ৯ কোটি ৪০ লাখ মেয়ে এবং ৬ কোটি ৫০ লাখ ছেলেকে প্রভাবিত করেছিল। তাই এই সংখ্যানুপাতিক ফলাফল জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে।
গবেষকরা জোর দিয়ে বলেছেন, উদ্ভুত এই সমস্যাগুলোর সমাধানে সরকার, স্কুল এবং স্বাস্থ্যসেবাদানকারী সংস্থাগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। আর এমন উদ্যোগ নিলে এর ফলাফলগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে অপুষ্টি দূরীকরণ এবং অসংক্রামক রোগে মৃত্যু হ্রাস করার বৈশ্বিক লক্ষ্যগুলোকে পূরণে সহায়তা করবে।
৭ দিন আগে
ধীরেসুস্থে খাবার না খেয়ে বিপদ টানছেন নাতো?
আপনি কি প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ মিনিটের কম সময়ে আপনার সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার কিংবা রাতের খাবার খেয়ে নিচ্ছেন? তাহলে সাবধান! আপনি যদি অতিদ্রুত খাবার গ্রহণ করেন—তাহলে বিপদ জেঁকে বসতে পারে আপনার শরীরে।
একজন মানুষের জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়া যতটা প্রয়োজন, ধীরে ধীরে খাওয়া ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিমত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রচুর শাকসবজি-ফলমূল খাওয়ার পাশাপাশি সময় নিয়ে চিবিয়ে-চিবিয়ে খাওয়াটাও স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে উল্লেখ করেছেন তারা।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দ্রুত খাবার খেলে সেটি গলায় আটকে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। পাশাপাশি কতটুকু খাবার গ্রহণ করা হবে, সে বিষয়ে মস্তিষ্ক মানুষকে সঠিক সময়ে সতর্ক করতে পারে না। ফলে বেশি খেয়ে শরীরের মেদ বাড়ানোর কাজ সহজ হয়।
শুধু কি তাই, রাঁধুনীর কয়েকঘণ্টা ধরে রান্না করা খাবার সামান্য কয়েক মিনিটের মধ্যেই যদি শেষ করে দেওয়া হয়, তিনি মনে কষ্টও পেতে পারেন। আবার ধীরে ধীরে খাবার খান—এমন কোনো ব্যক্তির সঙ্গে খেতে বসে যদি আরেকজন নিমিষেই তার খাবার শেষ করে ফেলেন—সেটিও দৃষ্টিকটু।
তবে কারও ভালো লাগলো কি খারাপ সেই পরোয়া না করলেও নিজের সুস্বাস্থ্যের স্বার্থে প্রতিটি মানুষকে এই বিষয়ে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের কিছু পরামর্শ জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন: অফিসে কাজের ফাঁকে হালকা ক্ষুধা মেটাতে পুষ্টিকর শুকনো খাবার
কত কম সময়ে খেলে সেটি ‘অতিদ্রুত’ হবে?
২০ থেকে ৩০ মিনিটের কম সময়ে যদি কোনো ব্যক্তি তার সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার কিংবা রাতের খাবার খেয়ে নেন—তাহলে ওই ব্যক্তি অতিদ্রুত খাবার গ্রহণ করছেন—এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের সেন্টার ফর বিহেভিয়রাল হেলথের বিশেষজ্ঞ লেসলি হেইনবার্গ বলেন, ‘পেট ভরে গেছে’ পাকস্থলী থেকে হরমোনের মাধ্যমে মস্তিষ্কে —এমন সংকেত পৌঁছাতে প্রায় ২০ মিনিট সময় লাগে।’
তাই যারা দ্রুত খাবার খান, তাদের এই সংকেত না পাওয়ার সম্ভাবনাই থাকে। ফলে পেট ভরে যাওয়ার পরও অনেকে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করেন বলে মত দেন তিনি।
অতিরিক্ত খাবার খেয়ে নিলে ক্ষতি কী?
অনেকেরই মনে প্রশ্ন আসতে পারে, দুমুঠো ভাত না হয় বেশিই খেয়েছেন কিংবা দুটো বেশি রুটি; তাতে কি এমন হয়েছে? এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, অবশ্যই এতে সমস্যা আছে।
লেসলি বলেন, ‘দ্রুত খাবার খাওয়ার ফলে অতিরিক্ত বাতাস গিলে ফেলতে পারে মানুষ। এতে পেট ফাঁপ দিতে পারে কিংবা বদহজম হতে পারে। আবার সময় নিয়ে ঠিকমতো খাবার চিবিয়ে না খেলে হজমেও সমস্যা হতে পারে। এতে খাবারের পুষ্টি ঠিকমতো শোষিত হয় না—এমনকি খাবারের অপর্যাপ্ত টুকরোগুলো খাদ্যনালীতে আটকেও যেতে পারে।’
বিগত সময়ে পরিচালিত কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব মানুষ দ্রুত খাবার খান, তাদের মুটিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। অন্যদিকে যারা ধীরে খাদ্য গ্রহণ করেন, তাদের এই ঝুকিঁ কম।
তাহলে খাবার খাওয়ার গতি কমাবেন কীভাবে?
দ্রুত খাবার খাওয়া যাদের অভ্যাস, এই সংবাদ পড়ে তাদের কপালে ভাঁজ পড়তে পারে। তবে চিন্তার কারণ নেই, বিশেষজ্ঞরা সমস্যার পাশাপাশি সমাধানও বাতলে দিয়েছেন। খাওয়ার গতি কম করতে খাবার গ্রহণের সময়ে প্রথমেই টেলিভিশন ও মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ লেসলি।
লেসলি বলেন,‘টিভি দেখতে দেখতে যারা খাবার খান, তারা সাধারণত কোনো একটি বিজ্ঞাপন বা একটি শো শেষ করা পর্যন্ত খেতে থাকেন। ফলে মস্তিষ্ক কখন পেট ভরে যাওয়ার সংকেত দিয়েছে, তা খেয়াল করতে পারেন না অনেকে।’
৯ দিন আগে
কতটুকু ঘুম দরকার সুস্থ মানুষের?
ধরুন ঘড়ির কাঁটায় বেলা ১২টা বাজছে, আপনি হয়তো তখন এই খবরটি পড়ছেন। এর মানে আপনি গত রাতে ঘুমিয়েছিলেন, তাই এখন জেগে রয়েছেন। আচ্ছা জেগে তো রয়েছেন, আপনি কি নিজেকে সজীব-সতেজ অনুভব করছেন? প্রতিদিনের কাজে নিজেকে প্রাণবন্ত অনুভব করছেন?
একজন মানুষ ঘুম থেকে ওঠার পর তার ঠিকঠাক বিশ্রাম অনুভব হচ্ছে কিনা, তার শরীরের অবসাদ বা ক্লান্তি ঘুমানোর পর কেটেছে কিনা; এই প্রশ্নটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এজন্য পরিমাণ মতো ঘুমানোর পাশাপাশি ঘুম পরিপূর্ণ হওয়াও জরুরি—বলেছেন ঘুম বিশেষজ্ঞরা।
বেশিরভাগ মানুষ তার জীবনের এক-তৃতীয়াংশ ঘুমের জন্য ব্যয় করেন। তবে প্রতিরাতে আট ঘণ্টার বেশি বা কম ঘুমালেই সেটি যথেষ্ট। আবার বয়সের সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ঘুমের পরিমাণেরও পরিবর্তন ঘটে।-খবর এপির
সাধারণত শিশু ও কিশোরদের তুলনামূলক বেশি ঘুমের প্রয়োজন হয়। অন্যদিকে ৬৫ বা তার বেশি বয়সী মানুষ ৭ থেকে ৯ ঘন্টা বা এরচেয়ে কিছুটা কম ঘুমালেও চলে।
তবে সুস্থ থাকার জন্য একজন মানুষের কতটুকু ঘুমানো দরকার, এক্ষেত্রে নারী-পুরুষ কোনো ভেদাভেদ রয়েছে কিনা; এই প্রশ্নও কিন্তু অনেকের মনেই ঘুরপাক খায়। তবে আসুন জেনে নেওয়া যাক, এ বিষয়ে ঘুম বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বা বিজ্ঞানীরা কি বলেন।
আরও পড়ুন: রমজানে রোজা রাখার প্রস্তুতি: দেহ ও মনকে সুস্থ রাখতে করণীয়
বেশি ঘুমানোর থেকে গুরুত্বপূর্ণ ঘুম ভালো হওয়া
ঘুম যেন আস্ত একটি রহস্যের জগৎ। কত শত রহস্য যে এর মধ্যে লুকিয়ে আছে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই, এই নিয়ে বিশ্বজুড়ে গবেষেণাও হয়েছে অনেক। কিছু প্রশ্নের উত্তর মিলেছে, কিছু অজানা। তবে সে যাই হোক, ঠিকঠাক ঘুম হওয়া মানুষের শরীরের সুস্থতার জন্য অতীব প্রয়োজনীয় একটি জিনিস।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘুম বিশেষজ্ঞ ড. রাফায়েল পেলায়ো বলেন, ‘আমরা কেন ঘুমাই, এটার কোনো নির্দিষ্ট কারণ এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে ঘুম আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজন, তাই আমরা প্রতিদিন ঘুমাই।’
তিনি বলেন, ‘ঘুমের সময় অসাধারণ কিছু ঘটে। ঘুম হলো মানুষের নিজের প্রতি যত্ন নেওয়ার সবচেয়ে স্বাভাবিক একটি পন্থা।’
জন হপকিংস হাসপাতালের ঘুম বিষয়ক চিকিৎসক মলি অ্যাটউড বলেন, ‘একজন ব্যক্তি দৈনিক সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমালে তার স্বাস্থ্যঝুঁকি সবচেয়ে কম থাকে। আবার ছয় ঘণ্টার কম বা নয় ঘন্টার বেশি ঘুমালে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। যদিও সব মানুষের শারীরিক অবস্থা একরকম নয়।
বিহেভিয়ারাল স্লিপ মেডিসিন নিয়ে কাজ করেন এই গবেষক। মানে ঘুমের সমস্যা, ঘুম-সংক্রান্ত বিভিন্ন লক্ষণ ও অনিদ্রার চিকিৎসা দিয়ে আসছেন তিনি।
তবে সাত কিংবা নয় ঘণ্টা ঘুমালেই হবে না, ঘুম ভালো হওয়াটা দরকারি বলে মত দিয়েছেন ড. রাফায়েল। তিনি বলেন, ‘আপনি কত ঘণ্টা ঘুমিয়েছেন, তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো—ঘুম থেকে উঠে আপনি সতেজ বোধ করছেন কি না।’
আরও পড়ুন: ঠান্ডা না গরম পানি পান করবেন?
অনেকক্ষণ ঘুমানোর পরেও যদি কেউ শরীরে ক্লান্তি অনুভব করেন, তাহলে নিশ্চয়ই ওই ব্যক্তির ঘুমে কোনো সমস্যা থাকতে পারে বলে ড. রাফায়েলের ধারণা।
তিনি বলেন, ‘প্রিয় খাবারের দোকানে গিয়ে কারও ক্ষুধার্ত হয়ে বের হতে নেই।’ অর্থাৎ একজন মানুষ ঘুমালেন কিন্তু তার শরীরে ক্লান্তি থেকে যাওয়াটা একদমই উচিত নয় বলে মত দিয়েছেন ড. রাফায়েল।
বয়সের সঙ্গে প্রয়োজনীয় ঘুমের পরিমাণে পরিবর্তন
ঘুম প্রতিটি মানুষের জন্যই প্রয়োজন। তবে পরিমাণে তারতম্য রয়েছে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ঘুমের প্রয়োজনীয়তায় পরিবর্তন হতে থাকে। যেমন, নবজাতক শিশুর সবচেয়ে বেশি ঘুম প্রয়োজন—প্রায় ১৪ থেকে ১৭ ঘণ্টা।
মলি বলেন, ‘শিশু ও কিশোরদের বেশি ঘুম দরকার। কারণ এ বয়সে তাদের খুব দ্রুত শারীরিক বৃদ্ধি ঘটে থাকে।’
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের সুপারিশ অনুযায়ী, ২৬ থেকে ৬৪ বছর বয়সী প্রাপ্তবয়স্কদের দৈনিক সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। ৬৫ বা তার বেশি বয়সীদের কিছুটা কম (সাত ঘণ্টার কাছাকাছি), আর ১৬ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণদের সাত ঘণ্টার সামান্য বেশি ঘুম দরকার।
মানুষের ঘুম প্রায় প্রতি ৯০ মিনিটে একটি চক্রে আবর্তিত হয় বলে জানান মলি। তিনি বলেন, রাতের প্রথম ভাগে ঘুম চক্রে গভীর ঘুমের অংশ বেশি থাকে, এটি শরীরের সেরে ওঠা ও সতেজ করে তোলার জন্য অপরিহার্য। এই সময়েই শরীর থেকে ‘গ্রোথ হরমোন’ নিঃসৃত হয় বলে জানান তিনি। এই হরমোনটি মানুষের শারীরিক বৃদ্ধি ও উচ্চতার জন্য প্রয়োজন। হাড়ের গঠন, পেশির বিকাশে এর অবদান রয়েছে।
রাতের শেষভাগের ঘুমে মানুষ সাধারণত স্বপ্ন দেখে থাকে। মানুষের স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য এই ধাপটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন ঘুম বিশেষজ্ঞ মলি। তিনি বলেন, শিশুরা অর্ধেক সময়ই গভীর ঘুমে থাকেন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই পরিমাণ কমতে থাকে।
ঘুমে নারী-পুরুষের মধ্যে কোনো পার্থক্য রয়েছে কিনা
গবেষণাতে এমন কোনো তথ্য পাওয়া না গেলেও গড়ে পুরুষদের তুলনায় নারীরা কিছুটা বেশি ঘুমান বলে মনে করেন মলি অ্যাটউড।
এই পার্থক্য ছোটবেলা থেকেই শুরু হয়ে যায় উল্লেখ করে ড. রাফায়েল বলেন, ‘কিশোরদের তুলনায় কিশোরীরা সাধারণত কম ঘুমান। এমনকি কিছু কিছু কিশোরীকে অনিদ্রা নিয়ে অভিযোগ করতেও শোনা যায়।’
ইউসি বার্কলির ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্ট ও ঘুম গবেষক অ্যালিসন হার্ভে বলেন, প্রথমবার মা হওয়ার পরে রাতে বাচ্চার দায়িত্ব বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মায়েদের ওপর পড়ে, এতে তাদের ঘুম কম হয়। এছাড়া গর্ভাবস্থা ও মেনোপজের সময় হরমোনের প্রভাবেও নারীদের ঘুমের পরিমাণ ও গুণগত মান পরিবর্তিত হতে পারে।
মায়ো ক্লিনিকের স্নায়ুবিশেষজ্ঞ ডা. মিথরি জুনা বলেন, ‘মেনোপজের সময় বিশেষভাবে নারীদের ঘুমের মান কমে যায়। এসময় রাতে বারবার ঘুম ভেঙে যায়। এতে ঘুমের স্থায়িত্ব বেড়ে যায়।’
মলি বলেন, মাসিক চক্র শুরু হওয়ার ঠিক আগে নারীদের কিছুটা বেশি ঘুমের প্রয়োজন হতে পারে। তিনি বলেন, ‘মাঝেমধ্যে মানুষের শরীর জানান দেয়, যে তার আরও কিছুটা ঘুম প্রয়োজন। এটি সবার গ্রাহ্য করা উচিত।’
ঘুম আমাদের শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয়। ঠিকঠাক ঘুম না হলে মানুষের শরীরে ক্লান্তি অনুভব হয়, মেজাজে বিরক্তি আসে, অমনোযোগী হয়ে ওঠেন তারা। দীর্ঘমেয়াদে এই সমস্যাগুলো মারাত্বক হয়ে উঠতে পারে, এমনকি প্রাণঘাতিও হয়ে উঠতে পারে।
মলি জানান, যদি কোনো ব্যক্তির পর্যাপ্ত ঘুম না হয়, অনিদ্রা বা স্লিপ এপনিয়া(ঘুমের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা, যাতে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে) সমস্যা থাকলে, ঠিকঠাকভাবে চিকিৎসা না করানো হলে, তা হতাশা বাড়িয়ে দিতে পারে।
শুধু তাই নয়, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের মতো হৃদরোগজনিত সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায় বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ভিড়যুক্ত শপিংমল ও গণপরিবহনে করোনা সংক্রমণ: সাবধানতায় করণীয়
মলি বলেন, ‘ঘুমের ঘাটতি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়, এমনটি অ্যালজাইমারস রোগেরও শিকার হতে পারেন কেউ কেউ।’
অ্যালজাইমারস এক ধরনের স্নায়বিক রোগ, এতে মানুষ ধীরে ধীরে স্মৃতিশক্তি হারাতে থাকেন। রোগটি অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে রোগীর অবস্থার অবনতি হয়, এমনকি রোগীরে মৃত্যুও হতে পারে।
ঘুম নিয়ে কোনো ধরনের সমস্যা হলে তা অবহেলা না করতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতিনিয়ত ঘুমে সমস্যা হলে প্রাথমিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলেছেন মলি। এতেও যদি সমস্যার সমাধান না হয়, ঘুম বিশেষজ্ঞদের শরণাপন্ন হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
২৫ দিন আগে
ভিড়যুক্ত শপিংমল ও গণপরিবহনে করোনা সংক্রমণ: সাবধানতায় করণীয়
জাতিসংঘের হিউম্যানিটারিয়ান ইনফরমেশন সার্ভিস রিলিফওয়েব অনুসারে, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে পুরো ঢাকা জুড়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সংখ্যা ছিলো ৩২টি। এদের মধ্যে কারোরই মৃত্যু হয়নি। বরং পূর্বের ও জানুয়ারির এই রেকর্ড থেকে মোট আরোগ্য লাভের সংখ্যা দাড়িয়েছিলো ৭২-এ। মোটা দাগে সংক্রমণের এই অনুপাত নিম্নগামী, তবে এখনও তা একদম শূন্যের কোঠায় চলে যাইনি। সুতরাং করোনাকালীন সতর্কতামূলক পদক্ষেপগুলো এখনও বজায় রাখা জরুরি। বিশেষ করে শপিংমল ও গণপরিবহনের মতো ভিড়যুক্ত স্থানগুলোতে সাবধানতা অবলম্বন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলুন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ এবং তা প্রতিরোধে করণীয়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
করোনা সংক্রমণের লক্ষণ
কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ২ থেকে ১৪ দিন পরে দৃশ্যমান হতে শুরু করে উপসর্গগুলো। প্রাথমিক পর্যায়ে লক্ষণগুলো নিতান্তই হাল্কা ভাবে দেখা দেয়। অবশ্য কারও কারও ক্ষেত্রে শুরুতেই গুরুতর আকার ধারণ করে।
কোভিডের নতুন ভেরিয়েন্টের ক্ষেত্রে লক্ষণগুলোতে বেশ পরিবর্তন দেখা যায়। মূলত টিকা দেওয়ার অবস্থার উপর নির্ভর করে এই পরিবর্তন হয়।
আরো পড়ুন: নিরাপদ ব্রয়লার মুরগি কী, কেন খাবেন
অধিকাংশ কেসগুলোতে যে লক্ষণগুলো দেখা দেয়, সেগুলো হলো-
জ্বর বা ঠান্ডা লাগা, কফ, কাশি, শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যাথা, সর্দি, স্বাদ বা গন্ধের অনুভূতি কমে আসা, প্রচন্ড ক্লান্তি, পেশী বা শরীর ব্যথা, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, এবং ডায়রিয়া।
ভিড়যুক্ত শপিংমলে ও গণপরিবহনে করোনা থেকে বাঁচতে করণীয়
.
মান সম্পন্ন মাস্ক পরিধান করা
করোনা ভাইরাস প্রবেশের জন্য মানবদেহের প্রধান অঙ্গগুলো হলো মুখ ও নাক। তাই মাস্ক পরিধানের মতো পুরনো সুরক্ষামূলক ব্যবস্থার কোনও বিকল্প নেই। শপিংমলে কেনাকাটার সময় বিভিন্ন ধরণের মানুষের সাথে কথা বলতে হয়, নানা ধরণের কাপড়-চোপড় ধরে দেখতে হয়। এমনকি এ যাবতীয় কার্যক্রম চলে অত্যন্ত ভিড়ের মধ্যে থেকে।
এছাড়া দেশের জনসাধারণের সবচেয়ে বড় অংশটিই যাতায়াতের জন্য গণপরিবহনের উপর নির্ভর করেন। ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করায় এই যানবাহনগুলোতে অনিয়ন্ত্রিত ভিড় একদমি নতুন নয়। শিশু থেকে শুরু করে নারী ও বৃদ্ধ সকলেই এই ভিড়ের মধ্যেই কাটিয়ে দিচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা।
আরো পড়ুন: তীব্র গরমে পানিশূন্যতা প্রতিরোধে উপকারী শাকসবজি
এই অপরিষ্কার জায়গাগুলোতে যে কোনও জীবাণু থেকে নিরাপদে থাকতে ভালো মানের মাস্ক পরা জরুরি। মুখ এবং নাক সম্পূর্ণভাবে ঢেকে রাখে এমন সার্জিক্যাল মাস্ক ভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর। একাধিকবার ব্যবহারযোগ্য মাস্ক ব্যবহার করলে তা নিয়মিত ধুয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে। একই সাথে মাস্ক পরে থাকার সময় এটি বারবার স্পর্শ না করা এবং প্রয়োজন ছাড়া মুখ থেকে সরানো উচিত নয়।
হাত নিয়মিত স্যানিটাইজ করা
করোনাকালীন সময়গুলোতে হাত ধোয়াটা রীতিমত অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছিলো। এই অভ্যাসটিই আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে, গণপরিবহনে ওঠা-নামার পর, এবং শপিংমলে প্রবেশের পর হাত ধুয়ে নেওয়া উচিত। বাসায় সাবান-পানি ও ৬০ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার ব্যবহার করা জরুরি। আর বাইরে সার্বক্ষণিক একটি পকেট স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখতে হবে। বড়দের পাশাপাশি বাচ্চা ও বয়স্কদের পরিচ্ছন্নতার দিকেও নজর রাখা জরুরি। ঘরে ঢোকার পর, স্কুলে ও অন্যত্রে চলতে ফিরতে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে তাদেরকে সাহায্য করতে হবে।
অতিরিক্ত ভিড় এড়িয়ে চলা
সংক্রমণের ঝুঁকি কমানোর জন্য ভিড় এড়ানো অত্যাবশ্যক। ঈদের মতো বিভিন্ন উপলক্ষগুলোতে নামকড়া দোকানগুলোতে সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ে। একই দৃশ্য পরিলক্ষিত হয় কাজে যেতে বা কাজ শেষে বাড়ি ফেরার জন্য যানবাহনে ওঠার সময়।
স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা ভেবে এই প্রবণতা থেকে সর্বদা দূরে থাকা উচিত। কেনাকাটার ক্ষেত্রে কখনোই অতিরিক্ত ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়া যাবে না। যাতায়াতের জন্য একটু আগে ঘর থেকে বেরতে হবে।
আরো পড়ুন: নিরাপদে স্ট্রিট ফুড খাওয়ার ১০টি উপায়
বয়স্ক ও শিশুদের নিয়ে চলাচলের ক্ষেত্রে পারতপক্ষে বেশি ভিড়যুক্ত পরিবহন এড়িয়ে চলা উত্তম। অপেক্ষা করে তুলনামূলক ফাঁকা যানবাহনে উঠা যেতে পারে। বাসা ও কাজের জায়গা খুব বেশি দূরে না হলে পায়ে হেটে যাওয়া-আসা করা উপযুক্ত।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা
করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ওয়েভের সময়ের মতো প্রতিটি ভবনেই সামাজিক দূরত্ব বজায়কে পুনঃবাস্তবায়ন করা দরকার। শপিংমলে কেনাকাটার বা গণপরিবহনের লাইনে সবক্ষেত্রে প্রত্যেকের মধ্যে কমপক্ষে ৩ ফুট (১ মিটার) দূরত্ব রাখা বাঞ্ছনীয়। এটি সম্ভব না হলে নিদেনপক্ষে গায়ে গা লেগে যায় এমন পরিস্থিতি এড়িয়ে চলতে হবে।
বয়স্ক ব্যক্তি ও শিশুদের অবস্থানের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা উচিত। বড় বড় শপিংমলগুলোতে লিফ্টের পরিবর্তে উপরে উঠার জন্য সিঁড়ি বেছে নিতে হবে।
গণপরিবহনে দরজার কাছে জটলা করা যাবে না। দুই সারি সিটের মাঝের চলাচলের জায়গাটিতে এক স্থানে ভিড় না করে নির্দিষ্ট দূরত্বে দাড়ানো উচিত।
আরো পড়ুন: বাসা-বাড়ির রান্নায় সিলিন্ডার গ্যাসের খরচ কমাবেন যেভাবে
ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোর সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকা
রাস্তাঘাটে ও বিভিন্ন ভবনে চলাফেরার সময় সর্বাধিক ব্যবহৃত উন্মুক্ত পৃষ্ঠগুলো ভাইরাস ছড়ানোর জন্য উপযুক্ত। যেমন- প্রবেশ দরজার হাতল, চলন্ত সিঁড়ির রেলিং, লিফ্টের বোতাম, গণপরিবহনে সিলিং-এর হাতল ইত্যাদি। এগুলো ব্যবহারের জন্য সাথে সার্বক্ষণিক টিস্যু রাখা যেতে পারে।
শিশুরা যেন এরকম কিছু না ধরে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বয়স্করা গ্লাভ্স বা টিস্যু ব্যবহার করতে পারেন। যে জায়গাগুলোতে ঘন ঘন এরকম পৃষ্ঠের সংস্পর্শে যেতে হয়, সেখানে উৎকৃষ্ট হচ্ছে পকেট স্যানিটাইজার। এছাড়া কোনও কোনও ক্ষেত্রে (যেমন দরজা) অনেকে কনুই বা কাঁধ ব্যবহার করে থাকেন।
লেনদেনে ডিজিটাল মাধ্যমগুলো ব্যবহার করা
নগদ টাকা লেনদেনে হাতের স্পর্শ থাকে বিধায় এখানে ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে। নগদবিহীন বা ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতিগুলো এক্ষেত্রে সেরা ও নিরাপদ বিকল্প। এখন ছোট থেকে বড় প্রায় সব ধরণের দোকানগুলো মোবাইল ব্যাংকিং, কার্ড পেমেন্ট বা কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে লেনদেনের ব্যবস্থা রাখে।
যাতায়াতের ক্ষেত্রে এ ধরণের লেনদেনের জন্য রাইড শেয়ার পরিষেবাগুলোই একমাত্র অবলম্বন। কেননা দেশের গণপরিবহন ব্যবস্থায় এখনও এই সুবিধা সংযুক্ত করা হয়নি।
আরো পড়ুন: পবিত্র রমজান ২০২৫-এ ইফতারের জন্য ঢাকার সেরা ১০টি রেস্টুরেন্ট
পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল আছে এমন জায়গা বেছে নেওয়া
অতিরিক্ত লোকসমাগমের জায়গাটি যদি বদ্ধ হয় তাহলে তা এমনিতেই অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে। এমন পরিবেশ শারীরিক ও মানসিক উভয় স্বাস্থ্যের জন্যই ক্ষতিকর। তাই গণপরিবহন বা শপিংমল যেখানেই থাকা হোক না কেন, যতটা সম্ভব উন্মুক্ত বায়ুপ্রবাহের দিকে সরে যাওয়া উচিত।
শপিংমলে লিফ্টে লোকসংখ্যা বেশি হয়ে গেলে বের হয়ে এসে সিঁড়ি ব্যবহার করা উত্তম। গণপরিবহনের ক্ষেত্রে জানালার দিকের সিটে বসে জানালা খুলে দেওয়া যায়।
বয়স্ক ও শিশুদের জন্য পৃথক জায়গার ব্যবস্থা রাখার ক্ষেত্রে ঠিক এমন স্থানের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বদ্ধ, গরম, ও বাতাসবিহীন স্থানে তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
যথাসম্ভব ঘরের বাইরে বের হওয়ার বিকল্প পন্থা অবলম্বন করা
করোনা পরবর্তী সময়ে ব্যাপকভাবে বিকাশ লাভ করেছে অনলাইন যোগাযোগ এবং রিমোট জব। এতে অধিকাংশ প্রয়োজনীয় কাজগুলো ঘরে থেকেই করে ফেলা সম্ভব হয়। তাছাড়া কেনাকাটা ও বিনোদন সবকিছুই আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সাথে। এই জীবনধারা যে কোনও সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুগান্তকারি এক প্রতিরোধ ব্যবস্থা।
আরো পড়ুন: রেস্তোরাঁ-শপিং মলে প্রবেশের আগে যে বিষয়গুলোতে সাবধান থাকা জরুরি
তাই প্রতিদিনের বিভিন্ন কাজের জন্য বাইরে না বেরিয়ে আগে ভাবা উচিত যে তা ঘরে থেকেই করা সম্ভব কিনা। গুরুত্বপূর্ণ মিটিং-এর জন্য মোবাইল থেকে শুরু করে ভিডিও কলিং-এর মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায়। এগুলো এখন আর আগের মতো দুষ্প্রাপ্য নয়।
এই প্রবণতা যে শুধু ভয়াবহ সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে তা নয়। সময় বাঁচিয়ে কাজের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্যও এটি যথেষ্ট উপযোগী।
পরিবহন ব্যবহারে অগ্রিম বুকিংকে অগ্রাধিকার দেওয়া
গণপরিবহনের জন্য দীর্ঘ লাইনে ভিড়ের মধ্যে দাড়িয়ে থাকা বিপুল সময় নষ্ট করে। একই সাথে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার জন্যও তৈরি করে সহায়ক পরিবেশ। চলন্ত বাসের সাথে দৌড়াতে দৌড়াতে লাফিয়ে পাদানি উঠে পড়া এখন হরহামেশাই দেখা যায়। কোনও রকম সামাজিক দূরত্বের কথা না ভেবে প্রতিদিনি এমন ভয়াবহ ঝুঁকি নিয়ে চলেছেন হাজার হাজার যাত্রী।
কিন্তু সময় ও অর্থ সবকিছুর চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। তাই যে কোনও মূল্যেই এমন পরিস্থিতি এড়িয়ে অগ্রিম যানবাহন বুক করা দরকার। দূর পাল্লার যানবাহনগুলোতে অগ্রিম সিট বুকিং বিষয়টি স্বাভাবিক। কিন্তু শহরের ভেতরের যাতায়াতের ক্ষেত্রে এমন সুযোগ শুধু রাইড শেয়ারিং সেবাগুলোতেই রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধির দিক দিয়ে ভাবলে এই সেবাগুলো সব দিক থেকে নিরাপদ।
আরো পড়ুন: তরুণদের মধ্যে স্ট্রোকের প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে: জানুন কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধ
ব্যক্তিগত ব্যবহারের উপকরণগুলো সর্বদা সঙ্গে রাখা
ফুটপাত, শপিংমল, ও যানবাহনে খাবার খাওয়ার জন্য শুধুমাত্র নিজস্ব জিনিসপত্রের উপর নির্ভর করা উচিত। দোকান বা হোটেলে যে গ্লাস, প্লেট, চামচ, ছুরি দেওয়া হয় তা এড়িয়ে চলাই ভালো। পানি পানের জন্য ব্যক্তিগত বোতল বা ফ্লাস্ক অনেকেই সঙ্গে রাখেন। এর পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবহার্য ছোট-খাট সামগ্রীও বাসা থেকে ভালভাবে ধুয়ে ব্যাগে ভরে নিতে হবে। সেই সাথে ঘরের বাইরে সর্বত্রে নিজের খাবার ও এই ব্যবহার্য জিনিসপত্র অন্যদের থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের জন্য এটি অতীব জরুরি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ায় তারা যে কোনও সংক্রমণের সহজ শিকারে পরিণত হয়।
শেষাংশ
ভিড়যুক্ত শপিংমল ও গণপরিবহনে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে উপরোক্ত সাবধানতাগুলোর কোনও বিকল্প নেই। করোনাকালীন সময়গুলোর মতো মাস্ক পরিধান, হাত নিয়মিত স্যানিটাইজ, পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের স্থানে থাকা, এবং যথাসম্ভব ঘরে থাকাটা এখনও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ভিড় এড়িয়ে চলা, অযাচিত স্পর্শকাতর স্থানগুলো এড়িয়ে চলা, এবং ডিজিটাল লেনদেন হতে পারে সামাজিক দূরত্ব বজায়ের অনুকূল পদক্ষেপ। এগুলোর সাথে কার্যকরি সংযোজন হতে পারে অগ্রিম পরিবহন বুকিং এবং ব্যক্তিগত ব্যবহারের জিনিসপত্র সর্বদা সাথে রাখা। সর্বসাকূল্যে, এই করণীয়গুলোর মাঝে নিহিত রয়েছে একটি সুরক্ষিত জীবনধারণে অভ্যস্ত হওয়ার রূপরেখা।
আরো পড়ুন: মরণঘাতী ড্রাগ ‘ডেভিলস ব্রেথ’ বা ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ থেকে বাঁচতে করণীয়
২৬ দিন আগে
চীনে স্কলারশিপ ২০২৫: বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিনা খরচে উচ্চশিক্ষার সুযোগ
প্রতিবারের ন্যায় ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষেও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা খরচে উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিচ্ছে চীন সরকার। দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো মেধাবীদের জন্য স্কলারশিপের ব্যবস্থা রেখেছে। এগুলোর আওতায় টিউশন ফি মওকুফসহ আবাসন, চিকিৎসা সুবিধা এবং মাসিক ভাতারও সুবিধা রয়েছে। এশিয়ার দেশটিতে অধ্যয়নের এমন সুবর্ণ সুযোগ বাংলাদেশি মেধাবীদের জন্যও অফুরন্ত সম্ভাবনার নামান্তর। চলুন, চীনের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি স্কলারশিপের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেই।
২০২৫ সালে চীনের উচ্চশিক্ষায় শীর্ষ ১০টি স্কলারশিপ
.
সিএসসি স্কলারশিপ (CSC Scholarship)
এই বৃত্তি প্রকল্পটির পূর্ণরূপ Chinese Scholarship Council। এর মাধ্যমে বিদেশি শিক্ষার্থীরা চীনের ২৮০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক, মাস্টার্স এবং পিএইচডি অধ্যয়নের সুযোগ পান। চীনা সরকার এই স্কলারশিপের অধীনে শিক্ষার্থীদের আবাসন ও মৌলিক স্বাস্থ্য বীমা প্রদান করে থাকে। প্রদেয় মাসিক ভাতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৫০০ চাইনিজ ইউয়ান, যা বাংলাদেশি টাকায় ৫৮ হাজার ৬৪৫ টাকার (১ চাইনিজ ইউয়ান = ১৬ দশমিক ৭৬ বাংলাদেশি টাকা) সমতূল্য।
ইতোমধ্যে যে শিক্ষার্থীরা চীনের কোনও বৃত্তি পেয়েছে তাদের জন্য CSC Scholarship প্রযোজ্য নয়।
এর আবেদনের জন্য নিবন্ধন করতে হবে সিএসসি পোর্টালে-(https://studyinchina.csc.edu.cn/?S8cMF5lUCwGD=1742626962725#/register)। অতঃপর যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ইচ্ছুক সেখানে পৃথকভাবে আবেদন জমা দিতে হবে।
আরো পড়ুন: নিউজিল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
তিয়াঞ্জিন গভর্ণমেন্ট স্কলারশিপ (Tianjin Government Scholarship)
একক ভাবে নান্কাই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদেরকে দেয়া হয় তিয়াঞ্জিন গভর্ণমেন্ট স্কলারশিপ। স্নাতক, মাস্টার্স ও পিএইচডি লেভেলের জন্য উন্মুক্ত এই প্রকল্পে মাসিক সর্বোচ্চ ২ হাজার ইউয়ান (৩৩ হাজার ৫১১ টাকা) পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
আবেদনের শেষ সময় সাধারণত মে মাসের শেষের দিকে হয়ে থাকে। আবেদনকারীদেরকে https://tju.at0086.cn/StuApplication/Login.aspx লিঙ্কের মাধ্যমে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। নান্কাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির চূড়ান্ত অনুমোদনই শিক্ষার্থীদের Tianjin Government Scholarship প্রাপ্তির প্রধান মাপকাঠি। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে- https://sie.tju.edu.cn/en/jxj/tjszfjxj/ লিঙ্কে।
সাংহাই গভর্ণমেন্ট স্কলারশিপ (Shanghai Government Scholarship)
চীনের প্রাদেশিক সরকার কর্তৃক পরিচালিত অনুদানগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে এই সাংহাই গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ। পিএইচডি, মাস্টার্স, এবং নূন্যতম স্নাতকের ক্ষেত্রে প্রদানকৃত এই অনুদান তিনটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত। টাইপ এ (মাস্টার্স বা পিএইচডি), টাইপ বি (স্নাতক), এবং টাইপ সি (দীর্ঘমেয়াদী উচ্চতর অধ্যয়ন, যেমন চীনা ভাষা কোর্স)।
সাংহাই সরকার এগুলোর মধ্যে দুই ক্যাটাগরিতে স্কলারশিপ প্রদান করে। টাইপ এ’তে ফুল ফান্ডিং দেয় (ভর্তি ফি, আবাসন, চিকিৎসা বীমা এবং মাসিক ভাতা প্রদান) এবং টাইপ বি’তে আংশিক ফান্ডিং (শুধুমাত্র টিউশন ফি ও স্বাস্থ্য বীমা।
আরো পড়ুন: জাপানে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
Shanghai Government Scholarship চীনা ভাষা কোর্সের মতো দীর্ঘমেয়াদী কোনও অধ্যয়নের জন্য প্রযোজ্য নয়।
ডিগ্রী বিশেষে স্কলারশিপের মূল্যমান ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ ইউয়ান (৪১ হাজার ৮৮৯ থেকে ৫৮ হাজার ৬৪৫ টাকা) পর্যন্ত।
আবেদনের সাধারণ সময় জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত এবং আবেদনের প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে- https://www.study-shanghai.cn/c.asp?action=AS_SS_Entry।
বেইজিং গভর্ণমেন্ট স্কলারশিপ (Beijing Government Scholarship)
চীনের প্রাদেশিক সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত প্রথম স্কলারশিপ কর্মসূচি হচ্ছে এটি। সরাসরি বেইজিং সরকার থেকে হওয়া এই অর্থায়নের একমাত্র সুবিধাভোগী হচ্ছে পিএইচডি, মাস্টার্স ও স্নাতক শিক্ষার্থীরা।
স্কলারশিপের আওতায় প্রদেয় আর্থিক সহায়তার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৪০ হাজার ইউয়ান (৬ লাখ ৭০ হাজার ২২৬ টাকা)। সাধারণত প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে জুনের মধ্যে আবেদন কার্যক্রম শেষ করা হয়।
আরো পড়ুন: সুইডেনে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
Beijing Government Scholarship প্রদানকারী সুনির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা পাওয়া যাবে- https://english.beijing.gov.cn/studyinginbeijing/choices/-লিঙ্কে। এখান থেকে একটি বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের পর তৎসংলগ্ন ওয়েবসাইটেই পাওয়া যাবে আবেদনের প্রক্রিয়া।
হুবেই গভর্ণমেন্ট স্কলারশিপ (Hubei Government Scholarship)
এই স্কলারশিপটিও স্নাতক, মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য। স্নাতক শিক্ষার্থীরা বছরে ১০ হাজার ইউয়ান (১ লাখ ৬৭ হাজার ৫৫৬ টাকা) এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা ১৫ হাজার ইউয়ান (২ লাখ ৫১ হাজার ২৩৫ টাকা)। পিএইচডি শিক্ষার্থীরা পান ২০ হাজার ইউয়ান (৩ লাখ ৩৫ হাজার ১১৩ টাকা)। সাধারণ গবেষণা স্কলারশিপ হিসেবে বিভিন্ন মেয়াদের ভিত্তিতে ৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার ইউয়ান (৮৩ হাজার ৭৭৮ থেকে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ১১৩ টাকা) প্রদান করা হয়ে থাকে।
স্কলারশিপের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হয় প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে। আবেদনের জন্য Hubei Government Scholarship প্রদানকারী বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করার পর সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
আরো পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
সিআইএস স্কলারশিপ (CIS Scholarship)
শিক্ষা খাতে এই সরকারি প্রকল্পটির পূর্ণরূপ Confucius Institute Scholarship। এর আওতাভূক্ত প্রোগ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে- চীনের বাইরের শিক্ষার্থীদের জন্য পিএইচডি গবেষণা, গবেষণামূলক সফর, আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ, এবং চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি কোর্স। ১৫০টিরও বেশি চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই আর্থিক সুবিধা গ্রহণের ব্যবস্থা রয়েছে।
CIS Scholarship-এ টিউশন ফি, আবাসন ব্যয়, চিকিৎসা বীমা এবং মাসিক ভাতা অন্তর্ভূক্ত। স্নাতক বা চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি কোর্স গ্রহণকারীরা মাসিক ২ হাজার ৫০০ ইউয়ান (৪১ হাজার ৮৮৯ টাকা) পেয়ে থাকেন। মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে মাসিক ৩ হাজার ইউয়ান (৫০ হাজার ২৬৭ টাকা)।
সাধারণত মে এবং নভেম্বর মাসের শুরুর দিকে দুটো পৃথক শিডিউলে আবেদন গ্রহণ করা হয়। অনলাইন আবেদনের সাইট: http://www.chinese.cn/page/#/pcpage/project_detail।
ইউনান প্রোভিন্সিয়াল গভর্ণমেন্ট স্কলারশিপ (Yunnan Provincial Government Scholarship)
বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের অধীনে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই স্কলারশিপ। এর নেপথ্যের প্রতিষ্ঠান হচ্ছে সিএসসি। এই ব্যবস্থায় স্নাতক, মাস্টার্স, ডক্টরেট, প্রশিক্ষণ ও স্বল্পমেয়াদী কোর্সের জন্য আবেদন করা যায়।
আরো পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
ফুল ফান্ডিং-এর এই প্রকল্পে রয়েছে টিউশন ফি মওকুফ, বিনামূল্যে অন-ক্যাম্পাস আবাসন, মাসিক ভাতা এবং চিকিৎসা বীমা ও সুরক্ষা সুবিধা। সাধারণত এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলে আবেদন গ্রহণ কর্মসূচী।
Yunnan Provincial Government Scholarship-এ আবেদনের প্ল্যাটফর্ম ইউনান নরমাল ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাই; http://ynnu.at0086.cn/student।
জিঞ্জিয়াং উইঘুর অটোনমাস রেজিন গভর্ণমেন্ট স্কলারশিপ (Xinjiang Uygur Autonomous Region Government Scholarship)
স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল সরকার পরিচালিত এই বৃত্তি প্রকল্পে ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডির পাশাপাশি চীনা ভাষা কোর্সও বিনা খরচে অধ্যয়ন করা যায়। পূর্ণ অর্থায়নের এই সুবিধায় জীবনযাত্রার ভাতা, আবাসন, চিকিৎসা বীমা ও টিউশন ফি অন্তর্ভূক্ত।
সাধারণত এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ থাকে। স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটির অধীনে নির্ধারিত কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলো বিষয়ের জন্য এই আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়। এই তথ্যসহ স্কলারশিপের যাবতীয় কার্যক্রমের জন্য রয়েছে স্বতন্ত্র স্কলারশিপ ম্যানেজমেন্ট ইন্ফরমেশন সিস্টেম।
আরো পড়ুন: থাইল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, পড়াশোনার খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
এই সিস্টেম (http://studyinchina.csc.edu.cn/#/register) Xinjiang Uygur Autonomous Region Government Scholarship-এর আবেদনের জন্য নিবেদিত প্ল্যাটফর্ম। একই ভাবে আবেদন জমা দিতে হয় জিঞ্জিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (http://xju.at0086.cn/StuApplication/Login.aspx)।
নাঞ্জিং গভর্ণমেন্ট স্কলারশিপ (Nanjing Government Scholarship)
এই সরকারি স্কলারশিপটি বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্নাতক ও মাস্টার্স পর্যায়ে আংশিক ফান্ডিং দেয়। এর পাশাপাশি অন্য কোনো সংস্থার বৃত্তি একত্রে গ্রহণ করার নিয়ম নেই।
Nanjing Government Scholarship শুধুমাত্র নাঞ্জিং ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে দেয়া হয়। স্নাতক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি একাডেমিক বছরে সরকার থেকে আসে ১০ হাজার ইউয়ান (১ লাখ ৬৭ হাজার ৫৫৬ টাকা)। অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অতিরিক্ত সহায়তা হিসেবে আসে ৫ হাজার ইউয়ান (৮৩ হাজার ৭৭৮ টাকা)।
মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি বছর ২০ হাজার ইউয়ান (৩ লাখ ৩৫ হাজার ১১৩ টাকা) করে পান। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শুধু জীবনযাত্রার ব্যয়টা মওকুফ করে।
আরো পড়ুন: ইতালিতে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
আবেদন কার্যক্রম অব্যাহত থাকে সাধারণত এপ্রিল মাসের মধ্যভাগ পর্যন্ত। প্রার্থীদের আবেদন গ্রহণ করা হয় https://nuist.17gz.org/member/login.do ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। এ সময় প্রোগ্রাম হিসেবে নির্বাচন করতে হয় ‘চাইনিজ লোকাল গভর্ণমেন্ট স্কলারশিপ’।
ইয়াংঝৌ ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ (Yangzhou University Scholarship)
এই বৃত্তির ম্যাধমে ইয়াংজৌ ইউনিভার্সিটি তাদের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া বৈশ্বিক ছাত্রছাত্রীদের পূর্ণ অর্থায়ন নিশ্চিত করে। একাডেমিক ডিগ্রীগুলোর মধ্যে রয়েছে স্নাতক, মাস্টার্স এবং পিএইচডি। এই প্রকল্পের মধ্যে সুবিধা হিসেবে রয়েছে টিউশন ফি মওকুফ, আবাসন ও মাসিক ভাতা।
প্রার্থীদের জানুয়ারি থেকে মে মাসের মাঝামাঝিতেই শেষ করতে হয় যাবতীয় আবেদন প্রক্রিয়া।
Yangzhou University Scholarship-এ স্নাতক পর্যায়ে শুধুমাত্র আবাসনের ব্যয় ও টিউশন ফি মওকুফ করা হয়। মাস্টার্সে টিউশন ও আবাসন ব্যয় ছাড়াও রয়েছে প্রতি মাসে ১ হাজার ৫০০ ইউয়ান (২৫ হাজার ১৩৩ টাকা) করে জীবিকা ভাতা। এটি চলে ১০ মাস পর্যন্ত।
আরো পড়ুন: রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্কলারশিপসহ ও আনুষঙ্গিক খরচ
পিএইচডিতে টিউশন ও আবাসন ব্যয়ের পাশাপাশি গবেষকরা মাসে ২ হাজার ৫০০ ইউয়ান (৪১ হাজার ৮৮৯ টাকা) পর্যন্ত জীবিকা ভাতা পেয়ে থাকেন। এর স্থায়ীত্বকাল ১০ মাস পর্যন্ত।
পূর্ণ আবেদন সম্পন্ন করার জন্য প্রার্থীদের যেতে হবে-https://yzu.at0086.cn/StuApplication/Login.aspx ওয়েবসাইটে।
পরিশিষ্ট
এই ১০টি চায়না স্কলারশিপ চীনের শিক্ষা খাতে দেশটির সরকারের অবদানকে অর্থবহ করে তুলেছে। বৃত্তি প্রকল্পগুলোর প্রত্যেকটিই ব্যাচেলর থেকে শুরু করে পিএইচডি পর্যন্ত সকল পর্যায়ের মেধাবীদের জন্য প্রযোজ্য।
তন্মধ্যে সরাসরি প্রধান সরকারি প্রকল্পভূক্ত হচ্ছে সিএসসি এবং সিআইএস স্কলারশিপ। তিয়াঞ্জিন, শাংহাই, বেইজিং, হুবেই, ইউনান প্রভিন্সিয়াল, জিঞ্জিয়াং উইঘুর অটোনমাস রেজিন এবং নাঞ্জিং গভর্ণমেন্ট স্কলারশিপগুলো পরিচালিত হয় প্রাদেশিক সরকারের অধীনে। তালিকার একমাত্র বেসরকারি উদ্যোগ হচ্ছে ইয়াংঝৌ ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ।
আরো পড়ুন: লিথুয়ানিয়ায় উচ্চশিক্ষা: ভর্তি, ভিসা, অধ্যয়ন খরচ ও স্কলারশিপসহ নানাবিধ সুবিধা
সর্বসাকূল্যে, এই চাইনিজ স্কলারশিপগুলোর যে কোনওটি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা গ্রহণের পথে উৎকৃষ্ট বাহক।
২৮ দিন আগে
নারীদের জন্য মার্শাল আর্ট: ঢাকার কোথায় শিখবেন কুংফু, জুডো, বা কারাতে
আত্মরক্ষার সক্ষমতা শারীরিক সুরক্ষার পাশাপাশি আত্মবিশ্বাস ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করে। তাই সমসাময়িক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নারীদের জন্য আত্মরক্ষার কৌশল শেখা অপরিহার্য। এই প্রশিক্ষণ তাদেরকে প্রতিদিন পথেঘাটে চলতে ফিরতে নিরপত্তার ক্ষেত্র তৈরি করবে। ঢাকা শহরের বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে, যেখানে কুংফু, জুডো বা কারাতের মতো মার্শাল আর্ট শেখানো হয়। তন্মধ্যে নারীদের জন্য সুব্যবস্থা থাকা ট্রেনিং স্কুলগুলোর ব্যাপারে চলুন, বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
নারীদের মার্শাল আর্ট ও আত্মরক্ষার কৌশল শেখার জন্য ঢাকার ১০টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
.
কেও ফাইট স্টুডিও (KO Fight Studio)
বিশ্ব কারাতে সংস্থা শিনকিওকুশিঙ্কাই-এর বাংলাদেশ শাখা পরিচালিত হয় কেও (পূর্ণরূপ কারাতে অর্গানাইজেশন) ফাইট স্টুডিও নামে। এখানে জাপানের কিয়োকুশিন কারাতে স্টাইল শেখানো হয়। প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক এবং প্রধান প্রশিক্ষক শিহান আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ হোসাইন একজন ৪র্থ ড্যান (৪র্থ ডিগ্রির ব্ল্যাক বেল্টধারী)।
KO Fight Studio-এর কারিকুলামে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে মাস্টার স্ট্রাইকিং, এস্কেপ ও ডি-এস্কেলেশন দক্ষতা। এগুলোর প্রত্যেকটি বাস্তব জীবনের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কার্যকরভাবে আত্মরক্ষার জন্য সহায়ক।
প্রশিক্ষণের সময়কাল ন্যূনতম ৮ সপ্তাহ, যেখানে প্রতিটি ২ ঘণ্টা করে মোট ১৬টি ক্লাস নেওয়া হয়। ভর্তি ফি ২ হাজার টাকা এবং মাসিক ফি ৪ হাজার টাকা।
ঠিকানা: লেভেল- ৪, ভবন নং- ১৯-২০, রোড- ১১৩/এ, গুলশান (শাহাবুদ্দিন মেডিকেলের পাশে)
যোগাযোগের লিঙ্ক: https://www.facebook.com/KOFSDhaka/
আরো পড়ুন: রাতে বাসে বা গণপরিবহনে নিরাপদে ভ্রমণে কিছু সতর্কতা
চাইনিজ কুংফু ও উশু স্কুল (Chinese Kung Fu and Wushu School)
এই স্কুলের ট্রেনিং-এর মূল উপজীব্য হলো চীনের ঐতিহ্যবাহী উশু এবং কুংফু। স্টাইল দুটির আধুনিক রূপান্তরিত সংস্করণ যেমন সানশু, তাউলু, ও উইং চুন-এর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটির পথ চলা শুরু হয় সিফু আব্দুল্লাহ আল মনসুরের হাত ধরে। তিনি মার্শাল আর্টের বিভিন্ন শাখায় পারদর্শী এবং এখানকার প্রধান প্রশিক্ষক।
Chinese Kung Fu and Wushu School-এ স্ট্রাইকিং, গ্র্যাপলিং, অস্ত্রশস্ত্র, এবং হাইব্রিড/মিক্সড মার্শাল আর্টস-এর ওপর তালিম দেওয়া হয়। স্ট্রাইকিং প্রশিক্ষণে রয়েছে বক্সিং, কারাতে, মুয়ে থাই, কেনপোসহ বিভিন্ন যুদ্ধশৈলী। গ্র্যাপলিং শাখায় আছে জুডো, আইকিডো, সুমো, ও রেসলিং-এর মতো কৌশল। তদুপরি, এখানকার প্রশিক্ষণার্থীরা কেন্ডো, ফেন্সিং, ইয়াইডো-সহ বিভিন্ন অস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণও পেয়ে থাকেন।
প্রতিষ্ঠানটি শুধু শারীরিক শক্তি নয়, মানসিক সুস্থতা বজায় রাখা, মনঃসংযোগ বৃদ্ধি ও শৃঙ্খলাবোধ গড়ে তোলার ওপরেও জোর দেয়।
বিশেষ সুবিধা হিসেবে রয়েছে অনলাইন কুংফু লাইভ ক্লাসের ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।
প্রধান শাখাঃ ভবন-৫৮, রোড-৫, ব্লক-এফ, আফতাবনগর, বাড্ডা। এছাড়াও ধানমন্ডি, গুলশান, বনানী, বসুন্ধরা ও উত্তরা’তেও এর শাখা আছে।
ফেসবুক পেজ: https://www.facebook.com/wushubd
আরো পড়ুন: বাসা-বাড়িতে ডাকাতি প্রতিরোধে করণীয়
সোবহান কারাতে অ্যাকাডেমি (Sobhan Karate Academy)
এই অ্যাকাডেমিতে ৫ থেকে ৬৫ বছর পর্যন্ত সব বয়সের বয়সী প্রশিক্ষণার্থী রয়েছে। এমনকি এদের মধ্যে ৮০ শতাংশেরও বেশি হচ্ছে নারী।
সোবহান কারাতে অ্যাকাডেমি’র প্রশিক্ষণের কেন্দ্রে রয়েছে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় কারাতে স্টাইল শোতোকান। স্টুডেন্ট ও পেশাদার উভয়ের জন্য ভর্তি ফি ৫ হাজার টাকা। মাসিক ফি স্টুডেন্টদের জন্য ৩ হাজার টাকা, আর পেশাদারদের জন্য ৪ হাজার টাকা।
Sobhan Karate Academy-এর ৯ মাসব্যাপি বিশেষ আত্মরক্ষার কোর্স রয়েছে। এর জন্য ভর্তি ফিসহ পুরো খরচ ৪০ হাজার টাকা। এখানে প্রথম মাসে স্টুডেন্টদেরকে ১০ হাজার টাকা এবং পেশাদারদেরকে ১১ হাজার টাকা প্রদান করতে হয়।
ঠিকানা: রাশিয়ান কালচারাল সেন্টার, হাউজ নং- ৫১০, রোড ৭, ধানমন্ডি
ওয়েবসাইট লিঙ্কঃ https://www.sobhankarateacademy.com/
আরো পড়ুন: ঘরে রান্নার কাজে নিরাপদে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের উপায়
মার্শাল আর্ট বিডি (Martial Art BD)
আন্তর্জাতিক সনদপ্রাপ্ত ও দক্ষ বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে পরিচালিত হয় এই প্রতিষ্ঠান। টিমের প্রধান ৪র্থ ড্যান সেন্সি নাজমুন সাহাদাৎ। তিনি জাতীয় কারাতে বিচারক ও রেফারি এবং বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের সঙ্গে যুক্ত একজন অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক।
Martial Art BD-তে সাধারণ মার্শাল আর্টসহ বডি বিল্ডিংও শেখানো হয়। এর ফলে প্রশিক্ষণার্থীরা মল্যযুদ্ধের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে নিজেদের স্বাস্থ্যকে সমুন্নত রাখার কৌশলও রপ্ত করতে পারে।
কোর্সের শিডিউল ও ফি সংক্রান্ত বিস্তারিত আপডেট জানা যাবে তাদের ওয়েবসাইটে।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://martialartbd.com/
ঠিকানা: ১৫/জি জিগাতলা, ধানমন্ডি,(সুন্দরবন কুরিয়ার বিল্ডিং)। এছাড়াও লালমাটিয়া ও শনির আখড়াতেও তাদের শাখা রয়েছে।
আরো পড়ুন: শিশুদের বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা থেকে দূরে রাখতে করণীয়
হোর্ড এমএমএ এ্যান্ড মার্শাল আর্ট্স অ্যাকাডেমি (HORDE MMA & Martial Arts Academy)
৪র্থ ড্যান মার্শাল আর্টিস্ট সেন্সি কিম ইয়ানেজ প্রতিষ্ঠা করেন হোর্ড এমএমএ (পূর্ণরূপ মিক্স্ড মার্শাল আর্ট) এ্যান্ড মার্শাল আর্ট অ্যাকাডেমি। বাংলাদেশে এর শাখা রয়েছে ঢাকার উত্তরা ও বনানীতে।
প্রতিষ্ঠানটির বিশেষত্ব হলো কারাতে ও কিকবক্সিং-এর যুগান্তকারী সমন্বয়। প্রতিপক্ষকে কাবু করার বিশ্বখ্যাত গ্রাউন্ড ফাইটিং কৌশল নো-জি সাবমিশন গ্র্যাপলিং এখানে শেখানো হয়।
HORDE MMA & Martial Arts Academy’র ক্লাস সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত চলে। কোর্স ফি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে তাদের ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করতে হবে।
লিঙ্ক: https://www.facebook.com/HordeMMA/
প্রধান শাখার ঠিকানা: বাড়ি-৩৪, সোনারগঞ্জ জনপথ, সেক্টর-১১, উত্তরা, (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে)
আরো পড়ুন: বিশ্বের শীর্ষ ১০ পুলিশ কুকুরের প্রজাতি
মার্শাল আর্ট্স স্টার্স অ্যাকাডেমি (Martial Arts Stars Academy)
জুডো ও কারাতে কেন্দ্রিক এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৯২ সাল। এর কারিকুলামে আরও অতিরিক্ত সংযোজন হিসেবে রয়েছে জু-জিৎসু এবং প্রতিরক্ষামূলক নানা অস্ত্রের ব্যবহার।
Martial Arts Stars Academy-এর প্রধান কোচ শমসের আলম একজন জাতীয় রেফারি। বাংলাদেশ জুডো ও কারাতে উভয় ফেডারেশনের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে।
সাধারণত দুটি ব্যাচে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে- একটি শুরু হয় সকাল ৬টা থেকে, আরেকটি বিকেল সাড়ে ৪ টা থেকে।
ঠিকানা: বাড়ি-১৩ রোড-১৪ ব্লক-ডি সেকশন-৬ মিরপুর। অনুশীলনের স্থান: শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়াম, মিরপুর
কোর্স ফি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যের জন্য রয়েছে তাদের ফেসবুক পেজ।
পেজের লিঙ্ক: https://www.facebook.com/p/Martial-Arts-Stars-Academy-100062993752856/
আরো পড়ুন: নারীর নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষায় মোবাইল অ্যাপ
জ্যাকি মার্শাল আর্ট অ্যাকাডেমি (Jacky Martial Art Academy)
১৯৯০ সালে গঠিত হওয়া পুরনো এই অ্যাকাডেমিটির প্রতিষ্ঠাতা কামাল উদ্দিন জ্যাকি। কোরিয়ায় স্বর্ণপদক জয়ী এবং জাপানে কারাতের উচ্চতর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জ্যাকি ৭ম ড্যানের একজন মার্শাল আর্টিস্ট। Jacky Martial Art Academy-এর প্রধান প্রশিক্ষক তিনি নিজে।
এখানে দীর্ঘ দুই বছরব্যাপি ব্ল্যাক বেল্ট কোর্স করানো হয়। এই কোর্সে রয়েছে কারাতে, কুংফু, জুডো, তাইকোয়ান্দো, চেইন স্টিক এবং লং স্টিক। কোর্স ফি প্রতি মাসে এক হাজার টাকা।
শুক্রবার ও শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মেয়েদের জন্য আলাদা ব্যাচ রয়েছে।
ঠিকানা: চন্দন কোঠা সেন্টার, শহীদ ফারুক সড়ক, নবী নগর, পশ্চিম যাত্রাবাড়ী, ঢাকা
যোগাযোগের লিঙ্ক: https://www.facebook.com/JackyMartialArtAkademy
আরও পড়ুন: ঢাকার বাসরুট খুঁজে পেতে দরকারি কিছু মোবাইল অ্যাপ
বাংলাদেশ ওয়াদোকাই কারাতে দো (Bangladesh Wadokai Karate Do)
দেশের স্বনামধন্য কারাতে স্কুল বাংলাদেশ ওয়াদোকাই কারাতে দো প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৯ সালে। প্রতিষ্ঠাতা সেন্সি আব্দুল শুক্কুর আলী সিকদার নিজে প্রতিষ্ঠানের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেন।
গুলিস্তানে ১টি এবং রামপুরা ও বনশ্রী জুড়ে বেশ কয়েকটি শাখা রয়েছে Bangladesh Wadokai Karate Do-এর। গুলিস্তানের জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনে প্রশিক্ষণ চলে সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত। বনশ্রী-রামপুরার শাখাগুলোতে ক্লাস হয় সাধারণত বিকেল থেকে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত। ভর্তি ও কোর্স ফিসহ কারিকুলাম সংক্রান্ত বিশদ তথ্যের জন্য সরাসরি তাদের ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
ফেসবুক লিঙ্ক: https://www.facebook.com/bangladeshwadokaikaratedo
সশরীরে যোগাযোগের ঠিকানা: ৩৭৭/১, ইস্ট রামপুরা, ডি.আই.টি রোড, রামপুরা।
আরো পড়ুন: মোবাইল ফোন হ্যাকিং প্রতিরোধে করণীয়
রয়েল তায়কোয়ান্দো ডোজ্যাং বাংলাদেশ (Royal Taekwondo Dojang Bangladesh)
বিশ্ব জুড়ে ব্যাপক ভাবে সমাদৃত কোরিয়ান সেল্ফ-ডিফেন্স স্টাইল চাংমু কোয়ান তায়কোয়ান্দো। সারা পৃথিবী ব্যাপি ছড়িয়ে রয়েছে এর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহ। তারই বাংলাদেশ প্রতিনিধি হচ্ছে Royal Taekwondo Dojang Bangladesh।
এখানে সপ্তাহের পাঁচ দিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলে। শুক্র ও শনিবার ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ক্লাস হয়। যারা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রশিক্ষণ পেতে চান, তাদের জন্য এটি একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। ভর্তি ও কোর্স সংক্রান্ত যে কোনও তথ্যের জন্য তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করা যাবে।
পেজ লিঙ্ক: https://www.facebook.com/royaltkdbangladesh
ঠিকানা: হাউজ নং- ৭৭/বি, ৭এ ধানমন্ডি।
আরো পড়ুন: পবিত্র রমজান মাসে প্রয়োজনীয় ১০টি মোবাইল অ্যাপস
শোতোকান কারাতে বাংলাদেশ (Shotokan Karate Bangladesh)
আত্মরক্ষার বিশ্ব বিখ্যাত স্টাইলগুলোর মধ্যে জাপানের শোতোকান অন্যতম। বাংলাদেশের কারাতে ক্লাবগুলোতেও রয়েছে এর ব্যাপক চর্চা। জাতীয় কারাতে ফেডারেশন কর্তৃক অনুমোদিত তেমনি একটি প্রতিষ্ঠান এই Shotokan Karate Bangladesh।
এখানে শুক্র, শনি এবং সোম- এই তিন দিন অনুষ্ঠিত হয় প্রশিক্ষণ ক্লাস। সকালের ব্যাচ সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত, আর বিকেলের ব্যাচ বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। প্রশিক্ষণে যুক্ত হতে প্রয়োজনীয় খরচসহ যাবতীয় তথ্যাবলি পাওয়া যাবে তাদের ফেসবুক পেজে।
লিঙ্ক: https://www.facebook.com/shotokankaratebangladesh
ঠিকানা: ৮/সি, পশ্চিম চৌধুরী পাড়া, ঢাকা।
আরো পড়ুন:
শেষাংশ
নারীদের আত্মরক্ষার কৌশল শেখার জন্য ঢাকাস্থ এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো তাদের নিজস্ব স্টাইল অনুসরণ করে।
তন্মধ্যে কেও ফাইট স্টুডিও, সোবহান কারাতে অ্যাকাডেমি, বাংলাদেশ ওয়াদোকাই কারাতে দো ও শোতোকান কারাতে বাংলাদেশ কারাতের প্রতি গুরুত্বারোপ করে। চাইনিজ কুংফু ও উশু স্কুল তাদের ঐতিহ্যবাহী উশু এবং রয়েল তায়কোয়ান্দো ডোজ্যাং বাংলাদেশ স্বতন্ত্র তায়কোয়ান্দোর জন্য সুপরিচিত। কারাতের সাথে কিকবক্সিং-এর সমন্বয় ঘটিয়েছে হোর্ড এমএমএ এ্যান্ড মার্শাল আর্ট্স অ্যাকাডেমি। আর মার্শাল আর্টস স্টার্স অ্যাকাডেমিতে রয়েছে জুডো-কারাতের সংমিশ্রণ। তবে সবগুলোরই পরিমিত সন্নিবেশ মিলবে জ্যাকি মার্শাল আর্ট অ্যাকাডেমি’তে। অপরদিকে মার্শাল আর্ট বিডি’তে রয়েছে আত্মরক্ষার কৌশল রপ্ত করার পাশাপশি বডি বিল্ডিং-এর সুযোগ।
উপরন্তু, এই সবগুলো প্রশিক্ষণই দেহের পাশাপাশি মানসিক সুস্থতার বিকাশেও সহায়ক।
আরো পড়ুন: রেস্তোরাঁ-শপিং মলে প্রবেশের আগে যে বিষয়গুলোতে সাবধান থাকা জরুরি
৩৫ দিন আগে
পরিবহন পরিষেবায় অনলাইন টিকেট বুকিং ২০২৫: ঘরে বসে বাস, ট্রেন, ও বিমানের টিকেট কাটার উপায়
প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় দেশের পরিবহন ব্যবস্থায় যুক্ত হয়েছে অনলাইন টিকেটিং ব্যবস্থা। স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিবহনে সিট বুকিং-এর জন্য এখন আর দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার বিড়ম্বনা নেই। স্থল, রেল কিংবা আকাশপথ যে কোনও ভাবে যাতায়াতের জন্য কাঙ্ক্ষিত টিকেটটি ঘরে বসেই কিনে নেওয়া যাচ্ছে। চলুন, বাস, ট্রেন, ও প্লেনের টিকেট ক্রয়ের জন্য সেরা ১০টি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ব্যাপারে বিশদ জেনে নেওয়া যাক।
বাস, ট্রেন, ও প্লেনের সিট বুকিং-এর জন্য শীর্ষ ১০টি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
.
বাংলাদেশ রেলওয়ে ই-টিকেটিং সার্ভিস (Bangladesh Railway)
২০১২ সালের ২৯ মে সরকারি ভাবে চালু হয় অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার ব্যবস্থা। তারপর থেকে বিগত এক যুগে অনেকটা পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের ডিজিটাল টিকেট পদ্ধতি।
তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সর্বোচ্চ ১০ দিন আগে থেকে ট্রেনে সিট বুকিং দেওয়া যায়। এর জন্য প্রথমেই প্রয়োজন হয় সাইটটিতে নিবন্ধন করা। এই পর্যায়ে জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নাম্বার দিতে হয়। এরপরের কাজ স্টেশন, ভ্রমণের তারিখ, ট্রেনের শ্রেণী নির্বাচন। এখানে বিদ্যমান সিটের ভিত্তিতে প্রদর্শিত সিটের তালিকা থেকে এক বা একাধিক সিট বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকে।
সবশেষে পেমেন্টের পদ্ধতিতে রয়েছে ক্রেডিট/ডেবিট বা বিকাশের মতো জনপ্রিয় মোবাইল পেমেন্ট গেটওয়েগুলো। পেমেন্ট শেষে প্রাপ্ত ই-টিকিটের প্রিন্ট নিয়ে রেল স্টেশনে পৌঁছতে হয়।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: eticket.railway.gov.bd
Bangladesh Railway–এর নিজস্ব অ্যাপ ‘রেল সেবা’ রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোন উভয় প্ল্যাটফর্মের জন্য।আইফোন অ্যাপ: https://apps.apple.com/us/app/rail-sheba/id6499584782
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.shohoz.dtrainpwa
আরো পড়ুন: ২০২৫ সালে ভিসা ছাড়াই যেসব দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (Biman Bangladesh Airlines)
রাষ্ট্রায়ত্ব এই এয়ারলাইন্সটিতে অনলাইন সিট বুকিং-এর সুবিধা যুক্ত হয় ২০১০ সালে। তাদের ওয়েবসাইট-এ যেয়ে ঘরে বসেই সম্পন্ন করা যায় টিকেট অর্ডার ও প্রাপ্তির কাজ। এখানে গন্তব্য, তারিখ, শ্রেণী নির্বাচন ও ইমেইল আইডি ও মোবাইল নাম্বারসহ যাত্রীর বিস্তারিত তথ্য প্রদান করতে হয়।
তারপর ডিজিটাল ব্যাংকিং বা মোবাইল পেমেন্ট সিস্টেম-এর মধ্যে যে কোনওটির মাধ্যমে পরিশোধ করা যায় টিকেটের মূল্য। অবশেষে ই-টিকিট প্রদান করা হয় যাত্রীদের ইমেলে।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://www.biman-airlines.com/
অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যাপেল দুই ব্যবহারকারীদের জন্য Biman Bangladesh Airlines-এর রয়েছে বিমান অ্যাপ।
অ্যান্ড্রয়েড প্লে-স্টোর লিঙ্ক:
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.BimanAirlines.Biman&hl=en&gl=US
অ্যাপেল অ্যাপ-স্টোর লিঙ্ক: https://apps.apple.com/us/app/biman/id6444130555
আরো পড়ুন: অনলাইন ঈদ শপিং ২০২৫: ঘরে বসে কেনাকাটার জন্য তৈরি পোশাকের শীর্ষ ১০ ব্র্যান্ড
সহজ (Shohoz)
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিবহন মাধ্যমগুলোর ই-টিকেট প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এক নির্ভরযোগ্য নাম সহজ। ট্রেনের টিকেটগুলো বিআরআইটিএস (বাংলাদেশ রেলওয়ে ইন্টিগ্রেটেড টিকেটিং সিস্টেম)-এর সাথে যৌথভাবে ইস্যূ করে এই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি।
২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত সহজ বাস, ট্রেন, লঞ্চ, প্লেন সব পরিবহনকে একটি একক মঞ্চের আওতায় নিয়ে এসেছে। তাদের ওয়েবসাইটে প্রতিটি পরিবহন মাধ্যমের জন্য আলাদা ভাবে রওনা হওয়ার স্থান, গন্তব্য, ও যাত্রার তারিখ দেওয়ার পদ্ধতি রয়েছে। এর জন্য অবশ্যই একটি সার্বক্ষণিক ব্যবহৃত ইমেইল ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার সরবরাহ করা জরুরি।
মোবাইল কিংবা ব্যাঙ্ক কার্ড-এর মাধ্যমে অর্থপ্রদানের পর টিকেটের সফ্ট কপির লিঙ্ক পাওয়া যাবে ইমেল বা এসএমএসের মাধ্যমে।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://www.shohoz.com/
এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা যাবে স্মার্টফোন থেকেও।
গুগল প্লে-স্টোর লিঙ্ক: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.shohoz.rides
আইফোন অ্যাপ-স্টোর লিঙ্ক: https://apps.apple.com/us/app/shohoz-app/id1354321445?ls=1
আরো পড়ুন: পবিত্র রমজান ২০২৫-এ ইফতারের জন্য ঢাকার সেরা ১০টি রেস্টুরেন্ট
গোজায়ান (GoZayaan)
বাংলাদেশের অগ্রগামী ওটিএ’র (অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি)-এর মধ্যে গোজায়ান অন্যতম। দেশের ভেতরের ও বাইরের এয়ার ফ্লাইট কেন্দ্রিক টিকেটিং প্ল্যাটফর্মটির পথ চলা শুরু হয় ২০১৭ সাল থেকে। ই-টিকেটের পাশাপাশি GoZayaan হোটেল, ট্যুর, এবং ভিসা সংক্রান্ত সুবিধাও প্রদান করে থাকে।
এখান থেকে টিকেট অর্ডার করতে হলে প্রথমে অ্যাকাউন্ট
খুলে নিতে হবে। এর অধীনে টিকেট প্রাপ্তি সহ ফ্লাইটের যাবতীয় আপডেট পাওয়া যাবে। ওয়েবসাইটে ফ্লাইট সার্চের পাশাপাশি একাধিক ফ্লাইটের মধ্যে তুলনা করারও ফিচার রয়েছে।
ব্যাঙ্কিং ও মোবাইল পেমেন্ট সিস্টেমগুলোর মধ্যে প্রায় সবগুলোই থাকায় সব শ্রেণীর গ্রাহকরাই অকপটেই ব্যবহার করতে পারেন।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://gozayaan.com/
এছাড়া আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড উভয় স্মার্টফোন গ্রাহকদের জন্য তাদের নিজস্ব অ্যাপও রয়েছে।
আইওএস অ্যাপ লিঙ্ক: https://apps.apple.com/us/app/gozayaan/id1635126688
অ্যান্ডয়েড অ্যাপ লিঙ্ক: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.gozayaan.app&hl=en
আরো পড়ুন: খেজুরের রকমফের: জেনে নিন ১০ প্রকার খেজুরের পুষ্টি, স্বাস্থ্যগুণ ও দাম
শেয়ার ট্রিপ (ShareTrip)
ট্রাভেল বুকিং বিডি নামের ছোট্ট ফেসবুক পেজটির উদ্দেশ্য ছিলো প্লেনের টিকেট বিক্রি করা। ২০১৩ সালের এই উদ্যোগের অঙ্কুরে পরের বছর জন্ম নেয় শেয়ার ট্রিপ। এটিই দেশে প্রথমবারের মতো একযোগে ন্যাশনাল ও ইন্টার্ন্যাশনাল দুই ফ্লাইটের জন্য অনলাইন টিকেটিং পদ্ধতি চালু করে।
ShareTrip-এর ওয়েবসাইটের পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোন অ্যাপ রয়েছে। এমনকি সব প্ল্যাটফর্মই ফ্লাইটগুলোর রিয়েল-টাইম মূল্য তালিকা প্রদর্শন করে। সাধারণ কর্মদিবস, সপ্তাহান্ত, ও ছুটি বিশেষে অর্থ পরিশোধের ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে গ্রাহক ইমেইলের মাধ্যমে ই-টিকিট পেয়ে যান।
বুকিং-এর জন্য অবশ্যই অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। আর এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পরবর্তীতে ফ্লাইট বাতিল বা তারিখ পরিবর্তন সংক্রান্ত আবেদনগুলো রাখা যায়।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://sharetrip.net/
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=net.sharetrip&hl=en
আইওএস অ্যাপ: https://apps.apple.com/us/app/sharetrip-flight-shop-voucher/id1469335892
আরো পড়ুন: রাতে বাসে বা গণপরিবহনে নিরাপদে ভ্রমণে কিছু সতর্কতা
ফ্লাইট এক্সপার্ট (Flight Expert)
মক্কা গ্রুপ অব কোম্পানি-এর এই ট্রাভেল এজেন্সি ২০১৭ সালের ১ মার্চ নিয়ে আসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে টিকেটিং পদ্ধতি। অবশ্য এই প্রযুক্তিকে ঘিরে পূর্ণাঙ্গ একটি ওয়েবসাইটের আত্মপ্রকাশ ঘটে ২০২২-এর ৯ জুলাই। বর্তমানে দেশের প্রথম সারির ফ্লাইট বুকিং সাইটগুলোর মধ্যে Flight Expert অন্যতম।
অন্যান্য এজেন্সিগুলোর থেকে যে বিষয়টি প্রতিষ্ঠানটিকে এগিয়ে রেখেছে তা হচ্ছে ‘বুক ন্যাউ (পে লেটার)’ ফিচার। এই প্রক্রিয়ায় অর্ডার নিয়ে কোনও পেমেন্ট ছাড়াই যাত্রীর জন্য টিকেট বুক করে রাখা হয়। পরবর্তীতে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে গ্রাহক টিকেটের অর্থ পরিশোধ করেন। সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রাহককে পেমেন্টের রিমাইন্ডার দেওয়া হয়।
সফল ভাবে অর্থ প্রদানপূর্বক এয়ারলাইন্সের ইস্যূকৃত টিকেটের পিডিএফ ফাইল চলে যায় গ্রাহকের ইমেইল ঠিকানায়।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://flightexpert.com/
ওয়েবসাইট মোবাইল-বান্ধব হওয়া সত্ত্বেও এদের রয়েছে স্বতন্ত্র আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েড।
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.flightexpert.b2c&hl=en
আইফোন অ্যাপ: https://apps.apple.com/ag/app/flight-expert/id6457255223
আরো পড়ুন: মরণঘাতী ড্রাগ ‘ডেভিলস ব্রেথ’ বা ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ থেকে বাঁচতে করণীয়
বিডিটিকেটস (bdtickets)
ঘরে বসে বাসের টিকেট সংগ্রহের জন্য রবি আজিয়াটার এই টিকেটিং পোর্টালটি ব্যাপকভাবে সমাদৃত। ২০১৫ সালে আত্মপ্রকাশের পর থেকে এরা প্রধানত দেশের আন্তঃনগর বাসগুলো নিয়ে কাজ করে আসছে। বর্তমানে bdtickets প্লেন বা লঞ্চের টিকেটও সরবরাহ করে তবে তার জন্য ১৬৪৬০ নাম্বারে ফোন দিতে হবে।
অন্যান্য টিকেটিং সাইটগুলোর মতো এদেরও রয়েছে নিবন্ধন, টিকেট অর্ডার, এবং পেমেন্ট সিস্টেম। তাদের মোবাইল অ্যাপ একটি; বিডিটিকেটস, যার অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যাপেল দুই সংস্করণই আছে।
যাত্রার সময় পরিবর্তন বা বাতিলের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পাদন করা যায় যাত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://bdtickets.com/
স্মার্টফোন থেকে এই কার্য সম্পাদনের জন্য পৃথক অ্যাপও রয়েছে।
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ:
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.bluetech.bdtickets.launcher&hl=en
আইওএস অ্যাপ: https://apps.apple.com/us/app/bdtickets/id1552613900
আরো পড়ুন: বাসা-বাড়িতে ডাকাতি প্রতিরোধে করণীয়
বাইটিকেটস (Buy Tickets)
২০১৮-এর ১৯ আগস্ট আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বিমান টিকেটিং কার্যক্রম শুরু করে বাইটিকেট্স। ট্রাভেল এজেন্সি এয়ারস্প্যান লিমিটেড-এর এই উদ্যোগ বর্তমানে দেশের পর্যটন সেক্টরের এক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। বাস, লঞ্চ, বিমানের টিকেট বিক্রির পাশাপাশি এদের হলিডে ট্যুর প্যাকেজ ও হোটেল সেবাও রয়েছে।
উপরোক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো Buy Ticketsও গ্রাহকদের জন্য সহজ ইন্টারফেসে টিকেট কেনার সুযোগ দেয়। দেশের সমসাময়িক ওটিএগুলোর মতো এটিও এসএমএস বা ইমেলের মাধ্যমে গ্রাহককে ই-টিকেট সরবরাহ করে।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://buytickets.com.bd/
স্মার্টফোন ব্যবহারকারিদের জন্য এই পরিষেবাটি শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মে সমর্থিত।
অ্যান্ড্রয়েড স্টোর লিঙ্ক: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.buytickets.bd&hl=en
আরো পড়ুন: কক্সবাজার ইনানী সমুদ্রসৈকত ভ্রমণ: ঘুরে আসুন প্রবাল পাথুরে সৈকতে
যাত্রী (Jatri)
২০১৯-এ আত্মপ্রকাশ করা এই সাইটটির বিশেষত্ব হলো বাস ট্র্যাকিং-এর সুবিধা। এর মাধ্যমে সম্ভাব্য যাত্রীরা বাসের বর্তমান অবস্থান দেখে তার স্ট্যান্ডে পৌঁছার সময়টি যাচাই করতে পারেন।
যাত্রীর নিজস্ব ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপ উভয় মাধ্যমেই এই ফিচারটি রয়েছে। সাইটে নিবন্ধনের পর নির্ধারিত অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে যাতায়াতের যাবতীয় তথ্য পাওয়া যায়। এই তথ্য পছন্দের বাসটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।
মূল্য পরিশোধের জন্য Jatri-এর রয়েছে বিশেষ ডিমানি যাত্রী কার্ড। এর সাথে ডিজিটাল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ভিসা বা মাস্টার কার্ড যুক্ত করার সুবিধা আছে। ফলে যাত্রীরা তাৎক্ষণিক ভাবে ডিজিটাল মাধ্যমে যাতায়াতের ভাড়া দিতে পারে।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://www.jatri.co/
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.jatri.jatriuser&hl=en&gl=
আরো পড়ুন: রমজানে রোজা রাখার প্রস্তুতি: দেহ ও মনকে সুস্থ রাখতে করণীয়
পরিবহন.কম (paribahan.com)
এই সাইটটিতে দেশের বর্তমান অধিকাংশ পরিবহন পরিষেবার এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টার্ফেস) সংযুক্তি রয়েছে। তাই প্রতিষ্ঠানটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাবে বিস্তৃত পরিসরে টিকেটিং সেবা প্রদান করতে পারে।
paribahan.com-এর আওতাভূক্ত পরিবহনগুলো হলো বাস, লঞ্চ এবং বিমান। এগুলোর যে কোনওটির টিকেট কেনার সময় যাত্রীরা নিজের পছন্দ মতো পরিবহন কোম্পানি বাছাই করতে পারেন। একই সঙ্গে দেশের প্রায় সবগুলো অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থার সুবিধা রেখেছে ওয়েবসাইটটি।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://paribahan.com/
তবে অসুবিধার জায়গা হচ্ছে পরিবহন.কম-এর কোনও মোবাইল অ্যাপ নেই।
শেষাংশ
অনলাইনে বাস, ট্রেন, ও বিমানের টিকেট ক্রয়ের এই ১০টি প্রতিষ্ঠান জনসাধারণের যাতায়াত ব্যবস্থার মানোন্নয়ন করেছে। সরকারি দিক থেকে এই বৃহৎ ভূমিকায় অবদান রাখছে বাংলাদেশ রেলওয়ে ই-টিকেটিং সার্ভিস। দেশ-বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে টিকেটিং ব্যবস্থাকে উন্নত করেছে বিমান বাংলাদেশ, শেয়ার ট্রিপ, গোজায়ান, এবং ফ্লাইট এক্সপার্ট। এগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে যাত্রীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে সহজ, বিডিটিকেট্স, ও বাইটিকেট্স। পিছিয়ে নেই শুধুমাত্র দেশের আভ্যন্তরীণ পরিবহনগুলোতে সীমাবদ্ধ থাকা যাত্রী এবং পরিবহন। সর্বপরি, এই প্রতিষ্ঠানগুলো এখন কাগুজে টিকেট ব্যবস্থার উৎকৃষ্ট বিকল্প, যা নাগরিক জীবনকে ধাবিত করছে উন্নত জীবন ধারণের দিকে।
আরো পড়ুন: পবিত্র ওমরাতে যাওয়ার পূর্বপ্রস্তুতি ও কিছু সাবধানতা
৪০ দিন আগে
চট্টগ্রামে ‘হবেকি’ গ্রাফিতি, গাধার পিঠের ‘ভাবুক’ নিয়ে কৌতূহল
২০২৪-পরবর্তী বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর রাজনৈতিক অভ্যুত্থানের মধ্যে প্রতিরোধ ও সামাজিক ভাবনার মাধ্যম হিসেবে নিজের গুরুত্ব ফিরে পেয়েছে গ্রাফিতি। এরইমধ্যে চট্টগ্রামের সিআরবি এলাকায় একটি নতুন গ্রাফিতি শিল্পকর্ম—যা বিখ্যাত ফরাসি ভাস্কর আগুস্ত রোঁদ্যার ‘দ্য থিঙ্কারের’ বা ভাবুকের প্রতিরূপ—নতুন করে কৌতূহল জাগিয়ে তুলেছে। বিখ্যাত এই ভাস্কর্য জ্ঞান বা দর্শনের রূপক হিসেবে পরিচিত বিশ্বজুড়ে। একই সঙ্গে বুদ্ধিজীবীদেরও প্রতীক দেখা হয় এটিকে।
মজার বিষয় হল, গাধার পিঠে গালে হাত দিয়ে বসে আছেন ভাবুক। ছবির পেছনে রোমান হরফে ‘হবেকি’ (HOBEKI?) লেখা। যা ২০১৭ সালে ঢাকায় সাড়া জাগানো ‘সুবোধ’ গ্রাফিতির কথাই মনে করিয়ে দেয়।
একটু নিবিড় দৃষ্টিতে চোখ রাখলে চট্টগ্রামের সিআরবি রোডের শিরীষতলায় অবস্থিত একটি পরিত্যক্ত ভবন কাঠামোর ২০ ফুট প্রস্থ এবং ১২ ফুট উঁচু চুনকাম করা দেয়ালে আঁকা এই শিল্পকর্মটি সরাসরি রোঁদ্যার বিখ্যাত ভাস্কর্য, দ্য থিঙ্কারকে মনে করিয়ে দেয়।। যা গভীর চিন্তাভাবনার সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত প্রতীক। তবে, গাধার ওপর স্থাপনাটি একটি ব্যঙ্গাত্মক রহস্য যোগ করে কৌতূহলী দর্শক এবং পর্যবেক্ষকদের এটিকে বুদ্ধিজীবীদের সমালোচনা হিসাবে ব্যাখ্যা করতে উৎসাহিত করে।
এই রহস্যময়তা আরও গভীর করে ‘হবেকি’ লোগো। যা ২০১৭ সালে ঢাকার দেয়ালে আবির্ভূত রহস্যময় সুবোধ গ্রাফিতির প্রতিফলন এটি। সুবোধ সিরিজটি একটি সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ হয়ে সবার মনের গভীরে ছড়িয়ে পড়েছিল। এতে লেখা ছিল, ‘ সুবোধ তুই পালিয়ে যা, সময় তোর পক্ষে না’; ‘সুবোধ তুই পালিয়ে যা তোর ভাগ্যে কিছু নেই’; যা এর সূক্ষ্ম রাজনৈতিক অন্তর্নিহিততার কারণে অনেকের কাছে গভীরভাবে অনুরণিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মরণঘাতী ড্রাগ ‘ডেভিলস ব্রেথ’ বা ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ থেকে বাঁচতে করণীয়
এখন, ‘হোবেকি?’ (হোবেকি?) শিরোনামযুক্ত গ্রাফিতিটি চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো প্রদর্শিত হচ্ছে। এই চিন্তা-উদ্দীপক কাজের পিছনে একই বেনামি শিল্পী বা গোষ্ঠীর হাত আছে কিনা তা নিয়ে জল্পনা চলছে। গ্রাফিতি শিল্পীদের রীতি অনুযায়ী এ শিল্পকর্মের স্রষ্টা নিজের নাম গোপন রেখেছেন।
স্থানীয় শিল্পী, সামাজিক ভাষ্যকার এবং শিল্পপ্রেমীরা বিশ্বাস করেন যে নতুন গ্রাফিতিটি বর্তমান সমাজে বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকার সমালোচনা হিসেবে কাজ করে। যদিও ‘দ্য থিঙ্কার’ দার্শনিক গভীরতা এবং প্রজ্ঞার প্রতীক, এটিকে একটি গাধার ওপর স্থাপন করার মাধ্যমে—যা প্রায়শই একগুঁয়েমি এবং বুদ্ধিমত্তার ঘাটতির সাথে যুক্ত—মনে হচ্ছে যে বুদ্ধিজীবীরা, তাদের অন্তর্দৃষ্টি থাকা সত্ত্বেও শক্তিহীন বা বিপথগামী হতে পারে, তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরের শক্তির ওপর তারা নির্ভর করে।
৪১ দিন আগে
অনলাইন ঈদ শপিং ২০২৫: ঘরে বসে কেনাকাটার জন্য তৈরি পোশাকের শীর্ষ ১০ ব্র্যান্ড
প্রযুক্তির উৎকর্ষে ঈদের কেনাকাটার জন্য প্রত্যেকে এখন অনলাইনমুখী হচ্ছেন। পরিবারের ছোট থেকে বড় প্রতিটি সদস্যের জন্য পছন্দনীয় ড্রেসটি ঘরে বসেই দেখা যাচ্ছে। কেননা কয়েক দশক ধরে প্রসিদ্ধ তৈরি পোশাকের ব্র্যান্ডগুলো এখন আর কেবল শো-রুমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। ডিজিটাল বিপণনের যুগে প্রত্যেকটিরই রয়েছে নিজস্ব অনলাইন স্টোর। চলুন দেখে নেওয়া যাক- ঈদকে সামনে রেখে দেশের শীর্ষস্থানীয় রেডিমেড গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলো কেমন প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ঈদের অনলাইন কেনাকাটায় তৈরি পোশাকের ১০টি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড
.
আড়ং (Aarong)
১৯৭৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় আড়ং-এর পথ চলা। দেশীয় বেসরকারি সংগঠন ব্র্যাকের এই সামাজিক উদ্যোগটি বর্তমানে একটি স্বনামধন্য পোশাক ব্র্যান্ড।
আসছে ঈদে পুরনো ঐতিহ্য বহাল রেখে আবারও দেশীয় সিল্কে সাজতে যাচ্ছে Aarong। হ্যান্ড এম্ব্রয়ডারির বিশেষত্বে কারুকাজের প্রতিটি পরতে মিলবে উৎসবের আমেজ। তারই স্পষ্ট ছাপ রয়েছে পুরো ওয়েবসাইট জুড়ে।
আরো পড়ুন: পবিত্র রমজান ২০২৫-এ ইফতারের জন্য ঢাকার সেরা ১০টি রেস্টুরেন্ট
নতুন আয়োজনে মেয়েদের ক্যাটাগরিতে শোভা পাচ্ছে বর্ণীল সালোয়ার কামিজ। পুরুষদের সেকশনে রয়েছে পাঞ্জাবি ও কোটি। বাচ্চাদের পোশাকেও এম্ব্রয়ডারি, ও সিল্ক প্রিন্টের সরব উপস্থিতি।
পৃথক মেনুতে নজর কাঁড়ছে সাব-ব্র্যান্ড তাগা Taaga ও তাগা ম্যান (Taaga Man)-এর কালেকশন। প্রতিটি পণ্যের জন্য প্রদর্শিত হয় আলাদা ওয়েব পেজ। প্রতি পেজেই সংশ্লিষ্ট পণ্যের বিবরণী থেকে তার মাপ জেনে নেওয়া যায়। অতঃপর সব ঠিকঠাক হলে ঘরে থেকেই সেরে ফেলা যায় অর্ডারের কাজ।
আড়ং-এর সেবা ছড়িয়ে আছে ঢাকার সর্বত্রে। উত্তরা, গুলশান, মগবাজার, ধানমন্ডি, বনানী, মিরপুর, ওয়ারি’তে রয়েছে প্রশস্ত শো-রুম।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://www.aarong.com
আরো পড়ুন: খেজুরের রকমফের: জেনে নিন ১০ প্রকার খেজুরের পুষ্টি, স্বাস্থ্যগুণ ও দাম
ইয়োলো (Yellow)
বেক্সিমকো গ্রুপের মালিকানাধীন এই পোশাক ব্র্যান্ডটির আত্মপ্রকাশ ঘটে ২০০৪ সালে। দীর্ঘ এক দশকের অভিজ্ঞতা নিয়ে অফলাইনের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি অনলাইনেও সমান জনপ্রিয়।
ওয়েবসাইটের সাবলীল ইন্টারফেসে প্রথমেই রয়েছে বসন্ত ও গ্রীষ্মের সমন্বয়ে ঈদ কালেকশন মেনু। তারপরেই পাওয়া যাবে নতুন সংযোজিত পণ্যসমূহ। অতঃপর একে একে পুরুষ, নারী, ও বাচ্চাদের ড্রেসের জন্য পৃথক ট্যাব। প্রত্যেকটি সেকশন আলাদা ওয়েব পেজে নিয়ে যেখানে ক্যাটাগরির ভিত্তিতে ড্রেস বাছাই করা যায়।
যথারীতি সর্বত্রে Yellow-এর ফরমাল ও ক্যাজুয়াল সমন্বয়ের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। ছোট থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের পুরুষদের জন্য সাজানো আছে স্টাইলিশ পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট ও জিন্স দিয়ে। অপরদিকে নারীদের জন্য সালোয়ার কামিজ, টপ্স ও বটম, কুর্তি, এমনকি শাড়িও আছে।
ঢাকাসহ সারা দেশব্যাপি ছড়িয়ে রয়েছে ইয়োলোর ডেলিভারি সেবা। ঢাকার মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান অবস্থিতি হলো বসুন্ধরা সিটি, বনানী, গুলশান, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, উত্তরা, বেইলি রোড, ওয়ারী ও মগবাজারে।
স্টোর লিঙ্ক: https://www.yellowclothing.net
আরো পড়ুন: রাতে বাসে বা গণপরিবহনে নিরাপদে ভ্রমণে কিছু সতর্কতা
এক্সট্যাসি (Ecstasy)
১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকেই তরুণদের মধ্যে ব্যাপকভাবে সমাদৃত একটি ব্র্যান্ড এক্সট্যাসি। এর অনলাইন স্টোরে প্রবেশের পরপরই স্বাগত জানায় তানজিম স্কোয়াড। Ecstasy-এর অধীনে পুরুষদের হাল ফ্যাশনের সাব-ব্র্যান্ড এই ‘তানজিম’ (Tanjim)। একই ভাবে নারীদের জন্য রয়েছে ‘জারজাইন’ (Zarzain)।
দুটো ক্যাটাগরির ওয়েব পেজগুলোতেই রয়েছে রকমারি পোশাকগুলোকে দামসহ এক নজরে দেখার সুবিধা। তানজিমে চোখে পড়ে পিন্স্ট্রিপড শার্ট, স্কোয়াড টি-শার্ট, এবং ঈদের পাঞ্জাবি। অন্যদিকে, জারজাইনে কাফতান, শ্রাগ, ও টপ্স-এর প্রাধান্য বেশি।
রাজধানীতে এক্সট্যাসির মূল আউটলেটগুলো হলো যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা সিটি, গুলশান এভিনিউ, ধানমন্ডি, উত্তরা ও ওয়ারি।
ওয়েব লিঙ্ক: https://ecstasybd.com/
আরো পড়ুন: মরণঘাতী ড্রাগ ‘ডেভিলস ব্রেথ’ বা ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ থেকে বাঁচতে করণীয়
সেইলার (Sailor)
এপিলিয়ন গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সেইলারের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৮ সালে। বর্তমান সময়ে পোশাক-কেন্দ্রিক ই-কর্মাস সাইটগুলোতে দারুণ একটি সংযোজন এর ডিজিটাল স্টোরটি।
ট্রেন্ডি ও আরামদায়ক পোশাকগুলো এখানে নিজেদের পছন্দ মতো বেঁছে নিতে পারেন ক্রেতারা। স্পষ্ট ক্যাটাগরি বিভাজন থাকায় পুরুষ, নারী ও শিশুদের পোশাক সহজেই খুঁজে বের করা যায়। ছবি, পণ্যের বিবরণ ও ফিল্টারিং সুবিধা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।
পুরুষদের সেকশনে ঈদের জন্য রয়েছে ফিউশন পাঞ্জাবি, যা ঐতিহ্য ও আধুনিক স্টাইলের অনন্য মিশ্রণ। পরিবারের ছোট সদস্যদের জন্যও রাখা হয়েছে আরামপ্রদ এই পরিধেয়টি। নারীদের ক্যাটাগরিতে নজর কাঁড়ছে কুর্তি ও নিটেড টপ-বটম সেট।
Sailor সারা দেশ জুড়ে ড্রেস ডেলিভারি করে থাকে। ঢাকার মধ্যে এর প্রধান শাখাগুলো রয়েছে ওয়ারি, উত্তরা, ধানমন্ডি, আদাবর, মিরপুর, এবং খিলগাঁও-এ।
ই-স্টোর লিঙ্ক: https://www.sailor.clothing
আরো পড়ুন: পবিত্র ওমরাতে যাওয়ার পূর্বপ্রস্তুতি ও কিছু সাবধানতা
লা রিভ (Le Reve)
রিভ টেক্স লিমিটেডের লা রিভ ব্র্যান্ডের গোড়াপত্তন হয় ২০০৯ সালে। বর্তমানে এটি দেশীয় ফ্যাশনে নিজস্ব স্বকীয়তা ও মানের জন্য সুপরিচিত। সমগ্র ঢাকা জুড়ে Le Reve-এর সরব উপস্থিতি বিদ্যমান। তন্মধ্যে বেইলি রোড, বনশ্রী, বাসাবো, ধানমন্ডি, ওয়ারী, মিরপুর, বসুন্ধরা, মোহাম্মদপুর ও গুলশানের স্টোরগুলো প্রায় ক্রেতাদের সমাগম থাকে।
অফলাইনের মতো এর অনলাইন প্ল্যাটফর্মটিও বেশ ইন্টারঅ্যাক্টিভ। বিভিন্ন বয়সের জন্য নির্ধারিত এদের সেরা ড্রেসগুলো সৃজনশীল শিরোনামে প্রদর্শিত হয়েছে হোমপেজ জুড়ে। ফলে প্রাসঙ্গিক মেনু বা ট্যাবগুলোতে অনায়াসেই চলে যাওয়া যায় কাঙ্ক্ষিত ড্রেসটির খোঁজে।
নারীদের সালোয়ার কামিজ এবং পুরুষদের পাঞ্জাবির সমন্বয়ে সুবিন্যস্ত ঈদ কালেকশনে প্রমাণ মিলছে লা রিভের স্বকীয়তার। রেস্পন্সিভ ডিজাইনের ওয়েবসাইট হওয়ায় যে কোনও ডিভাইস থেকেই তা খুটিয়ে দেখে নিতে পারছেন ক্রেতারা।
ই-স্টোর লিঙ্ক: https://www.lerevecraze.com/
আরো পড়ুন: পুরুষদের ফরমাল পোশাক ও স্যুট বানানোর জনপ্রিয় কিছু দেশি ব্র্যান্ড
কে ক্র্যাফ্ট (Kay Kraft)
ঐতিহ্য ও আধুনিক ফ্যাশনের সমন্বয়ে নান্দনিক বুনন শৈলীর এক অনন্য নাম কে ক্র্যাফ্ট। ১৯৯৩ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি ব্র্যান্ড হয়ে উঠতে খুব বেশি সময় নেয়নি। বর্তমানে ঢাকার ব্যস্ততম কেনাকাটার জায়গা মানেই Kay Kraft। এদের আউটলেট রয়েছে বেইলি রোড, বনশ্রী, বাসাবো, মিরপুর, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, শাহবাগ, ওয়ারী, বসুন্ধরা, ও গুলশান-এ।
ব্র্যান্ডটির বিশেষত্ব হচ্ছে চক্ষু শীতল রঙের আভরণে অভিজাত ডিজাইন। এর সুবিন্যস্ত চিহ্ন ছড়িয়ে আছে ডিজিটাল শো-রুমের প্রদর্শনীতেও। পুরুষদের ড্রেসে কাট নির্ভর এক রঙা ফিটেড মাপ আর নারীদের ক্ষেত্রে রেট্রো, ফিউশন, ও লং প্যাটার্নের প্রাধান্য। একই বৈশিষ্ট্যের দেখা বাচ্চাদের পোশাকেও।
প্রতিটি ড্রেসের বিশদ পর্যালোচনার জন্য পুরো ওয়েব পেজ জুড়ে রয়েছে ধরণ, রঙ, ও পরিমাপসহ বিভিন্ন মাপকাঠি। সহজ ইন্টারফেস শপিং কার্ট থেকে চেকআউট পর্যন্ত ক্রেতাদের সাবলীল বিচরণ অব্যাহত রাখে।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://www.kaykraft.com/
আরো পড়ুন: গহনায় ব্যবহৃত মূল্যবান কিছু রত্নপাথর
রঙ বাংলাদেশ (Rang Bangladesh)
১৯৯৪ সালে খুব ছোট্ট পরিসরে শুরু হওয়া রঙ এখন ‘বিশ্ব রঙ’ এবং ‘রঙ বাংলাদেশ’-এর মতো জনপ্রিয় দুটি ব্র্যান্ডের কর্ণধার। রাজধানী জুড়ে Rang Bangladesh-এর বর্ণীল অবস্থিতি আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে।
প্রতি ঈদের মতো এবারেও প্রতিষ্ঠানটির নতুন সংগ্রহশালার মূল উপজীব্য দেশীয় রঙ ও আবহ। তারই উন্মুক্ত প্রতিফলন সমগ্র হোমপেজ জুড়ে।
শিশু থেকে বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ সকলের জন্য বিশদ তথ্যে ভরপুর প্রতিটি ড্রেসের প্রদর্শনী। লিনেন, ভিসকস, জ্যাকার্ড কটন, বারফি, ও জর্জেট প্রতিটি ধরণ চোখের সামনে ভেসে উঠছে ভিন্ন রঙ ও পরিমাপ নিয়ে।
নিয়মিত বিপণীতে মুখর বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত স্কয়ার, টোকিও স্কয়ার এবং ওয়ারি; প্রতিটিতেই রয়েছে রঙ বাংলাদেশের শো-রুম।
অনলাইন স্টোর: https://rang-bd.com/
আরো পড়ুন: হাই হিল কিভাবে পুরুষের পা থেকে নারীর পায়ে এলো?
অঞ্জন্স (Anjan’s)
দেশের ফ্যাশন হাউজের অন্যতম অগ্রপথিক অঞ্জন্স-এর প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৯৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। প্রতি উপলক্ষে তাদের নতুন কালেকশনে থাকে সমসাময়িক ঋতুর আবহ।
এবারের ঈদেও তার ব্যতিক্রম ঘটছে না। চৈত্রের মধ্য দিয়ে বসন্তের পরিসমাপ্তি অতঃপর গ্রীষ্মের আগমন। ঋতুর এই পালাবদলের প্রতিমূর্তি যেন Anjan’s-এর ঈদ কালেকশন-২০২৫ ওয়েব পেজটি।
পরিধেয়ের সৌষ্ঠবে হাল্কা আরামপ্রদ ভাব রাখা হলেও মোটেই কারপণ্য করা হয়নি শৈলীর সৃজনশীলতায়। প্রদর্শনীতে দেওয়া পটভূমির সাথে মানানসই ছবিগুলো অকপটেই ঘোষণা করে যে ঠিক কোন পরিবেশে ক্রেতাকে কেমন দেখাবে।
ফিল্টারিং ও সার্চিং-এর সহজ ইন্টারফেসের সাথে এরা আরও যুক্ত করেছে একাধিক পণ্যের মধ্যে তুলনা করার ফিচার। তাই শপিং কার্ট থেকে চেকআউটের সময় সিদ্ধাহীনতার কোনও অবকাশ নেই।
ঢাকায় অঞ্জন্স-এর শাখা আছে উত্তরা, বেইলি রোড, মালিবাগ, বনানী, মিরপুর, ধানমন্ডি, এবং ওয়ারিতে।
ডিজিটাল স্টোর লিঙ্ক: https://www.anjans.com/
আরো পড়ুন: জেনে নিন কোন লিপস্টিক আপনাকে সবচেয়ে বেশি মানাবে
টুয়েল্ভ ক্লদিং (Twelve Clothing)
টিম গ্রুপের দ্বাদশ উদ্যোগ হিসেবে ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর চালু হয় টুয়েল্ভ ক্লদিং। সাম্প্রতিক সময়ে দ্রুত সময়ে নির্ভরতা অর্জন করা ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে Twelve Clothing একটি।
এর ড্রেসগুলোর আসল বিশেষত্ব লুকিয়ে থাকে এর তৈরি প্রক্রিয়ায়। এম্ব্রয়ডারি, স্ক্রিনপ্রিন্ট, ডিজিটাল প্রিন্ট, ও কারচুপির অনবদ্য পরিস্ফুটন ঘটে প্রতি পোশাকে। যার প্রমাণ পাওয়া যাবে নির্দিষ্ট পোশাকের ওয়েব পেজে প্রবেশ করলে।
সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে সাইটের এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ফিচার। এর মাধ্যমে যে কোনও পোশাকের পেজে ঢুকে নিজের ছবি আপলোড করে ভার্চুয়াল ট্রায়াল দেওয়া যাবে।
এছাড়াও রয়েছে কাঙ্ক্ষিত ড্রেসটির তুলনামূলক যাচাইয়ের সুবিধা।
রাজধানী কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠানটির শাখাগুলো হলো- বেইলি রোড, বনশ্রী, খিলগাঁও, মিরপুর, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, ওয়ারি, উত্তরা, এলিফ্যান্ট রোড, বসুন্ধরা, এবং গুলশান।
ওয়েবসাইট লিঙ্ক: https://twelvebd.com/
আরো পড়ুন: নতুন পোশাক কেনার আসক্তি কমানোর উপায়
দেশাল (Deshal)
দেশীয় ঘরানা ও পদ্ধতির পোশাকশিল্পীদের একটি নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মে একত্রিত করা। এমনই সুদূরপ্রসারি ভিশন নিয়ে ২০০৫ সালে শুরু হয় দেশাল-এর কার্যক্রম। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির পরিব্যাপ্তি ঢাকার প্রতিটি ব্যস্ত এলাকায় লক্ষণীয়। এর মধ্যের রয়েছে বনানী, উত্তরা, বসুন্ধরা সিটি, ধানমন্ডি, শাহবাগ, বেইলি রোড, মোহাম্মদপুর, ও মিরপুর।
তৈরি পোশাক শিল্পের প্রথম সারির ই-কমার্স সাইটগুলোর মধ্যে Deshal একটি। দেশীয় সংস্কৃতির উদাত্ত বহিঃপ্রকাশের ছাপ মেলে সাইটের হোমপেজ থেকেই। অতঃপর প্রধান মেনুগুলোর মধ্যে শিশু, নারী, পুরুষ ক্যাটাগরির প্রত্যেকটিতে একই সংস্কৃতির পরিচয়।
এবার আলাদা করে দৃষ্টি আকর্ষণ করছে ঈদ ২০২৫ ট্যাবটি। ক্রয়ের জন্য যাবতীয় তথ্যের পাশাপাশি প্রাঞ্জল বাংলা শিরোনাম বিকশিত করছে পোশাকের মানকে।
অর্ডার থেকে চেকআউট অব্দি নেই ঘন ঘন পেজ পরিবর্তনের বিড়ম্বনা। তাই সাবলীলতার দিক দিয়ে অন্যান্য সাইটগুলোর তুলনায় এখানকার অনলাইন শপিংটা একটু এগিয়ে।
সাইট লিঙ্ক: https://www.deshal.net/
আরো পড়ুন: নিরাপদে স্ট্রিট ফুড খাওয়ার ১০টি উপায়
পরিশিষ্ট
তৈরি পোশাকের এই ১০টি স্বনামধন্য ব্র্যান্ডের অনলাইন স্টোরগুলো ক্রেতাদের কেনাকাটায় যুগান্তকারি প্রভাব ফেলছে। দীর্ঘ দিনের নির্ভরতার দৌলতে প্রিয় ব্যান্ডের ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারছেন প্রত্যেকে।
স্বতন্ত্র শৈলীর গুনমুগ্ধরা পুরনো ‘আড়ং’ ও ‘কে-ক্র্যাফ্ট’ তে দেখছেনই। সেই সাথে চোষে বেড়াচ্ছেন নতুন ‘রঙ বাংলাদেশ’ এবং ‘অঞ্জন্স’-এর স্টোরগুলোও। ডিজিটাল স্ক্রিনিং-এর যথাযোগ্য সদ্ব্যবহার করে নিজেদের বিশেষত্বগুলো মেলে ধরছে ‘এক্স্ট্যাসি’, ‘সেইলার’, ও ‘টুয়েল্ভ ক্লদিং’। পিছিয়ে নেই হাল ফ্যাশনের ‘ইয়োলো’, ‘লা রিভ’, এবং ‘দেশাল’ও।
সর্বপরি, এই অনলাইন ঈদ শপিং সামগ্রিকভাবে নতুন মাত্রা যোগ করছে ক্রেতাদের নিত্য-নৈমিত্তিক জীবনধারণে।
আরো পড়ুন: বাসা-বাড়ির রান্নায় সিলিন্ডার গ্যাসের খরচ কমাবেন যেভাবে
৪৩ দিন আগে
পবিত্র রমজান ২০২৫-এ ইফতারের জন্য ঢাকার সেরা ১০টি রেস্টুরেন্ট
রমজান মাসে ইফতার শুধু একটি ধর্মীয় আচার নয়, এটি মুসলমানদের খাদ্য সংস্কৃতিরও এক বিরাট অংশ। তারই এক অভাবনীয় বৈচিত্র্য দেখা যায় ঢাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে। প্রতিবারই এই পবিত্র মাসকে কেন্দ্র করে নানা ধরণের ইফতার প্ল্যাটারের আয়োজন করা হয়। এখানে ঐতিহ্যবাহী খাবারের সাথে থাকে আধুনিক খাবারের অপূর্ব সংমিশ্রণ। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের তেমনি কয়েকটি জনপ্রিয় রেস্টুরেন্টকে নিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের নিবন্ধ। চলুন, ইফতার করার জন্য ঢাকার ১০টি সেরা রেস্টুরেন্টের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ঘরের বাইরে ইফতারের জন্য ঢাকার জনপ্রিয় ১০টি রেস্টুরেন্ট
.
মুম্বাই এক্সপ্রেস (Mumbai Express)
উত্তরার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত মুম্বাই এক্সপ্রেস ইফতার আয়োজনের এক অভিজাত গন্তব্য। রমজানে এখানকার পরিপূর্ণ মেনুতে মেলে স্বাদ ও ঐতিহ্যের মিশ্রণ।
এ বছর Mumbai Express-এর পরিবেশনায় রয়েছে তিনটি প্ল্যাটার। নান ইফতার নামক প্ল্যাটারে পাওয়া যাবে ৯টি আইটেম, যার মূল্য শুরু ৬৫০ টাকা থেকে। ৮টি বাহারি পদের বিরিয়ানি ইফতারের দামও একই। ন্যূনতম ৭৫০ টাকা থেকে শুরু হওয়া শাহী ইফতার-এ রয়েছে ৯টি পদ।
এর বাইরে মেনুর মূল আকর্ষণে আছে ৫৫০ টাকার মাটন হালিম। মিষ্টান্নর মধ্যে নজর কাড়ছে উপাদেয় স্বাদের রেশমি জিলাপি যার দাম পড়বে ২৮০ টাকা। আর একটু মোটা বোম্বে জিলাপির দাম ২০০ টাকা।
ঠিকানা: হাউস-১৬/এ, রোড-৪, সেক্টর-৪, উত্তরা।
বাহারি সেট মেনু:
https://www.facebook.com/mumbaiexpressbd/posts/pfbid02TWmF1s9Wk58LoHHzSQQKZ7nWYA9gm1hPkikjDpMi78XoPWJMUeWq2KzHRDz1Hiwyl
আরো পড়ুন: খেজুরের রকমফের: জেনে নিন ১০ প্রকার খেজুরের পুষ্টি, স্বাস্থ্যগুণ ও দাম
যাত্রা বিরতি (Jatra Biroti)
বনানীর এই রেস্তোরাঁটি তাদের ইফতার প্ল্যাটারগুলোতে রেখেছে স্বাস্থ্যকর ও বৈচিত্র্যময়তার ছাপ। Jatra Biroti-এর খাবারগুলোর বিশেষ দিক হচ্ছে নিরামিষের প্রাধান্য।
এবারের রমজানে এখানে বাছাইয়ের জন্য থাকছে ৬টি প্ল্যাটার, যেগুলোর প্রত্যেকটির দাম ৪২০ টাকা। প্রতিটির সাধারণ খাবার হলো খেঁজুর, পিয়াজু, বেগুনী, ছোলা ভুনা, পালং শাক ভাজা, খেঁজুরের গুড়ের বিশেষ টক দই এবং খেঁজুর ও লেবুর শরবত।
লেটকা খিচুড়ি প্ল্যাটারে রয়েছে সব্জি ও ভাজা বেগুনের সংযোজন। চিড়ার পোলাও প্ল্যাটারে মশলাদার চাল ও মাশরুম কারি পাওয়া যায়। সবজি বিরিয়ানিতে সুগন্ধি সবজি বিরিয়ানি ও নারকেলের দুধে রান্না করা তরকারির স্বাদ।
নতুনের মধ্যে পরখ করা যেতে পারে মাশরুম র্যাপ প্ল্যাটার, যেখানে মশলাদার মাশরুম হালিম পরিবেশন করা হয়। ডাল-রুটি প্ল্যাটারের আইটেম হচ্ছে বাদামী গমের রুটি, ঘন মসুর ডাল ও মটরশুটির তরকারি। সর্বশেষ দই-চিড়া প্ল্যাটারে আছে লুচি ভাজা, আলুর দম এবং খেঁজুরের গুড়ে মিশ্রিত দই-চিড়া।
ঠিকানা: বাড়ি ৬৩, রোড ১৭/এ, ব্লক-ই, বনানী।
একত্রে ৬টি প্ল্যাটার:
https://www.facebook.com/jatrabirotiworld/posts/pfbid023qtBn8NgD18Qe7Q11Q8pgXPc9uJyUzmLXioKDjMJXqtu67Eb4sUUyagqJ1VK3ahDl
আরো পড়ুন: বাসা-বাড়ির রান্নায় সিলিন্ডার গ্যাসের খরচ কমাবেন যেভাবে
হাব রুফটপ (The Hub Rooftop)
ছাদের মুক্ত পরিবেশে সাশ্রয়ী মূল্যে ইফতারের জন্য দারুণ একটি স্থান মিরপুরের হাব রুফটপ। বন্ধু কিংবা পরিবার নিয়ে আড্ডার পাশাপাশি প্রধানত দুটি প্ল্যাটারকে ঘিরে অতিথিদের সমাগম হচ্ছে। প্রায় কাছাকাছি আইটেম বিশিষ্ট দুটো প্ল্যাটারেরই দাম ৪৫০ টাকা।
ইফতার প্ল্যাটার-১-এ আছে শর্মা, ফ্রাইড রাইস, চিকেন মাঞ্চুরিয়ান, ফ্রাইড চিকেন, স্প্রিং রোল, ফিশ টোস্ট (২টি), আঙ্গুর, খেজুর, পানি এবং ট্যাং জুস। ইফতার প্ল্যাটার-২তে সবই একই, কেবল ফ্রাইড রাইসের বদলে চাওমিন দেওয়া হয়।
কিছুটা সংকীর্ণ জায়গায় হওয়ায় The Hub Rooftop ছোট গ্রুপের জন্য উপযুক্ত। ছুটির দিনগুলোতে আগে থেকে কল করে বুকিং দিয়ে যাওয়াটা উত্তম।
ঠিকানা: ২৯, চিড়িয়াখানা রোড, ১\জি, মিরপুর-১ (ইয়োলো/আগোরা সুপারশপের বিপরীতে)।
https://www.facebook.com/thehubrooftop/posts/pfbid0s8FzrYRVvwHB1vsAwt3WhhtDtur5TpQA3n72NT3DjyQdEA4u6TFjV9jc5VpREDjWl
আরো পড়ুন: স্মরণশক্তি বাড়ানোর জন্য যেসব খাবার উপকারী
গ্রাইন্ড হাউস মিউজিক ক্যাফে (GRIND HOUSE Music Cafe)
মনোরম ইন্টেরিয়র ও সুবিস্তৃত পরিসরে পারিবারিক ও কর্পোরেট অনুষ্ঠানের জন্য সেরা জায়গা গ্রাইন্ড হাউস। রমজান উপলক্ষে খিলগাঁওয়ের এই ক্যাফেটি পাঁচটি ভিন্ন প্ল্যাটার রেখেছে। তন্মধ্যে প্ল্যাটার-১, ২, ও ৩ একজনের জন্য আর ৪ ও ৫ দুইজনের জন্য।
প্ল্যাটার-১ (৫০০ টাকা) সাজানো হয়েছে ফল, স্প্রিং রোল, আলু ওয়েজ, ফ্রাইড রাইস, বারবিকিউ চিকেন স্টেক, সবজি, ও শরবত দিয়ে। প্ল্যাটার-২ (৫২০ টাকা)-তে একই আইটেম, তবে বারবিকিউ চিকেন স্টেকের বদলে দেয়া হয়েছে চিকেন চিলি পেঁয়াজ। আর সাথে অতিরিক্ত সযোজন হয়েছে ছোট ছোট করে কাটা গরুর মাংস। প্ল্যাটার-৩ (৪৫০ টাকা) প্ল্যাটার-২-এর মতই, শুধু চিকেন চিলি পেঁয়াজ ও কাটা গরুর মাংসের পরিবর্তে থাই ফ্রাইড চিকেন ও রেড চিকেন কারি দেয়া হয়েছে।
প্ল্যাটার-৪ (৯৯৯ টাকা) সমসাময়িক ইফতার আইটেম থেকে একদমি ভিন্ন। এতে আছে GRIND HOUSE Music Cafe-এর নিজস্ব গ্রাইন্ড পাস্তা এবং ১০ ইঞ্চি মেক্সিকান পিৎজা। প্ল্যাটার-৫ (৯৯৯ টাকা)-এ আছে নান রুটি (মাখন-রসুন মিশ্রিত), দুটি চিকেন তান্দুরি, দুটি রেশমি কাবাব, এবং দুটি হরিয়ালি কাবাব। সাথে ফলসহ ডাল তরকারি, ও শরবত।
ঠিকানা: ৩৬৮/বি নাজমা টাওয়ার, মিনিসো বিল্ডিং (লেভেল-৮), খিলগাঁও (তালতলা সুপার মার্কেটের কাছে)।
একসাথে সবগুলো প্ল্যাটার:
https://www.facebook.com/grindhousebd/posts/pfbid0YMSBjBMZvdMXoaYB4Vr1Py9ZJboAcwg7nxdenA4MtoeiWn9Q2AydCwcwHBaEXGq4l
আরো পড়ুন: নিরাপদে স্ট্রিট ফুড খাওয়ার ১০টি উপায়
রোডসাইড কিচেন (Roadside Kitchen)
সাশ্রয়ী খরচে ইফতার করার আরও একটি জায়গা বসুন্ধরার রোডসাইড কিচেন। তাদের ৪৫০ টাকার প্ল্যাটারটি একজনের জন্য নির্ধারিত হলেও তাতে অনায়াসেই দুজনের ইফতার হয়ে যায়। কেননা এতে আছে আচারের রাইস, ফ্রাইড চিকেন; সাথে ডিম, কোল্স্ল, চিলি চিকেন, চিকেন মাঞ্চুরিয়ান এবং দুটি গ্রিল চিকেন।
ইফতার পাশাপাশি সেহরির সময়েও সমান উদ্দীপনায় মুখর হয়ে থাকে Roadside Kitchen।
ঠিকানা: আর/এ, ক-৯/এ, ১ম তলা, বসুন্ধরা।
প্ল্যাটারের বিস্তারিত:
https://www.facebook.com/reel/611653048349338/
আরো পড়ুন: ওমেগা-৩ ডিম কি আসলেই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি?
বাঙালিয়ানা ভোজ
ইফতার ও সেহরিতে ওয়ারীর বাঙালিয়ানা ভোজ মানেই দেশীয় ঐতিহ্যের বর্ণিল আয়োজন। এখানে আদ্যোপান্ত দেশীয় খাবারের সম্ভারে সাজানো হয়েছে বিভিন্ন সেট মেনু। মাত্র ১৫০ টাকার প্যাকেজে পাওয়া যাবে চিকেন ও ডিমের কম্বো, এবং ২৫০ টাকায় বিফ ও ডিম। হাঁসের মাংস ও ডিমের সেট মেনুর দাম ২৯৯ টাকা।
যারা ভর্তা উপভোগ করতে চান, তাদের জন্য রয়েছে ১৬৯ টাকায় ভাত, ডাল ও ১১ পদের ভর্তা।
রেস্তোরাঁটির বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে দুটি ভ্যারিয়েন্টের গ্র্যান্ড খিচুড়ি প্ল্যাটার। একটি বিফ কালাভুনা দিয়ে, আরেকটি চিকেন ঝাল ফ্রাই দিয়ে।
এছাড়াও আলাদা ভাবে অর্ডার করা যাবে গরম খুদের পোলাও, বেগুন ভাজা, কষা মাংস, বাসমতী চালের ভাত ও বুটের ডাল মাটন।
ঠিকানা: গ্রাউন্ড ফ্লোর, ফরচুন গার্ডেন, ৮ নং র্যাংকিং স্ট্রিট, ওয়ারী।
ওয়ারীসহ বাঙালিয়ানা ভোজ-এর মোট ৬টি শাখা রয়েছে- মিরপুর, বসুন্ধরা, মোহাম্মদপুর, পান্থপথ ও নারায়ণগঞ্জ।
বিশদ তথ্যের জন্য:
https://www.facebook.com/BangalianaBhoj
আরো পড়ুন: তীব্র গরমে পানিশূন্যতা প্রতিরোধে উপকারী শাকসবজি
৪৫ দিন আগে