ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর করোনা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে সারাদেশে আপাতত লকডাউনের কোন প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ঢাকায় সংক্রমণের হার এতোটা বাড়েনি। তবে যেকোনো সময় এটি বেড়ে যেতে পারে। আমরা আশা করছি ঢাকার আশেপাশের সাতটি জেলায় যদি লকডাউন সফল হয় এবং আমরা যদি মানুষের যাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তাহলে রাজধানী বা সারাদেশে লকডাউন প্রয়োজন হবে না।’
আরও পড়ুন: ভারতে করোনা রোগীর সংখ্যা তিন কোটি ছাড়াল
বুধবার (২৩ জুন) অধিদপ্তর আয়োজিত নিয়মিত করোনা বুলেটিনে এ কথা বলেন ধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।
রোবেদ আমিন বলেন, ‘আমরা আপাতত ঢাকার পার্শ্ববর্তী সাত জেলার সংক্রমণ পরিস্থিতি দেখছি। যদি সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি এবং ঢাকার পরিস্থিতি নাজুক হয় তাহলে শুরুতে ঢাকাকে লকডাউনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি বলেন, 'অক্সফোর্ড আস্ট্রাজেনিকার টিকার ঘাটতি আমাদের রয়েছে। আর এটি শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারাবিশ্বেই এই ঘাটতি রয়েছে।
‘এই টিকার বিষয়ে অনেকেই আমাদেরকে আশ্বাসের মধ্যে রেখেছেন, কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত টিকা আমাদের হাতে না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত টিকা পেয়েছি বা আসছে নির্দিষ্ট করে এমন কিছু বলা যাচ্ছে না। শুধু আশ্বাস নিয়ে রাখলেই হবে না আমাদেরকে কিন্তু পাশাপাশি দেখতে হবে চুক্তিগুলো ঠিকমত করতে পারছে কিনা,’ বলেন রোবেদ আমিন।
আরও পড়ুন: করোনায় একদিনে আরও ৮৫ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৫৭২৭
তিনি বলেন, অক্সফোর্ডের যে টিকাটি রয়েছে, সেটি হলো ভেক্টর ভ্যাকসিন। এমন টিকা আরও অনেক প্রতিষ্ঠানেরই রয়েছে। যেমন-রুশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান গামালিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের একটি টিকা, চাইনিজ বায়োফর্মাসিউটিক্যাল সংস্থা ক্যানসাইনোর একটি টিকা, যুক্তরাষ্ট্রের জনসন অ্যান্ড জনসনও একই ধরণের টিকা। সুতরাং এই ধরনের অলটারনেটিভ (বিকল্প) টিকাও যদি আমরা পেয়ে যাই, তাহলেও কিন্তু দেশে দ্বিতীয় ডোজের ঘাটতিকৃত টিকা সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে।
দেশে করোনা পরিস্থিতি
এদিকে বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮৫ জন মারা গেছেন। এনিয়ে দেশে মোট মৃত্যু ১৩ হাজার ৭৮৭ জনে দাঁড়াল।
এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৭২৭ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৮৭৭ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: করোনায় বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি ৯১ লাখ
এছাড়া নতুন করে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ১৬৮ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৯১ হাজার ৫৫৩ জন। সুস্থতার হার ৯১.৩১ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৫৯ শতাংশ।