একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা মাসুদ আলী খান আর নেই। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে রাজধানীর কলাবাগানে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তার বয়স হয়েছিল ৯৫। মাসুদ আলী বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন এবং বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
তার জানাজা ও দাফনের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
মাসুদ আলী খান ১৯২৯ সালের ৬ অক্টোবর মানিকগঞ্জের পারিল নওড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকায় বাংলাদেশ টেলিভিশন প্রতিষ্ঠার পর 'ভাই ভাই সবাই' নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ছোট পর্দায় অভিষেক হয় তার।
সাদেক খানের 'নদী ও নারী' (১৯৬৪) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রুপালি পর্দায় তার অভিষেক হয়। এরপর 'দীপু নাম্বার টু' (১৯৯৬), 'দুই দুয়ারী' (২০০০), 'মাটির ময়না' (২০০২), 'মোল্লা বাড়ির বউ' (২০০৫) এবং 'প্রিয়তমেষু' (২০০৯) চলচ্চিত্রে অভিনয়সহ আরও অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
মাসুদ আলী খান 'কোথাও কেউ নেই', 'এই সব দিন রাত্রি', 'বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল', '৬৯', 'সুখী মানুষ প্রকল্প', 'দিন চলে যায়', 'গুলশান এভিনিউ'সহ অনেক জনপ্রিয় টেলিভিশন নাটক ও সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করার জন্য পরিচিত।
তিনি বিভিন্ন সরকারি দপ্তরেও কাজ করেছেন। ১৯৮৮ সালে তিনি বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
দেশের টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র শিল্পে অবদানের জন্য মাসুদ আলী খান ২০২৩ সালে একুশে পদক এবং মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা ২০২৩ লাভ করেন।
তার মৃত্যুতে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: সুজিত সরকারের সঙ্গে অভিষেক বচ্চনের নতুন ছবি 'আই ওয়ান্ট টু টক'