বিনোদন
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সেরা কাজগুলো: চলচ্চিত্র, ধারাবাহিক ও নাটক
২১ শতকে যে নির্মাতার হাত ধরে বাংলাদেশের নাট্য ও চলচ্চিত্রাঙ্গনে ভিন্ন ধারার অবতারণা হয়েছে তিনি হলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ছকে বাধা লিখিত চিত্রনাট্যের বাইরে থেকে গল্পকে নাট্যরূপ দেওয়ার ধারা শুরু হয়েছে তার মাধ্যমে। চিরাচরিত প্রথাকে পাশ কাটিয়ে জীবনের অনেক সমসাময়িক প্রেক্ষাপটকে অনবদ্যভাবে উপস্থাপন করেছেন এই শক্তিমান নির্মাতা। আলোচনার পাশাপাশি সমালোচনা থাকলেও এই নতুনত্বকে সাদরে গ্রহণ করেছে সর্বস্তরের দর্শক। শুধু তাই নয়, শুরু থেকেই তার কাজগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি পেয়ে এসেছে। চলুন, মেধাবী এই পরিচালকের সেরা কিছু সিনেমা এবং নাটকের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সেরা ১০টি কাজ
.
ব্যাচেলর / ২০০৪
কমেডি ও রোমান্টিক ঘরানার এই ছবিটি নির্মাণের মধ্য দিয়ে সিনেমা পরিচালনা শুরু করেন ফারুকী। মূল কাহিনী লিখেছিলেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক। নানা আঙ্গিকে হাস্যরসের মধ্য দিয়ে এখানে প্রকাশ পেয়েছিলো তদানীন্তন তরুণ প্রজন্মের জীবনধারণের কথা। তরুণ সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল কয়েকজন বিভিন্ন বয়সের ব্যাচেলর বন্ধুকে। এদের নিত্যদিনের জীবনাচরণ, প্রেম, ও আবেগ নিয়ে এগোতে থাকে চলচ্চিত্রের গল্প।
এখানে অভিনয় করেছিলেন হুমায়ুন ফরীদি, ফেরদৌস আহমেদ, শাবনূর, ও আহমেদ রুবেলের মতো তারকারা। ‘ব্যাচেলর’-এর মাধ্যমে ফিল্ম ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে অপি করিম, জয়া আহসান, আরমান পারভেজ মুরাদ, সুমাইয়া শিমু, মৌটুসি বিশ্বাস, হাসান মাসুদ, এবং মারজুক রাসেলের মতো তারকাদেরও।
আরো পড়ুন: ভূতের গল্পে পর্দায় আসছেন সত্যম, সন্দীপ্তা ও সুহত্র
চলচ্চিত্রটির অর্জনের মধ্যে রয়েছে নিউ জার্সি ইন্ডিপেন্ডেন্ট সাউথ এশিয়ান সিনে ফেস্ট, মুম্বাইয়ের থার্ড আই আইএফএফ, এবং ইতালির এশিয়াটিকা ফিল্মমিডিয়ালে অফিসিয়াল সিলেকশন।
মেড ইন বাংলাদেশ / ২০০৬
ফারুকী এই রাজনৈতিক ব্যঙ্গাত্মক ছবিটি বানিয়েছিলেন আনিসুল হকের ‘জিম্মি’ উপন্যাস অবলম্বনে। পুরো ছবিটি মূলত রাষ্ট্রের দুর্নীতির বিরুদ্ধে এক বেকার তরুণের দীর্ঘ দিনের সুপ্ত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।
খোরশেদ নামের এই বেকার যুবকের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জাহিদ হাসান। তারকা নির্ভর এই সিনেমায় আরও ছিলেন শহীদুজ্জামান সেলিম, রোজী সিদ্দিকী, তারিক আনাম খান, শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি, তানিয়া আহমেদ, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, হাসান মাসুদ, মারজুক রাসেল, ফজলুর রহমান বাবু এবং রেদওয়ান রনি।
ছবিটি ২০০৮ সালে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-এর জুরি বোর্ডে স্পেশাল মেনশন পেয়েছিল।
আরো পড়ুন: সুজিত সরকারের সঙ্গে অভিষেক বচ্চনের নতুন ছবি 'আই ওয়ান্ট টু টক'
ক্যারাম- ১ ও ২ / ২০০৬
দুই পর্বের এই টেলিফিল্মটির স্ক্রিপ্ট লিখেছিলেন ফারুকী এবং কচি খন্দকার।
আঙ্গুলে সমস্যা থাকা শফিকুলের ক্যারাম খেলা নিয়ে বেজায় বিড়ম্বনা। এ জন্য পাড়ায় প্রায় তাকে হাসির পাত্র হতে হয়। তাকে চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয় যে, সে যদি তপনকে ক্যারাম খেলায় হারাতে পারে, তাহলে তাকে নিয়ে আর কেউ হাসি-ঠাট্টা করবে না।
এমনি মজার গল্প নিয়ে ফারুকী পরিচালনা করেছিলেন টেলিফিল্মটি, আর এর মাধ্যমে সর্বপ্রথম লাইমলাইটে আসেন অভিনেতা মোশাররফ করিম।
এতে তার সহ অভিনয়শিল্পীরা ছিলেন নুসরাত ইমরোজ (তিশা), রিফাত চৌধুরী, কচি খন্দকার, বাপ্পি আশরাফ, ও ইশতিয়াক আহমেদ রুমেল।
আরো পড়ুন: মার্চে মুক্তি পাচ্ছে সি শঙ্করন নায়ারকে নিয়ে নির্মিত অক্ষয় ও করণ জোহরের ছবি
৪২০ / ২০০৭-২০০৮
ছোট পর্দায় ফারুকীর মাস্টারপিস হচ্ছে এই পলিটিক্যাল কমেডি সিরিজটি। ধারাবাহিক নাটকটিতে ছোট্ট পরিসরে হাস্যরসের নেপথ্যে দেখানো হয়েছে বাংলদেশের রাজনীতিবিদদের উত্থান-পতন। নাটকের গল্পে দেখা যায় চুরি করে গ্রাম থেকে পালিয়ে শহরে আসা দুই ভাই ঘটনাক্রমে জড়িয়ে পড়ে রাজনীতিতে। নানা চড়াই-উৎড়াই পেরিয়ে ক্রমশ তারা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিতে পরিণত হয়। কিন্তু তাদের আভিজাত্য বেশি দিন স্থায়ী হয় না।
নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন মোশাররফ করিম ও লুৎফর রহমান জর্জ। এছাড়াও গোটা ধারাবাহিক জুড়ে ছিলেন তিশা, সোহেল খান, মারজুক রাসেল, রিফাত চৌধুরী, কচি খন্দকার, এবং সিদ্দিকুর রহমান।
সিক্সটি নাইন / ২০০৮-২০০৯
রচয়িতা আনিসুল হক এবং নির্মাতা ফারুকীর সমন্বয়ে নির্মিত জনপ্রিয় মেগাসিরিজগুলোর একটি এই ফ্যামিলি ড্রামা। এটি বাবা-মা এবং ছয় সন্তান বিশিষ্ট এক পরিবারের গল্প। নিজস্ব অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ে থাকার পরেও, একসঙ্গে সুন্দর সময় কাটানোর জন্য তারা কখনোই একত্রিত হতে পারে না।
এখানে শ্রেষ্ঠাংশে ছিলেন তিশা, শহীদুজ্জামান সেলিম, হাসান মাসুদ, জয়া আহসান, শ্রাবন্তী দত্ত তিন্নি, ফজলুর রহমান বাবু, আহমেদ রুবেল, মারজুক রাসেল, এবং রিফাত চৌধুরী।
আরো পড়ুন: অস্কারে যাচ্ছে লাপাতা লেডিস
১ দিন আগে
হুমায়ূন আহমেদের ৭৬তম জন্মদিন আজ
নন্দিত কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের ৭৬তম জন্মদিন আজ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাজী নজরুল ইসলামের পরে প্রায়শই বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সেরা লেখক হিসাবে বিবেচিত তিনি।বাংলা সাহিত্যকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য কৃতিত্ব দেওয়া হয় হুমায়ূন আহমেদকে। তিনি 'হিমু', 'মিসির আলী', 'বাকের ভাই' এবং অন্যান্য আইকনিক কাল্পনিক চরিত্রায়নের পাশাপাশি জাদুকরি গল্পের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত।
হুমায়ূন তার প্রথম উপন্যাস নন্দিত নরকে (১৯৭২) এর মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছিলেন। তিনি ২০০ টিরও বেশি উপন্যাস ও গল্পের বই লিখেছেন। যার সবগুলোই বাংলাদেশে সর্বাধিক বিক্রিত। এখনও সেগুলো পাঠকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়।
বাঙালি সংস্কৃতি ও বিনোদন জগতে অসামান্য অবদানের জন্য নব্বই ও ২০০০-এর দশকে একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, লেখক শিবির পুরস্কার, শিশু একাডেমি পুরস্কার, মাইকেল মধুসূদন পদক, বাচসাস পুরস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কার লাভ করেন তিনি।
টেলিভিশনে একজন সফল কন্টেন্ট নির্মাতা হিসেবে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) প্রথম প্রহর (১৯৮৩) নাটকের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক করেন। টেলিভিশনে তার সফল যাত্রা অব্যাহত ছিল জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক 'এই সব দিনরাত্রি', 'বহুব্রীহি', 'অসময়', 'নক্ষত্রের রাত', 'আজ রবিবার' এবং 'বাকের ভাই' চরিত্রে অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর অভিনীত 'কোথাও কেউ নেই' নাটকটি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য।
হুমায়ূন আহমেদ ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসাবে সাফল্য লাভ করেছিলেন এবং তার চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্যারিয়ারে আটটি চলচ্চিত্র তৈরি করেছিলেন। প্রতিটি তার নিজের উপন্যাস অবলম্বনে। তার দুটি চলচ্চিত্র, 'শ্যামল ছায়া' (২০০৪) এবং 'ঘেটুপুত্র কমলা' (২০১২) তাদের নিজ নিজ মুক্তির বছরে সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্রের জন্য একাডেমি পুরস্কারের জন্য অফিসিয়ালি বাংলাদেশি জমা দিয়েছিল।
শঙ্খনীল কারাগার (চিত্রনাট্যকার হিসেবে), 'আগুনের পরশমণি', 'দারুচিনি দ্বীপ' ও 'ঘেটুপুত্র কমলা' চলচ্চিত্রের জন্য তিনি বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সাতবার বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
আরও পড়ুন: হুমায়ূন আহমেদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
হুমায়ূন আহমেদের জীবন ও কর্ম স্মরণে তার পরিবার, বিভিন্ন সংগঠন এবং তার গুণগ্রাহীরা আজ জন্মদিন উদযাপন করবেন।
হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মেহের আফরোজ শাওন তাদের ছেলে নিষাদ হুমায়ূন ও নিনিথ হুমায়ূনকে নিয়ে এই দিনে প্রতি বছর রাত ১২টায় রাজধানীর দক্ষিণ হাওয়া বাসভবনে কেক কাটার মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করেন।
বিশিষ্ট এই লেখকের বিখ্যাত ফ্যান গ্রুপ হিমু পরিবহন বেশ কয়েক বছর ধরে তার জন্মদিন পালন করে আসছে। সাহিত্যিকের জন্মদিন উপলক্ষে আজ গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে যাবেন তারা।
এদিকে লেখকের নিজ জেলা নেত্রকোনায় তরুণদের সংগঠন হিমু পাঠক আড্ডায় দিনব্যাপী 'হিমু উৎসব' অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যান্য অনুষ্ঠানের মধ্যে বিখ্যাত গ্রন্থ 'মিসির আলী' অবলম্বনে তাদের নাটক 'আমি এবং আমরা' বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চস্থ করবে নাট্যদল বহুবচন।
লেখকের ৭৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বিকাল ৪টায় একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।
স্বাগত বক্তব্য দেবেন বাংলা একাডেমির সংস্কৃতি, সংবাদপত্র ও মিলনায়তন বিভাগের পরিচালক ড. সরকার আমিন এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন কথাসাহিত্যিক সালাহ উদ্দিন শুভ্র। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজমের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেবেন অধ্যাপক আহমেদ মাওলা ও অধ্যাপক সুমন রহমান।
এছাড়া আজ সকালে নুহাশ পল্লীতে হুমায়ূন আহমেদের সমাধিতে বিভিন্ন সংগঠন ও গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বিকালে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে।
আরও পড়ুন: পাওয়া গেছে হুমায়ূন আহমেদের আঁকা হারিয়ে যাওয়া চিত্রকর্ম
২ দিন আগে
শাহরুখ খানকে হত্যার হুমকি: সন্দেহভাজন আটক
বলিউড নায়ক শাহরুখ খানকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে মুম্বাই পুলিশ।
মঙ্গলবার ভারতের ছত্তিশগড় থেকে তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে পুলিশ কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
গত সপ্তাহে, মুম্বাইয়ের বান্দ্রা পুলিশ স্টেশনে ফোন করে কেউ শাহরুখ খানকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল। হুমকিদাতা ৫০ লাখ রুপি দাবি করে। এরপর পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে এবং আরও তদন্তের জন্য রায়পুরে একটি দল পাঠায়।
সন্দেহভাজন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশ করেনি পুলিশ।
সম্প্রতি বলিউড তারকা সালমান খানকেও একই ধরনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের পক্ষ থেকে এ হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তার কাছ থেকে ৫ কোটি রুপি দাবি করা হয়েছিল।
এঘটনার পর গত ২৪ অক্টোবর মুম্বাই পুলিশ জামশেদপুর থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করেছিল।
মুম্বাই ট্রাফিক পুলিশ হুমকি বার্তা পাওয়ার পর পুলিশ অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করে এবং তদন্ত শুরু করে।দীর্ঘ সময় ধরে দুই অভিনেতা নিরাপত্তা বেষ্টনীতে রয়েছেন। সালমান খানকে বিশেষভাবে চার স্তরের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শাহরুখ খানকে হত্যার হুমকি
এর আগে এপ্রিলে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় সালমান খানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোইয়ের ভূমিকা ছিল।
ভারতের রাজনীতিবিদ বাবা সিদ্দিকি ১২ অক্টোবর তার ছেলের বান্দ্রার অফিস থেকে বের হওয়ার সময় একাধিক গুলিবিদ্ধ হন। জাতীয় কংগ্রেস পার্টির নেতা ও সাবেক মন্ত্রী এই হামলার পর হাসপাতালে মারা যান। লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
বাবা সিদ্দিকির মৃত্যু এবং সালমান ও শাহরুখ খানের মতো তারকাদের হত্যার হুমকি ভক্তদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
৩ দিন আগে
নতুন করে হুমকির পর চার স্তরের নিরাপত্তার মধ্যে সালমানের শুটিং
বেশ কিছুদিন ধরে কয়েক দফায় বলিউড নায়ক সালমান খানকে হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের লোকজন।
এর ফলে নিরাপত্তা বলইয়ের মধ্যেই চলছেন সালমান। লাগাতার হুমকির মধ্যেও কাজ বন্ধ করেননি তিনি। এর মধ্যেই তার নতুন ছবি ছবি ‘সিকান্দার’র শুটিং চালিয়ে যাচ্ছেন।
গত বৃহস্পতিবার বিষ্ণোইয়ের লোকজন নতুন করে হুমকি দিয়েছেন সালমান খানকে।
বৃহস্পতিবার রাতে ওই হুমকিবার্তা পেয়েছে মুম্বাইয়ের ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুম। একটি গানে সালমানের সঙ্গে বিষ্ণোই গোষ্ঠীকে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। তাতেই আবারও ক্ষুব্ধ হয়েছেন গ্যাংস্টারের অনুগামীরা।
আরও পড়ুন: শাহরুখ খানকে হত্যার হুমকি
ওই গান যিনি লিখেছেন, তার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তারা।
এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে হায়দরাবাদে পৌঁছেছেন সালমান। 'সিকান্দার’র শুটিংয়ে আপাতত কয়েকদিন সেখানেই থাকবেন।
তবে হুমকির চার স্তরের নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে রয়েছেন অভিনেতা।
সালমানকে ‘ওয়াই’ কাটাগরির নিরাপত্তা আগেই দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার।
এই মুহূর্তে হায়দরাবাদের যে হোটেলে রয়েছেন সালমান, সেখানে কর্মীদের বেশ কয়েকটা নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে অভিনেতার কাছে পৌঁছাতে হবে। ঢোকা ও বেরোনোর সময় পরিচয়পত্র দেখাতেই হবে। এ ছাড়াও, অভিনেতা শুটিং করছেন যেখানে, সেখানে বেশ কিছু নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। রয়েছেন প্রাক্তন প্যারামিলিটারিরাও। সেইসঙ্গে সালমানের ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মী ও সবসময়ের ছায়াসঙ্গী শেরা রয়েছেন।
তার ওপর হায়দরাবাদ পুলিশও দিয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। ভাইজানের ধারে কাছে যাতে কেউ ঘেঁষতে না পারে, তার জন্যই এতটা কড়াকড়ি।
এর আগে ১২ অক্টোবর মুম্বাইয়ে সালমানের ঘনিষ্ঠ রাজনীতিক বাবা সিদ্দিকি খুন হন। সেই সময় ‘সিকান্দার’ ছবির শুটিং করছিলেন ভাইজান। খবর পেয়েই তিনি শুটিং ফ্লোর থেকে সরাসরি হাসপাতালে পৌঁছান। পরের দিন তিনি সিদ্দিকির শেষকৃত্যেও উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: ভারতীয় গণমাধ্যম
আরও পড়ুন: ‘তোমাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি’: জন্মদিনে শাহরুখকে মেয়ে সুহানা
৬ দিন আগে
ভূতের গল্পে পর্দায় আসছেন সত্যম, সন্দীপ্তা ও সুহত্র
সত্যম, সন্দীপ্তা ও সুহত্রকে নিয়ে টলিউডে আসছে ‘ভূত ও পূর্ব’। তিনটি আলাদা গল্পের সমন্বয়ে বড় পর্দায় আসছে ‘ভূত ও পূর্ব’।
পরিচালক কাকলি ঘোষ ও অভিনব মুখোপাধ্যায় যৌথভাবে এ ছবি নির্মাণ করছেন।
এর মাধ্যমেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘মণিহারা’ আবারও ফিরছে বড় পর্দায়। ফণীভূষণ হয়ে পর্দায় দেখা দিচ্ছেন সত্যম ভট্টাচার্য আর মণিমালিকা হয়ে আসছেন অমৃতা চট্টপাধ্যায়।
১৯৬১ সালে রবীন্দ্রনাথের জন্মশতবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়ে সত্যজিৎ রায় পর্দায় এনছিলেন ফণীভূষণ ও মণিমালিকাকে। ২০২৪ সালে ফের জানা গেল পর্দায় ফিরবে মণিমালিকা ও ফণিভূষণ। এবারও মণিহারার সঙ্গে আলাদা দুটি ভূতের গল্প থাকছে। তবে সেগুলো রবীন্দ্রনাথের গল্প নয়।
কমেডি ঘরানার ভূতের সিনেমা ‘বল্লভপুরের রূপকথা’র মাধ্যমেই দর্শকপ্রিয়তা পেছেন সত্যম। আরও একবার ভূতের ছবিতে অভিনয় করতে চলেছেন তিনি।
বাংলা সাহিত্যের তিনটি জনপ্রিয় গল্প নিয়েছেন এই দুই পরিচালক। রবীন্দ্রনাথের ‘মণিহারা’র পাশাপাশি থাকছে তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘তারানাথ তান্ত্রিক’ সিরিজ়ের একটি গল্প এবং মনোজ সেনের ‘শিকার’।
ছবিতে ভিন্ন সময়ের তিনটি গল্পের মধ্যে একটি যোগসূত্রও থাকবে বলে জানিয়েছেন ছবি সংশ্লিষ্টরা।
নতুন ‘মণিহারা’ গল্পে ফণিভূষণের চরিত্রেই অভিনয় করছেন সত্যম। মণিমালিকার চরিত্রে রয়েছেন অমৃতা চট্টোপাধ্যায়। অন্য দিকে তারানাথ তান্ত্রিক এবং মাতু পাগলির চরিত্রে রয়েছেন সপ্তর্ষি মৌলিক এবং রূপাঞ্জনা মিত্র।
‘শিকার’ গল্পে রয়েছেন সুহোত্র মুখোপাধ্যায় ও সন্দীপ্তা সেন।
আরও একবার ভূতের ছবিতে অভিনয় নিয়ে সত্যম বলন, কাহিনি আলাদা। তাই তিনি চিন্তিত নন।
তিনি আরও বলেন, ‘কাকলি ও অভিনব থিয়েটারে জগতের মানুষ। খুব অন্যভাবে চিত্রনাট্য ভেবেছেন। আশা করি ছবিটা দর্শকের পছন্দ হবে।’
সম্প্রতি ছবির জন্য অভিনেতাদের লুক সেটও করা হয়েছে। বোলপুরে ছবির আউটডোর শুরু হবে আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে। তারপর শহরের একাধিক লোকেশন জুড়ে হবে ছবি শুটিং।
সূত্র: ভারতীয় গণমাধ্যম
১ সপ্তাহ আগে
শাহরুখ খানকে হত্যার হুমকি
বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানকে ৫০ লাখ রুপি মুক্তিপণ দাবি করে মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর ) মুম্বাই পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে।
ছত্তিশগড়ের রায়পুর থেকে যে ব্যক্তি ফোন করেছেন তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে 'হিন্দুস্তানি' বলে পরিচয় দেন।
বান্দ্রা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি তদন্ত করছে।
কল করা ঐ ব্যক্তি ফৈজান খান বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। তবে তিনি দাবি করেন, ২ নভেম্বর তাঁর ফোন চুরি হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ধুম ৪-এ শাহরুখ খান: ঘটনা না কি রটনা?
৫ নভেম্বর দুপুর ১টা ২০ মিনিট নাগাদ ফোনটি আসে, যেখানে মুক্তিপণ না দিলে 'জওয়ান' তারকার ক্ষতি করার হুমকি দেওয়া হয়।
শাহরুখ খানকে এই প্রথম হুমকি দেওয়া হলো বিষয়টি এমন নয়। গত বছরের অক্টোবরে তাকে একইভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এর ফলে কর্তৃপক্ষকে তার সুরক্ষা ওয়াই + স্তরে উন্নীত করেছিল। এই স্তরের সুরক্ষার আওতায় তাকে ২৪ ঘণ্টা ছয়জন সশস্ত্র কর্মী সরবরাহ করে। এই সুরক্ষা সুবিধা পাওয়ার আগে তার দু'জন সশস্ত্র সুরক্ষা প্রহরীর ছিল।
সম্প্রতি বলিউডের আরেক তারকা সালমান খানের একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে শাহরুখ খানকে এই হুমকি দেওয়া হয়।
লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের কাছ থেকে তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। হুমকি দিয়ে বলা হয়, তাকে পাঁচ কোটি টাকা দিতে হবে অথবা কৃষ্ণসার হরিণ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। ভিখারাম জালারাম বিষ্ণোই নামে ওই গ্যাংয়ের এক সদস্য এই হুমকি দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এই গ্যাংয়ের নেতা কর্ণাটকে এখনো আটক রয়েছেন।
৩০ অক্টোবর আরেকটি ঘটনায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি সালমান খানের কাছ থেকে ২ কোটি রুপি মুক্তিপণ দাবি করে সতর্ক করেছিল। বারবার এরূপ হুমকির প্রেক্ষিতে সালমান খানের সুরক্ষাও জোরদার করা হয়। বিশেষ করে ১২ অক্টোবর মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকীর সাম্প্রতিক হত্যার পরে এই ব্যবস্থা নেয় কর্তৃপক্ষ।
মুম্বাই পুলিশ উভয় বলিউড তারকার সর্বশেষ হুমকির তদন্ত করার সময় উচ্চ সতর্কতা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। অভিনেতাদের ক্ষতির আশঙ্কা থেকে রক্ষায় এমন সুরক্ষা ব্যবস্থা যে রয়েছে তাএসব পদক্ষেপ নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুন: পাঠান মুভি রিভিউ: বলিউড কিং শাহরুখ খানের অভিজাত প্রত্যাবর্তন
১ সপ্তাহ আগে
‘তোমাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি’: জন্মদিনে শাহরুখকে মেয়ে সুহানা
২ নভেম্বর (এএনআই/ইউএনবি)-সুপারস্টার শাহরুখ খান শনিবার ২ নভেম্বর) ৫৯তম জন্মদিন উদযাপন করছেন। এ উপলক্ষে মেয়ে সুহানা খান তাকে বিশেষ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে সুহানা ছোটবেলার কিছু মূল্যবান ছবি দিয়ে একটি কোলাজ শেয়ার করেছেন। যেখানে তিনি, তার বাবা শাহরুখ খান এবং ভাই আরিয়ান খানকে দেখা গেছে।
পোস্টটি শেয়ার করে সুহানা লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি তোমাকে’।
শাহরুখ খানের ক্যারিশম্যাটিক ব্যক্তিত্ব তার বিপুল ভক্তদের প্রভাবিত করে। "বলিউড কিং" নামে পরিচিত শাহরুখের পথচলা শুরু হয় দিল্লিতে। ১৯৮৯ সালে টিভি সিরিজ ফৌজি দিয়ে তিনি প্রথম নজরে আসেন।
আরও পড়ুন: ১ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে যাত্রা উৎসব-২০২৪
তার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার আকাশচুম্বী সাফল্য লাভ করে দেওয়ানা, ডর এবং বাজিগর এর মতো হিট সিনেমার মাধ্যমে। তবে দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে তাকে প্রকৃতপক্ষে সুপারস্টার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। দীর্ঘ বিরতির পর, তিনি পাঠান, জওয়ান ও ডানকি ’র মতো ব্লকবাস্টারের মাধ্যমে শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন করেছেন। এটি আবারও তাকে "বলিউডের কিং" হিসেবে প্রমাণ করেছে।
ক্যারিয়ারের দিক থেকে সুহানারও শাহরুখ খানের সঙ্গে কিং সিনেমায় স্ক্রিন শেয়ার করার সম্ভাবনা রয়েছে।
আগস্ট মাসে লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবের আর্টিস্টিক ডিরেক্টর জিওনা এ নাজারোর সঙ্গে এক আলোচনায় শাহরুখ খান তার ক্যারিয়ার এবং অর্জন নিয়ে কথা বলেন। তিনি তার পরবর্তী সিনেমা কিং নিয়ে প্রস্তুতি এবং নির্মাতা সুজয় ঘোষের সঙ্গে তার সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত জানান।
শাহরুখ বলেন, “নির্দিষ্ট কিছু সিনেমা রয়েছে, যেগুলো আমি করতে চাই। সম্ভবত এগুলো বয়সের সঙ্গে মানানসই এবং গত ৬-৭ বছর ধরে আমি এ বিষয়ে ভাবছি। একদিন সুজয় ঘোষের সঙ্গে বসে এ বিষয়ে কথা বলি। তিনি আমাদের অফিসে কাজ করেন এবং আমাদের জন্য কিছু সিনেমা বানিয়েছেন। তখন তিনি বললেন, ‘স্যার, আমার একটা বিষয় আছে।’”
শাহরুখ তার কিং সিনেমার জন্য ওজন কমানো সম্পর্কেও আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “আমার পরবর্তী সিনেমা কিং, এটির জন্য আমাকে কাজ শুরু করতে হবে, কিছুটা ওজন কমাতে হবে, কিছু স্ট্রেচিং করতে হবে।”
সিনেমাটি নিয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
সুহানা তার অভিনয় ক্যারিয়ারের সূচনা করেন গত বছর নেটফ্লিক্সের চলচ্চিত্র দ্য আর্চিস দিয়ে, যা পরিচালনা করেছিলেন জোয়া আখতার।
আরও পড়ুন: প্রখ্যাত অভিনেতা মাসুদ আলী খান আর নেই
১ সপ্তাহ আগে
১ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে যাত্রা উৎসব-২০২৪
‘যদি তুমি ভয় পাও, তবে তুমি শেষ, যদি তুমি রুখে দাঁড়াও তবে তুমি বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে শুক্রবার (১ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে যাত্রা উৎসব ২০২৪।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্ত মঞ্চে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের ব্যবস্থাপনায় এ উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উৎসব চলবে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত। ৭ দিনব্যাপী এ আয়োজন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
এই উৎসবে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নিবন্ধিত ৭টি যাত্রা দল প্রতিদিন একটি করে ‘ঐতিহাসিক ও সামাজিক’ ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত যাত্রাপালা পরিবেশন করবে। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পালা পরিবেশন করা হবে।
৭ দিনব্যাপী উৎসব আয়োজন প্রসঙ্গে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, ‘শিল্পকলা একাডেমি মনে করে, শিল্পচর্চা জনজীবনের কেন্দ্রে অবস্থিত। শিল্পচর্চার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে এবং গ্রামীণ জনসাধারণের বিনোদনের ঐতিহ্য বিবেচনায় আমরা এই যাত্রাপালার আয়োজন করেছি। আমরা চাই, আপনারা সবাই যাত্রা শিল্পীদের পাশে থাকুন।’
মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘শৈশবে আমরা নৈতিকতার শিক্ষা লাভ করেছি সামাজিক যাত্রাপালাগুলো দেখে। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় যাত্রাশিল্পকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা হয়েছে, সেই পরিস্থিতির আমাদের উত্তরণ ঘটাতে হবে। সুস্থ ধারার যাত্রাপালা পরিবেশনা, মানোন্নয়ন, চর্চা ও যাত্রাশিল্পীদের পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে ঐহিত্যবাহী যাত্রাপালাকে জনজীবনে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।’
উদ্বোধনী আয়োজন শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ইসরাফিল মজুমদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বিশিষ্ট যাত্রা শিল্পী অনিমা দে। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক ফয়েজ জহির। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি মহাপরিচালক, নাট্য নির্দেশক ও শিক্ষক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ।
৭ দিনের যাত্রাপালা:
শুক্রবার: দলের নাম- সুরুভী অপেরা, পালাকার-আগন্তক, পালার নাম- নিহত গোলাপ; পালা নির্দেশক- কবির খান।
শনিবার: দলের নাম-নিউ শামীম নাট্য সংস্থা, পালাকার-প্রসাদ কৃষ্ণ ভট্টচার্য, পালার নাম- আনার কলি; পালা নির্দেশক- শামীম খন্দকার।
রবিবার: দলের নাম-বঙ্গবাণী অপেরা, পালাকার- রঞ্জন দেবনাথ, পালার নাম- মেঘে ঢাকা তারা; পালা নির্দেশক- মানস কুমার।
সোমবার: দলের নাম- নর-নারায়ণ অপেরা, পালাকার-দেবন্দ্রনাথ, পালার নাম- লালন ফকির; পালা নির্দেশক- ব্রোজেন কুমার বিশ্বাস।
মঙ্গলবার: দলের নাম-বন্ধু অপেরা, পালাকার- শামসুল হক, পালার নাম- আপন দুলাল; পালা নির্দেশক- মনির হোসেন।
বুধবার: দলের নাম-শারমিন অপেরা, পালাকার-পুর্নেন্দু রায়, পালার নাম- ফুলন দেবী; পালা নির্দেশক- শেখ রফিকুল।
বৃহস্পতিবার: দলের নাম-যাত্রাবন্ধু অপেরা, পালাকার- শ্রী শচীননাথ সেন, পালার নাম- নবাব সিরাজউদ্দৌলা পালা নির্দেশক- আবুল হাশেম।
২ সপ্তাহ আগে
প্রখ্যাত অভিনেতা মাসুদ আলী খান আর নেই
একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা মাসুদ আলী খান আর নেই। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে রাজধানীর কলাবাগানে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তার বয়স হয়েছিল ৯৫। মাসুদ আলী বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন এবং বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
তার জানাজা ও দাফনের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
মাসুদ আলী খান ১৯২৯ সালের ৬ অক্টোবর মানিকগঞ্জের পারিল নওড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকায় বাংলাদেশ টেলিভিশন প্রতিষ্ঠার পর 'ভাই ভাই সবাই' নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ছোট পর্দায় অভিষেক হয় তার।
সাদেক খানের 'নদী ও নারী' (১৯৬৪) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রুপালি পর্দায় তার অভিষেক হয়। এরপর 'দীপু নাম্বার টু' (১৯৯৬), 'দুই দুয়ারী' (২০০০), 'মাটির ময়না' (২০০২), 'মোল্লা বাড়ির বউ' (২০০৫) এবং 'প্রিয়তমেষু' (২০০৯) চলচ্চিত্রে অভিনয়সহ আরও অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
মাসুদ আলী খান 'কোথাও কেউ নেই', 'এই সব দিন রাত্রি', 'বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল', '৬৯', 'সুখী মানুষ প্রকল্প', 'দিন চলে যায়', 'গুলশান এভিনিউ'সহ অনেক জনপ্রিয় টেলিভিশন নাটক ও সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করার জন্য পরিচিত।
তিনি বিভিন্ন সরকারি দপ্তরেও কাজ করেছেন। ১৯৮৮ সালে তিনি বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
দেশের টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র শিল্পে অবদানের জন্য মাসুদ আলী খান ২০২৩ সালে একুশে পদক এবং মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা ২০২৩ লাভ করেন।
তার মৃত্যুতে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: সুজিত সরকারের সঙ্গে অভিষেক বচ্চনের নতুন ছবি 'আই ওয়ান্ট টু টক'
২ সপ্তাহ আগে
সুজিত সরকারের সঙ্গে অভিষেক বচ্চনের নতুন ছবি 'আই ওয়ান্ট টু টক'
এবার পরিচালক সুজিত সরকারের ফিরছেন অভিনেতা অভিষেক বচ্চন। গতকাল বুধবার তাদের নতুন ছবির এক ঝলক উন্মোচিত হয়েছে।
'আই ওয়ান্ট টু টক' শিরোনামের ছবিটি ২০২৪ সালের ২২ নভেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।
ইনস্টাগ্রামে অভিষেক একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে আমরা দেখা যাচ্ছে, অভিষেকের মুখ একটি বাবলহেডে রাখা হয়েছে। ব্যাকগ্রাউন্ডে অভিনেতার কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে, 'আমি শুধু কথা বলতে ভালোবাসি না, আমি কথা বলার জন্যই বাঁচি। আমি শুধু জীবন ও মৃত্যুর মধ্যে এই মৌলিক পার্থক্যটাই দেখতে পাই। যারা বেঁচে আছেন তারা কথা বলতে পারেন; যারা মারা গেছে তারা পারবে না।’
ওই পোস্টের ক্যাপশনে অভিষেক লেখেন, ‘আমরা সবাই জানি যে একজন মানুষ কথা বলতে ভালোবাসে। এখানে এমন একজন ব্যক্তির গল্প বলা হয়েছে, যিনি সর্বদা জীবনের উজ্জ্বল দিকটি দেখেন; জীবন তাকে যেটাই দিক না কেন! আপনার পরিচিত ব্যক্তিকে ট্যাগ করুন যিনি কথা বলার জন্য বেঁচে আছেন।’
চলতি বছরের মার্চে মুম্বাইয়ে প্রাইম ভিডিওর অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। এই পরিচালক ও অভিনেতা জুটি আশ্বাস দিয়েছিলেন, প্রকল্পটি দর্শকদের মুখে হাসি ফোটাবে।
সুজিচত বলেন, ‘আমি সাধারণ জীবন নিয়ে সিনেমা বানাই এবং সেই সাধারণ চরিত্রগুলোকে অসাধারণ করে তোলার চেষ্টা করি। এই ছবি আপনাকে হাসাবে এবং আপনাকে উষ্ণতা দেবে।’
প্রকল্পের অফিসিয়াল সারসংক্ষেপে লেখা ছিল, কখনো কখনো জীবন আমাদের দ্বিতীয় সুযোগ দেয়। অর্জুন নামে এক ব্যক্তি 'দ্য আমেরিকান ড্রিম' এর সন্ধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসতি স্থাপন করেছিলেন। এটি তার মেয়ের সঙ্গে তার বন্ধনকে পুনরায় আবিষ্কার এবং আলিঙ্গন করার একটি সুযোগ।
এতে আরও লেখা হয়েছে, সুজিত সরকার এই সিনেমা বাবা ও কন্যার সম্পর্ক নিয়ে তৈরি করেছেন। একটি অন্তরঙ্গ আবেগঘন যাত্রা, যেখানে তারা জীবনের অপ্রত্যাশিত ঘটনাগুলোকে মোকাবিলা করে একটি কাহিনীর মাধ্যমে। চলচ্চিত্রটি আমাদের জীবনের ক্ষণস্থায়ী মুহূর্তগুলোর সত্যিকারের মূল্য আবিষ্কার করে, প্রত্যেককে লালন করতে শিখে।
রাইজিং সান ফিল্মস এবং কিনো ওয়ার্কস প্রযোজিত এই ছবিতে আরও রয়েছেন জনি লিভার, অহল্যা বামরু এবং জয়ন্ত কৃপলানি।
৩ সপ্তাহ আগে