প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসছেন নাসার প্রধান মহাকাশচারী জোসেফ এম আকাবা। তিনি চলতি সপ্তাহেই ঢাকায় আসছেন।
মহাকাশে ৩০৬ দিনেরও বেশি সময় কাটানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে নাসার এই মহাকাশচারীর। অংশ নিয়েছেন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে একাধিক মিশনেও।
ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, নাসার নভোচারী জোসেফ এম আকাবা বাংলাদেশ সফরটি ঐতিহাসিক। এই প্রথম তিনি ঢাকা অবতরণ করবেন।
সফরকালে তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইন্টারেক্টিভ সেশনে মিলিত হবেন। সেশনে তিনি তরুণদের মহাকাশ বিজ্ঞান, রোবোটিক্স এবং স্টেম শিক্ষায় ক্যারিয়ার গড়তে অনুপ্রাণিত করবেন।
এতে আরও বলা হয়, আকাবা প্রযুক্তির অগ্রগতিতে মহাকাশ অনুসন্ধানের ভূমিকা এবং জলবায়ু সংকটের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আলোচনায় অংশ নেবেন।
একাডেমিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি আকাবা একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে অংশ নেবেন। বৈশ্বিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নাসার অবদান এবং আর্টেমিস অ্যাকর্ডের মাধ্যমে মহাকাশ গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা থেকে বাংলাদেশ কীভাবে উপকৃত হতে পারে, সে বিষয়ে মতামত তুলে ধরবেন।
আর্টেমিস অ্যাকর্ড নাসা এবং বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান মহাকাশ ও প্রযুক্তি খাতের মধ্যে আরও সহযোগিতা জোরদার করার জন্য মহাকাশে একটি নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের নীতিগুলোও তুলে ধরে।
আকাবা একজন আমেরিকান শিক্ষাবিদ, হাইড্রোজিওলজিস্ট এবং রিটার্ন পিস কর্পস স্বেচ্ছাসেবক। তিনি পুয়ের্তো রিকান বংশোদ্ভূত প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ২০০৪ সালের মে মাসে নাসার নভোচারী প্রার্থী মনোনীত হন। ২০২৩ সালে আকাবাকে অ্যাস্ট্রোনট অফিসের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
একজন নভোচারী হিসেবে আকাবা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে স্পেসওয়াক এবং যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক গবেষণাসহ তিনটি মিশনে ৩০৬ দিনেরও বেশি সময় ধরে মহাকাশে অবস্থান করেছিলেন।