বিনোদন
মুক্তি পাচ্ছে মেহজাবীনের প্রথম চলচ্চিত্র ‘প্রিয় মালতী’
প্রথমে মিসরের কায়রো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ৪৫তম আসরে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার। তারপর ভারতের ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভালের ৫৫তম আসরে একমাত্র বাংলাদেশি চলচ্চিত্র হিসেবে প্রদর্শনী। আন্তর্জাতিক অঙ্গনের এই বিশাল অর্জন নিয়ে এবার দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে ‘প্রিয় মালতী’।
আগামী ২০ ডিসেম্বর এই ছবি মুক্তির মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মত পূর্ণদৈর্ঘ্য পর্দায় দেখা যাবে মেহজাবিন চৌধুরীকে। ওটিটি কন্টেন্ট ওয়েব ফিল্মে নিজের বৈচিত্র্যময় অভিনয় দিয়ে ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী।
চলুন, সিনেমাটির নির্মাণ ও গল্পের পাশাপাশি জেনে নেয়া যাক- এতে কারা হতে যাচ্ছেন মেহজাবিনের সহ-অভিনয়শিল্পী।
চলচ্চিত্র নির্মাণের নেপথ্যে
এই সিনেমাটি পরিচালনার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটল তরুণ নির্মাতা শঙ্খ দাশগুপ্তর। ছবির মূল গল্পও তারই লেখা। চিত্রনাট্যে তার সঙ্গে কাজ করেছেন আবু সাঈদ রানা, চিত্রগ্রাহক হিসেবে ছিলেন তাহসিন রহমান। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে ফ্রেম পার সেকেন্ড, ফিল্মি ফিচার্স এবং ওটিটি ভিডিও স্ট্রিমিং সেবা চরকি।
ছায়াছবির গল্প
‘হুইসপার্স অব অ্যা থার্স্টি রিভার’ ইংরেজি শিরোনামের চলচ্চিত্রটির মূল গল্প মালতী রানী দাশ নামের একজন নিম্ন-মধ্যবিত্ত নারীকে নিয়ে। স্বামী পলাশ কুমার দাশকে নিয়ে তার সদ্য দাম্পত্য জীবন কাটছে খুনসুটি, ভালোবাসা, আর ছোট ছোট আনন্দে।
এই স্বপ্নীল জীবন নিমেষেই দুঃস্বপ্নে পরিণত হয় আকস্মিক এক দুর্ঘটনায়। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে শহরের এক ব্যস্ততম বাণিজ্যিক ভবনে, যেখানে কাজ করত পলাশ। খবরটি পাওয়ার পর থেকে মালতী কোনোভাবেই তাকে ফোনে পায় না। নানা আশঙ্কা ও উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে স্বামীকে খুঁজতে মালতীর শুরু হয় এক দীর্ঘ সংগ্রামী যাত্রা। দিন গড়িয়ে যায়, মাস পেরিয়ে বছর হয়; এরপরও কোনো হদিস মেলে না তার। বরং সামাজিক রীতিনীতি ও প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা মালতীর প্রতিটি পদক্ষেপকে আরও কঠিন করে তোলে।
সত্য ঘটনা-নির্ভর অপরাধ ঘরানার ছবিটির কাহিনী এভাবে প্রধান চরিত্রের নানা চড়াই-উৎড়াইকে নিয়ে এগোতে থাকে ক্লাইম্যাক্সের দিকে। সেইসঙ্গে নাটকীয়তায় যুক্ত হতে থাকে মিস্ট্রি ও সাসপেন্স।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশিদের জন্য থাইল্যান্ডের ই-ভিসা চালুর তারিখ ঘোষণা
১১ ঘণ্টা আগে
কবি হেলাল হাফিজ মারা গেছেন
দ্রোহ আর প্রেমের কবি হেলাল হাফিজ মারা গেছেন। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) শাহবাগের সুপার হোম হোস্টেল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
সুপার হোস্টেলের ওয়াশরুমের দরজা খুলে মৃত অবস্থায় দেখতে পাওয়া গেছে। দুপুর সোয়া ২টার দিকে ওয়াশরুমের দরজা খোলা হয়।
জানা যায়, পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন, এতে রক্তক্ষরণও হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে তার মরদেহ আছে বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, ‘বেলা আড়াইটার দিকে হোটেলের লোকজন তাকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসেন। পুলিশ বিষয়টি তত্বাবধায়ন করছে।’
আরও পড়ুন: জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার আর নেই
গত কয়েক বছর ধরে গ্লুকোমা, কিডনি জটিলতা, ডায়াবেটিস ও স্নায়বিক ব্যাধিসহ একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন প্রতিভাধর এই কবি।
সাংবাদিক মাহমুদ হাফিজ জানিয়েছেন, আগামীকাল (শনিবার) বাদ জোহর জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে কবির জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
কবি হেলাল হাফিজ ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার বড়তলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা খোরশেদ আলী তালুকদার পেশায় ছিলেন স্কুলশিক্ষক আর মা কোকিলা বেগম গৃহিণী।
অনেকটা বোহেমিয়ান জীবন কাটালেও সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন কবি হেলাল হাফিজ।
সাংবাদিক ও সাহিত্য সম্পাদক হিসাবে বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় কাজ করেছেন তিনি। সর্বশেষ দৈনিক যুগান্তরে কর্মরত ছিলেন কবি।
হেলাল হাফিজের প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'যে জলে আগুন জ্বলে' প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৮৬ সালে। তার দ্বিতীয় এবং শেষ কাব্যগ্রন্থ 'বেদনাকে বলেছি কেঁদো না' প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালে।
সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৩ সালে তিনি কবিতায় বাংলা একাডেমী পুরস্কার পান।
৪ দিন আগে
'পুষ্পা-২'র প্রদর্শনীতে নারীর মৃত্যু, আল্লু অর্জুন গ্রেপ্তার
গত ৩ ডিসেম্বর হায়দরাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারের বাইরে পদদলিত হয়ে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় দক্ষিণ ভারতীয় তারকা আল্লু অর্জুনকে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, বহুল প্রতীক্ষিত ছবি 'পুষ্পা ২: দ্য রুল'-এর প্রদর্শনীতে অভিনেতার অনির্ধারিত উপস্থিতির সময় নারীর মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল্লু অর্জুনকে জুবিলি হিলসের বাসভবন থেকে হেফাজতে নিয়ে চিক্কাদপল্লি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় তার বাবা ও বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা আল্লু অরবিন্দ এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাসায় ছিলেন।
গ্রেপ্তারের পর ৪১ বছর বয়সী এই অভিনেতা সোমবার পর্যন্ত তার আটকাদেশ স্থগিত রাখার আবেদন করেন। শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় এ আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে হায়দরাবাদ পুলিশ আল্লু অর্জুন, তার নিরাপত্তা দলের সদস্য এবং সন্ধ্যা থিয়েটারের ব্যবস্থাপকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
ওই দিন অভিনেতাকে এক পলক দেখার জন্য প্রচুর ভিড় হওয়ায় পদপিষ্টের ঘটনায় তাদের ভূমিকার বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: আল্লু অর্জুনের পুষ্পা-২ রিভিউ: ছবি নিয়ে যত হইচই
৪ দিন আগে
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার আর নেই
বাংলাদেশের কিংবদন্তি রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
তার স্বামী সারোয়ার আলম গণমাধ্যমকে জানান, বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
তিন বছর ধরে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে চলা একুশে পদকপ্রাপ্ত এই সংগীতশিল্পীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বুধবার তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী ও দুই মেয়ে জারা সারোয়ার ও জিশা সরওয়ার পাপিয়াকে রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় সংক্ষিপ্ত সফরে সঙ্গীতশিল্পী রাহুল আনন্দের স্টুডিও পরিদর্শন করবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ
২১ নভেম্বর বরিশালের এক সংগীতপ্রেমী পরিবারে জন্ম নেওয়া পাপিয়া সরওয়ার ভারত সরকারের বৃত্তির মাধ্যমে ১৯৭৩ সালে শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীত শেখেন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনিই প্রথম এই বৃত্তি লাভ করেন।
এর আগে তিনি ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে প্রখ্যাত গুরু আতিকুল ইসলাম, ওয়াহিদুল হক, সন্জীদা খাতুন এবং জাহিদুর রহিমের কাছ থেকে তার প্রাথমিক সংগীত প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। পরে বুলবুল একাডেমি অব ফাইন আর্টসে (বাফা) নিয়মিত ছিলেন।
পাপিয়া সারোয়ার তার বর্ণাঢ্য সংগীত জীবনে রবীন্দ্রসংগীতে দক্ষতার জন্য ব্যাপক প্রশংসা এবং অসংখ্য স্বীকৃতি অর্জন করেছেন।
১৯৯৬ সালে, তিনি উচ্চাকাঙ্ক্ষী শিক্ষার্থীদের মাঝে তার জ্ঞান বিতরণের জন্য গীতোসুধা নামে একটি সংগীত দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তার গাওয়া আধুনিক গান 'নাই টেলিফোন নে রে পিঁও নেই রে টেলিগ্রাম' বাংলা সংগীতপ্রেমীদের মাঝে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
এছাড়া নিয়মিত সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে টেলিভিশন জগতে সুপরিচিত ও প্রিয় ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন তিনি।
দেশের সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের জন্য পাপিয়া সারোয়ার ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার, ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ এবং ২০২১ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।
আরও পড়ুন: ম্যাজিকাল নাইট ২.০ আতিফ আসলাম: অব্যবস্থাপনায় বিপর্যস্ত এক সঙ্গীতানুষ্ঠান
৫ দিন আগে
বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার লাইফ সাপোর্টে
একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ারকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। গত তিন বছর ধরে ক্যান্সারে ভোগা এই শিল্পী রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে জানিয়েছেন তার স্বামী সারোয়ার আলম।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, জীবনের শেষ প্রান্তে পাপিয়া। আমাদের দুই মেয়ে জারা সারোয়ার ও জিশা সারোয়ার যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বসবাস করছে। তারা ফেরার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দীর্ঘদিন ধরেই জটিল রোগে ভুগছিলেন পাপিয়া সারোয়ার। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত বছর তাকে দিল্লিতেও নিয়ে যাওয়া হয়।
পাপিয়া সারোয়ারের জন্ম বরিশালে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। পরে ১৯৭৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে ভারত যান।
তার আগে তিনি ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সানজীদা খাতুন ও জাহেদুর রহিমের কাছে এবং পরবর্তীতে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সংগীতদীক্ষা নেন।
দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে রবীন্দ্রসংগীতের জন্য কোটি শ্রোতার ভালোবাসা পেয়েছেন। আধুনিক গানেও তিনি সফল। ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানটি তাকে আপামর বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা দেয়।
পাপিয়া সারোয়ার ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভের পর ২০২১ সালে একুশে পদক পান এই সংগীত শিল্পী।
৬ দিন আগে
পঞ্চম সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিচ্ছে ৬৮ দেশ
পঞ্চম সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৪ অধিবেশনে অংশগ্রহণ করবে ৬৮টি দেশের প্রায় দুই শতাধিক চলচ্চিত্র।
উৎসবের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো- ২৬ দেশের ৫২টি বিশ্ববিদ্যালয় ও চলচ্চিত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নির্মিত চলচ্চিত্র ও অংশগ্রহণে ‘ইন্সটিটিউট ফোকাস’ সেকশন।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে পঞ্চম সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের পোস্টার উন্মোচন করা হয়েছে।
এবার উৎসবের স্লোগান হয়েছে ‘রক্তের ঋণে স্বাধীনতা/জাগ্রত হোক মানবতা।’
পোষ্টারে তুলে ধরা হয়েছে জুলাই ৩৬ বিপ্লবের রক্তাক্ত জমিন। পোস্টারে স্থান দেওয়া পেয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ আবু সাইদের স্কেচ।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে শহীদ আবু সাইদের এই স্কেচটি করেছিলেন ভারতীয় চিত্রকর কৌশিক সরকার।
কৌশিক বলেন, উৎসব কর্তৃপক্ষ আমার স্কেচটি সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের পোস্টারে ব্যবহারের জন্য অনুমতি নিয়েছিলেন।
এছাড়া পৃথিবীর বহুদেশে আমার স্কেচ উৎসবের মাধ্যমে পৌঁছাবে এটা আমার জন্য আনন্দের বলে জানান ভারতীয় চিত্রকর কৌশিক সরকার
সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের (সিআইএফএফ) প্রতিষ্ঠাতা ও উৎসব পরিচালক মনজুরুল ইসলাম মেঘ বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ তৈরি করেছেন তরুণ শিক্ষার্থীরা ও গণতন্ত্রকামী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করলেও দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে।
এছাড়া চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বহুদেশীয় সম্পর্ক স্থাপন এবং সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে কাজ করে যাচ্ছে সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব বলে জানান সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রতিষ্ঠাতা।
তিনি আরও বলেন, পঞ্চম সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ৬৮টি দেশের চলচ্চিত্র সিলেকশন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ডস-২০২৪: চলচ্চিত্রে সেরা দিলজিৎ-কারিনা
আমেরিকার- নিউইর্য়ক ফিল্ম একাডেমি, চায়নার-বেইজিং ফিল্ম একাডেমি, রাশিয়ার-মস্কো স্টেট ইন্সটিটিউট অফ কালচার, ভারতের-সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইন্সটিটিউট, কাতারের-নর্দান ইস্ট ইউনিভার্সিটি ইন কাতার, ইন্দোনেশিয়ার-ইন্দোনেশিয়ান এডুকেশন ইউনির্ভাসিটিসহ ২৬টি দেশের ৫২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণদের এবার অংশগ্রহণের সুযোগ থাকছে উৎসবে।
মনজুরুল বলেন, তরুণরা আগামী পৃথিবীর নির্মাতা। আশা করছি এই উৎসবের মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণদের সঙ্গে সারা পৃথিবীর তরুণদের একটি সেতুবন্ধন তৈরি হবে। বাংলাদেশের তরুণরা জুলাই ৩৬ বিপ্লবে একটি উজ্জল দৃষ্টান্ত। আমরা তরুণদের এই সাহসিকতা পৃথিবীর তরুণদের কাছে তুলে ধরতে চাই। জুলাই ৩৬ বিপ্লবের গণহত্যা তুলে ধরে সারা পৃথিবীতে হানাহানি, যুদ্ধ ও নৃশংসতা বন্ধ করে শান্তির আহ্বাবান করছি আমরা।
তিনি বলেন, উৎসবে উদ্বোধনী চলচ্চিত্র হিসেবে থাকছে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস উদ্ভাবিত তথ্যের ওপর বেলজিয়ামের চলচ্চিত্র পরিচালক আনি ক্লার্ক, মিশেল ভ্যান ডের ভেকেন পরিচালিত ‘এ ওয়ার্ল্ড অফ থ্রি জিরোস, জিরো নেট কার্বন ইমিশন, জিরো প্রভারটি, জিরো আনএমপ্লাইমেন্ট’ প্রদর্শিত হবে।
এছাড়া পরিচালকরা উৎসবে অংশগ্রহণ করে একটি মাস্টার ক্লাস পরিচালনা করবেন বলে জানান মনজুরুল ইসলাম মেঘ।
উল্লেখ্য, পঞ্চম সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-২০২৪ এ ইউরোপ, আমেরিকার ও এশিয়ার ত্রিশের অধিক চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতা-অভিনেত্রী ও কলাকুশলী সরাসরি অংশগ্রহণ করবে। এইবার উৎসব অনুষ্ঠিত হবে অনলাইন ও অফলাইন অধিবেশনে। অনলাইন অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর, দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে ২২ ফেব্রুয়ারি হতে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।
এই অধিবেশনে বিদেশি অতিথিরা উপস্থিত থাকবেন এবং চলচ্চিত্রের বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক কর্মশালা, সেমিনার, মাস্টার ক্লাসে অংশগ্রহণ করবেন।
এই অধিবেশনে ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র বিনিময় বিষয়ক বেশ কয়েকটি পদক্ষেপও গ্রহণ করা হবে।
উৎসব আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন উৎসবে চলচ্চিত্র প্রদর্শন ছাড়াও থাকবে ‘ফ্যাসিবাদের কবলে চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতি’, ‘মানবিক পৃথিবী প্রতিষ্ঠায় চলচ্চিত্রের ভূমিকা’, ‘জুলাই ৩৬ প্রেক্ষিত কালচারাল পলিটিক্স’।
দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা সেমিনারে অংশগ্রহণ করবেন।
উৎসবের সমাপনী চলচ্চিত্র হিসেবে প্রদর্শিত হবে- জুলাই ৩৬ গণহত্যার তথ্যচিত্র নির্ভর পূর্ণদৈর্ঘ্য ডকুমেন্টারি চলচ্চিত্র ‘নেক্সট জেনারেশন লিডার’।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ইরানি চলচ্চিত্র উৎসব শুরু ৩ ডিসেম্বর
১ সপ্তাহ আগে
ঈদুল ফিতর ২০২৫-এ মুক্তি বরবাদ ও দাগি: আবারও মুখোমুখি শাকিব খান ও আফরান নিশো
ছবি মুক্তির মঞ্চে ফের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান ও ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ আফরান নিশো। ২০২৫-এর ঈদুল ফিতরকে ঘিরে শাকিবের ‘বরবাদ’ ও নিশোর ‘দাগি’ মুক্তির কথা চলছে। এর আগে ২০২৩ সালের ঈদুল আজহায় ‘প্রিয়তমা’ ও ‘সুড়ঙ্গ’ নিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন দুজন। সেবার শাকিবের ব্লকবাস্টারের সঙ্গে বেশ ভালো প্রতিযোগিতা করেছিল নিশোর অভিষিক্ত সিনেমা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তবে কেমন হতে যাচ্ছে ঢালিউড বক্স অফিসের ডুয়েল! তা জানতে চলুন বিশদ পর্যালোচনা করা যাক- বহুদিন ধরে আলোচনায় থাকা ‘বরবাদ’ আর সদ্য ঘোষিত ‘দাগি’ নিয়ে।
শাকিব খানের বরবাদ
চলচ্চিত্রটি নির্দেশনার মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হতে যাচ্ছে ছোট পর্দার নির্মাতা মেহেদী হাসান হৃদয়ের। শাকিবের বিপরীতে ছবির প্রধান চরিত্রে রয়েছেন কলকাতার ইধিকা পাল। ‘প্রিয়তমা’র পর এটি শাকিব-ইধিকা জুটির দ্বিতীয় সিনেমা।
অ্যাকশন ঘরানার ছবিটির আরও একটি বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে এতে অভিনয় করছেন ভারতের অভিনেতা যীশু সেনগুপ্ত। এছাড়া আইটেম গানে দর্শকদের নজর কাঁড়তে থাকবেন নুসরাত জাহান।বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে মিশা সওদাগর এবং মানব সাচদেবকে।
ইতিমধ্যে চলচ্চিত্রটির শুটিং শুরু হয়ে গেছে মুম্বাইতে। পরিকল্পনা রয়েছে ভারতেই করা হবে সিনেমার অধিকাংশ শুটিং।
‘বরবাদ’-এর দৃশ্য পরিচালনায় রয়েছেন মুম্বাইয়ের রবি বর্মা, যিনি সাধারণত বলিউড ও তেলুগু সিনেমাগুলোতে অ্যাকশন ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেন। ড্যান্স কোরিওগ্রাফার হিসেবে আছেন বলিউডের আদিল শেখ। ছবির গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন প্রীতমসহ বলিউডের কিছু শিল্পী।
চলচ্চিত্রটির বাজেট নির্ধারণ হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা, যা রেকর্ড সৃষ্টি করবে বাংলাদেশি সিনেমাজগতে!
আরো পড়ুন: লাকি ভাস্কর মুভি রিভিউ: সততা বনাম লোভের এক জমজমাট গল্প
আফরান নিশোর দাগি
এসভিএফ আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড ও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকির প্রযোজনায় ‘দাগি’ সিনেমার পরিচালনা করছেন শিহাব শাহীন। ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ (২০১৫)-এরপর এটি নির্মাতার দ্বিতীয় সিনেমা। একই সঙ্গে রায়হান রাফী পরিচালিত ‘সুড়ঙ্গ’(২০২৩)-এরপর এটি নিশোরও দ্বিতীয় সিনেমা।
মূল চরিত্রে নিশোর সঙ্গে দেখা যাবে তমা মির্জাকে। নিশোর মতো তিনিও প্রায় দেড় বছর বিরতির পর আসছেন ক্যামেরার সামনে। একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করবেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল।
ছবির গল্প আবর্তিত হবে নিশোর চরিত্রটিকে ঘিরে, যেখানে ফুটে উঠবে মুক্তি ও প্রায়শ্চিত্যের উপাখ্যান।
মুক্তির দিনক্ষণকে সামনে রেখে ‘দাগি’র শুটিং ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। তবে তার বিশদ বৃত্তান্ত এখনও অপ্রকাশিত রেখেছেন নির্মাণ টিম।
আগে নিশো ও শিহাব শাহীন একত্রে কাজ করেছিলেন ‘মরীচিকা’(২০২১) ও ‘সিন্ডিকেট’(২০২২) ওয়েব সিরিজে। দুটোই যথেষ্ট প্রশংসা পেয়েছিলো দর্শক মহলে।
আরো পড়ুন: ৩৬-২৪-৩৬: কারিনা কায়সার বনাম সমাজে নারীর প্রথাগত সৌন্দর্য্যের মাপকাঠি
বরবাদ বনাম দাগি
গত বছর ‘প্রিয়তমা’ এবং ‘সুড়ঙ্গ’ মুক্তির সময় যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছিল সারা দেশের হলগুলো। প্রথম দুই দিনে একক হলগুলোতে কর্তৃত্ব ছিল ‘প্রিয়তমা’র। আর মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে দাপিয়ে বেড়িয়েছিল ‘সুড়ঙ্গ’।
মুক্তির আগে স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘প্রিয়তমা’র থেকে ‘সুড়ঙ্গ’-এর জন্যই বেশি বুকিং হয়েছিল অগ্রিম টিকেটের। প্রথম দিনে স্টারের সব শাখায় ‘সুড়ঙ্গ’র মোট শো ছিল ১৮টি। দ্বিতীয় দিনে দর্শকের চাহিদার কারণে তা বাড়ানো হয়েছিল ৩০-এ। এমনকি হলিউডের সিনেমার শিডিউলও বাতিল করা হয়েছিল ‘সুড়ঙ্গ’র জন্য। অন্যদিকে প্রথম থেকেই ‘প্রিয়তমা’র নির্ধারিত আটটি শো অপরিবর্তিত ছিল। বাংলা ভাষার ছবি হিসেবে সিনেপ্লেক্সে এটি ছিল নতুন রেকর্ড।
সামাজিক মাধ্যমে সমালোচক ও ভক্তদের তর্ক-বিতর্কে একটি বিষয় খুব বেশি উঠে এসেছিল। আর তা হলো কনটেন্টের দিক থেকে ‘প্রিয়তমা’র চেয়ে ‘সুড়ঙ্গ’ অনেকটা এগিয়ে।
কিন্তু নির্দেশনায় এবারে রাফীর বদলে আছেন শাহীন। প্রযোজন সংস্থা এক হলেও গল্প ও চিত্রনাট্যে ‘দাগি’ কতটা ‘সুড়ঙ্গ’র সমপর্যায়ের হতে পারবে তা বলাই বাহুল্য। অভিনয় দিয়ে সুনেরাহ ও তমাকে নিয়ে বেশ শক্ত অবস্থান সৃষ্টি করতে পারবেন নিশো। তবে ‘বরবাদ’-এর মতো মাসালা মুভিকে ছাড়িয়ে যেতে হলে গল্প, সঙ্গীত, সম্পাদনা; মোটকথা সামগ্রিক পরিবেশনায় হতে হবে অনবদ্য। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে হল সংকট এবং ছবিগুলোর প্রচারও বিরাট প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে।
আরো পড়ুন: আল্লু অর্জুনের পুষ্পা-২ রিভিউ: ছবি নিয়ে যত হইচই
শেষাংশ
শাকিব খানের ‘বরবাদ’ এবং আফরান নিশোর ‘দাগি’ নিঃসন্দেহে এক উপভোগ্য ২০২৫ ঈদ মৌসুম উপহার দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশি সিনেমাপ্রেমিদের। পরিচালনায় অভিজ্ঞতার দৌড়ে শিহাব শাহীনের তুলনায় মেহেদী হাসান হৃদয় যে কিছুটা পিছিয়ে থাকবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এই ঘাটতিটুকু নিমেষেই পূরণ করে দেবে ঢালিউড কিং খানের উপস্থিতি। অভিনয়ের দিক থেকে নিশো-শাকিব দুজনেরই রয়েছে স্বপ্রতিভ ক্ষেত্র, যেখানে প্রত্যেকে রয়েছেন শিখরে। তাই লড়াইয়ের মূল পরিণতি ঠিক করে দেবে ছবি দুটির গল্প, চিত্রনাট্য, সঙ্গীতায়োজন এবং সম্পাদনা। উপরন্তু, এমন প্রতিযোগিতাপূর্ণ চলচ্চিত্র মৌসুমের পুনরাবৃত্তি জানান দিচ্ছে যে, ঢাকাই সিনেমায় সুদিন ফিরতে যাচ্ছে।
১ সপ্তাহ আগে
আল্লু অর্জুনের পুষ্পা-২ রিভিউ: ছবি নিয়ে যত হইচই
সংলাপ, অ্যাকশন, গান ও বৈচিত্র্যপূর্ণ গল্পের পরিবেশনে সর্বদাই আলাদা আবেদন থাকে দক্ষিণ ভারতীয় মুভিগুলোতে। চলচ্চিত্র মুক্তির প্রতিটি উৎসবমুখর মৌসুমে তারই প্রমাণ মেলে কলিউড, টলিউড, মলিউড ও স্যান্ডালউড জুড়ে। সেখানে যদি আবার ভারতের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত নায়ক আল্লু অর্জুনের ছবির কথা আসে, তাহলে স্বভাবতই প্রত্যাশা আরও একটু বেড়ে যায়। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তার রেকর্ড সৃষ্টিকারী সিনেমা ‘পুষ্পা: দ্যা রাইজ’-এর সিকুয়াল ‘পুষ্পা: দ্যা রুল’। এরই মধ্যে শিরোনামটির পাশে যুক্ত হয়েছে পাহাড় সমান উপার্জনের অংক। চলুন, এ পর্যন্ত পুষ্পা-২ চলচ্চিত্রটির মোট উপার্জন এবং পর্দার সামনের ও পেছনের প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া জেনে নেওয়া যাক।
পুষ্পা-২ চলচ্চিত্র বৃত্তান্ত
তেলেগু ভাষার ছবিটির রচনা ও পরিচালনায় ছিলেন সুকুমার। সুকুমার রাইটিংস ও মিথ্রি মুভি মেকার্স প্রযোজিত চলচ্চিত্রটির সংলাপ রচনা করেছেন শ্রীকান্থ ভিস্সা। পুষ্পা ফ্যাঞ্চাইজির এই দ্বিতীয় কিস্তিটি ‘পুষ্পা: দ্যা রাইজ’ (২০২১)-এর সিক্যুয়াল। নাম ভূমিকায় আল্লু অর্জুনের পাশাপাশি প্রধান নারী চরিত্রে যথারীতি অভিনয় করেছেন রাশ্মিকা মন্দানা। অন্যান্য ভূমিকায় আছেন ফাহাদ ফাসিল, জগপতি বাবু, রাও রমেশ, সুনীল এবং অনসূয়া ভরদ্বাজ।
বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে ছিল ধনঞ্জয়ের ক্যামিও। গত ৫ ডিসেম্বর ছবিটি ভারতসহ সারা বিশ্বে মুক্তি পায়।
আরো পড়ুন: মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সেরা কাজগুলো: চলচ্চিত্র, ধারাবাহিক ও নাটক
ভারতীয় বক্স অফিসে পুষ্পা-২
ভারতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল চলচ্চিত্রগুলোর তালিকায় স্থান পাওয়া এই ছবিটির নির্মাণ বাজেট ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি রুপি। বাংলাদেশি টাকায় এই বাজেট ৫৬৫ কোটি থেকে ৭০৬ কোটি টাকা (১ রুপি = ১ দশমিক ৪১ বাংলাদেশি টাকা)।
আর উপার্জনের দিক থেকে চলচ্চিত্রটির বিস্ময়কর অবস্থান জন্ম দিয়েছে বিপুল উত্তেজনার। মুক্তির আগেই এটি ভারতে সর্বোচ্চ প্রি-রিলিজ ব্যবসার রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। এর মধ্যে থিয়েট্রিকাল ও নন-থিয়েট্রিকাল ব্যবসা থেকে সর্বমোট আয় ছিল ১ হাজার ৮৫ কোটি রুপি (১ হাজার ৫৩২ কোটি টাকা)।
এর মধ্যে ২০০ কোটি রুপি (২৮২ কোটি টাকা) উঠেছে হিন্দি ডাব্ড ডিস্ট্রিবিউশন স্বত্ত্ব থেকে। ভারতের বাইরে গোটা বিশ্ব থেকে আয় হয়েছে ১৪০ কোটি রুপি (১৯৭ কোটি টাকা)। ডিজিটাল, স্যাটেলাইট এবং সঙ্গীত স্বত্ত্ব থেকে আয় হয়েছে মোট ৪২৫ কোটি রুপি (৬০০ কোটি টাকা)।
আরো পড়ুন: ভূতের গল্পে পর্দায় আসছেন সত্যম, সন্দীপ্তা ও সুহত্র
কেবল অগ্রিম টিকেট বুকিং থেকেই বিশ্বব্যাপি আয় হয়েছে ১০০ কোটি রুপি (১৪১ কোটি টাকা)। এভাবে অগ্রিম বিক্রি করা টিকেটের সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। ছবিটি ‘বুকমাইশো’-তে প্রথম ১০ লাখ টিকেট বিক্রিতে দ্রুততম চলচ্চিত্র হওয়ার রেকর্ড স্থাপন করেছে।
আর মুক্তির পর প্রথম দিনেই মুভিটি বিশ্বজুড়ে ২৮০ কোটি রুপি (৩৯৫ কোটি টাকা) আয়ের মাধ্যমে সর্বোচ্চ উপার্জনকারী ভারতীয় চলচ্চিত্রের রেকর্ডটি দখল করে নেয়। রবিবার, চতুর্থ দিনে (৯ই ডিসেম্বর) ভারতে ১৪১.৫০ কোটি টাকা আয় করেছে পুষ্পা-২ ছবিটি।
পুষ্পা-২ সিনেমা ঘিরে যত প্রতিক্রিয়া
গত ৪ ডিসেম্বর হায়দ্রাবাদের সন্ধ্যা হলে মুভি চলার সময় এক নারী তার ছোট ছেলেসহ দুর্ঘটনাবশত ভিড়ের মধ্যে মাটিতে পড়ে যান। এতে পায়ের নীচে চাপা পড়ে ছোট ছেলেটি গুরুতরভাবে আহত হয় আর নারীটি মারা যান। এতে আল্লু অর্জুনসহ গোটা ফিল্মের ইউনিট, হল মালিক ও অর্জুনের নিরাপত্তা দলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। অর্জুনের টিম ছেলেটিকে সবরকম সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেয়।
আরো পড়ুন: সুজিত সরকারের সঙ্গে অভিষেক বচ্চনের নতুন ছবি 'আই ওয়ান্ট টু টক'
এর আগে মুক্তির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অনলাইন পাইরেসির শিকার হয় সিনেমাটি। এটি বিনামূল্যে ডাউনলোডের জন্য বেশ কয়েকটি পাইরেসি ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত হয়ে যায়। এগুলোর মধ্যে ছবিটির ন্যূনতম ২৪০ পিক্সেল থেকে ১ হাজার ৮০ পিক্সেলের এইচডি প্রিন্ট পর্যন্ত একাধিক রেজোলিউশন অন্তর্ভূক্ত ছিল। এর ফলে রোষানলে পড়ে চলচ্চিত্রটির উচ্চ মূল্যের টিকিট এবং সেই সঙ্গে বক্স অফিস সাফল্য। পরবর্তীতে রাজনৈতিক সমর্থনে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
এছাড়াও মুভিটির কিছু বানোয়াট সংলাপ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সংলাপগুলোর রচয়িতা হিসেবে নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির নাম দাবি করা হয়, যারা কোনোভাবে এই মুভির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না। এই মিথ্যাচার বন্ধের লক্ষ্যে মিথ্রি মুভি মেকার্স তাদের অফিসিয়াল এক্স (সাবেক টুইটার)-এর মাধ্যমে কঠোর সতর্কতা জারি করে।
বক্স অফিসের প্রভাব কতটুকু ছিল সিনেমার পর্দায়
.
পরিচালনা
৩ ঘণ্টা ২০ মিনিটের এই চলচ্চিত্রটি স্থান পেয়েছে এখন পর্যন্ত নির্মিত ভারতের দীর্ঘতম পূর্ণদৈর্ঘ্য মুভিগুলোর তালিকায়। এই বিস্তৃত পরিসরের পরিবেশনার প্রধান দিক ছিল পরিচালক সুকুমারের নৈপুণ্য। তিনি এখানে সামাজিক আবহের সঙ্গে সংমিশ্রণ ঘটিয়েছেন চিত্তাকর্ষক বিনোদনের। চিত্রনাট্যের বুননে ছিল আবেগ, অ্যাকশন এবং চক্রান্তের ভারসাম্যপূর্ণ নাট্যরূপ। গ্রহণযোগ্য গতিশীলতার কারণে দীর্ঘ পরিসরের দৃশ্যায়নগুলোর প্রতিটি অংশ ছিল মনোযোগ ধরে রাখার মতো।
আরো পড়ুন: 'বাজিগর ২' নিয়ে আলোচনায় শাহরুখ খান
শুধু পুষ্প রাজ-ই নয়, বনওয়ার শিং শেখাওয়াতসহ অন্যান্য পার্শ্ব চরিত্রগুলোকেও তিনি প্রাণবন্ত রেখেছেন সূক্ষ্ম রসবোধের মাধ্যমে। প্রতিটি চরিত্র নিজের স্বতন্ত্র পরিচয় নিয়ে ধরা দিয়েছে পূর্ণদৈর্ঘ্য ফ্রেমে। এমনকি শেষের দিকে পুষ্পার আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক দ্বন্দ্বের দৃশ্যায়নটিও ছিল বেশ সন্তোষজনক এবং উপভোগ্য।
১ সপ্তাহ আগে
৩৬-২৪-৩৬: কারিনা কায়সার বনাম সমাজে নারীর প্রথাগত সৌন্দর্য্যের মাপকাঠি
শুধু মুখশ্রী ও শারীরিক গড়নের নিরীখে একজন নারীকে বিচার করা অনেক প্রাচীন ধ্যানধারণা। অথচ একবিংশ শতাব্দির তথ্য-প্রযুক্তির যুগেও এই সামাজিক স্টেরিওটাইপ থেকে বের হওয়া সম্ভব হয়নি। বরং আরও গেঁড়ে বসেছে সমাজের বেঁধে দেওয়া তথাকথিত সৌন্দর্যের মাপকাঠি। ফলে জন্মগত ভাবে যেসব নারী সেই শর্ত পূরণে অপারগ হচ্ছেন, তাদের বেছে নিতে হচ্ছে বিষণ্নতার জীবন। এমনি এক জীবনের বর্ণিল উপাখ্যান চরকি অরিজিনাল মুভি ৩৬-২৪-৩৬। ওটিটির আগেই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে সিনেমাটির ভূয়সী প্রশংসা চলছে দর্শক মহলে। চলুন, ৩৬ ২৪ ৩৬ মুভিটির বিশদ বৃত্তান্তসহ জেনে নেওয়া যাক- কীভাবে চটকদার শিরোনামের চলচ্চিত্রটি বিস্তৃত পরিসরে সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা পেল।
৩৬-২৪-৩৬ চলচ্চিত্রের নেপথ্যের মানুষ
চরকি ও ছবিয়ালের ব্যানারে নির্মিত এই কমেডি নাট্য-চলচ্চিত্রটি চরকির মিনিস্ট্রি অব লাভ প্রকল্পের পঞ্চম ছবি। এই প্রকল্পের আওতায় এরই মধ্যে নির্মিত চারটি ছবি হলো- ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’, ‘মনোগামী’, ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’ ও ‘ফরগেট মি নট’।
‘৩৬-২৪-৩৬’-এর পরিচালনায় ছিলেন রেজাউর রহমান, যিনি মোনতাসির মান্নানের সঙ্গে ছবিটির গল্পও লিখেছেন। রচনায় আরও ছিলেন মুভির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা সামাজিক মাধ্যমের কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে খ্যাত কারিনা কায়সার। এটিই তার বড় পর্দায় প্রথম কাজ। মুভির কয়েকটি দৃশ্যে দেখা গেছে তার বাবা জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড় কায়সার হামিদ এবং মা লোপা কায়সারকে।
কারিনার সঙ্গে সিনেমার মূল চরিত্রগুলোতে ছিলেন সৈয়দ জামান শাওন, প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, আবু হুরায়রা তানভীর এবং ডানা ভাই জোস খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর কামরুন নাহার ডানা।
অন্যান্য গুরুত্ব ভূমিকায় দেখা গেছে শহীদুল আলম সাচ্চু, মিলি বাশার, গোলাম কিবরিয়া তানভীর, মানস বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস কুমার মৃধা, রোজী সিদ্দিকী ও শামীমা নাজনীনকে।
২০২৪ সালের ৮ নভেম্বর ছবিটি দেশজুড়ে বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। অতঃপর ২৮ নভেম্বর থেকে ওটিটি চরকির গ্রাহকদের জন্যও ছবিটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন: পেক্ষাগৃহে আসছে ‘ভয়াল’
৩৬ ২৪ ৩৬ মুভি রিভিউ
.
দুটি স্তরে বিভক্ত চিত্রনাট্য
হাস্যরস ও আবেগের মিশেলে ভরপুর পুরো গল্পটি চার বছর সময়ে দুটি ভাগে বিভক্ত। প্রথম ভাগে কেন্দ্রীয় চরিত্রকে ঘিরে গড়তে থাকে গল্পের গাঁথুনি।
এ অংশে সায়রাকে দেখা যায়, একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী হিসেবে। নিছক আবেগের বশে নয়; মেধাবী ও বাস্তববাদী সায়রা যেকোনো কিছু বিচার করে যুক্তি দিয়ে। আর এই বৈশিষ্ট্য তাকে করে তুলেছে অনুসরণীয় পেশাদারিত্ব ও উদ্যোগী দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী।
নিজের স্থুল শরীর নিয়ে খুব ব্যতিব্যস্ত হওয়ার সুযোগ তার নেই।এরপরেও পেশা যখন সামাজিক অনুষ্ঠান নিয়ে, তখন প্রায়ই তাকে সমাজের তথাকথিত দৃষ্টিভঙ্গি সামাল দিতে হয়। তখন অলক্ষ্যেই হৃদয়ের গহীনে কোথাও গুপ্ত বঞ্চিত বিষণ্ণ সত্ত্বাটির মুখোমুখি হতে হয় সায়রাকে। অবশ্য প্রতিবারই বিষয়টিকে মেনে নিয়ে পেশাদারিত্বের সঙ্গে নিজেকে সামলে নেয় সে।
কিন্তু মেঘমুক্ত আকাশে হঠাৎ বৃষ্টির মতো সায়রার জীবনে প্রেম নিয়ে আসে তাহসির। জীবন নিয়ে তার মনে এতদিন ধরে গড়ে ওঠা চিন্তা-চেতনা সব ভুল প্রতীয়মান করে ঘটতে শুরু করে অমূল্য কিছু ঘটনা। তবে বেশি দিন স্থায়ী হয় না এই সুখের অনুভূতি। হঠাৎ তাহসিরের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারে না সায়রা। বহু কষ্টে তার বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগের পর জানতে পারে যে তাহসির ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দেশের বাইরে চিকিৎসাধীন। প্রচণ্ড শঙ্কায় মনোকষ্টে দিন কাটতে থাকে সায়রার। তাহসিরের আরোগ্য লাভের জন্য দোয়া করতে থাকে।
তারপর হঠাৎ একদিন সেই বন্ধু ফোন করে জানায়, তাহসির আর বেঁচে নেই। এর মধ্যে দিয়ে শেষ হয় সিনেমার প্রথম ভাগ।
দ্বিতীয় অংশে দেখা যায়- সায়রার নিজেরই একটা ওয়েডিং প্ল্যানিং প্রতিষ্ঠান হয়েছে। একসঙ্গে অনেক ক্ল্যায়েন্টকে সার্ভিস দিতে গিয়ে রীতিমত হিমশিম খেতে হয় তার টিমকে। এরই মধ্যে আবার এক পুরাতন ক্লায়েন্ট রহমান সাহেবের মেয়ের ওয়েডিং প্ল্যানের জন্য সময় বের করতে হয়। আর এখানেই দেখা মেলে নতুন চরিত্র প্রিয়ন্তির। প্রাণচ্ছল ও চঞ্চল প্রকৃতির মেয়েটির পুরো বিয়ের অনুষ্ঠানকে ঘিরে আবর্তিত হয় গল্পের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত ভাগ। এ অংশটি প্রথম অংশের তুলনায় আরও বিচিত্র এবং হাস্যরসে ভরপুর। সেই সঙ্গে রয়েছে সংগীত বিনোদন, প্রেম ও টুইস্ট।
আরো পড়ুন: কোন নাটকের মাধ্যমে নির্দেশনায় ইতি টানছেন অঞ্জন দত্ত
সায়রা চরিত্রের বিভিন্ন দিক
এই চরিত্রের মাঝে একাধারে রয়েছে একজন পেশাদার ব্যবস্থাপক, প্রতিভাবান শিল্পী, বিষণ্নতা আড়াল করে চলা মানুষ এবং ইতিবাচক মনোরম ব্যক্তি সত্ত্বা। কাহিনির বিভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতে প্রাসঙ্গিকভাবে এগুলো ফুটিয়ে তোলা যেকোনো নতুন অভিনেত্রীর জন্যই চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু তা মোকাবিলায় বেশ ভালোভাবেই উতরে গেছেন কারিনা। বিশেষ করে মনোলগ, সংলাপহীন বিষণ্নতা ও দুঃখবোধের জায়গাগুলোতে তার অভিব্যক্তিগুলো ছিল প্রশংসনীয়।
গল্পের টুইস্ট ও ক্লাইমেক্স অংশগুলোতেও তার প্রতিক্রিয়াগুলো ছিল যথেষ্ট নিয়ন্ত্রিত এবং পরিমিতিবোধ সম্পন্ন। অবশ্য এখানে দৃশ্যের গতিশীলতার জন্য সম্পাদনা ও পরিচালনাও কৃতিত্বের দাবি রাখে।
১ সপ্তাহ আগে
‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ গানের রচয়িতা আবু জাফর আর নেই
‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ ‘তোমরা ভুলেই গেছো মল্লিকাদির নাম’-এক সময়ের ব্যাপক জনপ্রিয় এসব গানের গীতিকার ও সুরকার আবু জাফর আর নেই।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
তার কন্যা জিহান ফারিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুই ছেলে এক কন্য সন্তানের জনক আবু জাফর বেশ কিছু দিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার, কবি ও সংগীতশিল্পী ছিলেন। পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন একজন শিক্ষক। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। ২০০০ সালে এই কলেজ থেকে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
জানা যায়, আবু জাফর ১৯৪৩ সালের ১৫ মে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের গড়ের বাড়ি কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম খোন্দকার মো. জমির উদ্দিন। কুষ্টিয়া শহরের আডুয়াপাড়ায় তিনি বসবাস করতেন।
আবু জাফর রাজশাহী ও ঢাকা বেতার এবং টেলিভিশনের নিয়মিত সংগীতশিল্পী ও গীতিকার ছিলেন। তার রচিত দেশাত্মবোধক ও আধুনিক গান তুমুল আলোড়ন তুলেছিল। একাধিক কালজয়ী গানের স্রষ্টা তিনি। এর মধ্যে ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ ‘তোমরা ভুলেই গেছো মল্লিকাদির নাম’, ‘নিন্দার কাঁটা যদি না বিঁধিল গায়ে’ উল্লেখযোগ্য।
এছাড়াও বেশ কিছু বই লিখেছেন আবু জাফর। এর মধ্যে নতুন ‘রাত্রি পুরোনো দিন’ (কাব্য), ‘বাজারে দুর্নাম তবু তুমিই সর্বস্ব’ (কাব্য), ‘বিপ্লবোত্তর সোভিয়েত কবিতা’ (অনুবাদ কাব্য) ‘তুমি রাত আমি রাতজাগা পাখি’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
আবু জাফরের বিখ্যাত গানের মধ্যে ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ গানটি বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি গানের মধ্যে স্থান দখল করে। তার রচিত সব গানের বাণীতে অসামান্য সুর সংযোজনও করেন তিনি। এছাড়াও নিজের রচিত ও সুর সংযোজিত বেশির ভাগ গানে তিনি নিজেই কণ্ঠ দিয়েছেন। কোনো কোনো তার সঙ্গে যুগলে কণ্ঠ দিয়েছেন তার সাবেক স্ত্রী লালন সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন।
তার জানাজা শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বাদ আসর কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। জানাজা শেষে তাকে কুষ্টিয়া পৌরগোরস্থানে সমাহিত করা হবে।
১ সপ্তাহ আগে