সারাদেশ
হাদি হত্যা ও সংবাদমাধ্যমে হামলার বিচার দাবি ঢাবি সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ড এবং রাজধানীতে প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার’র কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, পাশাপাশি নিউ এইজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবীরের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দেওয়া এক বিবৃতিতে তারা এ সব ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশবিরোধী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
গণমাধ্যমে হামলার প্রসঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়, হাদি হত্যাকাণ্ডকে পুঁজি করে একটি স্বার্থান্বেষী উগ্রগোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে দেশের শীর্ষস্থানীয় বাংলা দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার-এর কার্যালয় এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়েছে। এ ছাড়া নিউ এইজ-এর সম্পাদক নুরুল কবীরের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা।
তারা বলেন, অতীতের মতো বর্তমান সময়েও এ ধরনের হামলা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অধিকারের ওপর সরাসরি আঘাত এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী।
অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে বিবৃতিতে বলা হয়, হাদিকে গুলিবিদ্ধ করার ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে খুনিদের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার খবর প্রকাশিত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে।
বিবৃতিতে দেশবাসীর প্রতি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন পরিচালনা ও সহিংসতা পরিহারের আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে মানুষ, গণমাধ্যম, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি-বেসরকারি স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি কঠোর ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীতে উদীচীর কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ
রাজধানীর তোপখানা রোডে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ৮টার দিকে বিএমএ ভবনের পাশে অবস্থিত উদীচীর এই কার্যালয়ে অগ্রিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের গণমাধ্যম শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাজাহান শিকদার প্রথম আলোকে বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। রাত সোয়া আটটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার রোজিনা খাতুন বলেন, আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কমিটির সংগীত ও নৃত্য বিষয়ক সম্পাদক সুরাইয়া পারভীন অভিযোগ করে জানান, দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে কার্যালয়ে আগুন দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের বিপরীত পাশের গলির ভেতরে উদীচীর কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে বিপুল জনসমাগমের কারণে অতিরিক্ত পুলিশ, বিজিবি ও সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ঘটনার ফলে যানজট সৃষ্টি হওয়ায় কদম ফোয়ারা মোড় থেকে পল্টনের দিকে এক পাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
কুমিল্লায় থানা থেকে নারী আসামির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
কুমিল্লায় সতীনের ছেলেকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় আটক এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হোমনা থানা হেফাজতে থাকা ববিতা নামের ওই নারী আসামির মরদেহ থানার নারী ও শিশু সহায়তা ডেস্কের একটি কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোরে ওই কক্ষে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ববিতার মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহত ববিতা হোমনা উপজেলার ঘনিয়ারচর গ্রামের খলিল মিয়ার স্ত্রী।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্শেদুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, বুধবার সকালে ববিতা তার সতীনের ১১ বছর বয়সী ছেলে সায়মনকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করেন। এ সময় শিশুটির নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সায়মনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঘটনার পর স্থানীয়রা ববিতাকে আটক করে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় আহত সায়মনের চাচা স্বপন মিয়া বাদী হয়ে রাতে হোমনা থানায় একটি মামলা করেন।
ওসি বলেন, ‘ববিতাকে রাতে থানার নারী ও শিশু সহায়তা ডেস্কে রাখা হয়েছিল। ওই কক্ষে তার সঙ্গে আরও একজন নারী আসামি ও একজন নারী গ্রাম পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। ভোরের দিকে স্টাফ রুমে যাওয়ার সুযোগে ববিতা আত্মহত্যা করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
তিনি আরও জানান, সকালে বিষয়টি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
১ দিন আগে
কুমিল্লায় বাস ধর্মঘট, যাত্রীদের ভোগান্তি
দাবি আদায়ে নগরীর তিনটি বাস টার্মিনাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছে কুমিল্লা বাস মালিক সমিতি। এতে কুমিল্লা নগরীসহ জেলার প্রায় ৪০টি সড়কে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকে নগরীর জাঙ্গালিয়া, শাসনগাছা ও চকবাজার বাস টার্মিনাল থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। ফলে কুমিল্লা-ঢাকা, কুমিল্লা-চট্টগ্রাম, কুমিল্লা-সিলেট, কুমিল্লা-চাঁদপুরসহ অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সড়কগুলোতে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল থেকে কুমিল্লা-চাঁদপুর সড়কে আইদি পরিবহন চলাচল বন্ধের দাবিতে এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। পরিবহন নেতাদের দাবি, কুমিল্লা নগরীর তিনটি বাস টার্মিনাল ব্যবহার করে প্রতিদিন কয়েক হাজার বাস ও মিনিবাস চলাচল করে। তবে যথাযথ রুট পারমিট ছাড়াই টার্মিনাল ব্যবহার করতে চাইছে আইদি পরিবহন।
তবে আইদি পরিবহনের চেয়ারম্যান মীর পারভেজ আলমের অভিযোগ, ২০২৩ সালে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে অনুমতি নিয়েই কুমিল্লা-চাঁদপুর রুটে তাদের বাস চলাচল শুরু হয়। কিন্তু শুরু থেকেই কুমিল্লা বাস মালিক গ্রুপের একটি সিন্ডিকেট তাদের চলাচলে বাধা দিয়ে আসছে। এ কারণে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন বাসটিকে রুট পারমিট দেয়নি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে বাধ্য হয়ে জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল বাদ দিয়ে দুই কিলোমিটার দূরের পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড থেকে বাস সার্ভিস চালু করা হয়। আইনি কোনো বাধা না থাকলেও এখনো কুমিল্লা জেলা প্রশাসন থেকে অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়নি বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
অন্যদিকে, কুমিল্লা বাস মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আইদি পরিবহন চাঁদপুর জেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি পেলেও কুমিল্লা থেকে রুট পারমিট নেয়নি। এরপরও তারা কুমিল্লার বাস টার্মিনাল ব্যবহার করতে চাচ্ছে। এর আগে একাধিকবার তাদের বাধা দেওয়া হলেও বিজয় দিবসের দিন হঠাৎ করে কিছু বাস টার্মিনালে আনা হয়। বুধবারও সেখান থেকে বাস চলাচল করেছে। বৃহস্পতিবার আবার বাস আনার চেষ্টা করলে সকাল থেকে নগরীর তিনটি টার্মিনাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
এদিকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় কর্মস্থলগামী মানুষ, শিক্ষার্থী ও দূরপাল্লার যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেককে বিকল্প যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
১ দিন আগে
অপহরণের পর বিবস্ত্র করে মুক্তিপণ আদায়, সিলেটে গ্রেপ্তার ২
সিলেটে এক ব্যক্তিকে অপহরণ পরবর্তীতে বিবস্ত্র করে শারীরিক নির্যাতন এবং ভিডিও ধারণের পর মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন—র্যাব-৯।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে র্যাবের একটি দল সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমা থানাধীন ভার্থখলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন— ওই এলাকার বাসিন্দা আহমদ হোসেন মাহিন (৩০) এবং শরীয়তপুর জেলার নাড়িয়া থানার হালইসার এলাকার বাসিন্দা সুহেল আহমদ (২৪)। আর ভুক্তভোগী সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সোনারখেওড় এলাকার বাসিন্দা।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, গত ৩০ নভেম্বর দুপুরে ভুক্তভোগী সিলেট আদালতে একটি মামলায় হাজিরা শেষে বাসে চড়ে নিজের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। অপহরণকারীরা দক্ষিণ সুরমা থানার কদমতলী ওভার ব্রিজের পূর্ব পাশে রাস্তার ওপর চলন্ত বাসের গতিরোধ করে একটি মাইক্রোবাসে করে ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যান। মাইক্রোবাসে তুলে তারা তার দুই চোখ কাপড় দিয়ে এবং দুই হাত পেছনের দিকে বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান। সেখানে তারা ভুক্তভোগীকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারপিট করেন। পরে নির্যাতনের ভিডিও তার পরিবারের কাছে পাঠিয়ে ৮ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।
পরবর্তী সময়ে ভুক্তভোগীর স্বজনরা তাকে বাঁচানোর জন্য ৮ লাখ টাকার মধ্যে পৃথকভাবে ৫ লাখ টাকা ও ৩ লাখ টাকা অপহরণকারী চক্রকে পাঠান। এরপর গত ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সিলেটের তালতলা এলাকায় ভুক্তভোগীকে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজেই বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তদন্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
১ দিন আগে
সিলেটে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২
সিলেটের গোলাপগঞ্জে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের তেরমাইল নামক স্থানে এ মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই একজন এবং সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর অন্যজন মারা যান। এ ছাড়াও আরও দুইজন মোটরসাইকেলআরোহী গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহতরা হলেন— গোলাপগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোয়াসপুর গ্রামের আব্দুল আহাদ (৪২) এবং রানাপিং ছত্রিশ গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে সাব্বির আহমদ (২১)।
আহতরা হলেন— উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফাজিল পুর গ্রামের মৃত আব্দুল আলিমের ছেলে আরিফুল হক জয় (৩৫) এবং জুড়ি উপজেলার বাছিরপুর গ্রামের বাছিরপুর গ্রামের আকমল হোসেনের ছেলে জাকির আহমদ (২০)।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, মোটরসাইকেল দুটি একই দিক থেকে যাচ্ছিল। উপজেলার গোয়াসপুর এলাকায় পৌঁছানোমাত্র পেছন থেকে আসা মোটরসাইকেলটি সামনের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে দুইটি মোটরসাইকেলের চালকসহ চারজন আরোহীই ছিটকে পড়লে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম।
১ দিন আগে
পাবনায় চাচাতো ভাইয়ের গুলিতে প্রাণ গেল বিএনপি নেতার
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় চাচাতো ভাইয়ের গুলিতে ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতা নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ৯টায় উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত বীরু মোল্লা (৬০) লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন।
নিহতের পরিবার ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা জহুরুল মোল্লা ও নিহত বীরু মোল্লা আপন চাচাতো ভাই।
বীরু মোল্লার ছেলে প্রত্যক্ষদর্শী রাজিব মোল্লা জানান, গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগ নেতা জহুরুল মোল্লা ও তার ছেলে আল আমিন মোল্লা বাবার জমি থেকে ইটভাটার জন্য জোরপূর্বক মাটি কেটে নেন। এ বিষয়ে আজকে (বুধবার) সকাল সোয়া ৯টার দিকে জহুরুল মোল্লাকে মাটি কাটার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে গেলে তাৎক্ষণিক ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি ও তার ছেলে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে আমার বাবার মাথায় গুলি করেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে লুটে পড়লে এলাকাবাসী তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাসনিম তামান্না তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আজমল হোসেন সুজন বলেন, আমার দলের নেতাকে যারা হত্যা করেছে, তাদের দ্রত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, এটা কোনো দলীয় বিষয় নয়। বীরু মোল্লা অভিযুক্ত জহুরুল মোল্লার আপন চাচাতো ভাই। এই হত্যাকাণ্ড মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে ঘটেছে।
ঈশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুজ্জামান বলেন, বীরু মোল্লা নামে এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দুপুর সাড়ে ৩টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো মামলা করা হয়নি বলে জানান ওসি।
২ দিন আগে
বিএনপি সরকারে গেলে প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ করা হবে: অমিত
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করতে পারলে দেশ থেকে প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ হবে বলে মন্তব্য করেছেন যশোর-৩ (সদর) আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে শহরের একটি অভিজাত হোটেলে যশোর প্রেসক্লাব আয়োজিত এক সভায় এ কথা বলেন তিনি।
অনিন্দ্য ইসলাম বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারলে তরিকুল ইসলামের সন্তান হিসেবে, আপনাদের ভাই হিসেবে, আমি এমন কোনো কাজ করবো না যাতে মাথা হেট হয়ে যায়। সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থানই ছিল যশোরের রাজনীতির ঐতিহ্য। বিগত দেড় দশকে সেই ঐহিত্যকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে। বিজয়ী হতে পারলে সেই ঐহিত্য পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ ও উন্নত যশোর উপহার দেওয়া হবে আমার প্রাথমিক দায়িত্ব।
নির্বাচনে প্রার্থীদের ঝুঁকির বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি স্রষ্টায় বিশ্বাস করি। আমি বিশ্বাস করি, তিনি যা কপালে লিখবেন, তা-ই হবে। আর রাজনীতি মানেই হলো ঝুঁকি। বিগত ১৬ বছর আমিসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা চরম ঝুঁকি নিয়েই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক সংগ্রামে রাজপথে থেকেছি। এখন নির্বাচনের সময় এসে সেই বিষয় নিয়ে ভাবলে হবে না। আপনারা শুধু দোয়া করবেন।
প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান ও সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সাধারণ সম্পাদক এসএম ফরহাদের সঞ্চালনায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মো. ইসহক, অ্যাডভোকেট জাফর সাদিক, গোলাম রেজা দুলু, লোকসমাজের প্রকাশক শান্তনু ইসলাম সুমিত, যশোর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম, নগর সভাপতি চৌধুরী রফিকুল ইসলাম মুল্লুক চাঁদ, সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আঞ্জারুল হক খোকন।
সাংবাদিকদের মধ্যে সভায় আলোচনা করেন যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি আকরামুজ্জামান, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাজেদ রহমান, যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ দিনু আহমেদ, লোকসমাজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আনোয়ারুল কবির নান্টু, প্রেসক্লাব যশোরের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান কবীর প্রমুখ।
২ দিন আগে
খুলনায় যুবকের মরদেহ উদ্ধার
খুলনা নগরীর দোলখোলা ইসলামপুর মোড়ের একটি আবাসিক হোটেল থেকে তানভীর কবির তপু (৩০) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে হোটল বিলাসী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
হোটেল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে স্থানীয়রা জানান, হোটেল বিলাসীর দুই তলার একটি কক্ষে দুইজন ভাড়া থাকতেন। দুই দিন আগে ওই কক্ষের অপরজন বাড়িতে চলে যান। রাতে তানভীর কক্ষের ভেতর থেকে আটকিয়ে দিয়ে সেখানে অবস্থান করেন। গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে খবার দিতে গিয়ে দরজায় আঘাত করে ভেতর থেকে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে স্থানীয়দের ডাকে হোটেল কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে স্থানীয়রা খবর পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ওই যুবকের মরদেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে সেখান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তার মৃত্যুর কারণ জানতে পুলিশ তদন্ত করছে।
২ দিন আগে
বিজয় দিবসের আগের রাতে মুক্তিযোদ্ধার কবরে আগুন
শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মন্নান খানের কবরের ওপর আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) গভীর রাতে কবরের ওপর শুকনো ডালপালা ও পাতা রেখে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিয়ামতপুর গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান খান ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেন। ২০১০ সালের ৮ জানুয়ারি তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাড়ির বসতঘরের পাশেই তাকে দাফন করা হয়।
প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালে স্বামীর কবর জিয়ারত করতে গিয়ে তার স্ত্রী মাহফুজা বেগম কবরের ওপর পোড়া ছাই ও আগুনের চিহ্ন দেখেন। এ সময় তিনি চিৎকার করলে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জানানো হয়।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান খানের কবরে কে বা কারা আগুন দিয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে তার পরিবারের সদস্যরা বলছেন যে তাদের কোনো শত্রু নেই। তারপরও যদি এ বিষয়ে অভিযোগ দেয়, তাহলে ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৩ দিন আগে