নরসিংদীতে মাইক্রোবাস ও কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে আরও তিনজন।
শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় মহাসড়কের নরসিংদীর দগরিয়া এলাকায় নরসিংদী আঞ্চলিক পার্সপোর্ট অফিসের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- রায়পুরা থানার চরসুবুদ্ধি ইউনিয়নের আবদুল্লাহপুর গ্রামের এমরান মিয়ার স্ত্রী তানজিনা জেরিন (২৪), আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী কামরুন নাহার (৩৫), তার ছেলে সাজিত (১২), সাদ্দাম হোসেনের মেয়ে ছাবিহা (১৪) এবং জাকির হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪৫)।
আহতরা হলেন- একই গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে এমরান (২৪), মজিবুর রহমানের মেয়ে মিতু (১৭) ও সাদ্দাম মিয়ার স্ত্রী লিপি বেগম (২৮)।
আরও পড়ুন: মালিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৪, আহত ২৯
আহত ও নিহতদের স্বজনরা জানায়, রাজধানীর ঢাকার মিরপুর থেকে পারিবারিক অনুষ্ঠান শেষে মোট আটজন মাইক্রোবাসযোগে নরসিংদীর রায়পুরায় নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। মাইক্রোবাসটি ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর দগরিয়া এলাকার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সামনে পৌঁছালে ইটাখোলা থেকে ঢাকামুখী একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। আর ঘটনাস্থলেই নারী ও শিশুসহ চারজন নিহত হয়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাইক্রোবাস চালক আনোয়ার হোসেন রবিবার ভোর ৪টায় মারা যান।
নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ মো. রায়হান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে মাইক্রোবাসে আটকে থাকা অবস্থায় চালক আনোয়ারকে উদ্ধার করা হয়।’
নরসিংদী জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রাকিব আশকারী জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত আটজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এদের মধ্যে চারজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ বন্ধু নিহত, আহত অপর বন্ধু